Category: উখিয়া উপজেলা

  • এক নজরে, হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসা, স্থাপিতঃ-২০০৪ ইং, ডেইলপাড়া উখিয়া কক্সবাজার।

    এক নজরে, হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসা, স্থাপিতঃ-২০০৪ ইং, ডেইলপাড়া উখিয়া কক্সবাজার।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের সুপরিচিত স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া গ্রামের হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসাটি ডেইলপাড়া মৌলভীর দোকান রবি টাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন পূর্ব পাশ্বে তিন রাস্তার মুখে ৬ গন্ডা জমিতে প্রথমে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। ১বছর পর কমিটির সাথে মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেব হুজুর পরামর্শ করে একটি হেফজ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং হেফজ বিভাগের পাশাপাশি নুরানী কেজি বিভাগও তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে।

    এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮ বছর, এই পর্যন্ত প্রতিবছর নিয়মিত ৪-৫ জন করে হেফজ সমাপ্ত করে দস্তারবন্দী / পাগড়ী প্রদান করা হয়।

    এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা হেফজ সমাপ্ত করে বিভিন্ন মাদ্রাসায়, মাছুয়াখালী মাদ্রাসা, পোকখালী মাদ্রাসা, পটিয়া ও হাটহাজারী এসব মাদ্রসার কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়েছেন,

    অত্র মাদ্রাসার স্বনামধন্য কমিটির পক্ষ মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেব।

  • উখিয়ায় ৯মাস ৮ দিনে কুরআন হিফজ সমাপ্ত করেন, ফাহিমা আক্তার কাজল

    উখিয়ায় ৯মাস ৮ দিনে কুরআন হিফজ সমাপ্ত করেন, ফাহিমা আক্তার কাজল

    ওমর ফারুক উখিয়া -কক্সবাজার।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালি উত্তর জামতলী এলকায় অবস্থিত হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রা) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিমখানার বালিকা হিফ্জ বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা আক্তার কাজল (১০) মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল কোরআন মুখস্থ করে হেফজ সমাপ্ত করেন।

    রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উক্ত মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন, উক্ত প্রতিষ্টানের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম।

    তিনি বলেন,আমার মাদ্রাসার শিক্ষিকা আমার সহধর্মিণী, তিনি উচ্চ শিক্ষিতা ও অনেক ভালোমানের হাফেজা,তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে মাদ্রাসা সকল ছাত্রীরা যেন দ্রুত সময়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন হেফজ সমাপ্ত করে পিতা-মাতা, উস্তাদসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করে এইটাই আমলে নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যায়।

    তিনি আরো বলেন,পবিত্র কোরআনই একমাত্র সর্বশ্রেষ্ট কিতাব, যেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করা হয় মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে। আল কোরআন মুখস্থকারীদের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে নানান পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে,পবিত্র কোরআনের ধারক-বাহকদের সম্মানের কথা। রাসুল (স.)বলেন,তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ঐ ব্যক্তি,যে ব্যাক্তি নিজে কোরআন মজিদ শিক্ষা করে,এবং অন্যদের শিক্ষা দেয়।

    অবাক হওয়ার বিষয় হলো,বিপুল সংখ্যক কোরআনের হাফেজ/হাফেজাদের কোরআন মজিদ মুখস্থ কারার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।
    কেউ বুড়ো বয়সে,কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কোরআন মুখস্থ করছেন। এমনকি অন্ধ নর/নারীরা মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত শুনে শুনে মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার নজির রয়েছে।মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার যেমিন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই,তেমনি দিনে কিংবা মাসে কে কতটুকু মুখস্থ করবে তার কোন বিধি-নিষেধ নেই। এভাবেই সমগ্র পৃথিবীতে অল্প বয়সে,কম সময়ে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআনের হাফেজ/ হাফেজা হচ্ছেন।

    এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন উখিয়ার ফাহিমা আক্তার কাজল।

    ফাহিমা আক্তার কাজল’র বাড়ি উখিয়া উপজেলা ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন এর থাইংখালি উত্তর জামতলী আবুল বশর এর মেয়ে ফাহিমা আক্তার কাজল।

    বাবা,আবুল বশর তার মেয়ে অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হওয়ায় মাদ্রাসার কতৃপক্ষ ও মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন,এবং তিনি তার মেয়ে হাফেজা ফাহিমা আক্তার কাজল’র জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন দেশ বাসীর কাছে।

    হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা(রা) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিম খানার হিফ্জ বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা আক্তার কাজল এর এর হেফজের শেষ সবক শোনেন অত্র প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষিকা।

