Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন।

    দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন।

    www.ukhiyavoice24.com

    দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন,দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই জাতীয় উন্নয়নের জন্য যাকাতের ফান্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূর করতে হবে। আত্মনির্ভরশীল না হলে ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অবদান রাখা যায় না। উন্নয়ন করা যায় না। টেকসই জাতীয় উন্নয়ন কোনো স্লোগানের বিষয় নয়, কাজের বিষয়। ক্ষুধার্ত, বস্ত্রহীন ও কর্মহীন রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

    ৮ মার্চ’২৫ শনিবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে “দারিদ্র দূরীকরণ ও টেকসই জাতীয় উন্নয়নে যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক” আলোচনা সভা ও সূধীদের সম্মানে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
    ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইন্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মুরাদ হোসেন, এডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি মোঃ মাছউদুর রহমান, মুফতি নিজামুদ্দীন, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মুফতি আরমান হোসাইন, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    তিনি আরো বলেন, ক্ষুদার্থদের খাবার দিতে হবে। বস্ত্রহীনদের বস্ত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই হবে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন।

  • নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    নিউজ ডেস্ক:➡️ www.ukhiyavoice24.com

    নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার বিকাল তিনটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় বর্তমান দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
    আলোচনায় উভয় দল ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণে এবং দেশপ্রেমিক গণমানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের একটি বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

    এ বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে অপরাপর সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কার্যকর আলোচনা চালানোর জন্য উভয় দল আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই,জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ও মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।

  • আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ইউনিট গঠন

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিলা ইউনিট গঠন

    নিউজ ডেস্ক: www.ukhiyavoice24.com

    নারীর অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন ও কণ্যার উন্নয়নে ইসলামই একমাত্র সমাধান-মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিট গঠন উপলক্ষে আয়োজিত এক নারী সম্মেলনে বলেছেন, নারীর অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন ও কণ্যার উন্নয়ন নিয়ে আধুনিক সভ্যতা অনেক কাজ করলেও বাস্তবতা হলো, নারীর অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়েছে। নারীর অধিকার, নিরাপত্তা আরো বিঘ্নিত হয়েছে। বৈষম্য আরো বেড়েছে, কণ্যার অবনতি হয়েছে। কারণ পশ্চিমা সভ্যতা নারীকে পণ্য ও পণ্য বিক্রির আকর্ষক করে তুলেছে এবং নারীকে মূল্যায়ণ করেছে তার বস্তুগত উৎপাদন সক্ষমতার ভিত্তিতে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, এর মোকাবিলায় ইসলাম নারীকে আত্মিক-পারিবারিক বন্ধনজনিত ক্ষমতায় মূল্যায়ন করে এবং নারীর অবস্তুগত ক্ষমতাকে বিবেচনা করে নারীর সম্মান-মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে। ইসলামের পরিমণ্ডলে নারী এতোটাই ক্ষমতাবান যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষের সামগ্রিক মর্যাদা নারীর মূল্যায়ণের সাপেক্ষে নির্ধারণ করেছেন।

    আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ একটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার তত্বাবদানে অনুষ্ঠিত নারী সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারী সম্মেলনে নারীদের মতামত, গোপন ভোট ও পরামর্শের ভিত্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহিলা ইউনিট গঠন করা হয়।

    প্রধান অতিথি মিসেস নুরুস সাবিহাকে মুয়াল্লিমা মিসেস কোহিনুর বেগমকে সহ-মোয়াল্লিমা এবং মিসেস হাফেজা বুশরাকে সমন্বয়কারী করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বোধ-বিশ্বাসের ভিত্তিতে নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার, সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। কন্যার উন্নয়নে সংস্কৃতিক ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

    তিনি আরো বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সচেতন নারী সমাজকে সক্রীয়ভাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের এখনই সময়।
    তিনি নারীদের মধ্যে দীনি দাওয়াত সম্প্রসারন করে সর্বত্র মহিলা ইউনিট গঠন তৎ।

  • প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    নিউজ ডেস্ক: www.ukhiyavoice24.com

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশংকা থেকে যাবে। তাই এসব ক্ষেত্রে সংস্কার হতেই হবে।

