Category: ইসলামি রাজনৈতিক

  • বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ছাত্রলীগ বা আওয়ামি লীগের দলীয় সম্পত্তি নয় যে, এখানে পড়তে হলে “ছাত্রলীগ” করতেই হবে। এটি একটি জাতীয় সম্পত্তি। দেশের সকল নাগরিকের সংবিধানসিদ্ধ ও রাষ্ট্র সমর্থিত এবং শিক্ষানীতি বিরুদ্ধ নয় এমন যাবতীয় কর্মকান্ড ব্যক্তি স্বাধীনতায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস সহ দেশের যে কোন জায়গায় পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারো ছাত্রলীগ করার ইচ্ছে থাকলে করবে না থাকলে করবে না। ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করার কারো কোন অধিকার নাই।

    কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন “কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়তে হলে ছাত্রলীগ করতে হবে” মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছে তা স্পষ্টতই গণতন্ত্র বিরোধী ও ফ্যাসিবাদী। তার জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশে সাংবিধানিক নীতিতেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতি বিদ্যমান। এক্ষেত্রে, সাদ্দাম হোসেনের এই বক্তব্য সংবিধান বিরোধীও বটে।

    যেহেতু এই বক্তব্যটি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্র কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সামনেই রেখেছেন; কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, সচেতন শিক্ষার্থী এবং কলেজ প্রশাসনকে এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মহোদয় এবং কলেজ প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতার এই গণতন্ত্র বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্যকে “বিচ্ছিন্ন খেয় হারানো বক্তব্য” হিসেবে সাব্যস্ত করবেন।

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ০৩৪ নং এ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন, “ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ” কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ নেজাম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহীন, গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী সাব্যস্তপূর্বক ছাত্রলীগ নেতার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কে দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পূণঃ বক্তব্য প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।

    বার্তা প্রেরক:
    মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাহের
    তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক
    আইসিএবি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।

  • উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও গৌরবময় পথচলার ৩১ বছর পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১২আগস্ট) জালিয়াপালং ইউনিয়ন’র আইএবি মিলনায়তনে জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফেজ ইমরান মাহমুদ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও র‍্যালি করা হয়।

    এতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া – টেকনাফ এর জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাওলানা শোয়াইব।

    তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর ৩১ বছরের পথচলা আপনাদের সামনেই রয়েছে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে ছাত্ররা।সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনার। সত্যিকারার্থে যদি আপনি এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে চান তাহলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর ছায়াতলে আপনাকে, আপনার সন্তানকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দলের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুনায়েদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা কলিম উল্লাহ।

    প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর।

    বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

    বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা।
    মাওলানা ফরিদুল আলম, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আব্দুল জলিল। সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা। মাওলানা খাইরুল আমিন, আলহাজ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হামিদুল হক ও মাওলানা ইব্রাহীম সহ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের সরকার নয় বলে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য স্বেচ্ছাচারি কায়দায় মধ্যরাতে দেশের ইতিহাসে জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি করে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয়ের কথা বললেও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তাহলে ৫০% দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? বিপিসি টানা ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এই ৪৩ হাজার কোটি টাকা কোথায়? এর হিসেব জনগণের কাছে দিতে হবে।

    দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে হতাশ করেছে। গণবিরোধী সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে পতন ঘটাতে হবে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার মুমুর্ষ ও অন্তিম অবস্থায়ও সত্য কথা বলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে পেট্টোল-অকটেন কিনতে হয় না। বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়, আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরই পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ানো হলো। দেশের নির্বাহী প্রধান হয়ে কিভাবে মিথ্যা কথা বলে, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি সরকারকে একটি নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান।

    স্বাধীনতার ৫১ বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। সবাই দুর্নীতিবাজ, চোর ও ডাকাত সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

    আরও বলেন, দক্ষ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক জনশক্তি ছাড়া দেশের স্থায়ী ও টেকশই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুতরাং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেকটা কর্মীকে দক্ষ ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।

    সভায় সাবেক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন।এবং সমাবেশ শেষে প্রতিষ্টাবার্ষিক উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলিয় পতাকা হাতে নিয়ে দলিয় সংগীত দিয়ে র‍্যালি করেন।

    সমাবেশ শেষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর মোনাজাত এর মাধ্যমে র‍্যালি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশীদের বিপুল পরিমাণ টাকা প্রসঙ্গে প্রকৃত অবস্থা তুলে যে বক্তব্য দিয়েছেন এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে, আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই। সুইস ব্যাংকসহ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে দুর্নীতিবাজরা যে দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এখন জনগণ জানতে চায়, এরা কারা। সরকার কেন তাদের পরিচয় ধামাচাপা দিতে চায়? তাহলে কি সরকার এই দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে জড়িত? তিনি সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের ব্যাখ্যা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, দুদককে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে কারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, দুদক তাদের দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুফতি ফয়জুল করীম সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড এর রেফারেন্সে বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। যা সচেতন মহলকে বিস্মিত করেছে।

    আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কার্যালয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

  • বাঁশখালী ওলামা পরিষদের নতুন কমিটি

    বাঁশখালী ওলামা পরিষদের নতুন কমিটি

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    বাঁশখালীর আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন “বাঁশখালী ওলামা পরিষদ” এর পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ওলামা পরিষদের সকল সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রমও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    আজ (৩০ জুন-২২) বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে সংগঠনের এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সংগঠনের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারী মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মাওলানা আনিসুর রহমান বিন আবু বকর, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, মুফতি হেলাল উদ্দিন,সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা সোহাইল মাহমুদ, মাওলানা ওসমান প্রমুখ।
    পরে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক, মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিলকে সদস্য সচিব, মাওলানা এজাজ চৌধুরী, মাওলানা আনিসুর রহমান,সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী ও মাওলানা আলহাজ্ব ইসমাইলকে যুগ্ম আহবায়ক, মাওলানা ইউনুস, ক্বারী আবদুল ওয়াহেদ, মাওলানা সোহাইল মাহমুদকে যুগ্ম সদস্য সচিব, মাওলানা মাহমুদুল ইসলামকে অর্থ সচিব, মাওলানা ওসমান গণিকে প্রচার সচিব এবং মাওলানা ওসমান পুকুরিয়া মাদরাসা, মাওলানা হাফেজ জসিম উদ্দীন প্রেমাশিয়া, মাওলানা ইউসুফ বিন সাঈদ, মাওলানা ওসমান কাসেমী, মাওলানা আবদুল মাজেদ সরল, মাওলানা আবদুল মালেক সরল বড় মাদরাসা, মুফতি হেলাল উদ্দিন মনকিচর মাদরাসা, মাওলানা ইসমাইল চাম্বল মাদরাসা, মাওলানা জুনাইদ পুঁইছড়ি, মাওলানা মনসুর ছনুয়া ও মাওলানা জসিম উদ্দীন ছনুয়াকে সদস্য করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
    সভায় আগামী ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বাঁশখালী গ্রীণ কমভেনশন সেন্টারে পটিয়া আল জামেয়ার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আবদুল হালিম বোখারী সাহেব হুজুর রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া দ্রুততম সময়ে বাঁশখালী ওলামা পরিষদের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ২৮ জুন মঙ্গলবার ভারতের আসাম রাজ্যের মেঘালয় সীমান্তবর্তী এলাকা সুনামগঞ্জের বাংলা বাজার, হরিনা পাটি ও গঙ্গারচর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ত্রাণ বিতরণ চলছে। তিনটি ইউনিয়ন পুরো এলাকা বন্যায় প্লাবিত। অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

    এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ‘দূর্যোগ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ টিম’-এর নেতৃত্ব আছেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। ত্রাণ তৎপরতায় আজ উপস্থিত আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জেলা সদর মাওলানা নুরুল আমিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক, সুনামগঞ্জ বামুক সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জামাল গাজী সোহাগ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শরিফুল্লাহ মজুমদার, যুব আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নিজাম, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম হোসেন, সদর আন্দোলন সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান, যুবনেতা শাহীন খান প্রমুখ।

  • আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.)এর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাই’র শোক ও দোয়া

    আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.)এর ইন্তেকালে পীর সাহেব চরমোনাই’র শোক ও দোয়া

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও পৃথক পৃথক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
    শোকবার্তায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী একজন প্রথিতযশা আলেম ছিলেন। ইলমে হাদিস, ইলমে তাফছিরসহ ইসলামের সকল বিষয়ে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। কঠিন কঠিন বিষয়গুলো তিনি সহজ ভাবে তিনি সমাধান করতেন। জাতীয় সঙ্কটকালে তিনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি দেওবন্দি মাসলাকের সকল ইসলামী সংগঠন, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, পীর মাশায়েখগণের মনে প্রাণে ঐক্য কামনা করতেন। তাঁর হাজার হাজার ছাত্র, ভক্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রাণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

    পীর সাহেব বলেন, কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও মসজিদসহ বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন মরহুমের সকল খেদমতকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমীন। সেইসাথে পরিবার পরিজন, ছাত্র, ভক্ত-অনুরক্তকে সবর এখতিয়ার করার তৌফিক দিন।

  • আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে জটিল রোগে আক্রান্ত,অবিলম্বে মুক্তি দিন,আমীরে নেজাম-আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী

    আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে জটিল রোগে আক্রান্ত,অবিলম্বে মুক্তি দিন,আমীরে নেজাম-আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী

    আলমগীর ইসলামাবাদী:- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগারে অত্যন্ত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী। এক বিবৃতিতে তিনি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত মুক্তির দাবী জানান।

    আজ ২৯ জুন রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বছর ১১ এপ্রিল থেকে দীর্ঘ ১৪ মাস যাবৎ মাওলানা ইসলামাবাদী কারাবন্দী। কারাগারে বেশ কিছুদিন আগেই তিনি জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এছাড়াও তাঁর শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা ও হাই প্রেশার রয়েছে। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের ফলে মজলুম এ আলেমের হাটু, ঘাড় ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। এসব শারিরীক অসুস্থতা ও জটিলতায় কারাগারে তিনি অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমনকি নামাযে রুকু, সিজদা করাও তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

    এ করুণ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী ও গুরুতর অসুস্থ মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর রোগমুক্তির জন্য দু’আ কামনা এবং তাঁর সুচিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর, দেশের শীর্ষ আলেমেদ্বীন আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী।

    সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দেশের একজন মেধাবী ও শান্তিকামী আলেম। ইসলাম, দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর গঠনমূলক, সাহসী ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন একজন তারুণ্যদীপ্ত, বিজ্ঞ আলেমেদ্বীনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হয়রানীমূলকভাবে ২৯টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দীর্ঘ ১৪ মাসেরও অধিক সময় পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

    আমরা সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে কারাগারে গুরুতর অসুস্থ মাওলানা ইসলামাবাদীর সুচিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তি দাবি করছি এবং মজলুম এ আলেমেদ্বীনের আশু সুস্থতার জন্য আলেম-ওলামা, শিক্ষার্থীবৃন্দসহ তাওহিদী জনতার কাছে দু’আ কামনা করছি।

    আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী একই বিবৃতিতে মাওলানা জুনাইদ আল-হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাযী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মধুপুরের পীর সাহবের ছেলে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীসহ হয়রানীমূলকভাবে গ্রেফতারকৃত সকল আলেমগণের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

  • কক্সবাজারে মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে  বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজারে মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    ওমর ফারুক উখিয়া কক্সবাজার।
    কক্সবাজার বদর মোকাম মসজিদ থেকে শুরু করে  শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
    ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তার সহধর্মিণী আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রকর্তৃক তার নিন্দা জ্ঞাপনের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কক্সবাজার  জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার ইসলাম ও মুসলিমদের  উপর খড়গহস্ত হয়। তাদের কাছে গরুর মূল্য থাকলেও মুসলমানদের রক্তে কোন মূল্য নেই। সম্প্রতি মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ ও তার সহধর্মিণী নিয়ে কটুক্তি করে তারা সাম্প্রাদায়িক ও জঙ্গিবাদী আচরন করেছে আমরা এমন নোংরা হস্তক্ষেপের ঘোর নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
     
