Category: কক্সবাজার জেলা

  • সোনারপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় জনাব শফিউল করিম স্যারের বিদায়।।। ডাঃ রবি

    সোনারপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় জনাব শফিউল করিম স্যারের বিদায়।।। ডাঃ রবি

    Dr. Rabiur Rahman Robi

     

    আমার নাড়ীর প্রতিষ্ঠান,যেখানেই আমার ভিত্তি প্রোতিত, উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক শ্রদ্ধেয় জনাব শফিউল করিম স্যারের বিদায় উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা ও মিলন মেলায় অন্যরকম একটা দিন কাটালাম!
    পরিচিত অপরিচিত অনেকের সাথে দেখা। একই সাথে বেদনা ও আনন্দের!স্যারের বিদায় শব্দটা শুনে বুকের ভেতরটা মোছড় দিয়ে উঠল!কতনা স্মৃতি স্যারের সাথে!
    স্যার ছিলেন আমাদের অবিভাবক আর প্রশাসক! স্যারের সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি এই পর্যন্ত এসেছে!

    আপনার ভবিষ্যত জীবন সুন্দর হোক!
    সবসময় ভাল থাকুন প্রিয় স্যার!

  • তারেক মাহমুদ রনির পক্ষ থেকে টেকনাফবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

    তারেক মাহমুদ রনির পক্ষ থেকে টেকনাফবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

    ওসমান আল হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

     

    তারেক মাহমুদ রনির নতুন বছর নিয়ে স্মৃতিচারন- জীবন চলে জীবনের গতিতে। ২০২০ শেষে চলে আসছে নতুন আরেকটি বছর ২০২১!
    সফলতা-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না সব মিলিয়েই কাটে আমাদের প্রতিটা বছর। কিন্তক এই বছরটি যেন আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে বেদনাময় একটি বছর। করোনা মহামারীতে সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি গোটা বছরই আমাদেরকে করে রেখেছে ঘরবন্দীর মতো জীবন। এরই মধ্যে চলে এলো নতুন আরেকটি বছর ২০২১। সময় এবার নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার। করোনাকে বিদায় দিয়ে হয়ত এই ২০২১ হয়ে উঠবে আবার একটি স্বাভাবিক বছর। আমরা ফিরে পাবো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

    বাঙালিদের নতুন বছরের সবচেয়ে বড় আমেজ পাওয়া যায় বাংলা নতুন বছরে। যদিও ইংরেজি নতুন বছরকেও বরণ করতে ভুলিনা আমরা। কারণ, জীবনের প্রতিদিনের হিসেব রাখি তো আমরা ইংরেজি বছরকে মাথায় রেখেই। তাই নতুন আরেকটি বছরকে ঘিরে কত পরিকল্পনা, আশা ভরসার বিষয় জড়িয়ে থাকে।
    সদ্য বিদায়ী বছরটি আমার জীবনের জন্য বড় বেদনাদায়ক, গত ১৩ নভেম্বর উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ আমার বাবা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীকে হারিয়েছি। করোনালব্দে দেশ বহুগুনীজনকে হারিয়েছে। আমি তাদের রূহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

    উৎসব প্রিয় আমরা প্রতিটি উৎসবেই আনন্দ ভাগ করে নিয়ে থাকি প্রিয়জনদের সাথে।
    এই করোনা মহামারী সময় টি নিজে সচেতনতা ভাবে জীবনের পথ চলবো, তাতে নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সুস্বাস্থ্যে রাখবো।

  • উখিয়ার ডেইলপাড়া, আগামী ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, ৭তম ইসলামী সম্মেলন

    উখিয়ার ডেইলপাড়া, আগামী ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, ৭তম ইসলামী সম্মেলন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ-এর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, ডেইলপাড়া, করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার উদ্যোগে ইসলামী সম্মেলন

    তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং, রোজঃ মঙ্গলবার সপ্তম বারের মত শুরু হতে যাচ্ছে, উক্ত তারিখে আশেপাশে সভা/মাহফিলের তারিখ নির্ধারণ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে।

    প্রধান বক্তা মাওলানা ক্বারী মোজাম্মিল হক সাঈদ সাহেব (দাঃবাঃ)

    পরিচালক, মাদ্রাসা নুরে মদীনা ঢাকা ও খতিব, মুজাহিদনগর রায়েরবাগ আল ইমরান জামে মসজিদ, ঢাকা।

    উক্ত ইসলামী সম্মেলনে দেশবরেণ্য ওলামায়েকেরাম তশরিফ আনিবেন।

    সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রহিল।

    আয়োজনেঃ ইসলামী সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি, উখিয়া কক্সবাজার।

  • ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    ২ কোটি চাঁদার দাবিতে শরণার্থী ত্রাণ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

    মোঃ শহিদ উখিয়া

     

    কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে ‘চাঁদার দাবিতে’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে নিয়োজিত এক স্বেচ্ছাসেবককে (সিপিপি) অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান কক্সবাজারস্থ ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি হেমায়েতুর রহমান।
    অপহৃত মোহাম্মদ হোসেন (৩৬) উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় নিযোজিত সিপিপি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
    এসপি হেমায়েতুর বলেন, বিকেলে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্প থেকে সিপিপি কর্মী মোহাম্মদ হোসেনকে অজ্ঞাত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবরটি পাওয়ার পর থেকে এপিবিএন এর সদস্যরা তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন। পরে তাকে ছেড়ে দিতে সন্ত্রাসীরা স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
    অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে এপিবিএন সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান হেমায়েতুর।

  • উখিয়া আইডিয়াল সোসাইটির বার্ষিক বনভোজন, প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    উখিয়া আইডিয়াল সোসাইটির বার্ষিক বনভোজন, প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ-এর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন আদর্শ সমাজ/আইডিয়াল সোসাইটির উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে
    কুরআন প্রতিযোগিতা, আজান,হামদ নাত,সংগীত, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান
    হাফেজ রহিম উল্লাহ’র কুরআন তেলাওয়াত মধ্য দিয়ে এইচ এম বেলাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় ও হাফেজ আব্দুল কাদের সাহেব হুজুরের সভাপতিত্ব শুরু হয়।

    উক্ত বনভোজন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জনাব মরহুম আলহাজ্ব মীর কাশেম চৌধুরীর সুুুুযোগ্য  সন্তান, ৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি/বর্তমান মেম্বার জনাব আলহাজ্ব মীর সাহেদুল ইসলাম(রোমান)চৌধুরী, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জনাব ফরিদুল আলম মেম্বার,

    ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী(রাঃ)মাদ্রাসার পরিচালক, মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেব, জনাব মাওলানা আব্দু শুক্কুর সাহেবসহ সংগঠনের সভাপতি জনাব রহমত উল্লাহ ও সকল সদস্য বৃন্দ।

    উক্ত বনভোজন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে
    কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীরা হচ্ছেন, ডেইলপাড়া হোছাইন বিন আলী (রাঃ) মাদ্রাসার ছাত্র, করইবনিয়া কারীমিয়া দারুত্ তাহফিজ হেফজ খানা ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন তা’লীমুল কুরআন হেফজখানা।

    প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী ছাত্র ও শিক্ষকদের কে সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানান।

  • হলদিয়া পালং ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াসের মাদক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রকাশিত ভুয়া সংবাদের প্রতিবাদ

    হলদিয়া পালং ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াসের মাদক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রকাশিত ভুয়া সংবাদের প্রতিবাদ

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    আমি সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ, আমাকে নিয়ে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কিছু কুচক্রী মহল যারা স্বাধীনতা বিরুধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুধী, এবং ছাত্রলীগের ভিতরে ঘাপটিমেরে থাকা জামায়াত শিবিরের প্রেতাত্মা আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের নোংরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মাদক সেবন, বহন, ব্যবসা ও পৃষ্ঠপোষক দেশ ও জাতীর শত্রু। আমি কোনদিনও মাদক ব্যবসায়ী, মাদক বহনকারী, মাদক সেবনকারী ও মাদকের পৃষ্ঠপোষণকারীকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়দান করি নাই। আমার বাবা মরিচ্যা বাজারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আমার বড় ভাইও একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আমার পরিবার সবসময় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত। জাতীর পিতার আদর্শে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের মান্যবর সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের মান্যবর সভাপতি সাদ্দাম ভাই সাধারণ সম্পাদক মারুফ ভাইয়ের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে কলুষমুক্ত করে সুসংগঠিত করতে মাঠে ময়দানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্যাসিনো ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাত ধরে আমরা হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। যার কারণে দেশবিরুধী চক্র আমাদের পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি হলদিয়া কোনদিন কোন ধরনের মাদকের সাথে ছিলাম না, বর্তমানেও নাই এমনকি ভবিষ্যতেও কোনধরনের মাদকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিবনা। যারা আমার বিরুদ্ধে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে সুপার এডিটিং করে তথাকথিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অড়িও রেকর্ড প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতেছে আমি তার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের মিথ্যা এডিট করা অড়িও প্রচারে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

    প্রতিবাদকারী
    মোঃ ইলিয়াছ
    সভাপতি
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হলদিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা।
    উখিয়া কক্সবাজার

  • উখিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-১।।। উখিয়া ভয়েস

    উখিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-১।।। উখিয়া ভয়েস

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে।সে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী এলাকার ছৈয়দ আলীর পুত্র মো: ইব্রাহীম (২৭)।
    শনিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে উপজেলার বালুখালী কাস্টম চেকপোস্টের পাশে মোটর সাইকেল ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে।

    জানা যায় নিহত মো: ইব্রাহিম এনজিও সংস্থা এমএসএফে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল ত্যাগ করে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।

    খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: মারুফ লাশটি ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

    উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সনজুর মোরশেদ সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহতের সত্যতা স্বীকার করেন।

    উল্লেখ্যঃগত এক মাসের ব্যবধানে উখিয়ায় ৬-৭টি সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে ৫জনের মৃত্যু হয়।

  • উখিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সম্পন্নঃ নির্বাচিত হলেন যারা

    উখিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সম্পন্নঃ নির্বাচিত হলেন যারা

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    সকল জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উখিয়া প্রেসক্লাব নির্বাচন সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৫ই ডিসেম্বর শনিবার উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টা দুপুর ২টা অবধি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    উখিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এস এম আনোয়ার হোসাইন (১৩ভোট ) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিক উদ্দিন বাবুল (৮ ভোট), সরওয়ার আলম শাহীন (৫), রফিকুল ইসলাম (৩) এড. আবদুর রহিম (৩) ভোট পেয়ে সহ – সভাপতি নির্বাচিত পদে সাইফুর রহিম শাহীন ও হুমায়ুন কবির জুশান (১৪) ভোট করে পেয়ে উভয় নির্বাচিত হয়েছেন।
    এতে লটারির মাধ্যমে দুজন ১ বছর করে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে হুমায়ুন কবির জুশান প্রথম বছর এবং সাইফুর রহিম শাহীন পরবর্তী বছর দায়িত্ব পালন করবেন।

    সর্বোচ্চ ২৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কমরুদ্দিন মুকুল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এইচ সেলিম উল্লাহ ও রতন কান্তি দে। সহ- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আমানুল হক বাবুল।

    অন্য নির্বাচিতরা হলেন অর্থ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী (২২), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : কাজি হুমায়ুন কবির বাচ্চু। দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হক বাবুল।

    সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হানিফ আযাদ (২৬ ভোট ) , ফারুক আহমদ ( ২২ ভোট ), ওবাইদুল হক চৌধুরী (১৯ ভোট ) নুর মুহাম্মদ শিকদার ( ১৮ ভোট)।

    নব নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তাদের প্রতি আস্তা রাখার জন্য।

  • আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে শুক্রবার

    মোঃ শহিদ উখিয়া।

     

    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৪টি ক্যাম্প থেকে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই ৬শ’ পরিবারের ২ হাজার ৫শ’ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়ার কথা রয়েছে।

    শুক্রবার (আগামীকাল) আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৫টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়।

    প্রতি ১০টি বাসের বহরে ১টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১টি করে পুলিশের গাড়ি রয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪টি জাহাজ।

    ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্ব-স্ব ক্যাম্প থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁবু ও বুথ তৈরি করে তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। পরে তাদের ডাটা এন্ট্রি করে বাসে তোলা হয়। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য শতাধিক বাস এবং ৪০টি মালাবাহী কাভার্ডভ্যান এবং ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    ২৩নং ক্যাম্পের মাঝি আবুল হাশেম বলেন, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের জোর দেয়া হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক তাদের নেয়া হচ্ছে ভাসানচরে।

    মিজান নামে এক যুবক জানিয়েছেন, গত রাত থেকে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে উখিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের নাস্তা ও খাবার পরিবেশন শেষে বাসে তোলা হয়। তার ধারণা প্রতিটি বাসে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কতটি রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কেউ এ পর্যন্ত মুখ খুলেনি। কাছে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক আয়োজন ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দৃশ্যটি চোখে পড়ার মতো।

    এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে বঙ্গোপসাগরের এ দ্বীপটি ঘুরে আসে ২২টি এনজিও প্রতিনিধি দল।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমি থেকে চার ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে শেল্টার হোম। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি এ অস্থায়ী আবাসস্থল এখন শহরে পরিণত হয়েছে।

    সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধুমাত্র আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। তাদের স্থানান্তরের জন্য অর্গানাইজড হয়ে কাজ করছে সরকার। এসব রোহিঙ্গা জাহাজে উঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    তিনি জানান, দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

    সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসন ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

    প্রকল্পটিতে যেন এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি।

    রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় দুটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

    এদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানাস্তর কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে অবগত থাকলেও তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।

  • উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়ার কুতুপালংয়ে শুভ উদ্বোধন করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল

    উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে উখিয়ার কুতুপালংয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো পালং জেনারেল হাসপাতাল।

    মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মাস্টার নুরুল হক কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এই হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,
    উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন বড়ুয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক আজাদ, সার্জন ডাক্তার আবদুল ওয়ালিদ, পরিচালক (প্রশাসন) নুরুল আবছার।

    ডাঃ মোঃ আয়ুব আলী,ডাঃ আদনান ওয়ালিদ,ডাঃ এলপল চাকমা,ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল আলম,ডাঃ মেরাজ হোসাইন, ডাঃ মাসুমা নাসরিন,ডাঃ মোহাম্মদ এনামুল হক তুহিন,ডাঃশাহীন আকতার,ডাঃ নিশাত রহমান,ডাঃ সাইয়্যেদা মৌ,ডাঃ শুভাশীষ চৌধুরী,ডাঃ এম মিজানুর রহমান।

    ২৪ ঘন্টা জরুরি বিভাগ, অত্যাধুনিক ডিজিটাল ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল এক্স-রে সহ নানা সুবিধা সম্বলিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ , হাসপাতাল টি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দা মিজান বলেন,হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব হবে।