Category: ইসলামি রাজনৈতিক

  • জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে চকরিয়ায় জামায়াতের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত মিছিল ও পথসভায় জনতার ঢল।

    #উখিয়া ভয়ের২৪ ডটকম

    ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহর এলাকা প্রদক্ষিণ করে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন , কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক ।

    চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,
    একটি গোষ্ঠী দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এর দায় আমরা নির্দিষ্ট কোন দলকে দিতে চাইনা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই আমাদের কাছে সম্মানিত।জামায়াতে ইসলামী জনগণের সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।আনোয়ারী বলেন, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমাতায়। অথচ প্রশাসন বিভিন্ন দলকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশাসনকে কোন দলের পক্ষাবলম্বন না করে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমরা সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবো। সভা শেষে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল্লাহ আল ফারুককে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিট ছিল একটি বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, ইসলামী আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গঠন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে দুর্নীতি, বৈষম্য, দখলবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে জনগণ মুক্তি পায়নি। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চকরিয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাতামুহুরিতে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যার আসনে জনবল ও প্রয়োজনীয় মেশিনারীজ সংযুক্ত করে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি মাতামুহুরিকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ , জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার আহমদ, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের

    আমীর আরিফুল কবির, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, প্রাক্তন উপজেলা আমীর মাওলানা সাবের আহমদ ও মাওলানা মোজাম্মেল হক, চকরিয়া উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিম, পৌর সেক্রেটারী মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী , মাতামুহুরি সেক্রেটারী হোসনে মোবারক, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর, বরইতলি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

  • বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামিক রাজনৈতিক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। এবং বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নির্বাহী সভাপতি মেজর আমীন আহমেদ আফসারী। আলোচনা সভায় মৌলিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্য, সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বনির্ভরতা নিয়ে আলোচনা হয়। এবং পিআর ও সংস্কার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতামূলক কর্মসূচিতেতে ঐক্যমত থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংস্কার জোটের মূখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, বাংলাদেশ নতুনধারা জনতা পার্টির আহবায়ক মুহাম্মাদ আব্দুল আহাদ নুর, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির লায়ন মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের জিলানী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম এবং দলের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

  • চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    ঐক্য ও ইসলামি রাজনীতি

    অদ্য ২৫ জুলাই,২০২৫, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের প্রধান ইসলামী সংগঠনসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিশেষ সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য আলোচনা অব্যাহত রাখা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন চার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

  • আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    #UkhiyaVoice24.Com

    ২০ জুলাই’২৫ রবিবার, সম্মানিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর অসুস্থতার খবর শুনে তাঁকে দেখতে আজ তাঁর বাসায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি আমীরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের নিকট দো’য়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর জনাব ফখরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা আমীর ডা. খালিদুজ্জামান।

  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জাতীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন।

    #UkhiyaVoice24.Com


    জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায়, জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসে তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে- ডা. শফিকুর রহমান

    অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থাসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ১৯ জুলাই বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থসহ পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যাদের ত্যাগ ও কুরবানীর বিনিময় ফ্যাসিবাদীদের পতন হয়েছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা তাদের কথা চিরদিন স্মরণ করব। তাদের কল্যাণের জন্য যা করা দরকার তাই আমরা করবো। আমরা তাদের যেন অবজ্ঞা না করি। অন্য দলকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করি। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করবো। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করব। যারা এখানে কথা বলেছেন তারা আমার মনের কথাই বলেছেন। আমাদের আর একটি লড়াই করতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের এমপি প্রার্থীগণ নির্বাচিত হলে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী নিবে না, রাষ্ট্রীয় ফ্ল্যাট গ্রহণ করবে না। সাড়া দেশের গণহত্যা,২৪শের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সমাবেশে আসার সমর পথে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু সাঈদ, পাবনা জেলার ঈশ্বর্দী উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকায় আসার পথে এবং রংপুরের শাহ আলম সমাবেশস্থলে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমীরে জামায়াত তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার- পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। আমীরে জামায়াত নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর উপর মূল্যবান বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বক্তৃতা দানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে নির্যাতিতদের সম্পর্কে, নির্যাতিত প্রবাসী ভাই-বোনদের ব্যাপারে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের (প্রবাসী) অবদান তুলে ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে এবং দেশবাসী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কিছু মূল্যবান কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুস আহমাদ, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের আমীর আবু জাফর কাসেমী, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডা. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এড. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা।

