Category: কক্সবাজার জেলা

  • সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

    সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌

     

    আপত্তি নিরসন।

    অভিযোগ: ১
    বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা দারুল ঈমাম আল ইসলামিয়া।‌ মাদ্রাসাটি দীর্ঘ ১০০ শত বছর ধরে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মকতবের নিয়মে পাঠদান করে আসছিল। গত ১৩-১৪ বছর আগে মাঃ জামাল উদ্দিন মাদ্রাসাটিকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এলাকার কিছু লোকজনকে তার কব্জায় করে উচ্চতর শিক্ষা পাঠদানের আশ্বাস দিয়ে দখলে নেয়।

    জবাব: ১
    নিঃসন্দেহে যে মাদ্রাসার প্রাণ কেন্দ্রে বসে আপনারা কথাগুলো শুনছেন, তা একসময় কেবল মকতবেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতের বদৌলতে মকতব থেকে কোরআন, সুন্নাহ সমন্বিত একটি দ্বীনি দরসেগাহে রূপায়ন হয় আমি অধমের হাত ধরে। তারা আপত্তি করেছে মকতব থেকে‌ নাকি মাদ্রাসা হবার পেছনে আমার স্বার্থসিদ্ধি ছিল, এবং মুষ্টিমেয় মানুষের সহযোগিতায় আমি তা হাসিল করতে পেরেছি। নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহর পানাহ চাই। যদি তাই হয়ে থাকে, সূচনালগ্নে তাদের নিঃস্বার্থ বৃহৎ জামাত কয় ছিল? এবং সঙ্গবদ্ধভাবে কেন বাধা দেয়নি আমার উদ্যেশ্যে হাসিল পথে? তাদের ভাষ্যমতে হয়তো আমার সাথে মুষ্টিমেয় কিছুজন ছিল, বাকি তাদের বিরাট দল কেন প্রতিরোধ করেনি আমাই?
    মাদ্রাসা হয়ে এলাকার কি বেশিই ক্ষতি হয়ে গেল? মকতব থেকে হেফজ বিভাগ হয়ে এলাকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা কোরানের হাফেজ হয়ে মা বাবার মুখে হাসি ফুটালো। গায়ে জুব্বা পরিধান করলো। চারিত্রিক সৌন্দর্যে এগিয়ে গেল। পরে মাদ্রাসা কারিকুলাম চালু হয়ে হাফেজ হবার সাথে সাথে কোরআন হাদিসের বিস্তর ইলম হাসিল করতে সক্ষম হলো। এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অনেকেই দেশের বাছাই আলেম হলো, এ ছোট্ট টিনের ছাউনি থেকে শিখে বড় বড় দালানে আহরিত ইলম পাঠদানে শক্তি অর্জন করলো, সব কি আমার মতলবি উদ্যেশ্যে ছিল? উত্তরটুকু আপনাদের‌ কাছে জমা দিলাম। সবমিলিয়ে ছোট মানুষ হয়ে বড় স্বপ্ন হয়তো দেখেছি, তবে অভিযুক্ত অপরাধের মতো হীন উদ্যেশ্য আমার মধ্যে কিঞ্চিৎ ছিল না, ওয়াল্লাহী।

    অভিযোগ: ২
    দীর্ঘ সময় ধরে তার মন মতো একটি সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালিয়ে আসছিল। যদিও কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার আইন কানুন থাকলেও নিয়ম-কানুন কোনোটাই মানা হয়নি। কমিটির সদস্যদের শত ভাগের ধর্মীয় জ্ঞান নাই যা আইনের বাহিরে।

    জবাব: ২
    মন মতো সাজানো কমিটির অজুহাত দিয়ে মাদ্রাসাটি চালানোর অর্থ আমি বুঝিনি। কারণ, এলাকার মান্যবর কোন সভ্য ব্যক্তি বাদ গেছে যার উত্তম পরামর্শ উপেক্ষা করে নিজের মতো মনগড়া সিন্ধান্ত নিয়েছি? মাদ্রাসা পরিচালনার কানুন কী, তা হয়তো তাদের কাছে শিখা দরকার! কারণ প্রতি বছরই তো হেড অফিস থেকে যাচাইকরণের জন্য কিছু মেহমান আসেন। সম্পূর্ণ অবস্থা দেখেই ফিরেন তারা। অভিযোগ থাকলে তারাই করতো, একাকি সিন্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসা অধপতনের ঘৃণ্য মানসিকতা থাকলে, তারাই ধরিয়ে দিতো! কয়, কার কাছে অভিযোগ করে গেছে তারা? এমন তো হয়নি কখনোই। তাদের আপত্তি হলো, কমিটির সদস্যদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তা সঠিক। কারণ, এমন কিছু মাদ্রাসার একনিষ্ঠ শুভাকাংখী যারা সর্বাত্বক মাদ্রাসার কল্যাণ চায়; এবং বয়সের দিক থেকে মুরব্বি হিশেবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন হবার অধিকার রাখেন। তারা কমিটিতে থাকা কোনোদিনও অযৌক্তিক হতে পারে না। বড় বড় মাদ্রাসার দিকে আপনি লক্ষ্য করলেও এমনটা দেখতে পাবেন, যারা মকতবেও পড়ানোর সক্ষমতা রাখেন না, তবে সর্বোচ্চ শুরা আসনে তাদের রাখা হয়েছে মাদ্রাসার উন্নতিলাভের আশায়। এটি দোষ নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক।

    অভিযোগ: ৩
    ভেতর ভেতরে দেখা যায় তার সম্পদের পাহাড় খবরটি প্রকাশ হলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি ১৪-১৫ হাজার টাকার বেতনধারী কর্মকর্তা হয়ে তার রয়েছে চট্টগ্রামে ভিআইপি প্লাট ও বিভিন্ন এলাকায় জায়গাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসিতা জীবন জাপন, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠজন বলেন বাজার করতে গেলে বাজারের সব থেকে বড় মাছটি তার ঘরে চলে আসে, এবং তার ৩ জন পড়োয়া ছেলে মেয়ের জন্য প্রতি মাসে খরচ করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত; এটা কিভাবে সম্ভব? এত টাকা আসে কোথা থেকে?

    জবাব: ৩
    আমার নাকি সম্পদের পাহাড় জমা আছে। যার ফলে এলাকায় বিশৃংখলা দেখা যাচ্ছে। কতটা মিথ্যুক হলে এমন অন্ধ মন্তব্য করা যায় আপনারাই বলুন। আমার ধবধবে সাদা জুব্বা দেখে যদি আপনার মনে হয় আমি বিশাল সম্পদের পাহাড় জমিয়ে রেখেছি, তবে আপনার চোখ দুটো আর কলবটা জুব্বার মতো সাদা করুন। আপনি হিংসা বশীভূত হয়ে আমাকে রঙিন দেখছেন। জুব্বায় একাধিক পকেট দেখে বিরাট টাকাওয়ালা ধরে বসে আছেন। ওয়াল্লাহী যার বাস্তবতা আমার ভেতর নেই। চট্টগ্রামে দামি প্লট আছে বলেও আপত্তি করেছে তারা। প্লট তো অনেক দূরের, কিঞ্চিৎ পরিমাণ যদি অথবা এক হাত বরাবর আমার নামে আমার পরিবারের নামে অথবা আমার মালিকানায় সস্তা থেকে সস্তা জায়গাও থাকে, আল্লাহর কসম করে বলছি— এ সুন্নাতি লেবাস নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াব না। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে বলে তারা মিথ্যে অপবাদ রটিয়ে দিচ্ছে; ভাবা যায়? শাহপরীর দ্বীপের ইয়াহিয়া সাহেবের কাছেও অত সম্পত্তি আছে কি না সন্দেহ। বাজারের বড় মাছ নাকি আমি কেনার সামর্থ রাখি না। যাই কিনেছি, তা নাকি সব প্রতিষ্ঠানের টাকা। একজন রিক্সাওয়ালাও তো পরিবারের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তার বাড়িতেও বাজার হয়। নিত্যদিন বাজার একজন অল্প আয়ের নাগরিকও করেন। আপত্তি সব নাকি আমার বেলায়? আমার বেতন কত, আর বিদেশ সফরে গেলে বেতন কত হয়, আর আত্মীয়দের নেক দৃষ্টি সব মিলিয়ে ছোট্ট পরিবারটা চালাতে পারলে যদি এহেন অভিযোগ গায়ে এসে পৌঁছয়; তবে তা মিথ্যে বৈ কিছু্ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাইরে ছেলেদের পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব? আমি তো আর ছেলে মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াই না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াই। আপনার ছেলে মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে পড়তে যত খরচ, ঠিক সেইম খরচ ওখানেও। শুধু জায়গার দূরত্বে গাড়ি ভাড়া ভিন্ন। ভেতরের আর্তনাদ কে শুনে? এমনও অনেক সময় অতিবাহিত হয়; যখন তাদের পকেট শুন্য হয়ে খরচ তলবে টাকার কথা জানান দেয়। আর নাজুক পরিস্থিতি লুকিয়ে ধার নিয়ে যে কতবার তাদের হাজত পূরণ করা হয়েছে সে খবর তো আর ষড়যন্ত্রকারীরা রাখে না।অভিযোগ: ৪

    মাঃ জামালের অপসারণ চাই তো চাই!

    জবাব:৩
    দেখুন অপসারণযোগ্য অভিযোগ থাকলে প্রমাণাদি নিয়ে আপনারা আসুন, চাইতে হবে না; আমি অধম যদি অপসারণযোগ্য কিছুই করে থাকি নিজে নিজেই তো নিজের সম্মান বাঁচাব। তা না করে আপনারা যেসব বিকল্প পথে হাঁটছেন, তা অত্যন্ত মানহানিকর এবং হিংসা বশীভূত আচরণ।

  • উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    উখিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম: পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের উখিয়ায় ৪ দিন টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩০/ ৩৫ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

    সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৩৫ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

    জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,লম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

  • কক্সবাজারের খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে রাজকীয় বিদায়

    কক্সবাজারের খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সাহেবকে রাজকীয় বিদায়

    নিউজ ডেস্ক:

    কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত পেশ ইমাম মাওলানা ক্বারী নূরুল হক সাহেবের সম্মাননা ও বিদায় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার, এসময় সম্মানিত ইমাম সাহেবকে প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে ৩,৫০,০০০/-, এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে ৩,০০,০০০/-, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ১,০০,০০০/-, সর্বমোট=৭,৫০,০০০/- (সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) নগদ প্রদান করা হয়। তিনি সুদীর্ঘ তিন যুগ অর্থাৎ ৩৬ বছর অত্র জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন ইমাম সাহেবকে এভাবে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পেনশন হিসেবে নগদ প্রদান করে বিদায় দেওয়ায় এলাকাবাসীসহ মসজিদ কমিটিকে শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    প্রচারে: এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে মায়ের জানাযা পড়া হলো না ছেলের

    পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে মায়ের জানাযা পড়া হলো না ছেলের

    নিউজ ডেস্ক:

    কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে মায়ের মৃতদেহ বাড়ীতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সাংবাদিক পুত্র সিফাত, ১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যায় সে।বুধবার বিকালে না ফেরার দেশে চলে যান তার মা জেসমিন আকতার। মা মারা যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে বোরহান উদ্দীন সিফাত। কিন্তু মায়ের কথা ভেবে ও স্বজনদের কথামতো পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে রাজি হয় সে।বোরহান উদ্দিন সিফাত ঈদগাঁহ রশিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে ঈদগাঁও উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক মৌলানা বদিউর রহমান হাশেমী বদরুর কনিষ্ঠ ছেলে। ১০ জুলাই-২০২৪ বুধবার বিকাল ৫.১৫ ঘটিকার দিকে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন সিফাতের মা জেসমিন আক্তার।

    ১১ জুলাই-২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১০ টায় তার মায়ের জানাজা ও দাফনের সময়ক্ষন নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু একই সময়ে রামু সরকারী কলেজ কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় তাকে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে বিধায় মাকে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত না করেই তাকে ছুটতে হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে। স্থানীয় শিয়া পাড়া কবরস্থান মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এদিকে সাংবাদিকপত্নী জেসমিনের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ঈদগাঁওয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।

  • পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    এম, মোস্তফা কামাল আজিজি

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির এক জরুরী সভা মঙ্গলবার ১১ ঘটিকায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেলাথোয়াইন রাখাইনের সঞ্চালনায় পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টোসহ সকল ইউপি সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। স্বাস্থ্য খাতে ইউনিয়ন প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, ইউপি দফাদার এবং গ্রাম পুলিশ ও উদ্দোক্তাসহ এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    এই সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন দিক নিদর্শনা প্রদান করা হয়।

  • রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়

    নিউজ ডেস্ক:

    উখিয়া উপজেলার ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানবির হোসেন, সভাপতিত্ব করেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব নুরুল হুদা।

    নিউজ ডেস্ক: UkhiyaVoice24.Com

  • চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্র সহ কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    ১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়াল ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড .৩০৩ রাইফেল এবং এ্যামুনেশন’সহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসেও চকরিয়ার মাছের ঘেরে ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট চারজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে তাদের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারে র‌্যাব। বর্ণিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‌্যাব কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

    ৩। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা বছর মৌসুমে লবণ চাষ এবং বাকি মাসগুলোতে চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত লবণ চাষের মৌসুম শেষে চিংড়ি চাষের প্রস্তুতি শুরু হলেই একদল সন্ত্রাসী ঘের মালিকদের নিকট চাঁদা দাবি করে। তাছাড়া অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে ঘের এলাকা দখল করে। এছাড়া প্রায়ঃশই সশস্ত্র ডাকাত দল মাছের ঘেরে লুটপাট ও অন্যান্য নাশকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে বছরজুড়ে অত্র এলাকায় অস্থিরতা চলমান থাকে। বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের অভিযানের মাধ্যমে এ সকল ডাকাত দল নির্মূলের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। তবে এ সকল ডাকাত ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম সাময়িক সময়ের জন্য রোধ করা গেলেও দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার বিলুপ্তপ্রায় সুন্দরবন তথা চিংড়ি জোনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। গত ১৯ জুন ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ মৌজার গোলদিয়ায় ১০ একর বিশিষ্ট সাতটি ঘেরে (৭০ একর) হানা দেয় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা অন্তত শতাধিক ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। অস্ত্রের মুখে ঘের কর্মচারীদের জিম্মি ও হাত-পা বেঁধে ফেলে করা হয় মারধর ও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন। এরপর একে একে ঘেরগুলো দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব।

    ৪। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কোরালখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান ১। বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-আকবার আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। কামাল আহম্মেদ (৪২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩। আব্দুল মালেক (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও তাদের সহযোগী ৪। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত জহির আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ বোর ৪০ রাউন্ড, ৭.৬২ মিঃ মিঃ ১০ রাউন্ড এবং ৭.৬৫ মিঃ মিঃ ২ রাউন্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চিংড়ি ঘের দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

    ৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। গ্রেফতারকৃত বেলাল, কামাল এবং মালেক আপন তিন ভাই। তারা অস্ত্রধারী ডাকাতদের নিয়ে “বেলাল বাহিনী” গড়ে তুলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। এই বাহিনীর সশস্ত্র ডাকাত সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ জন। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাত এবং এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করতো।

    ৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে ভাড়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে। গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমের পর মৌসুম মাছের ঘের মালিকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতো। ঘের মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে নিয়ে যেতো ঘেরের মাছ ও মাছ চাষের নানা উপকরণ। এছাড়াও মাছের ঘের তাদের দখলে নিয়ে নিতো এবং কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিতো। এমনকি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ করেও নিয়ে যেতো এবং মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃতরা মহেশখালীসহ কক্সবাজারের অন্যান্য এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভাড়া করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী/ডাকাত দলের সদস্যদের সে চকরিয়াতে নিয়ে আসতো। বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করার উদ্দেশ্যে তারা সবসময় সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকতো। গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে মাছের ঘের ও লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি, গুলি বর্ষন, মারামারি, ডাকাতি, লুট-পাট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতো। বিভিন্ন অপরাধ ও মাছের ঘের দখলের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সকল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করতো এবং কার্যশেষে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখত বলে জানা যায়।

    ৭। গ্রেফতারকৃত বেলাল একজন দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত অস্ত্রধারী ডাকাত। সে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০২টি হত্যা ও ০১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ০৯টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৮। গ্রেফতারকৃত কামাল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত বেলালের আপন ভাই এবং তার অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত কামাল গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০১টি পুলিশ এ্যাসল্ট ও ০১টি অপহরণসহ মোট ০৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৯। গ্রেফতারকৃত মালেক পেশায় একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী। সে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত বেলালের অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত মালেক গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১০। গ্রেফতারকৃত নুরুল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। সে গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মারামারির ০১টির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১১। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    মহেশখালী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যে অদ্য ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। এতে শিক্ষাকেন্দ্রীক ক্রিড়া সাংস্কৃতিক এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কন (বালক) ইভেন্টে প্রথম হয়ে দেশসেরার পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৌশিক দে বাপ্পি।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

    এসময় ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৫ ব্যক্তি ও তিনটি সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    কৌশিক মহেশখালী গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফেন্সি রাণী দে ও রামু পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার কানুরাম দে’র প্রথম পুত্র। কৌশিকের এমন সাফল্যে তাঁর পরিবার, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠীরা বেশ আনন্দিত হয়।

  • ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নিউজ ডেস্ক: Ukhiyavoice24.Com

    কক্সবাজার জেলার ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত প্রথম সাধারণ সভা অদ্য-২৫ জুন- ২০২৪ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলা হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি।

    উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাবা শাহীনা আক্তারসহ উপজেলার ৫ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।