    উক্ত প্রতিষ্টানের প্রধান পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই নাজেরা সহিহ শুদ্ধভাবে শেষ করে হিফজ শুরু করেন। হিফজ শুরুর পরই তার শিক্ষিকা, তার মাঝে মেধার শক্তি দেখতে পান। সে ধারাবাহিকতায় তার শিক্ষিকা অনেক চেষ্টা চালিয়ে মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করার সহযোগিতা করেন,এতে হাফেজা ফাহিমা আক্তার খানমের শিক্ষিকা তার ছাত্রীর জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট শুকুরিয়া আদায় করেন,এবং তাঁহার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছেন।

    উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষিকা বলেন, গত ২০২১ সালে অত্র মাদ্রাসা থেকে ৫ জন হাফেজা হেফজ সমাপ্তি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দিয়া হয়েছে। এবং চলিত বছরের ২০২২ সালে আরো ৫ জন’ হিফ্জ সমাপ্তি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দিয়া হবে।

    প্রতিষ্টানের প্রধান পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম শেষ পর্যায়ে চলিত বছরের যারা হিফ্জ সমাপ্তি করবে তাদের সময় নির্ধারণ করলে বলেন আগামী নবেম্বর মাসে ৫ জনের হিফ্জ পুর্ণাঙ্গ ভাবে শেষ হবে।

    যারা সমাপ্তি কারি আছেন, তৌহিদা ইয়াছমিন(১১)পিতা মোহাম্মদ আক্তার হোসেন গ্রাম মনখালী,বাহাস ছড়া,টেকনাফ শফিকা আক্তার (১৪)পিতা হাফেজ আব্দুল গনি হোয়্যাইক্ষ্যং লম্বাবিল, হ্নীলা, টেকনাফ, ।হারেসা আক্তার(১৩)পিতা মুহাম্মদ নুর গ্রামঃ দরহা পাড়া, হ্নীলা, টেকনাফ। সালেহা খাতুন কামাল(কোবরা)(১২)পিতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন (বর্তমান মেম্বার ৬নং ওয়ার্ড , রহমতের বিল, পালংখালী উখিয়া।

    উল্লেখ্য উখিয়ার শেষ সিমান্ত ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন এর থাইংখালি উত্তর জামতলী শুক্রর মেম্বার বাড়ির সংলগ্ন অবস্থিত আবাসীক ও অনাবাসিক বালিকা হিফ্জ মাদ্রাসা ও এতিম খানা’ মাদ্রাসাটি ২০২০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠতা করেন, অত্র এলাকার কৃতি সন্তান মৃত সোনালী সিকদার এর ছোট সন্তান মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম। এতে ৪০ জন ছাত্রী ২ জন শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান করা হয়।
    মাদ্রাসা যোগাযোগ নাম্বারঃ-০১৫৭৫-১৬১৯৯৩

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম শুভ জন্মদিন পালন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম শুভ জন্মদিন পালন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্ম বার্ষিকী সুসম্পন্ন করা হয়।

    আলোচনা সভায় দোয়া মুনাজাত করান মৌলভী জাফর আলম,গীতা পাঠ, ত্রীপিটক পাঠের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ, অনুষ্ঠানে পরিচালনা করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক খাঁন, আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এটিএম রশীদ, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ সিকদার, এডভোকেট রাসেল,রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি কৃষকলীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিনয় বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সুবাস বড়ুয়া, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুক্তার শেখ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা‘র জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহনে ইউএনজিএ’র সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায় ভাষণ দেন।
    তাঁর অনুপস্থিতিতেই দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি উদযাপন করবে তাঁর নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ বিকাল ৪টায় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, পরে সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন পালন করেন

  • আগামী-১৯ ও ২০ নভেম্বর উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা ৪র্থ তম বার্ষিক সভা

    আগামী-১৯ ও ২০ নভেম্বর উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা ৪র্থ তম বার্ষিক সভা

    এইআ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ,উখিয়া।

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের নবগঠিত স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসা”র ৪র্থ তম বার্ষিক সভা ও ইসলামী সম্মেলন।

    উক্ত ৪র্থ তম বার্ষিক সভা ও ইসলামী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করবেন, দেশবরেণ্য মোফাচ্ছিরে কোরআন বর্তমান সময়ের সাড়াজাগানো বক্তা, সুমধুর কন্ঠের অধিকারী হযরত মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক (কুয়াকাটা বরিশাল)।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নুরুল কবির চৌধুরী।

    উক্তা সভায় এছাড়া আরো দেশবরেণ্য ওলামায়েকেম ও বুজুর্গানে দ্বীনগন তাশরিফ আনবেন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

    নিবেদকঃ
    হাফেজ মাওলানা মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেব
    পরিচালক অত্র মাদ্রাসা, উখিয়া কক্সবাজার।
    যোগাযোগ ০১৮১২-৭৬৬৮৯৩

  • উখিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

    উখিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া থানাস্থলে অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২খ্রিঃ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকার দিকে উখিয়া থানা কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার পিপিএম-বার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম সভাপতিত্ব পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই স্লোগানকে সানে রেখে উখিয়া থানা কমিউনিটি পুলিশিং সভার উখিয়া সার্কেল বিপিএম শাকিল আহাম্মেদ এর সঞ্চালনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সুসম্পন্ন হয়।

    পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই স্লোগানকে সানে রেখে
    মাদক, সন্ত্রাস, মানব পাচার, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, সাইভার ক্রাইম,কিশোর গ্যাং সহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ মূলক বক্তব্য রাখেন
    উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং নুরুল হুদা ও উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়ছার।

    আরো বক্তব্য রাখেন জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোঃ আনোয়ার, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান সাজু, ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন, রাজাপালং ইউপি সদস্য ইঞ্জিয়ার হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিমা আক্তার রোমানা, ছাত্রনেতা মোঃ ইব্রাহীম, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর শুক্রুর মেম্বার, রত্না পালং ইউনিয়ন থেকে কার্শেদ নুর ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।

    এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানে আগত অতিথি বৃন্দদের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়ার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

  • উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত

    উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটিকে বিশ্ব শান্তি দিবসও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

    অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ বুধবার উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাটে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নোঙ্গর, ব্র্যাক, কর্তৃক সহায়তায় পালন করে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে র‍্যালী, সমাবেশ ও পায়রা উড়িয়ে র‍্যালী ও সমাবেশ উদ্বোধন করা হয়। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া সহকারি কমিশনার ভূমি সালেহ আহমদ,, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, ব্র্যাক প্রতিনিধি অজিত নন্দি, মুক্তিযুদ্ধা প্রতিনিধি পরিমল বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিনিধি, মৌলভী মাস্টার আবদুল খালেদ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    শান্তি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এ দিবসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব শান্তি দিবসের এবারের থিম জাতিভেদ দূর করে শান্তি আনা। বিগত কয়েক বছর ধরে জাতিভেদ, জাতপাতের সমস্যা বাড়তে থাকায় তা দূর করার জন্যই এই বছর এমন উদ্যোগ এবং থিম নেওয়া হয়েছে।

    ঘোষিত দিবসটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

    দিবসটি ১৯৮২ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। তবে সে সময় প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার দিবসটি পালন করা হতো। এভাবে ২০০২ সাল পর্যন্ত শান্তি দিবস পালিত হয়। তবে এরপর থেকে পাকাপাকিভাবে ২১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

    এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সদ্ভাব বজায় রাখা। বিশ্বে শান্তি না থাকলে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। পৃথিবীতে শান্তির এই প্রয়োজনীয়তাও মনে করিয়ে দেয় দিবসটি।

  • রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও
    আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকালে রাজাপালং ইউনিয়ন কমিটির উদ্যোগে “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন,হিংসা বিদ্বেষ দূর করুন” এর আলোকে র‍্যালী ও আলোচনা সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল বড়ুয়া।

    “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন” এই স্লোগানকে ধারণ করে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান প্যানেল ও রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা, ইউপি সদস্য মীর শাহাদুল ইসলাম রোমান, ইমাম প্রতিনিধি মৌলভী জাফর আলম, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিনিধি সোলতান আহম্মদ, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ব্রাম্মন হারাধন চক্রবর্তী,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হক খাঁন, কৃষকলীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী জয়,
    বৌদ্ধ সমাজের প্রতিনিধি ঝিনু বড়ুয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজিক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    একটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। কোনো দেশের সরকারের একার পক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়, কারণ একটি বিশাল দেশের গ্রামে গ্রামে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পাহারা দেয়া সরকারের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব। তবে দেশের কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে দেখলে সরকারকে অবশ্যই দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। ক’বছর ধরে সময়ে সময়ে আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের বিষয়টি স্পষ্টই লক্ষ করার যাচ্ছে। মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এদেশে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই এরা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজবের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের সরলপ্রাণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে মুহূর্তেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেয়। এ পর্যন্ত গুজবের বিষয়টি অসংখ্যবার প্রমাণিতও হয়েছে। রামু, নাছিরনগর, বেগমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঁশখালী, কুমিল্লা, সর্বশেষ নড়াইলের সাহাপাড়ায় যে ধরনের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া, মূর্তি ভাঙাসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুয়া খবর।

