Category: চট্টগ্রাম

  • লোহাগাড়ায় ২টি ইটভাটা ঘুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

    লোহাগাড়ায় ২টি ইটভাটা ঘুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নে ২টি ইটভাটা ঘুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় ২টি ইটভাটার তৈরিকৃত কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।

    ২৩ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী আফজারুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব।

    ঘুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটা গুলো হচ্ছে চরম্বা ইউনিয়নের ধুপিপাড়া বশির আহমদ কোম্পানীর মালিকানাধীন এল.বিএম ইটভাটা ও চরম্বা নোয়ারবিলা এলাকায় শাহ আলম কোম্পানীর মালিকানাধীন সি.আরবি ইটভাটা।

    এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, লোহাগাড়ায় ২টি ইটভাটার বৈধ কোন প্রকার কাগজপত্র পাওয়া না যাওয়ায় এলবিএম ও সিআরবি চিমনী গুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভাটায় পুঁড়ানোর জন্য তৈরিকৃত কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. হুমায়ন খাঁন, লোহাগাড়া থানার এস.আই ভক্ত দত্ত, এএসআই মুজিবুর রহমান ও ব্যাটেলিয়ন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহ আরও অনেকেই।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসক দাবি করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

    বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মান-মর্যাদা, সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যা সত্যিই অপমানজনক, মানহানিকর, দুঃখজনক এবং পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলকও বটে।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘জেলা প্রশাসক সিডিএ-র সচিব এবং প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারের মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে সমিতির ভবনসমূহ অনুমোদিত নয় মর্মে সিডিএ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে অব্যাহতভাবে চাপ প্রদান করে আসছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি এক তরফা প্রতিবেদন নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। তাই চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসককে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সাথে বিচার বিভাগের অতীতের মতো সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল বিধায় জেলা প্রশাসকের অবৈধ কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় আইনি পথে হেঁটেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসক এই আইনি মোকাবিলাকে দুর্বলতা মনে করেছে, যা ভাবার সুযোগ নেই।’

    সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান কর্তৃক আইনজীবী সমিতির ভবন, আদালত ভবন সংক্রান্তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন আদালত ভবনের সামনে পার্কিং নির্মাণ করে চলাচলের পথ সংকীর্ণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন সমিতির নেতারা।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলা প্রশাসক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘‘পরীর পাহাড়’’ লিপিকৃত ছাপানো পুরাতন ফেস্টুন ও ব্যানার অপসারণ না করে এখনো তা পুরাতন আদালত ভবনে ঝুলিয়ে রেখেছে। যা আদালত অবমাননার সামিল।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চট্টগ্রাম পুরাতন আদালত ভবনের সামনে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চলাচলের একমুখী রাস্তার অংশে এবং ভবনের পূর্বপাশের সামনের খোলা জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বাগান নির্মাণ, ফুলের টব স্থাপনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী জনগণ, বিজ্ঞ বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালত অঙ্গনে আসা-যাওয়া করেন। যার কারণে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা হয় এবং অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাস্তা সরু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণে আদালতে আসা সকল পেশা-শ্রেণির মানুষ হাঁটাচলা, গাড়ি চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি, যানজট সৃষ্টিসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু ডিসি পুলের গাড়িগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে পুরাতন আদালত ভবনের সামনে রেখে যানজট তৈরি করা হচ্ছে।’

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আইনজীবী সমিতির পুরাতন পানির সংযোগ সংস্কারকালে জেলা প্রশাসক সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ বন্ধ করার জন্য লোকজন পাঠিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং ওয়াসার চেয়ারম্যান ও এমডিকে ফোন করে পুরাতন পানির লাইনে কাজ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।এছাড়া আদালত ভবন এলাকায় আনসার ব্যাটেলিয়নের সদস্য এনে নিরাপত্তার নামে বরিশালের মতো ঘটনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জেলা প্রশাসকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আইনজীবী সমিতির আইনি অবস্থান উল্লেখপূর্বক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সমিতির কোনো বক্তব্য না শুনে, সমিতি জায়গার দলিলাদি ও ভবনের অনুমোদন পত্রসমূহ যাচাইবাছাই না করে মিথ্যা পরিদর্শনের নাটক সাজিয়ে মনগড়া একটি তদন্ত প্রতিবেদন হাসিল করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।’

    সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এল এ শাখাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। জনগণের ভোগান্তি দূর করতে কোনো প্রকার পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেননি। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিগ্রস্ত শাখা সমূহের অনিয়মসমূহ তদন্ত করা উচিত।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সমিতির জায়গা, স্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে জেলা প্রশাসন থেকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে সত্য গোপন করে গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

    এ সময় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেমসহ সমিতির বর্তমান ও সাবেক নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • মিতু হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন

    মিতু হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে ।

    আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি২২) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিমের আদালতে নারাজি আবেদনটি করেন বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।বাদীর আইনজীবী আহসানুল হক জানান, পিবিআই বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেনি। বাবুলের দুই সন্তানের একজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার সঙ্গে কথা না বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এসব কারণসহ নানা ত্রুটি তুলে ধরে পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তে পাঠানোর জন্য আদালতে নারাজি আবেদন দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলার সিডিসহ (নথি) শুনানির জন্য আগামী ৬ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন।

    গত ২৫ জানুয়ারি পিবিআই মোশাররফের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

  • ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব-আলমগীর-আলমগীর ইসলামাবাদী

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    ইসলামে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশপ্রেম যেমন ঈমানের অংশ। ঠিক তেমনই মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকাও ঈমানের অপরিহার্য বিষয়। মহাজগতে যা কিছু আছে তা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কুদরত। তেমনি ভাষাও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসলাম সব ভাষাকে সম্মান করতে শেখায়।

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন: ‘আর আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই ওহিসহ পাঠিয়েছি যাতে করে সে স্পষ্টভাবে আমার কথা তাদের বুঝিয়ে দিতে পারে।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪) হাদিসে উল্লেখ রয়েছে হজরত আবু যর (রা.) থকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক নবিকে তার স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)। হজরত মূসা (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি তাই সে ভাষায় তাওরাত কিতাব নাজিল করা হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.) এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইউনানি তাই যাবুর সে ভাষায় নাজিল করা হয়েছে।

    হজরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের ভাষা ছিল সুরিয়ানি তাই এ ভাষায় ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করা হয়েছে। বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর উম্মতের মাতৃভাষা ছিল আরবি তাই কোরআন তার মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল করা হয়েছে। ইসলাম মাতৃভাষা নিয়ে গর্ব অবৈধ মনে করে না। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের ভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক সুফলিত। তোমাদের চাইতেও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুফলিত। (ইবনুল ‘আরাবী, আল-মু’জাম, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ৩৫৫, হাদিস নম্বর-২৩৪৫)। আমাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি শহীদদের অবদান এবং মহানবীর (সা.) মাতৃভাষা প্রীতির অজস্র দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে।

    তাই ভাষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সচতেন হতে হবে আর নিজ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

  • আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আমাদের নারী- কাজী নজরুল ইসলাম

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    গুনে গরিমায় আমাদের নারী আদর্শ দুনিয়ায়।

    রূপে লাবন্যে মাধুরী ও শ্রীতে হুরী পরী লাজ পায়।।

    নর নহে, নারী ইসলাম পরে প্রথম আনে ঈমান,

    আম্মা খাদিজা জগতে সর্ব-প্রথম মুসলমান,

    পুরুষের সব গৌরবস্নান এক এই মহিমায়।।

    নবী নন্দিনী ফাতেমা মোদের সতী নারীদের রাণী,

    যাঁর ত্যাগ সেবা স্নেহ ছিল মরূভুমে কওসর পানি,

    যাঁর গুণ-গাথা ঘরে ঘরে প্রতি নর-নারী আজো গায়।।

    রহিমার মত মহিমা কাহার, তাঁর সম সতী কেবা,

    নারী নয় যেন মূর্তি ধরিয়া এসেছিল পতি সেবা

    মোদের খাওয়ালা জগতের আলা বীরত্বে গরিমায়।।

    রাজ্য শাসনের রিজিয়ার নাম ইতিহাসে অক্ষয়,

    শৌর্যে সাহসে চাঁদ সুলতানা বিশ্বের বিস্ময়।

    জেবুন্নেসার তুলনায় কোথায় জ্ঞানের তাপস্যার।।

    বারো বছরের বালিকা লায়লা ওহাবীব দলপতি

    মোদের সাকিনা জাহানারা যেন ধৈর্য মূর্তিমতী,

    সে গৌরবের গোর হয়ে গেছে আঁধারের বোরকায়।।

    আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে,

    সেই দিন হতে ইসলাম গেল গ্লানির কালিতে ছেয়ে

    লক্ষ খালিদা আসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।।

  • বাঁশখালীতে সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    বাঁশখালীতে সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন বাঁশখালী উপজেলায় উদ্বোধন করা হল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। বাঁশখালী আপামর জনতার অবিসম্বাধিত নেতা প্রয়াত সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরীর নামে ওনার স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন হয়েছে।
    ১৯ ফেব্রুয়ারী’২২ ইং, শনিবার বিকেলে উপজেলার প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) শাব্বির ইকবাল।

    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বৈলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নান্টু কুমার দাশ, রাজনীতিবিদ রাশেদ আলী, ফজলুল কাদের, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ ছফা, সমাজসেবক নজরুল ইসলাম সিকদার, ইউপি সদস্য আবদুর রহমান, আবদুল আলিম, শাহাদাত হোসেন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অথিতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, বাঙ্গালী জাতীকে একটি স্বাধিন দেশ, ও একটি পতাকা উপহার দিতে দেশের স্বাধিনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে গৌরবোজ্বল ত্যাগ স্বিকার করেছেন, তা ইতিহাসে অমলিন। বাঁশখালীতে জন্ম নেওয়া ক্ষনজন্মা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এডঃ সোলতানুল কবীর চৌধুরীর স্মৃতি রক্ষার্থে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট নিঃসন্দেহে একটি দারুন উদ্যোগ।

    এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের স্বাধিনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

  • আগামী( ২১ ফেব্রুয়ারী২২) মহান ভাষা শহীদও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ, সিএমপি, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত ট্রাফিক পুলিশী ব্যবস্থাপনা

    আগামী( ২১ ফেব্রুয়ারী২২) মহান ভাষা শহীদও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ, সিএমপি, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত ট্রাফিক পুলিশী ব্যবস্থাপনা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ খ্রিঃ সোমবার মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য সরকারীভাবে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠান সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ কর্তৃক বিশেষ ট্রাফিক পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রণীত নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

    ১। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২খ্রিঃ রাত ২১.০০ ঘটিকা হতে নগরীর তিনপুল হতে আমতল, আমতল হতে নিউ মার্কেট, নিউ মার্কেট হতে আমতল এবং সিনেমা প্যালেস হতে রাইফেল ক্লাব রোডে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনপুল মোড় হতে শিক্ষা অফিস হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল বজায় থাকবে।

    ২। নিউমার্কেট, আমতল, তিনপুল ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহনসমূহ ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

    ৩। শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ ওয়াসা – কাজিরদেউরী – নেভাল ক্রসিং- লাভ লেইন- বৌদ্ধ মন্দির- বোস ব্রাদার্স- রাইফেল ক্লাব হয়ে আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন। এছাড়াও অন্যদিক থেকে আসা গাড়িসমূহ নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী নিউমার্কেট এবং তিনপুল ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

    ৪। অনুষ্ঠানস্থলে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ আমতল হতে পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) এসে ফুল দিয়ে পুনরায় আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবলী রোড হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন।

    মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২খ্রিঃ সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

  • লোহাগাড়ায় সরকারি আইনকে অমান্য করে পাহাড় কাটার মহোৎসব: ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ

    লোহাগাড়ায় সরকারি আইনকে অমান্য করে পাহাড় কাটার মহোৎসব: ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নে এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এতে করে একদিকে পরিবেশ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। অন্যদিকে পাহাড়ে বসবাসরত প্রাণীকূল হারাচ্ছে নিরাপদ আবাসস্থল।

    আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী”২০২২ইং শুক্রবার বিকেলের দিকে কলাউজান ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মিয়াজি পাড়া গাবতলি এলাকার দক্ষিণে জাকের বর পাড়া সংলগ্নে পাহাড় কাটার এ দৃশ্য দেখা যায়।

    সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েক সাপ্তাহে ধরে কলাউজান গাবতলি মিয়াজির পাড়া জাকের বর পাড়া সংলগ্নে এলাকায় মাটি খেকো বেলাল ও দেলোয়ার সহ বেশ কিছু প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে পাহাড় কাটার একটি সিন্ডিকেট চক্র স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালায় যাচ্ছে পাহাড় কাটা। রাত-দিন অন্তত ১০/১৫টি ডেম্পার গাড়িতে করে পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট চক্রটি। প্রায় ৪৫ ফুট ধারণকৃত প্রতি গাড়ি পাহাড়ি মাটি ৮০০-১০০০ টাকা হারে বিক্রি করে রাতারাতি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। চক্রটি এ পর্যন্ত ৩০-৫০ ফুট উঁচু পাহাড় কেটে সাবাড় করতেছে। এতে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল বর্ষনে পাহাড় গুলো ধসে পাশে বসবাসরত এলাকাবাসীর যেকোন মূর্হুতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে পাহাড়টি অর্ধেক অংশ ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে। বাকিটাও নিশ্চিহ্ন হবার পথে।

    বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ এর (খ) স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য চালায় যাচ্ছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।

    ওই এলাকার বসবাসরত কয়েক জন প্রবীন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এক সময় এলাকায় পাহাড়ের অন্যতম সৌন্দর্য ছিলো। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ও প্রাণী ছিলো। কিন্তু অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার ফলে ওই এলাকার পরিবেশ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এছাড়া পাহাড় উজাড় হওয়া কারণে পাহাড়ে বসবাসরত প্রাণীকূল হারাচ্ছে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল। এতে করে পাহাড়ের অন্যতম সৌন্দর্য বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীগুলোকে এখন আর দেখা যায় না। বর্তমানে স্পটটি হারাতে বসেছে তার অতীত ঐতিহ্য। তাছাড়াও দিনরাত পাহাড় নিধন চললেও বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। এই পাহাড়ের মাঠি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভরাট করা হচ্ছে ছোট বড় পুকুর ও জলাশয়।

    এদিকে পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে মাটি ব্যবসায়ী বেলাল অস্বীকার বলেন, পাহাড় কাটতেছে দেলোয়ার। কিন্তু তিনি গাড়ি ভাড়া দিয়েছে বলে জানান তিনি।

    এ বিষয়ে পদুয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর নিয়ে পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব জিতু জানান, পাহাড় নিধন সম্পূর্ণ অবৈধ। অতি শীগ্রই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

  • বড়হাতিয়া এক অসহায় পরিবারের বাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই

    বড়হাতিয়া এক অসহায় পরিবারের বাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই

    আবুল কালাম আজাদঃ- চট্টগ্রাম,

    চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জংগলি পীর পাড়া জাফরের দোকান সংলগ্ন আলি আহমেদ(প্রকাশ ফরিদ্দার মার বাড়ি) আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

    আলি আহমদ জানান ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টার দিকে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য লাকড়ি কাটার উদ্দ্যেশে বের হয়ে পাহাড়ে চলে যাই, বিকালে বাড়িতে এসে দেখি আমার বাড়ি ও তার মধ্যে যা ছিল সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এখন আমি নিঃস্ব থাকার মত বাড়ি নেই খাওয়ার মত খাদ্য নেই।

    প্রতক্ষদর্শীরা জানান সকাল ১১ টায় তার বাড়ি থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি দাও দাও করে আগুন জ্বলতেছে, আমরা পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে ততক্ষণে পুরো বাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    বড়হাতিয়া ৮ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার রফিক জানান আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি তিনি অত্যান্ত গরীব অসহায় তার বিপদে সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমি যতটুকু পেরেছি সাহায্য করেছি সকলকে আহবান জানাই এই বিপদে তাকে সাহায্য করার জন্য।

  • উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বদলে যাচ্ছে অবহেলিত গ্রমীণ জনপদ!

    উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের বদলে যাচ্ছে অবহেলিত গ্রমীণ জনপদ!

    কাজল আইচ, উখিয়া।

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের খালকাঁচা পাড়া, হারাশিয়া,দোছরী খালের উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

    অদ্য ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের খালকাঁচা পাড়া, হারাশিয়া,দোছরী খালের উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পরিদর্শক মন্ডলিরা। পরে উখিয়া উপজেলা কোয়াটার হতে বটতলি সড়কের চলামান কাজের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। সাথে ছিলেন উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা কাজী আকতার উদ্দিন টুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজামিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলতান আহমেদ ,বিশিষ্ট টিকাদার মুফিজ উদ্দিন সহ অসংখ্য স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর থেকে এই অবহেলিত জনপদের মানুষদের উন্নয়ন বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলো,
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
    ভিশন গ্রামকে শহর করা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন আজ তাঁরই ধারাবাহিকতায় উখিয়ার গণমানুষের প্রিয়নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর আন্তরিকতা ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে যাচ্ছে রাজাপালং ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামীণ জনপদ।