Category: আন্তর্জাতিক

  • কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্র

    কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্র

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    এবার নোবেল করোনায় হানা দিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপর। ম‍্যাক্রর করোনায় আক্রান্তের কথা তার সরকারি অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ( বিবিসি )।

    ১৭ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার ) তার করোনা আক্রান্তের খবর জানানো হয়। ম‍‍্যাক্র এখন আইসোলেশনে আছেন।

    ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম‍্যাক্রর কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার রাষ্ট্রীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ম্যাক্রোঁর করোনায় পজিটিভের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন তিনি সাতদিনের আইসোলেশনে থাকবেন। আপাতত আইসোলেশনে থেকেই তিনি তার জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদনা করবেন।

    সূত্র: বিবিসি।

  • ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

    ১৯৭১ এর এ দিনেই জাতি হারিয়েছিল বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের

     

    মোঃরাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রাণ উজার করা সন্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। ১৯৭১ সাল বাঙালি জাতির মুক্তির বছর। এ বছরের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি শত্রু বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার বুকের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

    ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যার করার ঠিক দুইদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদয় হয়।

    এই দিবসটি জাতীয় ভাবে ব‍্যাপক আকারে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় ভাবে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ‍্যাডঃ মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। তবে এবছর করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

    কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ইত্যাদি।

  • আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৪টি ক্যাম্প থেকে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই ৬শ’ পরিবারের ২ হাজার ৫শ’ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে।

    শুক্রবার (আগামীকাল) আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়।

    প্রতি ১০টি বাসের বহরে ১টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১টি করে পুলিশের গাড়ি রয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪টি জাহাজ।

    ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্ব-স্ব ক্যাম্প থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁবু ও বুথ তৈরি করে তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। পরে তাদের ডাটা এন্ট্রি করে বাসে তোলা হয়। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য শতাধিক বাস এবং ৪০টি মালাবাহী কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    ২৩নং ক্যাম্পের মাঝি আবুল হাশেম বলেন, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের জোর দেয়া হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক তাদের নেয়া হচ্ছে ভাসানচরে।

    মিজান নামে এক যুবক জানিয়েছেন, গত রাত থেকে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে উখিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের নাস্তা ও খাবার পরিবেশন শেষে বাসে তোলা হয়। তার ধারণা প্রতিটি বাসে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কতটি রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কেউ এ পর্যন্ত মুখ খুলেনি। কাছে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক আয়োজন ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দৃশ্যটি চোখে পড়ার মতো।

    এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে বঙ্গোপসাগরের এ দ্বীপটি ঘুরে আসে ২২টি এনজিও প্রতিনিধি দল।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি থেকে চার ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে শেল্টার হোম। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি এ অস্থায়ী আবাসস্থল এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

    সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য অর্গানাইজড হয়ে কাজ করছে সরকার। এসব রোহিঙ্গা জাহাজে উঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    তিনি জানান, দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

    সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসন ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

    প্রকল্পটিতে যেন এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি।

    রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় দুটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

    এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানাস্তর কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে অবগত থাকলেও তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

  • যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ কর্তৃক বাংলাদেশে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন প্রদান

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরবার প্রদান করেছে আজ ২ ডিসেম্বর। এই করোনা চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব আহমদ কায়কাউস। হস্তান্তর করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের হেড অব দ্যা প্রোগ্রামার গোলাম মোতাসিম বিল্লাহ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অসুরোধক্রমে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ৫০ টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন (Model: H-80 M) ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মানবতার কল্যাণে ইসলামিক রিলিফ দেশের শীর্ষস্থানীয় এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবাখাতে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। ইউকে ভিত্তিক ইসলামিক রিলিফ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা, ইউরোপীয় কমিশন, পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের অর্থায়নে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০ টি দেশে আর্থ সামাজিক ও মানবকল্যাণ মূলক কাজে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ১৯৯১ সাল থেকে এই সংস্থাটি কাজ করে আসছে। মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুরোধক্রমে ভাষানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি অর্থায়নে আশ্বাস প্রদান করেছে।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ।

