Category: দিনাজপুর

  • এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর ফুলেল শুভেচ্ছা

    এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর ফুলেল শুভেচ্ছা

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    গতবছর ১৪ ফেব্রুয়ারী ২১ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন-পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী। গতকাল সোমবার পৌর মেয়র আককাস আলীর দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্যের এক বছর পূর্তি হলো।

    এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিরামপুর পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এ সময় প্রধান অথিতী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বিশেষ অথীতি হিসাবে ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাইরুল আলম রাজু ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত ,আওয়ামীলিগের সহ সভাপতি নারু গোপাল কুন্ডু , শিবেশ চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন , উপাধক্ষ্য মেসবাউল হক I অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন
    পৌর সচিব সেরাফুল ইসলাম আরোও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম , উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু সোয়েব মোঃ সজল ,হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ,উপ সহকারী প্রকৌশলী বিপাশা রায়

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২য় ধাপের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি’ ২১ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর করোনা মহামারির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়ন ও জনমুখী পৌরসভা গঠনে অনন্য উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এক বছর অতিবাহিত করলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

    দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথমেই তিনি পৌরসভার নাগরিকদের সরাসরি সাক্ষাত উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতনভাতা রেগুলার রেখেছেন।বিরামপুর পৌরসভাকে নান্দনিক ও সুশোজ্জিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আককাস আলী। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে পৌরবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি এক বছরের মধ্যে বিরামপুর পৌরসভা চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এক বছর সময়ে মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় রাস্তা-ঘাট পাকা করণ, ড্রেনেস ব্যবস্থার উন্নয়ন,আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ, মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানার ব্যাপক উন্নয়ন করেন তিনি। এছাড়াও শহরের শোভা বৃদ্ধির জন্য তাঁর পরিকল্পনায় শহরে মহাসড়কের উপর রোড ডিভাইডারের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই গাছগুলো ফুল ও লতাপাতায় ভরে উঠেছে। শহরের রাস্তায় চলাচল কারীগণ উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক মুগ্ধতা। মেয়রের এই সফল পরিকল্পনাকে সাধুবাদ ও অভিন্দন জানাচ্ছেন পথচারিরা।

    বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের পেয়ে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েই পৌরসভার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও নানা ভোগান্তি থেকে বিরামপুর পৌরবাসীকে মুক্তি দিতে দিনরাত নিরালস ভাবে ছুঁটে চলেছেন তিনি। পৌর পরিষদের কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত তদারকি করছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার উন্নয়ন মূলক কাজ।

    বিরামপুর পৌরসভা বিগত দিনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে পৌর এলাকা তৈরী হয়েছে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে এক নতুন শহর। ড্রেনেজ সমস্য সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়ন,পৌর শহরের রাস্তাঘাটের সংস্কার, মাছ বাজার, কাঁচা বাজার ও ঐতিহ্যবাহী পশুহাট পাকাকরণ, মহাসড়কের ডিভাইডারের মাঝে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের চারা রোপন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে। প্রমাণ মিলছে উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার আন্তরিকতার।

    গত ৩০ জুন বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

    জানতে চাইলে,পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এর দিক- নির্দেশনায় পৌরবাসীর জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা ও তার সুদূর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে পৌর শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় আগামীতে আরো সমৃদ্ধি ঘটবে। তিনি আরো বলেন, বিরামপুর বাসী আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ সম্মানের প্রতিদান স্বরূপ বিরামপুর শহরকে ঢেলে সাজাব। যতটুকু বিচক্ষণতা রয়েছে তার সঙ্গে নেতাদের দিকনির্দেশনা আর সুপরামর্শের ভিত্তিতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারব বলেই আমি আশাবাদী। সেই পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আমি মেয়র হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিরামপুর পৌরবাসী তাদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন আমাকে।

