Category: কওমী মাদ্রাসা

  • শুক্রবার চট্টগ্রামের জামিয়া জিরি মাদরাসায় এসলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বোখারী অনুষ্ঠিত হবে

    শুক্রবার চট্টগ্রামের জামিয়া জিরি মাদরাসায় এসলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বোখারী অনুষ্ঠিত হবে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরির (জিরি মাদরাসা) এছলাহি জোড় ও ১০০তম খতমে বুখারী অনুষ্ঠান আগামী (০৫ মার্চ২১) শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
    হাটহাজারী মাদরাসার পর এবার জামিয়া জিরিতে শততম খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
    জোড়ে দেশের প্রত্যন্তাঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ রূহানী বয়ান করবেন।এছলাহি জোড় ও খতমে বুখারীতে জামিয়ার সাবেক সফল পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব (রহ.) এর খলিফাগণ, মুরিদান, মুহিব্বীন ও ধর্মপ্রাণ তৌহিদীজনতার উপস্থিতি ও দোয়া কামনা করেছেন জামিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা হাফেজ খোবাইব বিন তৈয়ব দাঃবাঃ।

    জামিয়া প্রধানের একান্ত সচিব মাওলানা রহিমুল্লাহ বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীকে মোটো ফোনে জানান,
    শুক্রবার সকাল দশটা থেকে এছলাহি জোড় অনুষ্ঠিত হবে এবং বেলা তিনটায় খতমে বুখারী অনুষ্ঠান শুরু হয়ে আসরের পূর্বে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ।

  • ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ

    কওমি প্রতিবেদক

     

    ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কওমি মাদ্রাসা
    মূল: মুফতি তাকি উসমানী হাফিজাহুল্লাহ
    অনুবাদ: ইবনে নাজ্জার
    সূত্র: “শাহ রাহে ইলম”

    (এই লেখাটা মুফতি তাকি উসমানী সাহেব হাফি. কওমি মাদ্রাসার বর্তমান এই দুরাবস্থা দেখে, নিজের শত শত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। মনের গভীরে চেপে রাখা অনেক দিনের কষ্ট আর আফসোস গুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তাই প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির কাছে, এই লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ার আন্তরিক নিবেদন রইল। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।)

    উনি বলেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর যতোটুকু আমি বুঝতে পারলাম তা হল:

    কওমি মাদ্রাসার অধঃপতনের মূল কারণ হল “আস্তে আস্তে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটা গতানুগতিক একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। আর এর আসল উদ্দেশ্য আমরা ভুলে গিয়েছি”। যদিও আমাদের মুখে এখনো এ কথাই শোনা যায় যে, “এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্মের খেদমত করা”। তবে তিক্ত বাস্তবতা হল, এগুলো শুধু মুখেই বলা হয় অন্তরে থাকে অন্য কিছু। কেননা বাস্তবেই যদি আমাদের অন্তরে এই উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে আমাদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা এটাই থাকত। আকাবির ও আসলাফদের মত সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরত, আমাদের কোনো কাজে আল্লাহতালা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কিনা?? আমাদের কাজে-কর্মে দ্বীনের কতটুকু খেদমত হচ্ছে?? আমরা আমাদের মূল উদ্দেশ্যে কতটুকু সফল হয়েছি??

    বরং উল্টো আমরা আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ মাদ্রাসার বাহ্যিক উন্নতিতে লাগিয়েছি, যা আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। বেশিরভাগ মাদ্রাসার পরিচালকরা সর্বদা এটাই চেষ্টা করেন যে, কিভাবে আমার মাদ্রাসাটা প্রসিদ্ধতা লাভ করবে?? কিভাবে ছাত্রের সংখ্যা বাড়ানো যাবে?? কিভাবে দেশের নামকরা শিক্ষকদের এখানে জমায়েত করা যাবে?? এককথায় কিভাবে জনসাধারণের মাঝে মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে?? আর এগুলোর পিছনে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর রাত-দিনের দৌড়ঝাঁপ দেখলে তো মনে হয়, এগুলোই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য আমরা এমন পন্থাও অবলম্বন করি, যা একজন আলেমের জন্য কখনো সমিচীন নয়। বরং কখনো কখনো তো আমরা স্পষ্ট নাজায়েজ আর অবৈধ-পন্থা অবলম্বনে করতেও দ্বিধাবোধ করি না।

    অন্যদিকে যদি কোনো মাদ্রাসা মোটামুটিভাবে এগুলো অর্জন করে ফেলে, তাহলে মনে করা হয় আসল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। অথচ আমাদের ছাত্রদের শিক্ষা, চারিত্রিক ও ধর্মীয় অবস্থা কেমন?? আমরা মুসলিম সমাজ পরিচালনা করার জন্য কেমন মানুষ তৈরি করেছি?? আমাদের চেষ্টা ও মুজাহাদার দ্বারা বাস্তবে ইসলামের কতটুকু উপকার হচ্ছে?? সেগুলোর কোন খবরই থাকে না। আর আস্তে আস্তে তো এসব বিষয়ের খোঁজখবর নেওয়া, চিন্তাভাবনা করার মানুষ ও কমে যাচ্ছে।

    মোটকথা এই অধঃপতনের মূল কারন হল, “খিদমতে দ্বীন আমাদের আসল উদ্দেশ্য” এটা একবার মুখে উচ্চারণ করার পর কর্মজীবনে আমরা তা ভুলে যাই। আর এই বাহ্যিক জিনিসগুলো ঘিরেই চলতে থাকে আমাদের মেহনত-মুজাহাদা, শ্রম-সাধনা সবকিছুই। অথচ এগুলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এগুলোর সাথে তো ইসলামের কোনো সম্পর্কই নেই আর থাকলেও এই শর্তে যে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নিয়ত শুদ্ধ রেখে এগুলোকে শুধু মাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল,আমরা এগুলোকেই মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি।

    এমনিভাবে কওমি মাদ্রাসার গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জল বৈশিষ্ট্য হল, এখানের শিক্ষক ছাত্রদের পারস্পরিক সম্পর্কটা গতানুগতিক সাধারণ কোন সম্পর্ক নয় যা, শুধু মাত্র শ্রেণিকক্ষের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বরং এটা পরস্পরের মধ্যে আত্মার পবিত্র সম্পর্ক। যা শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকত। উস্তাদ শুধুমাত্র কিতাব পড়ানোর জন্য নিযুক্ত কোন শিক্ষক ছিল না, বরং নিজ ছাত্রদের জন্য তাঁরা ছিলেন কল্যাণকামী দরদী এক মহান পিতা। আর ছাত্রদের চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক দিক নির্দেশনা প্রদান কারী। ইলম ও আমলের ময়দানে ছাত্রদের শুভাকাঙ্ক্ষী এক অভিভাবক। সাথে সাথে তাঁরা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয়গুলো ও দেখাশোনা করতেন। ফলে ছাত্ররা শিক্ষকদের থেকে পুঁথিগত শিক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে চারিত্রিক শিক্ষা ও গ্রহণ করত। তাঁদের থেকে জীবন পরিচালনা করা শিখত। শিখত ধার্মিকতা, একনিষ্ঠতা, বিনয়-নম্রতা সহ উত্তম চরিত্রের আরো অনেক গুণাবলী। আর এভাবেই ছাত্ররা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় শিক্ষকদের সাদৃশ্য হয়ে উঠত।

    বিশেষ করে “দারুল উলুম দেওবন্দ” যেই মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক ভিন্নরকম উচ্চতায় পৌঁছেছে তা হল, এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং আদর্শ মানুষ গড়ার এক বিশাল কারখানা। যেখানে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষার পরিমাণই বেশি থাকে। ফলে তৈরি হয় সঠিক শুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী একনিষ্ঠ একজন পাক্কা মুসলমান। যারা কথার চেয়ে বেশি নিজেদের সুন্দর আচার-ব্যবহার আর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই ইসলামের প্রচার-প্রসার করে।

    কিন্তু আফসোসের বিষয় হল আস্তে আস্তে এগুলো বিষয় আদিম যুগের ইতিহাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকরা নিজেদের মূল উদ্দেশ্য এটা কে বানিয়েছেন যে, শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে পড়ানো যাতে ছাত্ররা খুশি হয়ে যায। তাঁরা সব সময় ভাবতে থাকে, পড়ানোর জন্য তাঁদেরকে কেমন প্রবন্ধ বা কিতাব দেওয়া হয়েছে?? কিভাবে ছাত্রদের ওপর নিজের জ্ঞানের প্রভাব পড়বে?? কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছাত্রদের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে?? আর এই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গিয়ে কোন পদ্ধতিতে পড়ালে ছাত্রদের বেশি উপকার হবে, সেটা ভুলে যায়। বরং কখনো তো তাঁরা খুঁজতে থাকে যে, কোন পদ্ধতিটা ছাত্রদের প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী হবে?? ফলে শিক্ষকগণ ছাত্রদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে যায়। আর ছাত্ররা শিক্ষকের পিছনে চলে না বরং শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদার পিছনে দৌড়াতে থাকে।

    কিন্তু কিভাবে পড়ালে ছাত্রদের উপকার হবে?? কী কী শেখালে ছাত্ররা ধর্ম, দেশ ও জাতির জন্য আরও উপকারী হিসেবে গড়ে উঠবে?? ছাত্রদের কী ধরনের আগ্রহ-উদ্দীপনা, চাহিদা তাদের জন্য ক্ষতিকর?? কিভাবে ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের আগ্রহ দূর হবে?? শ্রেণীকক্ষের বাইরে তারা কিভাবে চলা ফেরা করছে?? এগুলো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, ছাত্রদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসার মতো লোকেরাও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    তাই এখন সর্বপ্রথম আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকায় কওমি মাদ্রাসার মৃত্যুপ্রায় এই “প্রাণ” পুনরায় তাজা করার প্রয়োজন। কেননা এটি ছাড়া আমাদের কওমি মাদ্রাসাগুলো বেশির থেকে বেশি আক্ষরিক জ্ঞানের “কেন্দ্র” হতে পারবে। ইসলামের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর শত্রু ইউরোপ আমেরিকার মুশরিক প্রাচ্যবিদদের মতো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়াশোনা করানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে যাবে। আর আস্তে আস্তে একদিন আমরা দ্বীনি শিক্ষার অপরিহার্য ও আবশ্যকীয় এই বৈশিষ্ট্যগুলি হারিয়ে, অবশেষে একদিন দ্বীনহারা হয়ে পড়ব।

    কওমি মাদ্রাসার এই প্রাণ যা সময়ের ঘূর্ণিপাকে আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, এটাকে পুনর্জীবিত করতে সবচেয়ে বড় গুরুদায়িত্ব হল প্রত্যেকটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যের উপর। তাদের উচিত হল সর্ব প্রথম তাঁরা নিজেদের আমল-আখলাকের দিকে নজর দিবে। তাঁরা দেখবে ইসলামী শিক্ষা তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন এনেছে কি না?? আল্লাহর ভয় আর আখেরাতের চিন্তায় তাঁদের অন্তর কেঁপে ওঠে কি না?? রবের সাথে তাঁদের নৈকট্য বৃদ্ধি পেয়েছে কি না?? ইবাদতের প্রতি তাঁদের আগ্রহ কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে?? আমলের যেই ফজিলত গুলো দিনরাত তাঁরা অন্যকে শোনাচ্ছে, নিজেরা তার উপর কতটুকু আমল করছে?? আল্লাহর রাস্তায় দান সদকা করার জন্য অন্যদেরকে কুরআন হাদীস শুনিয়ে যেই উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া হয়, নিজেরা তাতে কতটুকু অংশ গ্রহণ করেছে?? ইসলামের জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে?? সমাজের এই অধঃপতনে তাঁরা অস্থির হয়ে ছটফট করছে কি না?? সুন্দর সুশীল সমাজ বিনির্মাণের চিন্তা-চেতনা তাদের মন-মস্তিস্কে কতটুকু প্রভাব ফেলেছে?? যদি এগুলো বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি,বাস্তবতা আর সততার সাথে নিজেদের মাঝে এগুলোর উত্তর খুঁজি তাহলে লজ্জায় শরমে মাথা নিচু করে আফসোস আর অনুতাপ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

    তাই এখন সময়ের দাবি, এই আফসোস আর অনুতাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর লজ্জা-শরম কে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর করা। তবে এটা সাময়িক হলে, তাতে কোন উপকার হবে না। বরং সর্বদা এটা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে হবে,আর নিজেদের ভবিষ্যৎকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই হয়ত আবার ফিরে যেতে পারি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী অতীতে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

  • চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসায় কম্বল বিতরণ সম্পন্ন

    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসায় কম্বল বিতরণ সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের নবপ্রতিষ্ঠিত, চাকবৈঠা কবরস্থান সংলগ্ন
    দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার হিফজ বিভাগের ছাত্রদের মাঝে আজ কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় এই কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হয়।
    এই শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে হাফেজ শিশুরা অনেক আনন্দিত ও প্রফুল্ল হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুফতী রিদওয়ানুল কাদির বলেন, আমাদের হেফজ বিভাগের দরিদ্র ও এতিম ছাত্রদের মাঝে চেয়ারম্যান সাহেবের এই সাহায্য তাদেরকে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
    পরে সবার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে ডিগলীয়া পালং জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশিদ, চাকবৈঠা স্কুল জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবু শরীফ, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা শফিউল আলম, হাফেজ গিয়াসুদ্দীন, অভিভাবক জনাব গিয়াসুদ্দীন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    প্রফেসর রাশেদ আনোয়ার এর প্রতিবেদক

     

    গতকাল ৮ জানুয়ারি ২০২১ মাওলানা মোহাম্মদ আলী কক্সবাজার লাইটহাউস মাদ্রাসার মুহতামিম পদে পুনরায় ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ দুই বছর যাবত ইয়াসিন গংদের মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরে এলেন। মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে মুহতামিম এর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা থেকে শুরু করে এমন কোন হীন প্রচেষ্টা নেই যা ইয়াসিন গং করেননি। তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, এলাকাবাসী, স্থানীয় ওলামা একরাম, মাদ্রাসার শুরা কমিটি এবং শুরার অন্যতম সদস্য স্থানীয় কমিশনারসহ সকলেই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। শত প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। হক এবং সত্যের পথে অবিচল থেকে তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়ে গিয়েছিলেন। মিথ্যার জয় ক্ষণিক, সত্যের জয় অবিনশ্বর, অবিসংবাদিত। মাওলানা মোহাম্মদ আলী যেন তা প্রমাণ করে দিলেন। শুরা কমিটির সদস্য, ছাত্র-শিক্ষক, ও এলাকাবাসী স্থানীয় কমিশনার ও প্রভাবশালী শুরা সদস্যসহ সকলে মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে পুনর্বহাল করে তাহার অফিস হস্তান্তর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান হয় দীর্ঘ দুই বছর ষড়যন্ত্রের। এদিকে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। ছাত্র-শিক্ষক এবং এলাকাবাসী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। তার আগমনে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। দীর্ঘ দুই বছর পর তিনি মাদ্রাসায় পদার্পণ করলে সর্বসাধারণের মাঝে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে পুনরায় মাদ্রাসার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পড়ালেখা গতিশীল হবে মর্মে আশা পোষণ করেন এবং ছাত্র-শিক্ষক এলাকাবাসী কক্সবাজারের সকল মানুষকে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মাদ্রাসার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানান।
    (রাশেদ কক্স)

  • নবগঠিত উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নুরানী মাদ্রাসা ও হিফজ খানা পরিদর্শন করলেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    নবগঠিত উখিয়ার চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নুরানী মাদ্রাসা ও হিফজ খানা পরিদর্শন করলেন জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    তরুণ মোফাচ্ছির, মুফতি রিদওয়ানুল কাদির এর ফেসবুক পোষ্ট

     

    আজ আমাদের মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী ময়দানে চাকবৈঠা ইউনিটি ফোরাম আয়োজন করে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
    সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মান্যবর চেয়ারম্যান জনাব Jahangir Kabir Chowdhury ।
    চেয়ারম্যান সাহেব ঐ প্রোগ্রাম সমাপ্ত করে আমাদের দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠা উখিয়া কক্সবাজার পরিদর্শনে আসেন।
    সেখানে তিনি কুরআনের পাখিদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন। হিফজখানার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দেন। তৎক্ষণাৎ ছাত্রদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থাও করেন।
    তিনি সর্বদা আমাদের পাশে থাকবেন বলে কথা দেন।

    আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা চেয়ারম্যান সাহেবকে কাছে পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়।
    এরপর চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেন।

    আল্লাহ তাআলা চেয়ারম্যান সাহেবকে কবুল করে নেন। আরো বেশি বেশি দ্বীনের খেদমত করার তাওফিক দান করুন।

    [ আমার ব্যক্তিগত পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…. Mufti Ridwanul Kadir ]

  • নুরানীর মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে:আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    নুরানীর মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে:আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

     

    নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন,কচিকাঁচা বাচ্চাদেরকে স্বল্প সময়ে সহজে কুরআন শিক্ষার একটি সফল পদ্ধতি হলো নুরানী।বর্তমান সময়ে এই নুরানী পদ্ধতির মাধ্যমে দেশব্যাপী কুরআনের শিক্ষার বিশাল খিদমাত হচ্ছে। নুরানীর মাধ্যমে আমাদেরকে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।

    গতকাল ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার হাটহাজারী পৌরসভাস্থ নুরানী বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে প্রশিক্ষণরত মুয়াল্লিমদেরকে নসিহতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    আল্লামা বাবুনগরী বলেন, নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ হাটহাজারী মাদরাসার অধীনে পরিচালিত একটি আদর্শ ও উন্নত বোর্ড। পড়ালেখার মানোন্নয়ন থাকায় পুরো বাংলাদেশে এর সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। এ বোর্ডের সিলেবাস তথা পাঠ্যসূচির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উম্মুল মাদারিস হাটহাজারীর সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এ বোর্ডের অবস্থাও উর্ধ্বে । আপনারা এ বোর্ডের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন এটা আপনাদের জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার।

    মুয়াল্লিমদের উদ্দেশ্যে নুরানীর চেয়ারম্যান
    আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত থাকা পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ তাই এই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নয় কুরআনের খেদমত হিসেবে গ্রহণ করবেন। পিতৃস্নেহে কোমলমতি শিশুদের পড়াবেন। এবং সর্বদা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার উন্নতি সাধনের জন্য ফিকির করবেন।

    কোন ছাত্র পড়া লেখায় অমনোযোগী হলে তাকে পিতৃসুলভ আচরণে বোঝাবেন। মনে রাখবেন আপনাদের হাত ধরেই আগামী প্রজন্মের উত্থান ঘটবে। নুরানী মাদরাসায় মুসলিম কচিকাচা শিশুদের বিশুদ্ধভাবে কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে আদর্শ ও উন্নত জাতিরূপে গড়ে তোলা সহজ হবে৷

    প্রশিক্ষণ শেষে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে এখলাছ ও নিষ্ঠার সাথে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত হবেন। বেতন কম বেশির পিছনে না পড়ে কুরআনের খেদমতে লেগে থাকবেন। আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মেহনত করলে এই নুরানী পদ্ধতির মাধ্যমে সর্বত্র কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।

    পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে আদায় করা,সুন্নাতের প্রতি গুরুত্ববান হওয়া সহ আ’মাল আখলাকের প্রতি যত্নবান হতে মোয়াল্লেমদেরকে বিশেষ নসিহত করেন নুরানী বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    প্রশিক্ষণরত মুয়াল্লিমদেরকে নসিহত শেষে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বোর্ডের অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও
    আমানতদারীতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জমিরউদ্দীন,প্রশিক্ষক ও পরিদর্শক মাওলানা মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ,মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদ, মাওলানা মুহাম্মদ মনজুর,মাওলানা আবুল হাসেম,মাওলানা এনাম,মাওলানা হেলালুদ্দীন, মাওলানা আনিছুল ইসলাম মাহমুদ,মাওলানা জামিল আহমদ,মাওলানা মাসুদ প্রমূখ।

  • ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

    ফটিকছড়িতে মাদরাসায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবেঃ আমীরে হেফাজত জুনায়েদ বাবুনগরী

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারস্থ মান্নানীয়া পশ্চিম নানুপুর দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার কড়া সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    আজ ৫ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদরাসার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাংচুর চালিয়ে এবং তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠি। এভাবে দিনদুপুরে তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,
    কওমী মাদরাসা দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। দ্বীন ইসলামের সংরক্ষণে কওমী মাদরাসা ও ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কওমী মাদরাসা অনেক অবদান রয়েছে৷ যারা কওমী মাদরাসায় হামলা করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এদেশের তৌহিদি জনতা তাদের কালো হাত ভেঙে দেবে। এদেশের জনগণ মাদরাসা প্রিয়,আলেমপ্রিয়।

    আমীরে হেফাজত বলেন,উক্ত মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের কোন প্রকারের দোষ না থাকা সত্বেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মাদরাসায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কওমী মাদরাসায় এহেন সন্ত্রাসী হামলা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে মাদরাসার নির্মাণ কাজে ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি একটি শান্তিপ্রিয় থানা উল্লেখ করে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন,চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পূণ্যভূমি। ফটিকছড়ির মানুষ শান্তিপ্রিয়। সম্প্রতি একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কওমী মাদরাসায় হামলা, শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের শানে বিষোদগার করে ফটিকছড়ির শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • ১ লা জানুয়ারী হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন

    ১ লা জানুয়ারী হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    সম্মাননা পাগড়ি পাচ্ছেন দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
    উম্মুল মাদারিস খ্যাত উপমহাদেশের প্রাচীন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন আগামী ১ লা জানুয়ারী ২০২১ ঈ. জুমাবার বাদ ফজর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একই দিন বা’দ ইশা বিগত বছরে দাওরায়ে হাদীস সমাপনকারী ছাত্রদের দস্তারে ফযীলত (পাগড়ী) প্রদান করা হবে।

    মাহফিল উপলক্ষ্যে পুরো জামিয়া জুড়ে সাজসাজ রব। বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষের দিকে। হাজার হাজার মুসলিম জনসাধারণের সমবেত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এক বিশাল মাঠ। প্রতিবছর শ্রোতাদের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠের আয়তনও বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদরাসা ক্যাম্পাস, মসজিদ ও শ্রেণীকক্ষগুলোকেও আগত মেহমানদের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তাদের সাদরে বরণ করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামিয়া’র ভেতর-বাহির সর্বস্থানে সাজানো-গোছানের অনুপম ছোঁয়া লক্ষ করা গেছে।

    এ মহতি মাহফিলকে সফলকাম করার জন্য রাত-দিন নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জামিয়ার শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এলাকাবাসীগণও এ মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। জুমাবার দিনব্যাপী মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন দেশের সুযোগ্য ও সুবিখ্যাত উলামায়ে কেরাম। বাদ জুমা দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বক্তব্য রাখবেন জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক, আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা. এবং মাহফিল শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন মজলিসে ইদারী’র প্রধান, মুফতীয়ে আজম বাংলাদেশ আল্লামা মুফতী আব্দুচ্ছালাম চাটগামী দা.বা.।

