Category: কক্সবাজার জেলা

  • চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্র সহ কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    ১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়াল ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড .৩০৩ রাইফেল এবং এ্যামুনেশন’সহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসেও চকরিয়ার মাছের ঘেরে ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট চারজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে তাদের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারে র‌্যাব। বর্ণিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‌্যাব কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

    ৩। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা বছর মৌসুমে লবণ চাষ এবং বাকি মাসগুলোতে চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত লবণ চাষের মৌসুম শেষে চিংড়ি চাষের প্রস্তুতি শুরু হলেই একদল সন্ত্রাসী ঘের মালিকদের নিকট চাঁদা দাবি করে। তাছাড়া অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে ঘের এলাকা দখল করে। এছাড়া প্রায়ঃশই সশস্ত্র ডাকাত দল মাছের ঘেরে লুটপাট ও অন্যান্য নাশকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে বছরজুড়ে অত্র এলাকায় অস্থিরতা চলমান থাকে। বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের অভিযানের মাধ্যমে এ সকল ডাকাত দল নির্মূলের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। তবে এ সকল ডাকাত ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম সাময়িক সময়ের জন্য রোধ করা গেলেও দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার বিলুপ্তপ্রায় সুন্দরবন তথা চিংড়ি জোনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। গত ১৯ জুন ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ মৌজার গোলদিয়ায় ১০ একর বিশিষ্ট সাতটি ঘেরে (৭০ একর) হানা দেয় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা অন্তত শতাধিক ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। অস্ত্রের মুখে ঘের কর্মচারীদের জিম্মি ও হাত-পা বেঁধে ফেলে করা হয় মারধর ও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন। এরপর একে একে ঘেরগুলো দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব।

    ৪। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কোরালখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান ১। বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-আকবার আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। কামাল আহম্মেদ (৪২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩। আব্দুল মালেক (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও তাদের সহযোগী ৪। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত জহির আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ বোর ৪০ রাউন্ড, ৭.৬২ মিঃ মিঃ ১০ রাউন্ড এবং ৭.৬৫ মিঃ মিঃ ২ রাউন্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চিংড়ি ঘের দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

    ৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। গ্রেফতারকৃত বেলাল, কামাল এবং মালেক আপন তিন ভাই। তারা অস্ত্রধারী ডাকাতদের নিয়ে “বেলাল বাহিনী” গড়ে তুলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। এই বাহিনীর সশস্ত্র ডাকাত সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ জন। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাত এবং এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করতো।

    ৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে ভাড়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে। গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমের পর মৌসুম মাছের ঘের মালিকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতো। ঘের মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে নিয়ে যেতো ঘেরের মাছ ও মাছ চাষের নানা উপকরণ। এছাড়াও মাছের ঘের তাদের দখলে নিয়ে নিতো এবং কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিতো। এমনকি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ করেও নিয়ে যেতো এবং মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃতরা মহেশখালীসহ কক্সবাজারের অন্যান্য এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভাড়া করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী/ডাকাত দলের সদস্যদের সে চকরিয়াতে নিয়ে আসতো। বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করার উদ্দেশ্যে তারা সবসময় সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকতো। গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে মাছের ঘের ও লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি, গুলি বর্ষন, মারামারি, ডাকাতি, লুট-পাট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতো। বিভিন্ন অপরাধ ও মাছের ঘের দখলের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সকল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করতো এবং কার্যশেষে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখত বলে জানা যায়।

    ৭। গ্রেফতারকৃত বেলাল একজন দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত অস্ত্রধারী ডাকাত। সে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০২টি হত্যা ও ০১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ০৯টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৮। গ্রেফতারকৃত কামাল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত বেলালের আপন ভাই এবং তার অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত কামাল গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০১টি পুলিশ এ্যাসল্ট ও ০১টি অপহরণসহ মোট ০৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৯। গ্রেফতারকৃত মালেক পেশায় একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী। সে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত বেলালের অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত মালেক গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১০। গ্রেফতারকৃত নুরুল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। সে গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মারামারির ০১টির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১১। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    মহেশখালী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য।

    চিত্রাঙ্কনে দেশসেরার পুরস্কার পেলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কৌশিক।

    ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যে অদ্য ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। এতে শিক্ষাকেন্দ্রীক ক্রিড়া সাংস্কৃতিক এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কন (বালক) ইভেন্টে প্রথম হয়ে দেশসেরার পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৌশিক দে বাপ্পি।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

    এসময় ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৫ ব্যক্তি ও তিনটি সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    কৌশিক মহেশখালী গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফেন্সি রাণী দে ও রামু পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার কানুরাম দে’র প্রথম পুত্র। কৌশিকের এমন সাফল্যে তাঁর পরিবার, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠীরা বেশ আনন্দিত হয়।

  • ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।। উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম

    নিউজ ডেস্ক: Ukhiyavoice24.Com

    কক্সবাজার জেলার ৬ষ্ট উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত প্রথম সাধারণ সভা অদ্য-২৫ জুন- ২০২৪ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার দিকে উপজেলা হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি।

    উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে, উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাবা শাহীনা আক্তারসহ উপজেলার ৫ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

  • আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্টে বিস্তারিত।

    আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিম ও ওলামায়েকেরামের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    অদ্য ২২ জুন-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার বিকাল ০২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসাতুন নুর উখিয়া মিলনায়তনে ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খ আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহসিন শরিফ, কক্সবাজার জামিয়া ইমাম মুসলিম (রহ.) ইসলামিক সেন্টারের মুহতামিম মাওলানা সালাহুল ইসলাম, কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি সোলাইমান কাসেমী, হ্নীলা জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আফছার উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার দারুল উলুম লাইট হাউস মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ আলী, নাজির, থাইংখালী দারুত তাহযীব মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুস সাত্তার, হলদিয়াপালং দাওয়াতুল হক আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ আবদুল গফুর, টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাওলানা মুজিবুর রহমান, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া টেকনাফের প্রতিনিধি মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ, জামিয়া দারুচ্ছুন্নাহ হ্নীলার মুহাদ্দিস মুফতি আজিজুর রহমান, জামিয়া আশরাফিয়া কাসেমুল উলুম কোটবাজারের মুহতামিম মুফতি ওবাইদুল্লাহ রফিক প্রমূখ।

    উপস্থিত ছিলেন, উখিয়ার প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা কাজী মোহাম্মদ হারুন, মুফতি বোরহান উদ্দিন, ডিগলিয়াপালং রহমানিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল খালেক, চাইল্লাতলী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, মরিচ্যা পালং সুলতানিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার নির্বাহী পপরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল খালেক কাউসার, কোটবাজার আনোয়ারুল হারামাইন মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ফরিদ আহমদ তাওহিদী, রামু জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উখিয়া উপজেলার সর্বস্তরের মাদ্রাসা সমূহের মুহতামিমসহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঈদগাঁও‌ র ইসলামাবা‌দে দ‌রিদ্র কৃষকের উপর বখা‌টে আমজা‌দের হামলা

    ঈদগাঁও‌ র ইসলামাবা‌দে দ‌রিদ্র কৃষকের উপর বখা‌টে আমজা‌দের হামলা

    ঈদগাঁও প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউছুপেরখীল গ্রা‌মে উন্মুক্ত ফসলি জমি থেকে গৃহপা‌লিত গরু`র ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দ‌রিদ্র কৃষক জাফর আলমের উপর লা‌ঠি-‌সোটা ও ক্রিকেট ব‌্যাট দি‌য়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় একই গ্রা‌মের আমজাদ না‌মের এক বখা‌টে যুবক। আমজাদ গ্রা‌মের একজন চি‌হ্নিত বখা‌টে হি‌সে‌বে প‌রি‌চিত। হামলায় আহত হওয়া কৃষক জাফর আলম ইউ‌নিয়‌নের ৬নং ওয়া‌র্ড কৃষকলী‌গের সভাপ‌তি।

    ১৮ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ‌্যায় ইউছু‌পেরখীল গ্রা‌মের বাইল্লা ঘোনা নামক এলাকায় উ‌দ্যেশ‌্যপ্রণো‌দিত এ হামলার ঘটনা‌টি ঘ‌টে।

    গুরুতর আহত হওয়া কৃষক জাফর আলম‌কে ঘটনাস্থল থে‌কে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে প্রথ‌মে ঈদগাঁও`র এক‌টি বেসরকা‌রি হাসপাতা‌লে নি‌য়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তা‌কে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতা‌লে উন্নত চি‌কিৎসার জ‌ন্যে রেফার করা হয়।
    বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক ব‌লে জানা যায়। রি‌পোর্ট লিখা পর্যন্ত সে কক্সবাজার সদর হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় আ‌ছে। চি‌হ্নিত বখা‌টে আমজা‌দের বি‌রো‌দ্ধে খুব শীঘ্রই ঈদগাঁও থানায় এজাহার দা‌য়ের কর‌া হ‌বে জানায় ভুক্ত‌ভোগী জাফর আল‌মের প‌রিবার।

    এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায় আমজাদ এলাকার একজন চি‌হ্নিত বখা‌টে। বখা‌টে আমজাদ প্রতিনিয়ত পে‌শিশ‌ক্তি ও কি‌শোর গ‌্যাং‌দের মাধ‌্যমে গ্রা‌মের নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন করে। নির্যাত‌নের পর জা‌নে মে‌রে পেলারও হুম‌কি ধম‌কি দি‌য়ে থা‌কে। আমজাদ এলাকার কি‌শোর গ‌্যাং লিডার ও বখা‌টে হওয়ায় নানান অপরাধ ক‌রেও পার পে‌য়ে যায় বারবার।

    ভুক্ত‌ভোগী প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা উক্ত ঘটনা ও তার বখা‌টে কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদন্ত করে, তার বিরুদ্ধে প্রচ‌লিত আই‌নে ব্যবস্থা গ্রহ‌নের জন্যে সং‌শ্লিষ্ট প্রশাস‌নের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

  • আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    প্রিয় উখিয়া উপজেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ছাত্রাবস্থা থেকে আমি রাজনীতিতে জড়িয়েছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে। ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ে বড় দায়িত্বে ছিলাম। এরপর আমার নিজ উপজেলায় আওয়ামীলীগের কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছি সততার সাথে। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ক্যারিয়ারে আমি শপথ করে বলতে পারবো, আমি আমার জনগণের; নাগরিকের; গরীব-দুঃখী মেহনতী মানুষের হক নষ্ট করিনি। জুলুম করিনি। অন্যায় করিনি। আমি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সারাজীবন শ্রদ্ধা পোষণ করে এসেছি। কিন্তু উখিয়া উপজেলার রাজনীতি একটা নিদিষ্ট পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। তাদের এই প্রভাব বলয়ের ভিতরে অন্য কোন নেতাকর্মীদের জায়গা হয় না। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়েছে ওই একটা পরিবার। ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা অন্ধ করে দিতে পারে এটা আপনারা সবাই বিগত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছেন। নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি আপনাদের এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি; আমি আপনাদের জন্য কাজ করবো। আপনাদের হয়েই কথা বলবো। যেমনটা আগেও করে আসছি। আমি শপথ করে বলতে পারবো, জীবনে হারাম, অবৈধ কোন আয়-উপার্জন করিনি। আমার ছেলে-মেয়েদেরও এই শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি। আপনাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু করতে চাই না। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে মোটরসাইকেল মার্কায় আপনাদের মুল্যবান ভোট টি প্রদান করে আমাকে জয়যুক্ত করুন। আমাকে জয়যুক্ত করা মানেই আপনারাই জয়ী হওয়া। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।

    বিনীত নিবেদক: আবুল মনসুর চৌধুরীউ, খিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

  • জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা।

    ————————————————————–

    প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে গড়া মদিনার অন্যতম স্থাপনা মসজিদে নববি। এ মসজিদের মর্যাদা ও জিয়ারতে রয়েছে অনেক ফজিলত। তবে যে কোনো জিনিসের মর্যাদা ও ফজিলতের জন্য নিয়তের পরিশুদ্ধতা আবশ্যক। মসজিদে নববির জিয়ারতে ফজিলত লাভের ক্ষেত্রেও নিয়তের আবশ্যকতা অপরিহার্য।

    হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও (সাওয়াবের আশায়) সফর করাই বৈধ নয়। আর তাহলো-
    মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র মক্কা নগরির কাবা শরিফ।
    আমার এ মসজিদ তথা মদিনার মসজিদে নববি এবং
    মসজিদুল আকসা তথা মুসলমানদের প্রথম কেবলা ও অসংখ্য আম্বিয়া কেরামের পদধূলিতে ধন্য বাইতুল মুকাদ্দাস।

    মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
    ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর, প্রথম দিন থেকে তার বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’(সুরা তওবা : আয়াত ১০৮)

    অন্য দিকে মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভের ব্যাপারে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার এ মসজিদে শুধুমাত্র কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা হবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।
    আর যে অন্য কোনো উদ্দেশে আসবে, তার অবস্থা হবে ওই ব্যক্তির মতো, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়। (ইবনে মাজাহ)

    সুতরাং মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারাতের নিয়তে থাকতে হবে পরিশুদ্ধতা। উদ্দেশ্য থাকবে শুধু কল্যাণ লাভ করা। যার সুসংবাদ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

    হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করনে, ‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র কল্যাণ শেখা বা শেখানোর উদ্দেশে মসজিদে (নববিতে) আসবে, তার জন্য পূর্ণ এক হজের সওয়াব লেখা হবে।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘আমার ঘর (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘর) ও তার মিম্বরের মাঝখানের জায়গা টুকুকে (রওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাহ) জান্নাতের অন্যতম উদ্যান বলা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)

    আর এ কারণেই মদিনার মসজিদে নববি মর্যাদা এতবেশি। আর এ মসজিদে ইবাদাত বন্দেগিতে রয়েছে অনেক ফজিলত। যা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এতে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়।’

    সুতরাং হাদিসের তথ্য অনুযায়ী মসজিদে নববিতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে ৬ মাস ২০ দিন নামাজ পড়ার সমতুল্য।

    তবে এ জন্য শর্ত হলো মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভে নিজেদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। লোক দেখানো কিংবা খ্যাতি ছড়ানোর কোনো মানসিকতা না থাকাই শ্রেয়। তবেই সম্ভব হবে সফলতা লাভ করা।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হৃদয়ের সর্বোচ্চ আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে পবিত্র এ স্থান জিয়ারতের তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়

    শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ এর রিপোর্ট।

    ঐক্যবদ্ধ মিম্বার আলোকিত সমাজ এই স্লোগান বুকে ধরন করে শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অদ্য ১৮ মে-২০২৪ খ্রিঃ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উখিয়া উপজেলার ব্যস্ততম শহর কোর্টবাজার স্টেশন এর পশ্চিম দিকে সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ভবন তামিম ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি হাফেজ মাওলানা সানা উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। শুরুতে পবিত্র কালামে মজীদ থেকে তেলাওয়াত করলেন কোটবাজার ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ জাহিদুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাকের উদ্দিন ইউনুছী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    প্রধান আলোচকঃ কবি মাওলানা হাফেজ রিয়াদ হায়দার সাহেব, শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা এডভোকেট রিদওয়ানুল কবীর সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    বিশেষ আলোচনা পেশ করেন কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সদস্য মাওলানা হাফেজ ইউনুছ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ, সভাপতিঃ হাফেজ মাওলানা সানা উল্লাহ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ। সহ-সভাপতিঃ মাওলানা জিয়াউর রহমান, মাওলানা আলী মোর্তজা সাহেব,

    সেক্রেটারিঃ মাওলানা মিজানুর রহমান, সহ সেক্রেটারিঃ মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা শফিউল কাদের আজিজী সাহেব, সাংগঠনিক সম্পাদকঃ রফিক উল্লাহ সাহেব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মাওলানা নজির আহমদ সাহেব, মাওলানা আব্দুল বারী সাহেব, অর্থ সম্পাদকঃ মাওলানা আবদুল মান্নান সাহেব, সহ অর্থ সম্পাদকঃ মাওলানা রুহুল কাদের সাহেব,

    প্রচার সম্পাদকঃ সাংবাদিক এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা কক্সবাজার উখিয়া প্রতিনিধি। সহ প্রচার সম্পাদকঃ অলি উল্লাহ সাহেব,

    আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা নুরুল ইসলাম সাহেব, সহ- আইন সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা নুরুল আবছার সাহেব, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পাদকঃ মাওলানা আলিম উদ্দিন সাহেব। সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ মাওলানা তাফহীম সাহেব, কর্ম সংস্থান সম্পাদকঃ মাওলানা ওমর ফারুক রহমানী সাহেব, সহ কর্ম সংস্থান সম্পাদকঃ মাওলানা সোলাইমান সাহেব।

    সঞ্চালনায় ছিলেন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল দেশব্যাপী সুদ-ঘুষ, অন্যায়-অবিচার, জুলুম, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, রাহাজানি, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, মাদক-চোরাচালানের বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি সহ অন্যায়ের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলার সর্ব বৃহৎ প্লাটফর্ম।

    কেন্দ্র, বিভাগ, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন সহ দেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেক মসজিদ-মাদ্রাসা, হিফজখানা, এতিমখানা সহ সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টানের ঈমাম, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সোচ্চার বাংলাদেশ শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল।

    শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২৫ বিশিষ্ট দায়িত্বশীলদের নিয়ে গঠন করা হলো। সর্বশেষ শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি হাফেজ মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহর নির্দেশে মাওলানা ওমর ফারুক রহমানীর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    #নিউজ ডেস্ক উখিয়া ভয়েস২৪ ডটকম।

  • ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

    ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

    নিউজ ডেস্কঃ

    জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইনানী ইসলামী যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ শাহীনের( রহ.) আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল, উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাতব্বর পরিবারের সুযোগ্য উত্তরসূরী জনাব, এস এম জসিম উদ্দিন মাতব্বর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের জালিয়া পালং ইউনিয়ন নির্বাচিত সর্ব প্রথম চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল হক মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন ইনানীর বিশিষ্ট আলেমদ্বীন জনাব হজরত মাওলানা আজিজুল হক সাহেব,ও মাওলানা আসাদ আলমগীর সাহেব, উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, জনাব শফি আলম সাহেব ( শাহীনের আব্বাজান) উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শেষ মোনাজাতটুকু করেন ইনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সম্মানিত খতিব, রাহবারে ঐক্য পরিষদ,জনাব হাফেজ মাওলানা ক্বারী হারুন সাহেব, উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাঈদ সাহেব, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন হাসিমুখ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৃপ্ত জাগরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ,ইনানী স্টুডেন্ট ইউনিট সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ সহ অনেকেই, সর্বোপরি এই যারা এই প্রোগ্রাম সফল করার জন্য সহযোগিতা করছেন সকলকে প্রতি কৃতজ্ঞতা।

  • উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

    উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে অধ্য ৫ এপ্রিল জুমাবার উখিয়ার হোটেল কাশমিরী কিচেনে উখিয়া ষ্টেশন জামে মসজিদের খতীব মাওলানা নিয়ামত বিন কামালের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাকুর মাহমুদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং মোস্তফা কামাল আজিজির সার্বিক পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসবি উখিয়া উপজেলা শাখার ওসি রুবেল আফ্রাদ, প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিন সিকদার সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজার ৭১ এবং সভাপতি সিটি প্রেসক্লাব কক্সবাজার।

    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তাওহীদ বিভাগীয় প্রধান ইতিহাস বিভাগ উখিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল  সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা শাখা, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহসীন শেখ নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক সকালের কক্সবাজার এবং সংবাদ পাঠক ও উপস্থাপক বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালেক সিকদার সাংগঠনিক  সম্পাদক রামু প্রেসক্লাব।

    বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া প্রতিনিধি দৈনিক নয়া দিগন্ত, উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ  উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক আজাদ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি উখিয়া  উপজেলা  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এইচ এম আরমান প্রধান বার্তা সম্পাদক দৈনিক দৈনন্দিন, এম আর আয়াজ রবি প্রতিনিধি দৈনিক ইনকিলাব সহ-সভাপতি উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া, সাংবাদিক মুজিবুল হক কক্সবাজার।

    মাওলানা নুরুল হাসান আজাদ যুক্তিবাদী ইসলামী আলোচক বাংলাদেশ বেতার, হেলাল উদ্দিন দৈনিক আপন কণ্ঠ, আলহাজ্ব কবির আহমদ সওদাগর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উখিয়া, সিরাজুল কবির বুলবুল সভাপতি ঊশু এসোসিয়েশন  উখিয়া শাখা, কবি আবছার কামাল, মোহাম্মদ ছৈয়দ  আলম প্রধান শিক্ষক তুতুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  শাহানাজ বেগম, মোহাম্মদ ইমরান দৈনিক সমুদ্র কন্ঠ , নুরুল আলম শিকদার আনন্দ টিভি, এম বসর চৌধুর, আব্দুল লতিফ বাচ্চু,

    হেলাল উদ্দিন, মফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন জয়, কাশেদ নূর,  জয়নাল উদ্দিন, আব্দুর রহিম,  নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম উখিয়া  প্রতিনিধি দৈনিক একুশে সংবাদ, মোহাম্মদ ইমরান জাহেদসহ উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার সকল সদস্যবৃন্দ এবং মোঃ শাহজাহান, রফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল, সিরাজুল হক, সৈয়দ করিম, খালেকুজ্জামান বিপ্লব, কায়সার হামিদ মানিক, আমানুল্লাহ, মুফিজুর রহমান, জাফর আলম মধু, মোঃ জামাল, নজরুল ইসলাম, সাদেক হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মিন্টু ভূঁইয়া সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবীর শতাধিক মানুষের উপস্থিততে জাকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয় ।

    সভায় বক্তারা বলেন, সু-সংগঠিত  নেতৃত্ব ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া আজ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এবং চলমান সময়ে সাংবাদিকতা পেশা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা হলেও তার মোকাবেলা করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করছে উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনে অগ্রসর হওয়া সহ  বিভিন্ন নৈতিক কাজের প্রশংসার মধ্য দিয়ে সফলতা কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।