Category: টেকনাফ

  • টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ আটক-১০

    টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ আটক-১০

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে মানবপাচার ও পরোয়ানাভুক্ত আসামীসহ ১০ জন অপরাধী কে আটক করা হয়েছে।
    টেকনাফ মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
    তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩অক্টোবর)
    ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার, মো. মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার), মহোদয় এর নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল, মোঃ শাকিল আহমেদ (বিপিএম) মহোদয় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ওসি মোঃ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারের সাথে জড়িত ১ জন সন্দিগ্ধ আসামী হোয়াইক্যং ইউনিয়ন,
    ৫নং ওয়ার্ড, কানজনপাড়া এলাকার বকতার আহমদের ছেলে মোঃ সাইমুন (১৯)
    অপহরণ মামলার ০১ জন এজাহার নামীয় আসামী সাবরাং ইউনিয়ন,১নং ওয়ার্ড, মুন্ডার ডেইল এলাকার বদল্যার পুত্র সোনা মিয়া (৩২)
    ৫ জন জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী
    কচ্ছপিয়া ফয়াজী পাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র আব্দুল্লাহ,
    হ্নীলা ইউনিয়ন,৯নং ওয়ার্ড,জাদিমুড়া বৃটিশ পাড়া এলাকার আবু বক্কর এর স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫)টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, ৬নং ওয়ার্ড গোদার বিল এলাকার মকবুল আহমদের পুত্র শাহ আলম (৩২)টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, নতুন পল্লান পাড়া এলাকার কালুর পুত্র জাবেদ,
    টেকনাফ পৌরসভা নাইট্যংপড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র শমসুল আলম(৪৯)
    ৩জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী
    হ্নীলা ইউনিয়ন,দমদমিয়া পাড়া এলাকার
    সৈয়দ হোসেন এর পুত্র আব্দুল লতিফ,
    দমদমিয়া এলাকার শফির পুত্র এনায়েত উল্লাহ,
    জাদিমুড়া এলাকার মৃত আব্দুল শুক্কুরের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ, সহসর্বমোট ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসীদেরকে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক-২২

    টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক-২২

    ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ

    কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানবপাচার, অপহরণ ,চুরি, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক- ২২ আসামি কে
    আটক করা হয়েছে।
    বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ‍্য নিশ্চিত করে, টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন,
    কক্সবাজার জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার,
    মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম (বার), মহোদয় এর নির্দেশক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল,মোঃ শাকিল আহমেদ, বিপিএম মহোদয় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হালিম এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারের সাথে জড়িত ০১ জন সন্দিগ্ধ আসামী ১। হায়দার আলী (৩৬), পিতা-আবদুর রহিম, সাং- মহেশখালীয়া পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউপি, অপহরণ মামলার ০১ জন এজাহার নামীয় আসামী ২। আব্দুল জলিল (২৫), পিতা- আব্দুল হাকিম, মাতা-ছখিনা খাতুন, সাং- নাইক্ষ্যংখালী, মৌলভী বাজার, ০২নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, চুরির সাথে জড়িত ০১ জন সন্দিগ্ধ আসামী ৩। মোঃ ইউনুছ (১৯), পিতা-রফিকুল ইসলাম, মাতা-হাজেরা বেগম প্রকাশ বৈদ্যনী, সাং-পুরান পল্লান পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় ০৪ জন সন্দিগ্ধ আসামী ৪। আনোয়ারা সাদেক প্রকাশ সেলিম (২০), পিতা-আনু মিয়া প্রকাশ নাগু, ব্লক-ডি, শেড-৭৪৯/৪, এমআরসি-৩৩৯৮৩, ৫। আবুল হোসেন (২১), পিতা-মৃত আমিন প্রকাশ মোহাম্মদ, ব্লক-ডি, শেড-৭৫৮/১,২, এমআরসি নং-২৭০৫৩, ৬। নুরুল আমিন (২০), পিতা-আব্দুল জলিল, ব্লক-বি, শেড-৭৪৯/২,এমআরসি-৬১২৮৭, সর্ব সাং-নয়াপাড়া, রেজিঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ৭। মোঃ ছলিম (২১), পিতা-আবুল বশর, ব্লক-বি, সর্ব থানা-টেকনাফ, সাং-কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা-উখিয়া, ১২ (বার) টি জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী যথাক্রমে ৯। মোঃ ইব্রাহীম, পিতা-হোসাইন, মাতা-মোমেনা খাতুন, সাং-নোয়াখালী পাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, বাহারছড়া ইউপি, ১০। জসিম উদ্দিন (২৬), পিতা- মৃত মোঃ ইসমাইল, সাং- দরগাপাড়া, হ্নীলা ইউপি, ১১। জাফর আলম (২৮), পিতা- জহির আহম্মদ, সাংগ- পুরান পল্লান পাড়া (২টি ওয়ারেন্ট), ১২। মোঃ জাকারিয়া (২৭), পিতা- মৃত রহমত উল্লাহ, সাং-নাইট্যংপাড়া, ১নং ওয়ার্ড, টেকনাফ পৌরসভা, ১৩। সানজিদা বেগম, স্বামী-বশির আহমদ, সাং-কে কে পাড়া, ১৪। লাল মিয়া (৪৮), পিতা-মৃত নাজির হোসেন, সাং-শাহপরীর দ্বীপ, উত্তর পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, ১৫। জালাল উদ্দিন (৩০), পিতা-মৃত নুর আহমদ, সাং-পূর্ব রঙ্গিখালী, ১৬। আরফাত উদ্দিন (১৯), পিতা-সামছুল আলম, মাতা-আমিনা খাতুন, সাং-কানজর পাড়া, ৫নং ওয়র্ড, ১৭। আক্তার হোসেন (৩৪), পিতা-আবুল বশর, মাতা-সামছুন নাহার, সাং-ঝিমংখালী, ৬নং ওয়ার্ড, ১৮। মোঃ ইউসুফ (৩৩), পিতা-আবুল মনজুর, মাতা-মরিয়ম খাতুন, সাং-উনচিপ্রাং, ৩নং ওয়ার্ড, ১৯। কামরুল ইসলাম (৩২), পিতা-মৃত জাফর ইসলাম, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-কুতুবদিয়া পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, সর্ব ইউপি-হোয়াইক্যং, ০১টি সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ২০। ধল্যা মিয়া (৩২), পিতা-দিল মোহাম্মদ, সাং-জাদিমুড়া, হ্নীলা ইউপি, ০২ জন পুলিশ আইনের ৩৪(৬) ধারা মোতাবেক ২১। মোঃ সুলতান আহমেদ প্রকাশ বতাইশা (৪০), ২২। মোঃ আব্দুর রহমান (৩০), উভয় পিতা-মৃত হাজী মকবুল আহমদ প্রকাশ মিঠা হাজী, সাং-রঙ্গিখালী স্কুল পাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউপি, সর্ব থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার সহসর্বমোট ২২ জন আসামীদের গ্রেফতার করিয়া পরবর্তী আইনী কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

  • যুব সমাজকে মাদক থেকে রক্ষায় খেলাধুলার বিকল্প নেই

    যুব সমাজকে মাদক থেকে রক্ষায় খেলাধুলার বিকল্প নেই

    ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ

    খেলাধুলায় বাড়ে বল-মাদক ছেড়ে মাঠে চল’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন,১ ওয়ার্ড কুরাবুইজ্জা পাড়া এলাকার উদ্যোগে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    গতকাল শুক্রবার (২১) অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে বাহার ছড়া নৌ-ঘাটে অনুষ্ঠিত হয় এই ফুটবল প্রীতি ম্যাচ। এতে দু’টি দল লাল দল ও সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে খেলা শুরু হয়। এলাকার সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব মো. আবুল মনজুর প্রীতি ম্যাচটি উদ্ভোধন ও খেলার রেফারির দায়িত্ব পালন করেন।
    খেলায় লালা ও সবুজ উভয় দল ১-১ গোলে ড্র করে।
    সবুজ দলের পক্ষ হয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, সমাজ কর্মী মোঃ জাফর আলম,
    লাল দলের পক্ষ হয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, বাহার ছড়া নৌ- ঘাটের সভাপতি মোঃ হাসেম।
    প্রীতি ফুটবল ম্যাচিটির পর যুবকদের মধ্যে সমাজ কর্মী মোঃ জাফর আলম ও মেম্বার পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন বলেন, মাদক থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলা আয়োজন করা খুবই গুরুত্বপূণ। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের সচেতন করবো। যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহ দেবো। সমাজ কর্মী ও সাংবাদিক আব্দুর রহমান বি, এ বলেন,মাদকের সেবনের ফলে যুবকরা মৃত্যর দিকে ঝুঁকে পড়েন। মাদকের জন্য টাকা পয়সা জোগার করতে তারা বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় কখন কিভাবে কার সাথে মিশেছে তার খোজঁ খবর রাখতে হবে।’