    ক্যাপশানঃ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফের পক্ষ থেকে দেশের করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন গ্রহন করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

  • ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    ভারতে কৃষক আন্দোলন, কপালের ভাজ যেন দীর্ঘ হচ্ছে মোদি সরকারের

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

     

    ভারতে কৃষি আন্দোলন ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে দিল্লির সীমানায়। উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনীতি। দিল্লি ঢোকার পাঁচটি পথ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। অবরুদ্ধ করা হতে পারে মহসড়কও।

    মাত্র দু’দিনের আন্দোলন কর্মসূচি। তবে সবটাই নির্ভর করছে, সরকার তাদের দাবি মেনে নেবে কি না। কেন্দ্র মাথা নত করবে কি? যদি না করে তাহলে এই অবস্থান চলতে পারে ছ’মাসও। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলরত কৃষকরা। আর তাই কপালের ভাঁজটা আরও দীর্ঘ হচ্ছে সরকারের।

    সিঁদুরের মাঝে মেঘ দেখছে তারা… শাহিনবাগের। সিএএ-বিরোধী অবস্থান-বিক্ষোভ যেকোনো জায়গায় গিয়ে ঠেকতে পারে, তা স্পষ্টভাবেই দেখিয়ে দিয়েছে শাহিনবাগ। তাত আবার সের এর উপর সোয়া সের দিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন রাজস্থানের এমপি তথা এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সদস্য হনুমান বেনিওয়াল।

    কীভাবে সামাল দেয়া যেতে পারে এই আন্দোলন বিক্ষোভ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কালঘাম ছুটছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের। আন্দোলনকারীদের আলোচনা বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

    এরই মধ্যে আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। এর আগে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৩ রা ডিসেম্বর।

    কৃষি আইন ইস্যু নিয়েই বিজেপি সরকারের সাথে দীর্ঘ সময়ের শরিকি সম্পর্ক ছেদ করেছে শিরোমণি অকালি দল। এবার রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির বেনিওয়ালের গলাতেও যেন হুঁশিয়ারির সুর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

    অবশেষে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও। রোববার ‘মন কি বাত’-এ তিন কৃষি আইন নিয়ে সাফাই গাওয়ার পর সোমবারও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাফিকির চালিয়েছেন তিনি। বারাণসী-প্রয়াগরাজ জাতীয় সড়ক ১৯-এর ছয় লেনে প্রশস্ত করার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্যদানকালে বেশিরভাগ সময়ই খরচ করেছেন তিনি নতুন এই কৃষি আইন নিয়ে। এত প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য একটাই, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে হবে—উন্নয়নের ঢাক পেটানো এবং বিরোধীদের আক্রমণ। জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূলকেই যেন টার্গেট করলেন তিনি এই কৃষক-বিরোধী তকমায়।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এত দিন কৃষকদের নামে শুধু প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে, এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) নিয়ে ছলনা করা হয়েছে। কৃষি ঋণ মাফ করার কথা বলেও ছলচাতুরি করা হয়েছে। আমরা সেটা করিনি। সার নিয়ে যে কালোবাজারি ছিল তা বন্ধ করেছি। একইভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহও বহুগুণ বেড়েছে। এমএসপি ব্যবস্থা অটুট আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।

    সরাসরি নাম উচ্চারণ না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এত দিন যারা কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করে এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা দিত, তারাই আজ কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে, এটা করা ছাড়াতো আর গতি নেই। কৃষকরাও দীর্ঘসময় ধরে ঠকেছেন। তাই আশঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে তা হবে না।’

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে কৃষকদের নিয়ে নানা ছলনা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়, আমাদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র।’

    তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ওই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছে দু‌ই বিরোধী দলও। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাও। তারা প্রশ্ন তুলছেন, নতুন এই কৃষি আইনে আসলে কাদের পাশে মোদি সরকার?, গরিব কৃষকদের? নাকি পুঁজিবাদী বন্ধু ব্যবসায়ীদের?

    ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ানও।
    প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষে তার জবাব, শত চেষ্টা করলেও তৃণমূলকে কৃষক-বিরোধী প্রমাণ করতে পারবেন না। সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসে কৃষকদের উপার্জন তিনগুণ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, তার কর্মসূচিতে কোনো দ্ব্যর্থবোধকতা নেই।

  • আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্বের তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিল। বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি সমাবেশের মধ্যে অন‍্যতম এবং তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের চরমোনাইতে।

    চরমোনাইতে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় এই ইসলামী মহাসমাবেশের। একটি অগ্রহায়নে আর একটি ফাল্গুনে। তার মধ্যে প্রথম অগ্রহায়নের সমাবেশ আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে বরিশালের চরমোনাই ময়দানে শুরু হতে যাচ্ছে। ২৭-২৮-২৯ শে নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী চলবে এই সমাবেশ বা মাহফিল। সোমবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই মাহফিল। ইতিমধ্যেই মাহফিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সুবিশাল মাঠ।

    বছরে দুটি মাহফিলের মধ্যে এটি প্রথম। অগ্রহায়নের প্রথম এ মাহফিলের চেয়ে দ্বিতীয় ফাল্গুনের মাহফিলটি কয়েক গুন বড় হয় ।লাখ লাখ মুসল্লির মুরিদদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চরমোনাই পীর, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। এই মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন দেশে-বিদেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলেম ওলামারা।

    চরমোনাই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগমন ঘটে। দেশের বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন ।

    আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করছে পুলিশ-র‌্যাব। এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক (মুহজাহিদ) কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বিদ‍্যুত সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ‍্যুত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে।

  • আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    আগামীকাল (২৭ শে নভেম্বর ) শুক্রবার শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্বের তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিল। বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি সমাবেশের মধ্যে অন‍্যতম এবং তৃতীয় ইসলামী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের চরমোনাইতে।

    চরমোনাইতে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয় এই ইসলামী মহাসমাবেশের। একটি অগ্রহায়নে আর একটি ফাল্গুনে। তার মধ্যে প্রথম অগ্রহায়নের সমাবেশ আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) শুক্রবার থেকে বরিশালের চরমোনাই ময়দানে শুরু হতে যাচ্ছে। ২৭-২৮-২৯ শে নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী চলবে এই সমাবেশ বা মাহফিল। সোমবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই মাহফিল। ইতিমধ্যেই মাহফিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সুবিশাল মাঠ।

    বছরে দুটি মাহফিলের মধ্যে এটি প্রথম। অগ্রহায়নের প্রথম এ মাহফিলের চেয়ে দ্বিতীয় ফাল্গুনের মাহফিলটি কয়েক গুন বড় হয় ।লাখ লাখ মুসল্লির মুরিদদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই কাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চরমোনাই পীর, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিল আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। এই মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন দেশে-বিদেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলেম ওলামারা।

    চরমোনাই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগমন ঘটে। দেশের বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন ।

    আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করছে পুলিশ-র‌্যাব। এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক (মুহজাহিদ) কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদারের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বিদ‍্যুত সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ‍্যুত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতাল রয়েছে।

  • বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    বিশ্ব পুরুষ দিবস কবে? অনেকের কাছেই নেই এই প্রশ্নের উত্তর

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    বিশ্ব নারী দিবস কবে সেটা অনেকেরই মুখস্ত। অনেকটা বড়সর আয়োজন করেই দিবসটি পালিত হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় এটি।

    তবে পুরুষ দিবসটি কবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেরই অজানা। কারণ নারী দিবস যতটা আয়োজন করে আসে ততটা আয়োজন নিয়ে এই দিবসটি আসে না। এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি খানিকটা নীরবেই আসে।

    আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান লক্ষ্য নিয়েই প্রতিবছর পালিত হয় এই দিবসটি।

    তবে সর্বপ্রথম পুরুষ দিবস পালনের জন্য ঠিক করা হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিল রাশিয়া। এ কারণে পরে ১৯ নভেম্বর কে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সময়টা ১৯২২ সাল। এর অল্প কয়েক বছর আগেই শেষ হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেই সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ । সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

    এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কতগুলো বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয়। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ

    ১. বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি।

    ২. নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা।

    ৩. নারী-পুরুষ সমতার প্রচার,

    ৪. পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা।

    ৫. পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।

    ৬. পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা।

    ৭. সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের অন‍্যতম একটি লক্ষ্য।

    বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় এই দিবসটি। এই দেশগুলোর মধ্যে – যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন অন‍্যতম।

    নারী-পুরুষ হলো সমাজের দুটি স্তম্ভ, যার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক সমাজ। তবে, নারী দিবসে যতটা উন্মাদনা দেখা যায়, দেখা যায় যতটা ব‍্যাপক আয়োজন। পুরুষ দিবস তা সেরকম কিছুই দেখা যায় না। তবে নারী দিবসের সাথে পুরুষ দিবসটিকেও সমানভাবে উদযাপন করা উচিৎ।

  • ইহুদিবাদীদের সঙ্গে ইসলামাবাদ কখনোই সম্পর্কে জড়াবে না: ইমরান খান

    ইহুদিবাদীদের সঙ্গে ইসলামাবাদ কখনোই সম্পর্কে জড়াবে না: ইমরান খান

    • মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “ইহুদিবাদীদের” সঙ্গে ইসলামাবাদ কখনোই সম্পর্কে জড়াবে না।

    পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এধরনের বক্তব্য দেন।

    ইমরান খান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ইসলামাবাদকেও তাদের মতোই ইসলামের সাথে গাদ্দারি করতে চাপ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ইমরান খান বলেন, তার সরকার এখন পর্যন্ত সে চাপ উপেক্ষা করে এসেছে।

    পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যতদিন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত আমি কোনো অবস্থাতেই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ভাবতেও চাই না।

    কিন্তু ঠিক কাদের পক্ষ থেকে এমন চাপ আসছে, সে প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের কথা বলেননি।

    তিনি বলেন, কিছু কথা থাকে, যা আমরা চাইলেও বলতে পারি না। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার ওপর ইসরাইলের একটা গভীর প্রভাব রয়েছে। আর এ কারণেই এই ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে এই চাপটা বেশি ছিল।

    তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কি ধরনের নীতি গ্রহণ করেন পাকিস্তান তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান ইমরান খান।

  • আমেরিকা ৫ দিনেও পারে না কিন্তু আমারা ৩-৪ মিনিটেই পারি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

    আমেরিকা ৫ দিনেও পারে না কিন্তু আমারা ৩-৪ মিনিটেই পারি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

    মোঃ রাকিব”বিশেষ প্রতিনিধি

     

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেন, আমেরিকার নির্বাচনে পাঁচ দিনেও তারা ভোট গননা শেষ করতে পারেনি, তবে আমেরিকা না পারলেও বাংলাদেশ তা পারে। আমাদের ৩-৪ মিনিটেই ভোট গননা শেষ হয়ে যায়। তাই নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের কিছু শেখার আছে।

    গতকাল (১২ নভেম্বর ) বৃহস্পতিবার আইইএস স্কুলে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটদান শেষে এধরনের মন্তব্য করেন তিনি।

    কে এম নুরুল হুদা বলেন, ভোট সঠিকভাবে হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন।

    ভোটার উপস্থিতি কম কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটাররা ভোট দিতে যাবে কি না যাবে এটা ভোটারদের বিষয়, নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটের ব্যবস্থাপনা দেখবে। বিভিন্ন কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।