    জুমাবার দিবাগত রাত ইশা পর্যন্ত চলবে আলোচনা ও ওয়ায-নসীহত পর্ব। বাদ ইশা বিগত বছরের দাওরায়ে হাদীস ফারেগীন ছাত্রদের দস্তারবন্দী সম্মেলন (সমাবর্তন) অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে সম্মানসূচক পাগড়ি সনদপত্র প্রদান করা হবে।

    দেশের সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় জনসাধারণের প্রতি বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মজলিসে ইদারী’র প্রধান, মুফতীয়ে আজম আল্লামা মুফতী আব্দুচ্ছালাম চাটগামী দা.বা. এবং শায়খুল হাদীস ও আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দা.বা.। সাথে সাথে সম্মেলনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দুআ চেয়েছেন।

  • কোরআনের সুক্ষ্মদর্শী মর্মার্থ অনুধাবনের জন্য আরবী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নাই।পটিয়া মাদ্রাসায় ড. আবু রেজা নদভী এমপি।

    কোরআনের সুক্ষ্মদর্শী মর্মার্থ অনুধাবনের জন্য আরবী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নাই।পটিয়া মাদ্রাসায় ড. আবু রেজা নদভী এমপি।

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও গবেষক প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, ইসলামী জীবন-ব্যবস্থা যেসব মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত সেগুলোর সর্বপ্রধান উৎস হলো কুরআনুল করীম। এ কারণে একজন ঈমানদারের ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি ও সফলতা নির্ভর করে কুরআনুল করীমের সঠিক অনুধাবন ও বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের উপর।

    সৃষ্টিকুলের উপর যেমন স্রষ্টার সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম, তেমনি সকল বাণীর উপর কুরআনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অতুলনীয়। কুরআন সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে। অতএব, বিশুদ্ধভাবে কুরআন বুঝতে ও অনুধাবন করতে চাইলে অবশ্যই আরবী ভাষা বুঝতে হবে।

    আজ (৬ ডিসেম্বর২০) রবিবার বাদ মাগরিব আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র কোরআন মজিদের সুক্ষ্মদর্শী মর্মার্থ অনুধাবনে আরবী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক এবং ড. আবু রেজা নদভী এমপি’র সরাসরি শিক্ষক আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাসহ শিক্ষকমন্ডলি ও বিভিন্ন জামাতের ছাত্ররা।

    আল্লামা প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আরবি ভাষার এমনসব বিশেষত্ব রয়েছে যার জন্য আল্লাহ পাক এ ভাষাকে মনোনীত করেছেন কোরআনের ভাষা হিসাবে। যেমন, অন্য ভাষার চেয়ে আরবি ভাষা বুঝতে সহজ হয়। আল্লাহ বলেন, “আমি একে আরবি ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।” [ইউসুফ ১২:১-২] ড. আবু নেজা নদভী বলেন, ভাষাবিজ্ঞানের বিচারেও দেখা যায়, সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার বিবর্তন হয়েছে কমবেশি। আবার সময়ের সাথে শব্দের অর্থেরও পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু আরবি ভাষা এসেছে ২০০০ বৎসরেরও বেশি পুরাতন সেমেটিক ভাষা থেকে। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে কোরআন অবতীর্নের পর গত ১৪০০ বৎসর এ আরবি ভাষা নিজেকে শুদ্ধ অবিকৃত অবস্থায় ধরে রেখেছে। এর শব্দ ও শব্দমূল এমনকি এগুলোর অর্থের কোন পরিবর্তন হয়নি। আরবি ভাষায় আছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ শব্দ ভাণ্ডার। সব ধরনের ভাব বা অবস্থা বুঝানোর জন্য এর ভিন্ন ভিন্ন শব্দ আছে।
    সুতরাং পবিত্র কোরআনের সুক্ষ্মদর্শী মর্মার্থ অনুধাবনের জন্য আরবী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।
    ড. আল্লামা আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের উম্মুল মাদারিছ খ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের স্বনামখ্যাত মোহাদ্দেস-মুফাচ্ছিরদের সবক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন এবং ভারতের অপর প্রখ্যাত দ্বীনি মারকজ নদওয়াতুল উলামা লক্ষ্ণৌ’তে অধ্যয়নকালীন সমকালীন শ্রেষ্ঠ আলেম সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভীর মতো যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদের প্রিয় ছাত্র হওয়ার গৌরব অর্জন করলেও আমার আরবী শেখার বুনিয়াদ তৈরি হয় আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায়। দেশের প্রসিদ্ধ এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে সুদীর্ঘ ৫ বৎসর অধ্যয়নের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার পরম সৌভাগ্য হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালীন আমি সব পরীক্ষাতে সেরা মেধাবী ছাত্রের গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং পুরস্কৃত হয়েছি।

    বার্তা প্রেরক
    (স্বাক্ষরিত)
    অধ্যাপক শাব্বির আহমদ
    প্রেস সচিব, মাননীয় সাংসদ

  • কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    কোরআন ও হাদীসের আলোকে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ হারাম: শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম

    মোঃ রাকিব,বিশেষ প্রতিনিধি

     

    কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ হারাম বলে দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিরা। একইসঙ্গে তারা বলেছেন, এসব মূর্তি-ভাস্কর্য ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।

    গতকাল ৩ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে জনমনের বিভ্রান্তি নিরসনে দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতিদের ফতোয়া প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঐ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ভাস্কর্য নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    কেউ বলছেন ভাস্কর্যের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ভাস্কর্যের বিপক্ষে। এ নিয়ে পাল্টা পাল্টিভাবে জবাব চলছে। ফলে জাতীয়ভাবে এ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাস্কর্য ও মূর্তির ব‍্যাপারে শরীয়াহ বিধান নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি।
    “ তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য জায়েজ-নাজায়েজ হালাল-হারাম সংক্রান্ত ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ক যে কেউ যেখান থেকে পারছেন মন্তব্য করছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তাই এভাবে ইসলামী শরিয়তের বিধান বিষয়ে সম্যক অবগত না হয়ে যত্রতত্র এ জাতীয় বক্তব্য প্রদান করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এবং একটি উদ্বেগজনক বিষয়। সেই বিষয়ের উপর লক্ষ রেখে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়ে একটি সম্মিলিত ফতোয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ”

    শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ফতোয়াটি উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি এনামুল হক কাসেমী।

    লিখিত ঐ সম্মিলিত ফতোয়ায় তিনি বলেন, “মানুষ বা অন্য যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো পার্থক্য নেই। পূজার জন্য তৈরি করা না হলেও তা সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম কাজ এবং কঠিন আজাবযোগ্য গুনাহ। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধানকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে প্রাণীর ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে বানোয়াট পার্থক্য তৈরি করে প্রাণীর ভাস্কর্যকে বৈধতা দিয়ে সত্য গোপন করা স্পষ্টভাবেই কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অমান্য করার নামান্তর। ”

    ঐ সংবাদ সম্মেলনে মুফতি এনামুল হক কাসেমী বলেন, “উপরন্তু যেখানে কোরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে সেখানে সেই বিধানের সামনে বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য ও মূর্তির উদাহরণ টেনে আনা ইসলামের একটি অকাট্য বিধানের অবজ্ঞা করার শামিল। কোন মুসলিম দেশের শাসক শরিয়ত বিরোধী কাজ করলে সেটা মুসলমান জাতির জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। তাদের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছে আল কোরআন, সুন্নাহ এবং ইসলামী শরীয়ত।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রহমানি, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলামসহ প্রমুখ শীর্ষ আলেমগন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত সম্মিলিত ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৯৫ জন মুফতি ও মাওলানা সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।