Category: কক্সবাজার জেলা

  • উখিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ এর ইন্তেকালে হাজার মানুষের ঢল

    উখিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ এর ইন্তেকালে হাজার মানুষের ঢল

    শোক বার্তা

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব ও উখিয়া উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ক্বারী কামাল আহমদ সাহেব হুজুর অদ্য ৩০ জুলাই ২০২১ ইং, জুমাবার সকাল ৮ ঘটিকায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ) আজ বিকাল ৫,৩০ মিনিটের সময় উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ সম্পন্ন। হুজুরের মৃত্যুতে ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

    মৃত্যুকালে হুজুরের বয়স ৬৭ এবং তিনি ৩ ছেলে ৩ মেয়ে স্ত্রীসহ শত শত ছাত্ররা রেখে যান। জানাযার পূর্বে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহ্ জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব অধ্যাপক মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ও অন্যঅন্য নেতৃবৃন্দ।

    জানাযার ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা আবু নাছের

    হে আল্লাহ মরহুমের কবরকে জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দিন। আমীন

  • ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ঈদগাঁও নাসি খালে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু: জানাযা সম্পন্ন

    ইমরান তৌহিদ রানা, নবম ঈদগাঁও প্রতিনিধি

    কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে নাসি খালে ঢলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার দিকে ২জন,পরে আরেক জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্বিসের ডুবুরির দল। এর আগে দুপুরে মোহাম্মদ ফারুক (২৫), মোর্শেদ আলম (১৮) ও দোলোয়ার হোছেন (২০) নামের তিন যুবক নাসি খালে মাছ ধরতে গিয়ে ঢলের পানিতে ডুবে যায়। ঘটনার পর থেকে দমকল বাহিনী ও সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী এবং স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধারের অনেক তৎপরতা চালায়। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা পরও মোহাম্মদ ফারুক, মোর্শেদ আলম ও দোলোয়ার হোছেনকে জীবত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে পৌছে। পৌনে ৫টা থেকে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছিল। এদিকে মাছ ধরতে গিয়ে তিন যুবক ডুবে যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল। অবশেষে মৃত হলেও তাদের পেয়ে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। অদ্য ২৯ জুলাই সকাল ১১ ঘটিকার সময় ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ডের দরগাহপাড়া বারআউলিয়া মসজিদের মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযার নামাজ আদায় করা হয়, পরবর্তীতে কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। উক্ত জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধূরী, ঈদগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ও ইসলাম পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর আলহাজ্ব আব্দু শুকুর সহ স্থানীয় লোকজন এবং দুরদুরান্ত থেকে আগত রাজনীতিবীদ ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীর লোকজন। জানাযায় উপস্থিত জনতার সামনে সোহেল জাহান চৌধূরী মৃত্যু ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ঈদগাঁও ইউনিয়নের আপামর জনতার পাশে সুখে-দুঃখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সার্বক্ষনিক পাহারায় ছিলাম,আছি এবং আগামীতেও থাকব ইনশাহআল্লাহ। উক্ত তিন যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় এবং পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানাযা শেষে টানা প্রবল বৃষ্টি কারণে দরগাহপাড়ায় ভেঙ্গে যাওয়া বাড়ীঘর গুলো পরিদর্শন করেন সোহেল জাহান চৌধূরী। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে অতি সহসায় ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন, এবং গতকাল কক্সবাজার সদর রামু ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, কউক চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল ফুরকান আহমদ, সদর উপজেলার ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, এবং ঈদগাঁও থানা পুলিশ, রামু ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম থেকে আগত ডুবুরি টিম সার্বক্ষণিক সহযোগিতা এবং খোঁজ খবর রাখেন, এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার করে তিন পরিবারকে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ অর্থ বুঝিয়ে দেন, পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে।

  • রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    রামুর বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গন : নদী পাড়ের মানুষের করুন আর্তনাদ

    জয়নাল আবেদিন জয়, রামু প্রতিনিধি

    কক্সবাজার রামু বাকঁখালী নদীর ভয়াবহ ভাংগনে বিলীন হচ্ছে বসতঘর, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও চাষের জমি।
    কিছু দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভাংগন আরো তীব্র হয়ে উঠায় আরো নতুন নতুন ঘরবাড়ি ভাংগনের কবলে পড়ে। ফলে চরম আতংকে দিন যাপন করছে এখানকার মানুষ।
    বিগত একযুগে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলী
    ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাঝিরকাটা পর্যন্ত এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষজন অনেক কিছু হারিয়েছে। এ সময়ে অন্তত শত শত বসতঘর, দুনকে-দুন চাষের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এ নদীর ভাংগনে। ফলে এখানকার নদী ভাংগনে ঘরবাড়ি হারানো লোকজন অনন্যোপায় হয়ে বনবিভাগের জমিতে বা আশপাশে চিপা জমিতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এলাকার লোকজন যেভাবে তাদের সহায় সম্পদ হারিয়েছে তা প্রকাশের ভাষা নেই।
    গর্জনিয়ার ৬নং ওয়ার্ড- মাঝিরকাটা বেশির ভাগ এলাকা রামু উপজেলার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে। মাঝির কাটার ফরেষ্ট অফিস এলাকা থেকে মাষ্টার ইসহাক স্যারের বাড়ির মোড় বাঁকখালী নদী এলাকা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এখানে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কবর স্তান নদীর ওপারে চলে গেছে, হারিয়ে গেছে গরীব অসহায় মানুষের বাপ দাদার বসত ভিটা। এ নিয়ে স্তানীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে, ভয় আর আতংক নিয়ে মানুষের জীবন কাটছে। সরকার বা স্তানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকে স্বপ্ন দেখিয়েছে এই সব সমাধান করার জন্য, বিএনপি সরকার থেকে বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকার দীর্ঘ ১৫
    বছর পর্যন্ত কেউ বাঁকখালী নদী ভাঙ্গনের
    প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
    এ বিষয়ে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র সহযোগিতায় উত্তর মাঝিরকাটা থেকে মরহুম ইসলাম সাহেবের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২০টি পয়েন্টে ৫০টি গাছের বল্লী বাঁধ দিয়েছিলো, তা কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছিল। এরপর আর বাঁধ নির্মানে কেউ উদ্যোগ নেইনি আজ পর্যন্ত। আজ গর্জনিয়া নদীর পাড়ের মানুষ গুলো বড়ই হুমকিতে দিন কাটাচ্ছে।
    নদী পাড়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামীন এলাকার এ বাঁকখালী নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
  • কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    কক্সবাজার ভারি বর্ষণে বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানি বন্দি এলাকায় দেখতে গেলেন এমপি কমল

    ডেস্ক রিপোর্ট

    কক্সবাজারের সদর প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা কবলিত রামু ও নবগঠিত ৯ম ঈদগাঁও উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জননেতা জনাব আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

    গত ২৮ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
    পরিদর্শনকালে এমপি কমল রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের খবরা-খবর নেন এবং দুর্গত মানুষের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। পরে তিনি নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার ঈদগড় সংযোগ সড়কের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এসময় খবর পেয়ে প্রবল বর্ষন ও কাদা অপেক্ষা করে ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহপাড়ার নাসি খালে নিখোঁজ তিন সহোদরের উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে ছুটে যান এমপি কমল।
    পরিদর্শন কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক দিয়ে ঈদগড়ের বিশ হাজারের অধিক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পঁচিশ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল। ওই এলাকায় রাবার, পান, বিভিন্ন সবজি ও ফল উৎপাদন হয়। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে চাষীদের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে না হয় মতো প্রবল বর্ষনে বিধ্বস্ত হওয়া সড়কের অংশ বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট এলজিইডিকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
    এমপি কমল, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা ও রামু উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এমপি কমল প্রয়োজনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে দুর্গত অনাহারি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে যারা ইতিমধ্যে দুর্গতদের পাশে দাঁিড়য়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বন্যা দুর্গত কোন মানুষ যাতে অনাহার না থাকে আমরা সে ব্যাবস্থা করবো। সকলের কাছে আমরা খাবার পৌঁছে দেব।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আদনান, সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী, রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ফরিদুল আলম, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রামু যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, যুবলীগ নেতা ওসমান গণি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মুরুব্বি, ছাত্র ও যুবসমাজের নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন।
    অন্যদিকে বুধবার বিকেল থেকে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বন্যা দুর্গত অনাহারি মানুষের জন্য রান্না করা খাবার দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। আওয়ামী পরিবারের একদল স্বেচ্ছাসেবক এ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক। তিনি জানান, বন্যাকবলিত সকল অসহায় মানুষ যাতে খাবার পায় এমপি কমল মহোদয় সে ব্যবস্থা করেছেন।

  • ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫ শ পরিবারকে চাল বিতরন করেন- বদি

    ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫ শ পরিবারকে চাল বিতরন করেন- বদি

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফের সরকারি বরাদ্দ ১৫০০ শত পরিবারকে চাউল বিতরণ করেন, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি

    আজ ১৫ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া চৌধুরী পুকুর পাড়ে ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্র ১৫০০ শত পরিবারের মাঝে এ চাউল বিতরণ করা হয়।

    করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৩ ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে পুকুর পাড়ে চাউলের বস্তাগুলো সাজিয়ে রাখা হয়। এর পর একা একা সবার মাঝে চাউল বিতরণ করেন কক্সবাজার-৪ উখিয়া টেকনাফ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরাক্রম চাকমা ও সচিব মহিউদ্দিন ফয়েজী, কাউন্সিলগণের মধ্যে, নুরুল বশর নুরশাদ, নাজমা আলম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের টেকনাফ পৌর শাখার কমিটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল গফুর ও নুরুল আলম প্রমুখ।

    সর্বশেষ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি এমপি চাউল বিতরণ সম্পন্ন করেন।

  • উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

    উখিয়ার পূর্ব ডিগলিয়া পালং ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পুর্ব ডিগলিয়া পালং তরুণ সংগঠনের উদ্যোগে খেলাটি আয়োজন করা হয়। ২৫ জুন ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় পুর্ব ডিগলিয়া পালং খেলার মাঠে এ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত ফাইনাল খেলা রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ ইউনুস, শরিফুল ইসলাম বাদশাহ এর সঞ্চালনায় শুরু হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।


    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আক্তার উদ্দিন টুনু, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট এটিএম রশিদ, রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জনাব হানিফ সিদ্দিকী, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেদ চৌধুরী ফরহাদ, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুল হক আকাশ ও স্হানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।

    এ ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণকারী একয় এলাকার খেলোয়াড়রা, পুর্ব ডিগলিয়া পালং মাঝের পাড়া (০২) গোলে বিজয়ী হন, অপরদিকে পর্ব ডিগলিয়াপালং স্টুডেন্ট ক্লাব (উত্তরপাড়া) (০)গোলে পরাজিত হয়েছে।

    খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন এবং খেলার অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিবৃন্দরা বিজিতদে রানার্সআপ ট্রপি তুলে দিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানায় খেলা সম্পন্ন করেন।

  • উখিয়া ফরেস্ট রোড়ের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,দেখার কেউ নেই

    উখিয়া ফরেস্ট রোড়ের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,দেখার কেউ নেই

    শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়া ফরেস্ট রোড় এলাকার ময়লা-আবর্জনার পাহাড় থেকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
    উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ ফরেস্ট রোড় এলাকার জনগণ প্রতিদিন কোন না কোন রোগে ভুগছে এ-ই দুর্গন্ধে কারণে।
    দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্কার না করায় ময়লা আবর্জনার পাহাড়ে রুপ নিয়েছে এলাকাটি । রোগ জিবানো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে অসুস্থ হচ্ছে স্থানীয়রা।
    ময়লা আবর্জনার যে ভয়ংকর দুর্গন্ধ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে,,, উখায়া উপজেলার মহিলা কলেজ ফরেট এলাকার জনগণ প্রতিদিন কোন না কোন রোগে ভুগছে এ-ই দুর্গন্ধে কারণে এলাকাবাসী কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা সহ সংশ্লিষ্টরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    গত কয়েক বছর যাবত এলাকায় সড়কের পাশে প্রতিদিন হাট-বাজার ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।এতে ময়লা-আবর্জনার পাহাড়ে পরিণত হয়েছে।

    এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজারো যানবাহন। এসব যানবাহনের যাত্রীরাও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা তো আছেই। আবর্জনার পাহাড় থেকে বাতাসে আশপাশের এলাকাতেও এ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

    আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও দুর্ভোগসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি দুর্গন্ধের করণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।
    আবর্জনার প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ পশ্চিমে রয়েছে উখিয়া দারোগা বাজার । আবর্জনার দুর্গন্ধে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
    এলাকার বাসিন্দা মিজান বলেন, বাতাসে ময়লা-আবর্জানার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গন্ধে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকাও যায় না। ময়লা-আবর্জনার কারণে এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেশি। প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে থাকতে হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। কর্তৃপক্ষ যদি এসব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নিতো অথবা পরিকল্পনার মাধ্যমে এগুলো থেকে জৈব সার তৈরির ব্যবস্থা করতো তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমে যেত।

  • কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিল পৌরসভা

    কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিল পৌরসভা

    সাইফুল ইসলাম আজাদ,কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কক্সবাজার পৌরসভা ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলামের হাতে অনুদানের এ চেক তুলে দেন।
    এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ এবং পৌরসভার উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রেস ক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করায় মেয়র মুজিবুর রহমানের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ কে ।

  • রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি পরিবারের ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও আলোচনা সভা-২১

    রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি পরিবারের ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও আলোচনা সভা-২১

    মুহাম্মদ ফয়সাল, রামু কক্সবাজার।

    শুক্রবার ৪জুন ২০২১ কক্সবাজারের রামু ব্লাড ডোনার’স সোসাইটির ঈদ পরর্বতী মিলন মেলা ও আলোচনা সভা-২১ সম্পুর্ণ হয়েছে।
    উক্ত ঈদ পরর্বতী মিলন মেলা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রণয় চাকমা
    প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব মোস্তাক আহমদ মহোদয়।


    এসময় বক্তারা বলেন একপর্যায়ে বর্তমান যুব সমাজের অধিকাংশ খুন ধর্ষন,ইয়াবা এগুলোর সাথে জড়িত, যারা এই সেচ্ছাসেবী কাজ করে যাচ্ছেন থাদেরকে ধন্যবাদ জানান, প্রধান অতিথি আরো বলেন তিনি যতদিন জীবিত থাকবে এবং রামু উপজেলাতে থাকবে ততদিন প্রর্যন্ত যদি কারো কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে নিঃসন্দেহে বলতে পারবেন।

    পরে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

  • মহেশখালীতে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    মহেশখালীতে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    মিছবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি)::

    মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর জেলেপাড়া থেকে সাইটপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কি.মি. স্থায়ী ও টেঁকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মাতারবাড়ীর শিক্ষিত যুব ও ছাত্র সমাজের মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ২৮মে (শুক্রবার) বেলা ৪টায় মাতারবাড়ীর নয়াপাড়া এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় উক্ত মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় বক্তব্য রাখেন, ওয়াহেদ হোছাইন রুবেল, মোহাম্মদ শহিদ,মিজানুর রহমান,মাস্টার শাহাব উদ্দীন,অহিদুল কাদের অহিদ,নিশাত রহমান, মোহাম্মদ শাকিল সহ প্রমূখ। বক্তরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,“১৯৯৮ এর পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই বেড়িবাঁধটি কেবল নামে মাত্র সংস্কার করেছে। নানা দূর্যোগের সর্বপ্রথম এই বেড়িবাঁধটিই মাতারবাড়ীকে রক্ষা করে। সময়ে সময়ে বর্ষার আগে কেবল দায় এড়ানোর জন্য করা করা হতো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে আজ সেই বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে গেছে। দ্রুত যদি এই বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা না হয়, তাহলে মাতারবাড়ী হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই আমরা দ্রুত এই বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”

    উক্ত মানববন্ধনে সঞ্চালনায় ছিলেন, আব্দুর রহমান রিটন ও আব্দুল আমিন জয়। এ সময় মাতারবাড়ীর স্থানীয় যুব সমাজ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।

    জিও ব্যাগ না দিয়ে ইটের ব্লক দিয়ে মাতারবাড়ীর চারদিকে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।গত ২৬শে মে ঘূ্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে দীর্ঘ এক যুগের অধিক অরক্ষিত বেড়িবাঁধটি বিলিন হয়ে যায়। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

    বার্তা প্রেরক-
    মিছবাহ উদ্দীন আরজু
    (মহেশখালী)
    মোবাঃ 01811323339