Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জনগণ পীর সাহেব চরমোনাইর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখবে- মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন

    জনগণ পীর সাহেব চরমোনাইর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখবে- মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    জনগণ পীর সাহেব চরমোনাইর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখবে- মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত। ১৬ জুন’২৫ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় আই এ বি মিলনায়তনে নগর সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন হুজাইফ এর সঞ্চালনায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন থানা শাখার অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন বলেন- এদেশের হক্কানী ওলামায়ে কেরাম দেশ গঠনে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা কখনো দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেননি, দেশের সম্পদ বিদেশে পাঁচার করেননি। সুতরাং আগামীর বাংলাদেশে জনগণ পীর সাহেব চরমোনাইর মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখবে।

    তিনি আরো বলেন, আগামীতে এদেশের জনগণ কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদেরকে ক্ষমতায় আনবে না, তারা দেশের সংস্কারকামী ও নীতিবান দলকে ক্ষমতায় আনবে। জনগণ বারবার ভুল করতে চায় না, এবার তারা এদেশের আদর্শিক গতিপথ স্থির করতে চায়।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

    আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুফতি শওকত উসমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম নাসির উদ্দিন, দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন মীনা, প্রকাশনা সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হিমেল, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ কাউসার আহমেদ, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাওসার ফরাজী, উপ-সম্পাদক সাইফুল্লাহ মাঝী, মুহাম্মদ কবির হোসেন, মাওলানা ফরহাদ হোসেন সহ বক্তব্য রাখেন থানা দায়িত্বশীল বৃন্দ।

    বার্তা প্রেরক
    মুহাম্মাদ রায়হান উদ্দিন মীনা
    প্রচার সম্পাদক,
    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ,
    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
    মোবাইল- ০১৭১৪-৮০৬৬৩৫

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির শপথ ও পরিচিতি সভা সম্পন্ন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির শপথ ও পরিচিতি সভা সম্পন্ন।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্ট।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির শপথ গ্রহণ ও পরিচিতি সভা ১৩ জুন (জুমাবার) বিকাল ৩টায়, কোট বাজার উপজেলা কার্যালয়ে উপজেলা সভাপতি হাফেজ কলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওঃ এম. জাহাঙ্গীর রফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাওঃ মুহাম্মাদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সেক্রেটারী মাওঃ এ. আর. এম ফরিদুল আলম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওঃ ক্বারী আবু নাছের, কক্সবাজার জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মুহাম্মদ হোছাইন, কক্সবাজার জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুর্শেদ আলমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইসলামী রাজনীতিবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।

     

    ২০২৫-২৬ শেসনের নবগঠিত কমিটি নিম্নরূপ
    ১। ১। সভাপতি হাফেজ কলিম উল্লাহ, ২। সহ-সভাপতি-মুফতি মুসলিম উদ্দিন, ৩। সহ-সভাপতি-ক্বারী আবদুল গণি, ৪। সহ-সভাপতি- মাওঃ নুরুল আমিন, ৫। সেক্রেটারী মাওঃ এম. জাহাঙ্গীর রফিক, ৬। জয়েন্ট সেক্রেটারী-হাফেজ ইকবাল হোছাইন তাওহিদী, ৭। এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী-হাফেজ নজির আহমদ,৮ সাংগঠনিক সম্পাদক-মাওঃ মোজাম্মেল হক, ৯। প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক-হাফেজ অলি উল্লাহ মাহমুদ, ১০। দপ্তর সম্পাদক-মাওঃ আমির হোছাইন, ১১। অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক-হাফেজ ফরিদুল আলম, ১২। প্রশিক্ষণ সম্পাদক-মাওঃ রায়হান শফিক হাবিবী, ১৩। ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক-মাওঃ খাইরুল আমিন, ১৪। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক-হাফেজ নুরুল হক, ১৫। আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক-মাওঃ নুর মোহাম্মদ, ১৬। কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক-মাওঃ ফরিদুল আলম, ১৭। মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক-হাফেজ মুহাম্মদ শাহেদ, ১৮। ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক-হাফেজ হামিদুল হক, ১৯। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক-জনাব জহির উদ্দিন, ২০। সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক-মুফতি এমদাদুল্লাহ রফিক
    ২১। শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক-মাস্টার জসিম উদ্দিন, ২২। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক-মাওঃ আবদুল গফুর, ২৩। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-মাওঃ আহমদ হোছাইন, ২৪। সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক-হাফেজ শাহাব উদ্দিন তাওহীদ, ২৫। সহ-দপ্তর সম্পাদক-মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ২৬। সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক-হাফেজ বশির আহমদ, ২৭। সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক-হাফেজ কামাল উদ্দিন, ২৮। নির্বাহী সদস্য-মাওঃ মোহাম্মদ ইউসুফ, ২৯। নির্বাহী সদস্য-মাওঃ আবদুল মান্নান, ৩০। নির্বাহী সদস্য-মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ৩১। নির্বাহী সদস্য-মাওঃ আবদুল জলিল শওকত
    ৩২। নির্বাহী সদস্য-জনাব বেলাল উদ্দিন
    ৩৩। নির্বাহী সদস্য-হাফেজ মাহমুদুল হক।