    জানতে চাইলে পৌরবাসীরা জানান, পৌর মেয়র আককাস আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর তার কর্মতৎপরতায় পৌরবাসী বেশ খুশি। পৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পৌর নাগরিকদের যে সেবা দিয়েছেন তাতে শিগগিরই বর্তমান মেয়র এর হাত ধরেই আধুনিক সেবাসমৃদ্ধ ডিজিটাল বিরামপুর পৌরসভা হবে বলে পৌরবাসীদের বিশ্বাস।

  • বিরামপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    বিরামপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারের সভায় উপস্থিত থেকে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মোহতিরিমা সিফাত, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিবেশ চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ৭ ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় হুমায়ুন কবির বাদশা, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনুস আলী মন্ডল, আবুল কালাম আজাদ, রহমত আলী, চিত্ত রঞ্জন পাহান, আঃ মালেক মন্ডল প্রমুখ।

    বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিরামপুর মহিলা কলেজে উপধ্যাক্ষ মেজবাউল হক, সমাজ সেবা অফিসার রাজুল ইসলাম, যুব অফিসার জামিল মুন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম, একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতাবৃন্দ,২০ ও ২৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) ক্যাম্প কমান্ডারবৃন্দসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

    আইন-শৃঙ্খলা কমিটির ব্যাপক আলোচনা সভা শেষে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।

  • মাশরুম চাষে ঘুচছে বিরামপুরের মেহেরুন নেছার বেকারত্ব

    মাশরুম চাষে ঘুচছে বিরামপুরের মেহেরুন নেছার বেকারত্ব

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    বিরামপুরে এক নারী উদ্দ্যোগ গড়ে তুলেছেন ফোর এস এগ্রো প্রজেক্টে মাশরুমচাষ শুরু করেন তা থেকেই ধাপে ধাপে পরিধী । তার এই উদ্দোগ ইতিমধ্যেপরিদর্শন করেছেন,বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল ।

    প্রায় প্রতিদিনিই মাশরুম চাষ দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী ।
    মেহেরুন নেছা মাশরুম চাষ প্রজেক্ট এর চিন্তা কি ভাবে আসে বিশ্বব্যাপী
    কোবিড-১৯ শুরু হলে দীর্ঘদিন বসে থাকার পর পারিবারে অর্থনিতিক ধস নামায়,
    পরিবার নিয়ে ঘুরে দাড়াতে মাসরুম চাষের পরিকল্পনা করি।

    ২০২১ সালের অক্টবরে ফোর এস এগ্রো নামে মাশরুম প্রজেক্ট এর যাত্রা শুরু।
    এভাবেই প্রজেক্টির অগ্রযাত্রা এবং বাড়তে থাকে চাষের পরিধী । মাশরুম চাষের
    যে উকরন গুলো লাগে তাহলো, পলিব্যাগ,খড়,মাদার স্পন,দড়ি,বদ্ধ ঘর হাইগ্রো
    মিটার,স্পেয়ার,রাবার ব্যান্ডসহ রাবর ব্যান্ড দিয়ে প্যাকেট প্রস্তত করতে
    হয় মাসরুম চাষের জন্য।

    মাসরুম চাষের জন্য তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় ২০-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত
    (ওয়েষ্টার জাতের জন্য)। এক কেজি মাশরুম উৎপাদনে হয় ১৩০-১৫০ টাকা পর্যন্তউৎপাদিত মাশরুম প্রতি কেজি বিক্রি হয ২০০ টাকা । আর শুকনা মাশরুম বিক্রিহয় ১৪০০-১৫০০ টাকায় । তবে তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় মাশরুমের চাহিদাকম আমার মাশরুম পয়েন্ট থেকে বিরামপুর শহর ছাড়াও ফুলবাড়ি, যোড়াঘাট, ও
    ঢাকায় যাচ্ছে মাসরুম । তবে তুলনা মূলক অনেক কম । মাশরুম সম্পর্ন হালাল,
    পুস্টিকর, সুস্বাদু ঔষধি গুন সম্পন্ন সবজি যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় ।

    এছাড়াও মাশরুম খেলে কোলেস্টরল মুক্ত হয়,ডায়াবেটিকস, উচ্চরক্তচাপ, সহ
    বিভিন্ন রোগের পতিরোদক ও নিরাময়ক । মা ও শিশু সহ সকলের আদর্শ খাবার ।
    মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

