Category: ইসলামি রাজনৈতিক

  • সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্ক

    সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজন
    দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে- মিরপুর ঈদগাঁহ মাঠে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ, অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশের ইউনিয়ন সমূহে সদস্য সম্মেলন ঘোষণা ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটা দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে। এই ভয়াবহ সংঘাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে কেবল জাতীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পরবে। ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস হবে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী শিক্ষা ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। পীর সাহেব চরমোনাই সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকে চরম খেষারত দিতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশে ইউনিয়ন ইউনিয়নে সদস্য সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুর-১ ঈদগাঁহ মাঠে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

    নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে নগর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দীন, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল, ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে এর বিকল্প নেই। জনগণ যেভাবে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে। আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাঁবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। পীর সাহেব বলেন, সরকার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলে সব সুরাহা করা যাবে। ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।

    মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, প্রশাসনের লোকেরা জনগণের কর্মচারী। আপনারা জনগণের অধিকার নষ্ট করবেন না। সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশ করতে বাধা দেবেন না। সব ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করুন, তবেই জনগণ আপনাদের ভালোবাসবে। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের নাগালে রাখার দাবি জানান। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের উপর চেপে বসেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশ দেউলিয়ার পথে। যে কোন সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পরবে। এমতাবস্থায় সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার দুই মেয়র কথার ফুলঝুড়িতে আছে, কোন কাজে নেই। মেয়রদ্বয় চরমভাবে ব্যর্থ। দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি। নগরবাসীকে এরা ডেঙ্গু ফেলে দিয়ে এরা নিজেরা বাঁচতে বিদেশে পাড়ি দেয়। এরা জনগণের মেয়র নয়। এরা বুর্জোয়া, নগরবাসী এদেরকে আর মেয়রের আসনে দেখতে চায় না।

  • উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং ছাত্র ও যুব সমাজের তাফসিরুল কোরআন মাহফিল সম্পন্ন

    উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং ছাত্র ও যুব সমাজের তাফসিরুল কোরআন মাহফিল সম্পন্ন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদের প্রতিবেদন।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব অঞ্চলের স্বনামধন্য সংগঠন, পূর্ব ডিগলিয়া পালং, করইবনিয়া ছাত্র ও যুব সমাজ কর্তৃক আয়োজিত ১ দিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিল সম্পন্ন করা হয়।

    উক্ত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পূর্ব ডিগলিয়া পালং নতুন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব হযরত মাওলানা হাফেজ আব্দুল কাদের সাহেব।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আলহাজ্ব মরহুম মীর কাশেম চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান তিন তিনবার নির্বাচিত সফল জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সৎ যোগ্য শিক্ষানুরাগী জনাব আলহাজ্ব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী। প্রধান বক্তার আলোচনা পেশ করেন, ঢাকা খিলগাঁও জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব হযরত মাওলানা এইচ এম হাবিবুল্লাহ মিসবাহ সাহেব।

    আমরা মুসলিম জাতি কখনো কারো ধর্মের উপর আঘাত করি না কিন্তু হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান বিধর্মীরা আমাদের ধর্মের উপর আঘাত করে কেন, কিছুদিন আগেই সুইডেন ও নেদারল্যান্ডে আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, আমরা মুসলিম জাতি কখনো থাদের গীতা ও বাইবেল আগুন জ্বালিয়ে দিয় নাই, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মায়ানমার, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিম জাতিকে জুলুম নির্যাতন হত্যা করছেন অমুসলিমরা, পরিমনি মদের বোতল নিয়ে অপরাধে জেলখানায় গেলে মেহেদী সাজে আর সত্য কথা উচ্চ কন্ঠে বলতে গিয়ে হাজারো আলেম ওলামা জেলখানায় বন্দী করে জুলুম নির্যাতন করে।
    শুধু তাই নয় যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধানে কোরআনুল কারিমের আইন বাস্তবায়ন না হবে, সুশাসন সুশাসনকারী নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত দেশে শান্তি ফিরে আনা সম্ভব নয়।

    তোমরা মনে করিওনা এইদিন চিরদিন, ক্ষমতা চিরদিনের জন্য নয়, এই দেশ আলেম ওলামার, এই দেশ মুসলিম জাতির দেশ, যে দেশের সূর্য উঠে আজানের ধ্বনিতে, সূর্য ডুবে আজানের ধ্বনিতে সেই দেশে শিক্ষাক্রমে লিখা হয়েছে মানুষ নাকি বানরের বাচ্চা।

    শিক্ষাক্রম পাঠ্য বইয়ের মধ্যে দেখা যায় মন্দির গীর্জার ছবি, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মডেল সরকারি মসজিদের একটি ছবিও দিতে তারা ব্যার্থ হয় বলে প্রধান বক্তার আলোচনায় তিনি এসব একথা বলেন।

    নিউজ ডেস্কঃ উখিয়া ভসেস২৪ ডটকম।

  • বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।

  • Untitled post 8284

    বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হলে চরমোনাই আর তাবলীগ এই দুই দলের দ্বারাই হবে-আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম হাটহাজারীতে (১০ সেপ্টেম্বর২২) শনিবার বাদ এশা তিরমিজি (সানী) দরস দেন জামিয়ার সাবেক ২য় মোহতামিম আল্লামা আব্দুল ওয়াহহাব (রহঃ) এর সাহেবজাদা আল্লামা আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    হাদীসের দরস দেওয়ার মধ্যে এক হাদীস এসেছে যে রাসূল সাঃ বলেছেন ইসলাম যদি কায়েম করতে হয় তাহলে প্রথমে নিজের মধ্যে ইসলাম কায়েম করতে হবে এরপর নিজের ঘরে কায়েম করতে হবে এরপর বাহিরে।

    হাদিসের কথার সাথে কথা মিলিয়ে হুজুর বলেন যারা নিজের মধ্যে ইসলাম না রেখে অর্থাৎ নিজে দাড়ি টুপি নামাজ ইত্যাদি এগুলো কিছু না করে দেশে ইসলাম কায়েম করবো বলে মাঠে লাফান এদের দ্বারা পূর্বেও ইসলাম বিন্দু পরিমাণ কায়েম হয় নাই এখনো হচ্ছেনা সামনেও হবেনা।

    পক্ষান্তরে হাদীসের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে এই দুই দলের, চরমোনাই আর তাবলীগ, এদের নিজের মধ্যে এবং ঘরের মধ্যেও ইসলাম আছে এবং বাহিরেও চেষ্টা করতেছে, সুতরাং এদের দ্বারাই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

  • পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতীয় আধিপত্যকে স্পষ্ট করেছে-মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতীয় আধিপত্যকে স্পষ্ট করেছে-মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অনুরোধ করে দেশের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুন্ন হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী সরকারকে মনে রাখা দরকার ভারত সবসময় নিজেদের স্বার্থের চিন্তা করে। আর এ সরকার ভারতকে দিতেই পছন্দ করে। শুধু দিয়ে খুশি করতেই তৃপ্তি পায় সরকার। কারণ এ সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোনভাবেই নির্বাচিত সরকার নয়। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে।

    আজ ২৪ আগস্ট, ২০২২ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বভৌমত্ববিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

    মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী’র মতো। এর আগে বলেছেন বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তার বক্তব্যের দিনই পার্বত্য অঞ্চলে একজন মা ক্ষুধার জ্বালা নির্বারণে সন্তান বিক্রি করতে বাজারে তোলেন; যা মিডিয়ায় প্রকাশিত। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে। তিনি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ অনেক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ভারতের সাথে কী চুক্তি হবে, দেশবিক্রির চুক্তি? সফরে যাওয়ার আগে কী চুক্তি হবে; তা জনগণকে জানাতে হবে।

    তিনি বলেন, ভারতের সাথে কোন চুক্তি দেশবাসী মানবে না। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য। কাজেই দেশদ্রোহী সরকার এক মুহুর্তও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশ সকলের; এদেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তিনি নির্লজ্জ সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারতের অনেক নাগরিক বাংলাদেশে চাকুরী করে, অথচ বাংলাদেশের লাখ লাখ যুবক বেকার। এভাবে ভারতের তাঁবেদারি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

    তিনি চা শ্রমিকদের সম্পর্কে বলেন, চা শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে আসছে। ১২০ টাকা মজুরী হয়? দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, আর চা শ্রমিকরা তাদের ৩০০ টাকা মজুরি দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে, এটা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।

    সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের মূল্য প্রতি কেজিতে ৭ টাকা বৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্য আকাশচুম্বী করে কৃষকদেরকে কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহমূলক বক্তব্য কৃষকদের সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই না। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনগণের জীবন শেষ। সরকার দলের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণকে শোষণ করছে।

    মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, আমার দেশের ট্রানজিট সুবিধা তাদেরকে প্রদান করেছেন অথচ দৃশ্যমান কিছুই আদায় করতে পারেননি। এভাবে একটা দেশকে ধ্বংস হতে দেয়া যায় না। ভারতের আশীর্বাদে ক্ষমতা দখল করে রাখার স্বপ্ন জনগণ দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশবিরোধী শক্তি আজ আওয়ামী সরকারের মাথা খেয়ে ফেলেছে। সরকার নিজেদেরকে স্বাধীন রাখতে ব্যর্থ হয়ে দেশটাকেও বিকিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিদের অসংলগ্ন কথাবার্তা এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ চোরদের হাত থেকে এখন ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। তিনি বলেন, সরকার দিল্লির ইশারায় সবকিছু করছে।

    অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, লাল সবুজের পতাকা এখন দালালদের কবলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। ইভিএম তথা বাটপারি মেশিনে ভোট করার খায়েশ জনগণ পূরণ করতে দেবে না।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় গেলেও এখন আর ভারতের সহযোগিতায় যেতে পারবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। সরকারের দেউলিয়াত্বও ভারত বুঝতে পারছে, এ কারণে ভারত সামনে আর সহযোগিতা করবে না, তা আঁচ করতে পেরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাহায্য চেয়েছে। আওয়ামী লীগ মেরুদণ্ডহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

    মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারেনি। ব্যর্থ ও অথর্ব সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে উঠছে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সরকারের পায়ে নীচে মাটি নেই, জনসমর্থন তলানীতে। এজন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভারত পাঠিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রাখার জোর অনুরোধ করে দেশদ্রোহী কাজ করেছে। তার বিচার হতে হবে। ১৫০ আসনে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম-এ ভোট করার স্বপ্নসাধ জনগণ রুঁখে দিবে।

  • বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ছাত্রলীগ বা আওয়ামি লীগের দলীয় সম্পত্তি নয় যে, এখানে পড়তে হলে “ছাত্রলীগ” করতেই হবে। এটি একটি জাতীয় সম্পত্তি। দেশের সকল নাগরিকের সংবিধানসিদ্ধ ও রাষ্ট্র সমর্থিত এবং শিক্ষানীতি বিরুদ্ধ নয় এমন যাবতীয় কর্মকান্ড ব্যক্তি স্বাধীনতায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস সহ দেশের যে কোন জায়গায় পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারো ছাত্রলীগ করার ইচ্ছে থাকলে করবে না থাকলে করবে না। ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করার কারো কোন অধিকার নাই।

    কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন “কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়তে হলে ছাত্রলীগ করতে হবে” মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছে তা স্পষ্টতই গণতন্ত্র বিরোধী ও ফ্যাসিবাদী। তার জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশে সাংবিধানিক নীতিতেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতি বিদ্যমান। এক্ষেত্রে, সাদ্দাম হোসেনের এই বক্তব্য সংবিধান বিরোধীও বটে।

    যেহেতু এই বক্তব্যটি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্র কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সামনেই রেখেছেন; কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, সচেতন শিক্ষার্থী এবং কলেজ প্রশাসনকে এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মহোদয় এবং কলেজ প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতার এই গণতন্ত্র বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্যকে “বিচ্ছিন্ন খেয় হারানো বক্তব্য” হিসেবে সাব্যস্ত করবেন।

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ০৩৪ নং এ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন, “ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ” কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ নেজাম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহীন, গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী সাব্যস্তপূর্বক ছাত্রলীগ নেতার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কে দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পূণঃ বক্তব্য প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।

    বার্তা প্রেরক:
    মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাহের
    তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক
    আইসিএবি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।

  • উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও গৌরবময় পথচলার ৩১ বছর পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১২আগস্ট) জালিয়াপালং ইউনিয়ন’র আইএবি মিলনায়তনে জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফেজ ইমরান মাহমুদ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও র‍্যালি করা হয়।

    এতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া – টেকনাফ এর জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাওলানা শোয়াইব।

    তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর ৩১ বছরের পথচলা আপনাদের সামনেই রয়েছে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে ছাত্ররা।সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনার। সত্যিকারার্থে যদি আপনি এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে চান তাহলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর ছায়াতলে আপনাকে, আপনার সন্তানকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দলের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুনায়েদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা কলিম উল্লাহ।

    প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর।

    বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

    বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা।
    মাওলানা ফরিদুল আলম, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আব্দুল জলিল। সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা। মাওলানা খাইরুল আমিন, আলহাজ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হামিদুল হক ও মাওলানা ইব্রাহীম সহ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের সরকার নয় বলে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য স্বেচ্ছাচারি কায়দায় মধ্যরাতে দেশের ইতিহাসে জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি করে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয়ের কথা বললেও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তাহলে ৫০% দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? বিপিসি টানা ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এই ৪৩ হাজার কোটি টাকা কোথায়? এর হিসেব জনগণের কাছে দিতে হবে।

    দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে হতাশ করেছে। গণবিরোধী সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে পতন ঘটাতে হবে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার মুমুর্ষ ও অন্তিম অবস্থায়ও সত্য কথা বলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে পেট্টোল-অকটেন কিনতে হয় না। বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়, আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরই পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ানো হলো। দেশের নির্বাহী প্রধান হয়ে কিভাবে মিথ্যা কথা বলে, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি সরকারকে একটি নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান।

    স্বাধীনতার ৫১ বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। সবাই দুর্নীতিবাজ, চোর ও ডাকাত সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

    আরও বলেন, দক্ষ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক জনশক্তি ছাড়া দেশের স্থায়ী ও টেকশই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুতরাং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেকটা কর্মীকে দক্ষ ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।

    সভায় সাবেক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন।এবং সমাবেশ শেষে প্রতিষ্টাবার্ষিক উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলিয় পতাকা হাতে নিয়ে দলিয় সংগীত দিয়ে র‍্যালি করেন।

    সমাবেশ শেষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর মোনাজাত এর মাধ্যমে র‍্যালি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই-শায়খে চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশীদের বিপুল পরিমাণ টাকা প্রসঙ্গে প্রকৃত অবস্থা তুলে যে বক্তব্য দিয়েছেন এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, সুইস ব্যাংকে কারা দেশের টাকা পাচার করেছে, আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই। সুইস ব্যাংকসহ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে দুর্নীতিবাজরা যে দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এখন জনগণ জানতে চায়, এরা কারা। সরকার কেন তাদের পরিচয় ধামাচাপা দিতে চায়? তাহলে কি সরকার এই দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে জড়িত? তিনি সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের ব্যাখ্যা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, দুদককে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে কারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, দুদক তাদের দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুফতি ফয়জুল করীম সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড এর রেফারেন্সে বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। যা সচেতন মহলকে বিস্মিত করেছে।

    আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কার্যালয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

  • বাঁশখালী ওলামা পরিষদের নতুন কমিটি

    বাঁশখালী ওলামা পরিষদের নতুন কমিটি

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    বাঁশখালীর আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন “বাঁশখালী ওলামা পরিষদ” এর পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ওলামা পরিষদের সকল সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রমও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    আজ (৩০ জুন-২২) বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে সংগঠনের এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সংগঠনের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারী মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মাওলানা আনিসুর রহমান বিন আবু বকর, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, মুফতি হেলাল উদ্দিন,সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা সোহাইল মাহমুদ, মাওলানা ওসমান প্রমুখ।
    পরে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক, মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিলকে সদস্য সচিব, মাওলানা এজাজ চৌধুরী, মাওলানা আনিসুর রহমান,সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী ও মাওলানা আলহাজ্ব ইসমাইলকে যুগ্ম আহবায়ক, মাওলানা ইউনুস, ক্বারী আবদুল ওয়াহেদ, মাওলানা সোহাইল মাহমুদকে যুগ্ম সদস্য সচিব, মাওলানা মাহমুদুল ইসলামকে অর্থ সচিব, মাওলানা ওসমান গণিকে প্রচার সচিব এবং মাওলানা ওসমান পুকুরিয়া মাদরাসা, মাওলানা হাফেজ জসিম উদ্দীন প্রেমাশিয়া, মাওলানা ইউসুফ বিন সাঈদ, মাওলানা ওসমান কাসেমী, মাওলানা আবদুল মাজেদ সরল, মাওলানা আবদুল মালেক সরল বড় মাদরাসা, মুফতি হেলাল উদ্দিন মনকিচর মাদরাসা, মাওলানা ইসমাইল চাম্বল মাদরাসা, মাওলানা জুনাইদ পুঁইছড়ি, মাওলানা মনসুর ছনুয়া ও মাওলানা জসিম উদ্দীন ছনুয়াকে সদস্য করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
    সভায় আগামী ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বাঁশখালী গ্রীণ কমভেনশন সেন্টারে পটিয়া আল জামেয়ার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আবদুল হালিম বোখারী সাহেব হুজুর রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া দ্রুততম সময়ে বাঁশখালী ওলামা পরিষদের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ২৮ জুন মঙ্গলবার ভারতের আসাম রাজ্যের মেঘালয় সীমান্তবর্তী এলাকা সুনামগঞ্জের বাংলা বাজার, হরিনা পাটি ও গঙ্গারচর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ত্রাণ বিতরণ চলছে। তিনটি ইউনিয়ন পুরো এলাকা বন্যায় প্লাবিত। অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। অসহায়দের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

    এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ‘দূর্যোগ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ টিম’-এর নেতৃত্ব আছেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। ত্রাণ তৎপরতায় আজ উপস্থিত আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জেলা সদর মাওলানা নুরুল আমিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক, সুনামগঞ্জ বামুক সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জামাল গাজী সোহাগ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শরিফুল্লাহ মজুমদার, যুব আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নিজাম, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম হোসেন, সদর আন্দোলন সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান, যুবনেতা শাহীন খান প্রমুখ।