Category: দিনাজপুর

  • বিরামপুরে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ১জনের মৃত্যু

    বিরামপুরে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ১জনের মৃত্যু

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি-

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ছাগল চরাতে গিয়ে ট্রেনে কেটে মমতাজ উদ্দিন (৪৭) নামে একজন মৃত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের বেগমপুর মোড়ে ঢাকাগামী কুড়ি গ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে মমতাজ হোসেন (৪৭) নামে একজন কেটে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    নিহত মমতাজ হোসেন (৪৭) বিরামপুর পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বেগমপুর গ্রামের মৃতঃ নজির উদ্দিন ছেলে।

    নিহতের প্রতিবেশী সামসুল ইসলাম জানান, মমতাজ হোসেন (৪৭) পেশায় একজন ভ্যান চালাক ছিলেন এবং ভ্যান চালার পাশাপাশি তিনি মাখার দোকান করতেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইডিমা (পানি ধরে সম্পূর্ণ শরীরির ফুলা) ও কিডনি রোগসহ নানা রোগে অসুস্থতায় ভূগছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মমতাজ হোসেন ছাগল চরাতে গিয়ে রেল লাইনের উপর বসে ছিলেন। এসময় ট্রেনে আসার শব্দ শুনতে না পাওযায় সে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত হয় এবং তার শরীরির ট্রেনে কেটে ক্ষত- বিক্ষত হয়।

    পার্বতীপুর জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম নূরুল ইসলাম জানান, নিহত মমতাজ হোসেন ছাগল চরাতে গিয়ে রেল লাইনের উপর বসে ছিলেন। এসময় ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর রেল স্টেশন অতিক্রম করে গেলে বেগমপুর মোড় নামক স্থানে মমতাজ হোসেন ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেছেন।

    বিরামপুর পৌরসভার স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবুল কালাম আজাদ বকুল মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অতিদরিদ্র মমতাজ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কিডনীসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হতাশাগ্রস্থ্য অবস্থায় ছিলেন।

  • মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বিরামপুরের ইসমত আরা বেগম

    মাল্টা চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বিরামপুরের ইসমত আরা বেগম

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চাষীদের

    আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষের নিরব বিপ্লব
    ঘটেছে। এবার উপজেলার ৬০টি বাগান ও কৃষকদের পতিত জমিতে লাগানো গাছে
    মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।

    মাল্টা চাষীদের লাভ দেখে অন্য কৃষকরাও মাল্টা চাষে
    আগ্রহী হয়ে উঠছে।
    উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ
    নিকছন চন্দ্র পাল প্রায় ৫ বছর আগে উপজেলার কৃষকদের উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল
    আবাদে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। এলাকার মাটি মাল্টা চাষের
    উপযোগি হওয়ায় তিনি কৃষকদের মাল্টা বাগান তৈরির প্রতি উৎসাহিত করেন।
    একই সাথে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মাল্টা চারা ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে
    কয়েক বছরের মধ্যে চাষীদের মাঝে প্রায় ৩০টি মাল্টা বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়।
    তাদের সাফল্য দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে চাষীরা আরও ৩০টি বাগান তৈরি করেছেন।

    এছাড়া পতিত জমি ও বাড়ির ছাদে অনেকে মাল্টা চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের
    হিসাব মতে, ৫ বছর আগে উপজেলায় মাল্টার কোন চাষ না হলেও বর্তমানে উপজেলার
    প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপর ৬০টি মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে।

    উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের নূর ইসলাম মিঠু
    জানান, কৃষি বিভাগের আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি ৪ বছর আগে ২৫০টি মাল্টা
    গাছ রোপন করেন। দু’বছর পর ফল ধরতে শুরু করে এবং বর্তমানে প্রতিটি গাছে
    গড়ে ৬০-৭০ কেজি হারে মাল্টা ধরেছে। অন্যান্য বাগানেও এবার মাল্টার বাম্পার ফলন
    হয়েছে। বাগান থেকে বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা তিন হাজার দু’শ টাকা
    মন দরে মাল্টা কিনে নিয়ে যায়। মিঠু আরো জানান, পরিচর্যা খরচ বাদে মাল্টা
    বাগান থেকে তিনি এবার ১০/১২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
    মিঠু আরো জানান, তার বাগানের সার্বিক কাজে সহযোগিতা করেন তার মা ইসমত আরা বেগম |

    এলাকায় মাল্টা চাষের স্বপ্নদ্রষ্টা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র
    পাল জানান, বিরামপুর উপজেলায় তার হাতেই মাল্টা চাষের সুচনা হয়েছে।
    বর্তমানে চাষীরা ব্যাপক হারে মাল্টার চাষ করছেন। এলাকার মাটি মাল্টা চাষের
    উপযোগি হওয়ায় এখানকার মাল্টা অধিক সুস্বাদু এবং আকারেও বড় হচ্ছে। মাল্টা
    চাষীদের অধিক লাভ ও সাফল্য দেখে কৃষকরা নতুন নতুন বাগান তৈরিতে আগ্রহী
    হয়ে উঠছেন। কৃষকদের সার্বিক সহায়তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ
    পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • বিরামপুরে বিপুল পরিমাণ গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী আটক

    বিরামপুরে বিপুল পরিমাণ গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী আটক

    এসএম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাজা রাখার অপরাধে মনসুর আলী বল্টু (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন, উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে মনসুর আলী বল্টু।

    শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক শাহিন শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্তের দিক নিদের্শনায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের দক্ষিন জগন্নাথপুর ভাইগড় গ্রামের মনসুর আলী বল্টু ও তার সহযোগী রুবেলের বসতবাড়ির ভেতরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুজনের বাড়ি থেকে ৫ কেজি করে মোট ১০ কেজি গাজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মনসুর আলী বল্টুকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় আসামী রুবেল (৩৪) কৌশলে পালিয়ে যায়।

    জানতে চাইলে, বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের নিয়মিত এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সু-নির্দিষ্ট তথ্য দিন, সেবা নিন বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • বিরামপুরে রাজহাঁস চুরির অপরাধে এক যুবকের ৩ মাসের কারাদণ্ড

    বিরামপুরে রাজহাঁস চুরির অপরাধে এক যুবকের ৩ মাসের কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে রাজহাঁস চুরির অপরাধে আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক যুবককে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবু সাঈদ নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শওগুন খোলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আবু সাঈদ পৌর শরের হাবিবপুর থেকে একটি রাজহাঁস চুরি করে তার নিজ বাড়ি শওগুণ খোলা যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকামোড়ে আবু সাঈদকে দেখে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। এসময় পুলিশ রাজহাঁস চোর আবু সাঈদকে আটক ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ্দ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার আবু সাঈদকে রাজহাঁস চুরির অপরাধে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন এবং রাজহাঁসটি জব্দ করেন।

    বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, দন্ডিত আসামীকে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুজে পেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হাঁস চুরির অপরাধে অভিযুক্ত আবু সাঈদকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও হাঁসের প্রকৃত মালিককে পেলে হাঁসটির বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

  • ওসি সুমন কুমার মহন্তর অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে ১১ জন আটক

    ওসি সুমন কুমার মহন্তর অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে ১১ জন আটক

    এসএম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিরামপুর এবং এর বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে ৭ জন ও সিআর পরোয়ানামূলে ৪ জনসহ সর্বমোট ১১জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১ ও ২ সেপ্টেম্বর) রাতে ও ভোরে বিরামপুর এবং এর বাহিরের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন থানা পুলিশ। বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ১। মোঃ রাজিব হোসেন (৩৩), পিতা-মোঃ মতিয়ার রহমান, সাং-পূর্বজগন্নাথপুর, সিআর মামলা নং-২৮/২২(নবাব) এর আসামী ২। মোঃ সেলিম মিয়া (৪০), পিতা- মৃত রফিজ উদ্দিন, সাং- বেগমপুর, ৩। মোঃ আঃ কাদের (৪৯), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, সাং-শিয়ালা, ৪। মোছাঃ রহিমা বেগম, স্বামী-মোঃ সোলেমান আলী, সাং-শান্তিরমোড়, জিআর মামলা নং- ১১০/২০ (বিরাম) এর আসামী ৫। মোঃ সেলিম (৩৭), পিতা- মোঃ দেলোয়ার, ৬। মোঃ সোহেল রানা (২৭), পিতা -মোঃ দেলোয়ার, উভয় সাং-শিয়ালা, এনজিআর মামলা নং-২৮/২২ (বিরামপুর) এর আসামী ৭। মুন্সি (৩৫), পিতা- কুচা মিয়া, সাং- রানীনগর, ৮। জালাল (৫৫), পিতা- মৃত সাফাত, সাং- দেশমা, ৯। শাহিদ টুডু (১৯), পিতা-অনিল, ১০। বাসুন্তি (৩৮), স্বামী- ইসমাইল ও ১১। উজ্জল (৩৫), পিতা- আতিয়ার, সর্বসাং- রানীনগর, সর্ব থানাঃ বিরামপুর, জেলাঃ দিনাজপুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে ও ভোরে বিরামপুর এবং এর বাহিরে বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে জিআর ও সিআর গ্রেফতারী পরোয়ানামূলে মোট ১১জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অভিযান চলমান আছে, সু-নির্দিষ্ট তথ্য দিন, সেবা নিন বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • বিরামপুরে একজনের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    বিরামপুরে একজনের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুরের বিরামপুরে অনৈতিক কর্মকান্ডের অপরাধে মো. নুরুজ্জামান ইসলাম নুরু (৪২) নামের একজনকে কারাদন্ড প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।

    বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত হলেন,উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কসবা সাগরপুর গ্রামের মো. মমির উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুজ্জামান ইসলাম নুরু। বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, কসবা সাগরপুর গ্রামের নুরুজ্জামান ইসলাম নুরু বুধবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তার পুত্রবূধর ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক অপকর্ম করার সময় পূত্রবূধর চিকিৎকারে স্থানীয়রা এসে নুরুজ্জামান ইসলাম নুরুকে হাতে নাতে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসন ও থানাকে সংবাদ দেন।

    বুধবার সকালে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কসবা সাগরপুর গ্রামের এই অভিযান চানান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, স্থাননীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কসবা সাগরপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় অনৈতিক কাজ করার দায়ে মো. নুরুজ্জামান ইসলাম নুরুকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

  • বিরামপুরে সিএমবির উপর বসতবাড়ির বাথরুমের লাইন খোলা,পরিবেশ দূষিত মহল্লাবাসির অভিযোগ

    বিরামপুরে সিএমবির উপর বসতবাড়ির বাথরুমের লাইন খোলা,পরিবেশ দূষিত মহল্লাবাসির অভিযোগ

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

    দিনাজপুর বিরামপুরে সিএমবির জায়গার উপর অবৈধ বসতবাড়ির বাথরুমের খোলা লাইন রাখার ফলে মারাত্মক রোগের অর্বিভাব পরিবেশ দূষিত এলাকাবাসীর অভিযোগ ওঠেছে। আজ (২৩ আগষ্ট) বিরামপুর উপজেলার পৌর মহল্লার ৪নং ওয়ার্ড ভূক্ত কলাবাগান সংলগ্ন ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে সিএমবির জায়গার উপর অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরি করেন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক্সরেম্যান ইসরাফিল।

    এই ইস্রাফিল বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক্সেরেম্যান হিসাবে অনেক দিন যাবৎ চাকুরী করে আসছেন। তিনি সরকারী জায়গা সিএমবি এর উপর জবর দখল করে অবৈধ ভাবে একটি বাড়ি তৈরি করে ভাড়ায় পরিচালনা করে আসছেন।
    উক্ত বাড়িটি ইসরাফিল আইনের কোন রকম তোয়াক্কা না করে জবরদখল করে তৈরি করেন। পাশাপাশি বাড়িটির মধ্যে যে টয়লেট তৈরি করেছেন তার লাইন বাহিরে বের করে দিয়েছেন কিন্তু হাউস এর সাথে কোন রকম সংযোগ করেন নাই। ফলে টয়লেট গুলো বাহিরে পড়তে থাকায় এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের স্বাস্হ্যহানির সহ মারাত্বক রোগের একমাত্র কারন হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এবিষয়ে স্হানীয় বসবাসরত এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায় তারা বলেন,এই ইসরাফিল বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক্সেম্যান অবৈধ ভাবে সরকারি জায়গা সিএমবির উপর বাড়িটি তৈরি করেছেন। কিন্তু বাড়ির মধ্যে যে টয়লেট রয়েছে পরিত্যাক্ত মল গুলো বাহিরে ফাঁকা জায়গায় পড়তে থাকে। দির্ঘদিন এমন অবস্থা হওয়ার ফলে রোগ ব্যধির আক্রমণ বেড়ে যায়। এবিষয়ে ইসরাফিল কে বহুবার বলার পরও সে কর্ণপাত করেন নাই। তার এমন কাজের ফলে মানুষের জিবনের ঝুকি বেড়ে গেছে। এবিষয়ে উক্ত বাড়ির মালিক ইসরাফিলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বাড়ি আমি কখন কি করব তা আমার ব্যাপার বলে সরে পড়েন। এবিষয়ে স্হানীয় প্রশাসনের সূ-দৃষ্টি কামনা সহ উক্ত সরকারি জায়গার উপর অবৈধ বসতবাড়ি তৈরি এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় টয়লেট তৈরি না করায় জনসাধারণের জীবনের ঝুকি বেড়ে যাওয়ার ফলে পরিবেশ দূষিত করায় সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণের জোর দাবি এলাকাবাসীর।

  • মোটরসাইকেল রাখার সেড এর শুভ উদ্বোধন করেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী

    মোটরসাইকেল রাখার সেড এর শুভ উদ্বোধন করেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী

    মোটরসাইকেল রাখার সেড এর শুভ উদ্বোধন করেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী‏

    এস এ মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- বিরামপুর পৌরসভার চত্তরে পৌর মেয়রের উদ্যোগে মোটরসাইকেল রাখার সেড এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভা চত্তরে এই সেডের শুভ উদ্বোধন করেন, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

    এসময় পৌর প্যানেল মেয়র আব্দুল আজাদ মন্ডল,পৌর নির্বাহী কর্তকর্তা ফয়জুল ইসলাম,
    পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সেরাফুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী আবু শোয়েব মোহাম্মদ সজল
    বিরামপুর স্ট্যান্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুকুল সরকার, কাউন্সিলরদ্বয় (সংরক্ষিত মহিলা আসন-১) মোছা. বুলবুলি বেগম, কাউন্সিলর (সংরক্ষিত মহিলা আসন-২) মোছা. আঙ্গুঁরা পারভীন, কাউন্সিলর (সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩) মোছা. নাজনীন আকতার, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল মান্নান, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর আলম, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.মোজাম্মেল হক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাফফর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ন কবীর মিলন,৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামাল হোসেন, পৌর স্টাফগণ,সুধীজনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

    সেড উদ্বোধন শেষে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, পৌরসভায় সেবা নিতে আসা সকল নাগরিক যেন তাদের মোটরসাইকেলটি নিদিষ্ট স্থানে রেখে নিশ্চিতে সেবা নিতে পারে সেই লক্ষ্যে সেডটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • আধুনিক সভ্যতার বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গরুর গাড়ি

    আধুনিক সভ্যতার বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গরুর গাড়ি

    আধুনিক সভ্যতার বিবর্তনে হারিয়ে গেছে গরুর গাড়ি

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় এক সময়ের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গ্রামবাংলার জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহি গরুর গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে। নতুন নতুন প্রযুক্তির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটছে, পক্ষান্তরে হারিয়ে যাচ্ছে অতীতের এই ঐতিহ্য। উন্নয়ন ঘটছে, পক্ষান্তরে হারিয়ে যাচ্ছে অতীতের এই ঐতিহ্য।

    গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন যেন রুপকথার গল্প। সভ্যতার প্রায় উন্মেষকাল থেকেই বাংলাদেশের সবর্ত্রই যাতায়াত ও পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূণর্ যান ছিল ‘গরুর গাড়ি’। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার বিবর্তনে যন্ত্রচালিত লাঙল বা পাওয়ার টিলার এবং নানা যন্ত্রযানের উদ্ভবের ফলে বিলুপ্তি প্রায় ‘গরুর গাড়ি’।

    জানা যায়, গরুর গাড়ির ইতিহাস সুপ্রাচীন। খ্রিস্টজন্মের ১৬০০-১৫০০ বছর আগেই সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল, যা সেখান থেকে ক্রমে ক্রমে দক্ষিণেও ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম বাংলায় এ ঐতিহ্য আজ তা বিলুপ্তির পথে।

    একসময় উত্তরাঞ্চলের পল্লী এলাকার জনপ্রিয় বাহন ছিল গরুর গাড়ি। বিশেষ করে এই জনপদে কৃষি ফসল ও মানুষ বহনের জনপ্রিয় বাহন ছিল গরুর গাড়ি। যুগের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই বাহন।

    মাঝেমধ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় দু-একটি গরুর গাড়ি চোঁখে পড়লেও শহরাঞ্চলে একেবারেই দেখা যায় না। সে কারণে শহরের ছেলেমেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের ছেলেমেয়েরাও গরুর গাড়ি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়। এমনকি অনেক শহুরে শিশু গরুর গাড়ি দেখলে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে গরুর গাড়ি সম্পর্কে।

    গরু গাড়ি দুই চাকাবিশিষ্ট গরু বা বলদে টানা এক প্রকার বিশেষ যান। এ যানে সাধারণত একটি মাত্র অক্ষের সাথে চাকা দুটি যুক্ত থাকে। গাড়ির সামনের দিকে একটি জোয়ালের সাথে দুটি গরু বা বলদ জুটি মিলে গাড়ি টেনে নিয়ে চলে। সাধারণত চালক বসেন গাড়ির সামনের দিকে। আর পেছনে বসেন যাত্রীরা। বিভিন্ন মালপত্র বহন করা হয় গাড়ির পেছন দিকে। বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য ও ফসল বহনের কাজে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল ব্যাপক।

    দুই যুগ আগেও গরুর গাড়িতে চড়ে বর-বধূ যেত। গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ে কল্পনাও করা যেত না। বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র পরিবহন বাহন। গরুর গাড়ির চালককে বলা হয় গাড়িয়াল।

    আর তাই চালককে উদ্দেশ্য করে রচিত হয়েছে ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ কিংবা ‘আস্তে বোলাও গাড়ি, আরেক নজর দেখিয়া ন্যাং মুই দয়ার বাপের বাড়িরে গাড়িয়াল’ এরকম যগান্তকারী সব ভাওয়াইয়া গান।

    মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের জন্য বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাক, পাওয়ার টিলার, লরি, নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন মালগাড়ি। মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মোটরগাড়ি, রেলগাড়ি, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা ইত্যাদি।

    ফলে গ্রামাঞ্চলেও আর চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি। অথচ গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো, এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না। পরিবেশের কোনো ক্ষতিও করে না। এটি পরিবেশবান্ধব একটি যানবাহন।

  • বিরামপুরে কাঁচা মরিচ কিনতে আশা গ্রাহকের মাথায় হাত

    বিরামপুরে কাঁচা মরিচ কিনতে আশা গ্রাহকের মাথায় হাত

    বিরামপুরে কাঁচা মরিচ কিনতে আশা গ্রাহকের মাথায় হাত

    এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কাঁচামরিচের আবাদ হলেও সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কাঁচা মরিচের ফলন তেমনটা ভালো হয়নি। বর্তমানে ক্ষেতের গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তেমন উত্তোলন হচ্ছে না।

    কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় সাধারণ গ্রাহকেরা দুচিন্তার মধ্যে পড়েছে৷ বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, বর্তমান কাঁচামরিচের যে দাম বাজারে তা সঠিক রয়েছে, আরও দাম বেশি হওয়া উচিত৷ এছাড়াও তিনি সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে কথা বলেন, সয়াবিনের তেল ২০০ টাকা লিটার মানুষ ক্রয় করছে , এতে কোন সমস্যা নেই ৷ কৃষকরা এই মরিচ বাজারে ১৮০ থেকে ২০০টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।

    সোমবার (২৫ জুলাই ) বিরামপুর নতুন বাজারে গিয়ে কথা হয় কাঁচা মরিচ কিনতে আসা সাধারণ গ্রাহক হালিমের সাথে, সে বলে আমি নিম্নমধ্যে পরিবার, আমার পক্ষে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কেনা সম্ভব নয় যেখানে আমার সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ লাগতো .সেখানে আমি ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনলাম ৷ নতুন বাজারের আড়ৎ দার মজনুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচ মজুদ রাখার জন্য শিতা তাপ নিয়ন্ত্রিত হিমাগার স্টোর বিশেষ প্রয়োজন৷ মুকুন্দপুর বালুপাড়া গ্রামে গিয়ে গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষেতের প্রতিটি গাছ বড় হয়েছে. কিন্তু অনা বৃষ্টির কারণে মরিচ বেশি ধরেনি । এছাড়াও তিনি আরো বলেন , বর্তমান শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় সঠিক সময়ে শ্রমিক পাওয়া যায় না।

    এদিকে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। লাগানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে মরচি ধরতে শুরু করে।