Category: কক্সবাজার জেলা

  • রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির র‍্যালী ও
    আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকালে রাজাপালং ইউনিয়ন কমিটির উদ্যোগে “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন,হিংসা বিদ্বেষ দূর করুন” এর আলোকে র‍্যালী ও আলোচনা সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃনাল বড়ুয়া।

    “সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন” এই স্লোগানকে ধারণ করে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান প্যানেল ও রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন, ইউপি সদস্য সরোওয়ার কামাল পাশা, ইউপি সদস্য মীর শাহাদুল ইসলাম রোমান, ইমাম প্রতিনিধি মৌলভী জাফর আলম, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিনিধি সোলতান আহম্মদ, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রধান শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ব্রাম্মন হারাধন চক্রবর্তী,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হক খাঁন, কৃষকলীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী জয়,
    বৌদ্ধ সমাজের প্রতিনিধি ঝিনু বড়ুয়া, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজিক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    একটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। কোনো দেশের সরকারের একার পক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়, কারণ একটি বিশাল দেশের গ্রামে গ্রামে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পাহারা দেয়া সরকারের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব। তবে দেশের কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে দেখলে সরকারকে অবশ্যই দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। ক’বছর ধরে সময়ে সময়ে আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের বিষয়টি স্পষ্টই লক্ষ করার যাচ্ছে। মূলত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এদেশে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই এরা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজবের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের সরলপ্রাণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে মুহূর্তেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেয়। এ পর্যন্ত গুজবের বিষয়টি অসংখ্যবার প্রমাণিতও হয়েছে। রামু, নাছিরনগর, বেগমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঁশখালী, কুমিল্লা, সর্বশেষ নড়াইলের সাহাপাড়ায় যে ধরনের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া, মূর্তি ভাঙাসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুয়া খবর।

    আর এসব খবর বিশ্বাস করে কতিপয় উগ্রবাদী সংখ্যালঘুদের মন্দিরে এবং বাড়িতে ভাঙচুর এবং হামলাগুলো চালিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এরা কারা? প্রতিবার কেমন করে এরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়?
    প্রশাসনই বা প্রতিবার কী করে? প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সঙ্গে যে কোনো এলাকায় সব মানুষ জড়িত থাকে তা না, মূলত এসব ঘটনা ঘটায় কিছু মধ্যযুগীয় মনমানসিকতার মানুষ যারা ধর্মকে বুকে কখনো ধারণ করে না, তারা ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। অনেক সময় অজ্ঞতা অর্থাৎ ধর্ম সম্পর্কে কিছুই না জানার ফলে মানুষ যা বলে তাই বিশ্বাস করে বসে এরা, ফলে গুজবকে এরা সঠিক হিসেবে ধরে নিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় অংশ নেয়। অনেক সময় আবার এসব উগ্রবাদীদের একটি বিশেষ শ্রেণি ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা হাসিল করতে ব্যস্ত থাকে, মাঝখানে সংখ্যালঘুদের যা ক্ষতি হওয়ার তাই হয়ে যায়। এ ধরনের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এদেশে সব সরকারের সময়ই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, কেন এমন সরকারের আমলেও সংখ্যালঘুদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে এই বিষয়টা চাইলে তারা নিজেরাই বের করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে কোনো এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সে এলাকার সব দলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষ কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ওই এলাকার সব দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৌলভী, ব্রাহ্মণ, পাদ্রী, ভান্তেসহ সব ধর্মের ধর্মগুরুদের একসঙ্গে বসে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনা করতে হবে এবং সেই আলাপ-আলোচনার পজেটিভ ম্যাসেজ সমাজের সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে ফলে মানুষ সঠিক ম্যাসেজ পাবে এবং তারা সহজে বিভ্রান্ত হবে না।
    তাছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় বা উপাসনালয়ে কোনো ধর্মীয় আলোচনা হলে সে আলোচনা যাতে শতভাগ মানবিক হয় সে বিষয়ে সব ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের সজাগ থাকতে হবে। অনেক সময় এসব ধর্মীয় স্থানগুলোতে অনেকেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসে, ফলে তার এই মন্তব্য নিয়েও সমাজে অনেক অনর্থ ঘটে যায়। যে কোনো ধর্মীয় স্থানে বা সভায় মন্তব্য করার সময় সবাইকে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো ধর্মীয় জায়গায় বা সভায় কিছু লোক ধর্মীয় বিধিবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে কিংবা নিজের ইচ্ছামতো ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, এ ধরনের ব্যাখ্যাকারীদের সব মানুষ মিলে প্রতিরোধ করা উচিত, কারণ এদের ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার কারণে অনেক সাধারণ মানুষই ধর্মের ভুলটা আত্মস্থ করে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, ফলে সমাজে দেখা দেয় বিপত্তি। প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়টি যেহেতু সমাজের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যমান সেহেতু এ বিষয়ে কাজ করতে হলে সমাজের রুট লেভেলে গিয়েই কাজ করতে হবে তবেই সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

    আসলে সব ধর্মের মানুষ এবং সব দলের মানুষ এক হয়ে কাজ করলে সমাজে সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়। তাই আসুন যার যার ধর্ম অন্তরে লালন করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করি এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখি।

  • রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে মাননীয় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ের উপর পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জনাব মামুনুর রশিদ মহোদয়,

    সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর২০২২ ইং, বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পরিদর্শনে আসেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, এসময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব।

    উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইউপি সচিব মৃনাল বড়ুয়া, সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, দফাদার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা,

    পরিদর্শন শেষে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে ভিজিডি কার্ডধারী উপকার ভোগীদের মধ্যে চাউল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

    এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পরিদর্শনে আসলেই ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে বরণ করে নেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।

    এছাড়া উখিয়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ভূমি অফিস ও উখিয়া থানা পরিদর্শনের কথাও রয়েছে।

  • সিবিডিএস এর ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা।

    সিবিডিএস এর ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা।

    সাইফুল ইসলাম কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি

    কক্সবাজার ব্লাড ডোনার সোসাইটির ৬ষ্ট প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা শনিবার কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। এসময় তিনি ৬৪ জেলা থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবীদের শুভেচ্ছা জানান এবং সংগঠনটির পাশে থেকে সগযোগিতার কথা বলেন আশ্বাস দেন।
    ব্লাড ডোনার সোসাইটির মডারেটর মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, প্রতিষ্ঠালঘ্ন থেকেই তারা মানুষের পাশে থেকে রক্তদানের গুরুত্ব তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে।
    কক্সবাজার ব্লাড ডোনার সোসাইটির অন্যতম সংগঠক আশরাফুল হাসান রিশাদের পরিচালনায় ও জাহাঙ্গীর আলম জেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার ব্লাড ডোনার সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
    পরে রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ব্লাড ডোনার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীকরা।
    রক্তের প্রয়োজনের কথা শুনলেই তারা ছুটে যান রাত বিরাতে। রোগীর ঠিকানা নিয়ে পৌঁছে যান হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে ফেরেন হাসিমুখে।
    মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। এটিই তারা ধারণ করেন।
    রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচানোর ব্রত নিয়ে ছূটে চলা এমন এক ঝাঁক তারুণ্যের সম্মিলন হয়েছে কক্সবাজারে।

  • রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    রামু জোয়ারিয়ানালা রাবার বাগান এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ০২/০৯/২০২২ তারিখ র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল গোপন সূত্রে অবগত হয় যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারগামী সৌদিয়া পরিবহন নামক বাসে করে যাত্রী বেশে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল একই তারিখ অনুঃ ১৮.০০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউপিস্থ রামু রাবার বাগান বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক কার্যালয় এর সামনে কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। তল্লাশীর একপর্যায়ে বর্ণিত বাসটি চেকপোস্টের সামনে আসলে র‌্যাব সদস্যগণ বাসটি থামিয়ে তল্লাশী শুরু করলে দুইজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। ঐ সময় উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে উক্ত ০১নং ধৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা কাপড়ের ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ (দশ) কেজি এবং ০২নং ধৃত ব্যক্তির সাথে থাকা ট্রলি ব্যাগের ভেতর হতে ০৮(আট) কেজিসহ *সর্বমোট ১৮ (আঠারো) কেজি গাঁজা উদ্ধার* করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ১নং ও ২নং আসামী জানায় তাদের পরিচয় ১। মোঃ খোরশেদ আলম @ বাবুল (২৩), পিতা-মোঃ নূরুল আহমদ, মাতা- মোছাঃ মরিয়ম বেগম, সাং- উত্তর ননিয়ারছরা (বিমান বন্দর রোড), ০২ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- সদর মডেল, জেলা- কক্সবাজার এবং ২। মরিয়ম (৪০), পিতা- মৃত সৈয়দ আহমদ, পালক পিতা- মোঃ মমতাজ, স্বামী- মোঃ ফজলু, মাতা- মৃত ফাতেমা বেগম, সাং- ঝরঝরিকুয়া, ০১ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা- সদর মডেল, জেলা-কক্সবাজার। ধৃত আসামীরা আরো জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা চট্টগ্রাম থেকে বহন করে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছে।

    উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

  • টানা ৪১ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করে বাই সাইকেল উপহার পেল ৩৮ শিশু কিশোর- সাবেক এমপি বদি।

    টানা ৪১ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করে বাই সাইকেল উপহার পেল ৩৮ শিশু কিশোর- সাবেক এমপি বদি।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ৪১ দিন তাকবির উলার সাথে জামাতে নামাজ আদায় করায় সাইকেল উপহার পেয়েছে ৩৮ জন শিশু-কিশোর। তাদের প্রত্যেককে একটি করে নতুন সাইকেল উপহার দেয়া হয়েছে।

    ২ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরই তাদের মাঝে সাইকেলগুলো বিতরণ করা হয়।

    আর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে ধর্মভীরু সমাজসেবকদের উদ্যোগে সাইকেল উপহারের এরকম উদ্যোগ দেখা যায়।

    বিশেষজ্ঞদের মতে- এই উদ্যোগ দেশের নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলাম শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে দারুণ সংযোজন।

    জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নতুন পল্লান পাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদে কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি’র উদ্যোগে বায়তুন নুর মসজিদ প্রাঙ্গণে শিশু- কিশোরদের উপহারের সাইকেলগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা টানা ৪১ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাকবিরে উলার সাথে মসজিদে আদায় করেছেন বলে জানা যায়।

    সাইকেল বিতরণ উপলক্ষে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি বলেন, এটা কেবল শুরু। সারাজীবন নিয়মিত এই অভ্যাস ধরে রাখতে হবে। সারাদেশে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তাকবির উলার সাথে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন জরুরি দ্বীনি আমলের ক্ষেত্রে এ জাতীয় উৎসাহ দেয়ার চর্চা আরো বেশি করে শুরু হলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দ্বীনি ও নৈতিক জাগরণের স্পৃহা তৈরি হবে।

    সাবেক সংসদ বদি আরো বলেন- আমি উখিয়া টেকনাফের জনগনের পাশে ছিলাম, আছি, তাকব, ইনশাআল্লাহ।

  • টেকনাফে ভূট্টো হত্যা মামলার আসামীর হাতে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ’ থানায় অভিযোগ দায়ের

    টেকনাফে ভূট্টো হত্যা মামলার আসামীর হাতে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ’ থানায় অভিযোগ দায়ের

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের টেকনাফে দূর্বৃত্তদেরর গুলিতে মোহাম্মদ ইউনুছ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাগেছে। সে সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে।
    গেল বুধবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ও মৌলভীপাড়ার মধ্যবর্তী ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পত্র মতে জানা যায়,
    বুধবার দুপুরে ইউনুছ প্রতিদিনের ন্যায় সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া ও মৌলভীপাড়া সীমানায় ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে নিজের গরু চড়ানোর জন্য যায়।
    এসময় টেকনাফের আলোচিত নূরুলহক ভূট্টো হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মৌলভী পাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুল আমিন (৩২) এর নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত ফজল আহমদের ছেলে একরাম (৩৫), আব্দুল করিম ( ৪০), মো. বশরের ছেলে আবুল কালাম উরুফে কালাইয়া (৪০), মো. আমিনের ছেলে তৌকির আহমদ (৩০), আব্দুস সালামের ছেলে ফয়সাল (২০), উলামিয়ার ছেলে মো. খুরশেদ (২৬), মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে মীর আহমদ উরুফে পুতিয়া (৩২), সুলতান আহমদের ছেলে ইয়াছিন (২২) ইউনুছকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে।
    এসময় ইউনুছ দৌড়ে পালানোর সময় আব্দুল আমিন তার সাথে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। গুলিটি ইউনুছের বাম হাতে বিদ্ধ হয়। আশপাশের লোক জন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত ইউনুছকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।এদিকে, আব্দুল আমিন, একরাম, তৌকির আহমদ ও ফয়সাল আলোচিত নূরুল হক ভূটো হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী। যার (জি আর মামলা নং- ৪৪০)।
    এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান, ঘটনার পরপরই স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের সাথে বাড়াবাড়ির জের ধরে নিজ ছেলের হাতে পিতা গুলিবিদ্ধ শিরোনামে একটি ভূলবাল বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে।
    মূলত ঘটনার আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সদর ইউনিয়নের চলমান কিছু প্রকল্প পরিদর্শনে ছিলাম। পরিদর্শন শেষে আমার ব্যক্তিগত মুটোফোনে স্থানীয় লোক জনের মাধ্যমে আমার ভগ্নিপতি ইউনুছ গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যাই,
    এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল প্রেরণের ব্যবস্থা করে দিই।

    টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • টেকনাফে সামাজিক সম্প্রীতি,ধর্মের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    টেকনাফে সামাজিক সম্প্রীতি,ধর্মের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    টেকনাফে বেসরকারী সংস্থা ব্রাকের সহযোগিতায় এ্যালায়েন্স ফর কো-অপারেশন এন্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ (একলাব) এর পক্ষ থেকে সামাজিক সম্প্রীতি,ধর্মের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ সবস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে

    গতকাল ( ৩১আগষ্ট) দুপুর ২ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়ন,৫নং ওয়ার্ড একলাবের অস্থায়ী কক্ষে মনিটরিং অফিসার জুনাইদের সভাপতিত্বে ট্রেনিং অফিসার মোহাম্মদ জনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
    টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান, সমাজ সেবা অফিসার খাইরুল ইসলাম,
    সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের, ১ ২ও ৩ নং ইউপি সদস্যা শাহিনা রহমান বি,এ ,
    সাবরাং ইউনিয়ন,৪ ৫ও ৬ এর ইউপি সদস্যা হাবিবা আক্তার, সাবরাং ইউনিয়ন, সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি জসিম মাহমুদ, সাবরাং কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,ও জাতীয় দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি আমিনুল হক বাঁধন, সাবরাং কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহমান,
    সাবরাং ইউনিয়ন কল্যাণ পরিষদের অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ হাসান, সাবরাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সমজিদা বেগম,কমিউনিটি লিডার আব্দুর রহিম, শাহপরীরদ্বীপ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামরুল ইসলাম রানা,এবং সাবরাং ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদের খতীবগণ ও একলাবের কর্মচারীবৃন্দ।

  • তারেক হোসেন মানিক নেতৃত্ব হাজারো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ কক্সবাজার জেলায় যোগদান

    তারেক হোসেন মানিক নেতৃত্ব হাজারো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ কক্সবাজার জেলায় যোগদান

    মো.সালাহউদ্দীন উখিয়া কক্সবাজারঃ-

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্বরণে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃহত্তর শোক র‍্যালীতে জেলা ছাত্রলীগের বিপ্লবী সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী মেধাবী ছাত্র নেতা তারেক হোসেন মানিক
    নেতৃত্বে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে প্রথমে কোটবাজার স্টেশনে বৃহত্তর শোক র‍্যালী সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে শতাধিক গাড়ি বহরে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের বিশাল শোক র‍্যালীত যোগদান করে।

    বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্বরণে উক্ত বিশাল র‍্যালীতে অংশগ্রহণ করেন, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ নোমান সহ অসংখ্যা ত্যাগী নেতাদের সাথে নিয়ে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মেধাবী ছাত্র তারেক হোসেন মানিক এর
    নেতৃত্ব উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীরা।

  • উখিয়ায় ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন।

    উখিয়ায় ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন।

    ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

    সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপী ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনের ট্রেনিং আজ ২৩ আগস্ট,২০২২ সম্পন্ন হয়।

    সকাল ১০ টা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত উখিয়ার সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ও সুশীল সমাজের ছাত্র প্রতিনিধিদগন নিয়ে উখিয়া পিএফজির তত্বাবধানে উখিয়া গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।

    প্রশিক্ষণটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মুহাম্মদ আব্দুর রব খান।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর সিনিয়র সাংবাদিক শাহ্ মোহাম্মদ জাহেদ ও দৈনিক যায়যায়দিন এর উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর উখিয়া উপজেলা সংবাদাতা সাংবাদিক ফারুক আহমেদ সহ প্রমুখ।

    অন্যদিকে উক্ত ট্রেনিং এ প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের এসপিএল প্রজেক্টের সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজী নিশাত, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারি, পার ইউনিটের প্রধান সোহেল রানা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাঈনুল ইসলাম।

    মূলত তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রনেতাদেরকে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণটির আয়োজন করা হয়।

    প্রশিক্ষেনে এক পর্যায়ে পরিচয়? শান্তি কী? গণতন্ত্র কী? গণতন্ত্র করতে আমাদের কি কি প্রয়োজন সহ শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন? উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়

    এই বিষয়ে প্রশিক্ষকদের সাথে ছাত্র নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। পাশাপাশি তারা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে হরতাল, অবরোধ, জালাও পোড়াও, হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবিধা দেয়ার নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে না জড়ানো, সকল নির্বাচনে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা, সকল সরকারী অধীদপ্তরে দূর্নীতিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, রাজনৈতিক দলের বৈষম্য দূর করা, বিগত দিনের রাজনৈতিক দন্দ ভুলে গিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি গড়ার বিষয়ে তারা সরকার, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান

  • ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ

    ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ

    কাজল আইচ, উখিয়া কক্সবাজার

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আওতায়ধীন, পালঙখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৫ আগস্ট শোককে শক্তিতে রূপান্তরের প্রত্যয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

    শুক্রবার ১৯ আগস্ট সকাল ৯ টায় থাইংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতহয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পশ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। পরে একে একে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মহান এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    এদিকে সকাল ১০টায় থাইংখালী স্টেশন থেকে শোক র‌্যালি বের করে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সম্মিলিত বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সাড়ে ১১টায় থাইংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোরআন তেলোয়াত, ত্রিপিটক ও গীতা পাঠ করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুরের গণভোজের মধ্যদিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পালংখালী ইউনিয়নড় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২২ পালিত হয়।

    উখিয়া উপজেলা আওতাধীন পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শোক সভার পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্রোর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উখিয়া-টেনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি। এসময় আরো সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী রাজা ও
    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইউনুস বাঙালী উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভার পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্রর মেম্বারের সঞ্চালনার মধ্যে দিয়ে উপস্থিতি বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জমির উদ্দিন, পালংখালী ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম এ মঞ্জুর, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট এটিএম রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নুর মোহাম্মদ শেখর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আওতাধীন, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম জাতীয় শোক দিবস পালনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, শোক র‍্যালী ও আলোচনা সভা শেষে গনভোজের মধ্যদিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।