Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর- মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন অবৈধ আওয়ামী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

    অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    তিনি‌ বলেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যা বিস্ফোরণ হলে অবৈধ সরকারের নির্মম পতন হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের জনগণ ও সচেতন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম নিয়ে চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন ইসলামী চেতনা এই জাতির শিকরে প্রোথিত আছে। ইনশাআল্লাহর চেতনা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দেশীয় বোধ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি উঠিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ইসলামকে অপসারণ এর পায়তারা করছে। সকল সচেতন ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। ভিনদেশী চক্রান্ত হতে প্রিয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে।

    মহাসচিব- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন প্রশ্ন আসছে আমরা স্বাধীন না পরাধীন। শরীরের রক্ত বরাদ্দ করে দেশ ইসলাম ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে।

    যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন ভরা মৌসুমে চাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুর্ভিক্ষের বার্তা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট দেশকে আজ চরম সংকটের মুখোমুখি করে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অবৈধ সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন আমাদের সমাজ দেশের জনগণ ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময় পার করছে। ট্রান্সজেন্ডার এর মত ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী এজেন্ডা এবং দেশীয় বোধ বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম’২১ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। এভাবে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না।

    সম্মেলন শেষে পীরসাহেব চরমোনাই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ -এর নাম ঘোষণা করা হয়।

  • অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন,আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    আন্দরকিল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
    বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থার প্রর্বতনের দাবিতে আজ ২৭ অক্টোবর ২০২৩ (শুক্রবার) বাদ জুমা, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলমের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী আলহাজ¦ আল মুহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সদস্য, আলহাজ¦ আবুল কাশেম মাতাব্বর, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল বারী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতী ইমদাদুল্লাহ কাবীর ভূঁইয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, নগর কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল আলম চৌধুরী শরীফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদ আল হাবিবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনগণ স্বধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করার কারণে জাতি আজ স্বাধীনতার সুফল থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি, শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি, অধিকার হরণ ও চরম জুুলুম-অত্যাচারে মানুষ আজ দিশেহারা, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটারাধিকার থেকে বঞ্চিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনেও এ অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার যা করেছে, তাতে স্বাধীনতার মর্ম বিচ্যুত হয়েছে। তাই, চট্টগ্রামবাসী ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের মতো আগামী ০৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মানুষের ভোটারাধিকার আদায়ের সমাবেশ সফল করার আহব্বান জানান।

  • ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামি রাজনৈতিক

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার
    তালবাহানা করে এবার রেহাই নাই স্মরণকালের বৃহত্তর ছাত্র যুব সমাবেশে-পীর সাহেব চরমোনাই। ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারেরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতীর সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোনঠাষা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি বিদেশী চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। সমাবেশে ৩ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ ও ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

    আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম দক্ষিণ গেটে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী যুব আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সঞ্চালনায় সমাবেশের উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
    ছাত্র যুব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুফতী রেজাউল করীম আবরার।

    ছাত্রযুব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ জুয়েল রাশেদ ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ মারুফ, মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী, মুফতী আব্দুজজাহের আরেফী, মুফতী কাওছার বাঙ্গালী, মুফতী আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালি হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদেরকে রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধীকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এদেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, সরকার দূর্নীতির টাকায় খেয়েদেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে নিজেদেরেকে বাঘ মনে করছে, কিন্তু তারা জানে না শিকারেরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে বাঘও তখন পরাজিত হয়।

    প্রিন্সিপ্যাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো তাদের শুভবুদ্দির উদয় হয়নি। ভাল চাইলে জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় হন, নচেৎ টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। আজকে শুধু ছাত্র আর যুবকদের শক্তিমত্তার ধারণা দেয়া হল, এতেই সরকারের ভিতর কম্পন শুরু হয়ে যাবে।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা নাকি বোঝেন না দেশের মানুষ তাকে কেন চায় না। তিনি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন, ছয় শতাধিক লোককে গুম করেছেন, বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে অসংখ্য লোককে

    দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় শতশত মায়ের বুক খালি করেছেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দূর্নীতি করেছেন, এজন্য দেশার জনগণ তাকে চায় না। সরকারের পতন অনিবার্য। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের কথা বলে, অথচ তারা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসি বা একদিনের ভোটের সংস্কৃতিটা পর্যন্ত নষ্ট করে দিয়ছে। এই সরকার স্বৈরাচারি শাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের ফলে এখন দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, শেখ হাসিনা মূলত এদেশের উন্নয়নের জন্য আসেনি, সে এসেছে তার পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু সে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আপোস করে নিরিহ জনগনকে হত্যা করে এর ঝাঁঝ মেটাচ্ছে। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তাই তার চরিত্র প্রমান করে। অতএব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে দেশের জনগণ যা যা করা দরকার করবে ইনশাআল্লাহ।
    মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতায় নিহত ফিলিস্তিনের হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ নিহত হওয়ায় তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, হিংস্র হায়েনারা ফিলিস্তিনের স্বাধীন ভুমি দখল করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তিনিছাত্র ও যব সমাজকে আদর্শিকভাবে গড়ে উঠে জালিম শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
    অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। দেশের অর্থ দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার ভারত ও চীনের সহযোগিতায় ক্ষমতায় যেতে চায়। সরকারের সে খায়েশ পুরণ হবে না। সরকারের ২৫২জন বিভিন্ন আমলা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। আমেরিকা আবার এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি বিস্ফোরণযোগ্য আগ্নেয়গিরিতে রুপান্তরিত হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে এটা বিস্ফোরিত হবে। ওবায়দুল কাদের সাহেব শুধু বলেন, খেলা হবে খেলা হবে, আমরা বলি ফাইনাল খেলা হবে নভেম্বরে ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন দেশপ্রেম ধারন করে জনগণের সাথে আছে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, দেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। আওয়ামী দুঃসাশনে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ত্রিশ লক্ষ স্বাধীনতাকামী মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছিলাম, শাসকগোষ্ঠী তা বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই সরকারকে এজেদের জনগণ আর টলারেড করবে না। বায়ান্ন, উনসত্তর ও একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের যুব ও ছাত্র সমাজ গর্জে ওঠেছে। আজকের এই লাখো জনতার প্রতিবাদী হুংকারে যদি গণভবনের গতি না ফিরে তাহলে গতি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা আমরাই করব ইনশাআল্লাহ।

  • সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্ক

    সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজন
    দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে- মিরপুর ঈদগাঁহ মাঠে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ, অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশের ইউনিয়ন সমূহে সদস্য সম্মেলন ঘোষণা ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটা দেশকে ভয়াবহ সংঘাতে নিয়ে যাবে। এই ভয়াবহ সংঘাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে কেবল জাতীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা হুমকিতে পরবে। ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস হবে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী শিক্ষা ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। পীর সাহেব চরমোনাই সংঘাত থেকে দেশকে রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, দেশ ভয়াবহ সংঘাতের মুখে নিপতিত। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচন কমিশনকে চরম খেষারত দিতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই ৭ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ছাত্র যুব-সমাবেশ এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে সারাদেশে ইউনিয়ন ইউনিয়নে সদস্য সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুর-১ ঈদগাঁহ মাঠে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

    নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে নগর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দীন, ছাত্রনেতা শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী সিরাজুল, ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে এর বিকল্প নেই। জনগণ যেভাবে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

    তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে। আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাঁবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। পীর সাহেব বলেন, সরকার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলে সব সুরাহা করা যাবে। ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।

    মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, প্রশাসনের লোকেরা জনগণের কর্মচারী। আপনারা জনগণের অধিকার নষ্ট করবেন না। সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশ করতে বাধা দেবেন না। সব ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করুন, তবেই জনগণ আপনাদের ভালোবাসবে। তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের নাগালে রাখার দাবি জানান। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বর্তমান সরকার জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের উপর চেপে বসেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশ দেউলিয়ার পথে। যে কোন সময় দেশ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পরবে। এমতাবস্থায় সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার দুই মেয়র কথার ফুলঝুড়িতে আছে, কোন কাজে নেই। মেয়রদ্বয় চরমভাবে ব্যর্থ। দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি। নগরবাসীকে এরা ডেঙ্গু ফেলে দিয়ে এরা নিজেরা বাঁচতে বিদেশে পাড়ি দেয়। এরা জনগণের মেয়র নয়। এরা বুর্জোয়া, নগরবাসী এদেরকে আর মেয়রের আসনে দেখতে চায় না।

  • জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীরা দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকারের পতন হওয়া উচিত। আগামীতে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরো ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পরবে। কাজেই দেশের জন্যই সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে গেছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। প্রশাসনের সর্বত্র একচ্ছত্র দলীয়করণ চলছে।

    আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব, রাষ্ট্রের সকল স্তর দুর্নীতিমুক্ত করন, দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অশ্লীলতা বেহায়াপনামুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী গড়ে তোলা, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত কক্সবাজার শহর বিনির্মাণ, কক্সবাজারকে মাদক, সন্ত্রাসী, চুরাকারবারী ও ইয়াবা মুক্তকরণের দাবীতে এ বিশাল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব আল মুহাম্মাদ ইকবাল, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আল্লামা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক। জেলা উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ আমিন, মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আলজাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টর, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, মুহাম্মদ জুনাইদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
    কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম ও জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রভাষক রাশেদ আনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি, স্বস্তি ও নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের দাবি হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। তাই অনতিবিলম্বে জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে মজলুম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।

  • জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গুনেধরা রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজন মহানবীর সীরাতের বাস্তবায়ন। সমাজে বিদ্যমান, অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুনসহ সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ জুলুমের শিকার হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না, সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের পকেট কাটা হবে না। রাতারাতি কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনবে না।

    তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। দেশ-বিদেশের কোথাও তাদের ঠাই হয়নি।

    অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সীরাত সম্মেলনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, সীরাত ক্যাম্পেইন, বিশ্বজয়ী হাফেজ কারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত একথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গণমানুষের উপচেপড়া ভীর ও সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করি। অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারের অধীনেই আগামি নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে এদেশের মানুষ দেবে না। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি আসবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করতে বদ্ধপরিকর।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা কারী মাসউদুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, হাফেজ মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ, মাওলানা আল আমীন সোহাগ, মুফতী আমির হোসাইন, মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াস প্রমুখ।

  • ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জনগন ভোট ডাকাতদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। তিনি বলেন,এ অবস্থা সরকার সৃষ্টি করে প্রশাসনকে দলীয়কাজে ব্যবহার করছে। সাংবিধানিক বিভাগগুলোকে সরকার নিজেদের স্বার্থে যা ইচ্ছে ব্যবহার করছে। সর্বত্র দলীয়করণে সরকার সকল ইতিহাস ব্রেক করছে। কাজেই সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সরে দাড়ালেই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।

    আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শরীয়তপুর সদর থানা শাখা আয়োজিত থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    থানা সভাপতি, মাওলানা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি, তানভীর আহমেদ বেলাল মোল্লার সঞ্চালনায় শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়াম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষকে মারা হলো। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

    আজ ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশীরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।

    আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্িরতষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন র্ঊধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রেীয় উপদষ্টো প্রফসের ড. আফম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরফিুল ইসলাম রিয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

    লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ :

    ১. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন দিতে হবে।

    ২. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।

    ৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রর্বতন করতে হবে।

    ৪. দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জডি়তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। লোডশেডিং-এর অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

    ৫. অবিলম্বে বিনা বিচারে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

    ৬. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    ৭. চট্টগ্রাম সিটির ভিতরে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

    ৮. ডেঙ্গু দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এই মহামারী থেকে জনগনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত ৯ আগস্ট রাতে লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হয়েছে। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় নিহতদের প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং লিবিয়ান সরকার ও নাগরিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা শিগগিরই যেন আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করেন। লিবিয়ান সরকার ও জনগণ এ শোক ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।

  • জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে, জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা অবৈধ সরকারের পতন চায়। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিও টিকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ২৮জুলাই শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা না থাকায় জীবন এখন বিষিয়ে উঠেছে, অথচ সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, একটি স্বাধীন দেশের চিত্র এটা হতে পারে না।
    সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলসমূহের ন্যায্য আন্দোলনে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না। বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইলে তা আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মারুফের উপস্থাপনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসাইন, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একদল জালেম আরেক দল মাজলুম। অধিকাংশ মানুষ মাজলুম আর কতিপয় সরকারী সুবিধাভোগী দেশবিরোধী লোক জালেম। আওয়ামী সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ। এই অশুভ শক্তির নাগপাশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকার বারবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের বাজার অশান্ত করে গরীব মেহনতি মানুষের পেটে লাত্থি মেরেছে, মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ সরকার। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে, আওয়ামীলীগ গণবিচ্ছিন্ন সরকার। সুতরাং বিদেশের কাছে ধর্ণা দিয়ে যদি তারা ফের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন হবে দিবাস্বপ্ন। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশে আমরা কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করব না।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবাদের যে দ্রোহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সরকার পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। এতেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হয় আমাদের তা জানা আছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নচেৎ সরকার পতন আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচিতে ইসলামী যুব আন্দোলন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।