Category: কক্সবাজার জেলা

  • টেকনাফে বসত বাড়ি থেকে মাদক ইয়াবার উদ্ধার

    টেকনাফে বসত বাড়ি থেকে মাদক ইয়াবার উদ্ধার

    টেকনাফ সদর, প্রতিনিধি।

     

    টেকনাফে মালিকবিহীন ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    তবে এসময় কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

    ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারিঙ্গাঘোনা এলাকা থেকে ইয়াবার এই চালানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন,গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারিঙ্গাঘোনা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন’র বসত বাড়িতে ইয়াবার একটি চালান মজুদ রয়েছে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, এসআই মুজিবর এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ঘরের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০ হাজার ইয়াবাবর্তী একটি পোটলা উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরো জানান, এই অভিযানটি পরিচালনা করার সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক মাদক কারবারী ‘আনোয়ার’ কৌশলে পালিয়ে যায়।
    উদ্ধারকৃত ইয়াবার চালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আনোয়ারকে পলাতক আসামী করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

  • উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানাতে কম্বল বিতরণ করা হয়

    উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানাতে কম্বল বিতরণ করা হয়

    কাজল আইচ, উখিয়া। 

    উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের হেফজখানা ও এতিমখানার মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।

    এর মধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্মিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকবৈঠা দারুল হেদায়া নূরানী মাদ্রাসা ও হেফজ খানা, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে ক্যাম্পঢালা জামে মসজিদ সংলগ্ন হেফজখানা


    ৯নং ওয়ার্ডের উখিয়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন টি এনটি বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স হেফজখানা

    Exif_JPEG_420

    ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দরগাহবিল তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ৭নং ওয়ার্ডের স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসাতেও কম্বল বিতরণ করা হয়।

  • নিয়োগ বানিজ্য চলছে মহেশখালীর অফসোর হাইস্কুলে

    নিয়োগ বানিজ্য চলছে মহেশখালীর অফসোর হাইস্কুলে

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অফসোর হাইস্কুলে চলছে নিয়োগ বানিজ্য ৷ এই স্কুলের কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগের নামে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের অভিযোগ ৷
    কমিটির সদস্যদের চাহিদা মাফিক টাকা দিতে না পারলে পরীক্ষা বাতিল করা সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ৷

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগের আলোকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে থাকে একে একে নানান চমকপ্রদ তথ্য ৷
    অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত স্কুলের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয় ৷
    প্রার্থীদের নম্বর কমের অজুহাত দেখিয়ে ঐ পরীক্ষাটি বাতিল করে স্কুল পরিচালনা কমিটি ৷
    একই পদে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে ২০২০ সালের শেষের দিকে মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভেন্যু নির্ধারণ করা হয় ৷
    উক্ত পদের একজন প্রার্থী তাহামিনা ইয়াসমিনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয় ৷
    তাহামিনা ইয়াসমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, খুবই চুপিসারে উক্ত পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় ৷ আমাদেরকে কোন ধরনের প্রবেশপত্র ইস্যু না করে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা সচিবের কাছে অভিযোগ করি ৷ উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পরীক্ষাটি বাতিল করা হয় বলে তিনি জানান ৷

    অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,
    উক্ত পদে চলতি মাসের ৫ফেব্রুয়ারি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ০৬জন প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার ছিলো ৩৯, ২৮, ১৯, ১৯, ১৮ ও ১৫ ৷
    এই পরীক্ষার পরপরেই শুরু হয় পরীক্ষা বাতিল করার নানান কলা কৌশল ৷
    জানা যায়, কমিটির সদস্যদের পছন্দের এক মহিলা প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নানান ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করে স্কুল পরিচালনা কমিটি ৷ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থীকে নিতে তোড়জোড় শুরু হলে বেরিয়ে আসতে থাকে আরও নানান চমকপ্রদ তথ্য ৷
    এ নিয়ে কমিটির মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ আসে ৷
    লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি স্কুল কমিটির সদস্যদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলে কমিটির সদস্যরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বাতিলের নানান কলাকৌশল রচনা করতে থাকে ৷

    এবিষয়ে বক্তব্য জানতে নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, স্কুল কমিটির সদস্য ও কুতুবজোম ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসাইন, মহেশখালী একাডেমিক সুপারভাইজার ও উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করেন- আমরা সকলে উপস্থিতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয় ৷ এবং প্রশ্ন
    ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বলেন, এমন অভিযোগ ভুয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন ৷

