Category: কৃষি

  • উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২৩ খ্রিঃ সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: নিজাম উদ্দিন এর নির্দেশনায় অত্র উপজেলার ৫ পাঁচটি ইউনিয়নে সকল উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা একযোগে আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন, আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে আমন ধানের জমিতে পোকার উপস্থিতি নিরুপণ করা হয়, এভাবে পোকার ধরন নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ এলাকার কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন, কৃষক এই প্রযুক্তি দেখে ক্ষতিকর পোকা চিনতে পারছেন এবং সঠিক পরামর্শ পেয়ে পোকা দমন করতে তাদের সহজতর হচ্ছে, এছাড়াও আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে ফসলের পোকা দমন করা যায়, কৃষকরা নিজেরাও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।

  • ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন বিরামপুরের মহসিন আলী

    ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন বিরামপুরের মহসিন আলী

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের মহসীন আলীশখের বসে ঘোড়া পালন শুরু করেন। এক সময় তাঁর মাথায় চিন্তা আসে পালিত ঘোড়াকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই থেকেই ঘোড়া দিয়ে শুরু করেন অন্যের জমিতে চাষ ও মই দেওয়া। এতে করে তাঁর বাড়তি আয় হচ্ছে।

    মহসীন আলী বলেন, আমার বাবা ঘোড়া পালন করতেন, ছোটবেলা থেকেই বাবার ঘোড়া পালন করা দেখে এ বিষয়ে আগ্রহী ছিলাম। প্রায় ৩০ বছর আগে দু’টি ঘোড়া কিনছিলাম। বর্তমানে আমার পাঁচটি ঘোড়া আছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মেলায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করছি বেশ কয়েকবার পুরস্কার জিতছি বলেও তিনি জানান। মহসীন আলী আরো বলেন, পাখি ডাকা ভোর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জমিতে চাষ ও মই দিয়ে দেয়। দিনে প্রায় ৫০ শতক জমি চাষ করি। প্রতি বিঘায় ৬০০ টাকা নেয়। ঘোড়া পালন করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার বেশ সংসার চলে। প্রতিদিন ঘোড়া গুলোকে খাওয়াতে খরচ হয় ৭০০ টাকা। আমি এ পর্যন্ত চারটি ঘোড়ার বাচ্চা বিক্রি করছি।

    মহসীন আলীর প্রতিবেশী আজিজু্ল রহমান বলেন, আমরা আগে কখনো ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ বা মই দেওয়া যায় তা জানতাম না। তবে, মহসীন ভাই অনেক দিন থেকেই গ্রামে গ্রামে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই দেওয়ার কাজ করছেন।

    হরিহরপুর গ্রামের মিলল মিয়া বলেন, আমার ধারণাই ছিল না যে, জমিতে কৃষিকাজে কৃষি যন্ত্রের বদলে পালিত ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ ও মই দেওয়া যায়। এটা আমার কাছে একটি ভিন্ন ধরনের বিষয় মনে হচ্ছে। আমি আমার জমি চাষের জন্য মহসীন চাচার কাছে অগ্রিম বুকিং দিতে এসেছি।

    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, শুনেছি, মহসীন আলী শৌখিন মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আবার বেশ কয়েকবার পুরস্কার ও জিতেছেন।

    এছাড়াও তিনি ঘোড়া দিয়ে কৃষি জমিতে হাল চাষ ও মই দিয়ে বাড়তি আয় করেন।

  • বিরামপুরে তীব্র শীতেও বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

    বিরামপুরে তীব্র শীতেও বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    তীব্রশীত উপেক্ষা করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছে ৷ উপজেলার প্রায় প্রতিটি কৃষি জমিতে বছরের প্রধান আগাম জাতের ধান রোপণ করা শুরু হয়েছে ৷
    শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরোজমিনে দেখা যায় পৌর শহরে দোশরা পলাশবাড়ি ও মানুষমুড়া মাঠে কৃষকেরা তার জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

    কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলি আর হাড় কাঁপানো শীতে উপকূলের জীবকুলের জুবুথুবু অবস্থা তাপমাত্রা কমছে তবুও থেমে নেই বোরো আবাদের মধ্য মাঘের শীত ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই শীতকে উপেক্ষা করে করেই বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা৷ বিরামপুর উপজেলার বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা ৷ উপজেলার বেশিরভাগ জমি প্রস্তুতির কাজ চললেও চারা রোপণের কাজ চলতি মৌসুমে অনুকূল থাকায় বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় আশানুরূপ চারা পাওয়ায় সময়মতোই চারা রোপনেকোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে ৷

    উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এবার উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১০০হেক্টর জমিতে বোরো রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর মধ্যে বিনামূল্যে ৪ হাজার ৬১০জনকে হাইব্রিড জাতের বীজ এবং ১ হাজার ৭৭০জনকে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত জাতের চারার মধ্যে রয়েছে ব্রি-২৮,২৯,৭৪,৮১,৮৯,৯২, বিনা-১৮, জিরাশাইল ও বিভিন্ন রকমের হাইব্রেড ধান।

  • বিরামপুরে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন

    বিরামপুরে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কৃষি অফিসের উদ্যোগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পৌর শহরে দোশরা পলাশবাড়ি ও মানুষমুড়া মাঠে সমলয় ভিত্তিক প্রায় ৫০ একর জমিতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টেশন মেশিনের সাহায্যে ব্রি-৯২ জাতের বোরো রোপনের উদ্বোধন করেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল।

    উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বোরো চাষের সময় শ্রমিক সংকট নিরসন, অল্প খরচ ও অল্প সময়ে চারা রোপনের লক্ষ্যে মেশিনের মাধ্যেমে রোপন শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১০০হেক্টর জমিতে বোরো রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর মধ্যে বিনামূল্যে ৪ হাজার ৬১০জনকে হাইব্রিড জাতের বীজ এবং ১ হাজার ৭৭০জনকে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

    প্রস্তুতকৃত জাতের চারার মধ্যে রয়েছে ব্রি-২৮,২৯,৭৪,৮১,৮৯,৯২, বিনা-১৮, জিরাশাইল ও বিভিন্ন রকমের হাইব্রেড ধান।