Category: টেকনাফ

  • সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফের সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত

    সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফের সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত

    • ইকবাল আজিজ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফ এর আওতাধীন ৩নং টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হয় ।


    ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কাসেমুল উলুম গোদার বিল মাদ্রাসায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সভাপতিত্বে সাধারণ-সম্পাদক ইব্রাহিম রাহীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওঃ নছরত আলী ও
    বিশেষ অতিথি সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষী ফেরদৌস ইসলাম ।
    আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওঃ সাঈদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইকবাল আজিজ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম, কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ আব্দুর রহমান, হাফেজ রফিকুল হক, হাফেজ ইসমাইল, মাওঃ মোঃ ছিদ্দীক, মাওঃ জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ ।
    এতে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর যথাক্রমে সদর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা হয়,
    সভাপতি মাওলানা ইউসুফ কাদের, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি মাওলানা ইসমাইল নজীব, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন মাহমুদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নোমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ সাঈদুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম, দফতর সম্পাদক মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রশিদ আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আমিন শরিফ, সিনিয়র সদস্য নুরুল আমিন, মাওঃ তাহের, মাওঃ হেলাল উদ্দিন ও মাওলানা শব্বির আহমদ, মাওলানা সৈয়দ আলম, মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মাজেদ, মোঃ আমিন, মাওলানা রবিউল হাসানকে সাধারণ সদস্য করে ২১জনের কমিটি ঘোষণা করা হয় ।
    সংগঠনের সভাপতি বলেন, উপজেলার সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন সওতুল হেরা সোসাইটি টেকনাফ, আমরা অল্পদিনেই হাটি হাটি পা পা করে আজ এতদূর এসেছি আপনাদের দোয়ায়, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা আরো এগিয়ে যেতে চাই, তারই ধারাবাহিকতায় আজ সদর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, ইনশাআল্লাহ পালাক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়ন কমিটি করা হবে, আপনারা যদি বিগত দিনের মতো আমাদেরকে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করেন আমরা সমাজকে সুন্দর একটি প্লাটফর্ম উপহার দিতে সক্ষম হবো ।

  • রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা, মনিটরিংয়ে হচ্ছে কমিটি

    • মোঃ শহিদ উখিয়া

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আর আশ্রয় দিয়েই বিপদে পড়েছে সরকার। এদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট এবং প্রত্যাবাসন কোনোটতেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বরং গত তিন বছরে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিন দিন বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের টাস্কগ্রুপ গঠনের পাশাপাশি মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত হচ্ছে পৃথক জাতীয় কমিটি।
    সূত্রে জানা গেছে, মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নানা দেন দরবারেও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। বরং মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে তারা। এতে জঙ্গিবাদের শঙ্কাসহ বিষয়টিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করছে সরকার। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতামূলক কার্যক্রম, বিভিন্ন বাহিনী গঠন ও আন্তর্জাতিক নানা ইন্ধন ঠেকাতে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে ঘাটতি দেখছেন নীতি নির্ধারকরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে ঘাটতি দূর করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নগদ অর্থের লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট করছে। নগদ অর্থ লেনদেনের কারণে ক্যাম্পে অপরাধমুলক কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা দেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।’
    এদিকে গোয়োন্দা সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা প্রশাসনের অগোচরে বিভিন্ন নামে বেনামে কমিটি গঠন করছে। যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। সরকারে বিভিন্ন বাহিনী দিনের বেলায় ক্যাম্পে কাজ করলেও রাতে ক্যাম্পে কী ঘটে তা নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেউ জানে না। সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ করা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফলাফল আশানুরূপ নয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমার ফিরে যেতে রাজি হয় সেজন্য এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়।
    দেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে সবাই নিরাপত্তা ঘাটতি দূর করার তাগিদ দেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে টাস্কগ্রুপ গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পাশপাশি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মানবিক সহায়তা জরুরি ত্রাণ, এনজিওর নিবন্ধন ও তাদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
    এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা শুধু যে এখানে বসবাস করছে তা কিন্তু নয়; এখানে তারা মাদক, চোরাচালান, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকিতে চলে গেছে। এদের সঙ্গে আন্তজার্তিক অপরাধীদের সংযোগ থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যদিও সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি সবাই কাজ করছে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমরা চাই, বিচ্ছিন্নভাবে না করে একটা সমন্বয় হোক। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’
    বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এক লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ভাসানচরে নিতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন ইস্যুতে এনজিওদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের নিরুৎসাহিত করার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তর আলোচনা হলেও আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। যদিও তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়। ওই গ্রুপ গত দুই বছরে চার দফা বৈঠক করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারের অনুরোধে সে বৈঠক দুইমাস পিছিয়ে মে মাসে সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সে বৈঠকও বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা কার্যত থেমেই আছে।
    উল্লেখ্য, মিয়ানমার জাতিগত নিধন আর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে তিন বছর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। তার আগে থেকে আরও তিন লাখ আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে সব মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের দুটি উপজেলায় গঠিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে দিন দিন নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

  • টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নায় আল্লামা আহমদ শফী রহ. স্মরণ সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান, মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. স্মরণে কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জামেয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জামিয়ার মুহতামিম আল্লামা আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে জামিয়ার হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষত কওমী অঙ্গনের জন্য আল্লামা আহমদ শফীর অবদান ও হাদীস অধ্যাপনার জগতে তাঁর খেদমত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শায়খুল ইসলামের মৃত্যুতে এই জাতি একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ হারিয়েছে তার ইন্তেকালে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লামা শফী শুধু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের গর্বই ছিলেন না, এই উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আধাত্মিক রাহবার হিসেবে শতবর্ষতেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুহতামিম আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ তিনি বলেন”এদেশে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষায় শাহবাগী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে যখন আমরা সঠিক নেতৃত্বের সন্ধানে ছিলাম তখন আমিরে হেফাজতের শুধুমাত্র একটি ডাকেই গোটা বিশ্বে সাড়া জাগানো ঐতিহাসিক হেফাজতের যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল,কিংবা আমাদের ক্বওমীর লক্ষ লক্ষ সন্তানরা তাদের যুগ যুগ ধরে চেয়ে আসা সরাসরি স্বকৃীতির জন্য মিথ্যে স্বপ্ন বুনছিল তখন তিনিই তা বাস্তবেই রুপান্তর করে গেছেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল টেকনাফের জমিয়তে উলামার সভাপতি আল্লামা মাহবুবুল আলম মোজাহেরী, টেকনাফ সাবরাং মাদ্রাসার পরিচালক হেফাজত নেতা আল্লামা নুরুল হক, হ্নীলা জামেয়া দারুস সুন্নাহ’র সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশিষ্ট হাদিছ বিশারদ আরবী সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা নুরুল ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন,আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকালে বাংলাদেশের মুসলিমরা শুধু একজন ধর্মীয় নেতৃত্বই হারায়নি; বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একজন দরদি রাহবার হারাল। এ দেশের মুসলমান তাঁর ত্যাগ ও অবদান এবং উলামায়ে কেরাম তাঁর অভিভাবকত্বের কথা চিরদিন স্মরণ রাখবে।’ তাঁরা আরো বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী (রহ.)-এর ইন্তেকাল ইসলামী জ্ঞানের জগতে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। তাঁর অনুপস্থিতি কষ্টদায়ক। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং উম্মাহর জন্য তাঁর অসামান্য খেদমতের উত্তম বিনিময় দান করুন।’

  • ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলার দাওয়াতী সভা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

    গত ১৩ই নভেম্বর ২০২০ইং কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশের দক্ষিণে সর্বশেষ সীমানাস্থ উপজেলা টেকনাফ ইসলামি যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক জিহাদী সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমপারভেজ বিন জাফর এর সঞ্চালনায় দাওয়াতি সভা অনু্ষ্টিত হয়।

    উক্ত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শরিফুল ইসলাম,
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার।
    বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার প্রচার সম্পাদক মু. হুজ্জাতুল্লাহ মিছবাহ।

    প্রধান আলোচক বলেন, সমাজ আজ অন্যায়ের অক্টোপাশে নিমাজ্জিত। মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। পাপ-পঙ্কিলতা, জুলুম – শোষণ যেন জয় জয়কার। যেখানে যুবকরা সত্যের সৈনিক হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে মিথ্যার লাঠিয়াল। ইসলামী যুব আন্দোলন যুবকদের কে সত্যের সৈনিক হিসেবে পরিণত করতে চাই।

    উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলার সহ সভাপতি মুফতী উমর ফারুক

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল প্রমূখ। শেষে প্রধান অতিথির মোনাজাতের মাধ্যমে সভার ইতি টানা হয়।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে ডাঃ রবির শোক

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি জাতীয় সংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুুুুুুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবিউর রহমান রবি স্যারের গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

     

    ডাঃ রবির ভাষায় যা বললেন

    ভাবছিলাম অনেক কিছু লিখব! কিন্তু কোন ভাষাই আসেনা! এত স্মৃতি এত কথা! সর্বশেষ রাশেদের গত ইউপি নির্বাচনের দিন আপনার সাথে কাটানো সময় আর স্মৃতিগুলো!
    এত অমায়িক আর আপাদমস্তক ভদ্রলোক মানুষ হয় কি করে ওনার সাথে না মিশলে বুঝতামনা!
    আত্মীয়তার এই সংক্ষিপ্ত সময়ে যতবার দেখা করেছি, কথা বলেছি ওনি জীবনধর্মী উপদেশ দিয়েছেন, সৎ পরামর্শ দিয়েছেন।
    ওনি ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের বীর সংঘটক, পরিচ্ছন্ন শিক্ষক,মর্যাদাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ গণমানুষের বন্ধু! এই করুনাকালেও তাঁর অন্তিম যাত্রায় লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল তাঁর কর্মের পরিচায়ক!
    ওনার মধ্যে আমার মরহুম বাবার ছায়া অনুভব করেছি! মনের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করতাম যে আমাদের মধ্যে একজন অভিভাবক আছেন!
    আজ মহান আল্লাহ তাঁর এই প্রিয় বান্দাকে তাঁর সন্নিকটে নিয়েগেছেন! আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে গেলাম!
    হে আল্লাহ এই ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন! আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরার শক্তি দান করুন।  আমীন

  • জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    জানাজায় শোকাহত অজস্র মানুষের ঢল রাষ্ট্রীয় মর্যদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাবেক এমপি অধ্যাপক মু.আলী’র জানাজা সম্পন্ন

    ওসমান আল-হুমাম কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কক্সবাজার-৪ সংসদীয় আসন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদে আসর হ্নীলা দরগাহ সড়ক ও জনপদ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

    জানাজায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান,কক্সবাজার জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রাশেদ আনোয়ার, খতমে নবুওত আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা ও হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক আফসার উদ্দিন কাসেমী চৌধুরী, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ জননেতা আবদুর রহমান বদিসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তারা ৩ ছেলে ও ১মেয়ে সন্তান ছিল।

    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (১৩-নভেম্বর-২০) ভোররাত ৩.টার ৫৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে উখিয়া-টেকনাফ তথা জেলাবাসী একজন প্রকৃত জনদরদী এবং প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাকে হারালেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুদিকে তিনি ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কক্সবাজার থেকে ডাকা এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ১৯৯৬-২০০১ সালে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য, এর আগে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেন এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন
    মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিত কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

    তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফুলের ডেইলের মরহুম হাজী আমির হোছনের পুত্র। উক্ত জনাযায় দলীয় নেতাকর্মী, ও কক্সবাজারের সকল আসনের এমপি, বিরোধী দলীয় ও সরকার দলীয় সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা/উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্থরের রাজনৈতিক ও সামাজিক, ধর্মীয় নেতারা অংশ গ্রহন করেন। এই মহান জাতীয় নেতাকে গার্ডঅব অনার প্রদান করা হয়।

  • সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক।।

    সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক।।

    নিজস্ব প্রতিবেদক

     

    কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য,  টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
    অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান

    জননেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর গভীর শোক ও মরহুমের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।

    আল্লাহ মরহুমের জীবনের চলাকালীন সময়ের সমস্ত ভূল ক্ষমা করে দাও।৷ আমীন

     

    সৌজন্যেঃ

    আব্দুর রহিম মেম্বার,,, ইউপি সদস্য ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ, উখিয়া কক্সবাজার।

  • কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন

    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী আমাদের মাঝে আর নেই।
    “ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
    তিনি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টায় কক্সবাজারে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেন। আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী স্যার এর জানাজার নামাজ ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে টেকনাফ হ্নীলাদরগাহস্থ সি এন্ড বি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
    মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন শ্রদ্ধেয় স্যারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ উচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
    মৃত্যৃকালে স্যার তিন ছেলে এক মেয়ে, বহুগুনাগ্রাহী, উত্তরসূরী রেখে যান।
    তার মৃত্যুতে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও উখিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কামরুন্নেসা বেবি,উখিয়া ৩ নং হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আমিনুল হক আমিন, টেকনাফ হ্নীলা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার পরিচালক আফসার উদ্দিন চৌধুরী।

  • ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    ১৮ হাজার ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক= উখিয়া ভয়েস২৪ডটকম

    মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, রিপোর্টার  

     

    কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। ফেরার পথে কৌশলে বালিশ ও তোষকের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে আসছিল।

    শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পটিয়া থানার নতুন বাইপাস সড়কে থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে বালিশ ও তোষক থেকে ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

    আটক যুগলদ্বয় হল- চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর থানার নিজ গাছতলা গ্রামের মো. ইমাম হোসেনের মেয়ে সুমা আকতার (২০) ও বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মদ্দন গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন সজীব (২১)।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) মাশকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমা ও সজীবকে আটক করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা তোষক, বালিশ ও ট্রলি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১৮ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের করে আসছিল।

    তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • টেকনাফে ইয়াবার চালান খালাসের সময় গোলাগুলি ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে ইয়াবার চালান খালাসের সময় গোলাগুলি ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার

    ডেস্ক রিপোর্ট 

    টেকনাফে নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান খালাসের সময় বিজিবি জওয়ানেরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে এবং অভিযান চালিয়ে ৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
    ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোররাত ৪টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের টেকনাফ বিওপির বিশেষ টহলদল মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে সাবরাং আলুগোলার প্রজেক্ট এলাকায় অভিযানে যায়। কিছুক্ষণ পর উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে দুই ব্যক্তি সাতাঁর কেটে একটি বস্তা নিয়ে জঙ্গলের দিকে প্রবেশ করতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। তখন বিজিবিকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে তখন বিজিবিও সরকারী সম্পদ এবং নিজের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে মাদক পাচারকারীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে একটি বস্তা বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে গ্রামের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল বস্তাটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে দেড় কোটি টাকা মূল্যমানের ৫০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
    এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, জব্দকৃত ইয়াবা সমুহ পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।