Category: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ

  • কাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে।

    কাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আগামীকাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ০৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন অনুষ্ঠিত হবে। এবং ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: দুপুর ২ ঘটিকার দিকে কোট বাজার স্টেশনে বিজয়  র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

    পবিত্র কোরআন খতমের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ/ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ/ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন/ বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটিসহ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সকল হাফেজ আলেম সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল।

    অনুরোধক্রমে
    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
    উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্তি

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল। গত ২৭ নভেম্বর’২৪ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ৩০ নভেম্বর’২৪ শনিবার সকাল ৮.৩০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।
    • সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি। আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান। আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ২৭ নভেম্বর রাত ১১টায় খুলনা নিবাসী মোঃ আলতাফ হোসেন (৬৫) পিতা মৃত ইজহার আলী এবং একই তারিখ রাত ১০টায় রায়েরবাগ, ঢাকা নিবাসী রফিকুল ইসলাম (৬৩) পিতা সালামত উল্লাহ বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
    • চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় দুই সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
    • বার্তা প্রেরক:
      কে এম শরীয়াতুল্লাহ, সদস্য চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপ-কমিটি ০১৭৪১-৭৯০৫৩৩
  • অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে জনগণ- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন

    নিউজ ডেস্কঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর- মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন অবৈধ আওয়ামী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত যুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

    অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

    তিনি‌ বলেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যা বিস্ফোরণ হলে অবৈধ সরকারের নির্মম পতন হবে। পীর সাহেব চরমোনাই দেশের জনগণ ও সচেতন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম নিয়ে চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে আদর্শ‌ মানুষ প্রয়োজন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিটি কর্মীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও আদর্শের দিক থেকে উত্তম মানে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দ্বীন বিজয়ের সংগ্রামে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন ইসলামী চেতনা এই জাতির শিকরে প্রোথিত আছে। ইনশাআল্লাহর চেতনা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দেশীয় বোধ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি উঠিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ইসলামকে অপসারণ এর পায়তারা করছে। সকল সচেতন ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। ভিনদেশী চক্রান্ত হতে প্রিয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হবে।

    মহাসচিব- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন প্রশ্ন আসছে আমরা স্বাধীন না পরাধীন। শরীরের রক্ত বরাদ্দ করে দেশ ইসলাম ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব কে রক্ষা করতে হবে।

    যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন ভরা মৌসুমে চাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দুর্ভিক্ষের বার্তা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট দেশকে আজ চরম সংকটের মুখোমুখি করে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী অবৈধ সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

    কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন আমাদের সমাজ দেশের জনগণ ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময় পার করছে। ট্রান্সজেন্ডার এর মত ঈমান ও সমাজবিধ্বংসী এজেন্ডা এবং দেশীয় বোধ বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম’২১ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার। চরম অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। এভাবে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না।

    সম্মেলন শেষে পীরসাহেব চরমোনাই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ -এর নাম ঘোষণা করা হয়।

  • বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামবে ছাত্রজনতা-শরিফুল ইসলাম রিয়াদ
    শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ জানুয়ারি’২৩ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচী পালন করা হয়।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা ও নৈতিকতা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষাক্রম’২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশীয় বোধ বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    তিনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে বানর থেকে মানুষ হয়েছে এমন ছবি অংকন করে আমাদের পুর্বপুরুষদের বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির নীলনকশা নিয়ে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। বিতর্কিত এই পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান উপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

    ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জানুয়ারি’২৩ রবিবার সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট চিঠি প্রেরণ করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। তারপরও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে সারাদেশের সচেতন ছাত্রজনতা কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে বলে হুশিয়ারি দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

  • বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্রে দাড়িয়ে ছাত্রলীগ নেতার গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ!

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ছাত্রলীগ বা আওয়ামি লীগের দলীয় সম্পত্তি নয় যে, এখানে পড়তে হলে “ছাত্রলীগ” করতেই হবে। এটি একটি জাতীয় সম্পত্তি। দেশের সকল নাগরিকের সংবিধানসিদ্ধ ও রাষ্ট্র সমর্থিত এবং শিক্ষানীতি বিরুদ্ধ নয় এমন যাবতীয় কর্মকান্ড ব্যক্তি স্বাধীনতায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস সহ দেশের যে কোন জায়গায় পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারো ছাত্রলীগ করার ইচ্ছে থাকলে করবে না থাকলে করবে না। ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করার কারো কোন অধিকার নাই।

    কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন “কক্সবাজার সরকারি কলেজে পড়তে হলে ছাত্রলীগ করতে হবে” মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছে তা স্পষ্টতই গণতন্ত্র বিরোধী ও ফ্যাসিবাদী। তার জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশে সাংবিধানিক নীতিতেই বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতি বিদ্যমান। এক্ষেত্রে, সাদ্দাম হোসেনের এই বক্তব্য সংবিধান বিরোধীও বটে।

    যেহেতু এই বক্তব্যটি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞানকেন্দ্র কক্সবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সামনেই রেখেছেন; কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, সচেতন শিক্ষার্থী এবং কলেজ প্রশাসনকে এর যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ মহোদয় এবং কলেজ প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতার এই গণতন্ত্র বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্যকে “বিচ্ছিন্ন খেয় হারানো বক্তব্য” হিসেবে সাব্যস্ত করবেন।

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ০৩৪ নং এ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন, “ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ” কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ নেজাম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহীন, গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী সাব্যস্তপূর্বক ছাত্রলীগ নেতার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কে দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পূণঃ বক্তব্য প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।

    বার্তা প্রেরক:
    মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাহের
    তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক
    আইসিএবি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।

  • উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    উখিয়ায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ৩১ বছরের প্রতিষ্টাবার্ষিক উৎযাপন।

    ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও গৌরবময় পথচলার ৩১ বছর পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১২আগস্ট) জালিয়াপালং ইউনিয়ন’র আইএবি মিলনায়তনে জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাফেজ ইমরান মাহমুদ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও র‍্যালি করা হয়।

    এতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া – টেকনাফ এর জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাওলানা শোয়াইব।

    তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ -এর ৩১ বছরের পথচলা আপনাদের সামনেই রয়েছে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে ছাত্ররা।সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনার। সত্যিকারার্থে যদি আপনি এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে চান তাহলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর ছায়াতলে আপনাকে, আপনার সন্তানকে আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দলের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুনায়েদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা কলিম উল্লাহ।

    প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর।

    বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

    বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা।
    মাওলানা ফরিদুল আলম, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আব্দুল জলিল। সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন জালিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা। মাওলানা খাইরুল আমিন, আলহাজ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হামিদুল হক ও মাওলানা ইব্রাহীম সহ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটারবিহীন সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের সরকার নয় বলে জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এজন্য স্বেচ্ছাচারি কায়দায় মধ্যরাতে দেশের ইতিহাসে জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি করে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয়ের কথা বললেও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তাহলে ৫০% দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? বিপিসি টানা ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এই ৪৩ হাজার কোটি টাকা কোথায়? এর হিসেব জনগণের কাছে দিতে হবে।

    দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে হতাশ করেছে। গণবিরোধী সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে পতন ঘটাতে হবে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার মুমুর্ষ ও অন্তিম অবস্থায়ও সত্য কথা বলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে পেট্টোল-অকটেন কিনতে হয় না। বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়, আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরই পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ানো হলো। দেশের নির্বাহী প্রধান হয়ে কিভাবে মিথ্যা কথা বলে, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি সরকারকে একটি নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান।

    স্বাধীনতার ৫১ বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। সবাই দুর্নীতিবাজ, চোর ও ডাকাত সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

    আরও বলেন, দক্ষ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক জনশক্তি ছাড়া দেশের স্থায়ী ও টেকশই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুতরাং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেকটা কর্মীকে দক্ষ ও নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।

    সভায় সাবেক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ তুলে ধরেন।এবং সমাবেশ শেষে প্রতিষ্টাবার্ষিক উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলিয় পতাকা হাতে নিয়ে দলিয় সংগীত দিয়ে র‍্যালি করেন।

    সমাবেশ শেষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মিজান ইবনা কাদীর মোনাজাত এর মাধ্যমে র‍্যালি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়সালের পিতার ইন্তেকালে শোকবার্তা প্রকাশ।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়সালের পিতার ইন্তেকালে শোকবার্তা প্রকাশ।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়সালের পিতার ইন্তেকালে শোকবার্তা প্রকাশ।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক ও উখিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোহাম্মদ ফায়সালের পিতার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত।
    অদ্য ২৫ জুলাই ২০২২ইং রবিবার রাত ১২:৩০মিনিটে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন,(ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)

    তিনি তার সন্তান সন্তিনি ও প্রানপ্রিয় সহধর্মিণী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে চলে গিয়েছেন মওলার দরবারে । আজ ২৫ জুলাই স্থানীয় কবরস্থান ময়দানে তাহার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়বে। এবং মরহুমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়বে।

    শোকবাণী

    মোহাম্মদ ফয়সালের পিতার  ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক ২৫ জুলাই ২০২২ইং এক শোকবাণী প্রদান করেছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার তথ্য গবেষনা ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়সালের পিতার ইন্তিকালে আমরা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈর পিতাকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং সমাজের চোখে অনেক ভালো মানুষ হিসাবে ক্ষেত ও সমাজে  তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

  • বিশ্বনবীর অবমাননার প্রতিবাদ করায় ৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে-চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র আন্দোলন

    বিশ্বনবীর অবমাননার প্রতিবাদ করায় ৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে-চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র আন্দোলন

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    রাসূল সঃ এর অবমাননার প্রতিবাদ করায় সেমিস্টার পরিক্ষা চলাকালীন ৪ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতন ও হল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে আজ ১৮ই জুন,২০২২ বিকাল ৫:০০ টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিম্যাল সাইন্সস বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা ꫰

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ তানভীর হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিনের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম খলিল ꫰

    মানববন্ধনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন এদেশ মুসলমানের দেশ ꫰ এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ ꫰ রাষ্ট্র আমাকে নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে ꫰ ৯২শতাংশ মুসলমানের দেশে নবী প্রেমের কারণে কোন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতন ও হল প্রশাসনকে ব্যবহার করে বহিষ্কারাদেশ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

    মানববন্ধনের সভাপতি মুহাম্মদ তানভীর হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের উপর অমানবিক আচরণ দেখিয়েছে ꫰ রাসুলের প্রতি প্রেম দেখানো কখনোই দোষের নয় ꫰
    তিনি নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তি দাবি করেন এবং ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান।

    উল্লেখ্য, ভারতে নবী(সাঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মানববন্ধন করেছিল ꫰ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করায় ৪ শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয় এবং পরবর্তীতে হল থেকে বহিষ্কার করা হয় । লাঞ্চিতকারীরা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

  • বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৬ দফা প্রস্তাব ও ১৬ দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর

    বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৬ দফা প্রস্তাব ও ১৬ দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর

    আলমগীর ইসলামাবাদী- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার মহা সংকট উত্তরণে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ন্যূনতম ১৫-২০% বা জাতীয় আয়ের ৪-৬% হওয়া প্রয়োজন বলে বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

    ৩০ মে ২০২২ সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম-এর সভাপতিত্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন।

    বাজেট প্রস্তাবনায় ৬টি বিশেষ খাতের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ও ১৬ দফা দাবি পেশ করা হয়।
    প্রস্তাবনাগুলো মধ্যে রয়েছে:
    ১. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি রোধ: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাজেটে প্রণোদনা ও বরাদ্দ থাকতে হবে, পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
    ২. শিক্ষা খাত: করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার মহা সংকট উত্তরণে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ন্যূনতম ১৫-২০% বা জাতীয় আয়ের ৪-৬% হওয়া প্রয়োজন করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তা জাতীয় বাজেটের মাত্র ১১.৯২ শতাংশ। বছরের পর বছর শিক্ষা খাতে কম বরাদ্দ রাখার ফলে জ্ঞান সূচকে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। আমাদের ওপরে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, ভারত, পাকিস্তান রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশের উচ্চশিক্ষা খাত ও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। কারিগরি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও কৃষি শিক্ষার প্রসারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।
    ৩. কৃষি খাত: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটাতে আমদানি নির্ভর হতে হয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কৃষক যেন দুশ্চিন্তায় নিপতিত না হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
    ৪. স্বাস্থ্য খাত: বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ আসছে নাগরিকদের পকেট থেকে, আর সরকারের কাছ থেকে আসছে ২৩ শতাংশ। এরপরেও দেশের সাধারণ জনগণ যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।তাই স্বাস্থ্য খাতে গতানুগতিকভাবে বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ না দিয়ে এই খাতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
    ৫. সামাজিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার উর্ধ্বমুখী। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখের বেশি। বিআইজিডি ও পিপিআরসির সর্বশেষ জরিপ বলছে, দেশে করোনাকালে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় শুধুমাত্র নির্ধারিত কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের চরম দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই খাতে এই অর্থবছর (২০২২-২৩) বাজেটের ২০-২২ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
    ৬. শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান: দেশে প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। যেখানে কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি খাতে আর ৯৫ শতাংশই বেসরকারি উৎসে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাজেটে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করা জরুরি। বেকার, দরিদ্র নারী ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজেটে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারীবান্ধব কর্মসংস্থান তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে উল্লেখিত ১৬ দফা দাবী নিম্নরূপ:
    ০১. সর্বগ্রাসী পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে জনকল্যাণমুখী ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালু করতে হবে।
    ০২. ঋণ নির্ভর বাজেট থেকে অতিদ্রুত ফিরে আসতে হবে।
    ০৩. প্রবৃদ্ধিতে অসমতা দূর করতে হবে।
    ০৪. অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে।
    ০৫. বিদেশ থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
    ০৬. অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে দামি কিছু বিলাসপণ্য আমদানি কয়েক মাসের জন্য বন্ধ করতে হবে।
    ০৭. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ সচল রাখতে হবে। আমদানির ক্ষেত্রে খাদ্যসামগ্রীর করের হার কমাতে হবে।
    ০৮. আমদানি ও রপ্তানির সার্বিক মূল্যে ভারসাম্যতা আনতে হবে।
    ০৯. জনপ্রশাসনে বাজেট কমিয়ে ১২ শতাংশের বেশি দেয়া যাবে না। এছাড়াও প্রশাসনিক ব্যয় ও মন্ত্রী-আমলাদের বেতনে শতকরা ৬০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। সরকারি গাড়ি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় শতকরা ৫০ শতাংশ কমাতে হবে।
    ১০. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১১. কর ফাঁকি এবং মুদ্রা ফাঁকি বন্ধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
    ১২. কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
    ১৩. অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেমন বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।
    ১৪. বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের কর ফাঁকি বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা। এই বিশাল কর ফাঁকি রোধ করে কর আদায় করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১৫. বিদেশে টাকা পাচার রোধ, ঋণখেলাপী বন্ধ করতে, এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে ১০ টাকার জিনিস হাজার টাকায় ক্রয়ের মত জালিয়াতি বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১৬. বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াবে না এমন অবকাঠামো খাতে এ বছর বাড়তি অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করতে হবে।

    বাজেট প্রস্তাবনা অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহিম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক প্রমুখ।

  • ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

      প্রেস বিজ্ঞপ্তি-

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

    ওমর ফারুক সহকারী বার্তা সম্পাদক উখিয়া ভয়েস ২৪.কমঃ-

    গত ০৭/০৫/২২ মে, শনিবার বিকাল তিন ঘঠিকার সময়, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, উখিয়া থানার আওতাধীন জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখার ২০২২ সেশনের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করা হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন,
    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, উখিয়া থানা শাখার সংগ্রামি সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া থানা শাখার সংগ্রামী সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরী সহ প্রমূক।
    বক্তারা বক্তব্য দিয়ার পরে জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখাকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করার জন্য বলেন, গত ২৪এপ্রিল ২০২২ইং আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    যারা দায়িত্বে মনোনীত হয়েছেন,
    ১. সভাপতিঃ-মোঃ ইমরান মাহমুদ
    ২. সহ-সভাপতিঃ- মোঃআব্দুল্লাহ
    ৩. সাধারণ সম্পাদকঃ মোঃ জুনায়েদ

    উপরে উল্লেখিত এই তিনজন থানা শাখা কর্তৃক মনোনীত।

    ৪. সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মোঃ সালাউদ্দীন কাদের
    ৫. দা’ওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদকঃ মোঃ হুমায়ুন কবির।
    ৬.তথ্য গবেষণা ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ মোঃ খালেদ মাহমুদ
    ৭. অর্থ সম্পাদকঃ-মোঃ নাছির উদ্দীন।
    ৮. সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ-মোঃ মোরশেদ
    ৯. সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ-মোঃ মাসউদ
    ১০. ছাত্র ও কল্যাণ সম্পাদকঃ-মোঃ মিজানুর রহমান।
    ১১. সদস্য-০১ঃ-মোঃ আব্দুল্লাহ
    ১২. সদস্য-০২ঃ-মোঃ- খাইরুল আমিন

    নবগঠিত এই কমিটিকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, উখিয়া থানা শাখার পক্ষ থেকে বিপ্লবী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

    বার্তা প্রেরক—————————————
    মোঃ খালেদ মাহমুদ , তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জালিয়াপালং ইউনিয়ন শাখা।