    খেলার সাথে স্বাস্থ্য আর স্বাস্থ্যের সাথে মনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে সাবরাং ইউনিয়ন, ১,২ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা শাহিনা রহমান বি,এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
    অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি চর্চা করা জরুরি। লেখাপড়া পাশাপাশী যদি ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি চর্চার মধ্যে থাকে তাহলে তাদের মনে কোন খারাপ চিন্তা আসবে না; কোন নেশার জগতে চলে যাবে না।

  • ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য যাত্রা

    ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য যাত্রা

    মোস্তাক আহমদ টেকনাফ:

    কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি জাহাজ।

    কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজারস্থ ব্যবস্থাপক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন রওনা দেয়। জাহাজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিন পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
    এদিকে বছরের প্রথম পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে গমণ করায় খুশি হয়েছেন দ্বীপের মানুষ। হোটেল-রেস্তােঁরা ব্যবসায়ীসহ যারা পর্যটন সংশ্লিষ্ট আছেন তারা পর্যটকদের স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত রয়েছে।
    তবে দ্বীপবাসি ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল না করায় চরম হতাশ হয়ে উঠেছে।

    সেন্টমার্টিন হোটেল সী প্রবালের পরিচালক আবদুল মালেক জানান, এবছর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল না করলে হোটেল ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবে। কারন মৌসুম সামনে রেখে অনেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে হোটেল রেস্তোরাঁ করেছে। সেখানে একটি জাহাজে ৬০০/৭০০ পর্যটক গেলে কিভাবে ব্যবসা করবে।

    দ্বীপের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনের লোকজন অপেক্ষা করে কখন পর্যটন মৌসুম শুরু হবে তখনই হাসি ফুটে মানুষের। কিন্তু এ বছর হতাশ দ্বীপবাসি। তিনি আশানূরূপ জাহাজ চলাচলে অনুমতি প্রদানের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধের কথা জানান।
    এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। অবস্থা বুঝে পর্যাক্রমে আবেদন করা জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সরকারের দেয়া নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

  • মাত্র ৬ মাসে কুরআনে হাফেজ হলেন ১০ বছরের শিশু টেকনাফের মাহিন চৌধুরী

    মাত্র ৬ মাসে কুরআনে হাফেজ হলেন ১০ বছরের শিশু টেকনাফের মাহিন চৌধুরী

    কফিল উদ্দিন আরমান, প্রতিনিধি টেকনাফ উপজেলা।

    দশ বছর বয়সের শিশু মাহিন চৌধুরী মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কুরআন শরীফের ৩০ পারা হিফজ সম্পন্ন করে চমক সৃষ্টি করেছেন। মাহিন চৌধুরির পিতা আলহাজ নুরুল আমিন বলেন, আমার ছেলে মাহিন চৌধুরীকে জন্ম থেকে কুরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ার প্রতিজ্ঞা ছিল মা-বাবা দুজনেরই। সে লক্ষে টেকনাফের অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তানযিমুল আফনান টেকনাফে গেলবছর ভর্তি করাই। নাজেরা থেকে হিফজ পর্যন্ত খুব দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করেন। তার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মালেক নাঈমের একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাত্র ৬ মাসে কুরআন হিফজ করতে সক্ষম হয়েছে। মাহিন চৌধুরীর ভাই আবছারুল আমিন ও রায়হানসহ তিন জনকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি অভিভাবকত্ব গ্রহন করেন তাদেরই আপন চাচা ও আমার ছোট ভাই মোহাম্মদ সেলিম (সি, আই, পি) মেম্বার। যাদের সহযোগিতায় আমি কুরআনে হাফেজের বাবা হতে পেরেছি আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
    এ উপলক্ষে ৬ অক্টোবর সকালে তানযিমুল আফনান টেকনাফে বিশেষ সম্মাননা সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত অনুষ্ঠানে দুই জন ছাত্রকে দ্রুতসময়ে হিফজ সম্পন্ন করায় সম্মাননা প্রদান করা হয়। মাত্র ছয় মাসে হিফজ সম্পন্নকারী মহিন চৌধুরীর পাশাপাশি অপর শিশু হাফেজ মোহাম্মদ আরাফাত বিন আব্দুর রহিমকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়, উক্ত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান তানযিমুল আফনান টেকনাফের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম সাইফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, তানযিমুল আফনান-এর বোর্ড অব ডিরেক্টর’স সভাপতি, আলহাজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া তানযিমুল আফনান টেকনাফ-এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ সেলিম (সি, আই, পি) মেম্বার, সাংবাদিক এম আমানুল্লাহ আমান। অভিবাবক রেজাউল করীম (রেজু মেম্বার), তাওহীদিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ, আয়েশা ছিদ্দিকা বালিকা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ এনায়েতুর রহিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য টেকনাফ পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্র আলো শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত’তানযিমুল আফনান টেকনাফ ইতিমধ্যে হিফজ এবং জেনারেল শিক্ষা সমন্বিতভাবে পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাপক সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