    জাতীয় সমাবেশে জামায়াত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড.এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. জসীম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, অন্যতম জুলাই যোদ্ধা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কাইয়ুম।

    সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় জাতীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, জনাব আবদুর রব, অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ ও জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। আমরা ৭ দফা পূর্ণভাবে সমর্থন করছি। ইসলামী ঝান্ডা নিয়ে যুবকরা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ধ্বংস, অভিসাপ, টাকা পাচার, জুলুম নির্যাতনের নাম। তারা দেশকে জঙ্গলে পরিণত করেছে। ফ্যাসিবাদীরা আবার আসলে কারো পিটের চামড়া থাকবে না, সারা বিশ্বে ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের একটি দল পিআর পদ্ধতি চায় না। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষা করা যাবে না। সুরক্ষা করতে হলে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। পিআর যারা চায় না তারা জাতির সাথে প্রতারণা করে। মুসলমানদের ন্যুনতম অধিকার ফ্যাসিবাদীরা দেয়নি। এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জনাব সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশে মুজিববাদের স্থান হবে না। খুনী হাসিনার বিচার হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের স্থান হবে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ হতে হবে। ৭২ সালের সংবিধান এক পাশে রাখতে হবে। নারী অধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার পূরণ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য, মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ১৪ বছর জালেম সরকারের কারাগারে বন্দী ছিলাম। আমাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাই আমি বলতে চাই যে, দেশ যেমন নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তেমনি আমি নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিলো। আমি অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও জেলে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাদের হত্যা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে। তাদের কি অপরাধ ছিলো? তাদের অপরাধ ছিলো তারা এ দেশের জনগণের পক্ষে ও ইসলামের পক্ষে ছিলো।

    আজ কারা পালিয়েছে? জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী পালায়নি। আমরা ৫৪ বছর বাংলাদেশ দেখলাম। কিন্তু ৫৪ বছরে বাংলাদেশের কোন পরিবর্তন হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে কুরআনের আইন দ্বারা দেশ পরিচালনা করতে হবে। আমরা আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন চাই।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ইসলাম যেখানে থাকে সেখানে শান্তি থাকে। যেখানে ইসলামী নেই সেখানে শান্তি থাকতে পাবে না। সেখানে দুর্নীতি বাসাবাঁধে। আপনারা কি আর দুঃখ কষ্ট চলতে দিতে চান। না দিতে চাইলে সংসদে চলবে ইসলামী আইন। অন্য কোন আইন সংসদে চলবে না। শক্তি দিয়ে অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে চাই। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসী সকলের প্রিয় দল। নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দল। জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। দেশের জনগণের স্বার্থে জামায়াতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াতের বৃদ্ধ নেতাদের জেলে বন্দী করে রেখে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। আমীরে জামায়াতের নির্দেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা-সহ সমাবেশ বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতাকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। কষ্ট শিকার করে সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করায় ঢাকাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।

  • ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের শহীদ মিনারে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের শহীদ মিনারে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    #UkhiyaVoice.Com ।। ইসলামিক রাজনীতি

    ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে, সকল হত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রকাশ ও কার্যকর করা এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবিতে ইসলামী ঐক্যজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়োজিত এক বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।মাওলানা জাকির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে মুফতী সালমান রফিকীর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদির দা.বা. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবু তাহের জিহাদী দা.বা.। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দা.বা.। ইসলামী ঐক্যজোট নারায়নগঞ্জ জেলা সহ সভাপতি মাওলানা আলী আহমাদ সহ আরো উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা মুঈনউদ্দীন, খেলাফত মজলিস নারায়নগঞ্জ জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতী শেখ শাব্বির, ইসলামী ঐক্যজোট সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মাহমুদ প্রমুখ। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম ছাড়া জাতির মুক্তি নেই। তারা অবিলম্বে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে “জুলাই সনদ” কার্যকর করার দাবি জানান।

