Category: কক্সবাজার সদর

  • অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য- ইসলামী আন্দোলন

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য- ইসলামী আন্দোলন

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পেনডামিক সিটিউশনের অজুহাতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যার কারণে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে একটি পঙ্গু প্রজন্ম গড়ে উঠছে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার, পাবজি ও মাদকসহ নানান অবক্ষয়মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে শহরের ব্যস্ততম সড়ক লালদিঘির পাড়ে ৩ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপর্যুক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

    নেতৃবৃন্দ বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত। দেশের অধিকাংশ শিক্ষক সমাজ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত। বিশেষ করে ক্বাওমী মাদ্রাসা, নন এমপিও শিক্ষক, কিন্ডার গার্ডেন এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পর্যন্ত আজকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শিক্ষকদের সংসার নির্বাহ করার জন্য অনেক শিক্ষক নানান কাজে এমনকি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে পর্যন্ত নেমে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। দীর্ঘকাল যাবৎ এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। তাই অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

    মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “except Israel” শব্দ দুটি বাদ দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান এবং পুনরায় এ শব্দ দুটি পাসপোর্টে সংযোজন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী করেন। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ যে সমস্ত নিরপরাধ আলেম-ওলামা, ছাত্র ও সাধারণ জনসাধারণ গ্রেফতারের মাধ্যমে জেলখানায় বন্দি আছে তাদের মুক্তি দাবি করেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা এআরএম ফরিদুল আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, অর্থ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ইসমাইল জাফর, পৌর সেক্রেটারি মাওলানা কামাল উদ্দিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, বামুকের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ শফিউল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা তকি উদ্দিন।

    অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার মানববন্ধনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব নুরুল আমিন, নায়েবে ছদর আলহাজ্ব বদিউল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান কন্ট্রাকটার, ইসলামী আন্দোলনের জেলা প্রচার সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন, আন্দোলনের জেলা কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুর রউফ লাভলু, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কায়সারসহ ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • জনগনের সেবা করতে ঝিলংজাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে শফিক

    জনগনের সেবা করতে ঝিলংজাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে শফিক

    মোহাম্মদ জিয়া কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম শফিক।এমনকি একজন সমাজসেবক হিসেবেও বেশ পরিচিত। জনগণের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয়ে আগামীতে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। এমনকি জনগণের সেবা করার জন্যই চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। ইউপি নির্বাচনী বিষয় নিয়ে ‘ ’এক সাক্ষাৎকারে শফিকুল ইসলাম শফিক এসব কথা বলেন।
    জানা গেছে, এলাকায় রয়েছে শফিকুল ইসলামের ব্যাপক পরিচিত। তিনি একজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও পরিচিত। শুধু তাই নয়, অসহায় দরিদ্রের বন্ধু বলেও সবার মাঝে পরিচিত। যে কোন সামাজিক কাজে ছুটে অাসেন তিনি৷ এমনকি ভালো কাজকে হ্যাঁ এবং খারাপ কাজকে না বলে থাকেন৷ সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলেন তিনি। দেশে করোনার প্রকোপের কারনে সরকার লকডাউন ঘোষনা করে। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। এ দুর্যোগে কর্মহীনদের পাশে থেকে কুড়িয়েছেন সম্মান।
    এভাবেই মানুষের পাশে থাকার কারনে ধীরেধীরে বাড়তে থাকে সমাজে তার জনপ্রিয়তা৷ জনগণের একটাই কথা তিনি ঝিলংজায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পাল্টে যাবে এই ইউনিয়নের চিত্র। ঝিলংজা হবে মডেল ইউনিয়ন। আরও থাকবে না রাস্তাঘাটের কারনে ভোগান্তি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সর্বক্ষণিক নাগরিকত্ব সেবা পাবে জনগণ।

