Category: কক্সবাজার জেলা

  • শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন সম্পন্ন।

    শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন সম্পন্ন।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ এই স্লোগান বুকে ধারন করে আলেম ওলামা, ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের সেচ্ছাসেবী সংগঠন, শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা’র উদ্যোগে আয়োজিত পূর্ণকমিটি ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন গত ৮ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কাবির এর সঞ্চালনায় ও জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত তারবিয়াত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু জোয়ারিয়া নালা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক সাহেব (দা:বা:)।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছীসহ কক্সবাজার জেলা সকল দায়িত্বশীল ও ৯ উপজেলা শাখার দায়িত্বশীল সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    অতিথি বৃন্দদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবী, সেক্রেটারি মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব।

    আমরা আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিন খতিবরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোন আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে কমিটি কখনো নির্যাতন করতে পারবে না।
    ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মসজিদ কমিটি সবসময় ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের দোষ খুঁজে আর খুঁজে। শুধু কক্সবাজার জেলা নয় পুরো বাংলাদেশে আমাদের একজন আলেম ওলামা, ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের অন্যায় ভাবে নির্যাতন করা হলে আমরা আর বসে তাকব না, সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে বক্তারা বক্তব্য এসব কথা বলেন।

    সর্বশেষে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে থেকে কক্সবাজার জেলার পূর্ণগঠন কমিটি ঘোষণা করেন।

    নিউজ ডেস্ক: উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

  • শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন কমিটি-২০২৫-২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন কমিটি-২০২৫-২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, উখিয়া।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ, এই স্লোগান বুকে ধারন করে মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ’র হাতে গঠিত হয় আলেম ওলামা ও ইমাম মুয়াজ্জিনদের নিয়ে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এই সংগঠনে আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৫-২০২৬ সেশনের কক্সবাজার জেলা পূর্ণগঠন ও সদস্য তারবিয়াত সম্মেলন।

    ৮ ডিসেম্বর-২০২৪ খ্রি: রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল মসজিদ সংলগ্ন হলরুমে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অত্র সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মুফতি শামিম মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ। বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা শায়েখ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। বিশেষ মেহমান জেলা সেক্রোটারি হাফেজ মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। অংশগ্রহন করবেন হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কবীর সাহেব হাফিজাহুল্লাহ’সহ জেলা উপজেলার আলেম, ওলামা মাশায়েখ ও মোয়াজ্জিনগণ উপস্থিত থাকবেন।

    সকলের নিকট দোয়া ও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

  • সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

    সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

     

    আপত্তি নিরসন।

    অভিযোগ: ১
    বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌ মাদ্রাসাটি দীর্ঘ ১০০ শত বছর ধরে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মকতবের নিয়মে পাঠদান করে আসছিল। গত ১৩-১৪ বছর আগে মাঃ জামাল উদ্দিন মাদ্রাসাটিকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকার কিছু লোকজনকে তার কব্জায় করে উচ্চতর শিক্ষা পাঠদানের আশ্বাস দিয়ে দখলে নেয়।

    জবাব: ১
    নিঃসন্দেহে যে মাদ্রাসার প্রাণ কেন্দ্রে বসে আপনারা কথাগুলো শুনছেন, তা একসময় কেবল মকতবেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতের বদৌলতে মকতব থেকে কোরআন, সুন্নাহ সমন্বিত একটি দ্বীনি দরসেগাহে রূপায়ন হয় আমি অধমের হাত ধরে। তারা আপত্তি করেছে মকতব থেকে‌ নাকি মাদ্রাসা হবার পেছনে আমার স্বার্থসিদ্ধি ছিল, এবং মুষ্টিমেয় মানুষের সহযোগিতায় আমি তা হাসিল করতে পেরেছি। নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহর পানাহ চাই। যদি তাই হয়ে থাকে, সূচনালগ্নে তাদের নিঃস্বার্থ বৃহৎ জামাত কয় ছিল? এবং সঙ্গবদ্ধভাবে কেন বাধা দেয়নি আমার উদ্যেশ্যে হাসিল পথে? তাদের ভাষ্যমতে হয়তো আমার সাথে মুষ্টিমেয় কিছুজন ছিল, বাকি তাদের বিরাট দল কেন প্রতিরোধ করেনি আমাই?
    মাদ্রাসা হয়ে এলাকার কি বেশিই ক্ষতি হয়ে গেল? মকতব থেকে হেফজ বিভাগ হয়ে এলাকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা কোরানের হাফেজ হয়ে মা বাবার মুখে হাসি ফুটালো। গায়ে জুব্বা পরিধান করলো। চারিত্রিক সৌন্দর্যে এগিয়ে গেল। পরে মাদ্রাসা কারিকুলাম চালু হয়ে হাফেজ হবার সাথে সাথে কোরআন হাদিসের বিস্তর ইলম হাসিল করতে সক্ষম হলো। এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অনেকেই দেশের বাছাই আলেম হলো, এ ছোট্ট টিনের ছাউনি থেকে শিখে বড় বড় দালানে আহরিত ইলম পাঠদানে শক্তি অর্জন করলো, সব কি আমার মতলবি উদ্যেশ্যে ছিল? উত্তরটুকু আপনাদের‌ কাছে জমা দিলাম। সবমিলিয়ে ছোট মানুষ হয়ে বড় স্বপ্ন হয়তো দেখেছি, তবে অভিযুক্ত অপরাধের মতো হীন উদ্যেশ্য আমার মধ্যে কিঞ্চিৎ ছিল না, ওয়াল্লাহী।

    অভিযোগ: ২
    দীর্ঘ সময় ধরে তার মন মতো একটি সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালিয়ে আসছিল। যদিও কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার আইন কানুন থাকলেও নিয়ম-কানুন কোনোটাই মানা হয়নি। কমিটির সদস্যদের শত ভাগের ধর্মীয় জ্ঞান নাই যা আইনের বাহিরে।

    জবাব: ২
    মন মতো সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালানোর অর্থ আমি বুঝিনি। কারণ, এলাকার মান্যবর কোন সভ্য ব্যক্তি বাদ গেছে যার উত্তম পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের মতো মনগড়া সিন্ধান্ত নিয়েছি? মাদ্রাসা পরিচালনার কানুন কী, তা হয়তো তাদের কাছে শিখা দরকার! কারণ প্রতি বছরই তো হেড অফিস থেকে যাচাইকরণের জন্য কিছু মেহমান আসেন। সম্পূর্ণ অবস্থা দেখেই ফিরেন তারা। অভিযোগ থাকলে তারাই করতো, একাকি সিন্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসা অধপতনের ঘৃণ্য মানসিকতা থাকলে, তারাই ধরিয়ে দিতো! কয়, কার কাছে অভিযোগ করে গেছে তারা? এমন তো হয়নি কখনোই। তাদের আপত্তি হলো, কমিটির সদস্যদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তা সঠিক। কারণ, এমন কিছু মাদ্রাসার একনিষ্ঠ শুভাকাংখী যারা সর্বাত্বক মাদ্রাসার কল্যাণ চায়; এবং বয়সের দিক থেকে মুরব্বি হিশেবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হবার অধিকার রাখেন। তারা কমিটিতে থাকা কোনোদিনও অযৌক্তিক হতে পারে না। বড় বড় মাদ্রাসার দিকে আপনি লক্ষ্য করলেও এমনটা দেখতে পাবেন, যারা মকতবেও পড়ানোর সক্ষমতা রাখেন না, তবে সর্বোচ্চ শুরা আসনে তাদের রাখা হয়েছে মাদ্রাসার উন্নতিলাভের আশায়। এটি দোষ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক।

    অভিযোগ: ৩
    ভেতর ভেতরে দেখা যায় তার সম্পদের পাহাড় খবরটি প্রকাশ হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি ১৪-১৫ হাজার টাকার বেতনধারী কর্মকর্তা হয়ে তার রয়েছে চট্টগ্রামে ভিআইপি প্লাট ও বিভিন্ন এলাকায় জায়গাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসিতা জীবন জাপন, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠজন বলেন বাজার করতে গেলে বাজারের সব থেকে বড় মাছটি তার ঘরে চলে আসে, এবং তার ৩ জন পড়োয়া ছেলে মেয়ের জন্য প্রতি মাসে খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত; এটা কিভাবে সম্ভব? এত টাকা আসে কোথা থেকে?

    জবাব: ৩
    আমার নাকি সম্পদের পাহাড় জমা আছে। যার ফলে এলাকায় বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কতটা মিথ্যুক হলে এমন অন্ধ মন্তব্য করা যায় আপনারাই বলুন। আমার ধবধবে সাদা জুব্বা দেখে যদি আপনার মনে হয় আমি বিশাল সম্পদের পাহাড় জমিয়ে রেখেছি, তবে আপনার চোখ দুটো আর কলবটা জুব্বার মতো সাদা করুন। আপনি হিংসা বশীভূত হয়ে আমাকে রঙিন দেখছেন। জুব্বায় একাধিক পকেট দেখে বিরাট টাকাওয়ালা ধরে বসে আছেন। ওয়াল্লাহী যার বাস্তবতা আমার ভেতর নেই। চট্টগ্রামে দামি প্লট আছে বলেও আপত্তি করেছে তারা। প্লট তো অনেক দূরের, কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি অথবা এক হাত বরাবর আমার নামে আমার পরিবারের নামে অথবা আমার মালিকানায় সস্তা থেকে সস্তা জায়গাও থাকে, আল্লাহর কসম করে বলছি— এ সুন্নাতি লেবাস নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব না। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে বলে তারা মিথ্যে অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে; ভাবা যায়? শাহপরীর দ্বীপের ইয়াহিয়া সাহেবের কাছেও অত সম্পত্তি আছে কি না সন্দেহ। বাজারের বড় মাছ নাকি আমি কেনার সামর্থ রাখি না। যাই কিনেছি, তা নাকি সব প্রতিষ্ঠানের টাকা। একজন রিক্সাওয়ালাও তো পরিবারের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তার বাড়িতেও বাজার হয়। নিত্যদিন বাজার একজন অল্প আয়ের নাগরিকও করেন। আপত্তি সব নাকি আমার বেলায়? আমার বেতন কত, আর বিদেশ সফরে গেলে বেতন কত হয়, আর আত্মীয়দের নেক দৃষ্টি সব মিলিয়ে ছোট্ট পরিবারটা চালাতে পারলে যদি এহেন অভিযোগ গায়ে এসে পৌঁছয়; তবে তা মিথ্যে বৈ কিছু্ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাইরে ছেলেদের পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব? আমি তো আর ছেলে মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াই না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াই। আপনার ছেলে মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে যত খরচ, ঠিক সেইম খরচ ওখানেও। শুধু জায়গার দূরত্বে গাড়ি ভাড়া ভিন্ন। ভেতরের আর্তনাদ কে শুনে? এমনও অনেক সময় অতিবাহিত হয়; যখন তাদের পকেট শুন্য হয়ে খরচ তলবে টাকার কথা জানান দেয়। আর নাজুক পরিস্থিতি লুকিয়ে ধার নিয়ে যে কতবার তাদের হাজত পূরণ করা হয়েছে সে খবর তো আর ষড়যন্ত্রকারীরা রাখে না।অভিযোগ: ৪

    মাঃ জামালের অপসারণ চাই তো চাই!

    জবাব:৩
    দেখুন অপসারণযোগ্য অভিযোগ থাকলে প্রমাণাদি নিয়ে আপনারা আসুন, চাইতে হবে না; আমি অধম যদি অপসারণযোগ্য কিছুই করে থাকি নিজে নিজেই তো নিজের সম্মান বাঁচাব। তা না করে আপনারা যেসব বিকল্প পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত মানহানিকর এবং হিংসা বশীভূত আচরণ।

  • উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উখিয়ায় ৪ দিন টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩০/ ৩৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

    সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

    জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,লম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

  • কক্সবাজারের খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে রাজকীয় বিদায়

    কক্সবাজারের খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে রাজকীয় বিদায়

    নিউজ ডেস্ক:

    কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত পেশ ইমাম মাওলানা ক্বারী নূরুল হক সাহেবের সম্মাননা ও বিদায় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার, এসময় সম্মানিত ইমাম সাহেবকে প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে ৩,৫০,০০০/-, এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে ৩,০০,০০০/-, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ১,০০,০০০/-, সর্বমোট=৭,৫০,০০০/- (সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) নগদ প্রদান করা হয়। তিনি সুদীর্ঘ তিন যুগ অর্থাৎ ৩৬ বছর অত্র জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন ইমাম সাহেবকে এভাবে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পেনশন হিসেবে নগদ প্রদান করে বিদায় দেওয়ায় এলাকাবাসীসহ মসজিদ কমিটিকে শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    প্রচারে: এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে মায়ের জানাযা পড়া হলো না ছেলের

    পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে মায়ের জানাযা পড়া হলো না ছেলের

    নিউজ ডেস্ক:

    কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে মায়ের মৃতদেহ বাড়ীতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সাংবাদিক পুত্র সিফাত, ১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যায় সে।বুধবার বিকালে না ফেরার দেশে চলে যান তার মা জেসমিন আকতার। মা মারা যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে বোরহান উদ্দীন সিফাত। কিন্তু মায়ের কথা ভেবে ও স্বজনদের কথামতো পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে রাজি হয় সে।বোরহান উদ্দিন সিফাত ঈদগাঁহ রশিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে ঈদগাঁও উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক মৌলানা বদিউর রহমান হাশেমী বদরুর কনিষ্ঠ ছেলে। ১০ জুলাই-২০২৪ বুধবার বিকাল ৫.১৫ ঘটিকার দিকে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন সিফাতের মা জেসমিন আক্তার।

    ১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১০ টায় তার মায়ের জানাজা ও দাফনের সময়ক্ষন নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু একই সময়ে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় তাকে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে বিধায় মাকে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত না করেই তাকে ছুটতে হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে। স্থানীয় শিয়া পাড়া কবরস্থান মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এদিকে সাংবাদিকপত্নী জেসমিনের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ঈদগাঁওয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।

  • পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    এম, মোস্তফা কামাল আজিজি

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির এক জরুরী সভা মঙ্গলবার ১১ ঘটিকায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেলাথোয়াইন রাখাইনের সঞ্চালনায় পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টোসহ সকল ইউপি সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। স্বাস্থ্য খাতে ইউনিয়ন প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, ইউপি দফাদার এবং গ্রাম পুলিশ ও উদ্দোক্তাসহ এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    এই সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন দিক নিদর্শনা প্রদান করা হয়।

  • রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    নিউজ ডেস্ক:

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানবির হোসেন, সভাপতিত্ব করেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুরুল হুদা।

    নিউজ ডেস্ক: UkhiyaVoice24.Com