Category: চট্টগ্রাম

  • আগামী ২৬ নভেম্বর কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল স্থানান্তর হবে

    আগামী ২৬ নভেম্বর কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল স্থানান্তর হবে

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, এডমিন

    মানবতার সেবায় নিয়োজিত এই স্লোগান ধারণ করে কক্সবাজারের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের সুপরিচিত বাণিজ্য শহর, উখিয়া উপজেলার সর্বপ্রথম বেসরকারি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান, কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত / শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    ২০১৫ ইংরেজি হইতে ২০২১ ইংরেজি পর্যন্ত কোটবাজারের প্রধান সড়ক তোফায়েল ফাতেমা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায় ওয়াল্টন শো-রুম সংলগ্ন এই সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, এখন এই সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানটি নতুন ভবন স্থানান্তর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।আগামী ২৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে শুরু হয়ে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত চলমান তাকবে।  ফ্রি রোগী দেখবেন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এছাড়া সমাজিক, রাজনৈতিবীদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

    নতুন ভবনের ঠিকানাঃ- এস. আলম প্লাজা, প্রধান সড়ক কোটবাজার, উখিয়া কক্সবাজার। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুহাম্মদ ইউনুস ব্যবস্হাপনা পরিচালক, অরিজিন হাসপাতাল কোটবাজার।

  • সোনাকানিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী

    সোনাকানিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী

    ইসমাইল হোসেন সোহাগ, বিশেষ প্রতিনিধি

    আসন্ন আগামী সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনবান্ধব, দায়িত্বশীল, মানবপ্রেমিক ব্যক্তি, সকলের পরিচিত প্রিয়মুখ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক জননেতা এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী (শাহরিয়ার)।

    এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার হচ্ছেন সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গারাংগিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসাইন চৌধুরী’র সুযোগ্য সন্তান। তিনি ০৫ ফেব্রুয়ারী”১৯৮২ সালে তার নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএল.বি (অনার্স), এমএলএম। তার পিতা ছিলো সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান। তিনি অত্যান্ত সাহসীকতা, বিচক্ষণতা, মানবপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ একজন মানুষ। তার দাদা ছিলো সাবেক সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, নানা মরহুম হাজী আহমদ হোসেন ছিলো সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, চাচা মাস্টার আবুল কাশেম ছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা।

    এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার পিতা ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। সে যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান মানবপ্রেমিক ব্যক্তি তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ আ.লীগের রাজনৈতির সাথে জড়িত। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণপ্রিয় একজন নিবেদিত পরীক্ষিত তৃণমূল থেকে উঠা আসা নিঃস্বার্থ, ত্যাগী কর্মী। তিনি সবসময় দেশ এবং সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করেন। তিনি তার নিজের স্বার্থের কথা কখনও চিন্তা করেন নি। তিনি সবসময় প্রচারবিমূখ থেকে দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারন মানুষের সেবক হয়ে নিরলস ভাবে মানবসেবা মূলক প্রতিনিয়ত কাজ করে গেছেন।

    জানা যায়, এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার ২০০৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় (চট্টগ্রাম) শাখার সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক এবং ২০১১-২০১৬ সালে গারাংগিয়া সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, ২০১১-২০১৪ সালে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ন সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড দক্ষিণ জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কার্যনির্বাহী সিনিয়র সদস্য (চট্টগ্রাম), চট্টগ্রাম মহানগর দায়ারা জজ আদলতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) ও ২০১৪ ইং থেকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী- লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে খুব সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষ যখন ঘরবন্দী হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবার গুলো পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এরপরেও তিনি থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। তিনি দলমত নির্বিশেষে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। নিজের চিন্তা না করে চিন্তা করেছিলেন ইউনিয়ন বাসীর। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মতবিনিময় সভাও করেছেন। তার যোগ্য উন্নয়নের অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস। সর্ব মহলের তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত। এই মানুষটি নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। সামাজ সেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি অত্যান্ত নম্র, ভদ্র, সদা হাস্যোজ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোন প্রকার অহংকার নেই। নিরঅহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয় ব্যাক্তি। বর্তমানে তাকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাকে একজন সমাজসেবক হিসাবে চিনে।

    এ ব্যাপারে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন মুরব্বীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন মানবপ্রেমিক মহান ব্যক্তি আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী শাহরিয়ার। তার মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষ সবসময় কোন মূল্য ছাড়াই আইনি সহায়তা পাচ্ছে। তিনি কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কেটে খাওয়া মানুষের সুখ-দুঃখের সময় সবসময় পাশে থাকে। তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছা শক্তি, একাগ্রতা, আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একযোগে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারু ভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বপরি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তিনি। এতে সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন তিনি এবং সহযোগিতার আসা ব্যক্ত করে চলছেন। তিনি একজন আওয়ামীলীগের সক্রিয় ত্যাগীনেতা ও সমাজসেবক হিসাবে আসন্ন আগামী সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাকে দেখতে চায়।

    একান্ত সাক্ষাৎকারে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে সমৃদ্ধি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনগনের জীবন-যাত্রার মান্নোয়ন হচ্ছে। তবে এখনো আমরা কিছু কিছু নৈতিবাচক কাজের কারনে পিছিয়ে আছি। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি। উন্নয়ন সমৃদ্ধ একটি স্বর্নিভর বাংলাদেশ দেখতে চাইলে একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানের জন্য সবাইকে মাদক সহ অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভুমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে জনমত তৈরী করে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। নৈতিবাচক এসব কাজের ব্যাপারে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশের সর্বত্রে। কিন্তু সোনাকানিয়া ইউনিয়নে কোন ধরনের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তা-ঘাটের বর্তমান যে অবস্থা তা দেখলে বুঝা যায় আমরা অন্য জগতে বসাবাস করতেছি। বিচার ব্যবস্থাও একধম নাযুক অবস্থায়।ইউনিয়নের সাধারণ মানুষগুলো প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ একটি অকার্যকর পরিষদ হিসেবে পরিণত হয়েছে। জনগণ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত। সবাইকে মনে রাখতে হবে, ভোট একটি মূল্যবান সম্পদ, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একটি ভোটের মূল্য অপরিসীম। অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সমগ্র সমাজকে তার দায়ভার বহন করতে হয়। তাই নৌকা মার্কার প্রার্থীকে সকলের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    তিনি সকলের কাছে দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    কক্সবাজারের চকরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে চকরিয়া থানাধীন ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী, সাধারন সদস্য পদপ্রার্থীসহ ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ১৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার বিকাল ২ ঘটিকার দিকে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জনাব তৌফিকুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার, চকরিয়া সার্কেল, কক্সবাজার জেলা, জনাব মুহাম্মদ ওসমান গনি, অফিসার ইনচার্জ, চকরিয়া থানা,
    আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার (রির্টানিং অফিসার, ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন/২০২১) জনাব সুপম দাস।

    উক্ত সভায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন, নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
    ইহাতে প্রত্যেক প্রার্থীগন সহ সর্বস্তরের জনসাধারন নির্বাচন আচরন বিধি যথাযথ প্রতিপালন পূর্বক আগামী ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।

  • ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী নুরুল হক খাঁনের গণসংযোগ ও শেষ নির্বাচনী জনসভায় জনসমুদ্রে পরিনত

    ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী নুরুল হক খাঁনের গণসংযোগ ও শেষ নির্বাচনী জনসভায় জনসমুদ্রে পরিনত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের জনগণের মনোনীত মেম্বার পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জননেতা জনাব নুরুল হক খাঁনের আপেল মার্কার সমর্থনে আয়োজিত পাতাবাড়ী ফুটবল খেলার মাঠে  অদ্য ৮ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে বিশাল গণসংযোগ ও শেষ নির্বাচনী জনসভা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এবং কমুতুষ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে শুরু হয়।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আপেল মার্কার মেম্বার পদপ্রার্থী জননেতা জনাব নুরুল হক খাঁন, রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আব্দুল হক মেম্বার, জনাব সুনিল বড়ুয়া, নলবনিয়াবাসীর পক্ষ থেকে জনাব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জনাব সংজিৎ বড়ুয়া কালু, জনাব কমুতুষ বড়ুয়া, জনাব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। এছাড়া আরো নেতাকর্মী ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সর্বশেষ ভোটারদেরকে নৌকা ও আপেল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে
    আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ দিন বলে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    Exif_JPEG_420
  • রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থীর গণসংযোগকালে রহিম মেম্বার

    রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থীর গণসংযোগকালে রহিম মেম্বার

