Category: টেকনাফ

  • টেকনাফে ভুমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

    টেকনাফে ভুমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

    টেকনাফে প্রতিনিধি,

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ভুমি সপ্তাহ সেবা ২২ইং উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২২মে) টেকনাফ উপজেলা ভুমি অফিস প্রাঙ্গণে উক্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
    টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি এরফানুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি সহ ভুমি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ।

    এ সময় প্রধান অতিথি নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, টেকনাফের মানুষ যেন প্রকৃত ভুমি সেবা গ্রহন করতে এসে হয়ারানির শিকার না হয়,
    সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভুমি অফিসের আশেপাশে উৎপেতে থাকা দালাল গুলো যদি ভুমি অফিসের নাম বিক্রি করে সাধারণ সেবা প্রার্থীদের হয়রানি করে তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আহব্বান করেন।
    সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, সরকার জনগণের ভুমি সেবা নিশ্চিত করতে ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে সকল প্রকার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রতি বছর এ ভুমি সপ্তাহের আয়োজন। সেবা গ্রহীতা যদি কোন সমস্যায় পড়ে তাহালে জাতীয় ভুমি সেবা ১৬১২২ নাম্বারে কল দিলে সব বিষয়ে সামাধানের পদ পবে। যা আমাদের বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেকনাফ মডেল থানার ওসি বলেন, আমার জানামতে টেকনাফের মানুষ দ্রুত ভুমি সেবা পাচ্ছে। ভুমি সেবা নিতে এসে কেউ যদি আইনের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

  • টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, টেকনাফ উপজেলা শাখার বিশেষ জরুরী সভা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সরওয়ার আলমের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ, হৃীলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াজ করিম, সাবরাং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আব্দুল মতলব, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা।

    উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আজিজুল হক, হৃীলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সিঃ সহ-সভাপতি জে কে রাসেল, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন পাশা, মোহাম্মদ ফারহাদ, টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল শরীফ, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি খাইরুল বশরসহ প্রমুখ।।

    টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের জরুরী সভা ও কর্মী সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (উখিয়া-টেকনাফ) নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকব।

  • টেকনাফের আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    টেকনাফের আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ সদর ইউপি নাজির পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    (১৯মে) দুপুর বেলা ১২টার সময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে উক্ত মানব বন্ধন ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনের যাত্রা করেন নিহত নুরুল হক ভুট্টোর নাজির পাড়া এলাকা হয়ে টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। হাজারো নারী- পুরুষের উপস্থিতিতেই একটি মাত্র দাবিতে মুখরিত ছিল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে

    সমাজ সেবক নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের বিচার চাই, বিচার চাই,বিচার চাই।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার,
    নিহত নুরুল হক ভুট্টো হত্যাকারীদের মামলার বাদী ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ছোট ভাই মোঃ ইসলাম,
    বড় হাবির পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান,
    টেকনাফ সরকারি কলেজের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, নাজির পাড়া বড় জামে মসজিদের খতীব হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরী,
    সমাজ সেবক রেজাউল করিম শরীফ, নাজির পাড়া এলাকার রিয়াজুল জন্নাহ বড় জামে মসজিদের সভাপতি মমতাজ মিয়া, ছাত্র নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

    মানববন্ধনে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার জানান,
    আমার ভাই নুরুল হক ভুট্টো কে গেল ইউপি নির্বাচনের জের,এবং আমার এলাকায় একরাম বাহিনীর প্রভাব বিস্তার,অবৈধভাবে মানুষের জায়গা দখল,ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যেতে না পেরে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করেছে একরাম গ্যাংরা।
    কারণ নাজির পড়া ও মৌলভী পাড়ায় একরাম গংদের
    এলাকায় প্রভাব বিস্তার, অবৈধ ইয়াবা ব্যবসা,
    সাধারণ মানুষের জায়গা দখল,সাধারণ মানুষ কে নির্যাতন ও তাদের পেশি শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় আমার ভাই নিহত নুরুল হক ভুট্টো সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
    টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো জানান,
    আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পাচ্ছি,
    ইতি মধ্যে আমার বড় ভাই নুরুল হক ভুট্টোর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকজন আসামিকে আটক করেছে বলে শুনেছি।

