Category: কক্সবাজার জেলা

  • নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

    নিষেধাজ্ঞা শিথিল অবশেষে চিরচেনা রূপে ইনানী সমুদ্র সৈকত

     

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের ৪ মাস ১৯ দিন পর অবশেষে আজ থেকে (১৯ আগস্ট) শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী, পাথর রাণী বিচ সহ কক্সবাজারের সব বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে । করোনার কারণে প্রায় ৪ মাস ১৯ দিন ধরে অন্যান্য পর্যটন স্পষ্টের পাশাপাশি ইনানী সমুদ্র সৈকতেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে পর্যটকশূন্য ছিল সৈকত।

    বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আবারও চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। বিকেলের মধ্যেই ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোও প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠছে।

    বরণ করে নিতে পর্যটকদের ইনানী ও আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো পরিচ্ছন্নতা শেষে উপযোগী করে আজ পুণরায় চালু হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে।

    সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন এর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। এমনকি সৈকতে মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দুরত্ব, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই তিন ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

    সাগর পাড়ের বিচ মার্কেট, সৈকতের কিটকট, বিচ বাইক ও জেটস্কি, প্যারাসেইলিংসহ সব কিছুতেই দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে চিরচেনা ইনানী সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থীরা। দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
    পর্যটকদের সমাগমে ইনানী সমুদ্রসৈকত এখন মুখরিত। নেচে-গেয়ে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দী মানুষ মিলিত হয়েছে প্রাণের স্পন্দনে।সব কিছু মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সুনসান নীরব পর্যটনকেন্দ্র ইনানী পুনরায় ফিরে পেয়েছে পূর্ণতা। সৈকতের দর্শনীয় স্থানগুলো বাইকে ঘুরে দেখছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

    স্থানীয় দর্শনার্থী আহমেদ শফি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি কারণে সৈকত প্রবেশ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সৈকতে প্রবেশে শিথিলতার আসার পর ঘুরতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ সমুদ্র সৈকত প্রত্যেক ভ্রমণপিসাসুর জন্য পছন্দের একটি স্থান।”

    ঢাকা থেকে আসা পর্যটক করিম বলেন, “ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে সৈকত দেখতে আসলাম। এখন সৈকতে এসে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।”

    আরেক পর্যটক তাহমিনা বলেন, “এখন সৈকত দেখে মনে হচ্ছে সেই পুরানো চিরচেনা সৈকতকে ফিরে পাচ্ছি জনগণের সমাগম দেখে। শুধু বাড়তি যুক্ত হয়েছে কিছু মানুষের মুখে মাস্ক আছে, আবার অনেকে হ্যান্ডস গ্লাভস রয়েছে। কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে, আবার অনেকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। যা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতি।”

    বিচ চালক হামিদ বলেন, “অনেক দিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছি। কারণ সৈকতে মানুষজন আসছে। তাদেরকে বিচ বাইকে চড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন হচ্ছে।”

    ফটোগ্রাফার আব্দুল্লাহ বলেন, “দর্শনার্থীদের ছবি তুলতে ক্যামেরা হাতে সৈকতে নেমেছি অনেক দিন পর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৫’শ টাকা আয়ও করেছি। এখন খুবই খুশি লাগছে।”

    আজ থেকে আবারও চিরচেনা সেই পুরনো রূপে ফিরবে সমুদ্র সৈকত। থাকবে না আর পাখিদের কিচিরমিচির ও সাগরলতার স্বাধীন চৈতন্য।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলাকালে চলতি বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হয়েছে (১৯ আগস্ট)। গত ১০ আগস্ট থেকে দেশের সব বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া হয়।

  • ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    ইনানীতে ২ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ প্রযোজনায় শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী রক্ত সরবরাহকারী সংগঠন প্রতিজ্ঞা ব্লাড ডোনেশন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার ও ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদ।

