Category: জাতীয়

  • গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    ইসলামী রাজনীতি।

    “গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য”- পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ, রাজধানীর পল্টনস্থ বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য; উলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন- “গোষ্ঠিগত স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলের জন্যই ধ্বংস অনিবার্য। বর্তমান সংকটকালে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা জরুরি, না হলে দেশ আবারও ফ্যাসিবাদ ও বৈদেশিক প্রভাবের ভয়াল ছোবলের মুখোমুখি হবে।”

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী। সভায় বক্তারা বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এটি ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ফসল। যেখানে ছাত্র থেকে যুবক, পুরুষ থেকে নারী, আলেম থেকে আওয়াম সকলের রক্ত ঝরেছে। দল-মত নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠি নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থে এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

    বক্তারা আরও বলেন, “এই সরকার যেন বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নাতীতভাবে বাস্তবায়ন করে। একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও নারী অধিকার কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশন থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অপসারণ করে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।”

    তাঁরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষসমূহ এবং জাতীয় স্টেইকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যেন জবাবদিহিতা মূলক সরকারব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

    সভা থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবসমূহ:
    ১. গোষ্ঠিগত ও দলীয় স্বার্থ পরিহার করে আন্তরিক ঐক্যই এখন সমাধান।
    ২. ইন্টেরিম সরকারের প্রতি অহেতুক চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে দায়িত্বশীল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা।
    ৩. বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীতভাবে সম্পন্ন করার দাবি।
    ৪. বিতর্কিত উপদেষ্টা ও কমিশন সদস্যদের অব্যহতির মাধ্যমে আস্থা পুনঃস্থাপন।
    ৫. চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা ইস্যু ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বপক্ষীয় সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

    বক্তারা বলেন, “এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যই আমাদের প্রধান শক্তি। বিভক্তি ও হঠকারী রাজনীতি দেশের অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সকল পক্ষকে এখনই দায়িত্বশীল ও বিবেকবান ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা জালাল উদ্দীন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসউদ, ড. ফয়জুল হক, অধ্যক্ষ মোশাররফ হোছাইন, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ফেনী, মাওলানা হানযালা, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মীর হুসাইন, মাওলানা ছানা উল্লাহ বিজয়নগর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফি প্রমূখ।

  • দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন।

    দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন।

    www.ukhiyavoice24.com

    দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে- মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন,দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই জাতীয় উন্নয়নের জন্য যাকাতের ফান্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূর করতে হবে। আত্মনির্ভরশীল না হলে ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অবদান রাখা যায় না। উন্নয়ন করা যায় না। টেকসই জাতীয় উন্নয়ন কোনো স্লোগানের বিষয় নয়, কাজের বিষয়। ক্ষুধার্ত, বস্ত্রহীন ও কর্মহীন রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

    ৮ মার্চ’২৫ শনিবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে “দারিদ্র দূরীকরণ ও টেকসই জাতীয় উন্নয়নে যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক” আলোচনা সভা ও সূধীদের সম্মানে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
    ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইন্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মুরাদ হোসেন, এডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি মোঃ মাছউদুর রহমান, মুফতি নিজামুদ্দীন, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মুফতি আরমান হোসাইন, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

    তিনি আরো বলেন, ক্ষুদার্থদের খাবার দিতে হবে। বস্ত্রহীনদের বস্ত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই হবে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন।

  • প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    নিউজ ডেস্ক: www.ukhiyavoice24.com

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশংকা থেকে যাবে। তাই এসব ক্ষেত্রে সংস্কার হতেই হবে।

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের নব্বইটিরও বেশি দেশে অনুসৃত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পিআর (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি দাবী করেছি। আমরা মনে করি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক তা চায় না। বরং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ করতে এবং নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

    রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এর রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সন্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০২৪ আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবময় ইতিহাস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাইয়ের শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে স্বনামেই এই আন্দোলনের অংশ ছিলো। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। এখন সময় হলো বাংলাদেশ গড়ার।
    আমরা দেশের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন করে সৌহার্দ ও সহযোগীতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব জনপ্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ইসলামে প্রতিবেশিকে সন্মান করা এবং প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেশিকে সন্মান করার এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে তাদের কোন ক্ষতি না করতে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সাথে রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল মাজলুমদের ব্যাপারে আমরা সহমর্মীতা জানাচ্ছি এবং তাদের স্বাধীকারের আন্দোলনের সমর্থন ঘোষণা করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফেসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের বিচার না হলে মানুষের রক্তের দায় জাতীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাড়া করবে। তাই যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কোন নিরাপরাধ যেনো কষ্ট নায় আর কোন অপরাধী যেনো ছাড় না পায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে যেখানে দারিদ্র, বেকারত্ব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে,পরমত সহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সহ-অবস্থান নিশ্চিত হবে। নাগরিকের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারকে প্রধান্য দিয়ে ব্যবসা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র।
    আজ ৭ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা, শফিকুর রহমান, বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুল মইন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকাতুল্লাহ ভুলু, সালাহদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, আমার বাংলাদেশ পার্টির মহাসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক আহমেদ।
    এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, চিন, নেদারল্যান্ডসের হেড অফ মিশন আন্দ্রে কার্টসটেনস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটান ও কসোভ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

    দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক জনাব মোস্তাফা কামাল, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমেদ মানসুর, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা

    লাখো মুমীনের আমীন ধ্বনিতে চরমোনাইর ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আখেরী মুনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন পীর সাহেব চরমোনাই, ১০ জনের মৃত্যু ও ৪ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত ৩দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি’২৫ বুধবার বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি’২৫ শনিবার সকাল ৮.৩০টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীদের আধ্যাত্মিক এ মিলনমেলা।

    সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে দ্বীনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য হতে বাচিয়া থাকতে হবে। আলস্নাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।

    সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।

    আখেরী বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বাচিয়া থাকার শপথ করান।

    আখেরী মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।

    এবছর মাহফিলে মূল ৭টি বয়ানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ সহ সৌদিআরব, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিশর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কের বিশিষ্ট ওলামায়ে কিরাম।

    উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে ১০ জন বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ নিবাসী মো.আলাল খালাশি (৭২), পাবনা নিবাসী আব্দুল জলিল খান (৬৫), গাজীপুর নিবাসী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বেপারী (৫০), চুয়াডাঙ্গা নিবাসী মো.ওসমান(৫০), নীলফামারি নিবাসী মো.মঞ্জুরুল ইসলাম(৬০), চাঁদপুর নিবাসী আলি আহম্মদ (৫৫), বগুড়া নিবাসী মো.আব্দুল হামিদ(৬৫), চাদপুর নিবাসী মো.আইউব আলী(৬০), নারায়ণগঞ্জ নিবাসী মো.আলতাফ হোসেন(৬৫), নরসিংদী নিবাসী মো.আবুল কালাম(৪২)। সকলের জানাযা শেষে মাহফিল হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

    চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এবছর প্রায় ৩ সহস্রাধিক মুসল্লীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এবারের মাহফিলে ৪জন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

  • সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে- ইসলামী আন্দোলন।

    নিউজ ডেস্ক:

    সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ খ্রি: শনিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপস্থিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পরে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক চরিত্র বদলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে ঐকমত্য তৈরির বার্তা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

    বৈঠকে কমিশনসমূহের প্রতিবেদন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

  • নির্বাচনের পূর্বেই গণহত্যার বিচার করতে হবে: আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান

    নির্বাচনের পূর্বেই গণহত্যার বিচার করতে হবে: আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারী) কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্পন্ন হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড.শফিকুর রহমান । বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান।

    চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আহাসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মৌলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক মঞ্জু ।
    সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, দেলাওয়ার হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়াত উল্লাহ, আল আমীন মু সিরাজুল ইসলাম,অফিস সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান। কক্সবাজার শহর আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার সদর আমীর অধ্যাপক খুরশীদ আলম আনসারী, শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোঃ শাকিল,জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অডভোকেট শাহজালান চৌধুরী। এতে বিভিন্ন উপজেলা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

  • পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ রিপোর্ট।

    পশু কুরবানী করার সময় যে সব দোয়া পড়া হয়।

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَ مَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ * إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ * لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ পশু কুরবানী করার পূর্বে দোয়াটি পাঠ করে পশুর ঘাড়ের নিকটতম বাহুর উপর নিজের ডান পা রেখে

    اللَّهُمَّ لَكَ وَ مِنْكَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُ أَكْبَر
    দিয়ে দ্রুত জবেহ করুন। কুরবানী যদি নিজের পক্ষ থেকে হয় তাহলে জবেহ করার পর এই দোয়া পাঠ করুন।

    اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ وَخَلِيْلِكَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ
    وَحَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم

    আর যদি অন্য কারো পক্ষ থেকে পশু কুরবানী করা হয় তবে জবেহকারী বক্তি তাঁর শব্দের স্থলে ওর বলে যার কুরবানী তার নাম উচ্চারণ করবেন।

  • দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে- হাফেজ মাওলানা দিদার বিন হাসান।

    দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে- হাফেজ মাওলানা দিদার বিন হাসান।

    কুরবানির মাসআলা।

    প্রশ্ন:
    দেশের কোনো কোনো এলাকায় কুরবানীর গোশত বণ্টনের একটি সমাজপ্রথা চালু আছে। এই সমাজের নিয়ম ‎হল, এলাকার যারা কুরবানী করেন, তাদের কুরবানীর গোশতের তিন ভাগের একভাগ বাধ্যতামূলকভাবে সমাজে জমা ‎করতে হয়। পরবতীর্তে এই গোশত নির্দিষ্ট সমাজভুক্ত সকল ব্যক্তিবর্গ, যারা কুরবানী করেছেন এবং যারা কুরবানী ‎করেননি সবার মধ্যে বণ্টন করা হয়। এরূপ বণ্টন কি শরীয়মসম্মত? এক্ষেত্রে করণীয় কী?‎

    #উত্তর: কুরবানীর গোশত বণ্টনের প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিটি আমাদের দেশের কোনো কোনো এলাকায় প্রচলিত একটি সমাজপ্রথা। ‎সাধারণ দৃষ্টিতে এটি একটি ভালো উদ্যোগ মনে হতে পারে; কিন্তু কোনো সামাজিক প্রথা বা রীতি পালন করার জন্য তা ‎শরীয়তের দৃষ্টিতে শুদ্ধ ও আমলযোগ্য কি না— তাও নিশ্চিত হতে হয়। ভালো নিয়ত থাকলেও শরীয়ত সমর্থন করে না ‎অথবা ইসলামের নীতির সাথে মানানসই নয় এমন কোনো কাজ করা বা এমন কোনো রীতি অনুসরণ করার সুযোগ ‎নেই।

    প্রশ্নোক্ত সমাজপ্রথাটিতে উদ্দেশ্য ভালো হলেও যে পদ্ধতিতে তা করা হয় এতে শরীয়তের দৃষ্টিতে মৌলিক কিছু আপত্তি ‎রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, সামাজিক এ প্রথার কারণে সকলেই তার কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ গোশত সমাজের ‎লোকদের হাতে দিতে বাধ্য থাকে। এবং এর বিলি-বণ্টন ও গ্রহিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু সমাজপতিদেরই হাত থাকে। ‎গোশত বণ্টনের ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা শরীয়তসম্মত নয়। কেননা শরীয়তে কুরবানী ও গোশত বণ্টন একান্তই ‎কুরবানীদাতার নিজস্ব কাজ।
    ঈদের দিন সম্মিলিতভাবে জামাতে নামায আদায় করতে বলা হলেও কুরবানীর জন্য কত মূল্যের পশু কিনবে, সে পশু ‎কোথায় জবাই করবে, গোশত কীভাবে বণ্টন করবে-এ বিষয়গুলো কুরবানীদাতার ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ‎শরীয়তে কুরবানীর কিছু গোশত সদকা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-দুঃখীদের কুরবানীর ‎গোশত দিতে তাকিদও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কুরবানীদাতার উপর অপরিহার্য করা হয়নি। বরং কুরবানীদাতা কী ‎পরিমাণ গোশত নিজে রাখবে, কী পরিমাণ সদকা করবে এবং কাকে কাকে বিলি করবে আর কী পরিমাণ আগামীর ‎জন্য সংরক্ষণ করবে— এগুলো কুরবানীদাতার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার এবং ব্যক্তিগতভাবে করার কাজ। এটিকে ‎সামাজিক নিয়মে নিয়ে আসা ঠিক নয়।

    তাই শরীয়তের মাসআলা জানা না থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গোশত বণ্টনের প্রশ্নোক্ত যে পদ্ধতি প্রচলিত ‎হয়েছে, তা পরিহারযোগ্য। নিম্নে সংক্ষেপে প্রশ্নোক্ত প্রথাটির কিছু ক্ষতির দিক উল্লেখ করা হল-
    ১. অনেক কুরবানীদাতার পরিবারের সদস্য-সংখ্যা বেশি হওয়ায় অথবা অন্য কোনো যৌক্তিক কারণে নিজ পরিবারের ‎জন্য বেশি গোশত রাখার প্রয়োজন হয়; ফলে সে পরিবারের জন্য বেশি গোশত রাখতে চায়। আবার অনেকে তার ‎কোনো দরিদ্র আত্মীয়কে কুরবানীর গোশত দিতে চায়। কিন্তু সামাজিক এই বাধ্যবাধকতার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‎সামাজিক রীতি অনুযায়ী কুরবানীর এক তৃতীয়াংশ গোশত সমাজে দিতে বাধ্য হয়। অথচ হাদীস শরীফে ইরশাদ ‎হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    إِنَّهُ لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ‎.‎
    কোনো মুসলমানের সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৬৯৫)‎
    ২. প্রশ্নোক্ত প্রথায় গোশতদাতা তার দানের অংশটি কাকে দেবে সে স্বাধীনতা হারায়। হয়তো সে তার নিকটাত্মীয় অথবা ‎পরিচিত কাউকে একটু বেশি পরিমাণে দিত, কিন্তু এক্ষেত্রে তার জন্য এমনটি করার সুযোগ থাকে না।
    ৩. অনেক মানুষ এমন আছেন, যারা প্রত্যেকের হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে চান না। আর শরীয়তও কাউকে সকলের ‎হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে বাধ্য করেনি। কিন্তু সামাজিক এই রীতির কারণে গোশত গ্রহণকারী প্রত্যেকেই অন্য ‎সকলের হাদিয়া বা সদকা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। বলাবাহুল্য এ ধরনের ঐচ্ছিক বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ‎মোটেই উচিত নয়।
    ৪. এ ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপের আরেকটি ক্ষতির দিক হল, সমাজের কিছু মানুষ এমন থাকে, যাদের আয় ‎রোজগার হারাম পন্থায় হয়। সেক্ষেত্রে জেনে বুঝে তাদের কুরবানীর গোশত সমাজের সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া ‎হয়। অথচ হারাম উপার্জনের মাধ্যমে কুরবানীকৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয নয়।
    মোটকথা, শরীয়তের শিক্ষা মোতাবেক প্রত্যেককে তার কুরবানীর অংশ দান করার বিষয়ে স্বাধীন রাখতে হবে। প্রশ্নোক্ত ‎পদ্ধতিতে বা অন্য কোনোভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যাবে না। কুরবানীদাতা নিজ দায়িত্ব ও বিবেচনা মতো যাকে ‎যে পরিমাণ হাদিয়া করতে চায় করবে এবং গরীব-মিসকীনকে যে পরিমাণ সদকা করতে চায় করবে। রাসূলুল্লাহ ‎সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় থেকে শত শত বছর যাবৎ এ পদ্ধতিই চলমান আছে। এই পদ্ধতিই অবলম্বন ‎করা জরুরি। শরীয়ত যা চালু করতে বলেনি এমন কোনো প্রথা চালু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭২; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১০; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ‎৬/৪৮২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০; রদ্দুল মুহতার ‎৬/৩২৮

  • উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    উখিয়া উপজেলায় জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন করা হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ উপলক্ষে অদ্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজন করা হয়।

    উক্ত জাতীয় স্হানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে সেবা ও উন্নয়ন মেলা-২০২৩ শুভ উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমরান হোসেন সজিব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইমরুল কায়েস চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব মৃনাল বড়ুয়া, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, রাজাপালং ইউপি উদ্যোক্তা ওসমান সরওয়ার, ইউপি দফদার আব্দুল হক, ইউপি সচিব সহকারী জনাব আনোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ হোছাইন, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মনজুর আলম, ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলীসহ উপজেলার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • দিনাজপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

    ২৬ মার্চ রবিবার সকাল ০৬:০৩ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম মহোদয়।

    এ সময়ে জেলা পুলিশের চৌকস্ দলের ৩১ বার তোপধ্বনি প্রদানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয় ।

    ১৯৭১ সালে বাঙালির উপর নেমে আসা পাহাড় সমান বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ” তৈরী করার দুঃসাহসী নজির স্থাপন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি পুলিশ বাহিনী, যাকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। গর্বিত পুলিশ সদস্যের এই সাহসী পদক্ষেপটাকেই এই ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    উক্ত পুষ্পস্তবক অর্পণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), দিনাজপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

    এছাড়াও স্থানীয় সুধীজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।