Category: চট্টগ্রাম

  • বাঁশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রতি কঠোর নজর প্রশাসনের

    বাঁশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রতি কঠোর নজর প্রশাসনের

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আজ ২০ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৫ ঘটিকা হতে রাত ৯ ঘটিকা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়, এই সময় বৈলছড়ির জনৈক সৈয়দের অবৈধভাবে ছরা হতে বালু উত্তোলনে করে পুকুর ভরাটে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত আনুমানিক ৫০০ ফুট পাইপ ও ভরাটকৃত বালু জব্দ করে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোঃ সেলিমের জিম্মায় তুলে দেয়া হয়। এছাড়া একই ছরা থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে পূর্ব বৈলছড়ির আবু তাহেরের ছেলে মোঃ সেলিম (৩৫) কে আটক করা হয়, পরে আটককৃত ব্যক্তি থেকে মুচলেকা নিয়ে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় জরিমানা করে তাকে সর্তক করা হয়। একই সাথে তার উত্তোলিত বালু তাৎক্ষণিক নিলামের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা বিক্রয় করা হয়। জনস্বার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান।

  • ভয় পেয়েই ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ: ডা. শাহাদাত

    ভয় পেয়েই ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ: ডা. শাহাদাত

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।

    রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়।

    সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি।

    তিনি বলেন, এখনো আওয়ামী লীগ একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারাদেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে।

    মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম প্রমুখ।

  • বাঁশখালী রংগিয়াঘোনা মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ২০২২

    বাঁশখালী রংগিয়াঘোনা মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল ২০২২

    মোঃ রেজাউল আজিম (বাঁশখালী-প্রতিনিধি)

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী দক্ষিণ জলদি রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ২০২২ সালের পরিক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের সময় উক্ত দোয়া মাহফিল আরম্ভ হয়। দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা মীম সিদ্দিক ফারুকী সাহেব, সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রিন্সিপাল মাওলানা ইসমাঈল সাহেব, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা এশফাকুর রহমান সাহেব, আরবী প্রভাষক মাওলানা শহিদুল্লাহ সাহেব, আরবী প্রভাষক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মাষ্টার আত্বহার ইকবাল সাহেব, বাংলা প্রভাষক মাষ্টার ইমরান বাচ্চু, জনাব মাষ্টার আজিজুল হক, মাওলানা মূসা সাহেব, মাওলানা মোজাম্মেল হক সাহেব, মাষ্টার বোরহান সাহেব, ইংরেজি প্রফেসর মাষ্টার আকতার হোসাইন, মাষ্টার আমির হোসাইন সাহেব, মাওলানা নুরুল কাদের সাহেব, মাওলানা আরমান হাকিম সাহেব, মাষ্টার নেওয়াজ মোহাম্মদ হিরু, সংবাদ কর্মী মোঃ রেজাউল আজিম প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী বৃন্ধ।

    বক্তারা পরিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষার্থীদের কন্যাণ মুলক আলোচনা এবং খাস ভাবে দোয়া করেন। পরিশেষে গভর্নিং বডি আল্লামা সিদ্দিক ফারুকী হাফিজাহুল্লাহর দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

  • বাঁশখালীতে র‍্যাবের শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে ১২ জলদস্যু আটকঃ প্রশংসিত র‍্যাব-৭চট্টগ্রাম

    বাঁশখালীতে র‍্যাবের শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে ১২ জলদস্যু আটকঃ প্রশংসিত র‍্যাব-৭চট্টগ্রাম

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বঙ্গোপসাগরে ১৬ টি ফিশিং বোটে ডাকাতির ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী পরিচালিত শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে জলদস্যু টীমের মুলহোতা সহ ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাঁছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের তিন হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার জাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কঃ এম এ ইউসুপ। গ্রেফতারকৃত জলদস্যুরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিযনের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাঃ আনসার মেম্বারের ছেলে মোহাঃ আনোয়ার (মূলহোতা), কবির আহমদের ছেলে লিয়াকত (মাঝি), আব্দুল কাদেরের ছেলে মনির, মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), মৃত আব্বাছের ছেলে নবীর হোসেন, মৃত মুক্তার আহমেদের ছেলে নেজামউদ্দিন, আব্দুল কাদেরের ছেলে হুমায়ুন, হাজী আবুল হাসানের ছেলে সাহেদ, আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম, মো. ইব্রাহিমের ছেলে আতিক, মো. জহিরের ছেলে এমরান ও মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আমানউল্লাহ।

    ১০ সেপ্টেম্বর’২২ ইং শনিবার নগরীর চান্দগাঁওস্থ র‌্যাব-৭ এর কোম্পানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সম্প্রতি একটি জলদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে নতুন করে দস্যুতা শুরু করে এবং গত ২৭ আগস্ট সাগরে ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারি, জলদস্যু বহনকারী একটি বোট সাগরে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গভীর সমুদ্রে ও কুতুবদিয়া চ্যানেল হয়ে বাঁশখালীতে গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে বিপুল সংখ্যক দেশিয় অস্ত্র ও মাছসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি বোট, ৩ হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার বড় জাল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা-ছুরি, ১টি বাইনোকুলার, ৪টি টর্চ লাইট, ২টি চার্জ লাইট, ২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০টি মোবাইল, নগদ ৫ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, সাগরে বেশি মাছ না পাওয়ায় বোটের মালিক বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনছার তার মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে মূলত নব্য জলদস্যু বাহিনী তৈরি করেন। সে নিজেই মূল পরিকল্পনাকারী এবং নিজের ছেলেকে ডাকাত সর্দার বানিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অল্প পরিশ্রমে মেশি মুনাফা করা। তারা এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।

    র‌্যাব-৭ আরও জানান, তারা তিনটি গ্রুপ একসাথে কাজ করতো। এ বাহিনীর একটি গ্রুপ আনছার মেম্বারের পরিকল্পনায় পরিচালিত হত, আরেকটি গ্রুপ ডাকাতি করা মাছ আড়তদারদের কাছে তুলনামুলক কমদামে বিক্রি করতো, অপর গ্রুপ বোট ডাকাতির পাশাপাশি জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করতো।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লেঃ কঃ এম এ ইউসুপ আরো জানান, জলদস্যু দলের মুলহোতা আনছার মেম্বারকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অচীরেই র‍্যাবের গোয়েন্দা জালে ধরা পরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জলদস্যু দলের পিছনে রাজনৈতিক শেল্টার আছে কিনা জানতে চাইলে এম এ ইউসুপ জানান, সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্ঠতার ইংগিত দেন তিনি। এদিকে উপজেলার সাগর উপকুলীয় গন্ডামারা ইউনিয়নে র‍্যাব-৭ এর ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী রুদ্ধশ্বাষ অভিযান এবং ১২ জন জলদস্যু গ্রেফতারে র‍্যাব’কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি সারাদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইর‍্যাল হয়ে জনগনের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে টক অব দ্যা বাঁশখালীতে পরিনত হয়।

  • চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ত্রাস আবুল হোসেন (৩৯) র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক।

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    অদ্য ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০২,০৫ ঘটিকায় ধৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’কে বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানায় যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মুহরা দেওয়ান মহসীন সড়কস্থ জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসত ঘরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র-গুলি আছে, যা দ্রæত উদ্ধার না করলে সরিয়ে ফেলবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রধানকারী মোঃ আবুল হোসেন’কে সংঙ্গে নিয়ে সাক্ষী ও অন্যান্য লোকদের সাথে জনৈকা নাসরিন আক্তারের বসতঘরে উপস্থিত হয়। তখন সংবাদদাতা জানায় যে, উক্ত বসতঘরের কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর অবৈধ অস্ত্র-গুলি এবং ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে উক্ত কক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে তল্লাশী করে কক্ষের ফলস্ ছাদের উপর হতে একটি শপিং ব্যাগের ভিতর ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ঐ কক্ষেরই একটি ওয়ারড্রফের ভিতর থেকে ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

    পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট সংক্রান্তে জনৈকা নাসরিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না মর্মে জানায়। উপস্থিত স্বাক্ষী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদে নাসরিন আক্তার একজন সহজ-সরল মহিলা এবং তার স্বভাব-চরিত্র ভাল বলে জানান। ঘটনা দৃষ্টে মোঃ আবুল হোসেন এর দেয়া সংবাদটি রহস্যজনক বলে সন্দেহের সৃষ্টি হলে সংবাদদাতা আবুল হোসেন‘কে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, বর্ণিত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান (১৮) এর সাথে জায়গা-জমি নিয়ে স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে মোঃ সোহান‘কে অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার আবুল হোসেনকে নিয়ে পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত হয় যে, আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন আক্তারের ঘরে রেখে র‌্যাব’কে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করাবে। অভিযান শেষ হলে মোঃ আবুল হোসেন’কে এ বাবদ কোাহিনুর এবং ইউসুফ ০৩ লক্ষ টাকা দিবে মর্মে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক আবুল হোসেন উল্লেখিত অস্ত্র গুলি এবং ইয়াবা সংগ্রহ করে নাসরিন ও তার ছেলে মোঃ সোহান ঘরে না থাকার সুযোগে গত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৮.৩০ ঘটিকায় ইউসুফকে নিয়ে নাসরিন এর ঘরে রেখে আসে।

    উল্লেখিত ঘটনাপৃষ্ঠে, মাদক ও অস্ত্র-গুলি টাকার বিনিময়ে অন্যের বসত ঘরে রাখার দায়ে সংবাদদাতা আসামী ১। মোঃ আবুল হোসেন (৩৯), পিতা-মৃত আঃ হাকিম, সাং-আমিন কোড়ালপাড়া, থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে সিএন্ডবি গ্যাস কলোনীর পাশে, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে ০১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ০১টি পাইপগান, ০১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তৎক্ষনাত গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার র‌্যাবের উপস্থিতি আচ করতে পেরে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

    গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জমি-জমা ও পারিবারিক কলহের কারনে উক্ত বসতঘরের মালিক নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে সোহান‘কে ফাঁসানোর জন্য ইউসুফ ও তার ২য় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এর পরিকল্পনা মোতাবেক টাকার বিনিময়ে উল্লেখিত অস্ত্র-গুলি ও মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নাসরিন এর ঘরে রেখেছে বলে অকপটে স্বীকার করে।

    উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ আবুল হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা ও চুরিসহ সর্বমোট ৬ টি মামলা পাওয়া যায়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে দাঁড়িয়েছেন মোঃ নুরুচ্ছাফা

    বিশেষ প্রতিনিধি

    আসন্ন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর”২০২২ইং শনিবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহাসিক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুনতী উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের ম‌্যা‌নে‌জিং ক‌মি‌টির নির্বাচনে অ‌ভিভাবক সদস‌্য প‌দে ৫নং ব‌্যা‌লেট-এ দা‌ঁড়ি‌য়ে‌ছেন অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির আজীবন সদস্য মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা।

    এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা একজন নিরহংকার, মানবিক, শিক্ষাবান্ধব মানুষ। তিনি অত‌্যান্ত সৎ, ন‌্যায়পরায়ণ ও সমাজসেবক একজন মানুষ। তি‌নি সবসময় গরীব, অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেন।

    তিনি অত্র বিদ্যালয়ের গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য অভিভাবকদের আন্তরিক দোয়া, সমর্থন ও ভোট চেয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    আজ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা। তিনি বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব এস এম রশিদুল হক, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের নিকট হতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

    এর পূর্বে সকাল ০৮ টায় তিনি ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    নবাগত পুলিশ সুপার জনাব এস. এম. শফিউল্লাহ, বিপিএম-সেবা মহোদয়কে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এ সময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল নবাগত পুলিশ সুপার ও বিদায়ী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়কে সশস্ত্র অভিবাদন প্রদান করেন।

    এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব কবীর আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ জাহাংগীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) জনাব সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোঃ এমরান আলী পিপিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী

    জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    হেফাজতের ২৯টি মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়ে মুক্ত হওয়ার সময় জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার দেখানো হল মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে

    সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ২৯টি মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নিয়েছেন হেফাজতের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। আইনি সব প্রক্রিয়া শেষে রবিবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বের হওয়ার কথা ছিল মাওলানা ইসলামাবাদীর। কিন্তু ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং ভোরে উনাকে ফের জেলগেট থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অত:পর ঢাকা মেট্রো পুলিশের দু’টি গাড়ির পাহারায় পুলিশভ্যানে করে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুনরায় চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয় ইসলামাবাদীকে। চট্টগ্রাম পৌছার পর ওনাকে পটিয়া থানার ৫০.৩.২১ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটক করা হয়।

    মাওলানা ইসলামাবাদী দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। রিমান্ডের অমানবিক নির্যাতনে হাঁটু ও পায়ের ব্যাথা ছাড়াও গত কয়েকমাস ধরে উনি যক্ষ্মা তথা টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাওলানা ইসলামাবাদী বর্তমানে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় ঘন্টা অক্সিজেন দিতে হয়।
    এমন অসুস্থ একজন আলেমের সাথে এমন অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

    মাওলানা ইসলামাবাদী সহ সকল কারাবন্দী আলেমদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

    সূত্রঃ
    মুহাম্মাদ ইরফানুল হক
    (মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর আপন ভাই)

  • বাঁশখালীত মডেল মাদরাসার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই

    বাঁশখালীত মডেল মাদরাসার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুফতি ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    বাঁশখালী মডেল মাদরাসার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান (০২ সেপ্টেম্বর ২২) শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। বাঁশখালীর শীর্ষ আলেম ও চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ আবদুল জলিল সাহেব হুজুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও খতমে বোখারী শরিফ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ বড় মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল জাব্বার, বাঁশখালী জলদী বড় মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারী আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, বামুক চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বশীল মাওলানা জোবাইর আহমদ, বাঁশখালী ওলামা পরিষদের সভাপতি ও বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়া সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা এজাজ চৌধুরী, পটিয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আলেম মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা ছগির নোমানী, মাওলানা কাতেব নুরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি নুরুল হক, মনকিচর মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, ছনুয়া বড় মাদরাসার সাবেক মুহতামিম ও দিদারিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কাসেম আজিজী, বাঁশখালী জামিয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার মাওলানা আবু তাহের, চাঁপাছড়ি মাদরাসা আবু বকর ছিদ্দিকের পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইউসুফ সাঈদ, দারোগা বাজার মারকাজুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, বাহারছড়া সুলতানিয়া এমদাদুল উলুম বড় মাদরাসার সিনিয়র উস্তাদ ওসমান গণি, জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি আলমগীর ইসলামাবাদীসহ প্রমুখ।
    এর আগে বাদ জুমা থেকে খতমে বোখারী শরিফ শুরু হয়ে বাদ মাগরিব শেষ হয়।

  • বাঁশখালীর চাম্বল দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, মূল কারিগর জাকির আটক

    বাঁশখালীর চাম্বল দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, মূল কারিগর জাকির আটক

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর জাকির হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) উপজেলার চাম্বল নতুনপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

    আটক জাকির হোসেন (৫০) ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রাম এলাকার মৌলভী নুরুল হুদার ছেলে।

    বুধবার (৩১ আগস্ট) র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে ছোট ওয়ানশুটার গান জাতীয় অস্ত্র বানানো হতো ওই কারখানায়। একটি অস্ত্র তৈরির জন্য অস্ত্রের ক্যাটাগরিভেদে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিতো। আটক জাকির ৭ থেকে ৮ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের দৃষ্টি এড়াতে মাঝে মাঝে লোক দেখানো কৃষি কাজ করতো‘

    তিনি আরও বলেন, জাকিরসহ আরও তিন কারিগর মিলে অস্ত্র তৈরির সম্পূর্ণ কাজটি করতো। অস্ত্রের প্রকারভেদে তৈরী করতে তাদের ন্যূনতম পাঁচ থেকে পনেরো দিন সময় লাগে এবং অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্কশপ থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে এসে এই কারখানায় প্রস্তুত করতো তারা।