    এই দুই সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আজ ১৫ ই আগস্ট রবিবার সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে ৫.০০মিনিট পর্যন্ত ইনানী চারা বটতলী এস,আলম মার্কেটের সামনে অর্থাৎ (মাওলানা জাকের উল্লাহ ফার্মেসীর সামনে) বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পাইন ২০২১অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২ শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু এবং বয়োবৃদ্ধের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং রক্তদান বিষয়ক সচেতনতা বিবৃতি প্রদান করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলিউর রহমান

    বক্তব্যে তিনি মাদক ও সমাজের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সংশোধন হতে না পারলে ইনানী ছেড়ে নিজেদের পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন অন্যথায় ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    তিনি ইনানীকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত করার জন্য সকলের কাছে আন্তরিক সযোগিতা চেয়েছেন।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন বাপ্পী সহ এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    আয়োজকরা জানান, তারা দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় ফ্রি ক্যাম্পেইন করে রক্তদাতাদের একটা বৃহৎ ডাটাবেজ তৈরি করবেন।

  • টেকনাফের নাফ নদীতে গুলি বিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফের নাফ নদীতে গুলি বিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    ইবরাহীম মাহমুদ, টেকনাফ প্রতিনিধি

    টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে ইয়াবা
    পাচারকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের পর ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে এই সময় কেউ গ্রেপ্তার না হলেও কৌশলে নাফনদীতে সাঁতরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে দাবি বিজিবির।

    ১৩ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার ভোরে টেকনাফের সাবরাংয়ের আচারবনিয়াস্থল নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

    বিজিবি অধিনায়ক জানায়, ‘ভোরে টেকনাফের সাবরাং বিওপির জওয়ানরা মিয়ানমার হতে মাদকের বড় চালান আসার গোপন সংবাদের খবরে স্থলভাগের অবস্থান নেয় বিজিবি। এর কিছুক্ষণ আচারবনিয়াস্থল নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশকালে বজিবি অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্যে করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে, বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে মাদক কারবারীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাফনদীতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

    তিনি আরো জানান, ‘সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    তিনি আরো জানান,সরকারী দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান ও মাদক বহনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এই সীমান্তকে মাদক ও চোরাচালানমুক্ত করতে বিজিবি জওয়ানেরা আরো কঠোর এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোক দিবসের কার্যক্রম সম্পন্ন

    ইমরান তাওহীদ রানা, ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    ঈদগাঁও উপজেলাধীন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দিন ব্যাপী শোকদিবস উপলক্ষে ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরীতে জিহাদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্টান শুরু হয়,

    সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল,
    দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও সৃতিচারণ নিয়ে আলোচনা,
    দুপুর ২টায় অসহায় দের মাঝে খাবার বিতরণ সহ নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়,

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহবুব আলম মাবু, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাজিদ চৌধুরী, দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফরিদুল আলম, উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জিল্লুর রহমান,ঈদগাঁও ইউনিয়ের সহ সভাপতি নুরুল আজিম, সহ সভাপতি ছৈয়দ নুর, মোঃনোমান,সাঈদ,পুতুল,মুরশেদ,
    রিয়াজ উদ্দিন,
    ছালামত উল্লাহ, সোনা মিয়া সহ আরু অনেকে।

  • উখিয়ার গ্রামীন সড়কের নাজুক অবস্থা। উখিয়া ভয়েস২৪

    উখিয়ার গ্রামীন সড়কের নাজুক অবস্থা। উখিয়া ভয়েস২৪

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

    ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চাকবৈঠা বাজার সড়কে ১ কিলোমিটার রাস্তায় ৩ শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
    যার ফলে যানবাহন চলাচলও মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্তা অচল হয়ে পড়েছে।

    ১০ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ও জন গনের দুর্ভোগের শেষ নেই।

    জানা গেছে ২০০৬ সালে রাস্তাটির উন্নয়নে ব্রিকসলিং করা হলে ও এর পর কোন জন প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।

    নির্বাচন আসলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা রাস্তা উন্নয়নের নামে জনগনকে ওয়াদা দিলে ও নির্বাচিত হওয়ার পর তারা এই ওয়াদা ভুলে যায়।