    কোভিড-১৯ পর থেকে সংসার চালাতে আমার স্বামীর টানপোড়েন, পরে স্বামী মোঃ
    জামিনুল ইসলাম সুমনের সহযোগিতায় আমার বসত বাড়ি মির্জাপুর গ্রামে কিছু
    জমানো অর্থ দিয়ে ফোর এস এগ্রো প্রজেক্ট হাতে নেই তা থেকেই মাশরুম পয়েন্ট
    এর যাত্রা শুরু তবে সরকারী ভাবে পৃষ্টপোষক বা অনুদান পেলে আমার এই মাশরুম
    পয়েন্ট টি মাশরুম রপ্তানী করে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারবো ।

    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল আজকের
    পত্রিকাকে বলেন, মাশরুম চাষের আদ্রতা বা তাপমাত্রা মেনটেন করা দুঃষ্কর ।

    বিরামপুরের পৌর এলাকার মির্জাপুর গ্রামে এক নারী উদ্দ্যোক্তা মেহেরুন
    নেছা গড়ে তুলেছেন ফোর এস এগ্রো ফার্মে মাশরুম পয়েন্ট ।

    তিনি আরও বলেন, মাশরুম একটি গুন সম্মত পুষ্টিকর খাবার দেশের রাজধানী সহ
    বিভিন্ন জেলা প্রচুর চাহিদা রয়েছে এটি বাজার জাত করতে পারলে দেশের
    অর্থনিতীতে বিরাট ভ’মিকা রাখবে ।

  • রংপুর রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে এম ওহিদুন্নবী

    রংপুর রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে এম ওহিদুন্নবী

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল এ এসপি নির্বাচিত হয়েছেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে এম ওহিদুন্নবী।

    বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ‘মাসিক অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায়’ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য (বিপিএম) এই ঘোষণা দেন।

    রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য (বিপিএম) এবং দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের (বিপিএম-পিপিএম, বার) গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সার্কেল এএসপি ওহিদুন্নবী বলেন, আমার সব সময়ের চাওয়া, জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে সার্বক্ষণিক দায়িত্বশীল থাকা। আজকের এই স্বীকৃতি আমাকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করার প্রেরণা জোগাবে।

    তিনি আরো বলেন, আগামীর পথচলায় আমার এই অবস্থান এবং দায়িত্ব যেন অতীতের মতো পালন করতে পারি, আপনাদের কাছে সেই দোয়া চাইছি। পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসসহ সব ধরনের অপরাধ বন্ধে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।

    বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে এম ওহিদুন্নবী অত্র সার্কেলে যোগদানের পর প্রতিমাসে থানায় অপরাধ সভা, মাদক উদ্ধার, মামলা রহস্য উদঘাটন, ওয়ারেন্ট তামিল, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রাখাসহ সর্বোপরি সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিষ্ঠার সাথে সার্কেলের বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ থানার সকল অফিসার ও ফোর্সদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন

  • বিরামপুরে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ এর যৌথ অভিযান

    বিরামপুরে থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ এর যৌথ অভিযান

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    বিরামপুর থানা ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথ অভিযানে হেলমেট না পরায়, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় মোটরসাইকেল আটক ও মামলা দায়ের করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

    শনিবার (১২ ফ্রেবুয়ারি) সকালে শহরের ঢাকামোড়ে এই হেলমেট বিহীন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হেলমেট না পরায় ট্রাফিক আইন অমান্য কারীদের জরিমানা করা হয়।

    এবারের অভিযানটি ভিন্ন সড়ক পথে দুর্ঘটনার হার কমাতে হেলমেট না পরায় বিরামপুর শহরে ঢাকামোড়ে মোটরসাইকেল আটক করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯২ (১) ধারায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।

    এসময় হেলমেট বিহীন অভিযান পরিচালনা করে করেন দিনাজপুর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট রুবেল ইসলাম, সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম ও থানার উপ-পরিদর্শক হানিফ মাহমুদ।

    দিনাজপুর থেকে আগত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সবার আগে নিজের নিরাপত্তা, হেলমেট বিহীন কেহই যেন মোটরসাইকেল নিয়ে বের না হয় না চলায়, কারণ এই মোটরসাইকেল গুলো দুর্ঘটনায় স্বীকার হয় বেশী, যারা জন্য হিলমেট বিহীন রাস্তায় আসছে তাদের জরিমানা করছি ও ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ২৮ জনের নামে মামলা ৮৭ হাজার টাকা জারিমানা আদায় করা হয় বলেও তিনি জানান।

  • বিরামপুর কর্মব্যস্ত শহরে হাজারো মানুষের ঘুম ভাঙবে পাখির গানে

    বিরামপুর কর্মব্যস্ত শহরে হাজারো মানুষের ঘুম ভাঙবে পাখির গানে

    এস এম মাসুদ রানাঃ-  বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিরামপুরে কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য নেই গাছ তলায় বসে পাখির কোলাহল শোনার ব্যবস্থা। কর্মব্যস্ত হাজারো মানুষের আনাগোনা এখানে। এ শহরে সবই আছে কিন্তু কি যেনো একটি নাই। পৌর শহরের বাসিন্দা তানভি, জবা, শাম্মী, এশা, ফারজানা, বর্ষণ আর আরমান খুঁজে বের করেন শহরের সেই অভাব। শহরের বিনোদন প্রেমী ও কর্মব্যস্ত ক্লান্ত মানুষের জন্য নেই গাছতলায় বসে পাখির গান শুনে মনে প্রশান্তি দেবার ব্যবস্থা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। বন্ধুরা মিলে শহরের বিভিন স্থানে গাছের ডালে পাখির প্রজনন কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিচ্ছেন। তাঁদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার সচেতন মহল।

    উদ্যমী যুবকরা সবাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নছোয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র সদস্য। গত বছর ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৩৩জন উদ্যমী যুবককে নিয়ে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২২ জানুয়ারি সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপস্থিত থেকে সংগঠনটির এ সামাজিক কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে সংগঠনের সদস্য প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় গাছের ডালে উঠে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিয়ে পাখির বাসা তৈরি করে দিচ্ছেন। একাজে কেউ গাছের নিচ থেকে মই ধরে আছেন, আবার কেউ মই বেয়ে গাছের মগডালে উঠে শক্ত রশি দিয়ে বাঁধছেন হাঁড়ি।

    সকলে আনন্দচিত্তে করছেন এ মহৎ কাজ। দুই-এক দিনের মধ্যে বিরামপুর থানা চত্বরের সবগুলো গাছে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করতে কয়েক ডজন মাটির হাঁড়ি লাগানো হবে বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বর্ষণ কর্মকার।

  • সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমে আব্দুর রাজ্জাকের আলু- পরাটার দোকানে

    সন্ধ্যা হলেই ভিড় জমে আব্দুর রাজ্জাকের আলু- পরাটার দোকানে

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    আজকে সন্ধ্যায় সহপাঠীদের নিয়ে আলাপচারিতারএক ফাঁকে কিছু একটা খাবো বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনেকেই। কোথায় খাবেন কী

