Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    দারিদ্র্যের হার ২৮% হওয়া উদ্বেগজনক; চাঁদাবাজী নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথে প্রধান অন্তরায়- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    #ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে আজ আমাদের দেখতে হচ্ছে, কমপক্ষে পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেক মানুষ এমন আর্থিক অবস্থায় রয়েছেন যে অসুস্থতা বা অন্য কোনো সংকটে তাঁরা গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর চেয়ে হতাশাজনক বিষয় আর কি হতে পারে? দারিদ্র্যতার এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে শুধু জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ওপর আলোচনাটা সীমাবদ্ধ না রেখে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিকের কল্যাণ নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। ২৬ আগস্ট,২০২৫ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বিগত পনের বছরে আমরা উন্নয়নের নানা রকম গল্প শুনেছি। আদতে সেগুলো ছিলো মিথ্যার ফুলঝুড়ি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আশা ছিলো অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু অতিতের দীর্ঘ সময়ের সঞ্চিত অব্যবস্থাপনা এবং নতুন করে সৃষ্ট চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশে নতুন বিনিয়োগ প্রায় থমকে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতি নমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখন থেকেই জোড়ালো ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দারিদ্র্যের হার যে কোন মূল্যে শুন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে হবে।

    বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য আপত্তিজনক। বারংবার “পিআর সংবিধানে নাই” বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করতে চাইছেন কিনা সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এবং কথা কথায় সংবিধানের দোহা্ই দেয়া আমাদেরকে পতিত স্বৈরাচারের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে থেকে আরো সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচারণ আশা করি। সাপ্তাহিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হোসাইন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, ডা. শহিদুল ইসলাম।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী রাজনীতি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি, নির্বাচন, সংস্কার, নাগরিক অধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৫/বি পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে সহনীয় করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। মতবিনিময় সভায় আগামীর বাংলাদেশে নির্মাণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভাবনা ও তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। একই সাথে সংস্কার কমিশনে ইসলামী আন্দোলনের নীতিগত অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, পলিটিক্যাল অফিসার জেমস স্টুয়ার্ট, পলিটিক্যাল স্পেশালিষ্ট ফিরোজ আহমেদ ও পলিটিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ইকবাল মাহমুদ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নূর আজিজী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খায়রুল আহসান মারজান, মুহাম্মাদ রাজন শিকদার।

  • ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিক্রিয়া

    নিউজ ডেস্ক।

    ৫ আগষ্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পত্র’ এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিক্রিয়া-অবস্থান নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম
    পীর সাহেব চরমোনাই’র প্রেস ব্রিফিং অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২৫ খ্রি: বুধবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় আইএবি মিলনায়তন, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০)

    নাহমাদুহু ওয়ানু সল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল পাঁচ আগস্ট অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন এবং সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণ আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই ঘোষণাপত্র এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ গভীর পর্যাবেক্ষণ করেছে এবং তারই ভিত্তিতে আজকে দলের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য এই সংবাদ ব্রিফিং আহবান করা হয়েছে। আপনারা আমাদের আহবানে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৮৫৭ সাল থেকে শুরু করে ৪৭ ও ৭১ এর সকল যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের প্রথম পর্যাবেক্ষণ হলো, ঘোষণার আগে এটা আমরা দেখি নাই। জাতির এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল উপস্থাপনার আগে থেকে না জেনে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন জানাতে হয়েছে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর ছিলো। তারপরেও প্রত্যাশিত দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র পঠিত হয়েছে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭১, ৭৫ এর সাত নভেম্বর ও ৯০ এর আন্দোলন সহ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করা হলেও আমাদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায় ৪৭ এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড শাপলা হত্যাকান্ড, পিলখানা হত্যাকান্ড ও আলেম-উলামাদের প্রতি নির্যাতন-নিপীড়নের কথা উল্লেখ না করে ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এতে ইতিহাসের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন ধারায় হাসিনা ও আওয়ামী অপকর্মের উল্লেখ আছে। ১৭ তম ধারায় জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের উল্লেখ আছে। কিন্তু কোথায়ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাজনৈতিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির উল্লেখ নাই। ইসলামী আন্দোলন মনে করে এটা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ খুলে দেবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! ঘোষণাপত্রের ধারা ১৯ এ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগের রাজনৈতিক ও আইনী বৈধতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করা হলেও ধারা ২৫ এ জনতা ও তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে পরবর্তী জাতীয় সংসদের ওপরে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে ধারা ২৭ এ জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে “উপযুক্ত” শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে আপেক্ষিক করে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত করে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তার ভাষণ সুলিখিত এবং তার পাঠ আবেগ মিশ্রিত। ভাষণে সরকারের নানা সাফল্যের কথা এসেছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি-২৬ এ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা এসেছে। এখানে আমাদের পর্যাবেক্ষণ হলো, জুলাই সনদ এখনো না হওয়া আমাদেরকে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তায় নিক্ষেপ করেছে। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হয়েছে। তিনিও বারংবার বলছেন, ফেব্রুয়ারি দুরে নয়। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত জুলাই সনদ এখনো হয় নি। সংস্কারের রুপরেখা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাই। জনতার প্রত্যাশা অনুসারে সংস্কারকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা না নিয়ে এখনতক সংস্কারকে পরবর্তী সরকারের ওপরে ন্যাস্ত রেখে পুরো সংস্কার কার্যক্রমকে অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনীভিত্তি তৈরী করতে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ!

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের পরে পিআরের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন হয়েছে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা বারংবার উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কার কমিশনে কথা বলেছি, লিখিত জানিয়েছি। এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিৎ ছিলো পিআর নিয়ে সংস্কার কমিশনে এজেন্ডা রাখা। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনে আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্যেও নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোন এজেন্ডাই রাখা হয় নাই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

    অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পিআর নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাস নির্ধারণ করা জনদাবীর প্রতি স্পষ্টত উপেক্ষা করা। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এই জনদাবীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবেন না। একই সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহবান জানাবো, অতিদ্রুত পিআর নিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করে আলোচনা শুরু করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ কিভাবে হবে এবং উচ্চকক্ষের ক্ষমতা, কার্যপরিধি ও মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত হয় নাই। নির্বাচনের আগে এইসব বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হতে হবে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা স্বরণীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। তার ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা, সক্রিয়তা নিয়ে দেশের কেউ-ই আশ্বস্ত হতে পারছে না। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এর সমাধান হবে তেমন আশা করার যৌক্তিক কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, দেশের আইন-শৃংখলা উন্নতি না হলে আগামী নির্বাচনও কলংকিত হতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাই বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জনপ্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টের অবশিষ্টাংশের ব্যাপারে দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। দল নিরপেক্ষ পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে কার্যক্রম জোড়ালো করুন। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ফ্যাসিস্টের বিচারের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে এর মাত্রা, ব্যাপকতা ও গতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেটা জানিয়ে বিচার কার্যক্রমের পরিধি আরো বিস্তুৃত করে এর গতি বৃদ্ধি করার আহবান জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ! প্রধান উপদেষ্টা অনেক সাফল্যের কথা বলেছেন। তবে আইন-শৃংখলা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কর্মসংস্থানে আশাজাগানিয়া কিছু এখনো দেখা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনতার কষ্ট এখনো বিদ্যমান। এসব বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান করবো।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিবাচক রাজনীতি করে। আমরা সবসময় সম্ভবনাকে বড় করে দেখি। আমরা নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতিও চলমান। আমরা আশা করি, সরকার আমাদের উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। পিআর নিয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান হবে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধমে প্রত্যাশামাফিক আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই অভ্যুত্থান স্বার্থকতা পাবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই) আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামিক রাজনৈতিক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। এবং বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির নির্বাহী সভাপতি মেজর আমীন আহমেদ আফসারী। আলোচনা সভায় মৌলিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্য, সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বনির্ভরতা নিয়ে আলোচনা হয়। এবং পিআর ও সংস্কার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতামূলক কর্মসূচিতেতে ঐক্যমত থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংস্কার জোটের মূখ্য সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, বাংলাদেশ নতুনধারা জনতা পার্টির আহবায়ক মুহাম্মাদ আব্দুল আহাদ নুর, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির লায়ন মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের জিলানী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্মমহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম এবং দলের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

  • ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ- অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

    #UkhiyaVoice24.Com

    পিআর পদ্ধতির জন্য লড়াইয়ের সাথে সাথে মানুষের ভোটের সম্মান নিশ্চিত করতে আসনভিত্তিক নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ২৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি: সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (৫৫/বি, পুরানা পল্টন-৩য় তলা) ঢাকা, চট্রগ্রাম. বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনের প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্ধারিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষমতায় জনগণের ভোটের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে বদ্ধপরিকর। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। একই সাথে প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। কারণ, আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ওয়াকআউট করার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, শাসন বিভাগ জনতার অনুমোদিত আইনের বলে ক্ষমতায়িত হয় এবং সেই আইনের জন্য জনতার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অতিতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, জনতার কাছে দায়বদ্ধতা এড়াতে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। সেজন্যই নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতায় ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এখন ডেলিগেশন অফ পাওয়ার বা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ একটি বহুল চর্চিত সুশাসন নির্দেশক। সুশাসন প্রতিষ্ঠার এমন পরীক্ষিত ও বহুল চর্চিত নীতির ক্ষেত্রে বিএনপির অনিহা আমাদেরকে শংকিত করে। আমরা আশা করবো ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণে বিএনপি ঐকমত্য কমিশনকে সহায়তা করবে। সাক্ষাৎকারে প্রতিটি আসন থেকে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সাথে নির্বাচনী কৌশল, সম্ভাব্যতা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। দলের মহাসচিব মাওলানা ইউুনস আহমদ বলেন, আমাদের আমীরের ঘোষিত “একবাক্সে ভোট”নীতি নিয়ে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। আমরা আমাদের মতো করে কাজ গোছানোর জন্য প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারা প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের আগে জাতীয় স্বার্থে কোন দলকে কোন আসন ছেড়ে দিতে হলে নির্দ্বিধায় আমরা তা করবো। ফলে আসন ভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার সাথে ‘একবাক্সে ভোট’ নীতির কোন অসামঞ্জস্যতা নাই।

  • চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    চার ইসলামী দলের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো দৃঢ় ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত

    ঐক্য ও ইসলামি রাজনীতি

    অদ্য ২৫ জুলাই,২০২৫, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের প্রধান ইসলামী সংগঠনসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিশেষ সভায় মিলিত হন। সভায় ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য আলোচনা অব্যাহত রাখা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন চার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার ও মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমাদ আবদুল কাদের, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

  • নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    #UkhiyaVoice24.Com

    নিজ দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বক্তব্য ও বিবৃতিতে শালীনতা বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন- পাবলিক হল ময়দান কক্সবাজার জনসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ‘দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে’ প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম মীর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী এ আর এম ফরিদুল আলমের সঞ্চালনায় বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খুনি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন হবে ইনশাআল্লাহ। যে রকম ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এ দেশ থেকে তাড়াতে বাধ্য করেছিলাম, ঠিক তেমনি সকলে মিলে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি, তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো। ইনশাআল্লাহ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। এজন্য সব ইসলামি দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যে কোন বিষয়ে শালিনতা বজায় রাখবো। অশালীন ভাষায় কাউকে কটাক্ষ করা যাবেনা। তিনি বলেন, শুধু নেতার পরিবর্তন করলে হবে না, সাথে নীতির সংষ্কার করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, সকল যন্ত্রযন্ত্রকারীদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে আগামী নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শাহ ইফতেখার তারিক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, কেন্দ্রীয় আমেলা সদস্য ইসলামী স্কলার মুফতি রেজাউল করিম আবরার, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা আমির নুরুল কবির হেলালী, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় শরণার্থী বিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা মোঃ আলী, দ্বীন কায়েম সংগঠন কক্সবাজার জেলা ছদর আলহাজ্ব বদিউল আলম সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কক্সবাজার জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জিয়াউল হক ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা ইয়াহ্ইয়া সাঈদ, চকরিয়া থানা উত্তরের সভাপতি মাওলানা মনিরুল্লাহ সিকদার, রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ক্বারী আবু নাছের, টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আহমাদ হোসাইন, মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী, মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা শাখার সভাপতি মাওলানা নুরুল্লাহ সিকদার, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, ঈদগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শামসুল হক আজিজী, টেকনাফ উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, কক্সবাজার পৌর শাখার সভাপতি কাউন্সিলর নুর মুহাম্মাদ মাঝু, রামু উপজেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আসাদ উল্লাহ রহমানী, উখিয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ কলিম উল্লাহ, চকরিয়া থানা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা শেখ আহমাদ কবির ও কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ডাক্তার মুহাম্মাদ শরীফ সহ জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

    জনসভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে প্রার্থী ঘোষণা করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এবার কক্সবাজার জেলার চারটি আসনে হাতপাখা প্রতীকে কক্সবাজার-১ (সদর-কক্সবাজার) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মাওলানা মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম মীর, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী, কুতুবদিয়া) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা জিয়াউল হক, কক্সবাজার-৩ (পেকুয়া-চকরিয়া) আসনে ডা. এস এম ইসমাইল ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে নুরুল বশর আজিজী। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে হাতপাখা মার্কার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসলামি দলের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব থাকলে পুঁজিবাদী অর্থনীতির পরিবর্তে ইসলামি অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধনীকে ধনী বানায় আর গরিবকে আরও গরিব করে। ইসলামী অর্থনীতি গরিবদের জন্য, সকলের জন্য। অতীতের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে পীর সাহেব চরমোনাই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, চোরের মাধ্যমে চুরি বন্ধ হয়? খুনির মাধ্যমে খুন বন্ধ হয়? দেশকে এক নম্বর বানাতে চান? মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। আমরা বাংলাদেশকে গড়বো, আমরা উন্নয়ন করবো। আমরা মা-বোনদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যেখানে অধিকার থাকবে সকল শ্রেণি-পেশার ও বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের। থাকবে না কোনো বৈষম্য।

  • প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত।

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত।

    #এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত। অদ্য ৫ জুলাই-২০২৫ খ্রি: শনিবার নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা সভাপতি মুফতি সাইদ আহমদ সরকার এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায় আগামী ২৫ জুলাই’ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশ সফল করার লক্ষে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার থানা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন । বিশেষ অতিথি – আইএবি নরসিংদী জেলা শাখার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক হা.মাওলানা শেখ আমিনুল ইসলাম মাহমুদী। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মোবারক হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএম রাশিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক, ইমরান হোসেন, থানা ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীল প্রমুখ।

    বার্তা প্রেরক মুহা.কাউছার গাজী, প্রচার সম্পাদক ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখা।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

    #এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন। বিকাল ৩ টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আতা উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আইএবি রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আবু নাছের । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রামু উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবু নাছের বলেন দায়িত্ব বা পদ আল্লাহ প্রদত্ত একটি আমানত। এই আমানতের যথাযথ হক আদায় না করলে আল্লাহর সামনে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রত্যেকটি দায়িত্বশীল ও কর্মীকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী হওয়ার পাশাপাশি সমাজের যে কোন সমস্যার সমাধানে এবং জনকল্যাণ মূলক যে কোন কাজে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পরিশেষে তিনি বিগত সেশনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৫-২৬ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ইউনিয়ন সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আরিফ উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ঈসা আল-রাইয়ানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠান উপজেলা মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল আমিনের দুআ ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

  • মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকুন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকুন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    প্রকাশিত সংবাদ পড়ুন।

    মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকুন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই-এর নামে প্রচারিত এই বক্তব্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্পষ্ট করে জানাচ্ছে যে, তিনি এই ধরণের কোন কথা বলেননি। এটা ইসলামপন্থী দল ও জনতার মধ্যে বিভাজন তৈরি করা, বিতর্ক উস্কে দেয়া এবং অস্থিরতা তৈরির একটি ঘৃণ্য প্রয়াস। আমরা দেশের সকল নাগরিক ও ইসলামপন্থী জনতাকে অনুরোধ করে বলবো, এখন রাজনীতিতে মিথ্যা, অপতথ্য, ভুলতথ্যকে এক শ্রেণীর নোংরা ও অশুভ মানসিকতার লোকেরা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

    এটাও তেমনি একটি অশুভ ও নোংরা প্রচারণা। সকলকে এই ধরণের অকৌশল সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান করছি।