Category: কক্সবাজার জেলা

  • উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের ১৪ ছাত্র ছাত্রী কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজকের ফলাফল প্রকাশে শতভাগ পাশ করেন

    উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের ১৪ ছাত্র ছাত্রী কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজকের ফলাফল প্রকাশে শতভাগ পাশ করেন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ উখিয়া।

    উখিয়া উপজেলা সদর বৃহত্তর রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা গ্রামে ২০১৯ সালে তরুণ মুফাচ্ছির হাফেজ মাওলানা মুফতি রিদওয়ানুল কাদির সাহেবের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়, অল্প সময়ের মধ্যে পড়ালেখার মানোন্নয়ন হওয়াতে নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৪ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ৮ জন এ প্লাস ও ৬ জন এ পেয়ে পরিচালনা কমিটিসহ এলাকাবাসী ধন্য মনে করেন এবং আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকধারা পাঠদান করা হবে।

     

    আপনার সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা দিন, প্রাথমিক শিক্ষা নুরানী শিক্ষা ছাড়া বিকল্প নেই।

  • ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদ ঐক্যের ডাক রোহিঙ্গা শিবিরে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ উখিয়া।

    অদ্য ২৫ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: বুধবার কুতুপালং ক্যাম্প-১ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উলামা ও ইসলামী ছাত্রদের নেতৃত্বে এক ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল বিষয় ছিল ইত্তেফাক (একমত হওয়া) ও ইত্তেহাদ (ঐক্য)। সভায় রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সংগঠন RSO, ARSA, ARA এবং Islam Mahaj এর নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তারা মতবিরোধ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। নেতারা জনসম্মুখে শপথ করেন যে, তারা নিজের অধিকার এবং মাতৃভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে শাহাদাতের আগ পর্যন্ত একতাবদ্ধ থেকে জিহাদের পথে অটল থাকবেন। তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন: “وما توفيق إلا بالله”।

    অংশগ্রহণকারীরা জীবনের মানোন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন এবং উন্নয়নের পথে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেন। একজন বক্তা বলেন, একমত না হলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না, আর ঐক্য ছাড়া আমরা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো না। এই দিনটি উপস্থিত সকলের জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়। সমাবেশটি এতটাই আবেগময় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল যে, এর বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। উপরন্তু, সমাবেশ চলাকালীন আল্লাহর রহমতের বারিধারাও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

    সমাবেশ জুড়ে এ স্লোগান মুখরিত হয়:
    “سبيلنا الجهاد الجهاد، طريقنا الجهاد الجهاد، الله أكبر الله أكبر”
    এই স্লোগানের ধ্বনিতে পুরো পরিবেশ কম্পিত হয়ে ওঠে। ইয়া আল্লাহ, আমাদের এই ঐক্যের প্রচেষ্টা ও সফরকে সফলতা দান করুন। আমিন।

  • কাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে।

    কাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আগামীকাল ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: সোমবার সকাল ০৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খতমে কুরআন অনুষ্ঠিত হবে। এবং ১৬ ই ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: দুপুর ২ ঘটিকার দিকে কোট বাজার স্টেশনে বিজয়  র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

    পবিত্র কোরআন খতমের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ/ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ/ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন/ বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটিসহ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলার সকল হাফেজ আলেম সকাল ৯ ঘটিকার দিকে উখিয়া শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল।

    অনুরোধক্রমে
    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
    উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন সম্পন্ন।

    শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন সম্পন্ন।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ এই স্লোগান বুকে ধারন করে আলেম ওলামা, ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের সেচ্ছাসেবী সংগঠন, শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা’র উদ্যোগে আয়োজিত পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন গত ৮ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কাবির এর সঞ্চালনায় ও জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত তারবিয়াত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু জোয়ারিয়া নালা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক সাহেব (দা:বা:)।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছীসহ কক্সবাজার জেলা সকল দায়িত্বশীল ও ৯ উপজেলা শাখার দায়িত্বশীল সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    অতিথি বৃন্দদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবী, সেক্রেটারি মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব।

    আমরা আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিন খতিবরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোন আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে কমিটি কখনো নির্যাতন করতে পারবে না।
    ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মসজিদ কমিটি সবসময় ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের দোষ খুঁজে আর খুঁজে। শুধু কক্সবাজার জেলা নয় পুরো বাংলাদেশে আমাদের একজন আলেম ওলামা, ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের অন্যায় ভাবে নির্যাতন করা হলে আমরা আর বসে তাকব না, সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে বক্তারা বক্তব্য এসব কথা বলেন।

    সর্বশেষে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে থেকে কক্সবাজার জেলার পূর্ণগঠন কমিটি ঘোষণা করেন।

    নিউজ ডেস্ক: উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

  • শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন কমিটি-২০২৫-২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন কমিটি-২০২৫-২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ, এই স্লোগান বুকে ধারন করে মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ’র হাতে গঠিত হয় আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদের নিয়ে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এই সংগঠনে আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৫-২০২৬ সেশনের কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন।

    ৮ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অত্র সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ। বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। বিশেষ মেহমান জেলা সেক্রোটারি হাফেজ মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। অংশগ্রহন করবেন হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কবীর সাহেব হাফিজাহুল্লাহ’সহ জেলা উপজেলার আলেম, ওলামা মাশায়েখ ও মোয়াজ্জিনগণ উপস্থিত থাকবেন।

    সকলের নিকট দোয়া ও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

  • সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

    সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

     

    আপত্তি নিরসন।

    অভিযোগ: ১
    বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌ মাদ্রাসাটি দীর্ঘ ১০০ শত বছর ধরে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মকতবের নিয়মে পাঠদান করে আসছিল। গত ১৩-১৪ বছর আগে মাঃ জামাল উদ্দিন মাদ্রাসাটিকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকার কিছু লোকজনকে তার কব্জায় করে উচ্চতর শিক্ষা পাঠদানের আশ্বাস দিয়ে দখলে নেয়।

    জবাব: ১
    নিঃসন্দেহে যে মাদ্রাসার প্রাণ কেন্দ্রে বসে আপনারা কথাগুলো শুনছেন, তা একসময় কেবল মকতবেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতের বদৌলতে মকতব থেকে কোরআন, সুন্নাহ সমন্বিত একটি দ্বীনি দরসেগাহে রূপায়ন হয় আমি অধমের হাত ধরে। তারা আপত্তি করেছে মকতব থেকে‌ নাকি মাদ্রাসা হবার পেছনে আমার স্বার্থসিদ্ধি ছিল, এবং মুষ্টিমেয় মানুষের সহযোগিতায় আমি তা হাসিল করতে পেরেছি। নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহর পানাহ চাই। যদি তাই হয়ে থাকে, সূচনালগ্নে তাদের নিঃস্বার্থ বৃহৎ জামাত কয় ছিল? এবং সঙ্গবদ্ধভাবে কেন বাধা দেয়নি আমার উদ্যেশ্যে হাসিল পথে? তাদের ভাষ্যমতে হয়তো আমার সাথে মুষ্টিমেয় কিছুজন ছিল, বাকি তাদের বিরাট দল কেন প্রতিরোধ করেনি আমাই?
    মাদ্রাসা হয়ে এলাকার কি বেশিই ক্ষতি হয়ে গেল? মকতব থেকে হেফজ বিভাগ হয়ে এলাকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা কোরানের হাফেজ হয়ে মা বাবার মুখে হাসি ফুটালো। গায়ে জুব্বা পরিধান করলো। চারিত্রিক সৌন্দর্যে এগিয়ে গেল। পরে মাদ্রাসা কারিকুলাম চালু হয়ে হাফেজ হবার সাথে সাথে কোরআন হাদিসের বিস্তর ইলম হাসিল করতে সক্ষম হলো। এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অনেকেই দেশের বাছাই আলেম হলো, এ ছোট্ট টিনের ছাউনি থেকে শিখে বড় বড় দালানে আহরিত ইলম পাঠদানে শক্তি অর্জন করলো, সব কি আমার মতলবি উদ্যেশ্যে ছিল? উত্তরটুকু আপনাদের‌ কাছে জমা দিলাম। সবমিলিয়ে ছোট মানুষ হয়ে বড় স্বপ্ন হয়তো দেখেছি, তবে অভিযুক্ত অপরাধের মতো হীন উদ্যেশ্য আমার মধ্যে কিঞ্চিৎ ছিল না, ওয়াল্লাহী।

    অভিযোগ: ২
    দীর্ঘ সময় ধরে তার মন মতো একটি সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালিয়ে আসছিল। যদিও কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার আইন কানুন থাকলেও নিয়ম-কানুন কোনোটাই মানা হয়নি। কমিটির সদস্যদের শত ভাগের ধর্মীয় জ্ঞান নাই যা আইনের বাহিরে।

    জবাব: ২
    মন মতো সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালানোর অর্থ আমি বুঝিনি। কারণ, এলাকার মান্যবর কোন সভ্য ব্যক্তি বাদ গেছে যার উত্তম পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের মতো মনগড়া সিন্ধান্ত নিয়েছি? মাদ্রাসা পরিচালনার কানুন কী, তা হয়তো তাদের কাছে শিখা দরকার! কারণ প্রতি বছরই তো হেড অফিস থেকে যাচাইকরণের জন্য কিছু মেহমান আসেন। সম্পূর্ণ অবস্থা দেখেই ফিরেন তারা। অভিযোগ থাকলে তারাই করতো, একাকি সিন্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসা অধপতনের ঘৃণ্য মানসিকতা থাকলে, তারাই ধরিয়ে দিতো! কয়, কার কাছে অভিযোগ করে গেছে তারা? এমন তো হয়নি কখনোই। তাদের আপত্তি হলো, কমিটির সদস্যদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তা সঠিক। কারণ, এমন কিছু মাদ্রাসার একনিষ্ঠ শুভাকাংখী যারা সর্বাত্বক মাদ্রাসার কল্যাণ চায়; এবং বয়সের দিক থেকে মুরব্বি হিশেবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হবার অধিকার রাখেন। তারা কমিটিতে থাকা কোনোদিনও অযৌক্তিক হতে পারে না। বড় বড় মাদ্রাসার দিকে আপনি লক্ষ্য করলেও এমনটা দেখতে পাবেন, যারা মকতবেও পড়ানোর সক্ষমতা রাখেন না, তবে সর্বোচ্চ শুরা আসনে তাদের রাখা হয়েছে মাদ্রাসার উন্নতিলাভের আশায়। এটি দোষ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক।

    অভিযোগ: ৩
    ভেতর ভেতরে দেখা যায় তার সম্পদের পাহাড় খবরটি প্রকাশ হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি ১৪-১৫ হাজার টাকার বেতনধারী কর্মকর্তা হয়ে তার রয়েছে চট্টগ্রামে ভিআইপি প্লাট ও বিভিন্ন এলাকায় জায়গাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসিতা জীবন জাপন, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠজন বলেন বাজার করতে গেলে বাজারের সব থেকে বড় মাছটি তার ঘরে চলে আসে, এবং তার ৩ জন পড়োয়া ছেলে মেয়ের জন্য প্রতি মাসে খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত; এটা কিভাবে সম্ভব? এত টাকা আসে কোথা থেকে?

    জবাব: ৩
    আমার নাকি সম্পদের পাহাড় জমা আছে। যার ফলে এলাকায় বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কতটা মিথ্যুক হলে এমন অন্ধ মন্তব্য করা যায় আপনারাই বলুন। আমার ধবধবে সাদা জুব্বা দেখে যদি আপনার মনে হয় আমি বিশাল সম্পদের পাহাড় জমিয়ে রেখেছি, তবে আপনার চোখ দুটো আর কলবটা জুব্বার মতো সাদা করুন। আপনি হিংসা বশীভূত হয়ে আমাকে রঙিন দেখছেন। জুব্বায় একাধিক পকেট দেখে বিরাট টাকাওয়ালা ধরে বসে আছেন। ওয়াল্লাহী যার বাস্তবতা আমার ভেতর নেই। চট্টগ্রামে দামি প্লট আছে বলেও আপত্তি করেছে তারা। প্লট তো অনেক দূরের, কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি অথবা এক হাত বরাবর আমার নামে আমার পরিবারের নামে অথবা আমার মালিকানায় সস্তা থেকে সস্তা জায়গাও থাকে, আল্লাহর কসম করে বলছি— এ সুন্নাতি লেবাস নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব না। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে বলে তারা মিথ্যে অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে; ভাবা যায়? শাহপরীর দ্বীপের ইয়াহিয়া সাহেবের কাছেও অত সম্পত্তি আছে কি না সন্দেহ। বাজারের বড় মাছ নাকি আমি কেনার সামর্থ রাখি না। যাই কিনেছি, তা নাকি সব প্রতিষ্ঠানের টাকা। একজন রিক্সাওয়ালাও তো পরিবারের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তার বাড়িতেও বাজার হয়। নিত্যদিন বাজার একজন অল্প আয়ের নাগরিকও করেন। আপত্তি সব নাকি আমার বেলায়? আমার বেতন কত, আর বিদেশ সফরে গেলে বেতন কত হয়, আর আত্মীয়দের নেক দৃষ্টি সব মিলিয়ে ছোট্ট পরিবারটা চালাতে পারলে যদি এহেন অভিযোগ গায়ে এসে পৌঁছয়; তবে তা মিথ্যে বৈ কিছু্ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাইরে ছেলেদের পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব? আমি তো আর ছেলে মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াই না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াই। আপনার ছেলে মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে যত খরচ, ঠিক সেইম খরচ ওখানেও। শুধু জায়গার দূরত্বে গাড়ি ভাড়া ভিন্ন। ভেতরের আর্তনাদ কে শুনে? এমনও অনেক সময় অতিবাহিত হয়; যখন তাদের পকেট শুন্য হয়ে খরচ তলবে টাকার কথা জানান দেয়। আর নাজুক পরিস্থিতি লুকিয়ে ধার নিয়ে যে কতবার তাদের হাজত পূরণ করা হয়েছে সে খবর তো আর ষড়যন্ত্রকারীরা রাখে না।অভিযোগ: ৪

    মাঃ জামালের অপসারণ চাই তো চাই!

    জবাব:৩
    দেখুন অপসারণযোগ্য অভিযোগ থাকলে প্রমাণাদি নিয়ে আপনারা আসুন, চাইতে হবে না; আমি অধম যদি অপসারণযোগ্য কিছুই করে থাকি নিজে নিজেই তো নিজের সম্মান বাঁচাব। তা না করে আপনারা যেসব বিকল্প পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত মানহানিকর এবং হিংসা বশীভূত আচরণ।

  • উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উখিয়ায় ৪ দিন টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩০/ ৩৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

    সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

    জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,লম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।