  • বাংলা ভিশন’ টিভিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা।

    বাংলা ভিশন’ টিভিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদন

    স্যাটেলাইট টেলিভিশন “বাংলা ভিশন”-এ ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে অমুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দানকারী পরিমল কান্তি শীলকে আওয়ামী’ লীগ নেতা হিসেবে সংবাদ পরিবেশন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী ও সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম।

    নেতৃদ্বয় বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলন ছিল সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও সফল সম্মেলন। লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে জামায়াতের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা বেড়েই চলেছে। সারাদেশের মতো কক্সবাজারের কর্মী সম্মেলনেও অমুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে আমরা পরিমল কান্তি শীলকে আমন্ত্রণ জানাই। যথারীতি তিনি সম্মেলনে আমীরে জামায়াতের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন এবং দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি জামায়াতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। যা সর্বমহলে একটি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

    কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশের প্রাচীন টেলিভিশন চ্যানেল “বাংলাভিশন “জামায়াতের সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও সফল কর্মী সম্মেলনের কালিমা লেপন ও জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে পরিমল কান্তি শীলকে আ’লীগ নেতা হিসেবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর।

    পরিমল কান্তি শীল কখনো আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। বাংলা ভিশনে পরিবেশিত সংবাদে ‘পরিমল দে’ নামে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হিন্দু ধর্মীয় কল্ল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য পরিমল শীল একই ব্যক্তি নন। তথ্যের সত্যতা যাছাই না করে এ ধরণের ডাহা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

  • ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানিত আমীর মাওলানা আবুল ফজল সাহেব, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলার সমাজ-সেবা কর্মকর্তা জনাব আল-মাহমুদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন উক্ত সংসদের সম্মানিত সভাপতি জনাব নুরুল কবির মাহমুদ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম।

    আয়োজনে: কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদ উখিয়া,উখিয়া কক্সবাজার।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা গতকাল ২২ নভেম্বর (জুমাবার) রাত ৯টায়, পশ্চিম ডিগলিয়াপালং ইসলামিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইউনিয়ন শাখার উপদেষ্টা মাওঃ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক হাফেজ নজির আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ মুহাম্মদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সেক্রেটারী মাওঃ এম. জাহাঙ্গীর রফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচীব মাওঃ হাফেজ মির কাশেম, উপদেষ্টা মাওঃ নুর আহমদ, মাওঃ হাফেজ হারুনুর রশিদ, মাওঃ জামাল উদ্দিন প্রমূখ।

  • অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর- মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন অবৈধ আওয়ামী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

    অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    তিনি‌ বলেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যা বিস্ফোরণ হলে অবৈধ সরকারের নির্মম পতন হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের জনগণ ও সচেতন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম নিয়ে চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন ইসলামী চেতনা এই জাতির শিকরে প্রোথিত আছে। ইনশাআল্লাহর চেতনা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দেশীয় বোধ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি উঠিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ইসলামকে অপসারণ এর পায়তারা করছে। সকল সচেতন ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। ভিনদেশী চক্রান্ত হতে প্রিয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে।

    মহাসচিব- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন প্রশ্ন আসছে আমরা স্বাধীন না পরাধীন। শরীরের রক্ত বরাদ্দ করে দেশ ইসলাম ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে।

    যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন ভরা মৌসুমে চাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুর্ভিক্ষের বার্তা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট দেশকে আজ চরম সংকটের মুখোমুখি করে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অবৈধ সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন আমাদের সমাজ দেশের জনগণ ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময় পার করছে। ট্রান্সজেন্ডার এর মত ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী এজেন্ডা এবং দেশীয় বোধ বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম’২১ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। এভাবে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না।

    সম্মেলন শেষে পীরসাহেব চরমোনাই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ -এর নাম ঘোষণা করা হয়।