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের নব্বইটিরও বেশি দেশে অনুসৃত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পিআর (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি দাবী করেছি। আমরা মনে করি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক তা চায় না। বরং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ করতে এবং নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

    রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এর রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সন্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০২৪ আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবময় ইতিহাস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাইয়ের শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে স্বনামেই এই আন্দোলনের অংশ ছিলো। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। এখন সময় হলো বাংলাদেশ গড়ার।
    আমরা দেশের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন করে সৌহার্দ ও সহযোগীতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব জনপ্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ইসলামে প্রতিবেশিকে সন্মান করা এবং প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেশিকে সন্মান করার এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে তাদের কোন ক্ষতি না করতে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সাথে রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল মাজলুমদের ব্যাপারে আমরা সহমর্মীতা জানাচ্ছি এবং তাদের স্বাধীকারের আন্দোলনের সমর্থন ঘোষণা করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফেসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের বিচার না হলে মানুষের রক্তের দায় জাতীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাড়া করবে। তাই যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কোন নিরাপরাধ যেনো কষ্ট নায় আর কোন অপরাধী যেনো ছাড় না পায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে যেখানে দারিদ্র, বেকারত্ব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে,পরমত সহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সহ-অবস্থান নিশ্চিত হবে। নাগরিকের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারকে প্রধান্য দিয়ে ব্যবসা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র।
    আজ ৭ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা, শফিকুর রহমান, বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুল মইন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকাতুল্লাহ ভুলু, সালাহদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, আমার বাংলাদেশ পার্টির মহাসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক আহমেদ।
    এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, চিন, নেদারল্যান্ডসের হেড অফ মিশন আন্দ্রে কার্টসটেনস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটান ও কসোভ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

    দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক জনাব মোস্তাফা কামাল, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমেদ মানসুর, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা

    লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আখেরী মুনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন পীর সাহেব চরমোনাই, ১০ জনের মৃত্যু ও ৪ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি’২৫ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি’২৫ শনিবার সকাল ৮.৩০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।

    সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।

    সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।

    আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান।

    আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।

    এবছর মাহফিলে মূল ৭টি বয়ানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ সহ সৌদিআরব, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিশর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কের বিশিষ্ট ওলামায়ে কিরাম।

    উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ১০ জন বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ নিবাসী মো.আলাল খালাশি (৭২), পাবনা নিবাসী আব্দুল জলিল খান (৬৫), গাজীপুর নিবাসী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বেপারী (৫০), চুয়াডাঙ্গা নিবাসী মো.ওসমান(৫০), নীলফামারি নিবাসী মো.মঞ্জুরুল ইসলাম(৬০), চাঁদপুর নিবাসী আলি আহম্মদ (৫৫), বগুড়া নিবাসী মো.আব্দুল হামিদ(৬৫), চাদপুর নিবাসী মো.আইউব আলী(৬০), নারায়ণগঞ্জ নিবাসী মো.আলতাফ হোসেন(৬৫), নরসিংদী নিবাসী মো.আবুল কালাম(৪২)। সকলের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

    চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় ৩ সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

  • সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    নিউজ ডেস্ক:

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ খ্রি: শনিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপস্থিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পরে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

    বৈঠকে কমিশনসমূহের প্রতিবেদন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি।
    আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। ৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মা য়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না।

    তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনীদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে যারা নির্বাচনে আহবান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।

    তিনি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ কে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকী কে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।সম্মেলন ঘোষণা পত্র পাঠ করেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
    বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম,জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবদুল খায়ের ও কে এম আতিকুর রহমান।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৫৩ বছরের লুটপাটে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়েছে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলেম ওলামাদের কে বিভক্ত করতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এখন মুসলমানদেরকে নিয়ে আজান দেয়ানো শুরু হয়েছে। তাদের উপর আল্লাহর গজব পতিত হয়েছে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, যুবক জাগ্রত হলে দেশ ও জাতি ভালো হয়। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস। কোন ভাবেই রুহানিয়াতকে ভূলে যাও যাবে না বা বাদ দেয়া যাবে না। সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী যুব আন্দোলন। সাহাবাদের জন্য ত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসতে হবে। সাহাবাদেরকে যারা সমালোচনা করবে তাদেরকে ঘৃণা করতে হবে। কৌশলের নামে সুন্নতকে বাদ দেয়া যাবে না। ঈমানকে মজবুত করতে পারলে জয় আসবে। জিকির ও ফিকিরে থাকতে হবে। রুহানিয়াতকে বাদ দিয়ে কোন জিহাদ আমরা চাইনা। রুহানিয়াত ছাড়া জেহাদ হয় না এটা হবে সন্ত্রাস। আমাদের ইসলামী হুকুমত কায়েম করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ধ্বংসস্তূপের উপরে কিছু হতে পারে না। যে কারণে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমরা চাই। কারো ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ থাকতে হবে।

    সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে ৫০৫ টি আসন রাখা হয়েছে। আমি মহিলাদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসন চাই না। এক কক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সকল নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো অথচ অন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো না। বিএনপি নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলে ছাত্র জনতার অর্জনকে ধ্বংস করতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাঁদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এখন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ৫৩ বছরে ফ্যাসিস্টের উত্থান ও পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনমতের কোন প্রতিফলন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা দ্বি-কক্ষ চাইনা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। আগামীদিনে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চাইলে পিআর পদ্ধতি দিন। অন্যথায় আন্দোলন করে পিআর পদ্ধতি ছাত্র জনতা আদায় করবে।

    মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, ইসলাম এসেছে আওলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে। সকল পীর মাশায়েখদেরকে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের কোথায় কোথায় ফ্যাসিস্টদের সহযোগী আছে তাদের তালিকা হওয়া দরকার। পিআর বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচন হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,
    অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র ঠিক করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলো তাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে। বিগত দিনে যারা ৩/৪ বার ক্ষমতায় ছিলো তারা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তাদের অতীত চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। তারা উপর থেকে যে কথা বলেন তাদের কথা তৃণমূলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা অপরিকল্পিত রাষ্ট্র পরিচালনা করে না। আশাকরি আপনারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। ইসলামী দলের নেতারা আগামী দিনে যাতে দুর্নীতিবাজদের সহযোগী না হন সে জন্য অনুরোধ করছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে শোষণ করেছে। নব্য চাঁদাবাজ ও দখলদাররা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পথে যাবে।

    জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিলো তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, ১৯ জুলাই ২০২৪ ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছে। সে থেকে আমরা ফ্যাসিস্টদের উৎখাত করে ঘরে ফিরেছি। তিনি যুব নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্র ভিত্তিক শক্তিবৃদ্ধির আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচনে আমার ভোট কেউ ছিনতাই করতে চায় তবে দেশের যুব সমাজ তাদের চোখ তুলে দিবে।

  • ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

    ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ভারত সরকারের মদদে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারতকে বাংলাদেশের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ভারত তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় বাংলাদেশের উপর ক্ষেপে গেছে। বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের স্বার্থে সবকিছু করে দেশকে গিলে খাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। দেশ ভারতের রাহু মুক্ত হয়েছে। ভারতের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ে এখন আর কিছু হচ্ছে না। তাই ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন পায়ে পারা দিয়ে যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। উগ্রবাদী ইসকনকে দিয়ে সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে উস্কানী দিচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন হাইকমিশন, উপ-হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা ছিঁড়ে চরম অসভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন ও কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, মুসলমানদের হত্যা করে দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে ভারত। কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদের মত অসভ্য নয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছে। মুসলমানরা ক্ষেপে গেলে জালিমদের রক্ষা হবে না।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশ বিরোধী ভারতীয় উস্কানীর প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা আরফিুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারী ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ। দক্ষিণ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ হাইকমিশনে এধরনের হামলা, পতাকা পুড়িয়ে ফেলা এবং কুটনৈতিকদের উপর আক্রমনের ঘটনাকে অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও উস্কানী আখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে ভারত থেকে সকল দূতাবাস গুটিয়ে ফেলতে হবে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, কলকাতা ও আগরতলায় ভারতের সরকার দলীয় উগ্র কর্মীরা বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা করে দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিগত ১৬ বছরে ভারতের অভিপ্রায়ে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছিল। হাসিনা জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। খুনি হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ভারতের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক নিউজ প্রচার করছে। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে ভয় করিনা। এদেশে ১৬ কোটি যোদ্ধা ভারতের চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। ইসকন ভারতের উগ্রবাদী সংগঠন। ভারতের মদদে ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। বাংলাদেশের পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করায় দেশের আদালতে তার নামে মামলা হয়েছে। সে আলোককে চিন্ময়কে গ্রেফতার করা হলে ভারতের সংসদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি এটা কিসের আলামত?

    মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ভারত সরকারের প্রকাশ্য ইন্ধনে হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। লাল-সবুজের পতাকা ছিঁেড় ফেলা হয়েছে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ কুটনৈতিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভারত সরকারের মদদে প্রতিনিয়ত মসজিদ, মাদরাসা, মুসলমানদের দোকানপাঠ, বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলমান হত্যা করে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। সেই ভারত এখন আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বয়ান দিচ্ছে? তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে বলে ভারতের মিডিয়াগুলো অপপ্রচার করছে। বাংলাদেশে কোন জঙ্গি নেই। এটা খুনি হাসিনার সৃষ্টি। বাংলাদেশে আমরা সকলেই মিলেমিশে ভাই-ভাই হয়ে কাজ করছি।

    সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরাজয়ের পরে কসাই মোদি হাসিনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। হাসিনা ভারতে বসে বসে লাল-সবুজের বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের জনগণ ভারত বিরোধী নয়, যেমনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরোধী তেমনি কসাই মোদি বিরোধী। আগরতলা উপ-হাইকমিশনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

    পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টন মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।

  • লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল। গত ২৭ নভেম্বর’২৪ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ৩০ নভেম্বর’২৪ শনিবার সকাল ৮.৩০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
    • সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি। আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান। আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ২৭ নভেম্বর রাত ১১টায় খুলনা নিবাসী মোঃ আলতাফ হোসেন (৬৫) পিতা মৃত ইজহার আলী এবং একই তারিখ রাত ১০টায় রায়েরবাগ, ঢাকা নিবাসী রফিকুল ইসলাম (৬৩) পিতা সালামত উল্লাহ বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
    • চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় দুই সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
    • বার্তা প্রেরক:
      কে এম শরীয়াতুল্লাহ, সদস্য চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপ-কমিটি ০১৭৪১-৭৯০৫৩৩
  • ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ তৈরির সকল পথ বন্ধ করতে হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, যে রক্তের মাধ্যমে জনগণ এ বিজয় পেয়েছে, তা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার এ মাটিতে আর আসতে পারবে না। এর মানে এই নয় যে নতুন করে ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না। এ জন্য এমন এক ব্যবস্থা আমাদের করে যেতে হবে, যাতে নতুন করে এ দেশে ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ জন্যই সার্বিক বিবেচনায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই। এ নির্বাচন পদ্ধতিতেই দেশকে জালিমমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া জাতীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করবেন বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছেন, জাতীয় সরকার কেবল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। কাজেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থা মেনে নিয়ে কাজ করুন।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, চট্টগ্রামে ইসকনের কর্মকান্ড দেখলে মনে হবে না যে, এটা বাংলাদেশ। ইসকন এত সাহস কোথা থেকে পেল। ইসকনের অত্যাচারে চট্টগ্রামে মুসলমানরা অতিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে ইসকন নেতা চিন্ময়কে কোর্টে তোলার পর উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীরা কোর্ট প্রাঙ্গণে তান্ডব চালায়। পুলিশের গাড়ির চাকা পাংচার করে, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং একজন মুসলমানকে হত্যা করার খবর শোণা যাচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের নেতাকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অরাজকতা সৃষ্টি করা কোনভাবেই মেনে নেয়ার যায় না। উগ্রবাদীদের তান্ডব আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে ইসকন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিদেশের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করছে। তিনি উগ্রবাদী ইসকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।

    আজ পুরানা পল্টনস্থ দলের কার্যালয়ে চরমোনাই মাহফিল প্রস্তুতি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

    ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কৃষি ফসলের লাভজনক দাম, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, অবিলম্বে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সময়ের দাবি।