Category: চকরিয়া

  • চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ৪ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে ঘের দখল, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম মূলহোতাসহ ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে দেশীয় অস্ত্র সহ কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫

    ১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়াল ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    ২। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড .৩০৩ রাইফেল এবং এ্যামুনেশন’সহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসেও চকরিয়ার মাছের ঘেরে ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট চারজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরবর্তীতে তাদের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারে র‌্যাব। বর্ণিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র‌্যাব কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

    ৩। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা বছর মৌসুমে লবণ চাষ এবং বাকি মাসগুলোতে চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে। মূলত লবণ চাষের মৌসুম শেষে চিংড়ি চাষের প্রস্তুতি শুরু হলেই একদল সন্ত্রাসী ঘের মালিকদের নিকট চাঁদা দাবি করে। তাছাড়া অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে ঘের এলাকা দখল করে। এছাড়া প্রায়ঃশই সশস্ত্র ডাকাত দল মাছের ঘেরে লুটপাট ও অন্যান্য নাশকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে বছরজুড়ে অত্র এলাকায় অস্থিরতা চলমান থাকে। বিভিন্ন সময়ে র‌্যাবের অভিযানের মাধ্যমে এ সকল ডাকাত দল নির্মূলের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। তবে এ সকল ডাকাত ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম সাময়িক সময়ের জন্য রোধ করা গেলেও দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বারংবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার বিলুপ্তপ্রায় সুন্দরবন তথা চিংড়ি জোনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটে। গত ১৯ জুন ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ মৌজার গোলদিয়ায় ১০ একর বিশিষ্ট সাতটি ঘেরে (৭০ একর) হানা দেয় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা অন্তত শতাধিক ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। অস্ত্রের মুখে ঘের কর্মচারীদের জিম্মি ও হাত-পা বেঁধে ফেলে করা হয় মারধর ও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন। এরপর একে একে ঘেরগুলো দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব।

    ৪। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের চকরিয়া থানার কোরালখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের প্রধান ১। বেলাল হোসেন (৪৫), পিতা-আকবার আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ২। কামাল আহম্মেদ (৪২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩। আব্দুল মালেক (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ (৩২), পিতা-আকবর আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার ও তাদের সহযোগী ৪। নুরুল আমিন (৩৫), পিতা-মৃত জহির আহম্মেদ, চকরিয়া, কক্সবাজার’দেরকে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ বোর ৪০ রাউন্ড, ৭.৬২ মিঃ মিঃ ১০ রাউন্ড এবং ৭.৬৫ মিঃ মিঃ ২ রাউন্ড। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি, চিংড়ি ঘের দখল ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

    ৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। গ্রেফতারকৃত বেলাল, কামাল এবং মালেক আপন তিন ভাই। তারা অস্ত্রধারী ডাকাতদের নিয়ে “বেলাল বাহিনী” গড়ে তুলে মাছের ঘের দখল, লুটতরাজ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। এই বাহিনীর সশস্ত্র ডাকাত সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ জন। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজারের চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেফতারকৃতরা দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাত এবং এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করতো।

    ৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তার ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে ভাড়া করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি করে। গ্রেফতারকৃতরা মৌসুমের পর মৌসুম মাছের ঘের মালিকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করতো। ঘের মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে ডাকাতি করে নিয়ে যেতো ঘেরের মাছ ও মাছ চাষের নানা উপকরণ। এছাড়াও মাছের ঘের তাদের দখলে নিয়ে নিতো এবং কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিতো। এমনকি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের অপহরণ করেও নিয়ে যেতো এবং মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃতরা মহেশখালীসহ কক্সবাজারের অন্যান্য এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভাড়া করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী/ডাকাত দলের সদস্যদের সে চকরিয়াতে নিয়ে আসতো। বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত করার উদ্দেশ্যে তারা সবসময় সশস্ত্র অবস্থায় প্রস্তুত থাকতো। গ্রেফতারকৃত বেলালের নেতৃত্বে মাছের ঘের ও লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি, গুলি বর্ষন, মারামারি, ডাকাতি, লুট-পাট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতো। বিভিন্ন অপরাধ ও মাছের ঘের দখলের উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন মাধ্যম হতে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এ সকল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করতো এবং কার্যশেষে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রাখত বলে জানা যায়।

    ৭। গ্রেফতারকৃত বেলাল একজন দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত অস্ত্রধারী ডাকাত। সে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০২টি হত্যা ও ০১টি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ০৯টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৮। গ্রেফতারকৃত কামাল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত বেলালের আপন ভাই এবং তার অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত কামাল গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০১টি পুলিশ এ্যাসল্ট ও ০১টি অপহরণসহ মোট ০৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ৯। গ্রেফতারকৃত মালেক পেশায় একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী। সে চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করতো বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত বেলালের অন্যতম সহযোগী। গ্রেফতারকৃত মালেক গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ০৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১০। গ্রেফতারকৃত নুরুল পেশায় একজন কৃষক এবং পাশাপাশি ডাকাত চক্রের সদস্য। সে গ্রেফতারকৃত বেলাল এর নেতৃত্বে এলাকায় ডাকাতি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মারামারির ০১টির মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

    ১১। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • এতিম মেয়ের বিয়ে সহ ৩ অসহায় পরিবারের পাশে “লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশন

    এতিম মেয়ের বিয়ে সহ ৩ অসহায় পরিবারের পাশে “লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশন

    ইসমাইল হোসেন সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধি

    বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী যোদ্ধাদের আন্তরিকতায় মানবতার চাঁদর মোড়ানো অসহায় মানুষের কল্যাণমূলক ও আর্তমানবতার সেবায় কাজ করার লক্ষ্যে একঝাঁক যুবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় “লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশন” নামক একটি সেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন।

    এই মানবিক সংগঠনের সকল মানবতার ফেরিওয়ালা, প্রিয় ভাইদের আন্তরিক সহযোগিতায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাগান পাড়ার বাসিন্দা মৃত লেদু মিয়ার মেয়ে মোছাম্মৎ শিফাত আক্তার বিয়েতে, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বরঘোনা পাড়ার বাসিন্দা মৃত মুহাম্মদ আহমদ মিয়ার মেয়ে সালমা আক্তার বিয়েতে এবং বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লস্কর পাড়ার অসুস্থ রোগী ফরিদুল আলমের স্ত্রী চেমন আরা বেগমকে অপারেশনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন “লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশন”।

    ০৬ জুন”২০২২ইং সোমবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ স্থানে উপস্থিত হয়ে এবং মানবিক সংগঠনের সকল এডমিনদের অনুমতিক্রমে অনুদানের টাকা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও এই
    মানবিক সংগঠনের পক্ষথেকে ইতিমধ্যে উপজেলায় ব্যাপক সামাজিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানেও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    এসময় ফাউন্ডেশনের জেদ্দা প্রতিনিধি মানবিক, সামাজিক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি মোঃ তৌসিফ রেজা চৌধুরী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হোসাইন, পুটিবিলা ইউপি সদস্য আবুল হাসেম,
    চুনতী ইউনিয়ন আওয়ামী’স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপ্লবী সভাপতি মোঃ হুমায়ুন রশিদ, মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সোহাগ সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

    জয় হউক মানবতার, জয় হউক লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশনের।

  • চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কর্নার থেকে জানবে প্রকৃত ইতিহাস -এমপি জাফর আলম

    চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কর্নার থেকে জানবে প্রকৃত ইতিহাস -এমপি জাফর আলম

     

    সাইফুল ইসলাম- কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি,

    কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ বলেছেন- এমন একটা সময় গেছে কক্সবাজার জেলার কোথাও জয়বাংলা শ্লোগান দেওয়ার কেউ সাহস করতো না। সেখানে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করাটাও ছিল বেশ দুরহ ব্যাপার। এতে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।

    যার জ্বলন্ত উদাহরণ আমি নিজেও। সেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে আমাকে।
    এমপি জাফর বলেন, আমার অপরাধ ছিল আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে চকরিয়া ও পেকুয়ায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলাম। এজন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছিলাম আমি। অবশ্য তখনও আমাদের দলের অনেকে খন্দকার মোস্তাকের ভূমিকায় ছিলেন। তারা প্রতিনিয়ত সেই সালাহউদ্দিনকে হাজিরাও দিতেন।

    যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সেইসময়ে কোন মামলা-হামলাও হয়নি। এখন তারা আবার দলের জন্য মায়াকান্না শুরু করেছেন। তবে তাদের সেই মায়াকান্না যে বিএনপি-জামায়াতকে ফের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, তা বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকেরা হাড়ে হাড়ে উপলব্দি করতে পারেন।
    এমপি জাফর আলম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এই দেশে বিএনপি-জামায়াতচক্র পাকিস্তানী ভাবধারার রাজনীতি শুরু করেছিলেন। একে একে তিনটি প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি।

    দেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাড়ে সাত কোটি মানুষ, সেই প্রকৃত ইতিহাসও তিন প্রজন্মকে জানতে দেয়নি স্বাধীনতাবিরোধীচক্র।
    গত শনিবার রাতে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় সাতদিনব্যাপী চলমান ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’ এর দ্বিতীয় দিন রাতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এমপি জাফর আলম। এ সময় তিনি উপরোক্ত স্মুতিচারণ করেন।
    প্রতিবছর রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে ধন্যবাদ জানান কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম।

    তিনি বলেন- প্রতিবছর রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরছেন নতুন প্রজন্মের কাছে। একইভাবে একসময়ের বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি চকরিয়া ও পেকুয়াকে আওয়ামী লীগের উর্বরভূমি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

    চকরিয়া-পেকুয়ার নতুন প্রজন্মও প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছেন আমার উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’ থেকে। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বনেতৃত্ব হয়ে উঠার সব ইতিহাস নতুন প্রজন্ম ধারণ করতে পারবে।

  • ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

    ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

    ইমরান তৌহিদ রানা, বার্তা সম্পাদক।

    আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ রবিবার অনুষ্ঠিতব্য স্থানীয় সরকার ইউপি নির্বাচনের অংশ হিসেবে চকরিয়া উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    অবাধ, সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অদ্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শনিবার ৯ ঘটিকার দিকে চকরিয়া থানা প্রাঙ্গণে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, আনসার সদস্য, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এর উপস্থিতিতে ব্রিফি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার জনাব মোঃ হাসানুজ্জামান, পিপিএম, কক্সবাজার উক্ত সভায় উপস্থিত সকলকে নিরপেক্ষতা, সতর্কতা এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

  • অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের চকরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে চকরিয়া থানাধীন ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী, সাধারন সদস্য পদপ্রার্থীসহ ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ১৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার বিকাল ২ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জনাব তৌফিকুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার, চকরিয়া সার্কেল, কক্সবাজার জেলা, জনাব মুহাম্মদ ওসমান গনি, অফিসার ইনচার্জ, চকরিয়া থানা,
    আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার (রির্টানিং অফিসার, ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন/২০২১) জনাব সুপম দাস।

    উক্ত সভায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন, নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
    ইহাতে প্রত্যেক প্রার্থীগন সহ সর্বস্তরের জনসাধারন নির্বাচন আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন পূর্বক আগামী ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।

  • কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এর কথা

    কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এর কথা

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানকে হুকুমের আসামি করায় ঘটনায় (উস্কানিদাতা হিসেবে) আমাকে দায়ী করে তিনি গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।

    চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি বিএ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী,ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। এধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি করার মতো সময়ও আমার নেই। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন এবং দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত।

    আমার নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ছিলেন না। ফলে উপযুক্ত জনপ্রতিনিধির অভাবে আমার নির্বাচনী এলাকা দীর্ঘকাল যাবত সুষম উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হয়েছে। তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই এলাকার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেয়া গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিব ভাইয়ের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই, থাকার কথাও না। কারণ কক্সবাজার পৌরসভা/ সদর আসনে আমার ভোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া উনার সাথে কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নূন্যতম আগ্রহও আমার অবশিষ্ট নেই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না।

    কিছুদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক একটি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অত্যন্ত বিচক্ষণ, চৌকষ ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত রয়েছে।

    আমার দৃঢ বিশ্বাস তিনি কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন ডাহা মিথ্যা মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ একজন সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতির প্ররোচনায় তিনি ইতিপূর্বেও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর এই ‘সন্ধ্যাকালীন বন্ধুগণ’ আমার সাথে তাঁকে মুখামুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার অপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

    দূর্বৃত্তরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে কী বলে গুলি করেছে স্বয়ং মোনাফ সিকদার মৃত্যু শয্যা হতে ডায়িং ডিক্লারেশনের মতো করে তা বলেছেন- যা ফেসবুক মারফত জেলাবাসী দেখেছে।এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

    জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে হত্যা চেষ্টা মামলার উস্কানিদাতা হিসেবে আমাকে জড়িয়ে মুজিব ভাইয়ের বক্তব্যে আমি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এ ধরনের বক্তব্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর শামিল। এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, ভুল-ভ্রান্তি শুধরে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

    এধরনের অসত্য বক্তব্য কারো জন্য হিতকর নয় বরং মানহানিকর। পরবর্তীতে এমন ডাহা মিথ্যা, মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    জয় বাংলা | জয় বঙ্গবন্ধু
    শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।

    -জাফর আলম
    সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)
    সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

  • কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  মা- মেয়েকে গ্রু চুরির অপরাদের নামে নির্যাতন।।। লাইভে আসলেন মুফতী রাজি সাহেব

    কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মা- মেয়েকে গ্রু চুরির অপরাদের নামে নির্যাতন।।। লাইভে আসলেন মুফতী রাজি সাহেব

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম 

     

     

    জাঁহেলি যোগের মত নির্যাতন, আজ আমাদের সমাজেও হয়েগেল।

    এ ঘটনা নিয়ে মানবতা ও সামাজিকতার পক্ষে লাইভে আসলেন, তরুণ মুফাচ্ছির  

    আল্লামা মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি সাহেব (হাফিজাহুল্লাহ)    https://www.facebook.com/sakhawathossainrazi/videos/997746740676717/

     

    https://www.facebook.com/sakhawathossainrazi/videos/997746740676717/

  • চকরিয়ার হারবাং গরু’চোর আখ্যা দিয়ে মা-মেয়েকে পশুরমত বেধে জাহেলী যুগের নির্যাতন।।। UkhiyaVoice24.Com

    চকরিয়ার হারবাং গরু’চোর আখ্যা দিয়ে মা-মেয়েকে পশুরমত বেধে জাহেলী যুগের নির্যাতন।।। UkhiyaVoice24.Com

    উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

     

     

    ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গরুচোর আপবাদ দিয়ে মা-মেয়েকে একদল বখাটে ও ১নং হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম পশুরমত নির্যাতন করেছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ১নং হারবাং ইউনিয়নের পহরচাদাঁ গ্রামে।

    ঘটনাটি শুক্রবার ঘটলে গণমাধ্যমের বদৌলতে ঘটনাটি ভাইরাল হয় গতকাল বিকেল থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের তুমুল ঝড় উঠে। সবার একটাই দাবী ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নরপশুদের শাস্তি চাই। মা-মেয়ে অপরাধী হলে তাদের বিচার আছে, এভাবে মায়ের জাতিকে শাস্তি দেয়া যায় না। ইত্যাদী ইত্যাদী প্রতিবাদে ভাসছে ভার্চুয়াল জগত।

    তারা শুধু পিটিয়ে ক্ষান্ত হননি, মা-মেয়েকে মোটা রশিতে বেধে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সমাগম দিয়ে টেনে হিচড়ে পরিষদে নিয়ে যায়। পরিষদের নির্লজ্জ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামও তাদেরকে নির্মমভাবে বেদড়ক পেটান।

    নির্লজ্জ চেয়ারম্যানের প্রচন্ড প্রহারের এক পর্যায়ে মা-মেয়ের শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক হলে চেয়ারম্যান মিরান পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মা-মেয়েকে উদ্ধার করেন এক পর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে পুলিশ মা-মেয়েকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান।

    তবে এখনো তারা প্রচন্ড ট্রমায় আছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা এখনো আশংকা মুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    এবিষয়ে চকরিয়া ১নং হারবাং ইউনিয়নে অবস্থিত তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীরা

    জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ মারফত চোর গ্রেফতারের খবর পাঠালে আমরা ফোর্স পাঠিয়ে গুরতর অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে আসি।

    আমরা মা-মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ‍পরিদর্শক আমিনুল িইসলাম আরো জানান, পহরচাদা গ্রামের একজন ব্যাক্তি গরু চোরির অভিযোগ দায়ের করার কারণে মা-মেয়েসহ মোট ৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ ৪জনের বাড়ি চট্টগ্রাম, পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটে। অপর একজনের বাড়ি পেকুয়া থানাধীন লাল ব্রিজ এলাকায়।

    চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে মা-মেয়ের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান। তদন্ত করে বিস্তারিত জানতে পারব। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি।

    ‘আমাদের ফোর্স যখন পরিষদে পৌছেঁ তথন শত শত উৎসুক জন জনতা ভীড় জমিয়েছিল। তবে আমরা তৎক্ষণাত জনতার রোষানল থেকে মা-মেয়েকে উদ্ধার করাটাই আমরা প্রধান্য দিয়েছি।

    আমরা ভুক্তভোগী কিংবা অন্যকারো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ তবে শুক্রবার দুপুরের ঘটনাং একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,

    এক দফা মা-মেয়ের ওপর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালানোর পর ১নং হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি চেয়ারম্যান মিরান চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) পাঠিয়ে মা-মেয়েকে মোটা রশিতে বেধে দিবালোকে প্রকাশ্যে টেনে হিচড়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে দ্বিতীয় দফা বেদড়ক পেটানোর পর। উপুর্যপুরী নির্যাতন শেষে তারাই হারবাং পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ফোন করে গুরু চোর অখ্যাদিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা ইউএনও সৈয়দ সামশুল তাবরীজ স্যারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে আজ ১২টার দিকে জাতীয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা সমাচারকে জানান। গত শুক্রবারের অনাকাঙ্খিত ঘাটনাটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ইতি মেধ্যে দু‘টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ইতিমধ্যে মাঠ র্পাযায়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত জানাতে পারবো সে দিন আসলে কি ঘটেছে।

    অভিযুক্ত ১নং হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের সাথে একাদিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনে (01812-368489) যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

  • আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন বঞ্চিত সাঈদ খোকনকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

    রবিবার দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাঈদ খোকনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন।

    ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন। তিনি অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে।

    এবারের নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই মেয়র। তবে দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেয়। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, সাঈদ খোকনকে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়া হতে পারে।

  • ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ভুয়া খবর ঠেকানোর বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ফেসবুক। যেসব পেজ ও গ্রুপ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হবে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

    গত ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে সতর্ক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনও পেজ বা গ্রুপের ক্ষেত্রে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার প্রমাণ না পাওয়া যায় এবং ভুয়া খবর ছড়ালে সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরচুন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    ফেসবুকের পক্ষ থেকে পেজের ব্যবস্থাপকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফেসবুক যদি কোনও কনটেন্ট মুছে ফেলে বা সরিয়ে দেয় বা যে পোস্টের কারণে কোনও পেজ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তা আবার নতুন পেজে পোস্ট করা হয়, তবে সে পেজও বন্ধ করে দেয়া হবে।

    সম্প্রতি ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্ল্যাটফরমে কোনও খবর ভুয়া বলে শনাক্ত হলে সে পোস্টের বিষয়ে সতর্ক করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভারতে এএফপি ইন্ডিয়া, ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো, ফ্যাক্টলি, নিউজমোবাইল, ইন্ডিয়া টুডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক।

    ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর পাশাপাশি ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুয়া পোস্টগুলোকে সরাসরি ‘ভুয়া’, ‘মিশ্র’, ‘ভুয়া শিরোনাম’, ‘মতামত’, ‘বিদ্রুপের’ মতো নানা সংজ্ঞা দেয়া হবে। ১২ ভাষায় পোস্টগুলোকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।

    ভারতের আগে সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডসে ভুয়া খবর বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়গুলো পরীক্ষা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কোনও ভুয়া খবর শনাক্ত করার পর কর্তৃপক্ষ সেই খবর পর্যালোচনা করবে। পোস্টটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে তা কারও কাছে পৌঁছাবে না।

    এমনকি, যেসব পেজ থেকে বারবার ভুয়া খবর ছড়ানো হবে, সে পেজের বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ কমিয়ে দেবে।

    ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক নেতাদের পেজ থেকে সরাসরি পোস্ট করা কোনও বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেই জানিয়েছে ফেসবুক।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুকের এ উদ্যোগ ভুয়া খবর ঠেকাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।