Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    নিউজ ডেস্ক:

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ খ্রি: শনিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপস্থিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পরে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

    বৈঠকে কমিশনসমূহের প্রতিবেদন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি।
    আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। ৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মা য়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না।

    তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনীদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে যারা নির্বাচনে আহবান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।

    তিনি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ কে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকী কে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।সম্মেলন ঘোষণা পত্র পাঠ করেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
    বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম,জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবদুল খায়ের ও কে এম আতিকুর রহমান।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৫৩ বছরের লুটপাটে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়েছে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলেম ওলামাদের কে বিভক্ত করতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এখন মুসলমানদেরকে নিয়ে আজান দেয়ানো শুরু হয়েছে। তাদের উপর আল্লাহর গজব পতিত হয়েছে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, যুবক জাগ্রত হলে দেশ ও জাতি ভালো হয়। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস। কোন ভাবেই রুহানিয়াতকে ভূলে যাও যাবে না বা বাদ দেয়া যাবে না। সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী যুব আন্দোলন। সাহাবাদের জন্য ত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসতে হবে। সাহাবাদেরকে যারা সমালোচনা করবে তাদেরকে ঘৃণা করতে হবে। কৌশলের নামে সুন্নতকে বাদ দেয়া যাবে না। ঈমানকে মজবুত করতে পারলে জয় আসবে। জিকির ও ফিকিরে থাকতে হবে। রুহানিয়াতকে বাদ দিয়ে কোন জিহাদ আমরা চাইনা। রুহানিয়াত ছাড়া জেহাদ হয় না এটা হবে সন্ত্রাস। আমাদের ইসলামী হুকুমত কায়েম করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ধ্বংসস্তূপের উপরে কিছু হতে পারে না। যে কারণে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমরা চাই। কারো ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ থাকতে হবে।

    সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে ৫০৫ টি আসন রাখা হয়েছে। আমি মহিলাদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসন চাই না। এক কক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সকল নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো অথচ অন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো না। বিএনপি নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলে ছাত্র জনতার অর্জনকে ধ্বংস করতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাঁদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এখন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ৫৩ বছরে ফ্যাসিস্টের উত্থান ও পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনমতের কোন প্রতিফলন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা দ্বি-কক্ষ চাইনা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। আগামীদিনে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চাইলে পিআর পদ্ধতি দিন। অন্যথায় আন্দোলন করে পিআর পদ্ধতি ছাত্র জনতা আদায় করবে।

    মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, ইসলাম এসেছে আওলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে। সকল পীর মাশায়েখদেরকে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের কোথায় কোথায় ফ্যাসিস্টদের সহযোগী আছে তাদের তালিকা হওয়া দরকার। পিআর বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচন হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,
    অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র ঠিক করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলো তাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে। বিগত দিনে যারা ৩/৪ বার ক্ষমতায় ছিলো তারা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তাদের অতীত চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। তারা উপর থেকে যে কথা বলেন তাদের কথা তৃণমূলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা অপরিকল্পিত রাষ্ট্র পরিচালনা করে না। আশাকরি আপনারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। ইসলামী দলের নেতারা আগামী দিনে যাতে দুর্নীতিবাজদের সহযোগী না হন সে জন্য অনুরোধ করছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে শোষণ করেছে। নব্য চাঁদাবাজ ও দখলদাররা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পথে যাবে।

    জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিলো তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, ১৯ জুলাই ২০২৪ ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছে। সে থেকে আমরা ফ্যাসিস্টদের উৎখাত করে ঘরে ফিরেছি। তিনি যুব নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্র ভিত্তিক শক্তিবৃদ্ধির আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচনে আমার ভোট কেউ ছিনতাই করতে চায় তবে দেশের যুব সমাজ তাদের চোখ তুলে দিবে।

  • ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

    ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ভারত সরকারের মদদে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারতকে বাংলাদেশের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ভারত তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় বাংলাদেশের উপর ক্ষেপে গেছে। বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের স্বার্থে সবকিছু করে দেশকে গিলে খাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল। দেশ ভারতের রাহু মুক্ত হয়েছে। ভারতের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ে এখন আর কিছু হচ্ছে না। তাই ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন পায়ে পারা দিয়ে যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। উগ্রবাদী ইসকনকে দিয়ে সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে উস্কানী দিচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন হাইকমিশন, উপ-হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা ছিঁড়ে চরম অসভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন ও কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, মুসলমানদের হত্যা করে দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে ভারত। কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদের মত অসভ্য নয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছে। মুসলমানরা ক্ষেপে গেলে জালিমদের রক্ষা হবে না।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশ বিরোধী ভারতীয় উস্কানীর প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, উত্তর সেক্রেটারী মাওলানা আরফিুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারী ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ। দক্ষিণ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ ও উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ হাইকমিশনে এধরনের হামলা, পতাকা পুড়িয়ে ফেলা এবং কুটনৈতিকদের উপর আক্রমনের ঘটনাকে অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও উস্কানী আখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে ভারত থেকে সকল দূতাবাস গুটিয়ে ফেলতে হবে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, কলকাতা ও আগরতলায় ভারতের সরকার দলীয় উগ্র কর্মীরা বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা করে দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিগত ১৬ বছরে ভারতের অভিপ্রায়ে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছিল। হাসিনা জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। খুনি হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ভারতের মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক নিউজ প্রচার করছে। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে ভয় করিনা। এদেশে ১৬ কোটি যোদ্ধা ভারতের চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। ইসকন ভারতের উগ্রবাদী সংগঠন। ভারতের মদদে ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। বাংলাদেশের পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করায় দেশের আদালতে তার নামে মামলা হয়েছে। সে আলোককে চিন্ময়কে গ্রেফতার করা হলে ভারতের সংসদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি এটা কিসের আলামত?

    মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ভারত সরকারের প্রকাশ্য ইন্ধনে হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। লাল-সবুজের পতাকা ছিঁেড় ফেলা হয়েছে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ কুটনৈতিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভারত সরকারের মদদে প্রতিনিয়ত মসজিদ, মাদরাসা, মুসলমানদের দোকানপাঠ, বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলমান হত্যা করে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। সেই ভারত এখন আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বয়ান দিচ্ছে? তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে বলে ভারতের মিডিয়াগুলো অপপ্রচার করছে। বাংলাদেশে কোন জঙ্গি নেই। এটা খুনি হাসিনার সৃষ্টি। বাংলাদেশে আমরা সকলেই মিলেমিশে ভাই-ভাই হয়ে কাজ করছি।

    সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরাজয়ের পরে কসাই মোদি হাসিনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। হাসিনা ভারতে বসে বসে লাল-সবুজের বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের জনগণ ভারত বিরোধী নয়, যেমনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরোধী তেমনি কসাই মোদি বিরোধী। আগরতলা উপ-হাইকমিশনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

    পরে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টন মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।

  • লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল। গত ২৭ নভেম্বর’২৪ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ৩০ নভেম্বর’২৪ শনিবার সকাল ৮.৩০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
    • সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি। আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান। আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ২৭ নভেম্বর রাত ১১টায় খুলনা নিবাসী মোঃ আলতাফ হোসেন (৬৫) পিতা মৃত ইজহার আলী এবং একই তারিখ রাত ১০টায় রায়েরবাগ, ঢাকা নিবাসী রফিকুল ইসলাম (৬৩) পিতা সালামত উল্লাহ বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
    • চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় দুই সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
    • বার্তা প্রেরক:
      কে এম শরীয়াতুল্লাহ, সদস্য চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপ-কমিটি ০১৭৪১-৭৯০৫৩৩
  • ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসকনের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ তৈরির সকল পথ বন্ধ করতে হবে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, যে রক্তের মাধ্যমে জনগণ এ বিজয় পেয়েছে, তা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার এ মাটিতে আর আসতে পারবে না। এর মানে এই নয় যে নতুন করে ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না। এ জন্য এমন এক ব্যবস্থা আমাদের করে যেতে হবে, যাতে নতুন করে এ দেশে ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়। এ জন্যই সার্বিক বিবেচনায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই। এ নির্বাচন পদ্ধতিতেই দেশকে জালিমমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সম্ভব। তাছাড়া জাতীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করবেন বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছেন, জাতীয় সরকার কেবল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। কাজেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থা মেনে নিয়ে কাজ করুন।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, চট্টগ্রামে ইসকনের কর্মকান্ড দেখলে মনে হবে না যে, এটা বাংলাদেশ। ইসকন এত সাহস কোথা থেকে পেল। ইসকনের অত্যাচারে চট্টগ্রামে মুসলমানরা অতিষ্ঠ। শোনা যাচ্ছে ইসকন নেতা চিন্ময়কে কোর্টে তোলার পর উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীরা কোর্ট প্রাঙ্গণে তান্ডব চালায়। পুলিশের গাড়ির চাকা পাংচার করে, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং একজন মুসলমানকে হত্যা করার খবর শোণা যাচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের নেতাকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অরাজকতা সৃষ্টি করা কোনভাবেই মেনে নেয়ার যায় না। উগ্রবাদীদের তান্ডব আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলে ইসকন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিদেশের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করছে। তিনি উগ্রবাদী ইসকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।

    আজ পুরানা পল্টনস্থ দলের কার্যালয়ে চরমোনাই মাহফিল প্রস্তুতি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।

    ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কৃষি ফসলের লাভজনক দাম, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা, গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, অবিলম্বে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সময়ের দাবি।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা গতকাল ২২ নভেম্বর (জুমাবার) রাত ৯টায়, পশ্চিম ডিগলিয়াপালং ইসলামিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইউনিয়ন শাখার উপদেষ্টা মাওঃ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক হাফেজ নজির আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওঃ মুহাম্মদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সেক্রেটারী মাওঃ এম. জাহাঙ্গীর রফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচীব মাওঃ হাফেজ মির কাশেম, উপদেষ্টা মাওঃ নুর আহমদ, মাওঃ হাফেজ হারুনুর রশিদ, মাওঃ জামাল উদ্দিন প্রমূখ।

  • অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর- মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন অবৈধ আওয়ামী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

    অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    তিনি‌ বলেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যা বিস্ফোরণ হলে অবৈধ সরকারের নির্মম পতন হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের জনগণ ও সচেতন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম নিয়ে চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন ইসলামী চেতনা এই জাতির শিকরে প্রোথিত আছে। ইনশাআল্লাহর চেতনা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দেশীয় বোধ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি উঠিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ইসলামকে অপসারণ এর পায়তারা করছে। সকল সচেতন ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। ভিনদেশী চক্রান্ত হতে প্রিয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে।

    মহাসচিব- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন প্রশ্ন আসছে আমরা স্বাধীন না পরাধীন। শরীরের রক্ত বরাদ্দ করে দেশ ইসলাম ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে।

    যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন ভরা মৌসুমে চাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুর্ভিক্ষের বার্তা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট দেশকে আজ চরম সংকটের মুখোমুখি করে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অবৈধ সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন আমাদের সমাজ দেশের জনগণ ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময় পার করছে। ট্রান্সজেন্ডার এর মত ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী এজেন্ডা এবং দেশীয় বোধ বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম’২১ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। এভাবে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না।

    সম্মেলন শেষে পীরসাহেব চরমোনাই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ -এর নাম ঘোষণা করা হয়।

  • অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    আন্দরকিল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
    বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থার প্রর্বতনের দাবিতে আজ ২৭ অক্টোবর ২০২৩ (শুক্রবার) বাদ জুমা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলমের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সদস্য, আলহাজ¦ আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল বারী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতী ইমদাদুল্লাহ কাবীর ভূঁইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল আলম চৌধুরী শরীফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদ আল হাবিবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনগণ স্বধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করার কারণে জাতি আজ স্বাধীনতার সুফল থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি, শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি, অধিকার হরণ ও চরম জুুলুম-অত্যাচারে মানুষ আজ দিশেহারা, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটারাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এ অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার যা করেছে, তাতে স্বাধীনতার মর্ম বিচ্যুত হয়েছে। তাই, চট্টগ্রামবাসী ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের মতো আগামী ০৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মানুষের ভোটারাধিকার আদায়ের সমাবেশ সফল করার আহব্বান জানান।

  • ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামি রাজনৈতিক

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার
    তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই। ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারেরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতীর সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোনঠাষা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি বিদেশী চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। সমাবেশে ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ও ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

    আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সঞ্চালনায় সমাবেশের উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
    ছাত্র যুব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতী রেজাউল করীম আবরার।

    ছাত্রযুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ জুয়েল রাশেদ ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ মারুফ, মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতী আব্দুজজাহের আরেফী, মুফতী কাওছার বাঙ্গালী, মুফতী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালি হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদেরকে রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধীকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এদেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, সরকার দূর্নীতির টাকায় খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে নিজেদেরেকে বাঘ মনে করছে, কিন্তু তারা জানে না শিকারেরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে বাঘও তখন পরাজিত হয়।

    প্রিন্সিপ্যাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো তাদের শুভবুদ্দির উদয় হয়নি। ভাল চাইলে জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় হন, নচেৎ টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আজকে শুধু ছাত্র আর যুবকদের শক্তিমত্তার ধারণা দেয়া হল, এতেই সরকারের ভিতর কম্পন শুরু হয়ে যাবে।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা নাকি বোঝেন না দেশের মানুষ তাকে কেন চায় না। তিনি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন, ছয় শতাধিক লোককে গুম করেছেন, বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে অসংখ্য লোককে

    দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় শতশত মায়ের বুক খালি করেছেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতি করেছেন, এজন্য দেশার জনগণ তাকে চায় না। সরকারের পতন অনিবার্য। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের কথা বলে, অথচ তারা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসি বা একদিনের ভোটের সংস্কৃতিটা পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়ছে। এই সরকার স্বৈরাচারি শাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের ফলে এখন দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মূলত এদেশের উন্নয়নের জন্য আসেনি, সে এসেছে তার পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু সে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আপোস করে নিরিহ জনগনকে হত্যা করে এর ঝাঁঝ মেটাচ্ছে। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তাই তার চরিত্র প্রমান করে। অতএব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশের জনগণ যা যা করা দরকার করবে ইনশাআল্লাহ।
    মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতায় নিহত ফিলিস্তিনের হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ নিহত হওয়ায় তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, হিংস্র হায়েনারা ফিলিস্তিনের স্বাধীন ভুমি দখল করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তিনিছাত্র ও যব সমাজকে আদর্শিকভাবে গড়ে উঠে জালিম শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
    অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। দেশের অর্থ দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার ভারত ও চীনের সহযোগিতায় ক্ষমতায় যেতে চায়। সরকারের সে খায়েশ পুরণ হবে না। সরকারের ২৫২জন বিভিন্ন আমলা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। আমেরিকা আবার এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি বিস্ফোরণযোগ্য আগ্নেয়গিরিতে রুপান্তরিত হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে এটা বিস্ফোরিত হবে। ওবায়দুল কাদের সাহেব শুধু বলেন, খেলা হবে খেলা হবে, আমরা বলি ফাইনাল খেলা হবে নভেম্বরে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন দেশপ্রেম ধারন করে জনগণের সাথে আছে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, দেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। আওয়ামী দুঃসাশনে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনতাকামী মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছিলাম, শাসকগোষ্ঠী তা বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই সরকারকে এজেদের জনগণ আর টলারেড করবে না। বায়ান্ন, উনসত্তর ও একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের যুব ও ছাত্র সমাজ গর্জে ওঠেছে। আজকের এই লাখো জনতার প্রতিবাদী হুংকারে যদি গণভবনের গতি না ফিরে তাহলে গতি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা আমরাই করব ইনশাআল্লাহ।

  • সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্ক

    সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজন
    দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে- মিরপুর ঈদগাঁহ মাঠে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ, অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশের ইউনিয়ন সমূহে সদস্য সম্মেলন ঘোষণা ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটা দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে। এই ভয়াবহ সংঘাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে কেবল জাতীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পরবে। ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস হবে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী শিক্ষা ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। পীর সাহেব চরমোনাই সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকে চরম খেষারত দিতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশে ইউনিয়ন ইউনিয়নে সদস্য সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুর-১ ঈদগাঁহ মাঠে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

    নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে নগর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দীন, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল, ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে এর বিকল্প নেই। জনগণ যেভাবে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে। আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাঁবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। পীর সাহেব বলেন, সরকার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলে সব সুরাহা করা যাবে। ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।

    মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, প্রশাসনের লোকেরা জনগণের কর্মচারী। আপনারা জনগণের অধিকার নষ্ট করবেন না। সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশ করতে বাধা দেবেন না। সব ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করুন, তবেই জনগণ আপনাদের ভালোবাসবে। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের নাগালে রাখার দাবি জানান। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের উপর চেপে বসেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশ দেউলিয়ার পথে। যে কোন সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পরবে। এমতাবস্থায় সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার দুই মেয়র কথার ফুলঝুড়িতে আছে, কোন কাজে নেই। মেয়রদ্বয় চরমভাবে ব্যর্থ। দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি। নগরবাসীকে এরা ডেঙ্গু ফেলে দিয়ে এরা নিজেরা বাঁচতে বিদেশে পাড়ি দেয়। এরা জনগণের মেয়র নয়। এরা বুর্জোয়া, নগরবাসী এদেরকে আর মেয়রের আসনে দেখতে চায় না।