    বার্তা প্রেরক:
    মাওলানা হাফেজ অলি উল্লাহ মাহমুদ
    প্রচার সম্পাদক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি- সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াদ

    ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি- সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াদ



    নিউজ ডেস্ক: উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি!বাংলাদেশের মানুষকে খাই খাই রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে হলে ইসলামপন্থীদের ঐক্যের বিকল্প নাই।সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজী, খুনাখুনি এসব অপরাজনীতির বিকল্পই এখন ইসলাম। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ! গত ১৬ বছরের তান্ডবের শেষ না হতেই পুরাতন এক পার্টি হাজির হয়েছে বাজার, খেয়াঘাট, গরুর হাট দখলের রাজনীতি নিয়ে। আবার নিজেরা নিজেরা কিলাকিলি করে খুনাখুনিতেও শতক ছাড়িয়ে গেছে। এখনই সুযোগ ওদের রাজনীতির বিরুদ্ধে ইসলামী রাজনীতি খাড়া করানো। যেটা আমরা অতীতে কখনো পারিনি!

    আমাদেরকে নিয়ে ওরা খেলেছে। আমাদেরকে রাজনৈতিক পুতুল বানিয়ে ওরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।১/২ আসন নয়, এবার আমরা খেলবো পুরো সংসদ বিজয় করার জন্য। জনগণ প্রস্তুত। ইসলামপন্থীদের বাক্স ভরে দিতে। তবে ইসলামপন্থীরা এবারের নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে যেতে না পারলে কপালে শনি আছে।জনগণ মারবেতো মারবে! গালাগালিও করবে! তবে আশার বাণী হলো ইসলামপন্থীদের নির্বাচনি জোট ঘোষণা এখন অপেক্ষা মাত্র! ইনশাআল্লাহ। এবার ইতিহাস পাল্টে যাবে। আগামী নির্বাচনে নতুন এক ইতিহাস রচনা হবে ইসলামের পক্ষে। কেউ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা ঠিক হবে না। এবার ভোট চোরদের মুকাবিলা করা হবে শক্ত হাতে। এবার জনগণকে সাথে নিয়ে ইসলামকে বিজয় করেই ঘরে ফিরব। ইনশাআল্লাহ- শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

  • গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    ইসলামী রাজনীতি।

    “গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য”- পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ, রাজধানীর পল্টনস্থ বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য; উলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন- “গোষ্ঠিগত স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলের জন্যই ধ্বংস অনিবার্য। বর্তমান সংকটকালে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা জরুরি, না হলে দেশ আবারও ফ্যাসিবাদ ও বৈদেশিক প্রভাবের ভয়াল ছোবলের মুখোমুখি হবে।”

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী। সভায় বক্তারা বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এটি ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ফসল। যেখানে ছাত্র থেকে যুবক, পুরুষ থেকে নারী, আলেম থেকে আওয়াম সকলের রক্ত ঝরেছে। দল-মত নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠি নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থে এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

    বক্তারা আরও বলেন, “এই সরকার যেন বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নাতীতভাবে বাস্তবায়ন করে। একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও নারী অধিকার কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশন থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অপসারণ করে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।”

    তাঁরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষসমূহ এবং জাতীয় স্টেইকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যেন জবাবদিহিতা মূলক সরকারব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

    সভা থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবসমূহ:
    ১. গোষ্ঠিগত ও দলীয় স্বার্থ পরিহার করে আন্তরিক ঐক্যই এখন সমাধান।
    ২. ইন্টেরিম সরকারের প্রতি অহেতুক চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে দায়িত্বশীল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা।
    ৩. বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীতভাবে সম্পন্ন করার দাবি।
    ৪. বিতর্কিত উপদেষ্টা ও কমিশন সদস্যদের অব্যহতির মাধ্যমে আস্থা পুনঃস্থাপন।
    ৫. চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা ইস্যু ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বপক্ষীয় সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

    বক্তারা বলেন, “এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যই আমাদের প্রধান শক্তি। বিভক্তি ও হঠকারী রাজনীতি দেশের অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সকল পক্ষকে এখনই দায়িত্বশীল ও বিবেকবান ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা জালাল উদ্দীন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসউদ, ড. ফয়জুল হক, অধ্যক্ষ মোশাররফ হোছাইন, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ফেনী, মাওলানা হানযালা, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মীর হুসাইন, মাওলানা ছানা উল্লাহ বিজয়নগর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফি প্রমূখ।

  • রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পীর সাহেব চরমোনাই আহ্বানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ৫টি দলের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত।

    রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পীর সাহেব চরমোনাই আহ্বানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ৫টি দলের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাইর আহ্বানে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ৫টি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ।

    বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং যে কোন মূল্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়। কোন কুচক্রি মহল যাতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
    আগামীতে দেশ গঠনে এবং দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আরো ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ কৌশল গ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে বিষদ আলোচনা হয়।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে নেতৃবৃন্দ একমত পোষণ করেন।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান মুঠোফোনে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

  • গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন রোধে মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই

    গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন রোধে মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন রোধে মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভেদ ও অনৈক্য থাকার কারণে পতিত ফ্যাসিবাদ ১৫ বছর স্টিমরোলার চালানোর সুযোগ পেয়েছে। ২০২৪এর নির্বাচনের আগ থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচারকে উৎখাত করা গেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করা যায় নাই, রাষ্ট্র, সমাজ ও নীতিভাবনা থেকে ফ্যাসিজমের বিষবাস্প ও অবশিষ্টাংশ এখনো উৎখাত করা যায় নাই। প্রতিবেশি আধিপত্যবাদী শক্তির চক্রান্ত এখনো চলমান। এমন বাস্তবতায় জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন ঈষাণকোণে কালো মেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধি করবে। তাই পরস্পর বিরোধী দাবী ও কর্মসূচি থেকে সকলকে বিরত থাকার আহবান করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতির শিকার হয়েছি বারংবার। যা আমাদের রাজনীতিকে সহিংস ও অসহিষ্ণু করে তুলেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে।

    রাজনীতিতে একই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একাধিক এবং পরস্পর বিরোধী মতামত ও অবস্থান থাকতে পারে। আলোচনার টেবিলে, আইনের মাধ্যমে বা পরস্পর সমঝোতার মাধ্যমে এর সুরাহা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কোন আচরণ করা এবং মুখোমুখি কর্মসূচি নেয়া সমীচীন হবে না।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। কোন সিটি কর্পোরেশনে পতিত স্বৈরাচারের অন্যায়ের শিকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হচ্ছে, কোন সিটিতে আবার মেয়র ঘোষণা করে শপথ পড়ানো হচ্ছে না আবার বরিশাল সিটিতে মামলাই আমলে নেয়া হচ্ছে না। এ ধরণের দ্বিচারিতা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে। এর চেয়ে দ্রুততার সাথে স্থানীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামী শীতের শুরুতেই স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র ইস্যুতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পারস্পরিক বোঝাপড়ার রাজনীতিকে মাঠের পরস্পর বিরোধী রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এটা সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ নির্মানের পথে অন্তরায় হয়ে দেখা দেবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই মানবিক করিডোর নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, এই বিষয়ে পানি এতো ঘোলা হওয়ার আগেই ব্যাখ্যা তুলে ধরা যেতো। তথাপিও করিডোর বা চ্যানেল নিয়ে জনাব খলিলুর রহমানের ব্যাখ্যা ও বর্ণনার ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই। একই সাথে তিনি অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান রেখে বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে সংস্কারের কাজে গতি আনুন। রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি হয় এমন বিষয়ে দলগুলোর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিন। কারণ, যেকোন মূল্যেই সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতেই হবে। তাতেই আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথ সুগম হবে।

  • পীর সাহেব চরমোনাইর সাথে ইসলামী রাজনৈতিক বিটের টেলিভিশন সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা সম্পন্ন।

    পীর সাহেব চরমোনাইর সাথে ইসলামী রাজনৈতিক বিটের টেলিভিশন সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা সম্পন্ন।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    পীর সাহেব চরমোনাইর সাথে ইসলামী রাজনৈতিক বিটের টেলিভিশন সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় আজ ২১ মে’২৫ বুধবার বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ে অংশ নেন ইসলামী রাজনৈতিক বিটের টেলিভিশন সাংবাদিকরা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকি, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ এবং ইসলামী রাজনৈতিক বিটের টেলিভিশন সাংবাদিক বৃন্দ।

