Category: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন- কক্সবাজার সমাবেশে- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীরা দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকারের পতন হওয়া উচিত। আগামীতে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ আরো ভয়াবহ সঙ্কটে পরবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পরবে। কাজেই দেশের জন্যই সরকারের পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে গেছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। প্রশাসনের সর্বত্র একচ্ছত্র দলীয়করণ চলছে।

    আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব, রাষ্ট্রের সকল স্তর দুর্নীতিমুক্ত করন, দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অশ্লীলতা বেহায়াপনামুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নগরী গড়ে তোলা, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত কক্সবাজার শহর বিনির্মাণ, কক্সবাজারকে মাদক, সন্ত্রাসী, চুরাকারবারী ও ইয়াবা মুক্তকরণের দাবীতে এ বিশাল সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব আল মুহাম্মাদ ইকবাল, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য আল্লামা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক। জেলা উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ আমিন, মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আলজাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টর, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, মুহাম্মদ জুনাইদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
    কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম ও জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রভাষক রাশেদ আনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি, স্বস্তি ও নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের দাবি হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ। তাই অনতিবিলম্বে জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে মজলুম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।

  • জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গুনেধরা রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজন মহানবীর সীরাতের বাস্তবায়ন। সমাজে বিদ্যমান, অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুনসহ সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ জুলুমের শিকার হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না, সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের পকেট কাটা হবে না। রাতারাতি কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনবে না।

    তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। দেশ-বিদেশের কোথাও তাদের ঠাই হয়নি।

    অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সীরাত সম্মেলনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, সীরাত ক্যাম্পেইন, বিশ্বজয়ী হাফেজ কারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত একথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গণমানুষের উপচেপড়া ভীর ও সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করি। অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারের অধীনেই আগামি নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে এদেশের মানুষ দেবে না। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি আসবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করতে বদ্ধপরিকর।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা কারী মাসউদুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, হাফেজ মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ, মাওলানা আল আমীন সোহাগ, মুফতী আমির হোসাইন, মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াস প্রমুখ।

  • ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ভোট ডাকাতদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জনগন ভোট ডাকাতদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। তিনি বলেন,এ অবস্থা সরকার সৃষ্টি করে প্রশাসনকে দলীয়কাজে ব্যবহার করছে। সাংবিধানিক বিভাগগুলোকে সরকার নিজেদের স্বার্থে যা ইচ্ছে ব্যবহার করছে। সর্বত্র দলীয়করণে সরকার সকল ইতিহাস ব্রেক করছে। কাজেই সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সরে দাড়ালেই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।

    আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শরীয়তপুর সদর থানা শাখা আয়োজিত থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

    থানা সভাপতি, মাওলানা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি, তানভীর আহমেদ বেলাল মোল্লার সঞ্চালনায় শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়াম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে- চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানের সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। জনগণকে নির্যাতন করলে কোন বিচার হয় না। পুলিশের সদ্য অব্যাহতি দেওয়া এডিসি হারুনের হাতে বাংলাদেশের কত মানুষকে মারা হলো। তার ব্যাপারে তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ‘সোনার ছেলেদের’ মারার কারণে পদ থেকে সরে যেতে হলো। এ কি ন্যায়বিচার? এটা হলো সম্পূর্ণ দলীয়করণের বিচার।

    আজ ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকাররে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীম হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার যে নামেই হোক একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের দায়ভার শেখ হাসিনার। তাদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচনের কারণেই বিদেশীরা আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার সাহস পাচ্ছে।

    আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস হবে। দেশের স্বাধীনতা র্সাবভৌমত্ব বিপন্ন হবে। মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনের শাসন প্িরতষ্ঠা করতে হবে। প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন র্ঊধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রেীয় উপদষ্টো প্রফসের ড. আফম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরফিুল ইসলাম রিয়াদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মুজাহিদ সগীর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রফিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি শ্রমিকনেতা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

    লালদিঘীর সমাবেশ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ :

    ১. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন দিতে হবে।

    ২. প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।

    ৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রর্বতন করতে হবে।

    ৪. দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনদুর্ভোগ লাগব করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জডি়তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। লোডশেডিং-এর অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

    ৫. অবিলম্বে বিনা বিচারে র্দীঘদিন ধরে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

    ৬. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

    ৭. চট্টগ্রাম সিটির ভিতরে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

    ৮. ডেঙ্গু দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এই মহামারী থেকে জনগনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পীর সাহেব চরমোনাই

    লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের মাগফিরাত কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গত ৯ আগস্ট রাতে লিবিয়ায় ভয়াবহ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক লোক নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ ও আহত হয়েছে। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় নিহতদের প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং লিবিয়ান সরকার ও নাগরিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা শিগগিরই যেন আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করেন। লিবিয়ান সরকার ও জনগণ এ শোক ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ।

  • জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো শক্তিই টিকতে পারেনি আওয়ামীলীগের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতার দাম বেশি- পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে, জীবনের বিনিময়ে হলেও তারা অবৈধ সরকারের পতন চায়। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, জুলুম নির্যাতন করে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তিও টিকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও টিকতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
    ২৮জুলাই শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা না থাকায় জীবন এখন বিষিয়ে উঠেছে, অথচ সরকার উন্নয়নের ফাঁকা বুলি আওড়িয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, একটি স্বাধীন দেশের চিত্র এটা হতে পারে না।
    সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলসমূহের ন্যায্য আন্দোলনে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না। বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইলে তা আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করবে।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ মারুফের উপস্থাপনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসাইন, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, একদল জালেম আরেক দল মাজলুম। অধিকাংশ মানুষ মাজলুম আর কতিপয় সরকারী সুবিধাভোগী দেশবিরোধী লোক জালেম। আওয়ামী সরকারের জুলুম অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ। এই অশুভ শক্তির নাগপাশ থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকার বারবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের বাজার অশান্ত করে গরীব মেহনতি মানুষের পেটে লাত্থি মেরেছে, মানুষ খুন করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকারের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধ সরকার। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে, আওয়ামীলীগ গণবিচ্ছিন্ন সরকার। সুতরাং বিদেশের কাছে ধর্ণা দিয়ে যদি তারা ফের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন হবে দিবাস্বপ্ন। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশে আমরা কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাশত করব না।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রতিবাদের যে দ্রোহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সরকার পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। এতেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে কিভাবে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হয় আমাদের তা জানা আছে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, নচেৎ সরকার পতন আন্দোলনের যে কোনো কর্মসূচিতে ইসলামী যুব আন্দোলন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

  • ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে -ঢাকার প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের পতন আজ অনিবার্য হয়ে গেছে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষের অধিকার নেই। ভোটের অধিকার অনেক আগেই কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন বাক-স্বাধীনতাও কেড়ে নিচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিক অধিকারও কেড়ে নিয়ে ঘরোয়া কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে। সরকারের জনসমর্থন এখন তলানীতে। সরকার চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ আজ বাঘ-সিংহের ভুমিকায়। কিন্তু জনগণ একত্রিত হলে লেজগুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। সরকারদলীয় নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা ফেরাউনের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, নমরুদ, ফেরাউন ক্ষমতাধররাও টিকেনি, আপনাদেরও পতন অনিবার্য। তিনি বলেন, মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ, ভাল চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করুন।

    আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয় চত্বরে মোড়েলগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা, যুবনেতা হাফিজুল হক ফাইজ, মুফতী শওকত ওসমান, পারভেজ মিয়া, সিয়াম, কাওছার মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

    পীর সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঠিকমতো ভ্যাট-ট্যাক্সও দেয় না, অথচ সব সুযোগ ভোগ করে তারা। তিনি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে করার সুযোগ দিয়ে দেশকে সংঘাতপূর্ণ অবস্থা থেকে রক্ষা করুন।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মোড়েলগঞ্জে দলের নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম এর ঘরোয়া কর্মসূচিতে বাধা এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবার ইঙ্গিত। অতিউৎসাহী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পীর সাহেব বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, বিশেষ কোন দলের কর্মচারি নন। হিসেবে-নিকাশ করে কাজ করুন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় পুনরায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এজন্য জনগণের লাশের উপর দিয়ে হলেও ক্ষমতা শেখ হাসিনার চাই। ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যে দেশকে অনিশ্চিয়তার দিকে নিয়ে যাবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের মানুষ নানা সঙ্কট ভোগ করছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করলেও সরকারের কোন কর্মসূচি নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

    পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, আওয়ামী সরকার দেশকে অকার্যকর করে বিচার ও আইন বিভাগকে ধ্বংস করেছে। নির্বাহী বিভাগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকেও ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ বার বার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। অথচ তারাই নিজেদের স্বার্থে বার বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

    মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, অর্থ লুট-পাট, দুর্নীতি, দুঃশাসন, অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মানুষ মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা বঞ্চিত।

    মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের প্রশাসনের লোকজন কাকে কিভাবে সম্মান করতে হয়, তা জানে না। একজন শীর্ষ আলেমের সাথে বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ মেনে নেয়া যায় না। দুর্নীতি, ঘুষ, চুরি-ডাকাতির উন্নয়ন হয়েছে। সর্বত্র ঘুষ ও দুর্নীতিতে সয়লাব।
    মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ বলছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচির দিন আপনারা কেন সমাবেশ করবেন? তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করলে আমরা কেন পারবো না? তিনি বলেন, বড় দলগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে ইসলামী আন্দোলনও রাজপথে শক্তি প্রদর্শণ করবে, ইনশাআল্লাহ।

    সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করলে বাক-স্বাধীনতার প্রতিফলন হয় না। দেশে একটি অবৈধ সরকার জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। তিনি অবৈধ সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

  • ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানালেন ইসলামী আন্দোলন

    ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানালেন ইসলামী আন্দোলন

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আগামী ১লা এপ্রিল ২০২৩ শনিবার, বিকাল তিনটা হতে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ বেপারী পাড়া আব্দুল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই ইফতার মাহফিল। এ বছর ভিন্নভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের নগর নেতৃবৃন্দকে এক মঞ্চে বসিয়ে রাজনৈতিক সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন দলটি। ইতিমধ্যে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং সরকারে থাকা আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরো দাওয়াত গ্রহণ করেছেন, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলসমূহের মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামিক ফ্রন্ট এবং এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ।
    গত২৭ মার্চ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন এর কাছে দাওয়াত নিয়ে যান, তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেন এবং ইফতার মাহফিলে আসবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, নগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি আলহাজ্ব আল মোহাম্মদ ইকবাল, নগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলামসহ নগর বিএনপি এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
    ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাসির উদ্দিনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যান ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম ৮ আসনের সদ্য নমিনেশন পাওয়া হাসান আল মামুন ও কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ হাসনিসহ আওয়ামী লীগের নগর নেতৃবৃন্দ।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলার ২০২৩-২৪ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পূর্ব জেলার ২০২৩-২৪ সেশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    সভাপতি- মাওলানা আব্দুল হামিদ
    সহ-সভাপতি- মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস
    সহ-সভাপতি- মাওলানা জাহিদুল হক
    সহ-সভাপতি- মাওলানা ওমর ফারুক জিরভী
    সেক্রেটারী- মাওলানা হাফেজ আবুল কালাম
    জয়েন্ট সেক্রেটারী- মাওলানা হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক রহমানী
    এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী- মুহাম্মাদ আবছার হোসেন
    সাংগঠনিক সম্পাদক- মুহাম্মাদ মারুফুল ইসলাম
    প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক- মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবির
    দপ্তর সম্পাদক- মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ খালেদ
    অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক – মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ
    প্রশিক্ষণ সম্পাদক – মাওলানা আবু তৈয়ব
    শিক্ষা ও সাংস্কৃতি সম্পাদক – হাফেজ মাওলানা শরীফুল ইসলাম
    আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক- মাওলানা মোদ্দাচ্ছির সাহেব
    কৃষি ও শ্রম বি. সম্পাদক- নুরুল আবছার
    মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক- হাফেজ ইসমাইল সাহেব
    ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – হাফেজ মামুনুর রশীদ
    মুক্তিযোদ্ধা বি. সম্পাদক- মুহাম্মাদ ওসমান
    সংখ্যালঘু বি. সম্পাদক – মুহাম্মাদ মুহিব্বুল্লাহ
    শিল্প ও বানিজ্য বি. সম্পাদক – মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন
    স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বি. সম্পাদক – মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান
    সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক – মুহাম্মাদ হুসাইন
    সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক – মাওলানা নাজিম উদ্দীন আনসারী
    সহ-দপ্তর সম্পাদক – হাফেজ রিফাতুল ইসলাম
    সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক – হাফেজ আব্দুল্লাহ
    সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক – মাওলানা জহিরুল ইসলাম
    সদস্য – মুহাম্মাদ শফিক
    সদস্য – মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম
    সদস্য – মুহাম্মদ জুয়েল
    সদস্য – মুহাম্মদ রিফাত
    সদস্য – মুহাম্মাদ বাদশা মিয়া
    সদস্য – মুহাম্মাদ আনিছ
    সদস্য – মুহাম্মদ আকিব
    সদস্য – মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

  • ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে দুই শতাধিক নবীন আলেমকে সংবর্ধনা

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    ‘পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধারে ওলামায়ে কেরামের করনীয় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ২০ শে ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার বেলা ২ টা থেকে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আরফাত হোসাইনের সভাপতিত্বে ‘সেমিনার ও নবীন আলেম সংবর্ধনা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর আল্লামা ডঃ বেলাল নূর আজিজী
    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ইউসুফ আহমাদ মানসুর।

    এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,চট্টগ্রাম (১৬)বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে হাতপাখা পতিকে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও হালিশহর জামিয়া বাইতুল কারিম মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমেদ আনসারী, ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও খতিব আল্লামা ড. শুয়াইব রশিদ মাক্কীসহ জেলা ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।