  • টেকনাফে মালায়েশিয়াগামী ট্রলার ডোবে নিহত ৩ এবং উদ্ধার ৪৫

    টেকনাফে মালায়েশিয়াগামী ট্রলার ডোবে নিহত ৩ এবং উদ্ধার ৪৫

    মোস্তাক আহমদ টেকনাফ:

    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে হল বনিয়া সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নারী পুরুষসহ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার দালালসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার এবং তিন (৩) জনকে সমুদ্র সৈকত ভাসমান মৃত্যু অবস্থা পাওয়া যায়।

    গত সোমবার ( ৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা অবৈধ ভাবে ট্রলার যোগে গোপনের মাধ্যমে মালায়েশিয়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সমুদ্র উপকূলে এই দুর্ঘটনাটি হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী পুরুষ কে সংগ্রহ করে মালায়েশিয়া পাচার করা হয়।

    উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, বিশেষ করে নারীরা বলে যে, তাদের স্বামীরা মালায়েশিয়া বসবাস করে সেজন্য তারা সেখানে পাড়ি জানাচ্ছে। তারা বলে লোকাল দালালরা ক্যাম্প থেকে আমাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) নিয়ে প্রথমে তারা গোপনের বিভিন্ন পাহাড়া বা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে সন্ধ্যা নামলে সেখান থেকে তাদেরকে ছোট ছোট ট্রলার যোগে নিয়ে যাওয়া হয়।

    রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন আমরা প্রায় প্রথমে ১২-১৫ মতো সন্ধ্যায় ট্রলারে উঠি তারপর ট্রলার কিছু দূর যেতে না যেতে আরও কিছু স্থান থেকে লোক আমাদের ট্রলারে ওঠে। কিন্ত আমি দেখেছি যে, সেখানের ধারণ ক্ষমতা থেকে বেশি ট্রলারে ওঠায় কিছু দূর যেতে ট্রলারটি ডোবে যায় আমি আর কিছুই জানি না সবাই চিৎকার দিয়ে উঠেছিল।

    স্থানীয় একজন বলে আমি সকালে সমুদ্র তীরে এসে দেখতে পারি যে, বিভিন্ন লোকজন তীরে ছোটাছুটি করতেছে তখন আমি কোস্টগার্ডকে খবর দিয়। তারপর তারা এসে মালায়েশিয়াগামীদেরকে(রোহিঙ্গা) বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে এসে সমুদ্রে তীরে এক জায়গায় জড়ো করে তারপর তারা তাদের স্পিড বোট দিয়ে বাকীদেরকে উদ্ধারের কাজ করে।

    স্থানীয়রা আরও বলেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যখন তুমুল লড়াই চলছে। সেখানকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে ( রোহিঙ্গা গোষ্ঠী)। মিয়ানমারের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হচ্ছে। সে হিসেবে ভয়ভীতির মধ্যে এই দুঘর্টনা হতে পারে।

    এ বিষয়ে বাহার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন খবর ফেরে আমাদের পুলিশের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
    কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার শুরু করে দিয়েছি এবং যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কে আমরা সমুদ্র তীরে একত্রিত করে ঝাউ বাগানে রেখেছি, এ পর্যন্ত নারী পুরুষ চার দালালসহ ৪৫ কে জীবিত উদ্ধার ও সমুদ্রর তীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন জনের মরা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মোস্তাক আহমদ টেকনাফ:

    কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ-সব রোহিঙ্গারা আসার পরে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মিয়ানমারে তাদের উপর নির্যাতন করেছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা তাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বিদ্যুৎ,খাদ্য,চিকিৎসা,বাসস্থান,পানির ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এসবের কারণে আমাদের অর্থনীতিতে অনেক প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    রবিবার (০২ অক্টোবর) কক্সবাজার সিভিল সার্জন ও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম,অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) ও লাইন ডিরেক্টর (এইচজিএসপি অপারেশন প্লান) জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান,কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ,টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হ্নীলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীসহ ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দগণ ।

  • টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি।

    কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ১ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয় যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ পশ্চিম ফুলের ডেইল সাকিনস্থ জনৈক মহিলা তার বসত ঘরে গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল ২৯/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ০৬.০০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতিতে একজন মহিলা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে শাহানা আক্তার (৩৭), স্বামী-সাইফুল ইসলাম প্রঃ অলি আহমদ, সাং-পশ্চিম ফুলের ডেইল, ওয়ার্ড নং-০৩, ইউপি-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে ধৃত মহিলার বসত ঘরের খাটের নিচ হতে তার নিজ হাতে বের করে দেয়া তিনটি বস্তার ভেতর হতে সর্বমোট ৩৩ (তেত্রিশ) কজেি ৫০০ (পাঁচশ) গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মহিলা জানায় জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসমূহ টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে টেকনাফ-কক্সবাজার এর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছে।
    উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

    ধন্যবাদ।

  • টেকনাফ সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫

    টেকনাফ সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৫

    নিজস্ব প্রতিবেদন।

    র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ উপজেলার ক্যাম্পে জয়নাল আবেদীন (২৮) নামক একজন ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করে যে, তার ছোট ভাই জাফর আলম (২৪), পিতা- নুরুল হাকিম, মাতা- ছকিনা খাতুন, সাং- শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া, ০৭ নং ওয়ার্ড, সাবরাং-ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। ভিকটিম পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী । গত ২৬/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ১৩.০০ ঘটিকার সময় তার ভাই সুজোকি মটর সাইকেল নিয়ে টেকনাফ বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে দিন শেষে রাত হওয়ার পরও তার ভাই বাড়ি না ফেরায় ভিকটিমের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর হতে তার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে জানায় জাফর আলম অপহৃত হয়েছে এবং মুক্তিপণ বাবদ ১৫,০০,০০০/- (পনেরো লক্ষ) টাকা দাবি করে। এছাড়া মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদান করে। পরবর্তিতে সে সাবরাং ইউপিস্থ বেইঙ্গা পাড়া সাকিনে অপহরণকারীচক্রের পাঠানো লোকের হাতে ০৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফাহ ব্যাংকের দুইটি অলিখিত স্বাক্ষরবিহীন চেক প্রদান করা সত্ত্বেও অপহরণকারীরা ভিকটিমকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প অবগত হয়ে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে র‌্যাব-১৫, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল বিভিন্ন গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে। অতঃপর ২৮/০৯/২০২২ তারিখ অনুঃ ১৪.৩০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    ভিকটিমকে উদ্ধার করে হস্তান্তরপূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

  • সাবরাংয়ের বাহার ছড়া নৌ-ঘাঁট থেকে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে

    সাবরাংয়ের বাহার ছড়া নৌ-ঘাঁট থেকে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে

    টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি

    কক্সবাজারের টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন,
    বাহার ছড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগর উপকূলের বিভিন্ন ঘাট দিয়ে সন্ধ্যা নামতেই মানবপাচার ও ইয়াবার হিড়িক চলছে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উক্ত পাচারের মূল হোতা হলেন, ছৈয়দ আলম।
    এই ছৈয়দ আলম নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত ইয়াবা উত্তোলনসহ মানবপাচার হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।
    তার সহযোগীতায় রয়েছে স্থানীয় একটি বিশাল সিন্ডিকেট।
    এমনকি তার একটা মানবপাচারের অডিও ভয়েজ আমাদের হাতে চলে আসছে।
    এই ছৈয়দ আলম কে আইনের আওতায় আনা হলে সাবরাং ইউনিয়ন বাহার ছড়া এলাকার মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসার জানা অজানা সব তথ্যসহ উক্ত সিন্ডিকেটে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। এই ছৈয়দ আলম গেল কয়েক মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা ও নামে-বেনামে সম্পত্তিসহ ১ টি নৌকার মালিক বনে গেছেন।
    এবং ছৈয়দ আলমের মালিকানাধীন ১টি নৌকা দিয়ে বিভিন্ন ঘাট দিয়ে ইয়াবা উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অভিযোগ।তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চাইনা।

    স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত অতি শীঘ্রই এই ছৈয়দ আলম কে আইনের আওতায় আনা না গেলে সাবরাং ইউনিয়ন বাহার ছড়া এলাকার উপকূলে মানব পাচার ও ইয়াবা ব্যবসাা বন্ধ হবে না।

    টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান আইন শৃঙ্খলা মিটিং বলেন, মানব পাচারকারী এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো, আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।

    এলাকাবাসীর অভিযুক্ত ছৈয়দ আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
    আমার সাথে এলাকার কিছু মানুষ দুশমনি করতেছে, আমি ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত নই।