    ৮ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ সোমবার দুপুর ২ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী এলাকা ডেইলপাড়া, তুলাতলী পাড়া, টাইপালং ও করইবনিয়া নিজ এলাকায় গণসংযোগ করেন।

    দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের জনগণের মনোনীত মেম্বার পদপ্রার্থী (বর্তমান সফল মেম্বার) জননেতা জনাব আব্দুর রহিম মেম্বারের শেষ গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, ৭নং ওয়ার্ডের চার চারবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য জনাব আলী আহমদ মেম্বার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য জনাব ফরিদুল আলম মেম্বার, জনাব মুক্তার সিকদার, জনাব আক্তার সিকদার, জনাব আবুল কালাম সওদাগরসহ স্হানীয় সচেতন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এর কথা

    কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এর কথা

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানকে হুকুমের আসামি করায় ঘটনায় (উস্কানিদাতা হিসেবে) আমাকে দায়ী করে তিনি গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।

    চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি বিএ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী,ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। এধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি করার মতো সময়ও আমার নেই। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন এবং দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত।

    আমার নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ছিলেন না। ফলে উপযুক্ত জনপ্রতিনিধির অভাবে আমার নির্বাচনী এলাকা দীর্ঘকাল যাবত সুষম উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হয়েছে। তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই এলাকার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেয়া গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিব ভাইয়ের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই, থাকার কথাও না। কারণ কক্সবাজার পৌরসভা/ সদর আসনে আমার ভোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া উনার সাথে কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নূন্যতম আগ্রহও আমার অবশিষ্ট নেই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না।

    কিছুদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক একটি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অত্যন্ত বিচক্ষণ, চৌকষ ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত রয়েছে।

    আমার দৃঢ বিশ্বাস তিনি কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন ডাহা মিথ্যা মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ একজন সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতির প্ররোচনায় তিনি ইতিপূর্বেও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর এই ‘সন্ধ্যাকালীন বন্ধুগণ’ আমার সাথে তাঁকে মুখামুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার অপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

    দূর্বৃত্তরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে কী বলে গুলি করেছে স্বয়ং মোনাফ সিকদার মৃত্যু শয্যা হতে ডায়িং ডিক্লারেশনের মতো করে তা বলেছেন- যা ফেসবুক মারফত জেলাবাসী দেখেছে।এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

    জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে হত্যা চেষ্টা মামলার উস্কানিদাতা হিসেবে আমাকে জড়িয়ে মুজিব ভাইয়ের বক্তব্যে আমি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এ ধরনের বক্তব্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর শামিল। এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, ভুল-ভ্রান্তি শুধরে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

    এধরনের অসত্য বক্তব্য কারো জন্য হিতকর নয় বরং মানহানিকর। পরবর্তীতে এমন ডাহা মিথ্যা, মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    জয় বাংলা | জয় বঙ্গবন্ধু
    শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।

    -জাফর আলম
    সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)
    সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

  • অসুস্থ আমীরে হেফাজতের পাশে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক

    অসুস্থ আমীরে হেফাজতের পাশে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী’র শারীরিক খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হোন। দেশের সর্ববৃহৎ দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা ইয়াহইয়া হাফিজাহুল্লাহ।

    আজ ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফটিকছড়িস্থ নাজিরহাট সেবা ক্লিনিকে তিনি আমীরে হেফাজতের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

    চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করে সন্তোষ প্রকাশ করে আল্লামা ইয়াহইখয়া সাহেব বলেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হচ্ছেন এজাতির জন্য আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত। তিনি কর্মবীর ও আপোষহীন সিপাহসালার। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হযরতের উপস্থিতি আমাদের জন্য অতীব জরুরি। আমি দেশবাসীর প্রতি বিশেষ আহবান জানাই, হযরতের দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘ নেক হায়াতের জন্য সকলে বিশেষভাবে দুয়া করবেন।

    হাটহাজারীর মাদরাসার মহাপরিচালককে দেখে আমিরে হেফাজত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে ও আপনাদের দুআয় আগের চেয়ে সুস্থতা অনুভব করছি। দেশবাসীকে আমার জন্য দুআ করতে বলবেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে ইসলামের খেদমত করতে পারি।

    পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে এক বিশেষ দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।দোয়াতে আল্লামা ইয়াহইয়া সাহেব মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সুস্থতা, কারাবন্দি হেফাজত নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি ও মজলুম বিশ্ব-মুসলিমের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, নাজিরহাট বড় মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা ইসমাইল, সাবেক হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা কামরুল কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আজিজুল্লাহ ও মাওলানা মুহাম্মদ বিন হাবিব প্রমুখ।

  • বাঁশখালীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা; ৩ মামলায় আসামি ১ হাজার, গ্রেফতার ৩৫

    বাঁশখালীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা; ৩ মামলায় আসামি ১ হাজার, গ্রেফতার ৩৫

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দূর্গা পূজা চলাকালীন মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৬২ জন জ্ঞাত এবং ৯৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মন্দিরের পক্ষে থেকে ২টি এবং পুলিশের পক্ষে থেকে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এই সব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    এরই মধ্যে তিন মামলায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ আসামি গ্রেফতার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দীন জানান, বাঁশখালীতে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের করা ৩টি মামলায় জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা বাঁশখালীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছি।

    এই সব মামলায় সিসিটিভির ফুটেজসহ যথাযথ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাকী আসামিদের ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

  • বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত-২

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ছাত্রলীগ নেতার!

    বাঁশখালীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু নামে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জের ধরে থানায় ঢুকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাসেল ইকবাল। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী থানার মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে। বিষপানকালে রাসেলকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন বাঁশখালী থানার মূল ফটকে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

    জানা গেছে, গত বুধবার (২০ অক্টোবর২১) বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায় বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আবদুল খালেক (৩০) ও সুলতান মাহমুদ টিপু (২৫) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হন। একই ঘটনায় দুই পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
    সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- এক পক্ষের মঞ্জুর আলম (৪০) ও বাহাদূর (৩২) এবং অপর পক্ষের কামাল হোসেন (৫০)। নিহত আবদুল খালেক ও টিপু সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত কামালের পক্ষের লোক। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-বাহাদুর (৩২), মনজুর আলম (৪০), রাসেল (২৯), ছিদ্দিক আহমদ (৫২) ও জাকের হোসেন (৩৮)। এর ছিদ্দিক আহমদ হচ্ছেন থানায় ঢুকে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ইকবালের পিতা।

    বাবাকে আটকের পরপরই সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে থানার উদ্দেশ্যে রওয়া হন রাসেল ইকবাল। গাড়িতে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে আসেন রাসেল। থানায় বিষপানের আগ-মুহুর্ত পর্যন্ত লাইভে যুক্ত ছিলেন তিনি।

    এসময় তাকে লাইভে বলতে শোনা যায়, ‘আমার নাম হচ্ছে রাসেল ইকবাল। আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক। আমার বাড়ি বাঁশখালী। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনছুরিয়া বাজার এলাকায়। আমি এর আগে থেকেও অনেকবার, তিনবার আমাকে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার বাবা নিরপরাধ একজন মানুষ। আমিও কোন অপরাধ করি নাই। আমাদের এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে আজকে। ওখানে একজন মানুষ নাকি মারা গেছে। ওই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, কোন প্রমাণ ছাড়া কালা শুক্কুর ও ডাকাত পাগলা শাহ্ আলমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, ওরা বিভিন্নভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে মামলায়। আজকে আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসছে। এসআই হাবিব। এসআই হাবিব সাহেবের উচিত ছিল ওখানে গিয়ে তদন্ত করা, এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার তথ্য প্রমাণ নেওয়া। কে ঘটনার সাথে ছিল, কে ছিল না সেটা তদন্ত করা। এবং এই ওসি কামাল সাহেব। উনার সাথে কালা শুক্কুরের ভালো সম্পর্ক। কালা শুক্কুর বলছে, সে জন্য এখন আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমাকেও নাকি পুলিশ খুঁজছে।’

    ‘এখন আমি ভাই, একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে যদি আমার এ অবস্থা হয়, আমার পরিবারের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভালো থাকবে বলেন? এর আগেও আমার বন্ধুর সাথে একটা মেয়ের সম্পর্ক ছিল, এখন আমার বন্ধু আর ঐ মেয়েটা ওরা পালিয়ে বিয়ে করছে। ওই মামলায় কালা শুক্কুর আমাকে ফাঁসায় দিয়েছে। তারপর আমার বন্ধু একজনের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে, এখন আমি যখন রাজনীতি করি, আমাকে ডাকছে। ঐ ছেলেটাকে ডাকছে। আমি কথা বলছি। এখন আমি নাকি তাকে অপহরণ করেছি বলে, তখন ওসি সালাউদ্দিন হীরা ছিল, তারপর এসআই রফিক ছিল, তদন্ত ওসি শরীফ ছিল। উনারা গিয়ে আমার বাবাকে মারতেছে। তারপর সে বাবদ আমার বাবার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিছে। আজকে আমি বেঁচে থাকার মত কোন ইয়া…..দেখছিনা।’

    ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে রাসেল ইকবাল বিষের বোতল হাতে নিয়ে বলেন, আজকে আমি থানার সামনে এগুলা (বিষ) খাবো৷ আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে, পুলিশ প্রশাসন। যারা আমার বাবাকে ধরে আনছে ওরা আর এলাকার থানার দালালগুলো। আমার জীবনে আমার বাবাকে কখনো কোন মানুষের সাথে অন্যায় করতে দেখি নাই, খারাপ করতে দেখি নাই। আজকে আমি আসছি থানায়।’

    সিএনজি অটোরিকশা থেকে বাঁশখালী থানার সামনে নেমে ফেসবুক লাইভের এক পর্যায়ে থানার মূল ফটকে গিয়ে তিনি বলেন,’এখন আমি থানায় আসলাম। আজকে আমি মরবো, না হয় আমার বাবাকে…..।’

    ততক্ষণে বিষ মুখে নিয়ে নেন রাসেল ইকবাল। এসময় থানার মূল ফটকে থাকা মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামানোর জন্য চেষ্টা করেন।

    বিষ পান করার পরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।

    বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার নাথ বলেন, ‘বিষপান করা রাসেলকে বিকেল ৪টার দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

    রাসেল ইকবালের সাথে চমেকে অবস্থান করা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামনুর রহমান চৌধুরী জানান, ‘রাসেল ইকবাল ছাত্রলীগের একজন ত্যাগী কর্মী। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সে অনেকবার মামলার শিকার হয়েছে। তার ভাষ্য, তার কারণে মা-বাবা অপমানিত হবে কেন? এই বলে সে বিষপান করে। এখন সে চমেকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আছে। তার শরীর ওয়াস করা হচ্ছে।’

    বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দীন জানান, ‘শীলকূপে বসতবাড়ির সীমানায় পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন মারা যাওয়ার ঘটনায় আটক দুজনের মধ্যে একজনকে নির্দোষ দাবি করে থানা ফটকে বিষপান করেছেন তার ছেলে রাসেল ইকবাল। রাসেল দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি আমরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    ছবি ক্যাপশন, (১), বাঁশখালীতে জায়গা জমির বিরোধে সংঘর্ষে নিহত আবদুল খালেকের লাশ। ইনসেটে আবদুল খালেক ও সুলতান মাহমুদ টিপু।

  • ফেনীর মধ্যম রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনীতে মন্দিরে নাশকতাকারীর মূলহোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প

    ফেনীর মধ্যম রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনীতে মন্দিরে নাশকতাকারীর মূলহোতাকে আটক করেছে র‍্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    কালী মন্দিরের পুরোহিতকে মারধর ভয়ভীতি দেখানোসহ মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং জোরপূর্বক কালিমা পড়ানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

    এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ফেনীর ট্রাংক রোড বড় মসজিদের সামনে ধর্মীয় উস্কানিদাতা,পরিকল্পনাকারী ও নাশকতাকারীর মূল হোতা আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব, পিতা-সাইফুদ্দিন মাহমুদ,মাতা-নিলুফার ইয়াসমিন, গ্রাম-মধ্যম রামপুর, ১৭ নং ওয়ার্ড থানা ও জেলা-ফেনীকে ১৭ অক্টোবর রাত ০২.০০ ঘটিকায় রামপুর তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে গতকাল সন্ধায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে সে তার দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে হাতে এক বোতল পেট্রোল সহ কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে ব্যাপক মারধর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে,বলে লুঙ্গি পর,না হয় ধুতিকে লুঙ্গির মত করে ঝুলিয়ে পর,এরপর তাকে পড়তে বলে ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিমএবং ল্ াইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’’ বলে একটি কালিমা পড়ায়। যার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।ফলশ্রæতিতে র‌্যাব-৭,ফেনী ক্যাম্প তাদের তৎপরতা বৃদ্দি করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।আটককৃত আসামীর বিরুদ্বে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে।