Category: কক্সবাজার জেলা

  • চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসায় কম্বল বিতরণ সম্পন্ন

    চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় চাকবৈঠা দারুল হেদায়া মাদ্রাসায় কম্বল বিতরণ সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের নবপ্রতিষ্ঠিত, চাকবৈঠা কবরস্থান সংলগ্ন
    দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার হিফজ বিভাগের ছাত্রদের মাঝে আজ কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সহায়তায় এই কম্বল বিতরণ সম্পন্ন হয়।
    এই শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে হাফেজ শিশুরা অনেক আনন্দিত ও প্রফুল্ল হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে দারুল হেদায়া মাদ্রাসা চাকবৈঠার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুফতী রিদওয়ানুল কাদির বলেন, আমাদের হেফজ বিভাগের দরিদ্র ও এতিম ছাত্রদের মাঝে চেয়ারম্যান সাহেবের এই সাহায্য তাদেরকে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
    পরে সবার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে ডিগলীয়া পালং জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশিদ, চাকবৈঠা স্কুল জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আবু শরীফ, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা শফিউল আলম, হাফেজ গিয়াসুদ্দীন, অভিভাবক জনাব গিয়াসুদ্দীন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • পরিবর্তন চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরাঃ রনিতেই ভরসা

    পরিবর্তন চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরাঃ রনিতেই ভরসা

    ওসমান আল-হুমাম,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    দিন গড়ালেই টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সম্মেলন ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা উপজেলার অলিগলি। টক অব দ্য টক অব টেকনাফ কারা হতে যাচ্ছেন সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের আগামীর কাণ্ডারি। সরগরম চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোনো ধরণের আলাপসালাপে ঠাঁই করে নিচ্ছে আগামীকালের সম্মেলন। বহুমুখী বিশ্লেষণ, জল্পনা কল্পনা, ভবিষ্যদ্বাণী সবকিছুর চুলচেরা যাচাই-বাছাই চলছে মহোৎসবে। মূলত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সভাপতি পদে কে আসছেন। নতুন নেতৃত্বের জয়গান গাওয়া সদ্য প্রয়াত সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পুত্র সাবেক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনি নাকি চার মেয়াদে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন থাকা সাইফুল ইসলাম মুন্না। মোটাদাগে এ দুজনের সভাপতি প্রার্থী হবার বিষয়টি আগামীকালের সম্মেলনকে এনে দিয়েছে একটি নতুন মাত্রা। সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী বহুজনের নাম আসলেও ঘুরেফিরে আলোচনায় জায়গা করে নিচ্ছে সভাপতি প্রার্থী রনি ও মুন্নার নাম। তাদের নিয়ে চলছে জোরেশোরে আলাপআলোচনা। আগামীকাল দুপুর ২ টায় টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড হোটেল দ্বীপ প্লাজা সংলগ্ন মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুন্নার সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হবার কথা রয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। এছাড়া কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ শাহীন আক্তার, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
    তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা নতুন নেতৃত্বের হাতে আসুক টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং। অনেকে তারেক মাহমুদ রনির নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট সুসংহত করতে চায়। তারা মনে করে কক্সবাজার তথা দক্ষিণ চট্টলার আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদপ্রতিম নেতা সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পুত্র রনির শিরা ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আদর্শ প্রবাহমান। সে পরীক্ষীত ছাত্রনেতা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ক্লাস নাইনে থাকা অবস্থায় বিএনপি জামাতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তার নেতৃত্বে হ্নীলায় বের হয় প্রতিবাদ মিছিল। চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পড়বার সময় ১/১১ এর কঠিন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে প্রতিবাদ প্রতিরোধে অগ্রভাগে থেকেছে রাজপথে। যার কারণে মূল্যায়িত হয় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের আলী আহমদ-তাহের কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদ পেয়ে। রনি এক মানবিক নেতাও বটে। বিশেষ করে করোনাকালীন যেখানে মানুষ হম্বিতম্বি খেয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিলো, সেখানে নিজের জানবাজি রেখে ‘করোনা ফোর্স হ্নীলা’ সংগঠনের ব্যানারে হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে, রমযানে দিয়েছে ইফতারসামগ্রী। স্থাপন করেছে এক বিরল মানবিক দৃষ্টান্ত। সবকিছু মিলিয়ে একটি পরিশুদ্ধ আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে রনিতেই ভরসা করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে কেউকেউ মনে করছে সাইফুল ইসলাম মুন্না যেহেতু ৮/১০ বছর ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন আছে। তার উচিত হবে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার পদ সুগম করা। জায়গা ছেড়ে দিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। সর্বোপরি টেকনাফ উপজেলার সচেতন মহল ও আওয়ামীপ্রেমী মানুষের একান্ত চাওয়া আগামীকালের সম্মেলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। তাতে পরে আন্দোলন সংগ্রামের দাবানল থেকে জন্ম নেয়া শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখা সুসংগঠিত হবে।

  • রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি সামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি সামগ্রী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ, উখিয়া।

     

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা রেড় ক্রিসেন্ট এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে
    (৫০০)শত কৃষকদের মাঝে কৃষি কাজের জন্য কৃষি সামগ্রী
    বিতরণ করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার সহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    আজ সকাল ১০টায় উখিয়া উখিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে এ কৃষি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    উপকার ভোগী কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত কৃষি সামগ্রী হিসেবে দিয়েছন স্ট্রেসার ১টি,করাই ১টি, কোদাল১টি, বেলচা ১টি, লাই ১টি, বস্তা ৩০টি, পাঠী ২টি করে বিতরণ করা হয়।

  • ক্ষতিগ্রস্থ হাসানকে (৫০০০) টাকা ক্যাশ অনুদান প্রদান করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    ক্ষতিগ্রস্থ হাসানকে (৫০০০) টাকা ক্যাশ অনুদান প্রদান করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ, উখিয়া

     

    রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালং পশ্চিম পাড়াস্থ মোহাম্মদ হাসানের মুদির দোকানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সবকিছু পুড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে হাসান ও তাঁর পরিবারের বৌ-ছেলেরা

    পরে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে অসহায় হাসানকে নগদ (৫০০০) টাকা অনুদান তুলে দেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া’য় (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া’য় (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    Kajol Aich. Ukhiya

     

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে MIC কর্তৃক আয়োজিত উখিয়া উপজেলা ভিত্তিক অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরনী এ অনুষ্ঠান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ মিজানুর রহমান (মিজানের) সভাপতিত্বে সম্পন্ন হয়।
    সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সকাল ১১টায় উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেমিনার হলে (MIC) কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    উক্ত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানে সম্মানিত উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টাে, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কনট্রাকটর ফরিদুল আলম।

    বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজী, উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ নূরী, আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির,
    উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তাহমিনা খানম, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম, টাইপালং দারুছুন্নাহ হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ইসমাইল, কৃষকলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম,
    প্রতিষ্ঠাতা YASID এর চেয়ারম্যান কায়ছার হামিদ সহ প্রমুখ ও উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছেন রাশেদুল ইসলাম।

    এর পরে প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার তুলেদেন সম্মানিত অতিথিবৃন্দরা।
    এ অনুষ্ঠান আয়োযোগকারীঃ মৌলভী পাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ক্লাব (এমআইসি)

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অরিজিন হাসপাতালের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অরিজিন হাসপাতালের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    কক্সবাজার উখিয়া প্রতিনিধি।

     

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারী অরিজিন হাসপাতালের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল আলা রোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ। বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান দরবেশ আলী আরমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ছিদ্দিক, ডিরেক্টর নুরুল হক, ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহছেনা আক্তার রেশমা, সিনিয়র ডিপ্লোমা নার্স সীমা খাতুন, রিসিপশনিস্ট ছৈয়দ উল্লাহ প্রমুখ।
    বক্তাগণ ভাষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি মায়ের ভাষা বাংলাভাষার মান যাতে সমুন্নত থাকে সেদিকে সরকার ও সচেতন জনগনের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য আহবান জানান।

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    কজল আইচ,উখিয়া।

     

    মহান ২১শে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সহকারে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পণের মধ্যেদিয়ে এদিবস পালন করা হয়।

    এতে অংশগ্রহণ করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সহযোগি সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থককারি নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মাতৃভাষার বিশ্বায়নের ইতিহাস অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    মাতৃভাষার বিশ্বায়নের ইতিহাস অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন জাতীয় চরিত্রের একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। সূচনায় ছাত্র-আন্দোলন হিসেবে এর প্রকাশ ঘটলেও দ্রুতই তা দেশজুড়ে গণ-আন্দোলনে পরিণত হয় সর্বশ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে সূচনা হয় ভাষা আন্দোলন।

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

    জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

    ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিশের হাত ধরে। ১৫ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিশ একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যার শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা-না উর্দু ?’ এই পুস্তিকার লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম বাংলা ভাষাকে ভাববিনিময়, অফিস আদালতের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে জোরালো দাবি তুলে ধরেন।

    ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। গণপরিষদে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা হিসেবে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন। পাকিস্তান গণপরিষদে তার প্রস্তাব আগ্রাহ্য হলে পূর্ব বাংলায় শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।

    এর পরম্পরায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সভায় গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। সভায় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সারা দেশে হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ১১ মার্চ তারিখটি রাষ্ট্রভাষা দিবসরূপে পালিত হয়।

    ২১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক নাগরিক সংবর্ধনায় ঘোষণা করেন যে ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছাত্রনেতারা ও জনতা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে।

    ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ‘Students Role in nation building’ শিরোনামে একটি ভাষণ প্রদানকালে ক্যাটাগেরিক্যালি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি উর্দু, একমাত্র উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয় তুলে ধরে।”

    বাংলা আজ শুধু বাংলাদেশের ভাষা নয়, এটি বিশ্বের কাছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিচিত ভাষা। আর এই পরিচয় দেয়ার প্রথম অবদানটুকু হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ১৯১৩ সালে তার অমর কাব্য গীতাঞ্জলি তাকে এনে দেয় ‘নোবেল পুরস্কার’ আর এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলা ভাষার কথা, শুরু হয় বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া।

    ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে টঘঊঝঈঙ কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্বদরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে অমর একুশের উদযাপন নিঃসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে।

    ২০০১ সালের ১৫ মার্চ বিশ্বের সব মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কাজ করার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকার সেগুনবাগিচায়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষাসংক্রান্ত গবেষণা,ভাষা সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটি ভাষার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় আসীন করতে ভূমিকা রাখছে।
    ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে ৪র্থ কমিটিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

    রাষ্ট্রীয় পর্যায় বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা মূলত একটি-বাংলাদেশ। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এর বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা প্রদেশ, আসাম প্রদেশের বরাক উপত্যকার অন্যতম প্রশাসনিক ভাষা বাংলা, ফলে ভারতের ক্ষেত্রে বাংলা একটি প্রদেশিক ভাষা। ভারত উপমহাদেশের বাইরে
    একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বাংলাকে স্বীকৃতির বিল পাস করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক অনন্য মর্যাদা।
    এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে ৩০টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ।
    বিশ্বের ছয়টি দেশের রাষ্ট্রীয় বেতারে বাংলা ভাষার আলাদা চ্যানেল রয়েছে। আরও ১০টি দেশের রেডিওতে বাংলা ভাষার আলাদা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। ব্রিটেনে ছয়টি ও আমেরিকায় ১০টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন ও বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। বিট্রেনে ১২টি বাংলা সাপ্তাহিক প্রত্রিকা বের হয়। ‘বেতার বাংলা’ নামে সেখানে একটি বাংলা রেডিও স্টেশন রয়েছে।

    ইউরোপের ইতালিতে বর্তমানে পাঁচটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা এবং রোম ও ভেনিশ শহর থেকে তিনটি রেডিও স্টেশন পরিচালিত হচ্ছে। ইতালি থেকে ছয়টি অনলাইন টেলিভিশন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে শতাধিক ফেসবুক টেলিভিশন চালু রয়েছে। এছাড়া ডেনমার্ক সুইডেনসহ ইউরোপের আটটি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে বাংলা ভাষার মূদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
    মাতৃভাষার সুরক্ষা, বিকাশ এবং অনুশীলন ছাড়া কোনো জাতি অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।
    লেখক : চেয়ারম্যান উখিয়া উপজেলা পরিষদ
    সভাপতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী তারেক মাহমুদ রনির দু’আ কামনা করেছেন

    টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী তারেক মাহমুদ রনির দু’আ কামনা করেছেন

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    আসছে ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন। এ আকাঙ্ক্ষিত সম্মেলনকে ঘিরে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা। ঝিমিয়ে পড়া হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন উজ্জীবিত। সবাই সোস্যাল মিডিয়া সোচ্চার হয়ে নেতৃত্বের পরিবর্তনের কথা বলে পোস্ট করছেন।

    দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষা শান্তি প্রগতি এর ধারক বাহক এর নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই সংগঠনের সুনাম অক্ষুণ্ণভাবে জড়িয়ে আছে।
    এই সংগঠনের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখার নাম কক্সবাজার জেলার আওতাধীন টেকনাফ উপজেলা।

    শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই ছায়াতলে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্থান রয়েছে এই অঞ্চলে। এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সুশিক্ষিত ও মার্জিত ছাত্রনেতার নাম তারেক মাহমুদ রনি। যার জন্ম আওয়ামীলীগ পরিবারের। সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কনিষ্ঠ পুত্র তারেক মাহমুদ রনি
    এছাড়া তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন।
    আওয়ামীলীগ পরিবারের এই ছাত্রনেতা যেমন এক পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ নেতা তেমনি কর্মীদের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ।
    তারই ধারাবাহিতায় আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল এর সভাপতি পদপ্রার্থীর একজনের নাম এই তারেক মাহমুদ রনি। তিনি সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে আগাম ঘোষনা দিয়েছেন এবং টেকনাফের সর্বস্তরের জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
    এছাড়া কর্মীবান্ধব ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রনি যেন সবার কাছে এক উজ্বল নক্ষত্র। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এক চোখের মনি তারেক মাহমুদ রনি। তাই পদপ্রার্থী পছন্দের তালিকার তুমুল শীর্ষে রেখেছে এই ছাত্রনেতাকে।

  • ভোজন বাড়ি শুভ উদ্বোধন করলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    ভোজন বাড়ি শুভ উদ্বোধন করলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ, উখিয়া। 

     

    আজ জুমার নামাজের পর, উখিয়া স্টেশন চত্বর, নুরু হোটেল সংলগ্ন এ ভোজন বাড়ি হোটেলটি শুভ উদ্বোধন করের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এ নিউ ভোজন বাড়ি হোটেলের সত্বাধিকারি হচ্ছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র কন্ট্রাকটর ফরিদুল আলম।

    উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, 
    উখিয়া স্টেশন জামে মসজিদের সম্মানিত খতীব হযরত মাওলানা মুজিবুর রহমান সাহেব,

    অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সদর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হক, ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট কন্ট্রাকটর মুফিজ মিয়া,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

    অভিজ্ঞ বাবুছি দ্বারা রান্না ও মনোরম পরিবেশে খাওয়া দাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে এ ভোজন বাড়ির দরবারে।