    খাবেন তা নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

    বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে মুখরচক বা রসনা বিলাস খাবার খেতে কে না
    ভালবাসে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্ন্ধুদের আড্ডায় আলু পরাটা খেতে। ৯ফেব্রুয়ারি নয়ন হাসানসহ এলাকার কয়েকজন ছোট ভাইসহ হাঁটতে হাঁটতে কোনএকসময় পৌছে গেলাম বিরামপুর রেলস্টেশন চত্ত্বরে। ছোট ভাইয়েরা বললো চলেনসবাই একসাথে রাজ্জাকের আলু পরোটা খাই। আমি বললাম কীভবে খাব তারা বললো আলুপরোটার সাথে কয়েক রকমের ভর্তা দিয়ে আলু পরোটা খেতে বেশ মজাই লাগে।আলু পরোটা খেতে খেতে কথা হয় আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বলেন, আগে অন্যেরহোটেলে কাজ করতাম যা মাইনে পেতাম তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হতো,বোঝে উঠতে পারছিলাম না কী করবো! হাতে পয়সা কড়ি নেই, সংসারে অনেক চাহিদাশেষমেষ বৌ্য়ের পরামর্শে বিরামপুর রেলস্টেশনে আলু পরোটার ব্যবসা শুরু করি।দিন দিন খদ্দের চাহিদা বাড়তে থাকায় আমাকেও ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হয়।৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। আলু পরোটার জন্য ভালমানের ময়দা, আলু, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ,তিল, বাদাম, শরিষা,শুটকীমাছ, তেল ও শুকনো খড়ি প্রতিদিন
    কিনতে হয়। বাড়িতে সবগুলো উপকরণ পর্যায়ক্রমে আলু পরোটার জন্য ময়দার খুমিরপ্রস্তুত করে বিভিন্ন রকম ভর্তা যেমন আলূ ভর্তা, কাঁচা মরিচ ভর্তা,বাদামভর্তা,তিল ও শুটকি মাছের ভর্তা নিয়ে বিকেল ৫টায় বিরামপুর ষ্টেশনের দক্ষিণপাশে মজাদার ও সুস্বাদু আলু পরোটার দোকান বসাই।সন্ধ্যে হলেই শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লা থেকে বিভিন্ন বয়সেরছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ সহ রেলস্টেশনে আগত যাত্রীগণ এখানে বসেই খাচ্ছেনআবার কেউ কেউ বাসা বাড়ির জন্য পার্সেল নিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিদিন গড়ে প্রায়২৫০-৩০০ জন আলু পরোটা খেতে আসেন। প্রতিদিন দোকানে সব মিলে খরচ ১৭শ থেকে১৮শ টাকা আর আয় হয় ২৬শ থেকে ২৮শ টাকা।বকুলতলা মোড় থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মরিয়ম আক্তার বলেন, সপ্তাহে ২-৩দিনআলু পরাটা খেতে আসি, এখানকার আলু পরাটার স্বাদটাই আলাদা’।টাটকপুর থেকে থেকে আলু পরাটা খেতে আসা মিলন ইসলাম বলেন, আমি এখানে প্রায়
    আলু পরাটা খেতে আসি। এখানকার আলু পরাটা খেতে মজাটাই আলাদা।বিভিন্ন প্রকারভর্ত্তার স্বাদটাই একেবারে অন্য রকম।
    আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন,এখন আলু পরোটার দোকান থেকে যা আয় করি তা দিয়েবেশ সুন্দর আমার সংসার চলে। এই থেকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার খরচ যোগানদিচ্ছি।আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে মানসম্মত ভাবে আলু পরোটা ওবিভিন্ন ভর্তা তৈরি করতে। সে জন্যই হয়তো খাবারের স্বাদে জন্য মানুষজন আলু
    পরোটা খেতে আসে।

  • নতুন বনায়ন সৃষ্টিতে বাধা! বিরামপুরে সরকারি বনের হাজার হাজার মোথা তুলে বিক্রি

    নতুন বনায়ন সৃষ্টিতে বাধা! বিরামপুরে সরকারি বনের হাজার হাজার মোথা তুলে বিক্রি

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় সরকারি বনের কর্তনকৃত গাছের হাজার হাজার মোথা (গোড়া) অবৈধ ভাবে বিক্রি করছেন বন কর্মকর্তা। মোথা তুলে বিক্রি করায় গোড়া থেকে নতুন চারা গজানোয় বাধা পড়ায় প্রাকৃতিক বন বিলপ্তির হুমকীর মুখে পড়েছে।

    জানা যায়, সরকারি বনের বিরামপুর (চরকাই) রেঞ্জের অধীনস্থ সদর বিটের সন্দলপুর এলাকায় সামাজিক বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। গাছের মোথা (গোড়া) থেকে চারা গজিয়ে নতুন ভাবে প্রাকৃতিক ভাবে বন গড়ে উঠার কথা। কিন্তু, সদর বিটের হাজার হাজার মোথা কিনে মাটি থেকে তুলে খড়ি হিসাবে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

    মাটি থেকে মোথা তুলে নেওয়ায়, মোথা থেকে নতুন ভাবে চারা গজানোয় বাধা পড়ছে এবং প্রাকৃতিক ভাবে নতুন বনায়ন সৃষ্টিতে বাধা পড়ছে।
    মোথা উত্তোলনকারী শ্রমিক সহিদুল ইসলাম জানান, বিট কর্মকর্তার নিকট থেকে নটকুমারী গ্রামে বাক্কার মোথা কিনে নিয়েছে। আমরা শুধু মোতাগুলো (গোড়া) খড়ি হিসাবে তুলে দিচ্ছি। বিট কর্মকর্তা বিক্রি না করলে সরকারী জায়গা থেকে মোথা তুলতে পারতাম না। বরং তাঁদের বাধায় বিড়ম্বনায় পড়তাম।

    শ্রমিক দিয়ে মোথা উত্তোলনকারী নটকুমারী গ্রামে বাক্কার আলী জানান, তিনি চরকাই সদর বিট কর্মকর্তা আব্দুল বারেকের নিকট থেকে প্রতিটি মোথা একশ’ টাকা দরে এক হাজার পাঁচশত মোথা কিনে নিয়েছেন। শ্রমিক দ্বারা মোথা তুলে তিনি খড়ি হিসাবে ইটভাটায় খড়ি বিক্রি করছেন।
    চরকাই সদর বিট কর্মকর্তা আব্দুল বারেক জানান, তিনি মোথা বিক্রি করেন নাই। কিছু লোক মোথা তুলে খড়ি হিসাবে বিক্রি করছে। জনবল কম থাকায় সব দিকে পাহারা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

    ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান, বনের গাছের মোথা বিক্রি বা মোথা তুলে খড়ি বিক্রির নিয়ম নেই। এধরণের কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত

    দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত

    এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    সত্যের সন্ধানে নির্ভিক এই স্লোগানে দিনাজপুরের বিরামপুরে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যায় পৌরসভা কনফারেন্স সেন্টারে নানা আয়োজনে ও উৎসবমুখর পরিবেশে বিশেষ মানুষদের মাধ্যমে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

    বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ডক্টর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিরামপুর প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু,পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ও থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত, পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রহমত আলী, বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার সরকার, উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিবেশ কুন্ডু, হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তাফিজুর রহমান মিলন,বিরামপুর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি আকরাম হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা.নুরুল হক প্রমুখ।

    এসময় থানার তদন্ত (ওসি) মাহাবুব রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম বকুলসহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বক্ত্যরা সকলেই যুগান্তর পত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

    আলোচনা সভা শেষে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও যুগান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।

  • বিরামপুরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা

    বিরামপুরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা

    এস এম মাসুদ রানা:- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিরামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কাঁথা। এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খেটে খাওয়া দিনমুজুর পরিবারের গৃহবধূ, কিশোরীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হতো গ্রামীণ কাঁথা। এই কাঁথায় তাদের হাতের ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা নকশা। ঐতিহ্য গ্রামীণ কাঁথা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে।

    লেপ, কম্বল ও দামি চাদরের কারণে চরাঞ্চল বা গ্রামের দারিদ্র পরিবারের সংসারের গ্রামীণ কাঁথা সেলাইয়ের বাড়তি আয়ের উৎস্য এখন আর নেই। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যে মিশে আছে গ্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন এই সুচ শিল্প। সেই সাথে এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রামের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড। সুচের ফোঁড়ে স্বপ্ন বুনন পল্লী নারীদের উপার্জন প্রাচীন ঐতিহ্য গ্রামীণ কাঁথা আধুনিকতার স্পর্শে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

    গ্রামের বিয়েতে কন্যার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হতো কিংবা শীত নিবারণের জন্য কাঁথা সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতো গ্রামাঞ্চলের কিশোরী ও মহিলারা। গ্রামের নারীদের আড্ডা আর খোস গল্পের ছলে কাঁথা সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে সচারচর আর চোখে পড়ে না। পুরাতন শাড়ি, লুঙ্গি বা ওড়না কাপড়ে রং-বেরঙ্গের সুতা দিয়ে সুনিপুণ হাতে তৈরি করা হয় এ কাঁথা।

    গ্রামের নারীরা মনের মাধুরী মেশানো অনুভুতিতে নান্দনিক রূপ বর্ণ-বৈচিত্রে এই গ্রামীণ কাঁথা বুনন করতেন। নারীদের সুক্ষম হাতে সুচ আর লাল, নীল, সবুজ, বেগুনি, হলুদসহ কয়েক রংয়ের সুতায় নান্দনিকতার বৈচিত্রে সেলাই করা হয়ে থাকে কাঁথা। বিরামপুরেএই সুই-সুতার এফোঁড়-ওফোঁড় করার মাধ্যমে ফুল-ফল, গাছ-লতাপাতা, জিরা গাঁথুনি, চেইন গাঁথুনি, মরিচ লাইট গাঁথুনিসহ বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা যায় এই কাঁথায়।

    এছাড়া আপন মনের ইচ্ছায় দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র কাঁথায় ফুটিয়ে তোলেন কাঁথা শিল্পীরা। তারা নিজেরাই এর শিল্পী, রূপকার এবং কারিগর। এ শিল্পের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রামের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড। বর্তমান সময়ের ব্যবধানে নতুনত্বের ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে হাতের সেলাইয়ে গড়া এই কাঁথার ঐতিহ্য। হাতে তৈরি নানা রকমের ফুল-ফল, পশু-পাখি, গাছ-পালা এবং প্রকৃতির নকশায় সজ্জিত হয়ে উঠত কাঁথা।

    বড় বড় কারখানায় তৈরিকৃত দেশি-বিদেশি রং-বেরঙ্গের রেডিমেট লেপ-কম্বলের চাপায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় গ্রামীণ শিল্পটি। কালের বিবর্তনে আজকাল আর চোখে পড়ে না গ্রামীণ এ কাথাঁ সেলাই এর দৃশ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী নারীরা সংসারের সব কাজ শেষে অবসরে কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করতেন। জায়গা ভেদে একটি কাঁথা সেলাই করতে ১০ দিন হতে এক মাস সময় লাগে। আর মজুরি হিসেবে মেলে ৫শ’ হতে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।

    নিজেদের সংসারে স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সন্তানদের বায়না পূরণ, লেখাপড়ার খরচ মেটাতে বেশ ভূমিকা রাখত হাতে তৈরি এই কাঁথা।
    বিরামপুর পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লায় এলাকার কাঁথা সেলাইকারী কুলসুম বেগম, তসলিমা বেগম জানান, আগে আমরা সবসময় নতুন বা পুরাতন কাপড় দিয়ে কাঁথা সেলাই করতাম। এখন দেশি বিদেশি কম্বল, লেপ আসায় এসব হারিয়ে গেছে। সংসারের কাজের ফাঁকে কাঁথা সেলাই করে আয় রোজগার হতো, এখন তা আর হয় না।

    এখন মানুষ কাঁথা সেলাই করে নিতে চায় না, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে একটা কাঁথা নিয়ে এসে সেলাই করি ৫ থেকে ৮শ’ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারি না। নিজের কাপড় কিনতে পারি না। পাশাপাশি পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু এখন এর চাহিদা নেই। একই এলাকার শিক্ষার্থী মারুফা খাতুন জানান, পড়াশুনার পাশাপাশি কাঁথা সেলাইয়ের কাজ পেলে তা করি। সেই টাকা দিয়ে পড়াশুনার কাজে লাগাই।

    এ ব্যাপারে সমাজ সেবক মোতাহার চৌধুরী জানান, দারিদ্র পরিবারের মহিলাদের সংসারের বাড়তি আয় ছিল গ্রামীণ এ কাঁথা। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঁথা। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্ম-সংস্থান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসলে হারানো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

    তবে এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ঋণ সহায়তার পাশাপাশি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।