    আর এসব খবর বিশ্বাস করে কতিপয় উগ্রবাদী সংখ্যালঘুদের মন্দিরে এবং বাড়িতে ভাঙচুর এবং হামলাগুলো চালিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এরা কারা? প্রতিবার কেমন করে এরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়?
    প্রশাসনই বা প্রতিবার কী করে? প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সঙ্গে যে কোনো এলাকায় সব মানুষ জড়িত থাকে তা না, মূলত এসব ঘটনা ঘটায় কিছু মধ্যযুগীয় মনমানসিকতার মানুষ যারা ধর্মকে বুকে কখনো ধারণ করে না, তারা ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। অনেক সময় অজ্ঞতা অর্থাৎ ধর্ম সম্পর্কে কিছুই না জানার ফলে মানুষ যা বলে তাই বিশ্বাস করে বসে এরা, ফলে গুজবকে এরা সঠিক হিসেবে ধরে নিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় অংশ নেয়। অনেক সময় আবার এসব উগ্রবাদীদের একটি বিশেষ শ্রেণি ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা হাসিল করতে ব্যস্ত থাকে, মাঝখানে সংখ্যালঘুদের যা ক্ষতি হওয়ার তাই হয়ে যায়। এ ধরনের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এদেশে সব সরকারের সময়ই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, কেন এমন সরকারের আমলেও সংখ্যালঘুদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে এই বিষয়টা চাইলে তারা নিজেরাই বের করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কোনো এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সে এলাকার সব দলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষ কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ওই এলাকার সব দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৌলভী, ব্রাহ্মণ, পাদ্রী, ভান্তেসহ সব ধর্মের ধর্মগুরুদের একসঙ্গে বসে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা করতে হবে এবং সেই আলাপ-আলোচনার পজেটিভ ম্যাসেজ সমাজের সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে ফলে মানুষ সঠিক ম্যাসেজ পাবে এবং তারা সহজে বিভ্রান্ত হবে না।
    তাছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় বা উপাসনালয়ে কোনো ধর্মীয় আলোচনা হলে সে আলোচনা যাতে শতভাগ মানবিক হয় সে বিষয়ে সব ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের সজাগ থাকতে হবে। অনেক সময় এসব ধর্মীয় স্থানগুলোতে অনেকেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসে, ফলে তার এই মন্তব্য নিয়েও সমাজে অনেক অনর্থ ঘটে যায়। যে কোনো ধর্মীয় স্থানে বা সভায় মন্তব্য করার সময় সবাইকে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো ধর্মীয় জায়গায় বা সভায় কিছু লোক ধর্মীয় বিধিবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে কিংবা নিজের ইচ্ছামতো ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, এ ধরনের ব্যাখ্যাকারীদের সব মানুষ মিলে প্রতিরোধ করা উচিত, কারণ এদের ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার কারণে অনেক সাধারণ মানুষই ধর্মের ভুলটা আত্মস্থ করে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, ফলে সমাজে দেখা দেয় বিপত্তি। প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়টি যেহেতু সমাজের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যমান সেহেতু এ বিষয়ে কাজ করতে হলে সমাজের রুট লেভেলে গিয়েই কাজ করতে হবে তবেই সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

    আসলে সব ধর্মের মানুষ এবং সব দলের মানুষ এক হয়ে কাজ করলে সমাজে সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। তাই আসুন যার যার ধর্ম অন্তরে লালন করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করি এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখি।

  • রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ের উপর পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জনাব মামুনুর রশিদ মহোদয়,

    সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর২০২২ ইং, বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পরিদর্শনে আসেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব।

    উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইউপি সচিব মৃনাল বড়ুয়া, সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, দফাদার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা,

    পরিদর্শন শেষে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে ভিজিডি কার্ডধারী উপকার ভোগীদের মধ্যে চাউল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

    এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পরিদর্শনে আসলেই ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে বরণ করে নেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।

    এছাড়া উখিয়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস ও উখিয়া থানা পরিদর্শনের কথাও রয়েছে।

  • উখিয়ায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

    উখিয়ায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি’র আওতায় ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    উখিয়া উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন খেলাধুলার মধ্যেদিয়ে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানের সর্বশেষ ফাইল খেলায় ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ বনাম নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ। উক্ত ফাইনাল খেলায় অংশ নিলেও দু-দলে ১-১গোলে ড্র হয়, পরে টাইব্রেকারে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় হয়।

    উক্ত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে
    সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা শিক্ষা একাডেমির সুপার ভাইজার বদরুর আলম,
    উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনছুর চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষক রুপন দেওয়ানজি, প্রধান শিক্ষক মৌলভী আবদুল খালেদ, শিক্ষক নুরুল আবছার, প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।