    যার ফলে ১০ হাজারের মতো লোকজন ছাত্র ছাত্রী চলাচল করতে অতি কষ্টকর হচ্ছে।

    এলাকা ঘুরে জানা যায় ২০০৬ সালে এই রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ উদ্ভোদন করেন ততকালীন উখিয়া টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরী।

    অপর দিকে উখিয়া ডাক বাংলো হাতিমোরা দরগাহ বিল সড়কের ও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

    এলাকাবাসি জানান, হাতীমোড়া রেজু খালের ৭ কোট টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে এই ব্রিজের জন্য মালামাল নেওয়ার জন্য ভারী যানবাহন চলাচল করায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ৩ হাজারের অধিক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

    যার ফলে ঐ রাস্তাদিয়ে চলাচল করা প্রায় ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    গর্ভবতী মহিলারা যানবাহন যোগে হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
    একই ভাবে কোটবাজার সোনার পাড়া সৈকত রোডের ও বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকা বাসি জানিয়েছেন। উখিয়ার ডাকবাংলো মরিচ্যা সড়কের অবস্থা ও বেহাল দসায় জনচলাচল দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

    এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা স্হানীয় সরকার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উখিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা গুলোর চিত্রীয় কথা উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট জানানো হয়েছে।

  • নতুন ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন

    নতুন ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন

    ইমরান তাওহীদ রানা,ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    কক্সবাজারে নতুন উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    ১০ আগষ্ট অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) মো. রাহাত আনোয়ার এ সংক্রান্তে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
    উপজেলার জন্য মোট ২৪টি অফিসের অনুকূলে ৪০ জন কর্মকর্তা ও ১৯৮ জন কর্মচারীসহ সর্বমোট ২৩৮ লোকবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরকে বলা হয়েছে।

    অফিস সেট-আপ কাঠামোতে রয়েছে-উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মকর্তা (সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত) একজন, কর্মচারী ১৫ জন। উপজেলা ভূমি অফিসে একজন কর্মকর্তা, ১১ জন কর্মচারী। থানা (পুলিশ স্টেশন) ১ জন কর্মকর্তা, ২৫ জন কর্মচারী। উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১৬ জন কর্মচারী। উপজেলা নির্বাচন অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা খাদ্য অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসে ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসে (হাসপাতালসহ) ১০ জন কর্মকর্তা, ৩৭ জন কর্মচারী। উপজেলা কৃষি অফিসে অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ২৪ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৭জন কর্মচারী। উপজেলা মৎস্য অফিসে ১জন কর্মকর্তা, ৪জন কর্মচারী। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ২জন কর্মকর্তা, ৮জন কর্মচারী। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৭জন কর্মচারী। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ১জন কর্মচারী। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৯ জন কর্মচারী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী। উপজেলা সমবায় অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে ১জন কর্মকর্তা, ৬জন কর্মচারী।
    ঈদগাঁও উপজেলা সদর দপ্তর ঈদগাঁও মৌজায় স্থাপিত হবে।

    উল্লেখ্য,গত ২৬ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস–সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ভার্চ্যুয়াল সভায় ঈদগাঁও নতুন উপ জেলা হিসেবে অনুমোদন পায়।

    কক্সবাজার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী নিয়ে গঠিত হল ঈদগাঁও উপজেলা। ৫টি ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
    ঈদগাঁওকে উপজেলা ঘোষণার জন্য দুই দশক ধরে আন্দোলন–সংগ্রাম করে আসছে এলাকার বাসিন্দারা। নির্বাচনে ভোটারদের দাবীর মুখে পড়তে হয় জনপ্রতিনিধিদের।
    ঈদগাঁওবাসীকে প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ৪০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার শহরের উপজেলা পরিষদে যেতে হতো। এখন হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। এলাকার উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে মনে করছে এখানকার জনগণ।

  • ঈদগাঁওতে টিকা নিতে নারী-পুুুরুষের উপচেপড়া ভীড়: আস্থা বাড়ছে টিকায়

    ঈদগাঁওতে টিকা নিতে নারী-পুুুরুষের উপচেপড়া ভীড়: আস্থা বাড়ছে টিকায়

    ইমরান তাওহীদ রানা ,ঈদগাঁও উপজেলা প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা ৫টি ইউনিয়নে কোভিড টিকা নিতে নর-নারীদের ভীড়। টিকার প্রতি আস্থা বাড়ছে গ্রামীন জনপদের মানুষদের।

    সারাদেশের ন্যায় ৭আগষ্ট সকালে ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের এডমিন এম আবু হেনা সাগর এবং ইমরান তাওহীদ রানা ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এতে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে তরুন তরুনী,যুবক যুবতীও বয়োবৃদ্বরা আগ্রহের সাথে টিকা নিতে আসছেন। কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদেরকে লাইনের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার সু-ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

    ঈদগাঁও ইউনিয়নের আলমাছিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র দেখা যায়, সুন্দরভাবে স্বাস্থ্য সহকারীরা মানুষ দেরকে টিকা দিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম। এতে ঐক্য পরিবারের উদ্যোগে গঠিত সেচ্ছা সেবক টিমের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, শাকিব ও জাওয়ান উদ্দিন রায়হান।

    ইসলামাবাদের জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্র মানুষের উপচেপড়া ভীড় যেন চোখে পড়ার মত। টিকাদানে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারীরা পাড়া মহল্লা থেকে আসা সাধা রন মানুষদেরকে রেজিস্ট্রেশন কার্ডের উপর ভিত্তি করে দ্রুত টিকা দিয়ে দিচ্ছেন। এতে উপ স্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, কৃষি অফিসার সুব্রত দাশ জিকু ও ঐক্য পরিবারের ইউনিয়ন সমন্বয়ক শিক্ষক নুরুল ইসলাম।

    ইসলামপুরে নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিকা কেন্দ্রে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনামুখর পরি বেশে টিকা নিচ্ছেন সাধারন মানুষরা। এই কেন্দ্র ঐক্য পরিবারের টিমে অংশ নিলেন, ইউনিয়নের সমন্বয়ক ক্রীড়াবিদ ছৈয়দ করিম, তরুন আইন জীবি গিয়াস উদ্দিন, ছৈয়দ মোহাম্মদ তামিম, নুরুল হুদা ও তাফসীর।

    খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, জালালাবাদ এবং পোকখালী ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রে ঐক্য পরি বানের সেচ্ছাসেবক টিমের প্রতিনিধিরা করোনা টিকাগ্রহনে এলাকার মানুষকে উদ্বুদ্ব করার পাশা পাশি লোকজনকে টিকা নিবন্ধনে সহযোগিতা করছেন। টিকা কেন্দ্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও এনজিও প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করেন।

    জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, গ্রামগঞ্চের সাধারন মানুষের আস্থা বাড়ছে টিকার প্রতি। সুন্দর ও সু-শৃংখল পরিবেশে টিকা নিচ্ছেন তারা। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের মাঝেও সাধারন মানুষ টিকা কেন্দ্র মুখী হলেন।

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ ওয়ার্ডে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিদর্শনে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ ওয়ার্ডে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিদর্শনে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড প্রর্যায়ে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম ধাপে  অধ্য ৭ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ শনিবার সকাল ৯ ঘটিকা হইতে আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে টিকাদান কেন্দ্রে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়।

    কোভিড ১৯ টিকাদান কেন্দ্রে রাজাপালং ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    সাথে ছিলেন উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব নুরুল কবির মেম্বার, মোঃ সালাহ উদ্দিন মেম্বার, মহিলা মেম্বার কামরুন্নেছা, মোঃ শাহজান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা সোহেল বিএ সহ প্রমুখ।

  • উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    কফিল উদ্দিন জয়,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি।

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়া এলাকা হইতে ফের ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সদস্যরা।

    ৬ আগস্ট ২০২১ খ্রুিঃ শুক্রবার ১,৪৫ ঘটিকার দিকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ন বিজিবি চৌকষ আভিযানিক দল উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড করইবনিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাচারকৃত বিদেশ প্রবাসীর বাড়ির পাশ্ববর্তী বিপুল পরিমান ইয়াবা রাখার গোপন স্থানে হানা দিয়ে ব্যাপক তল্লাশী করে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা ১৬ কার্ট ইয়াবা যার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
    যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

    এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পহেলা জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত ২২ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ ১৪৭জনকে আটক করা হয়।।।

     

    উপজেলার একই এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট
    কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জানান।

    এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১,১৫ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করইবনিয়ার পাহাড়ী জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বস্তাবর্তী ৪ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যদের অভিযানে এসব ইয়াবা জব্দ করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
    বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঐ সময় বিজিবির ওপর সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবি ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এতে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পৃথক অভিযানে জব্দকৃত ইয়াবা ৪১ কার্ট মূল্য প্রায় ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ইয়াবা জব্দের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

    উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া গ্রামের বড় ইয়াবা সিন্ডিকেটের পরিচালক, সহযোগিরা সকল সদস্য রাত্রে ইকবালের গ্রুর ফার্মে থাকলেও দিনের বেলায় যার যার স্হানে চলে যায় বলে স্হানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে রাতে পাহাড়া দেয়ার জন্য হাজারো ২০ থেকে ৩০ জন ইয়াং যুবককে ১০০০ করে বেতন দেয় দৈনিক।

    এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়ার পালং এর অধ্যশতাদিক যুবক ও ছাত্ররা। সিন্ডিকেটের মূল ইয়াবা পরিচালক হিসেবে রয়েছে নুর হোসেন চেয়ারম্যান, ইকবাল, হাকিম আলী, ভুট্টো, হানিফের ছেলে মিজান, রশিদ এর ছেলে ইউনুস ফারুক, বোরহান উদ্দিন, আরো অনেক নারী পুরুষের নাম তাকলেও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে সব সদস্যের নাম বের করা সম্ভব হবে বলেন স্হানীয় জনগোষ্ঠী

  • খরুলিয়াতে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি কাফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার

    খরুলিয়াতে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামি কাফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার

    মোহাম্মদ জিয়া।কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে মোর্শেদ কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি কফিল উদ্দিনকে (১৫) রামু জোয়ারিয়ানালা থেকে জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে স্থানীয় জনতা ধরে সকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এবং ঝিলংজার চেয়ারম্যানের কাছে খবর দেয়। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের হাত থেকে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।

    গ্রেফতারকৃত কফিল উদ্দিন ঝিলংজার ৮ নং ওয়ার্ডের খরুলিয়ার কোনারপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ফরিদের ছেলে। ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, খরুলিয়ার আলোচিত মোর্শেদ কামাল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কফিল উদ্দিন গভীর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ট্রাকযোগে কক্সবাজার আসার এমন খবর পাই স্থানীয় ট্রাক চালক নুরুল আজিম।

    এসময় আজিমসহ আরোও কয়েকজন যুবক মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে তাকে ধরে খরুলিয়া বাজারে নিয়ে আসেন বলে খবর পাই। পরে সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গীয়াসকে ফোন দিলে এস আই ফরিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটস্থলে আসলে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কফিলকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বিকেলে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার ছলিমের দোকানের সামনে কফিল উদ্দিন ও মোর্শেদ কামালের মধ্যে ঠাট্টার ছলে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় একে অন্যজনকে তিরস্কার করেন। এই সামান্য বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মোর্শেদ কামালের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কফিল উদ্দীন। এতে মোর্শেদ গুরুতর জখম হন।

    দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লিংকরোডস্থ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে ডুলাহাজারা পর্যন্ত গেলে গাড়িতে মোর্শেদ কামালের মৃত্যু হয়। নিহত মোর্শেদ ঘাটপাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত মোর্শেদ কামালের মা মোস্তফা বেগম বাদী হয়ে কফিল উদ্দিনকে প্রধানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন