Category: কক্সবাজার জেলা

  • ওসি আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার

    ওসি আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগে বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পেল ১টি সংসার।

    সহযোগিতায় ছিলেন- মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, এস আই মফিজ, এ এস আই নুরুন্নবী টিপু, এ এস আই আকবর।

    সার্ভিক সহযোগীতায়র ছিলেন- বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হাবিবুল্লাহ, মহেশখালী প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী অনলাইন পপ্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার মহেশখালী উপজেলা প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দীন আরজু।

    মহেশখালী উপজেলা বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাওলানা আনসুর আলী পাড়ায় দীর্ঘ দিনের স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধ মিমাংশায় স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদের কাচা কাচি ১টি সংসার, স্বামীর কাছে স্ত্রীকে তুলে দিলেন- মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই।

    উল্লেখ্য যে সময়ে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধ’কে কেন্দ্র করে কতিপয় নেতাদের বিচারের নামে দেন দরবার ভালই জমে উঠেছিল।

    পরিশেষে ২৪ অক্টোবর (রবিবার) রাতে মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মধ্যস্থায় স্বামী স্ত্রী পূনারায় ফিরিয়ে পেলেন তাদের সংসার, তাদের সংসারে ফুটফোটে দুইটি ছেলে ও দুইটি কন্যা সন্তান ছিল, ছেলে-মেয়ে পেল পিতার আদর স্নেহ, স্ত্রী পেল স্বামীর অধিকার।

    মহেশখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর মানবিক উদ্যোগ’কে স্বাগতম জানিয়েছেন- মহেশখালী উপজেলার সচেতন মহল।

  • ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।

    জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।

    আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

    আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।

    নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

  • ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    ৪র্থ স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় জেল হাজতে ওমর ফারুক

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি):

    মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক (৩২) এর বিরুদ্ধে তাঁর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সুলতানা (২৭) এর করা যৌতুকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সি আর মামলা নং ১২০/২০২১। ওমর ফারুক ছোট মহেশখালী ইউপিস্থ পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ মোছাদ্দেকুর রহমানের ছেলে।

    জানা যায়, অভিযোগকারীনি নাইমা সোলতানা একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, আইনমান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা। পক্ষান্তরে উল্লেখিত আসামী যৌতুকলোভী, নারিলোভী অভ্যাসগত অপরাধী ও হিংস্র প্রকৃতির লোক হয়। আসামী দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে মোঠেও তোয়াক্কা করে না। আসামী অভিযোগকারীনির স্বামী হয়।

    আসামী ওমর ফরুক বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজি কাপ্তাই উপজেলা, রাঙ্গামাটি জেলা (পার্বত্য), কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহনামা সম্পাদনে ও নিবন্ধনে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য ক্রমে তৎ মধ্যে নগদ ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বকেয়া ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্যক্রমে আসামির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

    আসামী ব্যবসার অজুহাতে নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে নাইমার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি প্রতিনিয়ত যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নাইমার পিতামাতার কাছ থেকে আনিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। উক্ত টাকা আনিয়ে না দিলে আসামি অন্য একজন মহিলাকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। নাইমা যৌতুক দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে এই ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষের চেষ্টা করিয়া সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসার নামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৌখিক নিস্পত্তি হইলেও আসামী বারবার নাইমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যৌতুকের দাবিতে রীতিমতো অমানুষিকভাবে কষ্ট দিতে থাকে। এবং যৌতুক ছাড়া নাইমাকে তাহার যৌজিয়াতে নিবে না বলিয়া সাফ জবাব দেয়। ঘটনার তারিখ, সময় ও স্থানে তথা বিগত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমানিক চার ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল তাঁর বাড়িতে ফরুক নাইমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। নাইমা টাকা দাবির কথা তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও সাক্ষীদের জানাইলে তাহারা আসামির বাড়িতে যাইলে, উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গালিগালাজ করিয়া ও নাইমাকে এক থাপ্পড়ে আসামির বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তীতে সংসার করার জন্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করিলে সে জানিয়ে দেয়, যৌতুকের দাবিতে টাকা ছাড়া যৌজিয়াতে গ্রহণ করিবে না মর্মে সাফ জবাব দেয়। নাইমা বর্তমানে তাহার গরিব পিতার বাড়িতে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। শেষবারের মতো আসামির সাথে পুনরায় সংসার করার জন্য সাক্ষীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি নাইমার সাথে আর সংসার করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। নাইমা একজন শান্তিপ্রিয় আইন মান্যকারী ও পর্দানশীন মহিলা হয়। অন্যদিকে আসামি যৌতুক লোভী, নারী লোভী, ধন্য লোভী ও মদ্যপায়ী লোক বিদায় নাইমাকে যৌতুকের দাবিতে শাররীক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে জঘন্যতম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে।

    নাইমা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা কর্তৃপক্ষ হুজুর আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিলে হুজুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা স্বাক্ষীরা স্বাক্ষীর মধ্যমে মামলা প্রমাণ করিয়াছে। এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবি এড. নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ওমর ফারুক জামিনের জন্য আবেদন করিলে, বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে নৌকার প্রতিক প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র মনোনয়ন জমা দেয়ার সাথে সাবেক সংসদ বদি

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নে নৌকার প্রতিক প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র মনোনয়ন জমা দেয়ার সাথে সাবেক সংসদ বদি

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা মতো
    অদ্য ১৭ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আসন্ন ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর রবিবার, উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উখিয়া স্টেশন জেম ছিলেন।

    সারা দেশের ন্যায় দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বর্তমান সফল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান দলীয় নমিনেশন নৌকার মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন
    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি, নৌকা মার্কার প্রার্থী জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জনাব অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতা কর্মী ও স্হানীয় গণ্যমান্য ভোটারগণ মিছিলে মিছিলে যোগদান করেন।

    নৌকার প্রতিক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বক্তব্যে বলেন জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এক একজন ভোটার নিজ নিজ জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী হয়ে পাড়ায় মহল্লায় গিয়ে মা-বোনদেরকে দোয়া ও ভোট দেয়ার জন্য আহবান করবেন।

    আগামী ১১ নভেম্বর শেখ হাসিনার নৌকা, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পুনরায় রাজাপালং ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ দিন।

  • জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় নির্বাচিতের লক্ষ্য সুরাতুল আন আম শেষে মনোনয়ন জমা

    জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় নির্বাচিতের লক্ষ্য সুরাতুল আন আম শেষে মনোনয়ন জমা

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৬ অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা মতো কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আসন্ন ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের (বর্তমান জনপ্রতিনিধি) জনগণের মনোনীত মেম্বার এর পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী দলীয় নমিনেশন নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় শুকরিয়া ও জনগণের মনোনীত মেম্বার পদপ্রার্থী গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ন্যায় বিচারক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্বকারী জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার পুনরায় জনগনের বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার উদ্দেশ্যে
    পবিত্র কুরআন থেকে ফজিলতের সুরা, সুরাতুল আন আম পড়া হয় এবং মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষ করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তার সহযোগী ছোটভাই মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন জয়।

    সুরাতুল আন আমের শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন পূর্ব ডিগলিয়া পালং নতুন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা হাফেজ আব্দুল কাদের সাহেব।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম রওজান মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুফতি এমদাদুল্লাহ শামসী সাহেব, সাবেক সভাপতি এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ,
    করইবনিয়া নতুন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা শামশুল আলম সাহেব, করইবনিয়া পুরাতন জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম হাফেজ আবু সাঈদ সাহেব, ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সৈয়দ নূর সাহেব, ডেইলপাড়া পুরাতন জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা এরশাদ উল্লাহ সাহেব, পশ্চিম ডেইলপাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা আবু বকর সাহেব, তুলাতলী পাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব ও তুলাতলী পাড়া সৈয়দ আলী ফকিরের মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম ও ভেত বনিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ রহিম উল্লাহ সাহেব, ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দু শুক্কুর সাহেব, টাইপালং মাদ্রাসার জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা হাফেজ ফরিদ আহমদ সাহেব, টাইপালং উত্তর পাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা নুরুল কবির, টাইপালং শিশু ফকিরের জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুনজুর আলম, হাফেজ কলিম উল্লাহ, হাফেজ রিদওয়ানুল কবির, বেলাল উদ্দিন মুসা, হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ সহ
    স্হানীয় আলেম হাফেজে কুরআন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১৫ টি মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবগণ দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করেন।
    মোনাজাত পরিচালনা শেষে হাফেজ আলেম ওলামাদের সম্মানের শহিদ হাদীয়া আব্দুর রহিম মেম্বার নিজ হাতে প্রদান করেন।
    এসময় ওলামায়েকেমগণের পক্ষে মাওলানা হাফেজ ফরিদুল আলম সাহেব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে আব্দুর রহিম মেম্বার এর প্রসংশা করেন, আমরা ৫টি বছরে মেম্বার এর অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন বলে শুকরিয়া করেন এবং অতিথের মেম্বার থেকে এই সহযোগিতা পাইনি বলেন, শুধু তাই নয় আগামীতে আব্দুর রহিম মেম্বার ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন, আগামী আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় মেম্বার হিসেবে দেখতে চাই একথা বলেন।

  • শিবির ক্যাডার ও সাবেক জামায়াত এমপি’র দেহরক্ষী রায়হান মাতারবাড়ী প্রকল্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

    শিবির ক্যাডার ও সাবেক জামায়াত এমপি’র দেহরক্ষী রায়হান মাতারবাড়ী প্রকল্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে

    মহেশখালী প্রতিনিধি::

    বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মেগা প্রকল্পের অন্যতম মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প। সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে জামায়াত – শিবিরের নীল নকশা বাস্তবায়নে প্রকল্পের অভ্যান্তরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে সরকার বিরোধী নীল নকশা বাস্তবায়নে চেষ্টা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

    মহেশখালীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অভিযোগ তুলে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প সমূহে সুকৌশলে দেশ বিরোধী অপশক্তি জামায়েতের নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প সমূহে বড় বড় পদ দখলে নিচ্ছে। এমন একজন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান পস্কোর চিফ সেফটি সিকিউরিটি পদে কর্মরত রাইহান উল হক চৌধুরী।

    বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, রায়হান চট্টগ্রামের আলোচিত বেশ কয়েকটি সংঘটিত খুনের সহযোগী ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের সাবেক প্রভাবশালী ক্যাডার এবং মহেশখালী – কুতুবদিয়া আসনের সাবেক সংসদ জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদের দেহরক্ষীও ছিলেন।

    মহেশখালীর মাতারবাড়ী প্রকল্পে সংঘবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে কাজ দেওয়ার বিনিমেয় কমিশন বাণিজ্যসহ চাকরী দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রকল্পকে ঘিরে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ও জামায়াত শিবিরের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

    এমনকি অভিযুক্ত রাইহান অভিনব কায়দায় শিক্ষাযোগ্যতা সনদপত্র জালিয়াতি করে চাকরী নিয়েছে। এবং প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পস্কোর এডমিন সুমনের সাথে আঁতাত করে স্থানীয় পর্যায়ের লোকদের টাকা বিনিময়ে চাকরি দেয়।

    বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পে বিভিন্ন কোম্পানিতে পদ দখল করে বসে আছেন এদিকে স্থানীয় ত্যাগী দলীয় নেতাকর্মীরা আজ কোনঠাসা বলে জানান তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

    মাতারবাড়ীর চাকরি বঞ্চিত যুবকরা জানান, বাপদাদার জায়গাজমি দিয়েও একটা চাকরি পাচ্ছি না। ৪০/৫০ হাজার টাকা দিলে অনায়াসে মিলে চাকরি। অনার্স – মাস্টার্স সম্পন্ন করা মাতারবাড়ীর প্রতিটি ঘরে ঘরে অনেক যুবকরা বেকার অবস্থায় পড়ে আছেন। রাইহানের সাথে স্থানীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে মোটা অংকেট টাকার বিনিময়ে দেয় চাকরি। স্থানীয় চক্রের মূলহোতাদের তৈরি করে সাপ্লায়ার হিসাবে।

    মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে যত্রতত্র এমন অসংখ্য সিন্ডিকেটের কারণেই মাতারবাড়ীর স্থানীয় চাকরি বঞ্চিতরা দূর্দশায় পতিত হয়েছেন।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339
  • মাননীয় প্রধামন্ত্রী’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচী চলছে

    মাননীয় প্রধামন্ত্রী’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচী চলছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারাদেশে ৭৫ লাখ কোভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন টিকা দেয়া হচ্ছে, সারাদেশের ন্যায় অদ্য ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্টিত প্রধামন্ত্রী’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গণহারে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচী।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে ৭৫ লক্ষ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলছে।

    গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৫ লাখ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    তাঁরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৫ টি টিকা কেন্দ্রে ৪ টি বুথে সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধণকৃত ৭৫০০ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

    এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে,পরবর্তী মাসে একইভাবে ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ২য় ডোজ প্রদান করা হবে, ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ২ ঘন্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাষোর্ধ বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারিরীক প্রতিবন্ধীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে, ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এনআইডি কার্ড ও কোভিড-১৯ টিকার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সাথে নিয়ে যেতে হবে, ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের টিকা প্রদান করা হবেনা।
    টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পড়ে এবং ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও সার্বক্ষনিক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ভ্যাকসিন কিংবা মাস্ক কোনটিই শতভাগ সুরক্ষা দেয় না তাই উভয়ের যোগফলেই সুরক্ষা জোরদার হয়।

    ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার সকাল থেকে
    ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদে জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে।
    একদিনে সাধারণ মানুষের জন্য প্রদান করা হবে ৮০ লাখ করোনা টিকা

    স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্তে দেশবাসী খুবই খুশী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র জন্মদিনে দেশবাসীর জন্য এই উপহার আসলেই কল্যাণময়।

    জনস্বার্থেঃ
    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

  • টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী এলজি ও চাকুসহ অস্ত্রধারী আসামী গ্রেফতার

    টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী এলজি ও চাকুসহ অস্ত্রধারী আসামী গ্রেফতার

    টেকনাফ প্রতিনিধি।

    ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ রাত ৯.৩০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকষ টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ থানাধীন পশ্চিম পানখালী এলাকা হতে একজন অস্ত্রধারী আসামীকে গ্রেফতার করা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১ মোঃ জয়নাল (২২), পিতা- শাহ আলম, সাং- পশ্চিম পানখালী (০৪নং ওয়ার্ড), থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার এর হেফাজত হতে ১ টি দেশীয় তৈরী এলজি ও ১ টি চাকুসহ উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়।

    এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান
    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান।

  • শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট

    শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট ফলক শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

    উখিয়ায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজটি ৪ এপ্রিল ১৯৯৯ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী (প্রকাশ ঠান্ডামিয়া চেয়ারম্যান)
    আজ থেকে ২২ বছর পূর্বে তাঁহার সুযোগ্য পুত্র অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী’র সার্বিক প্রচেষ্টায় ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং যথাসময়ে কক্সবাজারে দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের গেইট শুভ উদ্বোধন হবে বলে জানান উক্ত কলেজের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী,

    তিনি বলেন অত্র এলাকার নারী শিক্ষার মান উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মীনি বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র মমতাময়ী মাতার নামে আমার বাবা উক্ত কলেজটি প্রতিষ্টা করেন, তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত কলেজের একটি গেইট ফলক করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি।

  • ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    ছোট গল্প- সব দোষ ইমামের। উখিয়া ভয়েস২৪

    রচনায়: মুঃ আমির কাসেম

    ইমাম সাহেব এশার নামায পড়াচ্ছিলেন, প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। এই বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটাই ইমাম সাহেবের চাকরি যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।

    ইমাম সাহেব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার মানে বুঝেন তো, অভাবের কথা কাউকে না পারে বলতে, না পারে সইতে। এই রকম এক পরিবারের সন্তান মাও. মুনিরুল ইসলাম। মাওলানা পড়া শেষ না করলেও সবাই তাকে মাওলানা বলেই ডাকে। কারণ, মাদরাসায় পড়তে পড়তেই বড়ো হয়েছে। মাদরাসায় জামাতে হাশ্তুম শেষ করেই তাকে চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হয়েছে। এছাড়া আর উপায় কী? বাড়ির একমাত্র কর্মক্ষম লোক বাবা পঙ্গু অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন। আগে রিকশা চালাতেন। একদিন চাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলা, অতঃপর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যখানে পড়ে পায়ে সজোরে কিসের যেন আঘাত পড়ে। সেই থেকেই ভাঙ্গা পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে মুনিরুল ইসলাম লেখা-পড়া বাদ দিয়ে চাকরির খুঁজে লেগে যায়।

    দূরে যেতে হলো না। পাশের গ্রামের পঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম সাহেবকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে শুনে ঐ মসজিদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলো মুনিরুল ইসলাম। সভাপতি সাহেব খুশি হলেন। কারণ, ইমামের খুঁজে দূরে যেতে হলো না। চার হাজার টাকা বেতনে রেখে দিলেন মুনিরুল ইসলামকে। বেতন বলবো কী করে? সভাপতি সাহেব বেতন বললেও আমি বলতে পারি না। অন্তত পকেট খরচ বা হাদিয়া বলা যায়। মসজিদের চাকরি যারা করে, তারা বেতন পায় না। বেতন তো সরকারী চাকরি আর বিদেশী চাকরিতে মিলে।

    মনিরুর ইসলাম খুশি। কারণ এই চার হাজার দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ আঞ্জাম দেওয়া না গেলেও অন্তত করচটুকু যোগাতে পারবে। শুরু হলো মুনিরুল ইসলামের ইমামতি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযান, নামায পড়ানো আর সকালে ফোরকানিয়া।

    এভাবেই চলছে তার চাকরির জীবন। সপ্তাহ না যেতেই পাঁচ দিনের মাথায় ঝামেলা শুরু হলো। সকালে ফোরকানিয়ার এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে কমেডের উপরেই কাজ সেরে আসলো। ইমাম সাহেব কিন্তু এই খবর জানেন না। কারণ, তার ঐ দিকে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফোরকানিয়া ছুটি হলো, দুপুর পর্যন্ত ঐ দিকে যাওয়া হলো না। জুহুরের আযানের আগেই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সাহেব উপস্থিত। টয়লেট সারতে গিয়ে মাথা হয়ে গেলো গরম। বেটা ইমাম সাব করেটা কী? টয়লেট অপরিস্কার কেন? এভাবে চিল্লাচিল্লি করতে করতে আসতে লাগলেন ইমাম সাহেবের রুমের দিকে। ইমাম সাহেব আযান দেওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন রুম থেকে। দরজার সামনেই পেয়ে গেলেন ইমাম সাহেবকে। ইমাম সাহেব সেক্রেটারিকে দেখে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার আগেই সেক্রেটারির বুম ফাটানো চিৎকারে ইমাম সাহেব পড়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেক্রেটারি চিল্লিয়ে বলতে লাগলেন- ইমাম সাহেব! তুমি করোটা কী? অ্যাঁ! তোমার খাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর কোন কাম নাই?
    – কেন সাহেব? কী হয়েছে? কোন ভূল….
    – টয়লেটের এই অবস্থা কেন? কমেডের উপরে কার সারবি তুই আর মুসল্লি এসে পরিস্কার করবে?
    – কী বলেন? আমি আজ ওদিকেই যাইনি। আর….
    – চুপ! মোল্লাদের হত্তর দরজা থাকে। এখন পরিস্কার করে আয়! খাবি আর ওখানে সারবি, এখানে তোর কামলা সবাই…. আরো অনেক কথা বলে গেলো। সব কথা ইমাম সাহেবের কানে গেলো বলে মনে হলো না। কারণ, সে তখন অন্য চিন্তায়। কে এসে উপরে টয়লেট সারলো, আর সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়লো আমার উপর।
    সব ভুলেই ইমাম সাহেব টয়লেট পরিস্কার করে আযান দিতে গেলো। আযান দিতে দেরি হওয়ায় আরেক বকা খেতে হলো। এভাবেই চলছে তার চাকরি জীবন। একদিন টয়লেট অপরিস্কারের জন্য বকা শনতে হয়, আরেকদিন ট্যাপে পানি নেই, মসজিদে ময়লা কেন, ঝাড়ু দিতে কষ্ট হলে ইমামের চাকরি নিলে কেন ইত্যাদি। আরো কতভাবে ইমামের দোষ খুঁজে বের করে তার ইয়ত্তা নেই। যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে না, সেও হঠাৎ মসজিদে এসে পায়ে সামান্য বালি লাগলেই ইমাম সাহেবের গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করে।

    মুনিরুল ইসলাম সব শুনেও সহ্য করে যাচ্ছে। কারণ আওয়ামুননাসের গালি শোনার অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা হজম করতে হয়। হয়তো এটাই নিয়ম। ইমাম সাহেবও যে মানুষ, তাদেরও কত কাজকাম থাকে, পারিবারিক কাজেও তাদের সময় দিতে হয়, তা কি সব মুসল্লি বুঝে? যারা বুঝে তারা তো অসম্মান করছে না। এটাই এখন ইমাম সাহেবের সান্ত্বনা।

    দু’মাস পরের কথা। মাগরিবের নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি থেকে অযু করে আসতে হলো। কারণ, সারাদিন বিদ্যুৎ নেই। এশার নামাযের আগ মূহুর্তে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো। ইমাম সাহেব মটরের সুইচ অন করে আযান দিলেন। মুসল্লিরা অযু করে মসজিদে ঢুকে গেছে। ফরজ নামাযের প্রথম রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। তখনও মটরের সুইচ অন।

    নামাযের পর কারো স্মরণ নেই মটরের সুইচ বন্ধ করার ব্যাপারে। এমনকি ইমাম সাহেবেরও। চলে গেলো সবাই। ফজরের নামায পড়তে এসে সভাপতি সাহেব দেখে মসজিদের পুরো আঙ্গীনা নদীর মতো হয়ে গেছে। যেন নদীর ঢল নামছে। খোঁজ নিয়ে দেখে, রাতে যাওয়ার সময় মটরের সুইচ বন্ধ করা হয়নি। চটে গেলো ইমাম সাহেবের উপর। যেন এক্ষুনি কেয়ামত নেমে আসবে। না, ইমাম সাহেবকে কিছু বললেন না। ফজর নামযের পর কমিটির সবাইকে ডাকলেন। ইমাম সাহেবকেও। ইমাম সাহেবকে মাসের টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বললেন- ইমাম সাহেব! তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছো। অনেকদিন ধরে সহ্য করতেছি, আর না। এবার আপনি যেতে পারেন।

    -দায়িত্ব অবহেলা, নাকি খুঁজে খুঁজে দোষ বের করে দোষী সাব্যস্ত করে বিদায় করা হচ্ছে।?
    – বেশি কথা বলা ভালো নয়। সম্মানের সাথে বিদায় করতেছি। তাড়াতাড়ি চলে যান।
    -আমার কিছু কথা আছে জনাব… আবার কথা! বলে তেড়ে উঠে সভাপতি। ইমাম সাহেবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগই দিলো না। ইমাম সাহেব কাকে বোঝাবে দুঃখের কাহিনী। সে যে দোষী নয়, সবাই দোষ খুঁজে খুঁজে বের করে দোষী বানানো হচ্ছে এবং হয়েছে সবসময়। এই তো, রাতে তার স্মরণ ছিলো না মটরের সুইচ বন্ধ করতে। কিন্তু প্রায় বিশজন মতো মুসল্লি, তার মধ্যে দশ/বারোজন কমিটির লোক, তাদেরও কি স্মরণ ছিরররো না? নাকি ইমাম সাহেবকে শায়েস্তা করার জন্য এই ফন্দি? একবার ভেবে দেখুন তো, আজ মুনিরুল ইসলর