Category: চট্টগ্রাম

  • শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া, দেশ সামনে এগুনো অসম্ভব-পীর সাহেব চরমোনাই

    শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া, দেশ সামনে এগুনো অসম্ভব-পীর সাহেব চরমোনাই

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আজ ৬ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকা হতে, ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠের ইনডোরে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ্ব ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে, শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

    এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব মাওলানা ফুরকান শিকদার, নগর শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি, মোঃ নোয়াব মিয়াসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

  • ড.মাহমুদুল হাসান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ্ কে ক্রেস্ট প্রধান করেন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি

    ড.মাহমুদুল হাসান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ্ কে ক্রেস্ট প্রধান করেন,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    আল্লামা ড. মাহমুদুল হাসান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ-কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান। ইউরোপসহ সারাবিশ্বের সাড়া জাগানো ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিদগ্ধ লেখক, গবেষক ও দা’ঈ, আল- জামিয়া আল- ইসলামিয়া পটিয়া, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় -এর প্রাক্তন শিক্ষক, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৯৯২) আল্লামা ড. মাহমুদুল হাসান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আজ (৩১ ডিসেম্বর’২৩) শায়েখের নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে উক্ত সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

  • সাংবাদিকতা চর্চা জরুরী; সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আতিক উদ্দীন চৌধুরী

    সাংবাদিকতা চর্চা জরুরী; সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আতিক উদ্দীন চৌধুরী

    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মোঃহোসেন (সুমন)

    কক্সবাজার জেলার সর্বপ্রথম পেশাদার সাংবাদিকগণের সমন্বয়ে গঠিত সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের ১ বছর পূর্তি ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গত ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭ টায় শহরের অভিজাত তারকা মানের হোটেল উইন্ডি টেরেসের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আরিফুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদারের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানুরাগী ও সাংবাদিকবান্ধব জননেতা আতিক উদ্দীন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আক্তার পাখি, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, শহর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম মিন্টু, কোরাল রীফ প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মাসুদ ইব্রাহিম। এছাড়াও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি দিদারুল আলম সিকদার ও এলজিইডি এর সহকারী ইন্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক ভোরের চেতনার জেলা প্রতিনিধি রাশেদুল আলম, দৈনিক সন্ধ্যাবাণীর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রমজান, দৈনিক গণকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি শাইখ আহমেদ, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তরের সদর উপজেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, দৈনিক ভোরের চেতনার রামু প্রতিনিধি মোঃ নোমান, দৈনিক মেহেদী সদর প্রতিনিধি মোঃ হোসেন( সুমন) দৈনিক ভোরের চেতনার আদালত প্রতিনিধি মোঃ রায়হান, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তরের প্রতিনিধি জাফরুল আলম রানা, দৈনিক কক্সবাজার একাত্তরের উখিয়া প্রতিনিধি মোস্তফা জামান চৌধুরী, ডিবিজে নিউজের প্রকাশক মঈন উদ্দিন জনি, ডিবিজে নিউজের সদর উপজেলা প্রতিনিধি এনায়েত বিন সাঈদ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার সর্বপ্রথম পেশাদার সাংবাদিকগণের সংগঠন কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাব ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১ বছরে সুনাম ও সফলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে সদর উপজেলা প্রেসক্লাব।

  • চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের উদ্যোগে ও তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম এর ব্যবস্থাপনায় উভয় সংস্থার চেয়ারম্যান আলহাজ মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের সভাপতিত্বে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে
    আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন” ২০২২ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৮ শে ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ০৩ টা থেকে আরম্ভ হয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত দেশ ও বিদেশি ক্বারী সাহেবানরা সুললিত কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন,

    এতে তিলাওয়াত করেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কারী শাইখ সালাহ মুহাম্মদ সোলাইমান (মিশর) শাইখ কারী রজাঈ আইয়ুব (তানজানিয়া) শাইখ কারী ঈদী শাবান (তানজানিয়া) শাইখ কারী মুহাম্মদ আহমদ আব্দুল হাফিজ আদ্দুৱুনকী (মিশর) শাইখ কারী ইদ্রিস আবিদা (তানজানিয়া) শাইখ কারী মাসুদ শাহাত মুহাম্মদ (ইন্দোনেশিয়া) সহ দেশীয় খ্যাতিমান কারী সাহেবান।

    উক্ত কারী সাহেবানদের সুললিত কন্ঠের তিলাওয়াতের সুরের মূর্ছনায় পুরো আন্দরকিল্লা এলাকাজুড়ে আল্লাহু আকবরের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়।
    উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর, সাংবাদিক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, দেশের শীর্ষস্থানীয় হাফেজ-আলেম, মুফতি, মুহাদ্দিসসহ সর্বস্তরের কুরআনপ্রেমী মুসলমান।

    পরিশেষে দেশ-জাতির কল্যাণ, সকল প্রকারের মহামারি ও দুর্ভিক্ষ থেকে পরিত্রাণ কামনায় হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব সাহেবের মোনাজাতের মাধ্যমে কেরাত সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।

  • গাইবান্ধা হতে অপহৃত ১৫ বছরের মেয়েকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম

    গাইবান্ধা হতে অপহৃত ১৫ বছরের মেয়েকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি”

    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের এবং ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। ভিকটিম তার মা বাবার সাথে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় বসবাস করত। আসামী মোঃ শাকিল মিয়া(২২) বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং আপত্তিজনক কথাবার্তা বলত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা বাবাকে অবহিত করে। ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে বিরক্ত না করার জন্য বিষয়টি শাকিলের বাবাকে অবহিত করে। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। গত ২৮ মে ২০২২ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭৩০ ঘটিকায় ভিকটিম কোচিং শেষে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী শাকিল অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায় তাকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি গাড়ীতে করে অপহরণ করতঃ অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

    পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ০৫ জনকে আসামী করে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৫, তারিখ-০৩ জুন ২০২২খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০।

    র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ শাকিল মিয়া(২২) ভিকটিমকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ০৩.১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা আসামী মোঃ শাকিল মিয়া(২২), পিতা-মোঃ মজিদুল মিয়া, সাং-রাজস, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা’কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী বর্ণিত অপহরণে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • দ্বীনি দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে”পটিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন

    দ্বীনি দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে”পটিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর সহযোগী পরিচালক, মুবাল্লিগে ইসলাম হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বলেছেন, যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করেছেন। হযরত নূহ (আ.) সাড়ে নয় শত বছর এই দাওয়াতের কাজ করেছেন। অনুরূপ হযরত ইবরাহীম (আ.) এই দাওয়াতের কাজ করেছেন, হযরত মূসা (আ.) হযরত ঈসা (আ.); এভাবে সমস্ত নবী-রাসূলরা এই দাওয়াতের কাজ করেছেন। এবং এই দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতে গিয়ে সব ধরনের ত্যগ-তিতীক্ষা, কষ্ট-মুজাহাদা স্বীকার করেছেন। নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়েছেন, পরিবার-পরিজন ত্যাগ করেছেন, মানুষের জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। সর্বশেষ আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে কি পরিমান কষ্ট সহ্য করেছেন- তা আমরা কম-বেশী সকলেই জানি এবং উম্মত হিসেবে জানা থাকাও জরুরী। এই দ্বীনের খাতিরে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে হিজরত করেছেন। কাফেরদের গালি-গালাজ শুনেছেন। পাথরের আঘাতে নিজের শরীরের তাজা রক্ত প্রবাহিত করেছেন। যেই শরীরে মশা-মাছি পর্যন্ত বসা হারাম ছিল, সেই শরীরে কাফেররা পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছে শুধুমাত্র এই দ্বীনের দাওয়াতের জন্য।

    গতকাল (২২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার ৮৪তম বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) দাওয়াত ও তাবলীগের উপর আধ ঘন্টাব্যাপী বয়ানে এসব কথা বলেন।

    বয়ানে তিনি আরো বলেন, এমনিভাবে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর সাহাবায়ে কিরাম (রাযি.) এই দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। আর তাই তো তাঁদের কবর আজকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাঁরা তো এই কাজের জন্য সর্বাবস্থায় তৈরী থাকতেন এবং কে কার থেকে বেশী করতে পারেন আর কে কার থেকে আগে বাড়তে পারেন, সে জন্য প্রতিযোগিতা দিতেন। অতএব, ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল উম্মাতের জিম্মাদারী হল, এ দাওয়াতের কাজ। সমস্ত উম্মতকে সরল-সঠিক পথ দেখানোর জিম্মাদারী ও দায়িত্ব হল এ উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রত্যেকের ওপর।

    আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.) বলেন, যুগে যুগে বিভিন্ন পদ্ধতিতে দ্বীনি দাওয়াতের এ গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন এ উম্মাতের মুখলেসীনরা। বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের নামে যে মেহনত সারা পৃথীবি ব্যাপী চলছে, তা কেবল মাত্র উম্মাতের এ মহান যিম্মাদারী আদায় এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে দ্বীন পৌঁছানোর জন্যেই। দাওয়াত ও তাবলীগ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি উম্মাতের জন্যে তার ইলম ও সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করা আবশ্যক। ওলামায়ে কিরাম এ কাজের প্রথম স্থান ও প্রথম কাতারের দায়িত্বশীল। এরপর সাধারণ মুসলমানগণ। প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে কালিমা, নামায, রোযা, যিকির, তিলাওয়াত, মুয়ামালাহ-মুয়াশারাহ লিল্লাহিয়াত ও খুলুসিয়্যাতের দাওয়াত দেওয়া জরুরী।

    তিনি বলেন, এজন্য এ দাওয়াতের কাজ সকল মুসলমানকে অনবদ্যভাবে করতে হবে। আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, মানুষকে আল্লাহ তায়ালার দ্বীনের দিকে ডাকা ও দাওয়াত দেওয়া এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ কাজের সাথে লেগে থাকা।

    বয়ানে বিপুল সংখ্যক উলামা, তুলাবাসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।

    সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া; মহাপরিচালক- দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা। মুফতি রুহুল আমীন, খতীব বায়তুল মুকাররম। আল্লামা এমদাদুল্লাহ মুহতামিম, বায়তুল হুদা মাদরাসা। আল্লামা সালাহ উদ্দীন, মুহতামিম, জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর। মাওলানা আবদুল বাসেত খান, সিরাজগঞ্জ। আল্লামা মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, ঢাকা। আল্লামা সাঈদুল আলম আরমানী। আল্লামা হাফিজুর রহমান, কুয়াকাটা। ডক্টর আল্লামা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ডক্টর আল্লামা হমুদুল হাসান আল-আযহারী।মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা, আল্লামা হাসান জমীল, ঢাকা। মুফতি কেফায়তুল্লাহ শফীক, আল্লামা যাকারিয়া আযহারী, হাফেজ আব্দুল হক প্রমুখ।

  • পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন হাফিজুর রহমানের মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন

    পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন হাফিজুর রহমানের মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    বিশ্বময় শান্তি ও মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনার মাধ্যমে আল-জামিয়া পটিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন

    ২২ ও ২৩ শে ডিসেম্বর (বৃহস্পতি ও জুমাবার) আল-জামিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আল-হামদুলিল্লাহ।

    গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও প্রধান মুফতি আল্লামা হাফেজ আহমদুল্লাহ (দাঃ বাঃ)-এর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আরম্ভ হয়।

    উক্ত মহাসম্মেলনে আলোচকগণের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, আল্লামা ইয়াহইয়া (হাফি.) মুহতামিম দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী।আল্লামা মুফতী রুহুল আমীন দাঃবাঃ, খতীব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা। আল্লামা হাফেজ এমদাদুল্লাহ মুহতামিম, বায়তুল হুদা মাদরাসা হাটহাজারী। আল্লামা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুহতামিম, জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর। মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, সিরাজগঞ্জ। আল্লামা মুফতী মীযানুর রহমান সাঈদ, ঢাকা। আল্লামা সাঈদুল আলম আরমানী, লোহাগাড়া।মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুয়াকাটা। ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন জিরি। ডক্টর মাওলানা মাহমুদুল হাসান আল-আযহারী,লন্ডন । আল্লামা হাসান জমীল সাহেব, ঢাকা। মুফতী কেফায়তুল্লাহ শফীক টেকনাফ, আল্লামা যাকারিয়া সাহেব, মুফতি জসীমুদ্দিন, হাফেজ আব্দুল হক রামু প্রমুখ।

    ২৩ শে ডিসেম্বর জুমাবার আসর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা অব্যহত ছিল। বক্তাগণ নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা করেন। পরিশেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করে মুনাজাত পরিচালানা করেন মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকি কুয়াকাটা (হাফি.)। হাজার হাজার মুসল্লির কান্নাভেজা মুনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে আল-জামিয়ার দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্ত হয়।

  • মসজিদের আজানের আওয়াজে আপত্তি জানিয়েছেন,চট্টগ্রাম ক্লাব সভাপতি নাদের খাঁন

    মসজিদের আজানের আওয়াজে আপত্তি জানিয়েছেন,চট্টগ্রাম ক্লাব সভাপতি নাদের খাঁন

    আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার একটি জামে মসজিদে উচ্চস্বরে আজানের আওয়াজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন ফটিকছড়ির সন্তান শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন।

    জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওই এলাকার প্রধান শাহী জামে মসজিদে আযানের সময় উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর পূর্ব নাসিরাবাদ শাহী জামে মসজিদের সেক্রেটারি বরাবরে লিখিত একটি চিঠি পাঠান তিনি ও তার স্ত্রী।

    মসজিদের আযানের আওয়াজ মসজিদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে লেখা সেই চিঠিতে তারা মসজিদ কমিটিকে সতর্ক করে দিয়ে লিখেছেন— ‘আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।’

    শিল্পপতি নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন চিঠিতে লিখেছেন— ‘আপনার নিকট এবং কমিটির অন্যান্য সম্মানিত সদস্যের নিকট বারবার অনুরোধ করেও এই পর্যন্ত শোনার ও বোঝার চেষ্টা করছেন না— আমাদের এই এলাকায় একই সাথে ৮-৯টি মসজিদ হতে আযান শোনা যায়। অথচ আপনারা কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে, আপনারা যেহেতু দূরে থাকেন, শোনার সুবিধার জন্য মাইকের আওয়াজ বাড়িয়ে রাখেন। এই বিষয়টি আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই পছন্দ করবেন না।’

    চিঠিতে লেখা হয়, ‘শুক্রবারে মসজিদে মাইকের মাধ্যমে ওয়াজ প্রচার করা হয়। আপনাদের অনুরোধ করেছি— এই আওয়াজ আপনারা মসজিদের ভেতরে রাখেন— কিন্তু এই পর্যন্ত তাও হলো না! অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অসুবিধা হতে পারে, অসুস্থ লোকের অসুবিধা হতে পারে— অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে— সবচেয়ে বড় কথা বিকট আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই বোঝা যায় না।’

    নাদের খাঁন ও তার স্ত্রী হাসিনা খাঁন মসজিদ কমিটির কাছে অনুরোধের সুরে লিখেছেন— ‘মসজিদুল হারাম, মসজিদুন নববী— এই সকল মসজিদে এই ধরনের মাইক ব্যবহার হচ্ছে কিনা খবর নেন। আপনারা যদি আমাদের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন, তবে সব ধরনের সহযোগিতা থেকে আমরা বিরত থাকবো।’

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।তারা এই দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে থানায় জিডি করেছেন।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

    উল্লেখ্য, ফটিকছড়ির নাজিরহাটের বাসিন্দা শিল্পপতি নাদের খাঁন।তার পরিবার চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন ।তিনি চিটাগং ক্লাবের সভাপতি ও পেডরোলো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফটিকছড়ির হালদা ভ্যালি চা বাগানের কর্ণধারও এই শিল্পপতি।

  • বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি মামলা

    বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি মামলা

    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বাঁশখালীতে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাসহ তার দুই পুত্র-কন্যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। মামলার বাদী সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা।

    মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদা আকতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নাজমুল আলম।

    সাইদুর রহমান বাঁশখালী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নুরুন্নবীর পুত্র। মামলায় ফরিদার ছেলে ছমুদুল হক ও মেয়ে সুমি বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

    জানা যায়, দীর্ঘ ৭০ বছরেরও বেশী সময় ধরে ফরিদা আকতার ও তার পরিবার বন্দোবস্তি লীজ মুলে ওই জায়গায় বসবাস করে আসলেও মামলাটিতে ফরিদা আকতার ও তার পুত্র কন্যাদের বিরুদ্ধে জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।

    এর আগে গত ২০ নভেম্বর ফরিদা আকতারের জায়গা জবর দখল চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বাঁশখালী পৌরসভার জঙ্গল জলদী আমিরাঘোনা এলাকার প্রায় ৫ কানি জায়গার উপর ঘরবাড়ি ভেঙে শত শত গাছপালা কেটে তান্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় ফরিদা আকতার হাইকোর্টে গত ১ ডিসেম্বর রিট পিটিশন নং ১৪৯৯৩/২২ দায়ের করেন। রিট শুনানি শেষে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিগত ১১ ডিসেম্বর তারিখে উক্ত জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ভূমি সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ারসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

    অভিযোগে মামলার বাদী সাঈদুর রহমান উল্লেখ করেন, বজলুর রহমানের মালিকানাধীন ১ কানি ৫ গন্ডা জমির খরিদা সুত্রে বর্তমান মালিক সাঈদুর রহমান। ওই জায়গা তিনি বুঝে পেয়েছেন। এখন ফরিদা ওই জায়গার জন্য তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। গত ২০ ডিসেম্বর জায়গা সার্ভে করতে গেলে তিনি ও তার লোকজনের উপর হামলা করা হয়েছে।

    এই মামলার বিবাদী ও হাইকোর্টের রিট মামলার বাদী ফরিদা আকতার বলেন, সাঈদ ও তার লোকজন আমার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা দিয়েছে। আমার মামলায় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা জোর করেই আমার জায়গার উপর কাজ অব্যাহত রেখেছে।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি কর্তৃক নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মগঘাটা নামক এলাকার একটি রাবার বাগানে অন্যত্র পাচার করার জন্য গোপনে রাখা অবস্থায় মালিকবিহীন নিম্নোক্ত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে বলে জানাগেছে ।
    উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার সিগারেটের এর মধ্যে রয়েছে
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ তৈরি Mond,
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ SO
    ৩৯০০ প্যাঃ বার্মিজ ORIS সহ মোট ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট।
    উদ্ধারকৃত বার্মিজ সিগারেট গুলো ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
    উল্লেখ্য নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বিহীন অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।