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয়; আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয়; আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি রাজপথে নয় আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন- পীর সাহেব চরমোনাই।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ ১৬ মে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের প্রথম সারীর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণ ও ক্যাম্পাস নির্মাণের মতো বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে; এর মতো লজ্জাজনক বিষয় আর হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপশাসনের ফলে দেশের সকল খাতের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর সম্ভাবনা নষ্ট করে ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এখন এর একটা বিহিত হওয়া আবশ্যক তবে তা রাজপথে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ও সরকারের সামর্থ্য পর্যালোচনা করে আলোচনার টেবিলে এর সমাধান করতে হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকার অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান কাজ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা। বিগত ৫৪ বছরের অনিয়মের ফলে সৃষ্ট জঞ্জাল দুর করার দাবী এই সরকারের ওপরে চাপিয়ে দেয়া বেইনসাফি হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের অর্থনীতিকে যে পর্যায়ে রেখে গেছে তাতে করে মানুষের প্রাথমিক মৌলিক চাহিদা পূরণেই সরকারকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বিগত সরকারগুলোর সৃষ্ট সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে এই সরকারের কাছে চাওয়া যৌক্তিক হবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট অবর্ননীয়। ঢাকার মতো উচ্চ আবাসন ব্যয়ের শহরে তাদের নিজ দায়িত্বে আবাসন ব্যবস্থা করতে হয়। এটা একজন শিক্ষার্থীর ওপরে প্রচন্ড আর্থিক চাপ তৈরি করে। সেই চাপে শিক্ষার্থীরা টিউশনি, খণ্ডকালীন চাকুরী করতে বাধ্য হয়;যা তাদের একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পথে বাঁধা তৈরি করে। সেজন্য তাদের আবাসন বৃত্তি ও ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবী খুবই যৌক্তিক। তাই সরকারকে আহবান করবো, অতি দ্রুত সম্ভব্য যেকোন পন্থায় তাদের দাবী পূরণের ব্যবস্থা করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের শক্তি প্রয়োগ এবং তাদের সমাবেশ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপরে বোতল নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেন, পতিত স্বৈরাচার রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা যৌক্তিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে সুযোগ নিতে পারে। সেজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তাই এই আন্দোলন রাজপথে না বরং আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা মজলিসে শুরা অধিবেশন ও কাউন্সিল সম্পন্ন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা মজলিসে শুরা অধিবেশন ও কাউন্সিল সম্পন্ন।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ উখিয়া।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার মজলিসে শুরা অধিবেশন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

    ১৬ মে জুমাবার,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা কার্যালয়ে শুরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কক্সবাজার জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ক্বারী আবু নাছের, জেলা প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মাদ তাহের নাঈম প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা ২০২৩/২০২৪ইং সালের কমিটি বিলুপ্ত করে গোপন ভোটের মাধ্যমে ২০২৫/২০২৬ইং সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মাওলানা হাফেজ কলিমুল্লাহ সভাপতি, মাওলানা এম জাহাঙ্গীর রফিক সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়।

    নবনির্বাচিত সভাপতি হাপেজ কলিম উল্লাহ ও সেক্রেটারি মাওঃ এম জাহাঙ্গীর রফিক কে বিপ্লবী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

  • দেশব্যাপী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালিত

    দেশব্যাপী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালিত

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    দেশব্যাপী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালিত শ্রমিকের মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে সামগ্রিক আন্দোলনের গড়ে তোলা হবে- ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ অদ্য ১লা মে’০২৫, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলা শাখায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বিভিন্ন সমাবেশ ও আলোচনায় যোগ দেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সেক্রেটারিসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

    গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না তা আজ প্রমানিত। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরেও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায় নাই। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরী বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোন দিনই পরিবর্তন হবে না।

    ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান সেনবাগে তার নির্বাচনী এলাকায় এক শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোন পথ নাই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সেই পথেই হাটবে; ইনশাআল্লাহ।

    সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে শ্রমিক সমাবেশ সম্পন্ন করায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, জেলা, থানা-উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের শ্রমিক জনতার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

    ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এই চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।”

    তিনি আরও বলেন, “এই ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম আমাদের ভবিষ্যৎ পথচলায় আরও গতিশীলতা আনবে এবং শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে, ইনশাআল্লাহ।”
    আগামী দিনগুলোতেও একই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের কার্যক্রমকে জোরদার করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

    যেসকল জেলায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে- ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ,মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাট সাংগঠনিক জেলা সমূহ।

    বার্তা প্রেরক-
    মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন
    কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক
    ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ।
    01821541630
    Hmdnazim1999@gmail.com