Category: চট্টগ্রাম

  • বাঁশখালী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ০২ জন

    বাঁশখালী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ০২ জন

    এইচ এম আলমগীর ইসলামবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    বাঁশখালী থানার অফিসার্স ইনসার্স শফিউল কবীরের নির্দেশনায়
    আজ বৃহস্পতিবার (০৬ মে ২১) এসআই(নিঃ) দীপক কুমার সিংহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ০৫/০৫/২০২১খ্রি: বিকাল ০৩.১০ টায় বাঁশখালী থানাধীন পুইছড়ির ফুটখালী ব্রীজ এলাকায় বাঁশখালী-পেকুয়া প্রধান সড়কে অভিযান চালিয়ে ৪,০০০ (চার হাজার) পিস ইয়াবাসহ আসামী ১। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২০)কে গ্রেফতার করে। একই তারিখ বিকাল ০৪.২০ টায় এসআই(নিঃ) দীপক কুমার সিংহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ বর্ণিত স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১,০০০ (এক হাজার) পিস ইয়াবাসহ আসামী-২। খাদিজাতুল কোবরা প্রকাশ খাদিজা প্রকাশ তানিয়া (২৮)কে গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে বাঁশখালী থানায় পৃথক মামলা রুজু পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • শেখেরখীলের ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করেন,চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন তালুকদার

    শেখেরখীলের ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করেন,চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন তালুকদার

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আজ বৃহস্পতিবার( ৬ মে ২১) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আওতাধীন শেখেরখীল ইউনিয়নে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে এবং মহামারী করোনা সংক্রমণে ঘরে থাকা হত দরিদ্র জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন তালুকদার,, ইউপি সদস্য মৌলভী সাকের উল্লহ,,শাহাবুদ্দিন রাকিব,,মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

  • বগুড়ায় মাদরাসার প্রিন্সিপালের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে -মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

    বগুড়ায় মাদরাসার প্রিন্সিপালের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে -মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বগুড়ার নিশিন্দারা কারবালা এলাকায় আল জামিয়া আল আরাবিয়া হেদায়া কওমি হাফেজী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মোজাফফর হোসেন নাটোর সড়কের জোড়া বীর গ্রাম এলাকায় ঘাতকের পিস্তলের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

    আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে একজন আলেমে দ্বীনকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে। এভাবে প্রকাশ্যে মাদরাসার শিক্ষকদের হত্যায় দেশের সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। এতে দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে।

    তিনি বলেন, একদিকে মাদরাসা নিয়ে প্রশাসনের নানামুখি হয়রানী অপরদিকে একজন মাদরাসার প্রিন্সিপালকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

  • ২১ দিন পর গণপরিবহন চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার ৬ মে থেকে

    ২১ দিন পর গণপরিবহন চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার ৬ মে থেকে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    করোনার সংক্রমণ রোধে চলাচলে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের ২১ দিন পর বৃহস্পতিবার (৬ মে ২১) থেকে গণপরিবহন চালু হচ্ছে।

    বুধবার (৫ মে ২১) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা শহরের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করবে। ঢাকা মহানগরে গণপরিবহন চলাচলে সরকারের নির্দেশনা মেনে সব রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নির্দেশনাগুলো হচ্ছে: মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে ওঠানো যাবে না এবং স্টাফদেরকে গাড়ির মালিক মাস্ক সরবরাহ করবেন। গাড়িতে সিটের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে (অর্থাৎ দুই সিটে একজন যাত্রী বসবে)। লকডাউনে মালিক-শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এক্ষেত্রে রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির জিপির নামে কোনো ধরনের অর্থ গাড়ি থেকে আদায় করতে পারবে না।

    এই বিষয়গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট রুট মালিক সমিতি/পরিবহন কোম্পানির নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হলো।

    এদিকে ঈদুল ফিতরের আগে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ ৫ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

  • চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে অর্ধশত দুস্থ পরিবারকে ইশা’র ফুড প্যাক বিতরণ

    চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে অর্ধশত দুস্থ পরিবারকে ইশা’র ফুড প্যাক বিতরণ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    অদ্য ৫ মে-২১ ইং সকাল ১০ টায় বাঁশখালী জলদিতে “ইশার সাথে গড়ে উঠুক মানবিক বাংলাদেশ” পতিপাদ্যকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ফুড প্যাক’ বিতরণের ব্যবস্থা করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র অান্দোলন বাঁশখালী থানা শাখা।

    ইশা’র উদ্যোগে বাঁশখালী উপজেলাস্থ জলদি পৌরসভায়
    প্রথম ধাপে অর্ধশত দুস্থ পরিবারকে ‘ফুড প্যাক’ বিতরণ করে তারা।
    এতে অসহায় পরিবারের মাঝে ফুড প্যাক তুলে দেয় ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের দাওয়া ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্বাস উদ্দিন, বাঁশখালী থানা শাখার সভাপতি ছাত্রনেতা মুজাহিদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার হোসেন তামিম, অর্থ সম্পাদক হাবীবুল্লাহ সাদেকী , ইশা ছাত্র আন্দোলন বাঁশখালী পৌরসভা সভাপতি ছাত্রনেতা অাতাউল্লাহ মুহাম্মাদ ইয়াসীন প্রমুখ।

    ইশা’র বাঁশখালী থানা সভাপতি বলেন, অামাদের স্বামর্থ অনুযায়ী অামরা গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। অামাদের কাজ অব্যাহত থাকবে ইনশাঅাল্লাহ।

    তিনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ব্যক্ত করেন।

  • শেখেরখীলের ৫০০ পরিবারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ

    শেখেরখীলের ৫০০ পরিবারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ

    বার্তা সম্পাদক

     

    বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে অসহায় পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩রা মে ২১) দুপুরে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫০০ অসহায় পরিবারকে এই মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

    শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ ইয়াছিন তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উম্মুল ফারা বেগম তাজকিরা, ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেনসহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় চেয়ারম্যান ইয়াছিন তালুকদার বলেন, ‘মানুষের এই অসময়ে দুঃখ দুর্দশা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে নগদ অর্থ পাঠিয়েছেন। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

  • আব্বাস সিদ্দিকী বনাম পীর সাহেব চরমোনাইর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার

    আব্বাস সিদ্দিকী বনাম পীর সাহেব চরমোনাইর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধ

    ভারতের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ছড়াছড়ি দেখে অবাক হলাম। এতো এতো রাজনৈতিব বিশ্লেষকের জন্ম হলো কবে থেকে? কতেকে ভারতের নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ফলাফর বিবেচনা করছে।যারা আওয়ামী লীগ কে নৈশ ভোট ডাকাত বলে গালি দেয় সেই তারাই যখন ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জনপ্রিয়তা,জনমত বিবেচনা করে তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, ওরে মাথামোটার গোষ্ঠী, ২০১৮ সালে কি সুষ্টু নির্বাচন হয়েছে? হলে বিএনপির মত এত বড় দল ৬ টি আসন কি করে পায়? পশ্চিম বঙ্গের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ভোটের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কতেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক কর্মকান্ড, ভোটের ফলাফল নিয়ে কথা বলছে।অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৮ সালের পর থেকে দুটি জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

    ২০১৪ সালে প্রহসনের নির্বাচন বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও প্রত্যাখ্যান করেছিল।২০১৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়।ছিল যথাযথ প্রস্তুতিও।৩০০ আসনে নৌকা ধানের শীষের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রচার প্রচারণায় ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাতপাখার প্রার্থীরা।কিন্তু ভোটের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দল ভোট বাক্স পূর্ণ করে নেন।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সম্ভাবনাময়ী আসন গুলোতে ব্যাপক মারামারি হয়েছে।এমনকি বরিশাল ৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম শায়েখে হান্ডেট পার্সেন্ট বিজয় হওয়ার পথে ছিল।কিস্তু ক্ষমতাসীন স্বসস্ত্র মহাড়া আর হামলার ফলে সেই আসনটিও হারাতে হয়েছে।ক্ষমতাসীন দল ছাড়া সবাই বলছে ২০১৮ সালের নির্বাচন ভোটের আগের রাতের বুথ পূর্ণ হয়েছে।সুতরাং সুষ্টু ভোট হয়নি।সেই নির্বাচন দিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের সফলতা ব্যর্থতা নির্ণয় করা চরম বোকামী।

    যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটিও আসন পায়নি বলে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে তারা মূলত ২০১৮ সালের নৈশভোট কে বৈধতা দেয়।একদিকে বলবে,২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি হয়েছে আর অন্যদিকে বলবে,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি আসনও পায়নি।এটা স্ববিরোধী আচরণ নয়কি? যারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটিও আসন পায়নি বলে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে তারা হয়, স্ববিরোধী,না হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।কোন বিবেকবান মানুষ ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা,জনমত যাচাই করতে পারেনা।দেশ ব্যাপি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যেভাবে কর্মসূচি,রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় জাতীয় পার্টিতে তার ১০ পার্সেন্টও হয়না।একটি জনবিচ্ছিন্ন দল ২০ আসন পায় কিভাবে সেটা প্রশ্ন হয়না?বিএনপির মত তিনবার ক্ষমতায় থাকা দল ৬ টি আসন পায়?

    আব্বাস সিদ্দিকী রাজনীতিতে মাঠে নেমেছে ৬ মাস হয়েছে।তাঁর মিছিল মিটিং সমাবেশের উপচে পড়া লোক সমাগম ছিল।অনেকে সেই লোক সমাগম দেখিয়ে বলছে বাংলাদেশে চরমোনাইর পীর সাহেবের মিছিল মিটিং এ প্রচুর লোক সমাগম হয়।আব্বাস সিদ্দিকীর মত একটি আসনও পায়না।সেসব ভাইরা, আব্বাস সিদ্দিকীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং চরমোনাইর পীর সাহেব রাজনৈতিক ক্যারিয়া মিলাতে চান তারা অনবিজ্ঞ ও রাজনৈতিক জ্ঞানশূন্য। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এতোটাই বাজে , এখন ভোটের অংক দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করা ভোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যে রীতিমত চমক দেখাবে তা কাউকে বানান করে বলার প্রয়োজন নেই।সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনদের অবস্থা যে জাতীয় পার্টির ন্যায় হবে তা ভালো করেই জানে।
    বাংলাদেশ নির্বাচনি ফলাফল থেকে একটি দলের জনপ্রিয়তা তখনই যাচাই করা সম্ভব যখন নির্বাচন সুষ্টু ও দল নিরপেক্ষ হবে।

    লেখকঃনুর আহমেদ সিদ্দিকী
    সাংগঠনিক সম্পাদক
    জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর।

  • শেখেরখীলের ৫০০ পরিবারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ

    শেখেরখীলের ৫০০ পরিবারে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে অসহায় পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩রা মে ২১) দুপুরে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫০০ অসহায় পরিবারকে এই মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

    শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ ইয়াছিন তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উম্মুল ফারা বেগম তাজকিরা, ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেনসহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় চেয়ারম্যান ইয়াছিন তালুকদার বলেন, ‘মানুষের এই অসময়ে দুঃখ দুর্দশা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে নগদ অর্থ পাঠিয়েছেন। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

  • রাজাপালং ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ টাকা বিতরণ করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    রাজাপালং ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নগদ টাকা বিতরণ করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী

    কাজল আইচ, উখিয়া প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রাজাপালং ইউনিয়নের (৫০০) পরিবারের মাঝে (৪৫০) টাকা করে
    পবিত্র ঈদ- উল ফিতর ২০২১ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে উখিয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীপ) কর্মকর্তা মেহেদি হাসান এর উপস্থিতিতে এ উপহার বিতরণ করা হয়।

    সোমবার (৩ মে,২০২১) সকালে রাজাপালং ইউনিয়নের সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিশেষ উপহার সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সমির দাশ, মেম্বারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল কবির, মোঃ সালাহ উদ্দিন,মোঃ শাহজাহান, মহিলা মেম্বার খুরশিদা বেগম, সরোওয়ার কামাল পাশা, আব্দুল হক, আব্দুর রহিম, ইকবাল বাহার ও ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোহেল বিএ প্রমুখ।

    তত্বাবধানেঃ
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রান মন্ত্রনালয়,
    উখিয়া উপজেলা প্রশাসন,কক্সবাজার।

  • গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

    গন্ডামারা ট্রাজেডির পেছনে আলোচনায় লেয়াকত আলীর নাম!”যত লাশ, তত লাভ”

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক অসন্তোষ, দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন, পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত এবং অর্ধ শত শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে দায়ী করছে অনেকেই। তারা বলছে, লেয়াকত আলীর ইন্দনেই শ্রমিক আন্দোলন এবং পরবর্তিতে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। যত লাশ পড়ে তত লাভবান হয় লেয়াকত আলী। লাশ নিয়ে তার রাজনীতির শেষ নেই। লাশের উপর ভর করেই তার রাজনীতি। অবশ্যই লেয়াকত আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। শ্রমিক আন্দোলনের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

    এদিকে খোদ কয়লা প্রকল্পের কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন অভিযোগ করেছেন, কয়লা প্রকল্পে শ্রমিক সরবরাহের কাজ লেয়াকত আলীর কাছ থেকে প্রত্যাহার করে চায়না কোম্পানীকে দেয়ায় তিনি ক্ষীপ্ত হয়েছেন। তাছাড়া গন্ডামারায় তার ইশারা ও নির্দেশের বাইরে এত বড় ঘটনা সম্ভব নয়। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক শনিবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গন্ডামারা ট্রাজেডির পিছনে ইন্দনদাতা ও উস্কানীদাতাদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, উস্কানীদাতা ও ইন্দনদাতাদের খুজে বের করা হবে। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও বলেছেন, যারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে চায়, সরকারের ভাল কাজ যাদের পছন্দ হয়না তারাই উস্কানী দিয়ে গন্ডামারায় এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে শুধু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেটাই নয়; প্রকল্পে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক।

    এর আগে লেয়াকত আলীর নেতৃত্বে গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যান। পরে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে মারা যায় আরো ১ জন। সে সময় লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তদন্ত রিপোর্টে একমাত্র লেয়াকত আলীকে ঘটনার নেপথ্য নায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু লেয়াকত আলী রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এস আলম কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সাথে সমঝোতা করে সে যাত্রায় বেঁচে যায় লেয়াকত আলী। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারো গন্ডামারা রক্তাক্ত হল। মারা গেল আরো ৫ জন। এনিয়ে গন্ডামারা কয়লা প্রকল্পে ১০ জন মানুষ প্রাণ হারায়।

    ৫ বছর আগে লেয়াকত আলী আন্দোলন গড়ে তুলে এবং প্রশাসন ও এসআলমের সাথে সমঝোতা করে বেঁচে গেলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে গন্ডামারায় শত শত র্যাব পুলিশের উপস্থিতি, পুরো এলাকা আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেয়া বলে দেয় লেয়াকত আলীর আগের সেই আন্দোলন এখন আর হবে না। তাছাড়া জনগনও এখন আর আগের মত তার বক্তব্যে মতোয়ারা হবে না। কারণ এই লেয়াকত এক সময় বলেছিল, “১০ হাজার মানুষ মারা গেলেও গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়া হবে না”
    তিনি কয়লা বিদ্যুতের কুফল নিয়ে এলাকায় জনমত তৈরি করেন।

    কিন্তু অভিযোগ আছে, পরবর্তিতে এই লেয়াকত আলী মোটা অংকের টাকা এবং প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে পরসেন্টিজের বিনিময়ে প্রকল্পের পক্ষে হয়ে যায়। কিন্তু হলে কি হবে? ঘটনা আর খুনি খুনি না হলে গন্ডামারা শান্ত থাকলে লেয়াকত আলীর যে কাজ নেই!

    তাই তিনি আবারো উস্কানী দিয়ে গন্ডামারাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করেন। এতে লেয়াকত আলীর “যত লাশ, তত লাভ” লাশ পড়লে, ঘটনা ঘটলে লেয়াকত আলী লাভবান হবে। লাভবান হবে স্থানীয় আরো কিছু নেতা ও দালাল।
    ফলে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল মনে করেন, লেয়াকত আলীর উস্কানী ইন্দনেই গন্ডামারায় আবারো সংঘাত এবং খুনাখুনির ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহল বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার ইন্দনদাতা-উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করতে দাবী জানিয়েছে।