    ঝিলংজাবাসী জানিয়েছেন, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। কোন অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না তিনি। এমনকি মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর৷ তরুণ ও যুবসমাজ যেন মাদকের ভয়াবহ ছোঁবলে না পড়ে সেজন্য ঝিলংজার বিভিন্ন এলাকায় যুব ও তরুণদের নিয়ে মতবিনিময় করে থাকেন৷
    সবমিলিয়ে শফিকুল ইসলাম জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান স্থানীয়রা। তবে এখন সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে ঝিলংজাবাসী। এমনকি দলীয় মনোনয়ন দিলে অাওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তিনি অনেকটাই অালোচিত বলে জানা গেছে৷ নির্বাচনের ভোটের মধ্য দিয়ে শফিকুল ইসলাম বিজয় নিশ্চিত হবে বলেও জানান এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অসহায় দরিদ্ররা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় তিনি তাদের পাশে থেকে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন৷ এমনকি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কারও দিয়ে থাকেন তিনি৷ ঝিলংজা ইউনিয়নে সবার মুখে এখন তারই কথা।
    ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ‘প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপে বলেন, জনগণ চাচ্ছে বলেই অামি নির্বাচন করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। কারন জনগণের ভোট ছাড়া অামি নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবো না৷ তাই জনগণের সিদ্ধান্তই অামার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

    তিনি অারও বলেন, আমরা মানুষ জাতি হিসেবে অন্যদের পাশে থেকে তাদের সেবা করাটা অামাদের দায়িত্ব। অাগামীতে অামি ইউপি নির্বাচন করবো শুধু জনগণের জন্য। বিগতদিন থেকেই স্বপ্ন ছিল জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের পাশে থাকবো৷ তাই সকলের চাওয়ায় অামি নির্বাচন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই অামার জন্য দোয়া করবেন৷

  • খুরুলিয়ার সুতারচর এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারী রোহিঙ্গা নুরুল আমিন

    খুরুলিয়ার সুতারচর এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারী রোহিঙ্গা নুরুল আমিন

    মোহাম্মদ জিয়া কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি।

    পারিবারিক ইয়াবার সিন্ডিকেট তৈরী করে তারা দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবার কারবার চালিয়ে যাচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই। কক্সবাজার প্রশাসনের রদবদলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা নুরুল আমিন এর সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে বেঁচে নেয় টমটম চালানোর রাস্তা। ইয়াবা একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যেতে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে নিজস্ব পাঁচ টি টমটম।

    এলাকা বাসীর অভিযোগ, রোহিঙ্গা নুরুল আমিন খরুলিয়া সুতারচর এলাকায় এসে ছুরুত আলমের বাড়ীতে বসাবাস শুরু করেন। সে সুবাদে ছুরুত আলমের মেয়ের সাথে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করে শামসুন্নাহারকে। তারপর রোহিঙ্গা নুরুল আমিন হয়ে যায় এনআইডি কার্ড নিয়ে বাংলাদেশী নুরুল আমিন। বনে যায় খরুলিয়ার শীর্ষ ইয়াবা কারবারী। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে ছড়িয়ে দেয় সারা দেশে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা নিয়ে আসতে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসিন্দা নিজের বোন ও বোন জামাইকে। তারা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার সুতারচরে।

    সুতারচর থেকে রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বউ শামসুননাহারের ভাই আব্দুল মালেক, পিতা-ছুরুত আলম, আব্দুল মান্নান পিতা- ছুরুত আলম ঢাকায় ইয়াবা আদান প্রদান করে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে ইয়াবা পৌছে দেওয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন এবং তার বউয়ের ভাইদের আলাদা ইয়াবার সিন্ডিকেট রয়েছে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ছাড়া সকলের রয়েছে সারা দেশ জুড়ে একাধিক মামলা।

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম এর অনুসন্ধানী টিম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে জানতে পারে যে, রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ইয়াবার কারবারে জড়িত হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। ইয়াবার কারবার করতে গিয়ে সে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নেয় খরুলিয়া এলাকার একজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারী ছুরুত আলমের দুই ছেলে আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মালেককে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন ইয়াবা কারবারীর বোন শামসুননাহারের প্রেমে পরে এবং সর্বশেষ তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রোহিঙ্গা নুরুল আমিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিলেও আব্দুল মালেক ও আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পারিবারিক ইয়াবার সিন্ডিকেট তৈরী করে রোহিঙ্গা নুরুল আমিন, তার বউ শামসুননাহার ও তার ভাইয়েরা সুতারচর এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারীর স্থান দখল করে নিয়েছে। রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বোন চট্টগ্রামে ইয়াবা চালান দিতে গিয়ে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে আরেক বোন ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার হয়। নুরুল আমিনের আপন দুই বোন বর্তমানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা কারাগারে ইয়াবার মামালয় বন্দি আছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের স্ত্রী সামশুন্নাহার ও তার ভাই আব্দুল মালেক এবং আব্দু সালাম সহ জড়িত হয়ে তারই আপন ভাই আব্দুল খালেককে হত্যা করে ২০১৬ সালে। সেই আব্দু খালেককে মেরে তারা খোলা মাঠে চালাচ্ছে ইয়াবার কারবার। এলাকার বেকার যুবকদের জন্য খোলা হয়েছে আলাদা ইয়াবার আস্তানা। সেখানে কোন বাধা ছাড়া ইয়াবা সেবন করা যায়। প্রতিদিন রাতে তার বাড়িতে বসে জুয়ার আসর মদের আয়োজন। সেখানে থাকেন চেনা কিছু মুখ। যাদের কোনকিছু বলতে সাহস পাইনা এলাকাবাসী। ডজন খানেক মাদক মামলার আসামি আব্দুল মালেক সেই ইয়াবার আস্তানা নিয়ন্ত্রন করেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মালেকের কাছে জানতে অনুসন্ধানি টিম সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু আব্দুল মালেক বলে আমি কোনকিছু পরোয়া করিনা। সবকিছু কিভাবে ধরে রাখতে হই জানা আছে আমার। এলাকার সচেতন মহল দাবি তুলেন এই রোহিঙ্গা নুরুল আমিন অধরা হলেও তার শ্যালক ডজনখানেক মাদক মামলার আসামি আব্দুল মালেককে ক্রসফায়ার দেওয়ারও দাবি ওঠে। ওঠতি বয়সি তরুনদের ইয়াবার ছোঁয়া লাগিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই রোহিঙ্গা নুরুল আমিন প্রকাশ ফলো।

    অনুসন্ধানপূর্বক আরও জানা যায় যে,রোহিঙ্গা নুরুল আমিন খরুলিয়ার সুতারচরে গড়ে তুলেন ইয়াবার জন্য নিরাপদ স্থান। নিরাপত্তার জন্য টমটমট চালানোর বেশ ধরা রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের বাড়ির চার কর্ণারে আছে চারটি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যমরা।
    এলাকাবাসী আরও বলেন, ছুরুত আলমের পরিবারে একসময় অভাব- অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে তারা বিলাসী জীবন-যাপন করছে এর অন্তরালে রয়েছে ইয়াবার কারবার। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং রোহিঙ্গা নুরুল আমিন নাকি পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করেন এলাকায় এমন গুঞ্জন থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদও করতে যায় না। এলাকাবাসী কক্সবাজার সদর থানার ওসি জনাব শেখ মুনির গিয়াস মহোদয়ের এর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের মাদক সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরার জন্য অনুরোধ করেন।

  • কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের সন্ত্রাসী হামলার তিব্র নিন্দা জানান

    কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের সন্ত্রাসী হামলার তিব্র নিন্দা জানান

    কাজল আইচ, উখিয়া। 

     

    কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মাহবুব সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, পরদিন সকালে তাকে দেখতে ছুটে যান উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের রুপকার দুই দুইবার নির্বচিত সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাথে ছিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আহাম্মদ।

  • কক্সবাজার সদরে ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থীকে আলোর মুখ দেখাবে স্কাস

    কক্সবাজার সদরে ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থীকে আলোর মুখ দেখাবে স্কাস

    কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রতিনিধি

     

    শিক্ষার আলোয় আসছে কক্সবাজার সদরের ঝরেপড়া ২১০০ শিক্ষার্থী। ওই জেলা সদরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ প্রোগ্রামের আওতায় তাদের শিক্ষা দেয়া হবে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এনজিও সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস)।

    মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ক উপজেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এর আয়োজনে সদর উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি।
    তিনি বলেন, একটি শিশুও যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

    সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা স্কাস’র চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহেরা। এসময় জেসমিন প্রেমা জানান, সদর উপজেলার ২১০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা হবে।

    আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালনায় এসময় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু, ঝিলংজা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার, পোকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহম্মদ, ইসলামপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ভারুয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান প্রমুখ।

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলী পুনর্বহাল

    প্রফেসর রাশেদ আনোয়ার এর প্রতিবেদক

     

    গতকাল ৮ জানুয়ারি ২০২১ মাওলানা মোহাম্মদ আলী কক্সবাজার লাইটহাউস মাদ্রাসার মুহতামিম পদে পুনরায় ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ দুই বছর যাবত ইয়াসিন গংদের মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরে এলেন। মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে মুহতামিম এর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা থেকে শুরু করে এমন কোন হীন প্রচেষ্টা নেই যা ইয়াসিন গং করেননি। তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, এলাকাবাসী, স্থানীয় ওলামা একরাম, মাদ্রাসার শুরা কমিটি এবং শুরার অন্যতম সদস্য স্থানীয় কমিশনারসহ সকলেই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। শত প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। হক এবং সত্যের পথে অবিচল থেকে তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়ে গিয়েছিলেন। মিথ্যার জয় ক্ষণিক, সত্যের জয় অবিনশ্বর, অবিসংবাদিত। মাওলানা মোহাম্মদ আলী যেন তা প্রমাণ করে দিলেন। শুরা কমিটির সদস্য, ছাত্র-শিক্ষক, ও এলাকাবাসী স্থানীয় কমিশনার ও প্রভাবশালী শুরা সদস্যসহ সকলে মাদ্রাসার মুহতামিম পদে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে পুনর্বহাল করে তাহার অফিস হস্তান্তর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান হয় দীর্ঘ দুই বছর ষড়যন্ত্রের। এদিকে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। ছাত্র-শিক্ষক এবং এলাকাবাসী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। তার আগমনে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। দীর্ঘ দুই বছর পর তিনি মাদ্রাসায় পদার্পণ করলে সর্বসাধারণের মাঝে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী তাদের প্রিয় অভিভাবককে ফিরে পেয়ে পুনরায় মাদ্রাসার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পড়ালেখা গতিশীল হবে মর্মে আশা পোষণ করেন এবং ছাত্র-শিক্ষক এলাকাবাসী কক্সবাজারের সকল মানুষকে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মাদ্রাসার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানান।
    (রাশেদ কক্স)

  • কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার লাইট হাউজ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের প্রতিরোধের মুখে আনস মাদানি ও তার দখল বাজ শুরা কমিটির বৈঠক বানচাল।
    ছাত্র-শিক্ষক,পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে আনাস ও ইয়াসিন গংদের পলায়ন। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার দারুল উলুম লাইট হাউজ মাদরাসার পরিচালক নিয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্র পূর্বক মাদ্রাসা দখল করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে আজ বাদ জোহর কক্সবাজেরের চিহ্নিত দালাল ও নামধারী আলেম নিয়ে মাদ্রাসায় গমন করে পূর্ব কোন ঘোষণা ও নোটিশ ছাড়া অবৈধ শুরা কমিটির মিটিং করতে চাইলে ছাত্র- শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধ ও তুপের মুখে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।সকাল থেকে আনাস মাদানী ও ইয়াসিগং মাদ্রাসায় আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই দখলবাজ চক্র শত চেষ্টা করেও মাদ্রাসার তথাকথিত শুরা কমিটির বৈঠক করতে পারেনি। পরে প্রতিরোধের মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা থেকে একপ্রকার লেজ গুটিয়ে চলে যায়। ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসা দখলে নেয়ার জন্য অবৈধ দখলবাজ চক্রের ধারাবাহিক চক্রান্তে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দার প্রান্তে পৌঁছেছে বলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দাবি।কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ও শুরা মনোনীত মুহতামিম হচ্ছেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। তাকে অবৈধভাবে এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দখলবাজ আনাস ও ইয়াসিন গং অপচেষ্টা চালি আসছিল। তার সবগুলো একে একে ব্যর্থ হতে চলেছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের রূপকার, শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার ক্ষেত্রে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তাকে অপসারণের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিশেষ করে কক্সবাজারের সকল শান্তিপ্রিয় জনতা, ওলামায়ে একরাম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলার চিহ্নিত এ দালাল চক্রটিকে প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদ্রাসাটিকে রক্ষা করার জন্য সচেতন ও ধর্মপ্রান জনগনকে এগিয়ে আসা প্রয়েজন বলে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছেন।

  • হাটহাজারী থেকে বহিষ্কারকৃত আনাসকে কক্সবাজার লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম বানানোর পেছনে ঘৃন্য দালালী শুরু করেছে ইয়াসিন হাবীব।

    হাটহাজারী থেকে বহিষ্কারকৃত আনাসকে কক্সবাজার লাইট হাউস মাদরাসার মুহতামিম বানানোর পেছনে ঘৃন্য দালালী শুরু করেছে ইয়াসিন হাবীব।

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

     

    প্রিয় কক্সবাজারবাসী    আনাসের নব্য দালাল ইয়াসিন হাবীবকে আপনারা সব জায়গা থেকে বয়কট করুন। পুরো কক্সবাজারে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করুন।

    তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে ইয়াসিন হাবীবকে সতর্ক করছি,ইয়াসিন হাবীব! আপনি যদি আনাসের এই ঘৃন্য দালালী বন্ধ না করেন এবং লাইট হাউস মাদরাসা থেকে আনাসকে বহিষ্কার না করা হয় তাহলে পুরো কওমী জগত আপনাকে বয়কট করবে। এই ঘৃন্য দালালীর কারণে অতিসত্বর আপনি জনবিচ্ছিন্ন হবেন এবং তরুণ প্রজন্ম আপনি ইয়াসিন হাবীবকে যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করতে বাধ্য হবে। সুতরাং -সাবধান হোন। দালালী ছেড়ে সঠিক পথে চলুন।

     

  • ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া সঠিক ভাবে আদায় করছে না বলে অভিযোগ

    এমদাদুল্লাহ শামসীর প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলার লাইট হাউস মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক ইয়াসিন হাবিব শুরু থেকেই এই পর্যন্ত মাদ্রাসার দোকানের সালামি এবং ভাড়া কোনটাই সঠিক ভাবে আদায় করছে না।

    মাওঃ মুহাম্মদ আলী সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করলে ইয়াসিন হাবিব জাতীয় দালালদেরকে সাথে নিয়ে উল্টাপাল্টা,মিথ্যা, বানোয়াট গল্প-কাহিনী সাজাতে বদ্ধ পরিকর।যা আদৌও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে সেই জাতীয় দালাল চক্র থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা উদ্ধার করা হয়েছে। হাটহাজারীর পর বর্তমানে দালাল চক্র থেকে উদ্ধার কাজ চলছে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার। এরপরপরই আমাদের লাইট হাউস মাদ্রাসার উদ্ধার কাজ চলবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন বেশি দূর নয় যেদিন কক্সবাজারকে ইয়াসিন হাবিব সহ জাতীয় দালালদের থেকে পুত-পবিত্র করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    وما توفيقي إلا بالله

  • কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসায় অনিয়মভাবে পরিচালক নিয়োগ কওমী মদ্রাসার স্বকীয়তা বিনষ্ট

    উপদেষ্টার প্রতিবেদক

    কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‘ লাইট হাউস মাদরাসা নিয়ে বিরাজমান সংকটের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সমাধান কামনা করেন জেলার শীর্ষ ওলামা-মশায়েখ,ইসলামী চিন্তাবিদ ও কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট শতাধিক আলেম।সংবাদ পত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বলেন, লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসাটি কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বোর্ড অনুমোদিত শুরা কর্তৃক নিযুক্ত মুহতামিম মওলানা মুহাম্মদ আলী। তিনি বিগত ২১-০৮-২০১৫ ইং থেকে অত্যন্ত সুনাম ও খ্যাতির সাথে মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জরাজীর্ণ উক্ত মাদরাসার লেখা পড়া ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেন। যার ফলে মাদ্রাসার সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু এতদসত্বেও একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাওমি মাদ্রাসার চিরাচরিত নিয়ম কানুন এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেখিয়ে মাদ্রাসাটি দখলের পঁয়তারা করছে।তারা কওমী জগতের কাছে ধিকৃত , নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির দায়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত মাওলানা আনাস মাদানি কে মুহতামিম বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনি ফোরাম মজলিসে শুরা ব্যতিত ভিন্ন ফোরামে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কে পরিচালক বা মুহতামিম পদে জোর করে বসানো কওমী মদরাসার সংবিধান ও নীতিমালার পরিপন্থি। যা কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বিনাশ করার একটি সু গভীর ষড়যন্ত্র ও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী সনদের স্বীকৃতি প্রদানের সময় “ কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহের উপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হলো” বলে যে ভাষন দিয়েছেন এবং সংসদে বিল আকারে পাশ হয়েছিল তাদের এরূপ কর্মকান্ড এ ঘোষণার পরিপন্থি। মাদরাসার বর্তমান বৈধ মুহতামিম মাওলানা মো: আলী কে অপসারণ করার নির্লজ্জ ও সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র কক্সবাজারের আলেম সমাজ কোন দিন মেনে নিবেনা। বিবৃতিতে আলেম ওলামারা লাইট হাউস মাদরাসায় শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসা বেসরকারি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সংবিধান ও নীতিমালার আলোকে তা সমাধা করতে হবে। কাওমি শিক্ষা বোর্ডই হচ্ছে মাদ্রাসা পরিচালনা,শৃঙখলা রক্ষা সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিনের এই সংকট নিরসনে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বোর্ড অনুমোদিত মজলিসে শুরার আহবান এর দাবি জানান জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম।
    বিবৃতি দাতারা হলেন- পোকখালী মাদরাসার ছদরে মুহতামিম ও সভাপতি আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মদারিস ( কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড) কক্সবাজার জেলা আল্লাামা মোখতার আহমদ দা:বা:, মুহতামিম মাওঃ আজিজুদ্দীন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী ও মুহতামিম জামেয়া ইসলামিয়া টেকনাফ আল্লাামা মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক , আল্লামা মুহাম্মদ মুসলিম- পরিচালক-ধাওনখালী মাদ্রাসা। আল্লামা আফসারুদ্দীন চৌঃ মুহতামিম জামিয়া দারুস্সুন্নাহ হ্নিলা,মাওঃ মাহবুবুর রহমান,পরিচালক জামিয়া ফারুকিয়ার টেকনাফ,আল্লামা মুফতি এনামুল হক পরিচালক বালাগুল মুবীন মাদরাসা চকরিয়া , মাওলানা সিরাজুল ইসলাম পরিচালক-দারুল উলুম চাকমারকুল মাদ্রাসা,মাওলানা মুহসিন শরিফ পরিচালক রাজার কুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা,মাওলানা শাহেদ নূর, নির্বাহী পরিচালক- আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ধলির ছড়া, মাওলানা নূরুল হাকিম, নির্বাহী পরিচালক-বোয়ালখালী মাদরাসা। মাওলানা হাফেজ ছালামত উল্লাহ, পরিচালক-মশরফিয়া মাদ্রাসা লিংকরোড,মাওলানা মোঃ আনোয়ার পরিচালক-চিরিঙ্গা মাদ্রাসা। মাওলানা এমদাদ উল্লাহ হাছান, পরিচালক-খুরুশকুল অদুদিয়া তালিমুদ্দীন মাদ্রাসা। মাওলানা মুহাম্মাদ
    ইদ্রিস, পরিচালক-ইনানী মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা,মাওলানা আতাউল করিম, পরিচালক- জামিয়াতুল আবরার কক্সবাজার।মাওলানা আব্দুল খালেক পরিচালক ডিগলিয়া পালং মাদ্রাসা, উখিয়া,মাওলানা আবদুস সাত্তার পরিচালক-দারুত তাহযীব মাদরাসা, থাইংখালী। মাওলানা ক্বারী শাকের পরিচালক ইবনে আব্বাস লেদা, হোয়াইক্যং,মাওলানা আব্দুল বারি পরিচালক মুনির ঘোনা মাদরাসা টেকনাফ ,মাওলানা শমসুল আলম পরিচালক উনচিপ্রাং দারুল ইরফান মাদরাসা, মাওলানা জাহেদুর রহমান পরিচালক-কক্সবাজার দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা, মাওলানা জসিম উদ্দিন পরিচালক-এমদাদিয়া মাদরাসা, লম্বাবিল, আল্লামা আবদুচ্ছালাম, পরিচালক-আলহাছান মাদ্রাসা, মাওলানা আবু বকর পরিচালক পাতাবাড়ী মাদরাসা প্রমুখ।