Category: কওমী মাদ্রাসা

  • জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    জামিয়া পটিয়ায় যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিত্তেই মুহতামিম নির্ধারণ করা হয়- ড. মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    এই দোয়াটা আমাদের করে যেতে হবে আল্লাহ পাক যেন জামিয়ার যে ঐতিহ্য, সেটাকে আমাদের প্রচেষ্টার সবটুকু দিয়ে রক্ষা করার তাওফিক দেন। হযরত মুফতি আযীযুল হক সাহেব রহ. কখনোই নিজের কোনো সন্তানকে দায়িত্বে বসান নি। পটিয়া মাদরাসার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তিনি খুঁজে এনেছেন সেই হাটহাজারির ইছাপুর থেকে হযরত হাজী ইউনুস সাহেব রহ.-কে।

    হাজী সাহেব হুজুর এ দায়িত্বে অনেকদিন ছিলেন। পটিয়াকে অনেক বড় করে তোলার জন্য মেহনত অব্যাহত রেখেছেন। এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় খ্রিষ্টান মিশনারী তৎপরতা রোধে নানামুখী দাওয়াতী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এত সুন্দর মেহমানখানা তখন কোথাও ছিলোনা, পটিয়াতে তিনি চমৎকার কলেবরে একটি মেহমানখানা নির্মাণ করেছেন।

    তারপর যখন দায়িত্বের একদম শেষলগ্নে পৌঁছে গিয়েছেন, খুঁজে এনেছেন আরেকজন মহারত্ন-কে। দায়িত্বের আসনে বসিয়েছেন হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ.-কে। তিনি চাইলে নিজের ছেলের জন্য এ চেয়ারটি বরাদ্দ দিতে পারতেন, তা করেননি। বরং জামিয়ার কল্যাণের কথা ভেবে, উম্মতের উপকারের কথা মাথায় রেখে, যাকে এখানে বসানো উপযুক্ত মনে করেছেন, তাকেই এনে বসিয়েছেন। হযরত হারুন ইসলামাবাদী রহ. তো অনেক অল্পসময় পেয়েছেন এই জামিয়ায়। একদম অকস্মাৎ তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন আল্লাহর কাছে।

    তারপরও দায়িত্ব অর্পণে তিনি এত সতর্ক ছিলেন যে, যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে যাচ্ছেন, তিনি বললেন—’আমার অবর্তমানে তিনজন মিলে মাদরাসা পরিচালনা করবে। গাজী সাহেব হুজুর, কদীম সাহেব হুজুর এবং বুখারী সাহেব হুজুর রহ.।

    পরবর্তীতে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরের উপর সে দায়িত্ব এককভাবে আসে। তেমনিভাবে হযরত বুখারী সাহেব হুজুরও যখন একদম জীবনের শেষ সময়গুলো পার করছিলেন, তিনি অনেক ইস্তিখারা এবং চিন্তাভাবনা শেষে একজন যোগ্য এবং জামিয়ার জন্য উপযোগী একজন কর্ণধারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। নিজ সন্তানদেরকে সামনে আনেননি। এটাই হচ্ছে কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য, স্বকীয়তা এবং বৈশিষ্ট্য।

    অন্যান্য সব জায়গায় কমবেশি স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে। কিন্তু পটিয়া মাদরাসা এটা প্রমাণ করেছে, যেমনি আল্লাহর রাসূল খিলাফত প্রদানের সময় ‘আমার পর আবু বকর হক্ব’ বলে প্রমাণ করেছিলেন ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। পটিয়া মাদরাসাও এ শিক্ষাকে ধারণ করে সবসময়ই উম্মতের কল্যাণচিন্তাকে অগ্রে রেখে দৃষ্টান্ত রেখেছে এবং রাখছে।

    সেইসাথে এ বিশ্বাসও আমাদের আছে, এগুলো সবই আমাদের আকাবিরের ইলহামী সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ। পটিয়ার সকল মুরব্বিদের উপর আমাদের সে আস্থা আছে। আমরা আশা করবো, এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের জামিয়াতে ঘটবেনা, যেটা আমাদের সোনালী ইতিহাসকে ধুয়েমুছে বিলীন করে দেয়। আমাদের মর্যাদাময় অতীতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

    তাই আমাদের উচিত তাদের জন্য দুআ করা। আল্লাহ আমাদেরকে সু-পরামর্শ প্রদানের তাওফিক দান করেন। জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করেন। তাঁদের হাত ধরে যেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ জামিয়া পৌঁছে যেতে পারে। ইখলাসের মাধ্যমে, চোখের পানির মাধ্যমে এ জামিয়া ইনশা আল্লাহ অনেক দূর পৌঁছে যেতে সক্ষম হবে।

    পরিশেষে আমি আরও একটি দুআ আল্লাহর দরবারে করতে চাই, আল্লাহ যেন আমাদের মুরব্বীদের ছায়া আমাদের উপর আরও দীর্ঘায়িত করেন। জামিয়ার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইখলাসের উপর অবিচল থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জামিয়াকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যেতে ভরপুর সাহায্য করেন। আমিন।

    পূর্ণ বক্তব্যটি নিম্নের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারেন–

  • মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    মেধা তালিকায় উত্তির্ণ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার ৭ ছাত্র পটিয়া ৪৩ তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায়

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৪৩তম পটিয়া হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী ছাত্র রহমতুল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদীসহ ৭ জন মেধা তালিকায় উত্তির্ন হয়ে সম্মাননা সনদ ও আকর্ষনিয় পুরস্কার প্রদান করেছেন।
    পরিস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ্ আহমদ উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ্ সহ জামিয়ার শিক্ষক বৃন্দ। বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দের প্রতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ নসিহত করেন
    নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলোকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত করে তোলা সম্ভব। ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।
    চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ দারুল হিদায়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার মেধাবী প্রতিযোগী ছাত্ররা হলেন যতক্রমে ৩০পারা গ্রুপে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিন আলমগীর ইসলামাবাদী ১ম গ্রুপে ১ম বিভাগে উত্তির্ন,মোহাম্মদ হাসান মুহাম্মাদ সাবিত ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ সিফাত ৩য় বিভাগে উত্তির্ন, মুহাম্মদ মাহফুজ ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ জুনাইদুল ইসলাম ২য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মদ হাম্মাদ ৩য় বিভাগে উত্তির্ন,মুহাম্মাদ সাকিবুল হাসান জাওয়াদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহাদ১ম গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ, মুহাম্মাদ ফাহিম মুনতাসির ২য় গ্রুপে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ।
    ১৮,১৯,২০ জানুয়ারি ২০২৩ খৃষ্টাব্দ (বুধ, বৃহস্পতি ও জুমাবার) বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ৪৩তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৬৩৪ টি মাদরাসা থেকে প্রায় ১২৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছে।
    হল বিন্যাস :
    তিনটি হলে ছাত্রদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (১) শিক্ষা ভবন ৩য় তলা (সম্মেলন কক্ষ), সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ১নং সিরিয়াল থেকে ৮৩৯ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (২) আল-জামিয়ার জামে মসজিদ ৩য় তলা, সেখানে ১৫ পারা গ্রুপের ২ নং সিরিয়াল থেকে ৮৪১ সিরিয়াল পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    (৩) জামাতে শাশুমের দরসেগাহ, সেখানে ৩০ পারা গ্রুপের ৮৪২ নং সিরিয়াল থেকে ১২৬৮ এবং ১৫ পারা গ্রুপের ৮৪৩ সিরিয়াল থেকে ১২৬৬ পর্যন্ত প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকাল ৮ঘটিকা থেকে প্রত্যেক হলের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদানের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার এবং তাদের শিক্ষকমণ্ডলীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

  • এক নজরে, হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসা, স্থাপিতঃ-২০০৪ ইং, ডেইলপাড়া উখিয়া কক্সবাজার।

    এক নজরে, হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসা, স্থাপিতঃ-২০০৪ ইং, ডেইলপাড়া উখিয়া কক্সবাজার।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের সুপরিচিত স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া গ্রামের হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসাটি ডেইলপাড়া মৌলভীর দোকান রবি টাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন পূর্ব পাশ্বে তিন রাস্তার মুখে ৬ গন্ডা জমিতে প্রথমে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। ১বছর পর কমিটির সাথে মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেব হুজুর পরামর্শ করে একটি হেফজ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং হেফজ বিভাগের পাশাপাশি নুরানী কেজি বিভাগও তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে।

    এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮ বছর, এই পর্যন্ত প্রতিবছর নিয়মিত ৪-৫ জন করে হেফজ সমাপ্ত করে দস্তারবন্দী / পাগড়ী প্রদান করা হয়।

    এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা হেফজ সমাপ্ত করে বিভিন্ন মাদ্রাসায়, মাছুয়াখালী মাদ্রাসা, পোকখালী মাদ্রাসা, পটিয়া ও হাটহাজারী এসব মাদ্রসার কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়েছেন,

    অত্র মাদ্রাসার স্বনামধন্য কমিটির পক্ষ মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেব।

  • ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ

    ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর মহাসচিব নিযুক্ত হলেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ।

    বুধবার(২৮ অক্টোবর২২) “আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ” এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ডের বাৎসরিক সাধারণ সভা, মজলিসে শূরার অধিবেশন এবং পরীক্ষা কমিটির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি মুফতী হাফেজ আহমদুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও ইত্তেহাদের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা সাঈদুল হক এর সঞ্চালনায় যৌথ সভা অনুষ্ঠান আরম্ভ হয় এবং ইত্তেহাদের অন্যান্য দায়িত্বশীলরা বক্তব্য রাখেন।
    উল্লেখ, চলতি বছরের ২১জুন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী ইন্তেকাল করলে পদটি শূন্য হয়।
    মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ এতদিন ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

  • সাংবাদিক নিহাদকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

    সাংবাদিক নিহাদকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি


    সাংবাদিক নিহাদকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্যা টেরিটরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালাস্টি লোকমান হাকিমকে চরম হেনস্থা করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। রবিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের নেতৃবৃন্দ।

    এক বিবৃতিতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম. ওসমান গণি বলেন, আজিম নিহাদ একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার অনুসন্ধানী রিপোর্ট জনমনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভিডিও পারসনসহ তাকে চরমভাবে হেনস্থা করেন এপিবিএন—১৪ এর সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকী স্বরূপ। তাই অবিলম্বে সাংবাদিক আজিম নিহাদসহ তার ক্যামরা পারসনকে হেনস্থাকারী এপিবিএন—১৪ এর পুলিশ সদস্যদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সংবাদ বর্জনসহ রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার সাংবাদিক সমাজ নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

    উল্লেখ্যঃ একটি প্রতিবেদন করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালিস্ট লোকমান হাকিম গত রোববার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সকালে তারা ক্যাম্প ৮ এবং ৯ এ কাজ করার পর দুপুরের দিকে ক্যাম্প—৪ এর মোচরা বাজার এলাকায় যায়। সেখানে বাজারের সরগরম পরিবেশের ভিডিও ধারণ করছিলেন ক্যামেরাম্যান লোকমান হাকিম। এসময় হঠাৎ এপিবিএনের কনস্টেবল মতিন লোকমানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আরআরআরসির অনুমতি পত্র দেখালেও আজিম নিহাদ ও লোকমানকে গালিগালাজ করে। ওই পুলিশ সদস্যের ভাষ্য—এখানে কিসের আরআরআরসি? আপনি জানেন না ক্যাম্প এখন আমরা (এপিবিএন) নিয়ন্ত্রণ করি? আমাদের পারমিশন ছাড়া কে ঢুকতে বললো আপনাকে? তখন ওয়ারলেসে সিগন্যাল দিয়ে সজিব নামে একজন এসআইকে ডেকে আনলো চেকপোস্টে। এই রকম সাংবাদিক আমার হাত থেকে কত বের হয়েছে হিসেব নেই। ১২ বছর আগে সাংবাদিকদের পড়াইতাম আমি। তিনি বলেন, জানিস আমি চাইলে এখন তোদের রোহিঙ্গা বানিয়ে ক্যাম্পে আটকে রাখতে পারি’? তোদেরকে রোহিঙ্গা বানিয়ে এখানে ফেলে রাখা কোন ব্যাপার না। বিষয়টি অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দৌজা জানালে তিনি ফোনে ওই পুলিশ সদস্যকে দিতে বলেন। কিন্তু পর পর দুইবার কনস্টেবল মতিন কল কেটে দেন। পরে পুলিশ পাহারায় এএসপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে এএসপিও তাদের নাজেহাল করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে সাংবাদিক সমাজ।

  • কওমি মাদরাসার বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রাখতে উলামায়ে কেরাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

    কওমি মাদরাসার বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রাখতে উলামায়ে কেরাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ২৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত “রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসছে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা” শীর্ষক সংবাদে উলামায়ে কেরাম, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শিক্ষা আইন ২০২১ (খসড়া) এর পঞ্চম অধ্যায়ে কওমি মাদরাসাকে উল্লেখ করে বলা হয়, “সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।” প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, “সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণে কওমি শিক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খসড়াটি পরিমার্জন করা হচ্ছে।”

    খসড়া শিক্ষা আইনের এ ধারা ও প্রকাশিত সংবাদে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক প্রস্তাবে বলা হয়, কওমি মাদরাসার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা রক্ষা করে জাতীয় সংসদে যে আইন পাস হয়েছে তা অক্ষুন্ন রাখতে উলামায়ে কেরাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ব্যতিক্রম কিছু উলামায়ে কেরাম, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ এবং জাতীর কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই কওমি মাদরাসার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হয় এবং এ বিষয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণকে কোন ধরনের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

    আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর), মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, আল-হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল ও অফিস সম্পাদক মাওলানা মোঃ অছিউর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আজকে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কওমি ডেস্ক

    কওমি অঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষা এবং উলামায়ে কেরামের শান ও মান বজায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নানামুখী দীনী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নিতে আজ ২৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখ, রবিবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর স্থায়ী কমিটির এক সভা জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

    কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়। তারপর আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি ওয়াক্কাসের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীসহ বিশ্বমানবতার জন্য দু‘আ করা হয়।
    সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
    ১। কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে একমাত্র আল-হাইআতুল উলয়া। আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন এক বা একাধিক বোর্ড কিংবা কোন সংগঠন বা ব্যক্তি আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্ত ব্যতীত পৃথকভাবে কওমি মাদরাসা বিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ বা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে না।
    ২। কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকগণ প্রচলিত সর্বপ্রকার রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবে মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    ৩। আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এবং কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ ও তত্ত¡াবধানের জন্য আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৫ বোর্ডের ৫ (পাঁচ) জন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া থেকে ৫ জন এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ৫ (পাঁচ) জন সমন্বয়ে সর্বমোট ১৫ (পনের) জনের একটি ‘বাস্তবায়ন সাব-কমিটি’ গঠিত হবে।
    ৪। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসার যে সকল নিরীহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মসজিদের ইমাম ও মুসল্লীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রমাযানের এই রহমতের মাস বিবেচনায় সরকারের নিকট তাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয় এবং নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানী না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
    ৫। পবিত্র রমাযান কুরআন তেলাওয়াতের মাস। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বালা-মুসিবত ও মহামারী দূর হয়। তাই রমাযানের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়ার জন্য এবং রমাযানের পর কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়।
    ৬। আল-হাইআতুল উলয়ার আজকের সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সদস্যগণ হলেন :
    (১) মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন
    (২) মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী
    (৩) মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন।

    অদ্যকার সভায় উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মহাসচিব মাওলানা শামসুল হক; আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামযাহ; আযাদ দীনী এদারায়ে তা‘লীম এর সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীন এর প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর; তানজীমুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস এবং জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।

    এ ছাড়া আরো বিশেষ ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।

  • ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা।

    ইলমি মার্কাজকে আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতিমুক্ত করাই ইসলামী ইতিহাসের নির্দেশনা

    আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ইসলামী কর্মকাণ্ডকে মোটাদাগে চারভাগে ভাগ করা যায়।
    ১. দাওয়াহ
    ২. তালিম
    ৩. তাজকিয়া
    ৪. ই’লায়ে কালিমাতিল্লাহ। এটাকে চলতি ভাষায় বললে ইসলামী রাজনীতি।

    এই চারটি কাজই সমান্তরাল গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলো কাজ একই সাথে চলমান থাকা জরুরী। এর কোন একটা কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

    তবে সবগুলো কাজ একই ব্যক্তি বা একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব না।

    কারণ প্রত্যেকটা কাজেরই ধরন, কৌশল আলাদা। জটিল সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যেকটা কাজেরই বিস্তৃতি অনেক বেশি। এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রত্যেকটা কাজের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যও আলাদা। (যদিও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এক)।

    এই বাস্তবতার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরেই কাজগুলো ভিন্নভিন্ন ব্যক্তি ও ভিন্নভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালিত হয়েছে।

    খোদ খোলাফায়ে রাশেদার আমলেই রাজনীতি ও ইলিম চর্চার কাজ আলাদাভাবে চর্চিত হয়েছে। এরপরে দিন যত গিয়েছে ততবেশি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দাড়িয়েছে। রাজনীতি, ইলিম, তাসাউফ ও দাওয়াহ এর জন্য আলাদা আলাদা ইমাম ও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্রে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে। তবে অন্য ধারাগুলোর সাথে সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় ছিলো সর্বদাই।

    ইসলামী কাজের ক্ষেত্র বিশেষায়িত হওয়ার মাত্রা এতটা ব্যাপক ছিলো যে, খোদ ইলম চর্চার শাখাই বহুভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করতো। যারা হাদিস নিয়ে কাজ করতেন তারা ফিকাহ নিয়ে সেই অর্থে কাজ করতেন না। এভাবে ফিকাহ, হাদিস, ইলমে কালামসহ ইলম চর্চারই অনেকগুলো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো যারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে কাজ করতেন।

    উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রাজ্য পরিচালনার কাজে অংশ নিতেন না। রাষ্ট্রীয় কাজের মধ্যে সর্বোচ্চ তারা বিচারক হিসেবে কাজ করতেন। এর বাইরে কেউ কেউ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও সামগ্রিক অর্থে উলামায়ে কেরাম রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম থেকে দুরে থাকতেন। এই দুরে থাকাটা এতোদুর পর্যন্ত গিয়েছে যে, শাসকদের এড়িয়ে চলা ও উপেক্ষা করার শত শত ঘটনা কিংবদন্তী আকারে মুখে মুখে ফেরে এখনো।

    রাষ্ট্র চালাতেন যুদ্ধ ও শাসন ক্ষমতায় দক্ষ ব্যক্তিবর্গ। হ্যা! তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভালো আলেম ছিলেন। কিন্তু সেটা তাদের ব্যক্তি যোগ্যতা। উলামা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব তারা করতেন না।

    ইসলামের ইতিহাসে এই কর্মবিভাজন দিবালোকের ন্যায় সত্য এক ইতিহাস। হ্যা! কিছু ব্যতিক্রম হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু সামগ্রিক অর্থে এই কর্মবিভাজন সার্বজনীন ছিলো।

    এখানে বলে রাখা ভালো যে, এই কর্মবিভাজন থাকলেও এগুলো একে অপরের ভারসাম্য রক্ষা করতো। যেমন সুফিদের কাজ ইলিম দ্বারা বৈধতা পেতে হতো, আলেমদের কাজ তার আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সমাদৃত হতো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ সর্বদাই উলামাদের দ্বারা সমর্থিত হতে হতো। উলামাদের সমর্থন ছাড়া কোন শাসকের ক্ষমতাই আইনত বৈধতা পেতো না। Separation of power এর চমৎকার এক উদহারন রচিত হয়েছিলো এই কর্মবিভাজনের মধ্যে দিয়ে।

    এবং এই কর্মবিভাজনের কারণেই ইসলামের ইতিহাসের রাজনৈতিক অংশের অনেক পালাবদল হলেও ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে।

    এর সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত হলো,
    উমাইয়া ও আব্বাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উমাইয়াদের পরে যখন আব্বাসীরা আসলো তখন উমাইয়াদের প্রায় নিঃশেষ করে দেয়া হয়। কিন্তু এই দুই আমলের ইলিম চর্চার ধারাবাহিকতা দেখলে দেখবেন যে, উমাইয়া আমলের জ্ঞানের ধারা আব্বাসী আমলে ব্যহত তো হয়-ই নাই বরং আরো বিকশিত হয়েছে।

    রাজনীতি আর ইলিম একত্রে বা একই প্রতিষ্ঠান থেকে চর্চিত হলে উমাইয়া আমলের সব জ্ঞান আব্বাসী আমলে ধ্বংশ হয়ে যেতো। কিন্তু বাস্তবে ধ্বংস না হয়ে আরো বিকশিত হওয়ার মুল কারন, এই কর্মবিভাজন। ইলিম ও জ্ঞান চর্চা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়া।

    এই কর্মবিভাজনের আরেকটি কারণ ছিলো, ক্ষমতার পালাবদল হয়। ক্ষমতার জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু ইলিম চর্চাকে জয়-পরাজয় ও পালাবদলের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেললে কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করা যাবে না। এই কারণেই ইলিম চর্চা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার ফলে ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসে শত শত রাজনৈতিক পালাবদল হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় নাই।

    ইসলামের এই ইতিহাস ও এর অন্তর্নিহিত কৌশল অনুধাবন করে আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতেও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে রাজনীতি থেকে আলাদা করা উচিৎ।

    ইলমি ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলাদা হওয়া উচিৎ। ইলমি মার্কাজ ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র আলাদা হওয়া উচিৎ। কোন মাদ্রাসার মুহতামিম বা গুরুত্বপূর্ণ ইলমি ব্যক্তিত্ব সরাসরি রাজনীতি না করা উচিৎ। কোন আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা কোন মাদ্রাসা থেকে না হওয়া উচিৎ।

    আরো স্পষ্ট করে বললে,
    জামেয়া হাটহাজারী, পটিয়া, লালখানবাজার, জামেয়া রহমানিয়া, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, বারিধারা, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, চরমোনাই মাদ্রাসাসহ সকল মাদ্রাসাকে সরাসরি রাজনীতিমুক্ত রাখা উচিৎ। কোন মাদ্রাসা থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিল শুরু না করা উচিৎ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কোন মাদ্রাসায় অবস্থান না করা উচিৎ। হাইয়াতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসকে সম্পুর্ন রাজনীতিমুক্ত করা উচিৎ।

    তবে অবশ্যই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চা থাকতে হবে, উলামায়ে কেরামকেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। তবে দৃশ্যত সব হতে হবে মাদ্রাসার বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কহীনভাবে। যাতে রাজনীতি বা আন্দোলন-সংগ্রামের কোন প্রতিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের ওপরে না পড়ে।

    কারণটা খু্বই স্পষ্ট।
    রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। জয়-পরাজয় আছে, ধরপাকড় আছে। ইলমি মার্কাজগুলো এই জয়-পরাজয় ও উত্থান-পতনের চক্করে পড়ে গেলে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। যা দীর্ঘমেয়াদে ইসলামের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।

    এক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ভালো উদাহরণ। এই মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠাই হয়েছে ইংরেজদের প্রতিহত করার জন্য। এখান থেকে ইংরেজ ও বস্তুবাদ বিরোধী সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর নেতৃত্ব চুড়ান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংঘাতকে এড়িয়ে গেছেন। এখনো ভারতের মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী শাসনের মধ্যেও তারা রাষ্ট্রের সাথে সকল ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলছে। ভারতে অনেক বড় বড় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে যেগুলো মুসলিমরা কচুকাটা হয়েছে তারপরেও দারুল উলুম দেওবন্দ ও নদওয়াতুল উলামার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোন দাঙ্গায় অংশ নেয় নি। (দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে)।

    পাকিস্তানেও প্রধান জামেয়া ও মাদ্রাসাগুলো সরাসরি রাজনীতির কেন্দ্র না। আন্দোলন সংগ্রামের সূচনা বিন্দু না। (ব্যতিক্রম আছে এবং ভারতের তুলনায় সেই ব্যতিক্রমের হারও বেশি)

    বাংলাদেশেও এই ধারা বজায় ছিলো। আমাদের প্রধান ইলমি কেন্দ্রগুলো রাজনীতির বাইরে ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সামনে আসছে। যা মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ সালে এর প্রকট উদহারন স্থাপিত হয়েছে এবং গত ২৬-২৮ মার্চে যার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।

    মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একক পরিচয়ে রাজনৈতিক স্বত্বা হিসেবে সরকার ও বিভিন্ন শক্তির মুখোমুখি দাড়িয়ে যাওয়া ইসলামের দীর্ঘ দেড় হাজার বছর ধরে চর্চিত ইসলামী কর্মকাণ্ডের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ। এবং এর পরিনতি খুবই ভয়ংকর হতে পারে। ইংরেজ আমলে সিপাহী বিপ্লবের পরে যেমন গোটা ভারত উপমহাদেশে ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা নষ্ট হওয়ার বাস্তবতা তৈরি হয়েছিলো আধুনিক বাংলাদেশেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইলম চর্চার নিরবচ্ছিন্ন ধারা ব্যহত হতে পারে। যার আলামত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

    ইসলামী কার্যক্রমের কর্মবিভাজন নীতির খেলাফ করে ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রে পরিনত করলে অদূর ভবিষ্যতে উম্মাহকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ইলিম শূণ্যতা দেখা দেবে।

    আর উম্মাহের মধ্যে ইলিম শূণ্যতার চেয়ে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না।

    অতএব,
    এখনই ইলমি মার্কাজগুলোকে রাজনীতি ও আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে হলেও ইলম চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

    আপাতদৃষ্টিতে এই প্রস্তাব পিছুহটা, আপোষকামী ও ভীরুতা জনিত প্রস্তাব মনে হলেও ইসলামের ইতিহাস বলে, এই কর্মবিভাজন নীতিতেই উম্মাহ এতোদুর এগিয়েছে।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষণিকের আবেগ মুক্ত হয়ে কাজ করার তৌফিক দান করুন।

    লেখকঃশেখ ফজলুল করিম মারুফ,গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

  • শাসনের ক্ষেত্রে শিক্ষক ছাত্রকে বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারতে পারবে?

