Category: চট্টগ্রাম

  • পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

    পটিয়া জিরি মাদরাসায় স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় ১০ অক্টোবর

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আল্লামা শাহ আবরারুল হক হারদূয়ী রহ. এর খলিফা ও চট্টগ্রাম আল জামেয়াতুল আরবিয়া ইসলামিয়া জিরির সাবেক পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
    আগামী শনিবার (১০ অক্টোবর ২০২০) জামাতুস ছালেকিন জিরি শাখার উদ্যোগে জামেয়া জিরিতে অবস্থিত ‘খানাকাহ এ আবরারিয়া’ মিলনায়তনে এ স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ সাহেব সিনিয়র শিক্ষক জিরি মাদরাসা।

    স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে বেফাকের নব-নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসার পরিচালক মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মুফতি মাহমুদুল হাসান দাঃবাঃ, জামিয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শায়খুল হাদিস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ ও খতিবুল উম্মাহ্ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটাসহ শায়েখে জিরির খুলাফা ও দেশবরেণ্য আলিম ওলামারা আলোচনা করবেন।
    পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ তৈয়ব রহ. এর স্মরণসভা ও ইসলাহী জোড়ে শায়েখে জিরির খুলাফা, মুরিদান ও মুহিব্বিনসহ সর্বস্থরের তৌহিদীজনতার উপস্থিতি কামনা করেছেন জামেয়া জিরির পরিচালক মাওলানা শাহ্ হাফেজ খোবাইব।

  • বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বাঁশখালীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার উদ্যোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার ০১ অক্টোবর ২০২০ ইং বিকেলে বাঁশখালী পৌর শহরের গ্রীণ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমদ মসরুর সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ক্বাজী আখতার সাহেব। বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা সংস্থার সেক্রেটারী ও মনকিচর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা শাহ আবু বকর সাহেব, বৈলছড়ি মাদরাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, দিদারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইসহাক, জলদী মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক সুজিশ, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুর মোহাম্মদ লোকমান, বাঁশখালী জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়ার পরিচালক মাওলানা আজিজুল হাছান, বৈলগাও কনজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু বকর, চাম্বল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফুজাইল বিন আবদুল জলিল, মনকিচর মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুফতি হেলাল উদ্দীন, ছনুয়া মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম, পুকুরিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মনকিচর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, দারুল কারীম মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব রহ. এর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচনা এবং হুজুরের জন্য বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

  • বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    বিশেষ অবদান রাখছে বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা

    এইচ এম আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

    বিশেষ অবদান রাখছে।

    বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদের সভাপতি হলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষবিদ চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

    পটিয়া মাদরাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার বর্তমান সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। সল্পসময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবিদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    সারাদেশের ব্যাপকভাবে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে ইসলামি সম্মেলন আয়োজন করার লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান।

    ইসলামি অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরু দায়িত্বও তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনায়, পটিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়াও এক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন।

    শুধু শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে নয়, আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও তিনি সফল। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারী কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশিষ্ট খলিফা জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সাবেক শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুজুর নামে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমধিক পরিচি) রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন। আল্লামা আবদুল হালীম বোখারীর অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে তিনি খেলাফতও দিয়েছেন।

    লেখক হিসেবে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো- তাসহিলুত তাহাভি, তাসহিলুল উসূল (পাঠ্যভূক্ত)ও তাসহিলুত তিরমিজি।

    চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়েও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোয়ামে অংশগ্রহণসহ নানা কাজে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা জাতীয় ইস্যুতে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃত প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

    চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা আল্লামা বোখারী। চার ছেলে ও মেয়ের জামাইদের সবাই আলেম। নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

    বলা হয়, জ্ঞানীর কদর একমাত্র জ্ঞানীরাই জ্ঞানের কদর করেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। এ কারণে আমরা দেখি, পটিয়া মাদরাসার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জ্ঞানসাধকদের ভিড়। বিশেষ করে আজকের লেখায় মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়া, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ছাড়া জামিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িয়ে আছেন বিজ্ঞ ও যোগ্য উস্তাদগণ। পটিয়াকে ঘিরে জ্ঞানীদের এই মিলনমেলা সাজানোর কারিগর আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী।

    যাদের জ্ঞানের সমারোহে এই প্রজন্ম ও উম্মাহ লাভবান হচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত হচ্ছে এই সমাজ ও দেশ। এটাই আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যতিক্রমী কর্মপন্থা ও মুন্সিয়ানা। যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো প্রমাণ করে, জ্ঞানীদের প্রতি সম্মান ও উৎসাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত নন।

    লেখার শুরুতে বলেছিলাম তার একান্ত সান্নিধ্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তখন দেখেছি, মতের মিল না হলে ভিন্নমত পোষণকারীর প্রতি তার শ্রদ্ধায় কমতি নেই। সবার সঙ্গে, সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এটা প্রত্যাশিতও নয়। আল্লামা বোখারীকে দেখেছি, ভিন্নমতের মতের হলেও জ্ঞানী-গুণীকে সমাদর করতে কসুর করেন না। এটা তার অনন্য গুণ। এখনকার যুগের এমন গুণের মানুষ পাওয়া বিরল।

    তিনি একজন সাহসী কর্মবীর। সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের কারণে তিনি পরিণত হয়েছে আলেমদের অভিভাবকে। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর এই গুণ ও জ্ঞানসাধনার আলো আরও ছড়াক এবং তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক। আমিন।

  • আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

    আল্লামা শফী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: শিক্ষকবৃন্দের বিবৃতি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং হাটহাজারী মাদরাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও সুশৃঙ্খল বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ।

    সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শীর্ষ আসাতাযায়ে কেরামের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ক্লাশ চলছে। আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া’র পরিক্ষাও সুন্দরভাবে চলছে। মাদরাসার শিক্ষকগণ, ছাত্রভায়েরা এবং এলাকাবাসীরা খুবই সন্তুষ্ট।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসার কোনো উস্তাদ এবং বাহিরের কোনো সংগঠন ও ব্যক্তির উস্কানি বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। হযরতের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার বৈ কিছুই নয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিজেদের হিনস্বার্থ উদ্ধারে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)এর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা এবং কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না।

    বিবৃতিতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.) স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় হাটহাজারী মাদরাসা শূরা কমিটির হাতে দায়িত্ব সোপর্দ করে গেছেন এবং হযরতের ইন্তিকাল স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে এবং হযরতের ওসিয়্যাত অনুযায়ী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদের পার্শ্বের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হযরতের ইন্তিকালে আমরা সকলে অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত।

    বিবৃতিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)এর মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য বিশেষভাবে সকলে দুআ করবেন এবং দারুল উলূম হাটহাজারীর ইতিহাস ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও মাদরাসার উন্নয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।

    তারা আরো বলেন, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফি (রাহ.)সহ সকল মুরুব্বিয়ানে কেরামের উসূল অনুযায়ী চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা দুআ করবেন, যেনো আল্লাহ তাআলা দারুল উলূম হাটহাজারীসহ পুরো কওমী অঙ্গনকে সকল ধরনের ফিতনা-ফাসাদ থেকে হেফাজত করেন।

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- জামিয়া পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতিয়ে আযম আল্লামা আব্দুস সালাম চাটগামী, মজলিসে ইলমির সদস্য আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য আল্লামা শেখ আহমদ, শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষা সচিব আল্লামা হাফেয শোয়াইব, পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, নাজেমে দারুল ইক্বামার প্রধান মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা কবীর আহমদ, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেয আহমদ দিদার কাসেমী, দারুল ইক্বামার সদস্য মাওলানা ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) রাত ৮টায় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল উস্তাদবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি ও শিক্ষকগণ লাইভ ভিডিওতে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক ইন্তিকালের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেছেন, যারা তাঁর ইন্তিকালের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাচ্ছেন, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এমন অভিযোগ তুলছেন। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

  • শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি সাহেব ছিলেন এশিয়ার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উম্মতের রহবার= ডা. আল্লামা,আ,ফ,ম খালিদ হোসাইন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর তরবীয়তি সভায় বিশিষ্ট ইসলামীক স্কলার ও বুদ্ধিজীবি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইসচেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর আল্লামা খালিদ হুসাইন প্রধান অতিথির আলোচনায় বলেন হযরত আল্লামা আহমদ শফি (রহ,)জীবনের বৃহৎ অংশ আলেম তৈরীর কাজে আত্মনিয়োগ করে গেছেন। তৈরি করেছেন হাজার হাজার আলেম। এন্তেকালের সামান্য সময় পূর্বে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা সারা জীবন হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হযরতের অবদান কে স্মরণ রাখতে চাই। তিনি ফেইসবুক ব্যবহারকারী সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান ফেইসবুকে আমরা কারো যেন সম্মানহানিকর কোন পোস্ট না দেয় এতে আমাদের দুনিয়া আখিরাত দুইটাই বরবাদ হবে। তিনি জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত তরবীতি মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন। মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট আজমা কমপ্লেক্স এ মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আমজাদ হুসাইনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত তরবীয়তে মহানগরীর দায়িত্বশীল বিভিন্ন জামে মসজিদ এর খতীব গণ,মাদ্রাসার পরিচালক ও বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ওলামা মশায়েখ ও ইমাম গণ বক্তব্য রাখেন। সভায় আগামী ৯ অক্টোবর ২০২০ জুমাবার জাতীয় ওলামা মশায়েখ আঈম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম তালিমুল কোরআন কমপ্লেক্স এ নব নির্মিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) জীবন ও কর্ম আলোচনা শীর্ষক বিশাল জীবনি আলোচনা ও দোয়া মাহফিল সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভা শেষে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ) ও সমকালীন সময়ে মৃত্যু বরণকারী ওলামা ও দ্বীনি বন্ধুদের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি ড,আ,ফ,খালিদ হুসাইন সাহেব।

  • হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতুল উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারী মাদরাসা ও হাইয়াতলু উল ইয়ার পরিক্ষার হল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাংসদ জনাব ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি. মহোদয়

    এ সময় তিনি হাইয়াতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং জামিয়ার শিক্ষাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিজাহুল্লাহুর সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    মাননীয় এমপি মহোদয় মাদরাসার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে ছাত্রদের পরীক্ষা দেওয়া ইত্যাদি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    এসময় মজলিসে এদারীর সদস্য আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী হাফিজাহুল্লাহু,আল্লামা ইয়াহইয়া দা.বা. সহ আসাতেযায়ে কেরাম ও হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষকগণ সহ হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনির সাহেব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ ভান্তের বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্টে দুই মামলা

    রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ ভান্তের বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্টে দুই মামলা

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ মাহমুদসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে নানা বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরনাঙ্কর থের এর বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্টে দুটি মামলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে টিটু বড়ুয়া নামের ক্ষুদ্ধ এক ব্যক্তি রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে বুধবার ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও সারা দেশের ৩০ হাজার মানুষ শরনাঙ্কর থের’কে খোদা মানেন এমন ভিডিও প্রচারের অভিযোগে মাওলানা হাকিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি অপর মামলাটি দায়ের করেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম আইসিটি এ্যাক্ট ও দন্ড বিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দুটি রুজু করা হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    টিটু বড়ুয়ার দায়ের মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী কার্যক্রম তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে বিভিন্ন প্রচার ও প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার ফলাহারিয়া জ্ঞাণশরণ মহা অরণ্য বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু শরণাঙ্কর থের। তিনি সর্বশেষ ২৪ মিনিটের ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ মাহমুদসহ গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন।
    টিটু বড়ুয়া বলেন, শরনাঙ্কর থের ইতিমধ্যে শতাধিক একর বনের জায়গা দখল করেছেন। তার দখলের উম্মত্ততা থেকে বাদ যায়নি হিন্দুদের একযুগের পুরনো শ্মশান খোলা। শ্মশান থেকে ১২টি শবঘর উপড়ে ফেলে দিয়েছে।

    এদিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়া গ্রামের সনাতনী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের পুরাতন শ্মশান দখল ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা কেন্দ্রিয় পুজা উদযাপন পরিষদ।

    বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা সদর ইছাখালীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
    উপজেলা কেন্দ্রিয় পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি শৈবাল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীল, সমীর চক্রবর্তী, টিবলু নাথ, অনুজিৎ দে, শিবু চক্রবর্তী, প্রিয়তোষ কান্তি দে, সুবেল দেব, মানিক কান্তি দাশ, হৃদয় দাশ, পরিমল দাশ, শিপন সাহা, সুমন দে, অভি দাশ, সুকান্ত দাশ, রামপ্রদ দাশ, পুলক দত্ত, বিজয় নন্দী, রুবেল দত্ত, শয়ন দত্ত, উষ্ণা দাশ, সমীরণ দত্ত, সমীর মহাজন, নয়ন মহাজন, উজ্জ্বল দে, রুবেল দে, রাজু দে প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়ায় বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরনাঙ্কর থের এর ইন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র শ্মশান দখল ও ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্তরা। বরং ফলাহারিয়ায় এখনও হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মানববন্ধন থেকে শ্মশান দখল ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। এছাড়া এই ঘটনার ইন্ধনদাতা শরনাঙ্কর ভান্তেকে রাঙ্গুনিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী করা হয়। অন্যথায় আরও বৃহৎ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

    এর আগে প্রতিবাদী হিন্দু সমাজের আয়োজনে একই দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • বাঁশখালীতে আগামীকাল আল্লামা শফী রহ.এর কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

    বাঁশখালীতে আগামীকাল আল্লামা শফী রহ.এর কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    আগামী শুক্রবার ২৫ /০৯/২০২০ ইং বিকাল ০৩টা (আই,এ,বি, মিলনায়তন, (সৌদিয়া মার্কেট ৩য় তলা, জলদি পৌরসভা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহু এর মাগফিরাত কামনায় জীবন কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
    সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামী
    সাবেক সভাপতিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।

    বিশেষ অতিথি
    এইচ এম রুহুল্লাহ
    সদস্য সচিবঃ
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।

    উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এ ইসলামী আন্দোলন, মুজাহিদ কমিটি, যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলনসহ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন কমিটির সকল সদস্যদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

    অনুষ্ঠান বাস্তবায় কমিটির পক্ষে
    মাওলানা জসিমউদদীন মিজবাহ
    সেক্রেটারী
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখা।

    বার্তা প্রেরক
    মাওলানা আজিজুর রহমান
    প্রচার সম্পাদক
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখা।

  • হাটহাজারী মাদ্রাসায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, চার জনকে পুনর্বহাল

    হাটহাজারী মাদ্রাসায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, চার জনকে পুনর্বহাল

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার (হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত) দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও চারজনকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। ছাত্রদের দাবি ছিল কয়েকজন শিক্ষকে অব্যাহতি ও কয়েকজনকে পুনর্বহাল করার।

    অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন, মাওলানা মোহাম্মদ উসমান ও মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজ। মাদ্রাসার প্রয়াত মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী থাকাকালীন ওই দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পুনর্বহাল হওয়া চার শিক্ষক হলেন, আনোয়ার শাহ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা মোহাম্মদ হাসান ও মাওলানা মনসুর। আহমদ শফী থাকাকালীন তাদের মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া সাহেব বলেন, বিনা কারণে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া দক্ষ চার শিক্ষককে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    ছয় দফা দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার রাতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আহমদ শফী। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় শুরা কমিটি। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আহমদ শফী। পরদিন শনিবার তার মরদেহ দাফনের পর মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের শুরা কমিটি গঠন করা হয়। এই তিন সদস্য হলেন মুফতি আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহিয়া। এ ছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষা পরিচালক করা হয় মাওলানা মোহাম্মদ শুয়াইবকে।

    এর আগে গত ১৭ জুন আহমদ শফীর সভাপতিত্বে শুরা কমিটির বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে সহকারী পরিচালক থেকে অব্যাহতি দিয়ে শেখ আহমদকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

  • হাটহাজারী মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে ৩ প্রবীন শিক্ষক

    হাটহাজারী মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে ৩ প্রবীন শিক্ষক

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা পরিচালনার জন্য তিনজনের একটি প্যানেলকে মুহতামিমের (পরিচালক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে মাদরাসাটির শূরা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

    তারা হলেন- মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহহিয়া। একইসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদরাসাটির প্রধান শায়খুল হাদিস ও নাজিমে তালিমাতের (শিক্ষা পরিচালক) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে মাওলানা হাফেজ শোয়াইবকে।

    শূরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই তিনসদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাদরাসার সকল কাজের সমস্যা সমাধান করবেন এবং সকলের সমান অধিকার থাকবে। কেউ এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। মাদরাসায় ছাত্র আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা ওমর, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, মুফতি জসিম উদ্দিনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বৈঠকে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন শূরার বৈঠকে আনাস ও নূরুল ইসলাম জাদীদের বহিষ্কারসহ যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাও বহাল রাখা হয়েছে।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হাফি, আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী হাফি, আল্লামা নোমান ফয়েজী হাফি, মাওলানা সালাউদ্দীন নানূপুরী হাফি, মাওলানা সুহাইব সাহেব হাফি, মাওলানা ওমর ফারুক হাফিসহ জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।

    শূরা কমিটি এই করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটহাজারী মাদরাসায় নিয়মতান্ত্রিক পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাদরাসা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হবে।