Category: কক্সবাজার জেলা

  • ইসলাম ও নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষা করা হেফাজতের মূল উদ্দেশ্য= আল্লামা বাবুনগরী

    ইসলাম ও নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষা করা হেফাজতের মূল উদ্দেশ্য= আল্লামা বাবুনগরী

    • নিজস্ব প্রতিবেদক

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তব্য রাখলেন শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী (দাঃবাঃ)। গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) তিনি ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার ইছ্লাহী মাহফিল ও অভিভাবক সম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে বয়ান করেন।

    এতে হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা বাবুনগরী বলেন- রাজনীতি করা হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতে ইসলামের মূল উদ্দেশ্য ইসলামের আদর্শ ও নবী নবী রাসূলের মর্যাদা রক্ষার কাজ করা।
    সময় এখন মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিদের রুখে দেয়ার।
    আওয়ামীলীগ-বিএনপির লড়াই আমরা চাইনা। কারণ আওয়ামীলীগ-বিএনপি একই পথের পথিক। রাজনীতি ভিন্ন হলেও এদের উদ্দেশ্য এক। ঈদের জামাত, জুমার নামাজ, বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে এরা পাশাপাশি থাকে। হেফাজতের লড়াই চলবে আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে।

    হেফাজত আমীর আরো বলেন- হেফাজতে ইসলাম দেশ বিরোধী নয়, সরকার বিরোধীও নয়। সরকার ১০০ বছর ৫০০ বছর রাজনীতি করলেও হেফাজতের আপত্তি নেই। কিন্তু ৯২ % মুসলিমের দেশে পবিত্র ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) এর ইজ্জত এর উপর কোন আঘাত এলে দেশ অচল করে দেয়া হবে বলেন।
    তিনি আরো বলেন সরকার এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বলেন-যা খুশি করেন, কিন্তু ইসলামকে মাইনাস করে নয়। কারণ বাংলার মুসলমানরা এমন এমন জাতি, যে জাতি রক্তে সাগর ভাসায়।

    হেফাজতের এ শীর্ষ নেতা তাঁর বয়ানে বলেন-একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য মুসলমানদের জীবন উৎসর্গ করতে হবে। মানুষের বড় নেয়ামত, সর্বোৎকৃষ্ট সংবিধান পবিত্র কোরআন চর্চা বেশী করে করতে হবে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ, পবিত্র কোরআন পাঠ এবং আল্লাহর অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি লাভ সম্ভব।

    কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের সভাপতি, ধাওনখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিমের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ মেহমান হিসেবে বয়ান করেন- ঢাকা বসুন্ধরা মাদ্রাসার মহাপরিচালক ফকিহুলমিল্লাহ আল্লামা শাহ মুফতি আব্দুর রহমান সাহেব (রহঃ)র সূযোগ্য ছাহেবজাদা, বর্তমান মুহ্তামিম আল্লামা মূফতি আরশাদ রহমানী, আল্লামা জুনাইদ আল হাবীব।

    রামু জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা কাজী এরশাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় মাহফিলে দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের মহাসচিব, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ আবদুল হক, চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার নির্বাহী মুহ্তামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ইনানী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. ইদ্রিস, লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ শাকের, চকরিয়া চিরিঙ্গা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আনোয়ারুল আলম, বোয়ালখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হাকিম, রামু মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ হারুন, রামু জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুল হক, ধলিরছড়া মাছুয়াখালী মাদ্রাসার নির্বাহী মুহতামিম মাওলানা শাহেদ নুর, চাকমারকুল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মূফতি কামালা হোসাইন, পোকখালী এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আবু সাঈদ, মশরাফিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল কবির হিলালী, চাকমারকুল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মূফতি ফিরোজ আহমদ, মাওলানা ইয়াকুব, মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা হারুন আরশাদ, মাওলানা নুরুল আমিন, চাকমারকুল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, ইসলামী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা হুমায়ন কবির, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা এজাজুল করিম শফি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    গতকাল বিকাল ৩টায় থেকে পশ্চিম চাকমারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল ইছ্লাহী মাহফিলে দেশবরেণ্য আলেমেদ্বীনগণ বয়ান করেন। এর আগে দুপুর ২ টায় চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    পশ্চিম চাকমারকুল ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ইছ্লাহী মাহফিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ জনতা শরিক হন। মাহফিল শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

    এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর নির্বাচিত হওয়ায় আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন- চাকমারকুল আল-জামিয়া আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার পক্ষে নির্বাহী মুহ্তামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের পক্ষে মহাসচিব, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা মোহছেন শরীফ, নূরানী শিক্ষক পরিষদের পক্ষে মাওলানা নুরুল আমিনসহ আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    • মোঃ শহিদ উখিয়া

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আর আশ্রয় দিয়েই বিপদে পড়েছে সরকার। এদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট এবং প্রত্যাবাসন কোনোটতেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বরং গত তিন বছরে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিন দিন বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের টাস্কগ্রুপ গঠনের পাশাপাশি মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত হচ্ছে পৃথক জাতীয় কমিটি।
    সূত্রে জানা গেছে, মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নানা দেন দরবারেও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। বরং মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এতে জঙ্গিবাদের শঙ্কাসহ বিষয়টিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করছে সরকার। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতামূলক কার্যক্রম, বিভিন্ন বাহিনী গঠন ও আন্তর্জাতিক নানা ইন্ধন ঠেকাতে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে ঘাটতি দেখছেন নীতি নির্ধারকরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে ঘাটতি দূর করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নগদ অর্থের লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট করছে। নগদ অর্থ লেনদেনের কারণে ক্যাম্পে অপরাধমুলক কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা দেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।’
    এদিকে গোয়োন্দা সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা প্রশাসনের অগোচরে বিভিন্ন নামে বেনামে কমিটি গঠন করছে। যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। সরকারে বিভিন্ন বাহিনী দিনের বেলায় ক্যাম্পে কাজ করলেও রাতে ক্যাম্পে কী ঘটে তা নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেউ জানে না। সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ করা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফলাফল আশানুরূপ নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমার ফিরে যেতে রাজি হয় সেজন্য এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়।
    দেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে সবাই নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করার তাগিদ দেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে টাস্কগ্রুপ গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পাশপাশি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মানবিক সহায়তা জরুরি ত্রাণ, এনজিওর নিবন্ধন ও তাদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
    এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা শুধু যে এখানে বসবাস করছে তা কিন্তু নয়; এখানে তারা মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকিতে চলে গেছে। এদের সঙ্গে আন্তজার্তিক অপরাধীদের সংযোগ থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যদিও সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি সবাই কাজ করছে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমরা চাই, বিচ্ছিন্নভাবে না করে একটা সমন্বয় হোক। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’
    বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এক লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ভাসানচরে নিতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন ইস্যুতে এনজিওদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের নিরুৎসাহিত করার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তর আলোচনা হলেও আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। যদিও তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়। ওই গ্রুপ গত দুই বছরে চার দফা বৈঠক করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারের অনুরোধে সে বৈঠক দুইমাস পিছিয়ে মে মাসে সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সে বৈঠকও বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা কার্যত থেমেই আছে।
    উল্লেখ্য, মিয়ানমার জাতিগত নিধন আর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে তিন বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। তার আগে থেকে আরও তিন লাখ আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে সব মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের দুটি উপজেলায় গঠিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে দিন দিন নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

  • টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান, মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. স্মরণে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জামেয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে জামিয়ার হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষত কওমী অঙ্গনের জন্য আল্লামা আহমদ শফীর অবদান ও হাদীস অধ্যাপনার জগতে তাঁর খেদমত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শায়খুল ইসলামের মৃত্যুতে এই জাতি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ হারিয়েছে তার ইন্তেকালে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লামা শফী শুধু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের গর্বই ছিলেন না, এই উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আধাত্মিক রাহবার হিসেবে শতবর্ষতেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ তিনি বলেন”এদেশে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষায় শাহবাগী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে যখন আমরা সঠিক নেতৃত্বের সন্ধানে ছিলাম তখন আমিরে হেফাজতের শুধুমাত্র একটি ডাকেই গোটা বিশ্বে সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক হেফাজতের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল,কিংবা আমাদের ক্বওমীর লক্ষ লক্ষ সন্তানরা তাদের যুগ যুগ ধরে চেয়ে আসা সরাসরি স্বকৃীতির জন্য মিথ্যে স্বপ্ন বুনছিল তখন তিনিই তা বাস্তবেই রুপান্তর করে গেছেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল টেকনাফের জমিয়তে উলামার সভাপতি আল্লামা মাহবুবুল আলম মোজাহেরী, টেকনাফ সাবরাং মাদ্রাসার পরিচালক হেফাজত নেতা আল্লামা নুরুল হক, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ’র সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশিষ্ট হাদিছ বিশারদ আরবী সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা নুরুল ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন,আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকালে বাংলাদেশের মুসলিমরা শুধু একজন ধর্মীয় নেতৃত্বই হারায়নি; বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একজন দরদি রাহবার হারাল। এ দেশের মুসলমান তাঁর ত্যাগ ও অবদান এবং উলামায়ে কেরাম তাঁর অভিভাবকত্বের কথা চিরদিন স্মরণ রাখবে।’ তাঁরা আরো বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকাল ইসলামী জ্ঞানের জগতে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। তাঁর অনুপস্থিতি কষ্টদায়ক। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং উম্মাহর জন্য তাঁর অসামান্য খেদমতের উত্তম বিনিময় দান করুন।’