    এতে,জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় মিছিলোত্তর সমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা: মো: আমিন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ইসমাইল জাফর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান, বামুক জেলা ছদর আলহাজ¦ বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা ফজলুল করিম, মো: আবদুল খালেক,  মো: আনোয়ার হোসাইন, আবদুর রউফ লাভলু, মো: তকি উদ্দিন সিকদার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জামাল উদ্দিন তাওহীদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাও: শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন কায়সার সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
    বিক্ষোভ মিছিলে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল সহকারে মুসল্লীরা অংশ গ্রহণ করেন। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ ও ভারতীয় দুতকে ডেকে সকল তাওহীদি ও নবী প্রেমিক জনতার পক্ষথেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে উক্ত আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করতে হবে।
    এক পর্যায়ে জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী শেষ বক্তব্যে  বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায়  সেখানে কোনো ধর্মীয় উস্কানি বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের দাবী বাংলাদেশেও ধর্মীয় সংঘাত এড়াতে অতিসত্ত্বর সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক। এবং মুসলমানদের প্রাণে রক্তক্ষরণ রোধে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করুন।
  • অবিলম্বে মহানবী সা.এর অবমাননার প্রতিবাদে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে,ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    অবিলম্বে মহানবী সা.এর অবমাননার প্রতিবাদে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে,ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    চলমান সংসদ অধিবেশনে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার কে ডেকে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। না হয় আন্দোলন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে ইনশাআল্লাহ। এদেশের সাধারন মানুষ, রাসূল সা. এর কটুক্তি অতীতেও কখনো সহ্য করেনি বর্তমানেও করবে না। অবিলম্বে, বিজেপি সরকারের মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

    আজ (১০জুন ২২) শুক্রবার,বাদ জুমা ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ বিশ্ব মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বরে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম।

    সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন সেক্রেটারি, মীর আহমদ, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, ইমদাদুল কবির ভূঁইয়া, নগর উপদেষ্টা মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তানভীর হোসেন জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভারতীয় পণ্য বয়কট করা এখন ঈমানের দাবী, আরব দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য বয়কট করে রসূল সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদ জানাচ্ছে, আমরাও বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বয়কট করে উচিত শিক্ষা দিব, যেন ভবিষ্যতে মানবতার নবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে কটুক্তি করার কেউ সাহস না পায়। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বর থেকে লালখানবাজার হয়ে জিইসির মোড় গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মিছিল সমাপ্ত করা হয়।

  • ভারতে মহানবী(সাঃ)কে অবমাননার প্রতিবাদে বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল

    ভারতে মহানবী(সাঃ)কে অবমাননার প্রতিবাদে বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    ভারতে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জুন) বাদ জুম্মা ঢাকা মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা মোড় বঙ্গবন্ধুর চত্বর সম্মুখে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

    ওলেমা মাসাহেক শুরা সদস্য আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুফতি তারিক মাসুদ, মাওলানা আনিসুর রহমান, ডাক্তার নুরে আলম সিদ্দিক, মাওলানা সরোয়ার হোসেন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা কামাল আহমেদ, হাফেজ বেলাল, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাস্টার হারুনুর রশিদ, মাওলানা আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন প্রমুখ

    বক্তারা বলেন,মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,যার শান ও মান আকাশচুম্বী, যার চরিত্র সমগ্র পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য আদর্শ,স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাঁর চরিত্র সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।তাঁর এমন মহান চরিত্রের উপর অবমাননাকর বক্তব্য যে সকল কুলাঙ্গাররা প্রদান করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিন্দা প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

    মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মুসলমানদের প্রাণ ও ঈমান,অনতিবিলম্বে এর উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া না আসলে আরও তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক আসবে বলে বক্তারা আশ্বস্ত করেছেন,এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা প্রকাশ জন্য আহবান করেন।