Category: কর্ণফুলী

  • সরকারি রাস্তা নিজ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করেন হাফেজ ফারুক

    সরকারি রাস্তা নিজ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করেন হাফেজ ফারুক

    নিজস্ব প্রতিবেদক,

    দীর্ঘদিন যাবত ধরে কয়েকটি পরিবারের সরকারি রাস্তাটি জোরপূর্বক দখল করে রাখেন হাফেজ ফারুক নামের এক ব্যক্তি।
    বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশি এস এম ওবায়দুল্লাহ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।

    কর্নফুলী উপজেলা গ্রাম দৌলতপুর ২ নং বড়উঠান ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড শেখ ইউসুফ তালুকদারের বাড়ির রাস্তাটি দখল করে রাখেন হাফেজ ফারুক। এবিষয় নিয়ে এস এম ওবায়দুল্লাহ কর্নফুলী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী কে জানালে তিনি সাথে সাথে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে দেখার নির্দেশ দেন ০৭ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জায়গায় সিট অনুযায়ী সরকারি রাস্তা হিসাবে তিনি বলেন সাথে সাথে দখলকৃত রাস্তাটি চলাচলের জন্য ব্যবস্তা করে দেন।

    এদিনে ঘটনাস্থল থেকে আসার পথে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী একিই এলাকায় বাসিন্দা শুক্কুর নামে এক ব্যক্তি

    চলাচলের রাস্তাটি খুলে দিয়ে আসার পর পরই হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী মিলে রাস্তার দুপাশ থেকে টিনের সেট দিয়ে ভেতর থেকে ইট দিয়ে পাকা দেওয়াল তুলে দেন।

    সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম রাস্তাটি খুলে দেওয়ার পর আবারো চলাচল না করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরীকে জানানো হয় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ০২ অক্টোবর রোজ রবিবার গিয়ে স্থানীয় লোকজন কে সাথে নিয়ে চলাচলের রাস্তাটি সিট ধরে আবারো ভেঙ্গে দিয়ে আসেন। সাথে সাথে জোর কাটানো ব্যক্তিকে কঠিন ভাবে জানিয়ে দেন আগামীতে এধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য।

    ঘটনাস্থলে যখন ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম স্থানীয় থানার লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন।তখন হাফেজ ফারুক নানান ধরণের কথা বলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য রাস্তা তার সেটা বার বার বলে যাচ্ছেন কিন্তু রাস্তাটি আগের থেকে সরকারী রাস্তা হিসাবে রয়েছে তারপরও মানতে রাজি নন হাফেজ ফারুক ও তার সহকারী জোর কাটিয়ে পূণরায় দখল করে রাখতে চান বলে দাবি করেন এস এম ওবায়দুল্লাহ।

    স্থানীয় বাসিন্দা এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন আমি ঢাকায় থাকি কিন্ত নিজ বাড়িতে আসি মাঝে মধ্যে আমি আইন কে সম্মান করি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিষয়টি কর্নফুলী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পিযুষ কুমার চৌধুরী কে জানাই।আমি চলাচল না করার জন্য আমার বাড়ি ভিটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাকে এরা বার বার হামলা করে আসছে।বিষয় গুলো নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ ও করে রাখি। আমাকে আর আমার পরিবার কে হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। আমি এখন নিরুপায় আমার সামনে সরকারি রাস্তা থাকার পরও আমরা যাতায়াত করতে পারছি না।

    এদিকে হাফেজ ফারুক শেখ সেলিম মোহাঃ শুক্কুর সহ তাদের আরও লোকজন মিলে সবাই। এস এম ওবায়দুল্লাহর সাথে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন।

    গত ২৩ অক্টোবর রোজ রবিবার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম আবারও শেখ ইউসুফ তালুকদারের বাড়িতে যান দু’পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলো। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম বলেন এ রাস্তা দিয়ে লোকজন যাতায়াত করবেন কোনো প্রকার যেনো রাস্তাটি বন্ধ করা না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি সার্ভেয়ার এসে পরিমাপ করে দিবেন না ততদিন পযন্ত রাস্তাটি এভাবে থাকবে এবং রাস্তার উপর এখন কোনো প্রকার কাজ না করার জন্য আহবান করেন।

    অপর দিকে সেদিন হাফেজ ফারুক ও তার সহযোগী সবাই মিলে এস এম ওবায়দুল্লাহ কে অকাত্য ভাষায় গালিগালাজ করেন নানান দিক থেকে একাধিক হুমকি ও দিয়ে আসছেন। অন্য দিকে নেতা শেখ সেলিম পরিচয় দিয়ে ভূমি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলমকে হুমকি দিয়ে আসেন।তার পাশাপাশি শুক্কুর নামে এ ব্যক্তি উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর নাম বলে ও হুমকি প্রদর্শন করে থাকেন। তিনি আরোও বলে থাকেন একাধিক সাংবাদিক নাকি তার পকেটে থাকে।সাংবাদিকদের ও নানান ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন।সাংবাদিক খাওয়ার তার সময় নাই। সেই আরোও বলেন তোরা ফারুক চেয়ারম্যান কে ছিনস আয় ফারুক চেয়ারম্যানের রাজনিতি করি তোরার মত সাংবাদিক কত আসে যায়।

    এবিষয়ে কর্নফুলী উপজেলা ফারুক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে ব্যস্ত আছি বলে কলটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    এদিকে হাফেজ ফারুক তার সহযোগী সবাই মিলে সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন কোনো প্রকার বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতাদের নাম বলে বলে হুমকি দিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত। এদিকে এলাকায় লোকজন বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্তা নিয়ে সমাধান করবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত এ ঝামেলা চলমান থাকবে বলে জানান।

    এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন সরকারি রাস্তার উপর আমার নতুন বিল্ডিং হওয়াতে জনগনের চলাচলে অসুবিধা হবে বলে মনে করে ভূমি অফিস থেকে রাস্তার জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে আমি নিজ দায়িত্বে মিস্ত্রি দিয়ে আমার নিছ তলায় দুটি রুম ভেঙ্গে দিয়ে থাকি।আমার লক্ষ টাকা বিল্ডিং আইনকে সম্মান করে ভেঙ্গে পেলি কিন্তু কথা হলো আমার ঘরের সামনে সরকারি যতটুকু রাস্তা আছে একটি গ্রুপ সেই চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন বার বার আমাকে আর আমার পরিবারকে নিয়ে নানান ধরনের মন্তব্য করে যান আমার একটি মাত্র ছেলে তাকেও গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন।

    এস এম ওবায়দুল্লাহ আরোও বলেন আমি যেনো আমার পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতে পারি প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।