  • উখিয়ায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

    উখিয়ায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

    • মোঃ শহিদ উখিয়া।

    উখিয়ায় আমনের মাঠে হাওয়ায় দুলছে সোনালি ধান। হেমন্তের মিষ্টি হাওয়ায় সেই ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত এই অঞ্চলের কৃষকেরা। নানা স্বপ্নে বীজ বোনা যেন এই ফসলে। উখিয়ায় বাম্পার ফলনে সেই স্বপ্ন-সফলতার দারপ্রান্তে। তাই বেশি হাসিখুশিই তারা। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো এখানকার কৃষককে বৈরি আবহাওয়ার সাথে লড়তে হয়নি। কোন প্রকার ক্লান্তি ছাড়াই চকচকে সোনালি ধান কাটিয়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক। সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় আল্লাহর রহমতে শতভাগ ফসল উঠবে ঘরে।এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ভালো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদ বদিউর আলম। এরই মধ্যে ৫ শতাংশ রোপো আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমন ধান কাটা শেস হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকরা বলছেন, এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় ধানের আবাদে অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষকরা মহা খুশি। এখন ধান কাটতে শুরু করেছেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে শতভাগ ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। তবে স্থানীয় শ্রমজীবি মানুষেরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। দিন মজুর জানে আলম বলেন, আমরা ধান কাটতাম। এখন কাটতে পারি না। কম দামে রোহিঙ্গাদের এনে ধান কাটা হচ্ছে। ধান কাটা থেকে শুরু করে সকল প্রকার কাজ রোহিঙ্গাদের দখলে। তাই আমরা পরিজন-পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, তরিতরকারির দোকান, চায়ের দোকান, টমটম চালানো থেকে সর্বত্রই এখন রোহিঙ্গারা। এরা আমাদের কাজে ভাগ বসাচ্ছে। ধান কাটতে আসা উখিয়া ৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শামসুল আলম বলেন, আমরা সারা দিন ক্যাম্পে বসে থাকি। কোনো কাজ নেই। তাই কাজের সন্ধানে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে ধান কাটার কাজ করছি। ধান কাটতে আসা আরেক রোহিঙ্গা রিদুয়ান বলেন, আমরা ভোর বেলা দল বেধে কাজে চলে আসি। এখানকার মানুষজন আমাদের আদর করে কাজ দেয়। তাই আমরা কাজ করতে পারি। যদি স্থানীয়রা আমাদের বাধা দিত তাহলে আমরা কাজ করতে পারতাম না। স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন, এখানকার মানুষের চাইতে রোহিঙ্গারা ভালো কাজ করে। তারা কাজে ফাঁকি দেয় না। তাছাড়া কম মজুরি দিয়ে তাদের কাজ করানো যায়। ক্যাম্পে থাকা শতকরা ৮০ ভাগ রোহিঙ্গা তাদের দেশ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে কৃষি কাজ করতেন। কৃষিতে তাদের পারদর্শীতা রয়েছে। এছাড়াও তারা কর্মট। আমরা স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা মিলে সহাবস্থানে থাকতে চাই। যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের দেশে সম্মানের সাথে তারা যেন ফিরে না যায়।

  • হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক ছাড়া কথিত বর্ধিত সভা, তৃণমূলে নিন্দার ঝড়

    হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সম্পাদক ছাড়া কথিত বর্ধিত সভা, তৃণমূলে নিন্দার ঝড়

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র বাদ দিয়ে সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি মাহবুবুল আলম চৌধুরী নেতৃত্বে, তথাকথিত হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সিলেক্টেড চেয়ারম্যান শাহ আলমের সহযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ আওয়ামী কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্থিরতা বিরাজ করতেছে। এহেন অগঠনতান্ত্রীক কর্মকাণ্ড তৃণমূল আওয়ামীলীগ চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছে। উক্ত নিয়মপরিপন্থিমূলক বর্ধিত সভায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কটুক্তি সহ উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদেরকে পর্যন্ত চরম কটুক্তি করা হয়ে।

    উক্ত বর্ধিত সভা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, উক্ত বর্ধিত সভা যে আয়োজন করা হচ্ছে তা আমি জানি না, তাছাড়া যারা ওখানে বক্তব্য দিয়েছে জাহাঙ্গীর কবির চৌঃ ছাড়া আর কেউ উপজেলা আওয়ামীলীগের বৈধ নেতা নয়। ঐ সভায় যে সভাপতিত্ব করেছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী ওনি তৎকালীন জামাতের পক্ষে নির্বাচন করা’ই আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা অবৈধ, ঐ মিঠিং নিয়ে হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ মোটেও বিচলিত নয়। যেখানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত কমিটি আছে সেখানে বহিরাগত কারো স্থান হবে না। তারা জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে দ্বিধা বিভক্ত করার চেষ্টা করতেছে। ইনশাল্লাহ্ হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ। এখানে ফাটল ধরানো কোনমতেই সম্ভব নয়।

    হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আমি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। আমাকে বাদ দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নামে বর্ধিত সভা তারা কিভাবে করে তা আমার বোধগম্য নয়। তারা জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার পায়তারা করতেছে। আমি এই ধরনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকালাপের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন বলেন, উখিয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের একদল ভ্রাম্যমাণ জনবিচ্ছিন্ন ও স্বঘোষিত নেতার আবির্ভাব হয়েছে। তারা রাতে জামায়াত বিএনপি, দিনে আওয়ামীলীগ। তাদের আশেপাশে যারা আছে তাদের মধ্যেও অনেকে বিএনপি জামায়াতের কর্মী ও অনেকে নাশকতা মামলার আসামী। হলদিয়া পালংয়ের সিলেক্টেড চেয়ারম্যান শাহ আলম উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা কয়েকজন ভাসমান ও লাইসেন্স বিহীন নেতার কারণে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের চরম ক্ষতি হচ্ছে। হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অনেক সুসংগঠিত আছে, কিন্তু একদল জনবিচ্ছিন্ন নেতার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত সত্যিই লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, একটি গোষ্টি উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বিএনপি জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামীলীগের ভিতরে থেকে খন্দকার মোস্তাকের মত আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে চায়। তারই ধারাবাহিতায় কতগুলো জনবিচ্ছিন্ন ও বহিষ্কৃত নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রকে বাদ দিয়ে হলদিয়া পালংয়ে নাকি একটি বর্ধিত সভা করেছে, যার কোন ভিত্তি নাই। ইতিপূর্বে জেলা আওয়ামীলীগ তাদেরকে লিখিত নোটিশ দিয়েছে এই ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য। তারপরও তারা কোন অদৃশ্য শক্তির অনুবলে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি জেলা আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করছি, এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকলে উখিয়ায় আওয়ামীলীগ শূণ্য হতে বেশিদিন লাগবেনা। তাদের লাগাম টেনে ধরা জরুরী।

    তাছাড়া হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন আ’লীগের এক নেতা বলেন, তথাকথিত হলদিয়ার চেয়ারম্যান শাহ আলম দীর্ঘ্য পাঁচ বছর যাবৎ হলদিয়ার আওয়ামীলীগের কর্মীদের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন। শিবিরের ক্যাডারদেরকে সুযোগ দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের কর্মীদের নির্যাতিত করেছেন। জামায়াত বিএনপির কর্মীদের দিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মীদের নির্যাতন করেছেন। এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে একেবারে ধ্বংস করার পায়তারা করতেছেন।

    আরেক নেতা বলেন, শাহ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে কিভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে আমার জানা নেই। তার সমস্ত কর্মকাণ্ড আওয়ামীলীগকে সমূলে ধ্বংস করা। আমরা আওযামী লীগের কর্মীরা তার হাত থেকে বাচতে চায়। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন, শাহ আলম চেয়ারম্যানের মত এমন আ’লীগ খেকোদের হাত থেকে আ’লীগকে বাচান, অন্যথায় সে আওয়ামী লীগকে জামায়াত বিএনপির হাতে বিক্রি করে দিবে।

    গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এমন ঘটনায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করতেছে। তারা এই বর্ধিত সভার বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন পূণরায় না ঘটে সে জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।

  • ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন উখিয়া উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গতকাল ১৩নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি সাইফুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান অতিথি বলেন, দুনিয়াতে ইসালাম ও মুসলমানদের উপর ষড়যন্ত্র একের পর এক করে যাচ্ছে। আজ মুসলমান যদি ঘুমিয়ে থাকি তাহলে তারা সেই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছে যাবে। তাই আমাদের ঘুমিয়ে থাকা চলবে না। বরং আমাদের সব দিক দিয়ে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং যৌবন নামক নিয়ামত দান করেছেন। যৌবনের উম্মাদনায় গতি পথ হারিয়ে পেলা যাবেনা। কারণ, যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করছেন তার কাছে হিসাব দিতে হবে। তাই তার দেয়া বিধান অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হতে হবে।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্ত হয়।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি জাতীয় সংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুুুুুুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবিউর রহমান রবি স্যারের গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

     

    ডাঃ রবির ভাষায় যা বললেন

    ভাবছিলাম অনেক কিছু লিখব! কিন্তু কোন ভাষাই আসেনা! এত স্মৃতি এত কথা! সর্বশেষ রাশেদের গত ইউপি নির্বাচনের দিন আপনার সাথে কাটানো সময় আর স্মৃতিগুলো!
    এত অমায়িক আর আপাদমস্তক ভদ্রলোক মানুষ হয় কি করে ওনার সাথে না মিশলে বুঝতামনা!
    আত্মীয়তার এই সংক্ষিপ্ত সময়ে যতবার দেখা করেছি, কথা বলেছি ওনি জীবনধর্মী উপদেশ দিয়েছেন, সৎ পরামর্শ দিয়েছেন।
    ওনি ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের বীর সংঘটক, পরিচ্ছন্ন শিক্ষক,মর্যাদাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ গণমানুষের বন্ধু! এই করুনাকালেও তাঁর অন্তিম যাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল তাঁর কর্মের পরিচায়ক!
    ওনার মধ্যে আমার মরহুম বাবার ছায়া অনুভব করেছি! মনের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করতাম যে আমাদের মধ্যে একজন অভিভাবক আছেন!
    আজ মহান আল্লাহ তাঁর এই প্রিয় বান্দাকে তাঁর সন্নিকটে নিয়েগেছেন! আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে গেলাম!
    হে আল্লাহ এই ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন! আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দান করুন।  আমীন

  • জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কক্সবাজার-৪ সংসদীয় আসন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদে আসর হ্নীলা দরগাহ সড়ক ও জনপদ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

    জানাজায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান,কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, খতমে নবুওত আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা ও হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরী, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ জননেতা আবদুর রহমান বদিসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তারা ৩ ছেলে ও ১মেয়ে সন্তান ছিল।

    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (১৩-নভেম্বর-২০) ভোররাত ৩.টার ৫৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে উখিয়া-টেকনাফ তথা জেলাবাসী একজন প্রকৃত জনদরদী এবং প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাকে হারালেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুদিকে তিনি ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কক্সবাজার থেকে ডাকা এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ১৯৯৬-২০০১ সালে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য, এর আগে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেন এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন
    মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিত কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফুলের ডেইলের মরহুম হাজী আমির হোছনের পুত্র। উক্ত জনাযায় দলীয় নেতাকর্মী, ও কক্সবাজারের সকল আসনের এমপি, বিরোধী দলীয় ও সরকার দলীয় সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা/উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্থরের রাজনৈতিক ও সামাজিক, ধর্মীয় নেতারা অংশ গ্রহন করেন। এই মহান জাতীয় নেতাকে গার্ডঅব অনার প্রদান করা হয়।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক।।

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক।।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য,  টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান

    জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক ও মরহুমের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    আল্লাহ মরহুমের জীবনের চলাকালীন সময়ের সমস্ত ভূল ক্ষমা করে দাও।৷ আমীন

     

    সৌজন্যেঃ

    আব্দুর রহিম মেম্বার,,, ইউপি সদস্য ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ, উখিয়া কক্সবাজার।

  • কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন

    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী আমাদের মাঝে আর নেই।
    “ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
    তিনি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টায় কক্সবাজারে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেন। আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী স্যার এর জানাজার নামাজ ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে টেকনাফ হ্নীলাদরগাহস্থ সি এন্ড বি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
    মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন শ্রদ্ধেয় স্যারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ উচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
    মৃত্যৃকালে স্যার তিন ছেলে এক মেয়ে, বহুগুনাগ্রাহী, উত্তরসূরী রেখে যান।
    তার মৃত্যুতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও উখিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কামরুন্নেসা বেবি,উখিয়া ৩ নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আমিনুল হক আমিন, টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক আফসার উদ্দিন চৌধুরী।