    স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য সাইফুল হক সিকদারের সাথে কথা বললে তিনি এনিয়ে বিনিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি তুলে আনেন ৷ তবে কমিটির অপরাপর সদস্যদের সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়েছে মর্মে জানানো হলে তিনি আমতা আমতা করে ফোন কেটে দেন ৷

    উক্ত স্কুলের সভাপতি এডভোকেট নুরুল হুদার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সামনে এনে বলেন, পরীক্ষার সময় তিনি দেরিতে উপস্থিত হন এবং আমার অনুপস্থিতে পরিক্ষা শুরু করা হয় ৷
    তিনি আরও বলেন, আমাদের স্কুলে আগামী শনিবার মিটিং আছে ৷ মিটিং শেষে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করা হবে ৷
    নিয়োগ কমিটির অপর সদস্য কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন,” আমরা পূর্ব রুটিন মাফিক বিগত ৫ তারিখ নিয়োগ কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত হয়ে সবার সামনে তৎক্ষনাৎ প্রশ্ন তৈরী করে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা শেষে আমরা চলে আসি।”

    তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্কুল ম্যানেজিং কমিটি উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল করে ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক পত্রিকায় পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৷

    স্কুলের দাতা সদস্য সাইফুল হক সিকদারের পছন্দের এক মহিলা প্রার্থীকে নিতে তার সাথে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নগদে লেনদেন হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ৷
    দাতা সদস্যের ঘুষ গ্রহণের খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার সন্তান প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন ৷

  • কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলন এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলন এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজারকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা হাতপাখার জন্য সারা দেশের একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কক্সবাজার জেলা শাখার সকল দায়িত্বশীলকে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সকলের কাছে গণ দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে এক গুরুদায়িত্ব। আজকে জেলার সকল দায়িত্বশীল শপথ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এ পথে অগ্রযাত্রা শুরু হল। দেশের মানুষকে কাঙ্খিত মুক্তি ও সত্যিকারের স্বাধীনতার সুফল দিতে গেলে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। ইসলামের প্রশান্তির আলোকে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জেলা কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী উপরোক্ত কথা বলেন।
    আজ 16 ই ফেব্রুয়ারি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার 2021- 22 সেশনের জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান জেলা সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
    উপস্থিত জেলা দায়িত্বশীলদের শপথ বাক্য পাঠ করান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
    শপথ গ্রহণকারী জেলা দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, সহ-সভাপতি মুফতি আব্দুল গফুর নদীম, সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম, সংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শফিউল আলম, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন শাওন, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শুয়াইব কবির, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল জাফর, সহ: অর্থ সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ হোছাইন, সরকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ওসমান আল হুমাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রউফ লাভলু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাক্টার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিদওয়ানুল কবির, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মুফতি নুরুল্লাহ সিকদার, সদস্য আলহাজ্ব নুরুল আমিন, সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সদস্য কমিশনার নূর মোহাম্মদ মাঝু, সদস্য মোহাম্মদ ফারুক এবং সদস্য মোহাম্মদ তকী উদ্দিন সিকদার।

  • টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    টেকনাফ সওতুল হেরা সোসাইটিকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন ইউএনও সাইফ

    ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি

     

    টেকনাফ উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটির সদস্যদের হাতে ল্যাপটপ উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ ।

    ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের ইউএনও কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওঃ ইবরাহিম রাহি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইকবাল আজিজ, টেকনাফ সদর সভাপতি মাওঃ ইউছুফ কাদের, সাবরাং ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃ নুর ফাইসাল ও আব্দুস সালাম প্রমুখ ।সাংগঠনিক কার্যক্রম অগ্রগতি লক্ষ্যে সাইফুল ইসলাম সাইফ (ইউএনও) বলেন, মহামারী করোনাকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ কঠিন পরিস্থিতিতে টেকনাফ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি, সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের সারপ্রাইস । আশা করি, বন্ধন অটুট থাকলে এমন সংগঠন সামাজিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, আমি তাদের সফলতা কামনা করি ।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হতে টেকনাফ উপজেলার প্রসাশনিক (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করে আসছি, সুত্রে জানতে পারি বান্দরবান জেলায় এডিসি হিসেবে পদুন্নীত হয়েছি । কালের পরিবর্তনে বিদায় শব্দটি খুব বেদনাময়, তারপরও সময়ে চলে যেতে হয়। অতএব সকলের ভালোবাসা ও দেওয়া একান্ত কামনা ।