    শাসনের ক্ষেত্রে শিক্ষক ছাত্রকে বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারতে পারবে?

    এইচ এম এমদাদুল্লাহ শামসীর প্রতিবেদক

     

    প্রশ্ন : শিক্ষাঙ্গনে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে, শিক্ষক ছাত্রদের শরীরের যে স্থানে পিটান তা জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যায়,

    বিষয়টি কি সহীহ?
    উত্তর: কোরআন-হাদীস ও গ্রহনযোগ্য কোনো কিতাবে আমারা এই বিষয়টি পাইনি যে,
    উস্তাদ শরীরের যে অংশে পিটান,
    জাহান্নামের আগুন সেই অংশের জন্য হারাম হয়ে যায় ; বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত মেরদাস রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেন (যিনি বাচ্চাদের পড়াতেন )
    “বাচ্চাদের তিনটার বেশি মারবে না,যদি তুমি তিনটার বেশি মারো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে তোমার থেকে ক্বিসাস বা বদলা নিবেন”।

    ফিকাশাস্ত্রবিদগন এই হাদীসের আলোকে বলেন, শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য উস্তাদ হাতের মাধ্যমে হালকাভাবে বাচ্চাদের মারতে পারবে কিন্তু এক‌ সাথে তিনবারের বেশি নয়।
    ইসলামী শরীয়তে বেত, লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দ্বারা কখনও মারা জায়েজ নয়,
    চাই সেটা এমন বিষয় হোক যা শিক্ষা দেওয়া ফরজে আইন বা ফরজে কেফায়া ।

    এরকমভাবে পিতা-মাতা শাসন করার জন্য বাচ্চাদের সাধারণভাবে মারতে পারবে , বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয় । এইজন্য মাদ্রাসা মক্তবে উস্তাদগনের জন্য বাচ্চাদের বেঁধে বেত-লাঠি , চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে মারা জায়েজ নয়।
    উস্তাদগনের জন্য এই সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত এবং আদর স্নেহমমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পড়ানো উচিত, হ্যা, প্রয়োজনের সময় শাসন করার জন্য হালকাভাবে মারতে পারে ।

    ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ।
    (ফতোয়া নাম্বার : 305-325/N=4/1439)
    অনুবাদ: মুফতী আব্দুর রাকিব কাসেমী
    সূত্র,,,,,, পটিয়া বার্তা

  • শুক্রবার চট্টগ্রামের জামিয়া জিরি মাদরাসায় এসলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বোখারী অনুষ্ঠিত হবে

    শুক্রবার চট্টগ্রামের জামিয়া জিরি মাদরাসায় এসলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বোখারী অনুষ্ঠিত হবে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির (জিরি মাদরাসা) এছলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বুখারী অনুষ্ঠান আগামী (০৫ মার্চ২১) শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
    হাটহাজারী মাদরাসার পর এবার জামিয়া জিরিতে শততম খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
    জোড়ে দেশের প্রত্যন্তাঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ রূহানী বয়ান করবেন।এছলাহি জোড় ও খতমে বুখারীতে জামিয়ার সাবেক সফল পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব (রহ.) এর খলিফাগণ, মুরিদান, মুহিব্বীন ও ধর্মপ্রাণ তৌহিদীজনতার উপস্থিতি ও দোয়া কামনা করেছেন জামিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা হাফেজ খোবাইব বিন তৈয়ব দাঃবাঃ। আমাদের অংশীদারদের দেখুন,shoes – কেতাদুরস্ত পাদুকা নেতাদের!

    জামিয়া প্রধানের একান্ত সচিব মাওলানা রহিমুল্লাহ বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীকে মোটো ফোনে জানান,
    শুক্রবার সকাল দশটা থেকে এছলাহি জোড় অনুষ্ঠিত হবে এবং বেলা তিনটায় খতমে বুখারী অনুষ্ঠান শুরু হয়ে আসরের পূর্বে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ।