Category: কক্সবাজার জেলা

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

    কজল আইচ,উখিয়া।

     

    মহান ২১শে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সহকারে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্প মাল্য অর্পণের মধ্যেদিয়ে এদিবস পালন করা হয়।

    এতে অংশগ্রহণ করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সহযোগি সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থককারি নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মাতৃভাষার বিশ্বায়নের ইতিহাস অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    মাতৃভাষার বিশ্বায়নের ইতিহাস অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন জাতীয় চরিত্রের একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। সূচনায় ছাত্র-আন্দোলন হিসেবে এর প্রকাশ ঘটলেও দ্রুতই তা দেশজুড়ে গণ-আন্দোলনে পরিণত হয় সর্বশ্রেণির মানুষের সমর্থন নিয়ে সূচনা হয় ভাষা আন্দোলন।

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

    জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

    ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিশের হাত ধরে। ১৫ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিশ একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যার শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা-না উর্দু ?’ এই পুস্তিকার লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম বাংলা ভাষাকে ভাববিনিময়, অফিস আদালতের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে জোরালো দাবি তুলে ধরেন।

    ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। গণপরিষদে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা হিসেবে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন। পাকিস্তান গণপরিষদে তার প্রস্তাব আগ্রাহ্য হলে পূর্ব বাংলায় শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।

    এর পরম্পরায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সভায় গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। সভায় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সারা দেশে হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ১১ মার্চ তারিখটি রাষ্ট্রভাষা দিবসরূপে পালিত হয়।

    ২১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক নাগরিক সংবর্ধনায় ঘোষণা করেন যে ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছাত্রনেতারা ও জনতা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে।

    ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ‘Students Role in nation building’ শিরোনামে একটি ভাষণ প্রদানকালে ক্যাটাগেরিক্যালি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি উর্দু, একমাত্র উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয় তুলে ধরে।”

    বাংলা আজ শুধু বাংলাদেশের ভাষা নয়, এটি বিশ্বের কাছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিচিত ভাষা। আর এই পরিচয় দেয়ার প্রথম অবদানটুকু হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ১৯১৩ সালে তার অমর কাব্য গীতাঞ্জলি তাকে এনে দেয় ‘নোবেল পুরস্কার’ আর এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলা ভাষার কথা, শুরু হয় বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া।

    ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে টঘঊঝঈঙ কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্বদরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে অমর একুশের উদযাপন নিঃসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে।

    ২০০১ সালের ১৫ মার্চ বিশ্বের সব মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কাজ করার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকার সেগুনবাগিচায়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষাসংক্রান্ত গবেষণা,ভাষা সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটি ভাষার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় আসীন করতে ভূমিকা রাখছে।
    ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে ৪র্থ কমিটিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

    রাষ্ট্রীয় পর্যায় বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা মূলত একটি-বাংলাদেশ। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এর বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা প্রদেশ, আসাম প্রদেশের বরাক উপত্যকার অন্যতম প্রশাসনিক ভাষা বাংলা, ফলে ভারতের ক্ষেত্রে বাংলা একটি প্রদেশিক ভাষা। ভারত উপমহাদেশের বাইরে
    একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বাংলাকে স্বীকৃতির বিল পাস করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক অনন্য মর্যাদা।
    এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে ৩০টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ।
    বিশ্বের ছয়টি দেশের রাষ্ট্রীয় বেতারে বাংলা ভাষার আলাদা চ্যানেল রয়েছে। আরও ১০টি দেশের রেডিওতে বাংলা ভাষার আলাদা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে। ব্রিটেনে ছয়টি ও আমেরিকায় ১০টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন ও বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। বিট্রেনে ১২টি বাংলা সাপ্তাহিক প্রত্রিকা বের হয়। ‘বেতার বাংলা’ নামে সেখানে একটি বাংলা রেডিও স্টেশন রয়েছে।

    ইউরোপের ইতালিতে বর্তমানে পাঁচটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা এবং রোম ও ভেনিশ শহর থেকে তিনটি রেডিও স্টেশন পরিচালিত হচ্ছে। ইতালি থেকে ছয়টি অনলাইন টেলিভিশন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে শতাধিক ফেসবুক টেলিভিশন চালু রয়েছে। এছাড়া ডেনমার্ক সুইডেনসহ ইউরোপের আটটি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে বাংলা ভাষার মূদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
    মাতৃভাষার সুরক্ষা, বিকাশ এবং অনুশীলন ছাড়া কোনো জাতি অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।
    লেখক : চেয়ারম্যান উখিয়া উপজেলা পরিষদ
    সভাপতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উখিয়া উপজেলা শাখা।

  • টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী তারেক মাহমুদ রনির দু’আ কামনা করেছেন

    টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী তারেক মাহমুদ রনির দু’আ কামনা করেছেন

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    আসছে ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন। এ আকাঙ্ক্ষিত সম্মেলনকে ঘিরে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা। ঝিমিয়ে পড়া হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন উজ্জীবিত। সবাই সোস্যাল মিডিয়া সোচ্চার হয়ে নেতৃত্বের পরিবর্তনের কথা বলে পোস্ট করছেন।

    দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষা শান্তি প্রগতি এর ধারক বাহক এর নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই সংগঠনের সুনাম অক্ষুণ্ণভাবে জড়িয়ে আছে।
    এই সংগঠনের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখার নাম কক্সবাজার জেলার আওতাধীন টেকনাফ উপজেলা।

    শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই ছায়াতলে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্থান রয়েছে এই অঞ্চলে। এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সুশিক্ষিত ও মার্জিত ছাত্রনেতার নাম তারেক মাহমুদ রনি। যার জন্ম আওয়ামীলীগ পরিবারের। সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কনিষ্ঠ পুত্র তারেক মাহমুদ রনি
    এছাড়া তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন।
    আওয়ামীলীগ পরিবারের এই ছাত্রনেতা যেমন এক পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ নেতা তেমনি কর্মীদের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ।
    তারই ধারাবাহিতায় আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল এর সভাপতি পদপ্রার্থীর একজনের নাম এই তারেক মাহমুদ রনি। তিনি সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে আগাম ঘোষনা দিয়েছেন এবং টেকনাফের সর্বস্তরের জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
    এছাড়া কর্মীবান্ধব ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রনি যেন সবার কাছে এক উজ্বল নক্ষত্র। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এক চোখের মনি তারেক মাহমুদ রনি। তাই পদপ্রার্থী পছন্দের তালিকার তুমুল শীর্ষে রেখেছে এই ছাত্রনেতাকে।

  • ভোজন বাড়ি শুভ উদ্বোধন করলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    ভোজন বাড়ি শুভ উদ্বোধন করলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ, উখিয়া। 

     

    আজ জুমার নামাজের পর, উখিয়া স্টেশন চত্বর, নুরু হোটেল সংলগ্ন এ ভোজন বাড়ি হোটেলটি শুভ উদ্বোধন করের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    এ নিউ ভোজন বাড়ি হোটেলের সত্বাধিকারি হচ্ছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র কন্ট্রাকটর ফরিদুল আলম।

    উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, 
    উখিয়া স্টেশন জামে মসজিদের সম্মানিত খতীব হযরত মাওলানা মুজিবুর রহমান সাহেব,

    অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সদর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হক, ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট কন্ট্রাকটর মুফিজ মিয়া,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

    অভিজ্ঞ বাবুছি দ্বারা রান্না ও মনোরম পরিবেশে খাওয়া দাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে এ ভোজন বাড়ির দরবারে।

  • টেকনাফে বসত বাড়ি থেকে মাদক ইয়াবার উদ্ধার

    টেকনাফে বসত বাড়ি থেকে মাদক ইয়াবার উদ্ধার

    টেকনাফ সদর, প্রতিনিধি।

     

    টেকনাফে মালিকবিহীন ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    তবে এসময় কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

    ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারিঙ্গাঘোনা এলাকা থেকে ইয়াবার এই চালানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারিঙ্গাঘোনা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন’র বসত বাড়িতে ইয়াবার একটি চালান মজুদ রয়েছে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, এসআই মুজিবর এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ঘরের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০ হাজার ইয়াবাবর্তী একটি পোটলা উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরো জানান, এই অভিযানটি পরিচালনা করার সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক মাদক কারবারী ‘আনোয়ার’ কৌশলে পালিয়ে যায়।
    উদ্ধারকৃত ইয়াবার চালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আনোয়ারকে পলাতক আসামী করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

  • উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানাতে কম্বল বিতরণ করা হয়

    উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানাতে কম্বল বিতরণ করা হয়

    কাজল আইচ, উখিয়া। 

    উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানার মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

    এর মধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্মিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নূরানী মাদ্রাসা ও হেফজ খানা, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে ক্যাম্পঢালা জামে মসজিদ সংলগ্ন হেফজখানা


    ৯নং ওয়ার্ডের উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন টি এনটি বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স হেফজখানা

    Exif_JPEG_420

    ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দরগাহবিল তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ৭নং ওয়ার্ডের স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসাতেও কম্বল বিতরণ করা হয়।

  • নিয়োগ বানিজ্য চলছে মহেশখালীর অফসোর হাইস্কুলে

    নিয়োগ বানিজ্য চলছে মহেশখালীর অফসোর হাইস্কুলে

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অফসোর হাইস্কুলে চলছে নিয়োগ বানিজ্য ৷ এই স্কুলের কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগের নামে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের অভিযোগ ৷
    কমিটির সদস্যদের চাহিদা মাফিক টাকা দিতে না পারলে পরীক্ষা বাতিল করা সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ৷

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগের আলোকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে থাকে একে একে নানান চমকপ্রদ তথ্য ৷
    অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত স্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয় ৷
    প্রার্থীদের নম্বর কমের অজুহাত দেখিয়ে ঐ পরীক্ষাটি বাতিল করে স্কুল পরিচালনা কমিটি ৷
    একই পদে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে ২০২০ সালের শেষের দিকে মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভেন্যু নির্ধারণ করা হয় ৷
    উক্ত পদের একজন প্রার্থী তাহামিনা ইয়াসমিনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয় ৷
    তাহামিনা ইয়াসমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, খুবই চুপিসারে উক্ত পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় ৷ আমাদেরকে কোন ধরনের প্রবেশপত্র ইস্যু না করে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা সচিবের কাছে অভিযোগ করি ৷ উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পরীক্ষাটি বাতিল করা হয় বলে তিনি জানান ৷

    অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,
    উক্ত পদে চলতি মাসের ৫ফেব্রুয়ারি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ০৬জন প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার ছিলো ৩৯, ২৮, ১৯, ১৯, ১৮ ও ১৫ ৷
    এই পরীক্ষার পরপরেই শুরু হয় পরীক্ষা বাতিল করার নানান কলা কৌশল ৷
    জানা যায়, কমিটির সদস্যদের পছন্দের এক মহিলা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নানান ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করে স্কুল পরিচালনা কমিটি ৷ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থীকে নিতে তোড়জোড় শুরু হলে বেরিয়ে আসতে থাকে আরও নানান চমকপ্রদ তথ্য ৷
    এ নিয়ে কমিটির মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ আসে ৷
    লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি স্কুল কমিটির সদস্যদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলে কমিটির সদস্যরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিলের নানান কলাকৌশল রচনা করতে থাকে ৷

    এবিষয়ে বক্তব্য জানতে নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, স্কুল কমিটির সদস্য ও কুতুবজোম ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসাইন, মহেশখালী একাডেমিক সুপারভাইজার ও উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করেন- আমরা সকলে উপস্থিতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ এবং প্রশ্ন
    ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বলেন, এমন অভিযোগ ভুয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন ৷

    স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য সাইফুল হক সিকদারের সাথে কথা বললে তিনি এনিয়ে বিনিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তুলে আনেন ৷ তবে কমিটির অপরাপর সদস্যদের সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়েছে মর্মে জানানো হলে তিনি আমতা আমতা করে ফোন কেটে দেন ৷

    উক্ত স্কুলের সভাপতি এডভোকেট নুরুল হুদার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সামনে এনে বলেন, পরীক্ষার সময় তিনি দেরিতে উপস্থিত হন এবং আমার অনুপস্থিতে পরিক্ষা শুরু করা হয় ৷
    তিনি আরও বলেন, আমাদের স্কুলে আগামী শনিবার মিটিং আছে ৷ মিটিং শেষে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করা হবে ৷
    নিয়োগ কমিটির অপর সদস্য কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন,” আমরা পূর্ব রুটিন মাফিক বিগত ৫ তারিখ নিয়োগ কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত হয়ে সবার সামনে তৎক্ষনাৎ প্রশ্ন তৈরী করে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা শেষে আমরা চলে আসি।”

    তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্কুল ম্যানেজিং কমিটি উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল করে ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক পত্রিকায় পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৷

    স্কুলের দাতা সদস্য সাইফুল হক সিকদারের পছন্দের এক মহিলা প্রার্থীকে নিতে তার সাথে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নগদে লেনদেন হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ৷
    দাতা সদস্যের ঘুষ গ্রহণের খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার সন্তান প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন ৷

  • কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলন এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলন এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজারকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা হাতপাখার জন্য সারা দেশের একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কক্সবাজার জেলা শাখার সকল দায়িত্বশীলকে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সকলের কাছে গণ দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে এক গুরুদায়িত্ব। আজকে জেলার সকল দায়িত্বশীল শপথ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এ পথে অগ্রযাত্রা শুরু হল। দেশের মানুষকে কাঙ্খিত মুক্তি ও সত্যিকারের স্বাধীনতার সুফল দিতে গেলে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। ইসলামের প্রশান্তির আলোকে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জেলা কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী উপরোক্ত কথা বলেন।
    আজ 16 ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার 2021- 22 সেশনের জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান জেলা সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
    উপস্থিত জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ বাক্য পাঠ করান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
    শপথ গ্রহণকারী জেলা দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, সহ-সভাপতি মুফতি আব্দুল গফুর নদীম, সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম, সংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শফিউল আলম, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন শাওন, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শুয়াইব কবির, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল জাফর, সহ: অর্থ সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ হোছাইন, সরকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ওসমান আল হুমাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রউফ লাভলু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিদওয়ানুল কবির, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মুফতি নুরুল্লাহ সিকদার, সদস্য আলহাজ্ব নুরুল আমিন, সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সদস্য কমিশনার নূর মোহাম্মদ মাঝু, সদস্য মোহাম্মদ ফারুক এবং সদস্য মোহাম্মদ তকী উদ্দিন সিকদার।

  • টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি

     

    টেকনাফ উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটির সদস্যদের হাতে ল্যাপটপ উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ ।

    ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের ইউএনও কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওঃ ইবরাহিম রাহি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইকবাল আজিজ, টেকনাফ সদর সভাপতি মাওঃ ইউছুফ কাদের, সাবরাং ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃ নুর ফাইসাল ও আব্দুস সালাম প্রমুখ ।সাংগঠনিক কার্যক্রম অগ্রগতি লক্ষ্যে সাইফুল ইসলাম সাইফ (ইউএনও) বলেন, মহামারী করোনাকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ কঠিন পরিস্থিতিতে টেকনাফ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি, সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের সারপ্রাইস । আশা করি, বন্ধন অটুট থাকলে এমন সংগঠন সামাজিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, আমি তাদের সফলতা কামনা করি ।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হতে টেকনাফ উপজেলার প্রসাশনিক (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করে আসছি, সুত্রে জানতে পারি বান্দরবান জেলায় এডিসি হিসেবে পদুন্নীত হয়েছি । কালের পরিবর্তনে বিদায় শব্দটি খুব বেদনাময়, তারপরও সময়ে চলে যেতে হয়। অতএব সকলের ভালোবাসা ও দেওয়া একান্ত কামনা ।

    সভাপতি জানান, দীর্ঘ এক বছরের অধিক আমরা টেকনাফ উপজেলা ভিত্তিক সামাজিক উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কাজ করে আসছি, প্রশাসনিক, সামাজিকসহ আরো ব্যক্তিগতভাবে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন সবাইকে ধন্যবাদ ।
    বিশেষ করে, ইউএনও সাইফুল ইসলাম সাইফ আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন যা সহজে ভুলার নয় ।

    তাহার বদলিতে আমরা সওতুল হেরা পরিবার গভীর মর্মাহত, আর পদোন্নতিতে অনেক খুশি, দোয়া করি আল্লাহ যেন তাহাকে উত্তম বদলা দান করে এবং মর্যাদা সম্পন্ন করে ।

  • চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ২ টার সময় পশ্চিম কামরিয়ার বিল খেলার মাঠে হাসি মুখ ফাউন্ডেশনে সহযোগিতায় চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

    কর্মসূচিতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার সভাপতি রফিক আহাম্মদ।

    কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কামরিয়ার বিলের সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবছার সওদাগর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা শাহ নেওয়াজ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন রানা।

    এতে আরও বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার যুগ্ম তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিক উদ্দিন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সহ সভাপতি হামিদ হোছন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সিকদার। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম ।
    হাসি মুখ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব কায়ছার। কামারিয়ার বিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সম্মানিত খতিব মাওলানা আতাউল হক বিন মুছা৷ রাজাপালং ইউনিয়নের উপদেষ্টা হাফেজ আহাম্মদ হোসন তরুন সমাজ রফিক আলম।

    কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ হোসন সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান সহ প্রমুখ ।