Category: টেকনাফ

  • টেকনাফের তথ্য আপা বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

    টেকনাফের তথ্য আপা বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

    টেকনাফের তথ্য আপা বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়নে তথ্য আপার সেবা বিষয়ক বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা তথ্য সেবা কেন্দ্রের আয়োজনে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া গ্রামে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা তাছলিমা খাতুনের সঞ্চালনায় উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির আহমেদ, টেকনাফ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এনামুল হক প্রমূখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তথ্য সেবা সহকারী আফরোজা আক্তার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা তাছলিমা খাতুন বলেন,গ্রামের সহজ-সরল, নিরক্ষর মানুষ,যারা সরকারি অফিসে কোনদিন আসেনি বা সরকারি অফিসে আসতে ভয় পায়,তিনিও বাড়ির উঠানে বসে বুঝে যাচ্ছেন বা জেনে যাচ্ছেন সবকিছু। বিনামূল্যে ডায়বেটিকস ও রক্তচাপ মাপা,উদ্যেক্তা তৈরী,বিনামূল্যে চাকরির আবেদন করে দেওয়ার কাজ ও করেন তথ্য আপা। শুধু নারীদের জন্য আমাদের এ সেবা।

    প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন,তথ্য আপার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল মহিলারা বুঝতে পারছেন,তারাও পুরুষের মতো সমান গুরুত্বপূর্ণ। তারা ও রাষ্ট্রের মালিক। সরকারি দপ্তর তাকে আন্তরিক ভাবে সেবা দিতে বাধ্য। তথ্য আপা উপজেলায় তাদের সেবায় নিয়োজিত এবং উপজেলায় গেলে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করবে তথ্য আপা।

  • পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে টেকনাফের মানুষের অভিযোগ

    পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে টেকনাফের মানুষের অভিযোগ

    মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন আরমান টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি।

    আমাদের বাংলাদেশে প্রথম তারাবীহ শুরু হয় রবিবার রাত থেকে, কিন্তু সে রাতেই তারাবীহ’র সময় বিদ্যুৎ ছিল না। বিধায় তারাবীহ আদায় করতে অনেক কষ্ট হয়েছে বলে জানায় টেকনাফের মুসল্লিরা।
    তারা আরও জানায়, এমনকি তারাবীহ’র দ্বিতীয় দিনও বিদ্যুৎ ছিল না, সাথে সাথেই তারা আরও জানায়,যখন রমজান মাস এসেছে, তখন থেকেই তারা বিদ্যুৎ থেকে উপকৃত হতে পারছে না,
    এককথায় টেকনাফের মুসল্লিরা জানায়, তারাবীহ’র সময়, ইফতারের সময়, সাহরী খাওয়ার সময় তারা বিদ্যুৎ থেকে উপকৃত হতে পারছে না, কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, উল্লেখিত সময়গুলোতে বিদ্যুৎ থাকে না,যখন মানুষের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় না, তখন বিদ্যুৎ আসে , কিন্তু যখন বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়, তখন বিদ্যুৎ থাকে না,
    তারা আরও জানায়, বিদ্যুৎ শুধুমাত্র প্রতিবছর রমজানে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি ডিস্টার্ব করে,যা মুসলমানদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়,
    তারা আরও বলেন,আমরা মুসলিম, আমরা রমজানের রোজা রাখি, আমরা তারাবীহ পড়ি, বিধায় আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন,

  • টেকনাফে অতিরিক্ত পণ্যের মুল্য নেওয়াই ৮টি প্রতিষ্ঠান কে জরিমানা

    টেকনাফে অতিরিক্ত পণ্যের মুল্য নেওয়াই ৮টি প্রতিষ্ঠান কে জরিমানা

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

    আজ ৩ এপ্রিল পহেলা রমজান সকাল ১০ টার সময় টেকনাফ সহকারী কমিশনার( ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টেকনাফ বাজার পৌরসভার বিভিন্ন দোকান,ষ্টোরে
    মুল্য তালিকা না থাকায় এবং পণ্যেের অধিক মুল্যে নেওয়ার অভিযোগে এসব দোকানে জরিমানা আদায় করা হয়।
    রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ আইনে ৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ১.৪৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
    এই প্রতিষ্ঠান গুলো হলো টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজারের
    সিরাজ ষ্টোরকে ৩০ হাজার টাকা, তাহের ষ্টোর ২০ হাজার টাকা, মোঃ আলী ষ্টোর ৫০ হাজার টাকা, ইসলাম ষ্টোর ১০ হাজার টাকা, নিউ ভাই ভাই ষ্টোর ১০ হাজার টাকা,আব্দুল্লাহ ষ্টোর ১০ হাজার টাকা, জহির ষ্টোর ১০ হাজার টাকা,নিপুন ষ্টোর ৫হাজার টাকা,
    টেকনাফ সহকারী কমিশনার( ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী জানান,রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের বাজার মুল্য নিয়ন্ত্রন করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এবং যে কোন দোকান বা ষ্টোরে পণ্যের অধিক মুল্য নিলে এই অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