    স্থানীয় বাসীন্দা ও নিহত নুরুল হক ভুট্টোর ভাগিনা মোহাম্মদ আবছার জানান,
    একরাম বাহীনিরা যখন আমার মামা ভুট্টোকে হত্যার জন্য চার পাশ হতে ঘিরে ফেলেন,তখন আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর শেষ আকুতিতে বলেছিলেন আমার ভাই একরাম আমিতো তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি,
    আমার উপর এই অতর্কিত হামলা কেন, আমার দুই শিশু সন্তানের ধিকে থাকিয়ে হলেও আমার জীবনটা ভিক্ষা দে ভাই। তারপরেও একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীর হ্যদয় গলেনি।
    আমার মামা নিহত নুরুল হক ভুট্টোর উপর অতর্কিত হামলা করে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় একরাম গ্যাং ওরফে একরাম বাহিনীরা।
    সে পা এখনো তারা ফিরিয়ে দেয়নি। নিহত ভুট্টোর পরিবার বিচ্ছিন্ন পা টি ফিরে পেতে চাই।

    টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে নুরুল হক ভুট্টো হত্যা মামলার আসামি জাফর আলমের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম(২০) ইউনুচ আলমের পুত্র মোঃ শাকের (২২) নাফাইংগা প্রকাশ লেডুর পুত্র রমজান আলী (২৮)সহ আরো একজন কে আটক করে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেছি। তবে এ অভিযান চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
    স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন,
    মূল হত্যা কারিদের আইনের আওতায় আনা না গেলে উক্ত এলাকায় পূণরায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে ।

    উল্লেখ্য গেল রবিবার আসরের নামাজের পর সাবরাং ইউনিয়ন এলাকা হতে একটি বিচার সালিশের বৈঠক শেষে ভুট্টোসহ তার আত্মীয়স্বজনরা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
    বড় হাবিবপাড়া আওতাধীন থানার ডেলের মসজিদ
    নামক স্থানে মসজিদের কাছে পৌঁছালে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী একরাম ও আব্দুর রহমান,রিদওয়ানের নেতৃেত্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘেরাও করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ আরকান সড়কের উপর তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
    নিহত নুরুল হক ভুট্টো নিজের প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়লে ও বাঁচতে পারিনি পারিনি নিহত নুরুল হক ভুট্টো।
    প্রথমে তারা নিহত নুরুল হক ভুট্টোকে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে তার দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
    পরে মাথায় গুলি, বুকে ও দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার আত্মীয়স্বজনদের উপর ও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
    তখন তারা নিজেদের প্রাণরক্ষার্থে নিহত নুরুল হক ভুট্টো কে একা রেখে পালিয়ে যায়।
    নিহত নুরুল হক ভুট্টোও একরাম বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হওয়া ভুট্টোর আত্মীয়-স্বজনদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে।
    উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে
    যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ে নুরুল হক ভুট্টো।

  • টেকনাফ সদর নাজির পাড়ার মাস্টার নুরুল আলমের ইন্তেকাল

    টেকনাফ সদর নাজির পাড়ার মাস্টার নুরুল আলমের ইন্তেকাল

    ইব্রাহীম মাহমুদ,

    মাকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির সাহেব বেলাল ও মোহাম্মদ আবছারের পিতা মাস্টার নুরুল আলম ইন্তেকাল করেছেন।

    ইন্নালিল্লাহি ওইন্না ইলাইহি রাজিউন।

    বৃহস্পতিবার দ্বিবাগত রাত সাড়ে ৯টার সময় নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করেছেন বলে জানান,মরহুম মাস্টার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আবছার।

    মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৫ বছর।তিনি ৬ ছেলে ১ মেয়ে স্ত্রী ও অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
    ছেলে মোহাম্মদ আবছার জানান,আমার পিতার শারীরিক ভাবে কোন অসুস্থ ছিলনা।
    নিহত নুরুল হক ভূট্রো মামা আমার বাবাকে অনেক ভালোবাসতেন,আমার বাবাও তাকে বেশি স্নেহ করতেন।
    মামার মৃত্যুর পর থেকে আমার বাবা কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে যায় এবং সবসময় মামার জন‍্য কান্না করতো,
    আজকে মানববন্ধন করার সময়ও আব্বা আমার অজ্ঞান হয়ে যায়।

    মোহাম্মদ আবছার আরো জানান, আমার মনে হয় ভূট্রো মামার মৃত্যুর শোক সয়তে না পেরে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমার বাবার আত্মার মাগফেরাতের জন‍্য সবাই দোয়া করবেন।
    আগামীকাল শুক্রবার ২০ মে সকাল ১১ টার সময় নাজির পাড়া জামে মসজিদের মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মোহাম্মদ আবছার।

  • সেন্টমার্টিনে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ ৩৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    সেন্টমার্টিনে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ ৩৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার

    টেকনাফ প্রতিনিধি,

    সমুদ্রপথ দিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের বঙ্গোপসাগরে শিশুসহ ৩৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত ১২টার দিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের ২ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি ট্রলারসহ তাদের উদ্ধার করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বানৌজা আলী হায়দার’ নামক জাহাজ।

    এসব তথ্য নিশ্চিত করে বানৌজা আলী হায়দার জাহাজের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন সোহেল আযম জানান, ‘টেকনাফ থেকে সাগরপথে ট্রলারে একটি রোহিঙ্গাদের দল মালয়েশিয়া যাত্রাকালে সেন্টমার্টিন উত্তর-পশ্চিমে ২ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর এলাকায় অভিযান চালায়।
    এ সময় মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলারসহ ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।এদের মধ্যে ১৩ জন নারী, ১৪ পুরুষ ও ১জন শিশু। তারা সকলেই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের প্রক্রিয়া শেষে সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ডকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জাহাজের এই কর্মকর্তা।

  • টেকনাফের সৌদি প্রবাসী প্রতারক জিয়াবুলের সন্ধান চায় ভূক্তভোগীরা।

    টেকনাফের সৌদি প্রবাসী প্রতারক জিয়াবুলের সন্ধান চায় ভূক্তভোগীরা।

    টেকনাফ প্রতিনিধি

    সৌদি আরবের আবহা খামিছ এলাকায় ৫ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সৌদি রিয়াল ধার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফের প্রবাসী জিয়াবুল এর বিরুদ্ধে।সৌদি আরবের খামিছ থেকে মুঠোফোনে এ অভিযোগ জানান সাবরাং ৩নং ওয়ার্ড কাটাবনিয়া এলাকার প্রবাসী আবুল মনজুর।
    প্রতারক জিয়াবুল টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের নজির আহমেদ এর ছেলে।

    আবুল মনজুর জানান,প্রতারক জিয়াবুল ১ বছর আগে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে বসবাস করতো,পরে সে কয়েকমাস আগে থেকে আবসা জেলার খামিছ শহরে গেলে টেকনাফের লোক হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়।প্রতারক জিয়াবুল বিভিন্ন সময় অসুবিধার কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা ধার চাইতো।পরে একদিন তার কথায় মনে দয়া আসলে তাকে নগদ ৪ হাজার টাকা ধার দেয়।কিছুদিন পর সে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও টাকা নেয়ার পর থেকে জিয়াবুল তার বাসা পরিবর্তন ও মোবাইল বন্ধ করে দেয়।সৌদি আরবে অবস্থানরত সকল টেকনাফের লোকজনের কাছে অনেক খোঁজ-খবর নেয়ার পর বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ‍্য।
    সে আরও ৪ জনের কাছ থেকে ঠিক
    একইভাবে টাকা ধার নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
    প্রতারনার শিকার হলেন-সাবরাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাটাবনিয়া গ্রামের আবুল মঞ্জুর এর কাছ থেকে ৪ হাজার রিয়াল যার বাংলা টাকা ৯৬ হাজার, সাবরাং ইউনিয়ন চান্দলী পাড়া ১নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমদ থেকে ৩ হাজার রিয়াল যার বাংলা টাকা ৭২ হাজার,একই ওয়ার্ড চান্দলি পাড়া এলাকার মোঃ রুবেল থেকে ২ হাজার রিয়ার যার বাংলা টাকা ৪৮ হাজার টাকা,একই এলাকার মোঃ কবিরের কাছ থেকে ৩ হাজার রিয়াল,যার বাংলা টাকা ৭২ হাজার টাকা,কক্সবাজার রামু ভারওয়া খালী এলাকার দেলোয়ারের কাছ থেকে ৪ হাজার রিয়াল,যার বাংলা টাকা ৯৬ হাজার টাকা।সর্বমোট সৌদি ১৬ হাজার যার বাংলা টাকা ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

    এ বিষয়ে,আবুল মনজুরের ছোট ভাই সাবরাং বৃহত্তর নয়াপাড়া ফুটবল টিমের খেলাওয়াড় মোঃ দিদার জানান,
    প্রতারক জিয়াবুলের গ্রামের বাড়ি মিটা পানির ছড়া।
    তার মা বাবার কাছে গিয়ে জানতে চাইলে প্রতারক জিয়াবুলের মা বাবা বলেন, তাদের ছেলের সাথে দীর্ঘ ৮ মাস হচ্ছে কোন ধরনের যোগাযোগ নেই বলে জানান।

    প্রবাসী আবুল মনজুর ও অপর ৪ জন ভূক্তভোগীরা পালিয়ে যাওয়া এই প্রতারক জিয়াবুলের খোঁজ পেতে কক্সবাজার জেলার সকল প্রশাসন ও জনগণের প্রতি সহযোগীতা কামনা করছেন।

  • টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে

    টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    টেকনাফ সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার স্বনামধন্য একমাত্র দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি চলিতেছে।

    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসায় কওমী মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ন্ত্রণ,পর্দা সহ এবং সম্পূর্ণ মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত,
    শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উক্ত বালিকা মাদ্রাসা টি সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

    শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরী বলেন আমার প্রাণের ধর্ম প্রিয় মুসলমানদের সন্তানদের কে পর্দা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া এবং দক্ষ আলেমা গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব,
    সেই ধারাবাহিকতায় মহান আল্লাহ তা’য়ালা কে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি বলেন,
    ভর্তি শুরু হয়েছে গত ১০/৫/২০২২ইং
    ভর্তি শেষ হবে ১৭/৫/২০২২ইংরেজি।
    নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
    আগ্রহী অভিভাবকদের
    দ্রুত যোগাযোগ করে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানান।
    তিনি আরো বলেন,
    আমাদের মাদ্রাসায় আপনার প্রিয় সন্তান কে পাঠিয়ে দিন ইনশাআল্লাহ আমরা আপনার সন্তান কে নিজের সন্তানের মতো করে অল্প সময়ের মধ্যে পর্দা সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে
    এবং দক্ষ আলেমা হিসেবে গড়ে তুলে আপনাদের উপহার দেবো ইনশা-আল্লাহ।

    বিঃদ্রঃ গরীব,এতিম, অসহায় পরিবারের জন্য বিশেষ সু’ব্যবস্থা রয়েছে।

    বিস্তারিত তথ্য জানতে
    যোগাযোগ করুন
    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বার। যোগাযোগ নাম্বার 01858677677
    শহিদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ নুরুল হক মোজাহেরীর যোগাযোগ মোবাইল নাম্বার 01829698565

  • টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    টেকনাফের শিশু আলো হত্যার রায় মূলপরিকল্পনাকারীবাদ পড়ায় অসন্তুষ্ট আলোর পরিবার

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চাঞ্চল্যকর মোঃ আলী উল্লাহ আলো (৭) হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন৷ একই মামলায় খালাস পেয়েছেন ২ আসামি।

    ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু, নজরুল ইসলাম ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া। এঁদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, মোঃ সুমন আলী ও রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ প্রকাশ লম্বাইয়া পলাতক। অন্যরা কারাগারে। খালাস পাওয়া দুজন হলেন আসামী মুহিবুল্লাহ ও মোঃ দিদার মিয়া৷ এসময় রায়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া আসামীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে।

    বাদীর আইনজীবীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফারজানা পারভীন সুইটি’র ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো-কে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কর্মচারী মোঃ সুমন আলী বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে মোঃ আলী উল্লাহ আলোকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র কাচারী ঘরের সিলিং উপর তুলে তার হাত পা বেঁধে মুখে জোর করে কচটেপ লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় মোঃ আলী উল্লাহ আলো শোর চিৎকার করলে আসামী মোঃ সুমন আলী ও অন্যান্যরা মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে অপহরণ করার বিষয় বাড়ির লোকজন হয়ত জানতে পরেছে মনে করে। মোঃ আলী উল্লাহ আলো জীবিত থাকলে ঘটনা ফাঁস হতে পারে আশংকায় মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে আসামীরা সিলিং উপর জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

    এঘটনায় খুন হওয়া বিজিবি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো’র পিতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১৩/২০১১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর ৩৭০/২০১১ (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ২০৮২/২০১৮ ইংরেজি।

    মামলাটি পর্যায়ক্রমে টেকনাফ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই হারুনর রশীদ এবং টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি সিআইডি-কে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
    আদালতের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সিআইডি’র চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু, সহকারী পুলিশ সুপার এস.এম সাহাব উদ্দিন আহমদ এবং সর্বশেষ সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্টো জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির সরকার তদন্ত করে গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এজাহারভুক্ত ৫ জন সহ ৮ জন আাসামীর নাম উল্লেখ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩০২/৩৪/১০৯/১১৪ ধারায় আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন।

    সম্পূরক চার্জশীটে এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামী যথাক্রমে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার কোদ্দ নারায়নপুরের মৃত আফতাব আলীর পুত্র মোঃ সুমন আলী (২৬), ঠাকুরগাঁও জেলার নিশ্চিন্তপুরের মৃত শামছুল হকের পুত্র ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান (২৯), কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুরের মৃত আসলাম মিয়ার পুত্র মোঃ ইয়াকুব (৩৪), টেকনাফের গোদার বিল গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র মোঃ ইসহাক প্রকাশ কালু (৩১), টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত নবী হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলাম (২৮)। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভুত আরো ৩ জন আসামী যথাক্রমে মায়ানমারের মংডু থানার ধনচি পাড়ার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র রোহিঙ্গা ছৈয়দুল আমিন প্রকাশ লম্বাইয়া (৪৭), টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়ার মৃত মৌলভী আবদুল জলিলের পুত্র মহিবুল্লাহ (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিলের জাফর আহমেদের পুত্র মোঃ দিদার মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।

    মামলাটি টেকনাফের আমলী আদালত থেকে বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার ৩ জন আসামী যথাক্রমে মোঃ সুমন আলী, ইয়াছিন প্রকাশ রায়হান ও মোঃ ইয়াকুব ১৬৪ ধারায় আদালতে আত্মস্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

    ২০২০ সালের ২৪ জুলাই কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদেরকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর আলামত প্রদর্শন ও পর্যালোচনা, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাচাই, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন যাচাই, তিন জন আসামীর ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দী যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি বুধবার রায়ের দিন ধার্য্য করে৷

    রায় নিয়ে সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করে মোঃ আলী উল্লাহ আলোর বাবা মোঃ আব্দুল্লা বলেন, আদালতের প্রতি আমি কৃতজ্ঞা জানাই এবং শোকরিয়া জানাই, যারা হত্যা করেছে তাদের কে ফাঁসির আদেশ দেয়ায়৷

    তিনি বলেন, আমার সন্তানকে এ নির্মমভাবে হত্যা করতে যারা অর্থ দিয়ে যোগান দিয়েছে এবং বাহির থেকে বাড়া করে যারা খুনিদের আনছে তাদের কে খালাস দেওয়ায় খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত৷ আমি উচ্চ আদালতে তাদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করব৷

    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী পিপি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নৃশংসভাবে টেকনাফের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লার ছেলে ৭ বছরের শিশু পুত্র মোঃ আলী উল্লাহ আলো কে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১১ বছর মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করে দোষ প্রমান করতে সক্ষম হওয়ায় ছয়জনকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছে৷ এসময় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

  • টেকনাফে ভোজ্য তেলের সংকট,দাম আকাশছোঁয়া

    টেকনাফে ভোজ্য তেলের সংকট,দাম আকাশছোঁয়া

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    টেকনাফ উপজেলা ও পৌর শহরের হাট বাজার সমুহে ভোজ্য তৈলের ডিলারগন অতিরিক্ত মুল্য নেওয়ার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সৃষ্টি করে তেলের গোদামজাত করে রেখেছে। ফলে বাজারে ভোজ্য তৈল শুন্য হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের বাজারে আসা আজিজ, কামাল, রহমত জানান, বাজারের প্রতিটি মুদির দোকান, ডিলারের আরত ঘুরে ৫,৩, লিটার ভোজ্য তৈল পাওয়া যায়নি। পৌরসভার কাসেম সওদাগরের দোকানে গিয়ে ১লিটার ওজনের কয়েকটি বোতল পাওয়া গেলেও দাম চড়া। প্রতিটি লিটারের দাম নেওয়া হয়েছে ২ শত টাকা করে। গত কয়েক দিন ধরে ভোজ্য তৈলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সংকটের কারনে স্থানীয় ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। পৌর শহরের হাট বাজারের ভোজ্য তৈলের ডিলারদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    বাজারে ভোজ্য তৈল সংকট মুল্য বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

  • টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

    টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

    ইব্রাহীম মাহমুদ

    সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উপকূলীয় ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর শিলখালী এলাকায় ইউএসআইডির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কোডেক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী এলাকায় জন্ম নেওয়া প্রায় সাড়ে তিন শত সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চাকে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১১ মে) দুপুরে বাহারছড়া ইউপির উত্তর শিলখালী সমুদ্রে হয়ে এসব কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।

    এদিকে অবধি ২ হাজার ৪০৪টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবং আজকের সাড়ে ৩শ বাচ্চাসহ গত কয়েকদিন আগে ১১’শ ৮১টি বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরে নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী তাদের নিজস্ব হ্যাচারির রাত প্রহরী নুরুল আমিন সমুদ্র চরে রাতবেরাতে ঘুরে ঘুরে সমুদ্র থেকে যখন মা কাছিম ডিম ছাড়তে তীরে উঠে তখন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাছিমের ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়।

    সেখানে জন্ম নিচ্ছে এসব বাচ্চা।পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বড় হলে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।

    টেকনাফ বন রেঞ্জের আওতাধীন শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ার তদারকি করে আসছে কোডেকের প্রজেক্ট (নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প) তাদের উত্তর শিলখালী নিজস্ব হ্যাচারিতেই জন্ম নিয়েছে এসব কাছিমের বাচ্চা।

    টেকনাফ উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন,”কাছিম সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখে, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কাছিমের যেমন প্রয়োজন তেমন অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে কোডের কাজ প্রসংশার দাবি রাখে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা, কোডেক ন্যাচার এন্ড লাইফের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নারায়ন কান্তি দাস, এনআরএম ম্যানেজার অসীম বড়ুয়া, ন্যাচার এন্ড লাইফের সাইট কো-অরডিনেটর শরিফুল আলম, লিয়াকত আলী ও সাপোর্ট স্টাফ-রমেশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মচারীরা।