Category: ইসলামি রাজনৈতিক

  • ইসলামী আন্দোলন বাহারচরা ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামী আন্দোলন বাহারচরা ও বৈলছড়ি ইউনিয়নে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা আওতাধীন বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগ
    আজ ১লা অক্টোবর-২১ জুমাবার বাদে মাগরিব বাহারছড়া সোলতানীয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলমী আন্দোলন এর অঙ্গ ও সহযোগী সকল সংগঠন এর সাথে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
    যৌথ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন আইএবি বাহারছড়া ইউনিয়ন সভাপতি, মাওলানা তৈযব বিন মোখতার। মুরুব্বি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাহাছড়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ নুরুল কবির সাহেব।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ; মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সেক্রেটারী, মাওলানা জসিম উদ্দিন মিছবাহ, যুব আন্দোলন অর্থ সম্পাদক ; হাঃ মাওঃ তাওহীদুল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক ; মুহাম্মদ সরওয়ার হোসাইন তামিম।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা আওতাধীন বৈলছড়ি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে যৌথ মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাদে মাগরিব
    উক্ত সভায় সভাপতিত্বে করেন জোন জিম্মাদার মাওলানা ফয়জুল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা সভাপতি ; মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহ-সভাপতি ; মাওলানা মোজ্জাম্মেলুল হক সাহেব, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি, মাস্টার মিছবাহ উদ্দীন আরেফী, সাধারণ সম্পাদক ; মোবারক হোসাইন আসিফ, আমানুল্লাহ হাসান, উপজেলা সহ-অর্থ সম্পাদক, মাওলানা আব্দুল কাদের, যুব আন্দোলন উপজেলা সভাপতি ; মাওলানা হাসেম বিন কাদের, ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি প্রমুখ

    আন্দোলন বাহারছড়া ইউনিয়ন কমিটি

    সভাপতি ;- মাওলানা হারুন আল মসরুর
    সহ-সভাপতি ;- মাওঃ তৈয়ব বিন মোখতার
    সেক্রেটারী ;- মাওলানা গোলাম কিবরিয়া

    আন্দোলন বৈলছড়ী ইউনিয়ন কমিটি

    সভাপতি ; মাওলানা আব্দুল্লাহ
    সহ-সভাপতি ; মাওলানা হানিফ সাহেব
    সেক্রেটারী ; মাওলানা ইব্রাহীম সাহেব।

  • জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

    জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২১) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী চত্বরে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে

    বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল আলিম,জেলা আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আরিফ উদ্দিন,
    জেলা সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী,মাওলানা এস এম ফয়জুল্লাহ সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা,মোহাম্মদ মারুফুর রহমান সহ-সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীনসহ প্রমুখ।

    মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান।

    জেলা সেক্রেটারি এইচ এম রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।

  • ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে পথশিশুদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত

    ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে পথশিশুদের মাঝে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ইসলাম-ই কার্যকর পন্থা”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর গৌরবময় পথচলার ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে অদ্য ২৩ আগস্ট’২১ রোজ সোমবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে নগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান এর সঞ্চালনায় পথশিশুদের জন্য শিক্ষা আসর ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    শিক্ষা আসরে পথশিশুদেরকে কুরআন ও ইসলামী বুনিয়াদি শিক্ষা এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করানো হয়। পাশাপাশি তাদেরকে নামাজ পড়া, সদা সৎপথে চলা, সত্য বলার প্রতি উদ্দীপ্ত করানো হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সংগ্রামী সভাপতি মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ৮০ দশকের মধ্যভাগ থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে দেশে নেমে আসে বিভীষিকাময় অধ্যায়। দেশের ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বার্থান্বেষী মহল। ছাত্রদেরকে দিয়ে ঘটানো হয় খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড। ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাত্রদের। তখন তাদের উন্নত চরিত্র গঠন, লেখাপড়ার মনোযোগ ও শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেই গুরুত্বকে উপলব্ধি করেই ৯০ দশকের প্রথমেই ১৯৮১ সালের ২৩ শে আগস্ট তৎকালীন প্রখ্যাত সুফি সাধক ও রাজনীতিবিদ মরহুম মাওলানা ফজলুল করীম রহঃ (পীর সাহেব চরমোনাই) প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নামের একটি ছাত্র সংগঠন। যা ১৯৯১ থেকে ধারাবাহিকভাবে আজও দেশের আপামর সাধারণের কল্যাণ ও ছাত্রদের অধিকার আদায়ে দলমত নির্বিশেষে পরিচালিত হচ্ছে।
    তিনি পথশিশুদের ইশা ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হয়ে তাদেরকে উন্নত জীবন গঠনের প্রতি আহবান করেন।

    শিক্ষা আসর শেষে পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক শাজাহান হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ সহ থানা নেতৃবৃন্দ মুহাম্মদ রিমন ও মুহাম্মদ মুজাহিদ।

  • পরিবেশ দূষণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রভাব রয়েছে -পীর সাহেব চরমোনাই

    পরিবেশ দূষণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রভাব রয়েছে -পীর সাহেব চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলশ্রুতিতে পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষিত হচ্ছে। লাগামহীন ক্ষমতার প্রভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী-নালা অবৈধভাবে ভরাট করছে, বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে, অবৈধ বালু উত্তোলন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। আর এই সকল কাজের উৎস রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।

    আজ ২৮ জুলাই ইসলামী যুব আন্দোলন-এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে ১লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে চরমোনাই জামিয়া ক্যাম্পাসে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বিশ্বের পরাশক্তি গুলো পারমাণবিক শক্তি তৈরি ও এর মহড়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক গ্যাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছে, এবং অতি যান্ত্রিকতার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়েই চলছে। আর এর ফল বহন করতে হচ্ছে সারা বিশ্বকে। তাই তিনি পরিবেশ দূষণকারী গ্যাস নির্গমণ কমিয়ে আনার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
    বৃক্ষরোপণ উদ্বোধনকালে তিনি আরো বলেন, সুজলা সুফলা ছয় ঋতুর এই দেশ, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার অনেক বড় একটি নিয়ামত। তাই এই নেয়ামতকে রক্ষার জন্য এবাদত এর অংশ হিসাবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সাধ্য অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় যুবকল্যান ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মাওলানা ইউনুছ তালুকদার, বরিশাল মহানগর সভাপতি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • আদর্শ ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে -ইশা ছাত্র আন্দোলন লোহাগাড়া

    আদর্শ ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে -ইশা ছাত্র আন্দোলন লোহাগাড়া

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ ৩ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার হোটেল ওআইসি মিলানায়তনে ইশা ছাত্র আন্দোলন লোহাগাড়া শাখার ব্যবস্থাপনায় শাখা সহ-সভাপতি জুনাইদ হাসান মিরাজের সভাপতিত্বে “সদস্য সভা” অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলা (দক্ষিণ) এর সভাপতি কাজী আবরার হানিফ মারুফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক এম. জুনাইদুল হক, জেলা অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরফাত হোসাইন।

    এতে প্রধান অতিথি দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন।

  • অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য- ইসলামী আন্দোলন

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য- ইসলামী আন্দোলন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পেনডামিক সিটিউশনের অজুহাতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যার কারণে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে একটি পঙ্গু প্রজন্ম গড়ে উঠছে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার, পাবজি ও মাদকসহ নানান অবক্ষয়মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে শহরের ব্যস্ততম সড়ক লালদিঘির পাড়ে ৩ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপর্যুক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

    নেতৃবৃন্দ বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত। দেশের অধিকাংশ শিক্ষক সমাজ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত। বিশেষ করে ক্বাওমী মাদ্রাসা, নন এমপিও শিক্ষক, কিন্ডার গার্ডেন এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পর্যন্ত আজকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শিক্ষকদের সংসার নির্বাহ করার জন্য অনেক শিক্ষক নানান কাজে এমনকি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে পর্যন্ত নেমে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। দীর্ঘকাল যাবৎ এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। তাই অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

    মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “except Israel” শব্দ দুটি বাদ দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান এবং পুনরায় এ শব্দ দুটি পাসপোর্টে সংযোজন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী করেন। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ যে সমস্ত নিরপরাধ আলেম-ওলামা, ছাত্র ও সাধারণ জনসাধারণ গ্রেফতারের মাধ্যমে জেলখানায় বন্দি আছে তাদের মুক্তি দাবি করেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা এআরএম ফরিদুল আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ইসমাইল জাফর, পৌর সেক্রেটারি মাওলানা কামাল উদ্দিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, বামুকের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ শফিউল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা তকি উদ্দিন।

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার মানববন্ধনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব নুরুল আমিন, নায়েবে ছদর আলহাজ্ব বদিউল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাকটার, ইসলামী আন্দোলনের জেলা প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, আন্দোলনের জেলা কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুর রউফ লাভলু, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কায়সারসহ ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • বিপর্যয়ের হাত থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

    বিপর্যয়ের হাত থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুন ২১) সকাল ১১ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে লাগাতার ১৬ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাস্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। মহামারীর পরও গণপরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টস মার্কেটসহ সবকিছুই খোলা রয়েছে, কিন্তু একই অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বিচারিতা এবং চরম অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা মনে করি করোনা একটা মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।

    তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের কোন চাপ নেই’ তার এ বক্তব্যে প্রমাণ করে দেশের সাধারণ মানুষের সাথে মন্ত্রীদের কোন সম্পর্ক নেই। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতেই সরকার সুদূরপ্রসারি ষড়যন্ত্রেলিপ্ত।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর উদ্দ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, শায়খুল হাদিস আল্লামা ফরিদ আহমদ আনসারী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ রেজাউল করিম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সানা উল্যাহ নূরী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি দিদারুল মাওলা, ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ছাত্র নেতা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, শ্রমিক নেতা নোয়াব মিয়া প্রমুখ ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    বক্তারা আরো বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে, জনগণের কোন চিন্তা তারা করছে না। রাতের আধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ মোঃ আল ইকবাল, রেদওয়ানুল হক শামসী, তরিকুল ইসলাম, মোহাম্মাদুর হাসান চৌধুরী, ইয়াসির আরাফাত, উত্তর জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস শাকুর হাম্মাদ প্রমুখ।

  • কাঠালবাড়ীতে স্পিডবোট ডুবিতে ২৭জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ-পীর সাহেব চরমোনাই

    কাঠালবাড়ীতে স্পিডবোট ডুবিতে ২৭জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ-পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম।

     

    স্পিডবোট ও বালুর জাহাজ সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিতে হবে
    -মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই

    কাঠালবাড়িতে স্পিডবোট ও নোঙ্গর করা বালুভর্তি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ২৭ জন মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে মাওয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি কাঠালবাড়ীতে বালুভর্তি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে এমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মাহে রমজানের শেষপ্রান্তে এমন ঘটনায় নিহতদের পরিবারে যাদের কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের কারণে বার বার একই ঘটনা ঘটলেও ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় দোষীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। পীর সাহেব বলেন, মাওয়া ঘাটসহ দেশের সকল নদীবন্দরের স্পিডবোট এবং সকল নৌযান চলাচলে সরকারী বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে পরিচালনার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে জবাবদিহিতামূলক প্রত্যেক যানের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

  • চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।।গাজী আতাউর রহমান

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কিছুদিন ধরে একটি অনাকাঙ্খিত বিষয় লক্ষ করছি; একটি বিশেষ মহল সংঘবদ্ধভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এর শীর্ষ নেতৃত্ত্ব- পীর সাহেব চরমোনাই, শায়খে চরমোনাই এমনকি মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর বিরুদ্ধেও নগ্নভাবে ঝাপিয়ে পড়েছে।
    এমনকি তাদের জঘন্ন আক্রমন থেকে বাদ যাচ্ছেন না পীর সাহেবের অন্যান্য ভাইগণও।
    বিশেষ এই মহলটি এমন এমন মিথ্যাচারও ছড়াচ্ছে, যা কোন মুসলমানতো দূরের কথা সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
    কোন একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা হতেই পারে। রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনাও দোষনীয় নয়। আমরা যে কোন গঠনমূলক সমালোচনাকে অবশ্যই শ্রদ্ধা এবং মূল্যায়ন করি। একটি রাজনৈতিক দল গতিশীল এবং ইফেক্টিভ হয় গঠনমূলক সমালোচনার মধ্যদিয়ে।
    কোন রাজনৈতিক দলের এবং কোন জাতীয় নেতার সমালোচনা না হলে, বুঝতে হবে, জনগণের মধ্য থেকে তারা হারিয়ে গেছে।
    অতএব, আমরা প্রত্যাশাই করি, আমাদের দল এবং আমাদের নেতৃত্বের বেশি বেশি গঠনমূলক সমালোচনা হোক। কিন্তু সম্প্রতি একটি শ্রেণী অনলাইনে চরম মিথ্যাচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যা খুবই দূঃখজনক।
    তারা কেন, কী উদ্দেশ্যে এহেন মিথ্যাচার ছড়িয়ে অনলাইনে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

    আমরা আরো একটি আপত্তিকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, মহল বিশেষের মিথ্যাচার এবং পরিকল্পিত উস্কানির জবাব দিতে গিয়ে অনেকেই আমাদের হীতাকাঙ্খী বা অনুসারী সেজে, বিভিন্ন রকম আপত্তিকর ও উত্তেজনাকর শব্দ প্রয়োগ করছে।
    আবার কেউ কেউ কোন ব্যাক্তির আক্রমনাত্ত্বক ও উস্কানীমূলক বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে, কোন বিশেষ সংগঠনের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
    এসব অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা কোন সংগঠনের জন্যেই কল্যাণকর নয়। ভোগবাদী সেক্যুলার দলগুলোর কথা বাদ দিলে সকল ইসলামী সংগঠনেই ভদ্রতা ও সৌজন্যতাবোধ শিক্ষা দেয়া হয়।
    অতএব, সকল পক্ষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, কোন ইসলামী সংগঠনের বা ব্যাক্তির সত্যিকারের হীতাকাঙ্খী কেউ মিথ্যাচার, অভদ্রতা ও অসৌজন্যতা প্রকাশ করবেন না। ব্যক্তির উস্কানীর দায় কোন সংগঠনকে দিবেন না।

    আরো একটি বেদনাদায়ক বিষয় আজকে উল্লেখ করছি; কারো নাম বা উপাধী বিকৃত করা ইসলামী শরিয়তে গুনাহের কাজ। দূঃখজনক বিষয় হলো, এই গুনাহের কাজে অনেক ইসলামী সংগঠনের কর্মী সমর্থক এমনকি কিছু অবিবেচক আলেমও ব্যাপকভাবে লিপ্ত হয়ে গেছেন।
    চরমোনাই একটি জায়গার নাম হলেও এটি বিগত পৌনে একশত বছর যাবৎ ‘পীর সাহেব চরমোনাই’ নামে শুধু বাংলা দেশে নয়, বিশ্বময় একটি পবিত্র উপাধী হিসাবে কোটি কোটি মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা এবং ভক্তির জায়গা দখল করে আছে।
    কারো কাছে চরমোনাই ভালো নাও লাগতে পারে; তাই বলে চরমোনাইকে বিকৃত করে উপহাস করার অধিকার কারো নেই।
    কিন্তু আমরা বহুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কিছু বিকৃত মানসিকতার নিচু শ্রেণীর মানুষ অনলাইনে ‘চরমোনাই’ শব্দটিকে বিকৃত করে নোংরা আনন্দ অনুভব করে।
    এই অভদ্র মানুষগুলোকে বোঝা উচিৎ, তাদের বিকৃত উল্লাশে লাখো মানুষের অন্তরে রক্তক্ষরণ হয়।
    অতএব, যারা চরমোনাইকে বিকৃতভাবে উপস্হাপন করে এতোদিন গুনাহের কাজ করেছেন, আশা করি তারা তওবা করে এহেন অন্যায় কাজ থেকে ফিরে আসবেন।
    পরিশেষে সবাইকে বলবো, আমরা সকলের কল্যাণ চাই।
    দলের ভিন্নতা, মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু
    আমরা সবাই দেশটাকে ভালবাসি। একজন মুসলমান হিসাবে আমরা ইসলামের আদর্শের আলোকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। মানুষের মুক্তির জন্যে সত্যিকারের ইসলামী ঔক্য ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্খার বিষয়। সেই কাঙ্খিত ঐক্যের জন্যেই ইসলামী আন্দোন বাংলাদেশ বিগত ৩৪ বছর ধরে প্রহর গুণছে।

    যুগ্ম-মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে-পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আলেম-ওলামাদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেম ওলামাদের গ্রেফতার ও হয়রানীর কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুহুর্তে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠছে এবং সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত; এহেন পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাদের অযথা হয়রানী নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

    তিনি বলেন, দেশে মাদরাসা শিক্ষকসহ আলেম-ওলামাদের গণহারে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। পবিত্র রমাযানের শুরুতেই দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশে শত শত নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকোনো ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবাদ করা দেশের আলেম-ওলামার নৈতিক দায়িত্ব। তাদের এই নৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধাদান ও তাদেরকে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায় না। তিনি আলেম ও মাদরাসা শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের কোনো শ্রেণিপেশার মানুষই আজ নিরাপদ নয়। বাঁশখালীতে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং পবিত্র রমজানের ইফতার, সাহরি ও তারাবিহ ঠিক রেখে কর্মঘণ্টা নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকরা। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলি চালাতে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। পবিত্র রমজানে এমন হতাহতের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।