Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে, জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা অবৈধ সরকারের পতন চায়। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিও টিকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ২৮জুলাই শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা না থাকায় জীবন এখন বিষিয়ে উঠেছে, অথচ সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, একটি স্বাধীন দেশের চিত্র এটা হতে পারে না।
    সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলসমূহের ন্যায্য আন্দোলনে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না। বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইলে তা আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মারুফের উপস্থাপনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসাইন, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একদল জালেম আরেক দল মাজলুম। অধিকাংশ মানুষ মাজলুম আর কতিপয় সরকারী সুবিধাভোগী দেশবিরোধী লোক জালেম। আওয়ামী সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ। এই অশুভ শক্তির নাগপাশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকার বারবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের বাজার অশান্ত করে গরীব মেহনতি মানুষের পেটে লাত্থি মেরেছে, মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ সরকার। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে, আওয়ামীলীগ গণবিচ্ছিন্ন সরকার। সুতরাং বিদেশের কাছে ধর্ণা দিয়ে যদি তারা ফের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন হবে দিবাস্বপ্ন। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশে আমরা কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করব না।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবাদের যে দ্রোহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সরকার পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। এতেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হয় আমাদের তা জানা আছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নচেৎ সরকার পতন আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচিতে ইসলামী যুব আন্দোলন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

  • ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের পতন আজ অনিবার্য হয়ে গেছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের অধিকার নেই। ভোটের অধিকার অনেক আগেই কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন বাক-স্বাধীনতাও কেড়ে নিচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিক অধিকারও কেড়ে নিয়ে ঘরোয়া কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে। সরকারের জনসমর্থন এখন তলানীতে। সরকার চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ আজ বাঘ-সিংহের ভুমিকায়। কিন্তু জনগণ একত্রিত হলে লেজগুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। সরকারদলীয় নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা ফেরাউনের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, নমরুদ, ফেরাউন ক্ষমতাধররাও টিকেনি, আপনাদেরও পতন অনিবার্য। তিনি বলেন, মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ, ভাল চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করুন।

    আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয় চত্বরে মোড়েলগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, যুবনেতা হাফিজুল হক ফাইজ, মুফতী শওকত ওসমান, পারভেজ মিয়া, সিয়াম, কাওছার মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

    পীর সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঠিকমতো ভ্যাট-ট্যাক্সও দেয় না, অথচ সব সুযোগ ভোগ করে তারা। তিনি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে করার সুযোগ দিয়ে দেশকে সংঘাতপূর্ণ অবস্থা থেকে রক্ষা করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মোড়েলগঞ্জে দলের নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম এর ঘরোয়া কর্মসূচিতে বাধা এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবার ইঙ্গিত। অতিউৎসাহী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, বিশেষ কোন দলের কর্মচারি নন। হিসেবে-নিকাশ করে কাজ করুন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় পুনরায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এজন্য জনগণের লাশের উপর দিয়ে হলেও ক্ষমতা শেখ হাসিনার চাই। ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যে দেশকে অনিশ্চিয়তার দিকে নিয়ে যাবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের মানুষ নানা সঙ্কট ভোগ করছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করলেও সরকারের কোন কর্মসূচি নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশকে অকার্যকর করে বিচার ও আইন বিভাগকে ধ্বংস করেছে। নির্বাহী বিভাগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকেও ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ বার বার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। অথচ তারাই নিজেদের স্বার্থে বার বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

    মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, অর্থ লুট-পাট, দুর্নীতি, দুঃশাসন, অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মানুষ মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা বঞ্চিত।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের প্রশাসনের লোকজন কাকে কিভাবে সম্মান করতে হয়, তা জানে না। একজন শীর্ষ আলেমের সাথে বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ মেনে নেয়া যায় না। দুর্নীতি, ঘুষ, চুরি-ডাকাতির উন্নয়ন হয়েছে। সর্বত্র ঘুষ ও দুর্নীতিতে সয়লাব।
    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ বলছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচির দিন আপনারা কেন সমাবেশ করবেন? তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করলে আমরা কেন পারবো না? তিনি বলেন, বড় দলগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনও রাজপথে শক্তি প্রদর্শণ করবে, ইনশাআল্লাহ।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করলে বাক-স্বাধীনতার প্রতিফলন হয় না। দেশে একটি অবৈধ সরকার জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। তিনি অবৈধ সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

  • ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানালেন ইসলামী আন্দোলন

    ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানালেন ইসলামী আন্দোলন

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আগামী ১লা এপ্রিল ২০২৩ শনিবার, বিকাল তিনটা হতে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ বেপারী পাড়া আব্দুল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই ইফতার মাহফিল। এ বছর ভিন্নভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের নগর নেতৃবৃন্দকে এক মঞ্চে বসিয়ে রাজনৈতিক সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন দলটি। ইতিমধ্যে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং সরকারে থাকা আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরো দাওয়াত গ্রহণ করেছেন, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলসমূহের মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামিক ফ্রন্ট এবং এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ।
    গত২৭ মার্চ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন এর কাছে দাওয়াত নিয়ে যান, তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেন এবং ইফতার মাহফিলে আসবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মোহাম্মদ ইকবাল, নগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলামসহ নগর বিএনপি এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
    ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাসির উদ্দিনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যান ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম ৮ আসনের সদ্য নমিনেশন পাওয়া হাসান আল মামুন ও কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ হাসনিসহ আওয়ামী লীগের নগর নেতৃবৃন্দ।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলার ২০২৩-২৪ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলার ২০২৩-২৪ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    সভাপতি- মাওলানা আব্দুল হামিদ
    সহ-সভাপতি- মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস
    সহ-সভাপতি- মাওলানা জাহিদুল হক
    সহ-সভাপতি- মাওলানা ওমর ফারুক জিরভী
    সেক্রেটারী- মাওলানা হাফেজ আবুল কালাম
    জয়েন্ট সেক্রেটারী- মাওলানা হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক রহমানী
    এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী- মুহাম্মাদ আবছার হোসেন
    সাংগঠনিক সম্পাদক- মুহাম্মাদ মারুফুল ইসলাম
    প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক- মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির
    দপ্তর সম্পাদক- মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ খালেদ
    অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক – মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ
    প্রশিক্ষণ সম্পাদক – মাওলানা আবু তৈয়ব
    শিক্ষা ও সাংস্কৃতি সম্পাদক – হাফেজ মাওলানা শরীফুল ইসলাম
    আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক- মাওলানা মোদ্দাচ্ছির সাহেব
    কৃষি ও শ্রম বি. সম্পাদক- নুরুল আবছার
    মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক- হাফেজ ইসমাইল সাহেব
    ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – হাফেজ মামুনুর রশীদ
    মুক্তিযোদ্ধা বি. সম্পাদক- মুহাম্মাদ ওসমান
    সংখ্যালঘু বি. সম্পাদক – মুহাম্মাদ মুহিব্বুল্লাহ
    শিল্প ও বানিজ্য বি. সম্পাদক – মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন
    স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বি. সম্পাদক – মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান
    সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – মুহাম্মাদ হুসাইন
    সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক – মাওলানা নাজিম উদ্দীন আনসারী
    সহ-দপ্তর সম্পাদক – হাফেজ রিফাতুল ইসলাম
    সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক – হাফেজ আব্দুল্লাহ
    সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক – মাওলানা জহিরুল ইসলাম
    সদস্য – মুহাম্মাদ শফিক
    সদস্য – মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম
    সদস্য – মুহাম্মদ জুয়েল
    সদস্য – মুহাম্মদ রিফাত
    সদস্য – মুহাম্মাদ বাদশা মিয়া
    সদস্য – মুহাম্মাদ আনিছ
    সদস্য – মুহাম্মদ আকিব
    সদস্য – মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

  • ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধারে ওলামায়ে কেরামের করনীয় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ২০ শে ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার বেলা ২ টা থেকে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আরফাত হোসাইনের সভাপতিত্বে ‘সেমিনার ও নবীন আলেম সংবর্ধনা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর আল্লামা ডঃ বেলাল নূর আজিজী
    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ইউসুফ আহমাদ মানসুর।

    এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম (১৬)বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে হাতপাখা পতিকে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও হালিশহর জামিয়া বাইতুল কারিম মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমেদ আনসারী, ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও খতিব আল্লামা ড. শুয়াইব রশিদ মাক্কীসহ জেলা ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ইসলাম ও ধর্ম বিরোধী পাঠ্য বই বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে-আল্লামা আবদুল আউয়াল

    ইসলাম ও ধর্ম বিরোধী পাঠ্য বই বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে-আল্লামা আবদুল আউয়াল

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিজ্ঞ প্রফেসর ডারউইনের বিবর্তন মতবাদকে অবৈজ্ঞানিক এবং অযৌক্তিক বলে প্রমাণ করেছেন। ইতিমধ্যে রোমানিয়া, সাউথ কোরিয়া, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, বৃটেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে সিলেবাস থেকে এই থিউরি বাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা; যা ক্যামব্রিজ ইউনির্ভাসিটির সিলেবাস অনুযায়ী প্রবর্তিত, সেখানে এ লেভেল পযন্ত এই বিবর্তনের উল্লেখই নেই। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ অনুশীলনী বইয়ে বিবর্তনবাদের ইতিহাস উল্লেখ করে বানর থেকে ধারাবাহিকভাবে মানুষে রুপান্তর হওয়ার অবৈজ্ঞানিক এবং অবান্তর চিত্র দেখানো হয়েছে। বিবর্তনবাদ নিয়ে নুতন করে বলার কিছু নেই। এটা স্পষ্টত ইসলামসহ বিশ্বের সকল ধর্মের মৌলিক ধারণার বিরুদ্ধে। এই বিবর্তনবাদকে বাংলাদেশের কোমলমতি বাচ্চাদের মনে চাপিয়ে দেয়া আদতে কোন বিজ্ঞান চর্চা না বরং ইসলাম ও ধর্ম বিরোধী একটি এজেন্ডা। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই ধরণের কোন বিতর্কিত ধারণা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিখতে দেয়া যাবে না।

    আজ ০৩ ফেব্রæয়ারী ২০২৩ইং শুক্রবার, বাদ জুমা, চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের উত্তর গেইটে ওয়াসা চত্বরে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল।

    সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতাব্বর, সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইমদাদুল কবির ভূঁইয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি, শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, নগর সংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিল, চট্টগ্রাম মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, মুফতী ইবরাহীম আনোয়ারী, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম শাহীন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ শরীফ চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন শিপন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি আরো বলেন, সাম্প্রতি সুইডেনে ও নেদারল্যান্ডে যেভাবে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার প্রতি আঘাত করা হয়েছে তা অকল্পনীয়। কোন সভ্য সমাজে এই ধরণের আচরণ চিন্তাও করা যায় না। ইসলামের সাথে পশ্চিমাদের আচরনে এটা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ইউরোপ আজো মধ্যযুগীয় সংকীর্ণ চিন্তা থেকে বের হতে পারেনি। সুইডেনে ও নেদারল্যান্ডে যা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যে, সুইডেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোড়ালো প্রতিবাদ জানাতে হবে।
    জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওয়াসা চত্বর থেকে লালখানবাজার হয়ে দেওয়ানহাট মোড়ে গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মিছিল সমাপ্ত করা হয়।

  • আগামীতে ইসলামই হবে বিজয়ী শক্তি-অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমেদ, মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    আগামীতে ইসলামই হবে বিজয়ী শক্তি-অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমেদ, মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    আজ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩ ঘটিকা হতে, নগরীর দেওয়ানাস্থ আল ইসহাক অডিটরিয়ামে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি, আলহাজ্ব মোঃ জান্নাতুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে নগর সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, আল্লামা ডক্টর বেলাল নূর আজিজ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, বামুক চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাতব্বর, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি, মাওলানা আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি, শিক্ষক নেতা দিদারুল মাওলা, বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম জেলা সেক্রেটারি, মোহাম্মদ মীর আহমদ,ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি, মাওলানা ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি, মাওলানা আব্দুল আলী কারীমী, সেক্রেটারি মোঃ ফুরকান শিকদার, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি, মোহাম্মদ নবাব মিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি, তাজুল ইসলাম শাহীন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি, ছাত্রনেতা মোঃ জিল্লুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

  • বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবে’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হবেন’ মর্মে রায় দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট এ রায়ে জানিয়েছে, যেসব সন্তানদের বাবার পরিচয় নেই তাদের অভিভাবক হিসাবে মায়ের নাম দিলে তা আইনত বৈধ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে রায়টি আপাতত মানবতাবাদী মনে হলেও আদতে এটা নারীর ওপর মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের আরেকটি অপকৌশল মাত্র। কারণ সন্তান জন্ম হওয়ার জন্য পুরুষের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কোন সন্তানই পুরুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া হতে পারে না। তাহলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু হয় কী করে? এই রায় পরোক্ষভাবে এটা অনুমোদন করে যে, সন্তান জন্ম দিয়েও পুরুষ তার দায়িত্ব্ব এড়াতে পারে। একই সাথে এই রায় পরোক্ষভাবে এটাও বলছে যে, পুরুষ-নারীর সম্মিলিত ফসল যে সন্তান, সেই সন্তানের দায়িত্ব এককভাবে নারীর ওপর যে চাপানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মুহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাসিবুল ইসলাম, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন প্রমুখ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এ ধরনের রায় দেশে জারজ সন্তান উৎপাদনের এক ধরনের অনুমোদন দিচ্ছে; যা দেশের ধর্মীয়-সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব অবিলম্বে এই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং পিতৃপরিচয়হীন সন্তান যাতে ভূমিষ্ট না হয় তার ব্যবস্থার নিতে হবে।

  • আত্মশুদ্ধি ছাড়া জীবনের পরিবর্তন সম্ভব না-পীর সাহেব চরমোনাই

    আত্মশুদ্ধি ছাড়া জীবনের পরিবর্তন সম্ভব না-পীর সাহেব চরমোনাই

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    নিজেকে ইসলামের পথে পরিচালনা করতে , এবং আলোকিত সমাজ গড়তে আত্মশুদ্ধি ছাড়া সম্ভব না। আগে নিজেকে শুধরাতে হবে, তারপর সমাজ, তারপর রাষ্ট্র। ইবাদতের পূর্বশর্ত আত্মশুদ্ধি করা, যার মধ্য দিয়ে অহংকার, হিংসা এবং আমিত্ব দূর হয়।

    বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠের তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির এর আজ ৬ই জানুয়ারি ২০২৩ দ্বিতীয় দিনে জুমার পূর্বে বয়ান পেশ করেন মুজাহিদ কমিটির আমির আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

    উক্ত মাহফিলে আরো বয়ান পেশ করেন, চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল হেদায়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার, ডক্টর আ ফ মা খালিদ হোসাইন, ইসলামী চিন্তাবিদ, তরুণ বক্তা, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক মাওলানা মুফতি সাঈদ আহমদ, চট্টগ্রাম সেগুনবাগান মাদ্রাসার পরিচালক, মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।

    ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠের মাহফিল গত পাঁচই জানুয়ারি ২০২৩ বাদ জোহর আরম্ভ হয়। আগামী ৮ ই জানুয়ারি বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।

  • Untitled post 8284

    বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হলে চরমোনাই আর তাবলীগ এই দুই দলের দ্বারাই হবে-আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”
    উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম হাটহাজারীতে (১০ সেপ্টেম্বর২২) শনিবার বাদ এশা তিরমিজি (সানী) দরস দেন জামিয়ার সাবেক ২য় মোহতামিম আল্লামা আব্দুল ওয়াহহাব (রহঃ) এর সাহেবজাদা আল্লামা আহমদ দিদার কাসেমী (দাঃবাঃ)

    হাদীসের দরস দেওয়ার মধ্যে এক হাদীস এসেছে যে রাসূল সাঃ বলেছেন ইসলাম যদি কায়েম করতে হয় তাহলে প্রথমে নিজের মধ্যে ইসলাম কায়েম করতে হবে এরপর নিজের ঘরে কায়েম করতে হবে এরপর বাহিরে।

    হাদিসের কথার সাথে কথা মিলিয়ে হুজুর বলেন যারা নিজের মধ্যে ইসলাম না রেখে অর্থাৎ নিজে দাড়ি টুপি নামাজ ইত্যাদি এগুলো কিছু না করে দেশে ইসলাম কায়েম করবো বলে মাঠে লাফান এদের দ্বারা পূর্বেও ইসলাম বিন্দু পরিমাণ কায়েম হয় নাই এখনো হচ্ছেনা সামনেও হবেনা।

    পক্ষান্তরে হাদীসের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে এই দুই দলের, চরমোনাই আর তাবলীগ, এদের নিজের মধ্যে এবং ঘরের মধ্যেও ইসলাম আছে এবং বাহিরেও চেষ্টা করতেছে, সুতরাং এদের দ্বারাই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।