    সভাপতি জানান, দীর্ঘ এক বছরের অধিক আমরা টেকনাফ উপজেলা ভিত্তিক সামাজিক উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কাজ করে আসছি, প্রশাসনিক, সামাজিকসহ আরো ব্যক্তিগতভাবে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন সবাইকে ধন্যবাদ ।
    বিশেষ করে, ইউএনও সাইফুল ইসলাম সাইফ আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন যা সহজে ভুলার নয় ।

    তাহার বদলিতে আমরা সওতুল হেরা পরিবার গভীর মর্মাহত, আর পদোন্নতিতে অনেক খুশি, দোয়া করি আল্লাহ যেন তাহাকে উত্তম বদলা দান করে এবং মর্যাদা সম্পন্ন করে ।

  • চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ২ টার সময় পশ্চিম কামরিয়ার বিল খেলার মাঠে হাসি মুখ ফাউন্ডেশনে সহযোগিতায় চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

    কর্মসূচিতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার সভাপতি রফিক আহাম্মদ।

    কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কামরিয়ার বিলের সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবছার সওদাগর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা শাহ নেওয়াজ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন রানা।

    এতে আরও বক্তব্য রাখেন চিরতরে বন্ধু সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলার যুগ্ম তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিক উদ্দিন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার সহ সভাপতি হামিদ হোছন। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সিকদার। চিরতরে বন্ধু সংগঠন উখিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম ।
    হাসি মুখ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব কায়ছার। কামারিয়ার বিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সম্মানিত খতিব মাওলানা আতাউল হক বিন মুছা৷ রাজাপালং ইউনিয়নের উপদেষ্টা হাফেজ আহাম্মদ হোসন তরুন সমাজ রফিক আলম।

    কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চিরতরে বন্ধু সংগঠন রাজাপালং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ হোসন সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান সহ প্রমুখ ।

  • কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নে চলতি ২০২০-২১ইং অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ১ম পর্যায়ে ৩৮০জন শ্রমিক এবং ৩০লাখ ৬০হাজার টাকার বিনিময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ১০টি সড়ক সংস্কার এবং নতুন করে নির্মাণের ফলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের টাকায় অনিয়ম-দূর্নীতি না হলে দুঃসময়ে দরিদ্র মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হয় তেমনি গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটে। আগামীতে এই ব্যাপারে আরো সর্তক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    জানা যায়, চলতি ২০২০-২১ইং অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্প ১ম পর্যায়ে ৪০দিনের কাজে হ্নীলা ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে মরিচ্যাঘোনা আব্দুল জাব্বার সিকদার রোড হতে পশ্চিমে দপ্তরী কবিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বশির আহমদ ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন।
    এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দপ্তরী কবির,আব্দু রহিম,আলমূল মোস্তফা,শাহ আলম,হাসিনা বেগম জানান, এই রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ার ফলে আমরা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্যাদি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব এবং ছেলে-মেয়েরা বর্ষাকালে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারবে। এইজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    নাইক্ষ্যংখালী মুসলিম পাড়া ব্রীজ হতে নবনির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে পূর্বদিকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। ফরিদুল আলম মেম্বার ৪০জন শ্রমিক এবং ৩লাখ ২০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় উপকারভোগী হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কালাইয়া, ছৈয়দ আলম, জাহেদা বলেন এই প্রকল্প লুটপাট প্রকল্প নামে পরিচিত থাকলেও আমাদের এলাকায় এইবার চোখে পড়ার মতো কাজ হয়েছে।

    মাষ্টার সাবেকুন নাহারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এবং প্রধান সড়ক হতে ঊলুচামরী কোনার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন ৯৫জন শ্রমিক এবং ৭লাখ ৬০হাজার বিনিময়ে এই প্রকল্প ২টি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, জাফর, সফিক, ছৈয়দুল আমিন, আতিক, স্কুল কর্মচারী সাইফুল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ২টি একটি গ্রামের মানুষের চলাফেরার ভেঅগান্তি দূর করেছে আরেকটি হ্নীলা ফুলের ডেইল এবং গুহাফার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দিয়েছে।

    পশ্চিম পানখালী উত্তর পাড়া বেলালের বাড়ি হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে আবুল বশরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। হোছাইন আহমদ মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল, মোঃ আলম, খলিল আহমদ, মৌঃ শব্বির, জহর আলী বলেন, বর্ষাকালে ভাঙ্গা পুকুরের পাড় দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর ছিল। এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।