  • টেকনাফে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মৌলভীর জায়গা দখল।মানছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা

    টেকনাফে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মৌলভীর জায়গা দখল।মানছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

    আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা দখলের প্রতিবাদে প্রবাসী মৌলভী কবির আহমেদের সংবাদ সম্মেলন।
    বৃহস্পতিবার ৩১ মার্চ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে পূর্ব গোদারবিল ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী মৌলভী কবির আহমদ জানান,
    সদর মৌজার বিএস ৫৭৭ নং খতিয়ানের বিএস ১৪৯৬, ১৪৯৭,১৫৩০, ১৩৮৪, ১৩৮৫ নং দাগাদি হইতে বায়াদারের আপোস দখল মতে বিএস ১৪৯৬ দাগের আন্দর ৪২ শতক জমির তুলনামূলক দিয়ারা ১০৩৫ নং খতিয়ানের দিয়ারা ৩৩০৭ দাগের আন্দর ৪২ শতক বিরোদীয় জমিটি এখন প্রভাশালীরা দখল করেছে। মৌলভী বলেন, আমি একজন প্রবাসী । আমরা দেশের জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠিকে থাকি ।দেশের মানুষ আমাদের রেমিটেন্সযোদ্ধা বলে জানে ।কিন্তু স্থানীয় একটি প্রতাবশালী চক্র মুজিববর্ষের ঘর দেয়ার নামে আমার জায়গাটুকু দখল করেছে ।আমি বাঁধা প্রদান করলে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি শঙ্কাং আছি যে,নিজের জায়গা উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণে বাচি নাকি মরি। জুহুরা খাতুনের ভাড়াটে গ্যাংয়ের দাপুটে ভিটে ছাড়া হয়ে দিকবেদিক ঘুরছি ।

    সংবাদ সম্মেলনে মৌলভী কবির আহমদ আরো বলেন, উপরে উল্লেখিত খতিয়ানে প্রভাবশালী রফিক জুহুরা খাতুনকে মুজিববর্ষের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে ।তখন রফিক বলেছেন, এই ঘর প্রধানমন্ত্রীর,তুমি যদি উল্টাপাল্টা কিছু করো থাক, তাহলে মুজিববর্ষের ঘর ভাঙার অপরাধে তুমি মৌলভী কবিরের নামে মামলা হবে।

    এবিষয়ে ভূক্তভোগি কবির আহমদ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।
    এদিকে এম আর মামলা ৫৪৫/২০২২ ধারা-ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৪৪ মোতাবেক গেল ২১/০৩/২০২২ খ্রি: নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মোঃ আবু সুফিয়ানের আদালত। আগামি ২৫/০৪/২২ ধায্য তারিখে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

  • টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর কানজর পাড়ায় তিনটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে

    টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর কানজর পাড়ায় তিনটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর কানজর পাড়ায় তিনটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
    আজ শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা মোশল আলীর পুত্র নুরুল আমিনের বসতঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

    বাড়ির মালিক নুরুল আমিন জানান, আমার বাড়িতে কেউ ছিল না। হয়তো গ্যাস সিলিন্ডারের লাইন চালু করা ছিল। তাই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকার কারণে বাড়ি থেকে কিছুই বের করা যায়নি। আমার বড় ভাইয়ের বাড়িসহ আরেকটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    স্থানীয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, আমার গ্রামে আগুন লাগার খবর শুনে আমি তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এলাকাবাসীদের সবার সহযোগিতায় আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করা হবে। তাই স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এলাকার বিত্তশালীসহ এনজিও সংস্থা গুলোদের ও অনুরোধ করতেছি সাহায্য করতে।

    এদিকে খবর পেয়ে টেকনাফ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম- দুর্নীতির আখড়া

    টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম- দুর্নীতির আখড়া

    ইব্রাহীম মাহমুদঃটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

    কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নিয়মনীতি ছাড়া চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।আউটডোর-ইনডোরের রোগীরা জানান,সকাল হতে দূরদুরান্ত থেকে সরকারি সেবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে হাসপাতলের আউটডোরে এসে যথাসময়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। দুয়েকজন আসলেও তাদের ইচ্ছা মোতাবেক চেম্বারে বসে কিছু রোগীকে সেবা দিয়ে ১২টার পরপরই চলে যায়। দুপুর ২টার আগেই স্ব-স্ব প্রাইভেট চেম্বারে বসে নগদ টাকার বিনিময়ে রোগী দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।এটাই এখন হাসপাতালের ডাক্তারদের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

    আউটডোরে যে অবস্থা,জরুরি বিভাগ ও ইনডোরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে সেবা নিতে আসা রোগিরা ক্ষোভের সাথে জানান। জরুরি বিভাগের অবস্থা আরো ভয়ানক ! কোনো মুমূর্ষ রোগি জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে কর্তব্যরত এম বিবি এস ডাক্তার উপস্থিত থাকে না। তদস্থলে কোনো কোনো সময় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নতুবা নার্সরা ডাক্তারের কাজ চালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এদেরকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা।এই নার্সরা মুমূর্ষ রেগিদেরকে সেবা দেয়ার নামে জল্লাদের মতো ইনজেকশন পুশিং, স্যালাইন, সেলাই ইত্যাদি করে থাকে বলে ভুক্তভোগি রোগিরা জানান।
    এমনকি রোগীদেরকে বসার ও শুবার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও ওকানে না বসিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় সেলাই পুশিং করে থাকে বলে অভিযোগ ওঠেছে।এবিষয়ে কোনো রোগির বা রোগির আত্বীয়স্বজন অভিযোগ করলে তাদেরকে গালমন্দ করে থাকে বলে রোগির স্বজনরা জানান।

    সূত্রে জানায়, বদিউল আলম (বদি) ফজলুল হক এই দুই পুরুষ নার্স দীর্ঘ বছর ধরে টেকনাফ হাসপাতালে কর্মরত থাকার সুবাদে অনিয়ম ও অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে হাসপাতাল কে। আরেক কর্মচারী এ্যাম্বুরেন্স চালক স্বপন টেকনাফ হাসপাতালে দীর্ঘ বছর চাকরি করার বিগত ২-৩ বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন।এরপরেও তিনি সরকারি কোয়াটার এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে এ্যাম্বুলেন্স-এর মাধ্যমে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই উখিয়ায় গড়েছে বিলাস বহুল বড়ি ও কোটি টাকার সম্পদ। সেই স্বপন এখনো মাদক কারবারে জড়িত আছে বলে জানা গেছে।এই স্বপনের সম্পদের হিসেব টানলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।

    প্রাইভেট চেম্বারে বসে চিকিৎসকেরা রোগীদের কে ব্যবস্থাপত্র দেবার আগেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজ ধারিয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট করে ল্যাবের নাম বলে দেয় বলেও জানায় রোগিরা। টেকনাফ পৌরসভা থেকে আসা তাসমিন,নজির ও কামাল জানান,তাদের নির্দিষ্ট করে দেয়া ল্যাবে গেলে কমপক্ষে দুই হতে তিন হাজার টাকা ফি নেয়।এতে বিপদের সন্মূখিন হয় হতদরিদ্র রেগিরা।টাকার পরিমাণ এতো বেশি কেন জানতে চাইলে ল্যাবের লোকজন জানান,প্রতিটি পরীক্ষার পেছনে চিকিৎসকদের ৩০% এবং চিকিৎসকদের সহকারিদের ১০% করে দিনশেষে বুঝে দিতে হয়। অথচ প্রতিটি হাসপাতালে রোগিদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য সরকারি ল্যাব ও টেকনেশিয়ান রয়েছে।কিন্তু টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত টেকনেশিয়ান বেসরকারি ল্যাবে পার্ট টাইম কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত এক্স-রে ফ্লিম বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।অন্যান্য সব পরীক্ষা বিনামূল্যে করার নিয়ম থাকলেও টেকনেশিয়ানরা ডায়াবেটিস ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে নেয় বলে ভোক্তভোগি রোগিরা জানান।ইনডোরে থাকা পুরুষ ও মহিলা রোগিরা জানান,সরকারিভারে বিনামূল্যে সকালে উন্নমানের নাস্তা,বিকালে দুবেলা ভাত দেয়ার নিয়ম থাকলেও কিন্তু দেয়া হয় নিম্মমানের নাস্তা ও খাবার ।মেয়াদ উত্তীর্ণ রুটি, বিস্কুট ও নষ্ট ডিম কোনো কোনো সময় দেয়া হয়।খাবারের মান অত্যন্ত নিম্ম ।মাঝেমধ্যে দেয়া হয় না ,অথচ প্রতিদিন বিভিনন্ন সীটে রোগি দিখিয়ে খাবারের টিকারদার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।সাম্প্রতিক সময়ে খাবারের টিকাদারের নিয়োগ নিয়ে টেকনাফ উপজেলার প্রতাপশালীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে একটি গ্রুপ ওই টিকাদারি ছিনিয়ে নেয়।এদিকে সরকারিভাবে হাসপাতালের দিবারাত্রি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ থাকলেও তারা কর্মস্থলে সঠিক সময়ে থাকে না।ফলে মাদকসেবনকারী,পাচারকারী ও বাজারজাত করণকারীরা হাসপাতালের অভ্যান্তরে আড্ডাখানয় পরিণত হয়েছে।এদের সাথে জড়িয়ে পড়ছে হাসপাতালে কর্মরত কথিপয় কর্মচারিরাও।গেল ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং ২০ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পিয়ন রামু উপজেলার আব্দু রহিম কে আটক করেছিল টেকনাফ থানা পুলিশ।বর্তমনে সে জেল হাজতে রয়েছে। গেল কয়েকদিন আগে ময়ূরী নামের একজন ট্রোইনারও মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে।টেকনাফ হাসপাতালে এই দুই কর্মচারী ইয়াবাসহ আটকের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।সচেতন মহলে বলতে শুনা যায়, টেকনাফ হাসপাতাল কি রেগির সোবার প্রতিষ্ঠান না ইয়াবার করাখানা।

    এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: টিটু চন্দ্র শীল বলেন,ইয়াবাসহ কর্মচারীদের আটকের বিষয়টি সঠিক। হাসপাতালের টয়লেট অপরিষ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টেকনাফ পৌরসভার থেকে এসে পরিস্কার করে বলে জানান। উল্লেখিত অন্যান্য বিষয়গুলো অস্বীকার করে ক্ষোবের স্বরে নিউজ করতে বলে রাগান্বিত হয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেন ।

  • রমজানের আগেই টেকনাফে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দামঃ মনিটরিং প্রয়োজন

    রমজানের আগেই টেকনাফে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দামঃ মনিটরিং প্রয়োজন

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি,

    পবিত্র রমজান কে সামনে রেখে টেকনাফে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে । প্রতিরোধের কেহ নেই । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের পরিবারের প্রতি অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রমজান কে সামনে রেখে এক শ্রেণীর মুদির দোকানদার, আড়দার, রমজানের ব্যবহ্নত পণ্য মজুদ করতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। টেকনাফ উপজেলা পৌরসভা ও সাবরাং ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজারে পরিদর্শন করে দেখা যায়।প্রতিটি পন্যের দাম বাড়া।

    এক দোকানের পণ্যের দামের সাথে অন্য দোকানের দামের কোন মিল নেই। দোকানে কোন মুল্য তালিকা নেই।
    বিশেষ করে পেয়াজ,ছোলা, ডাল,চিনি,ভোজ্য তৈল, গুড়া দুধ, হলুদ,মরিচ, ইত্যাদির দাম দিন দিন বাড়ছে।
    সরকার পবিত্র রমজান কে সামনে রেখে ভোজ্য তেলের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও টেকনাফে তৈলের মুল্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
    বরং বাড়ছে। এ ছাড়া চাল, কাঁচা মরিচ, কাঁচা মাছ, কাঁচা তরকারি ইত্যাদি ও দাম বাড়ছে।

    রমজান না আসার আগেই এভাবে পন্যের দাম বাড়তে থাকলে রমজানের সময় ইহা দ্বিগুণ হবে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

    বর্তমানে দেশীয় পিয়াসের দাম ৩৫ টাকা হলেও কিন্তু ভারতীয় পিয়াসের দাম প্রতি কেজি ৫০টাকা। ভোজ্য তৈল রুপচাঁদা প্রতি লিটার ১৮০,বসুন্ধরা১৬০, ফ্যামিলি১৭০, টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ।সরকারি সার্কোলার অনুযায়ী প্রতিটি দোকানে দৈন্দিন পন্যের তালিকা প্রদর্শনের কথা থাকলেও কোন দোকানদার তা প্রদর্শন করেনা বলে ক্রেতা সাধারণ জানান। ফলে দোকানদার, আড়দার তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছে। সাধারন ক্রোতারা জানান এর এক মাত্র মূল কারণ হচ্ছে বাজার মনিটরিং না করা।
    সরকারের স্ব-রাষ্ট্রমন্তনালয় ও বানিজ্য মন্তনালয় নান্তঃমন্তনালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যেসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা
    সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ এরফানুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রতিটি হাট বাজারে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হবে।

  • টেকনাফ উপজেলায় সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত

    টেকনাফ উপজেলায় সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত

    ইব্রাহীম মাহমুদ:- টেকনাফ,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সহ ব্যবস্থাপনা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে
    নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সৌজন্যে টেকনাফ সহ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির আয়োজনে
    টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিশাল র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, টেকনাফ পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিল মোহাম্মদ দিলু, মধ্যম হ্নীলা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমজাদ হোছন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও পরিবেশ কর্মী নুরুল আমিন, নেচার রিসোর্চ ম্যানেজার অশীম কুমার বড়ুয়া, সাইট সমন্বয় কারি নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের মোহাম্মদ সওকত উসমান।

    পরে দিবসটি উপলক্ষে টেকনাফ রেঞ্জ মাঠে সিপিজি কমিটি (বন পাহাড়া দল) সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন, সাইট সমন্বয় কারি নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের মোহাম্মদ সওকত উসমানের পরিচালনায় টেকনাফ রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়

    পাশাপাশি উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দের পুরস্কার বিতরণ, সহ ব্যবস্থাপনা কার্য্যালয়ে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয়,পরবর্তীতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মহোদয় সকলকে সহ-ব্যবস্থাপনা দিবসের তাৎপর্য কে অন্তরে ধারণ করে প্রকৃতিকে বাঁচাতে টেকসই সহ ব্যবস্থাপনাঃ রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৭ বাস্তবায়ন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন, নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প ব্যবস্থাপক – এনআরএম, অসীম বড়ুয়া,সাইট সমন্বয়কারী মোঃ শওকত ওসমান, সাইট ফেসিলিটেটর নজরুল ইসলাম। মোহাম্মদ ইদ্রীস ওয়াহিদ, মোঃ আব্দুল্লাহ, ইদ্রীস খান, মোহাম্মদ নুর সহ আরো অনেকেই।

  • হ্নীলার হামিদ হোসাইন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পথে, তাঁর চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা দরকার

    হ্নীলার হামিদ হোসাইন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পথে, তাঁর চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা দরকার

    ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ,

    প্রায় গত ৫বছর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে হ্নীলায় এক বাড়িতে গাছ পড়ে পা ভেঙ্গে যাওয়া অতিদরিদ্র পরিবারের দিন-মজুর বাবার এক ছেলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

    এখন সে আর্থিক দৈন্যতায় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় থাকায় এখন সে নিজ, পরিবার, সমাজ ও এলাকার প্রতি চরম অভিমানী হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় আমরা সকলে মানবিক সহায়তার মনোভাব নিয়ে তার পাশে না দাড়ালে সে আত্নঘাতী হয়ে উঠতে পারে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭সালের ৩০মে সকালে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম ফুলের ডেইলের দিন-মজুর (বলাপিড়া বিক্রেতা) কামাল হোছনের বাড়িতে ইউক্লিপটাস (বাম) গাছ ভেঙ্গে পড়ে।

    তখন বাড়িতে থাকা লোকজন কান্নাকাটি করলে আশ-পাশে লোকজন এসে গাছের নীচে চাপা পড়া কামালের ২য়পুত্র হামিদ হোছাইন (২৯) কে বাম পা ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
    সে ঘরে ৪ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় সন্তান। অতিদরিদ্র অসহায় পিতা কামাল হোছন নিজের সহায়-সম্বল যা ছিল এবং সমাজের বিত্তবান ও দানবীরদের সহায়তায় কক্সবাজার আল-ফুয়াদ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৫দিন থাকেন। এরপর ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৩দিন থাকেন।
    সেখানে অপারেশনের পর নির্ধারিত সময়ে অপারেশন খুলে নেওয়ার কথা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯সালে ৩য় দফায় জেনারেল হাসপাতালে দুই দফায় ৩৭দিন থাকলেও আর্থিক অভাবে চিকিৎসা সহায়তা মিলেনি। এরপর ২০২১সালে ৪র্থ দফায় কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৫দিন অবস্থান করে।

    সুস্থতা হওয়ার নিশ্চয়তা ছাড়া ২লাখ টাকায় অপারেশনের কথা বলা হলেও আর্থিক সংকটে নিরুপায় হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ২৭দিন অবস্থান করে একটু সুস্থ হওয়ার আশায় কাতরালেও কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে রাজি হইনি।
    এরপর ৫ম বার চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কক্সবাজারের ডাক্তারের অপারেশন রোগী যেখানে চিকিৎসা নিয়েছে সেখানে করাতে হবে বলে রাজি হইনি। সর্বশেষ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে গেলে ৫লাখ টাকায় অপারেশনে ১৩দিনের মধ্যে সুস্থ করে দেওয়ার কথা বলা হয়।

    টাকার অভাবে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালেও চেষ্টা চালিয়ে তবে এই অপারেশন এখানে হয়না বলে বিফল হয়ে ফিরে এসেছে বার বার। কিন্তু বুকের মধ্যে হাজারো স্বপ্ন একে রাখা যুবক হামিদের বাবা অতিদরিদ্র এবং দিন-মজুর হওয়ায় এমনিতে সংসার চালাতে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তার উপরে পা ভাঙ্গা ছেলের চিকিৎসা খরচ যোগাড়ের কথা যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত কথা।এরই মধ্যে হামিদ হোছাইনের অপারেশন করা উরুতে (রানে) গত বছরের ৭জুলাই হতে ইনফেকশন শুরু হয়েছে।

    প্রতিরাতে বিষাক্ত রক্ত ও পুইজ পড়তে শুরু করেছে। এখন সে আর্থিক সংকটে নিয়মিত ড্রেসিং পর্যন্ত করাতে পারছেনা। তাই সে চরম হতাশ হয়ে বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছে।তার ঘনিষ্ট বন্ধুদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সে দারিদ্রতা আর নিজের প্রতি চরম অভিমানে আতœহননের মতো জঘন্য পথে পা দিতে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
    তাই আমরা সকলে একটি জীবন বাঁচাতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার আহবান রইল।

    কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল নাম্বার-(০১৮৫৫-৭৭৯২৯০) কথা বলতে পারেন।এই ব্যাপারে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এবং গ্রীন এনভায়রনমুভমেন্ট টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি তারেক মাহমুদ রনী জানান,একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও তার স্বপ্নকে বাঁচাতে আমরা একটি চিকিৎসা সহায়তা বোর্ড গঠন করবো। আশাকরি আমরা সকলে দলমতের উর্ধ্বে উঠে মানবিক কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসব। জয় হোক মানবতা।

  • শাহপরীরদ্বীপে বসতবাড়ী পুড়ানো মামলার আসামী আটক

    শাহপরীরদ্বীপে বসতবাড়ী পুড়ানো মামলার আসামী আটক

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৮নং ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় জমি বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে
    বসত বাড়ী পুড়িয়ে হত্যা চেষ্ঠার ঘটনায় ১৭ মার্চ কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে । যাহার মামলা নং- ৯২/২০২২। উক্ত মামলায় শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকা হাফেজ উল্লাহ(৩২) কে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার মকবুল আহমদ প্রকাশ মকবুল মাঝির পুত্র ও মামলার ৩নং আসামী।

    এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাফিজুর রহমান জানান, শাহপরীর দ্বীপে বিভিন্ন মামলার আসামী অবস্থানের গোপন সংবাদের ভিক্তিতে এসআই আবদুল বাতেন এর নেতৃত্বে ২০ মার্চ বিকালে একদল পুলিশ শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী হাফেজ উল্লাহকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীকে সোমবার কক্সবাজার আদালতে প্রেরন করা হবে। অন্যান্য আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
    উল্লেখ্য রবিবার (৬মার্চ) ভোররাত আনুমানিক ২টার দিকে জমি বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রতিপক্ষকে হত্যার উদ্দেশ্ব্যে ঘুমন্ত অবস্থায় বসতবাড়ীতে আগুন দেয়।

    এতে বাড়ীর মালিক ও পরিবারের সদস্যরা প্রানে রক্ষা পেলেও বসত বাড়ীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় মামলার অন্যান্য আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে।