Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • নির্বাচন কমিশনে স্বারকলিপি প্রদান নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, সংশোধিত আরপিও কার্যকর করা ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতেই হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    নির্বাচন কমিশনে স্বারকলিপি প্রদান নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, সংশোধিত আরপিও কার্যকর করা ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতেই হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    #উখিয়াভয়েস24.ডটকম

    পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ৫ম ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার আগারগাঁও এ নির্বাচন কমিশন অফিসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। স্বারকলিপিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশংসা করা হয়। নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে- গণভোট ব্যতীত জুলাই জাতীয় সনদ আইনগত টেকসই ভিত্তি পাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। পিআরের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল রোধ, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। সংশোধিত আরপিও-র পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনী অনুমোদন করেছে। আমরা লক্ষ্য করছি সরকার কর্তৃক সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য একটি রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে। আমরা মনে করি এ দাবি কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

    দলের রাজনৈতিক অবস্থান উল্লেখ করে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আগামী নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠান ও ফেব্রুয়ারি ২০২৬ এ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদসহ সচেতন নাগরিকসমাজ আন্তরিক সমর্থন জানিয়েছে। দেশের সাধরণ জনগণও এসব দাবির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর এসব যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত গণদাবি নির্বাচন কমিশন মেনে নিবেন এবং গণ-মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় গতিপথ নির্বারণ করবেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত স্বারকলিপিপূর্ব জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমূখ

  • ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে তৃণমূলে নেতৃত্ব দিতে হবে চেয়ারম্যানদের- অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

    ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে তৃণমূলে নেতৃত্ব দিতে হবে চেয়ারম্যানদের- অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

    #উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

    ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে তৃণমূলে নেতৃত্ব দিতে হবে চেয়ারম্যানদের- অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, তৃণমূলের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন হয়ে উঠলে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। ইউনিয়ন পরিষদ দেশের সর্বপ্রান্তিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। ব্যক্তি পর্যায়ে রাষ্ট্রের সেবা পৌছে দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। নাগরিকের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক, দেনা-পাওয়া, অধিকার এবং ভোটের মাধ্যমে যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সংরক্ষণ করার বিষয়গুলোতে যদি চেয়ারম্যানগণ তৃণমূলের নাগরিকদের সচেতন করে তোলেন তাহলে কারো সাধ্য নাই বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করার। তাই আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পরিষদকে গুরু দায়িত্ব বহন করতে হবে। অদ্য ২৭ অক্টোবর, সোমবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি, বরিশাল সদরের জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি এখনো নির্ধারিত হয় নাই। যে সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ে ছাত্র জনতা রক্ত দিলো সেই সংস্কারের বিষয়ে আদতে কিছুই করা যায় নাই। এটাই জনমনে হতাশা তৈরি করছে।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আপনারা যারা হাতপাখা প্রতিকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। রাষ্ট্র অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি ইসলামের সুমহান আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাদের। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে। হজরত উমর রাদি. এর তাকওয়া নিয়ে কাজ পরিচালনা করতে হবে। চেয়ারম্যান পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, সহ দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ চেয়ারম্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

  • মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    মুলাদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত।

    #উখিয়া ভয়েস২৪.ডটকম

    আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলার আওতাধীন মুলাদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ও বরিশাল জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ বরকত, বরিশাল জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, বরিশাল জেলা ইমাম সমিতির সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুলাদী উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব এফএম মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম জিহাদীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

  • পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে; শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    পিআর পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে; শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    #UkhiyaVoice24.Com

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন “শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বর্তমানে দেশে ইসলামকে ক্ষমতায় আনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে— সেই সুযোগ কাজে লাগাতে PR (Proportional Representation) পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা জরুরি।”

    অদ্য ১০ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন “দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই PR পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে। বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক (First Past The Post) নির্বাচনী পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে বৈষম্য, অস্থিরতা ও অন্যায় প্রভাব বিস্তার পায়। শ্রমিকরাও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে, আর মালিকরা আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়।” পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, “জনগণের ভোটের অনুপাতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন বণ্টনই গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি। এতে ভোটের মূল্য সংরক্ষিত থাকবে, ছোট ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।” এসময় তিনি আরও বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই PR পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখন সময় এসেছে এই দাবিকে জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্মে রূপ দেওয়ার। নির্বাচনী সংস্কারের অংশ হিসেবে অবিলম্বে PR পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, প্রতিনিধিত্বশীল, শান্তিপূর্ণ ও শ্রমিকবান্ধব রাজনৈতিক সংস্কৃতি চাই। সেই পথের একমাত্র সমাধান হলো PR ভিত্তিক নির্বাচন।” সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)। তিনি বলেন, “ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া কখনোই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায় যেখানে মানুষ ও কুকুর খাদ্যের জন্য লড়াই করবে না, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব থাকবে না, সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।”

    সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসাইন, যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক-
    মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক
    ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।
    01821541630

  • দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    #ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে আজ আমাদের দেখতে হচ্ছে, কমপক্ষে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেক মানুষ এমন আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন যে অসুস্থতা বা অন্য কোনো সংকটে তাঁরা গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর চেয়ে হতাশাজনক বিষয় আর কি হতে পারে? দারিদ্র্যতার এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে শুধু জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। ২৬ আগস্ট,২০২৫ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বিগত পনের বছরে আমরা উন্নয়নের নানা রকম গল্প শুনেছি। আদতে সেগুলো ছিলো মিথ্যার ফুলঝুড়ি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আশা ছিলো অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু অতিতের দীর্ঘ সময়ের সঞ্চিত অব্যবস্থাপনা এবং নতুন করে সৃষ্ট চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশে নতুন বিনিয়োগ প্রায় থমকে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতি নমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখন থেকেই জোড়ালো ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দারিদ্র্যের হার যে কোন মূল্যে শুন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে হবে।

    বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য আপত্তিজনক। বারংবার “পিআর সংবিধানে নাই” বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করতে চাইছেন কিনা সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এবং কথা কথায় সংবিধানের দোহা্ই দেয়া আমাদেরকে পতিত স্বৈরাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে থেকে আরো সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচারণ আশা করি। সাপ্তাহিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, ডা. শহিদুল ইসলাম।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাজনীতি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি, নির্বাচন, সংস্কার, নাগরিক অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৫/বি পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে সহনীয় করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। মতবিনিময় সভায় আগামীর বাংলাদেশে নির্মাণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভাবনা ও তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। একই সাথে সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের নীতিগত অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পলিটিক্যাল অফিসার জেমস স্টুয়ার্ট, পলিটিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিরোজ আহমেদ ও পলিটিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ইকবাল মাহমুদ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নূর আজিজী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খায়রুল আহসান মারজান, মুহাম্মাদ রাজন শিকদার।

  • ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    নিউজ ডেস্ক।

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিক্রিয়া-অবস্থান নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
    পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রেস ব্রিফিং অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রি: বুধবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় আইএবি মিলনায়তন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০)

    নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল পাঁচ আগস্ট অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন এবং সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণ আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ গভীর পর্যাবেক্ষণ করেছে এবং তারই ভিত্তিতে আজকে দলের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এই সংবাদ ব্রিফিং আহবান করা হয়েছে। আপনারা আমাদের আহবানে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ৪৭ ও ৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের প্রথম পর্যাবেক্ষণ হলো, ঘোষণার আগে এটা আমরা দেখি নাই। জাতির এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল উপস্থাপনার আগে থেকে না জেনে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন জানাতে হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিলো। তারপরেও প্রত্যাশিত দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পঠিত হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭১, ৭৫ এর সাত নভেম্বর ও ৯০ এর আন্দোলন সহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় ৪৭ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড শাপলা হত্যাকান্ড, পিলখানা হত্যাকান্ড ও আলেম-উলামাদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন ধারায় হাসিনা ও আওয়ামী অপকর্মের উল্লেখ আছে। ১৭ তম ধারায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোথায়ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাজনৈতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির উল্লেখ নাই। ইসলামী আন্দোলন মনে করে এটা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দেবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের ধারা ১৯ এ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগের রাজনৈতিক ও আইনী বৈধতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করা হলেও ধারা ২৫ এ জনতা ও তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরবর্তী জাতীয় সংসদের ওপরে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে ধারা ২৭ এ জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে “উপযুক্ত” শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আপেক্ষিক করে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত করে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ সুলিখিত এবং তার পাঠ আবেগ মিশ্রিত। ভাষণে সরকারের নানা সাফল্যের কথা এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি-২৬ এ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। এখানে আমাদের পর্যাবেক্ষণ হলো, জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদেরকে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। তিনিও বারংবার বলছেন, ফেব্রুয়ারি দুরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত জুলাই সনদ এখনো হয় নি। সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে এখনতক সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনীভিত্তি তৈরী করতে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের পরে পিআরের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন হয়েছে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা বারংবার উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি, লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিৎ ছিলো পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্যেও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোন এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

    অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পিআর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করা জনদাবীর প্রতি স্পষ্টত উপেক্ষা করা। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই জনদাবীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবেন না। একই সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, অতিদ্রুত পিআর নিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করে আলোচনা শুরু করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ কিভাবে হবে এবং উচ্চকক্ষের ক্ষমতা, কার্যপরিধি ও মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই। নির্বাচনের আগে এইসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা স্বরণীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। তার ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা, সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউ-ই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে তেমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃংখলা উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলংকিত হতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাই বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জনপ্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টের অবশিষ্টাংশের ব্যাপারে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। দল নিরপেক্ষ পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যক্রম জোড়ালো করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ফ্যাসিস্টের বিচারের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এর মাত্রা, ব্যাপকতা ও গতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেটা জানিয়ে বিচার কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তুৃত করে এর গতি বৃদ্ধি করার আহবান জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন। তবে আইন-শৃংখলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কর্মসংস্থানে আশাজাগানিয়া কিছু এখনো দেখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনতার কষ্ট এখনো বিদ্যমান। এসব বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান করবো।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিবাচক রাজনীতি করে। আমরা সবসময় সম্ভবনাকে বড় করে দেখি। আমরা নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিও চলমান। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। পিআর নিয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধমে প্রত্যাশামাফিক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই অভ্যুত্থান স্বার্থকতা পাবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই) আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামিক রাজনৈতিক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। এবং বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নির্বাহী সভাপতি মেজর আমীন আহমেদ আফসারী। আলোচনা সভায় মৌলিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্য, সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বনির্ভরতা নিয়ে আলোচনা হয়। এবং পিআর ও সংস্কার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতামূলক কর্মসূচিতেতে ঐক্যমত থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংস্কার জোটের মূখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, বাংলাদেশ নতুনধারা জনতা পার্টির আহবায়ক মুহাম্মাদ আব্দুল আহাদ নুর, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির লায়ন মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের জিলানী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম এবং দলের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

  • ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    #UkhiyaVoice24.Com

    পিআর পদ্ধতির জন্য লড়াইয়ের সাথে সাথে মানুষের ভোটের সম্মান নিশ্চিত করতে আসনভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি: সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৫৫/বি, পুরানা পল্টন-৩য় তলা) ঢাকা, চট্রগ্রাম. বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনের প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্ধারিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষমতায় জনগণের ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে বদ্ধপরিকর। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। একই সাথে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। কারণ, আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ওয়াকআউট করার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, শাসন বিভাগ জনতার অনুমোদিত আইনের বলে ক্ষমতায়িত হয় এবং সেই আইনের জন্য জনতার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অতিতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, জনতার কাছে দায়বদ্ধতা এড়াতে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। সেজন্যই নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায় ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এখন ডেলিগেশন অফ পাওয়ার বা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ একটি বহুল চর্চিত সুশাসন নির্দেশক। সুশাসন প্রতিষ্ঠার এমন পরীক্ষিত ও বহুল চর্চিত নীতির ক্ষেত্রে বিএনপির অনিহা আমাদেরকে শংকিত করে। আমরা আশা করবো ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণে বিএনপি ঐকমত্য কমিশনকে সহায়তা করবে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি আসন থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাথে নির্বাচনী কৌশল, সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউুনস আহমদ বলেন, আমাদের আমীরের ঘোষিত “একবাক্সে ভোট”নীতি নিয়ে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আমরা আমাদের মতো করে কাজ গোছানোর জন্য প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারা প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের আগে জাতীয় স্বার্থে কোন দলকে কোন আসন ছেড়ে দিতে হলে নির্দ্বিধায় আমরা তা করবো। ফলে আসন ভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার সাথে ‘একবাক্সে ভোট’ নীতির কোন অসামঞ্জস্যতা নাই।

  • চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    ঐক্য ও ইসলামি রাজনীতি

    অদ্য ২৫ জুলাই,২০২৫, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের প্রধান ইসলামী সংগঠনসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিশেষ সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য আলোচনা অব্যাহত রাখা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন চার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।