    লেচুয়াপ্রাং মত্তিকাটা (ইসলাম মিয়ার বাড়ি হতে লেচুয়াপ্রাং কবর স্থান পর্যন্ত) রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় ইসলাম মিয়া, ফরিদ, সলিম, রহিম উল্লাহ বলেন, আমরা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে আমাদের ক্ষেতে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজতর হয়েছে।

    লেদা পুছিঙ্গা পাড়া (এইচকে আনোয়ারের প্রজেক্টের রাস্তা হতে দক্ষিণে লেদা খাল পর্যন্ত) পুনঃ রাস্তা নির্মাণ। নুরুল হুদা মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় আবুল কালাম, তৈয়ম গোলাল, নাগু মিয়া, জসিম বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে আমাদের চলাফেরা সহজ হয়েছে।

    খন্ডার কাটা আমির আলীর বাড়ি হতে উত্তর দিকে নুর নবীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় গৃহবধু মুন্নী, বৃদ্ধা সলেমা, কৃষক ছৈয়দ নুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে কষ্টে ছিলান। গাড়ি চলতে না পারায় কোন রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হত। এখন ইনশল্লাহ আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।

    মধ্যম দমদমিয়া সোনা মিয়ার বাড়ি হতে জাফরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। মোহাম্মদ আলী মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সোনা মিয়া, নুর কবির, নুর নাহার বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে ক্ষেত-খামার এবং স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে ছেলে-মেয়ে ও লোকজনকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।

    লেদা বিওপি ক্যাম্পের পেছনে নুর মোহাম্মদের বাড়ি হতে উত্তর দিকে নাজির হোছনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোছন, মোবারক, জাফর, ঈমান হোছন বলেন এই সড়কটি নির্মাণের ফলে দুই গ্রামের মধ্যে যাতায়াত সহজ হল।

    এই ব্যাপারে ২ নং হ্নীলা ইউপি সচিব শেখ ফরিদুল আলম জানান, এসব প্রকল্প সমুহ অনিয়ম-দূর্নীতির উর্ধ্বে উঠে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএওর নির্দেশনায় এবং চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর তত্ত্বাধানে ১ম পর্যায়ে ৪০দিনব্যাপী এই কর্মসংস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ঘটেছে। আমি মনে করি এই প্রকল্প এই ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
    হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন,আমি জনগণের সেবার জন্য বাবার স্বপ্ন নিয়ে জনসেবায় এসেছি। তাই সরকারী বরাদ্ধ সমুহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য সচেষ্ট রয়েছি বলে আজ এই প্রকল্প সরেজমিনে তদারকির মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

  • বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

    বায়তুশ শরফ আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।” মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি বলেন, দরবার কেন্দ্রিক প্রচলিত পীর মুরিদীর আবহে পরিবেষ্ট না থেকে বায়তুশ শরফের পীর মুর্শিদরা ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণে নিবেদিত থেকে যেভাবে দেশে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক এই প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেক পূর্ব থেকে পরিচয় এবং যাতায়াতের কথা তুলে ধরে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহানবী (সাঃ) যেভাবে সেবা ও দয়ার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বায়তুশ শরফ তারই বাস্তব উদাহরণ। তিনি বলেন, বায়তুশ মসজিদ ভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হলেও মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, এতিমখানার পাশাপাশি, স্কুল, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বায়তুশ শরফ পরিচালিত স্কুল ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ছেলের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে তা বিরল ঘটনা। কারণ, অন্যান্য পীরদের দরবারে সচরাচর এমনটি দেখা যায়না। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান পীর সাহেব আল্লামা শায়খ আবদুল হাই নদভীর এবং তাঁর মরহুম পিতার আল্লামা আবদুল জব্বার (রাহঃ) রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে নিজের অনভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বায়তুশ শরফকে আধ্যাত্মিকতা, সেবা, দয়া ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সমন্বিত আধার।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০ জানুয়ারী ২০২১) বুধবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিদর্শন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের আওতাধীন বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী ক্যাম্পাসে শাহ আবদুল জব্বার মিলনায়তন এর ভিত্তি ফলক উম্মোচন ও নব নির্মিত কারিগরি শিক্ষা ভবনের উদ্বোধন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সভাপতি ও পীর সাহেব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী (ম.জি.আ.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের এমপি রফিকুল্লাহ আশেক, সংরক্ষিত মহিলা এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, চট্টগ্রাম জোনের ডিআইজি মো.আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর সভার মেয়র মুজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম. এম. সিরাজুল ইসলাম।

    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া। উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ডাইরেক্টর রাশেদুল আলম খোরশেদ, আনজুমনে ইত্তেহাদের সহ সভাপতি মর্তুজা ছিদ্দিক, অধ্যাপক শফিউর রহমান, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, কবির গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন শেঠ, ঢাকা বায়তুশ শরফের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম আজাদ,অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক একরামুল হক আজাদসহ কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

    মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ১২টায় একই মঞ্চে বায়তুশ শরফ আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার শপথ গ্রহন ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং কক্সবাজার জেলার বায়তুশ শরফের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীলদের সাথে আগামী ৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আখতারাবাদের (কুমিরাঘোনা) পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব ২০২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার শাখার সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আনজুমনে নওজোয়ান কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আবুল কালাম।

  • কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

    প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার,প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ।

    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম আমীর হযরত পীরসাহেব হুজুর চরমোনাই এর ঘোষণা মতে দেশের সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে দেশে ইসলামী বিপ্লবের শস্যক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সকল প্রকার নেতা-কর্মীও দায়িত্বশীলদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনী মাঠে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে এদেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার পথ রচনা করতে হবে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্ব সৃষ্টি করে দেশের সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ধর্ষণের সংস্কৃতি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশকে ইসলামী বিপ্লবের দিকে ধাবিত করার ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পথচলা একটি মাইল ফলক সৃষ্টি করবে। গণ দাওয়াতের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কাছে ইসলামের হুকুমত প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রতিটি নির্বাচনে হক্কানি, দ্বীনদার দেশপ্রেমিক এবং নিষ্কলুষ ব্যক্তি নির্বাচিত করা গেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। তাই নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মী ও সদস্যদের এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সর্বাত্মকভাবে ইসলামী বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় এখনই। দেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দিকে চেয়ে আছে। সুতরাং উপজেলার সকল দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলার সকল ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। হাতপাখার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
    আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত সমগ্র দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নে প্রার্থী নির্ধারণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিকভাবে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
    অদ্য 13 জানুয়ারি 2021 কক্সবাজার এর অভিজাত হোটেল মিশুক এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান তদারকি করেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী

    মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, আলহাজ্ব নুরুল আমিন, আল্বহাজ বদিউল আলম ও মোঃ আব্দুর রহিম।
    সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল হাশেম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা ফরিদুল আলম। জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সেলিম উদ্দীন, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সেক্রেটারী মুহাদ্দিস মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলনে জেলা সভাপতি মোরশেদ কারীমি সহ আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার 28 টি ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
    (রাশেদ কক্স)

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল।
    ছাত্র-শিক্ষক,পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে আনাস ও ইয়াসিন গংদের পলায়ন। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার দারুল উলুম লাইট হাউজ মাদরাসার পরিচালক নিয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্র পূর্বক মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজ বাদ জোহর কক্সবাজেরের চিহ্নিত দালাল ও নামধারী আলেম নিয়ে মাদ্রাসায় গমন করে পূর্ব কোন ঘোষণা ও নোটিশ ছাড়া অবৈধ শুরা কমিটির মিটিং করতে চাইলে ছাত্র- শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধ ও তুপের মুখে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।সকাল থেকে আনাস মাদানী ও ইয়াসিগং মাদ্রাসায় আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই দখলবাজ চক্র শত চেষ্টা করেও মাদ্রাসার তথাকথিত শুরা কমিটির বৈঠক করতে পারেনি। পরে প্রতিরোধের মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা থেকে একপ্রকার লেজ গুটিয়ে চলে যায়। ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসা দখলে নেয়ার জন্য অবৈধ দখলবাজ চক্রের ধারাবাহিক চক্রান্তে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দার প্রান্তে পৌঁছেছে বলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি।কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ও শুরা মনোনীত মুহতামিম হচ্ছেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। তাকে অবৈধভাবে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দখলবাজ আনাস ও ইয়াসিন গং অপচেষ্টা চালি আসছিল। তার সবগুলো একে একে ব্যর্থ হতে চলেছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের রূপকার, শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার ক্ষেত্রে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তাকে অপসারণের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিশেষ করে কক্সবাজারের সকল শান্তিপ্রিয় জনতা, ওলামায়ে একরাম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলার চিহ্নিত এ দালাল চক্রটিকে প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদ্রাসাটিকে রক্ষা করার জন্য সচেতন ও ধর্মপ্রান জনগনকে এগিয়ে আসা প্রয়েজন বলে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছেন।