Category: নাইক্ষ্যংছড়ি

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১বিজিবির ৪দিনের অভিযানে ৬৯ লক্ষ টাকার মিয়ানমারের অবৈধ গরু আটক

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১বিজিবির ৪দিনের অভিযানে ৬৯ লক্ষ টাকার মিয়ানমারের অবৈধ গরু আটক

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক বিভিন্ন জায়গাতে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৬৯,৬০,০০০/-(ঊনসত্তর লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যবানের বার্মিজ গরু আটক করা হয়েছে গত কয়েকদিনে।

    সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে ঘনকুয়াশার মধ্যে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচলনা করে যাচ্ছে।
    এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি ) এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্য ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৮টি বার্মিজ গরু আটক করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরুর আনুমানিক সিজার মূল্য- ৬৯,৬০,০০০/-(ঊনসত্তর লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।

    সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অবৈধ চোরাচালানের ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনায়ক বলেন, অত্র এলাকায় চোরাচালান কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান। যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রু থেকে প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে স্থানান্তরিত

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রু থেকে প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে স্থানান্তরিত

    মোঃ ইফসান খান ইমন:- নাইক্ষ‍্যংছড়ি,

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুমের তমব্রুতে RRRC কর্তৃক অবস্থানরত বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গ্যাদেরকে শিবিরে ১ম দফাই স্হানান্তরিত করা হয়েছে।

    তুমব্রু কোনার পাড়া জিরো লাইন রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গারা গত ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে এসে অবস্থান নেন।
    রোববার সকাল ৮টা থেকে কক্সবাজার RRRC কর্তৃক নাইক্ষ্যছড়ির তুমব্রুর সঃপ্রাঃবিদ্যালয়ে অবস্হানরত বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গ্যাদের মধ্যে ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন সদস্যকে কক্সবাজার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গ্যা শিবিরে স্হানান্তরিত/প্রেরণ করা হয় বলে জানাগেছে।

    উল্লেখ্য গত ১৮/০১/২৩ ইং তাং তুমব্রু শূন্য লাইনস্হ কোনার পাড়া রোহিঙ্গ্যা শিবিরে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী আরএসও এবং আরসা গ্রুপের মাঝে সংঘটিত সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের পর উক্ত শিবির/ক্যাম্পে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গ্যারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু এলাকা বিভিন্ন স্হানে আশ্রয় নিয়েছিল।

    এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেল ক্রমান্বয়ে বাকি রোহিঙ্গাদেরও উক্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত বিষয়টি দেখবাল করার দায়িত্বে আছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিদেশি ২৪ বোতল মদ আটক করেছে বিজিবি

    নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিদেশি ২৪ বোতল মদ আটক করেছে বিজিবি

    মোঃ ইফসান খান ইমন- নাইক্ষ‍্যংছড়ি,

    নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্হ;ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ চাকমা পাড়াতে।

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বার্মিজ মদ উদ্ধার করা হয়
    শুক্রবার সকাল ৭টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বাইশফাঁড়ি বিওপি’র বিশেষ টহল দল কর্তৃক বিওপি হতে আনুমানিক ১ কিঃমিঃ দক্ষিণে এবং সীমান্ত পিলার-৩৭ হতে আনুঃ ২০০ গজ উত্তর পশ্চিমের চাকমাপাড়ার আম বাগান নামক স্থান হতে মালিক বিহীন ২৪(চব্বিশ) বোতল বার্মিজ রাম মদ উদ্ধার করে করা হয়।

    উদ্ধারকৃত বার্মিজ মদ ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব‍্যটালিয়ন সদরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আসা গরু বৈধ করার নিরাপদ স্থান ‘খামার’

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আসা গরু বৈধ করার নিরাপদ স্থান ‘খামার’

    মোঃ ইফসান খান ইমন:- নাইক্ষ‍্যংছড়ি,

    নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার গহীণ অরণ্য অবৈধ বার্মিজ গরু মজুদের নিরাপদ স্থান। সম্প্রতি আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় কৌশল পাল্টেছে চোরাকারবারীরা। এবার তারা ভ্যাটেনারি বিভাগ থেকে বৈধতা নিয়ে খামার গড়ে তুলছে। যেখানে অবৈধ বার্মিজ গরু এনে বৈধ করা হচ্ছে প্রতিদিন।

    বিগত কিছু দিনে বান্দরবানে তিন ক্যাটাগরিতে অন্তত ৩১টি গবাদি পশুর খামারের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
    মিয়ানমারের গরু পাচারের নিরাপদ এলাকাগুলোতে তড়িঘড়ি করে এসব খামারের জন্য সুপারিশ করেছে উপজেলা ভ্যাটেনারি দপ্তরগুলো। তবে ‘তড়িঘড়ি করে খামার অনুমোদন’ বিষয়টি অস্বীকার করে বান্দরবান জেলা ভ্যাটেনারি কর্মকর্তা পলাশ কান্তি চাকমা বলেন, দুধ, ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই খামারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    তবে খামারে অবৈধ কোন কাজ করলে অবশ্যই আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা নিবেন।

    জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া খামারগুলোর মধ্যে অধিকাংশ নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়। চলতি মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় গরু মোটাতাজাকরণ ও হৃষ্টপুষ্ট খামারের অনুমোদন নিয়েছেন বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম। মের্সাস আলম গবাদিপশু খামার নামে তিনি উত্তর বাইশারী এলাকায় খামারটি করেছেন বলে জানা গেছে, ভ্যাটেনারি বিভাগে দেয়া তথ্যমতে তার খামারে ১৪০টি দেশীয় গবাদিপশু রয়েছে।
    এছাড়া করলিয়ামুরা এলাকায় মের্সাস আবুল কালাম ফার্মের অনুমতি নিয়েছেন সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবুল কালাম।
    তার খামারে ১২৮টি গরু থাকার তথ্য দিয়েছেন। কাগজিখোলা এলাকায় মেসার্স সুলতান গবাদিপশু খামার অনুমোদন নিয়েছেন মো. ইব্রাহিম। তার খামারে ৫০টি এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি এলাকার মৌজা হেডম্যান মংওয়াইন মারমা মের্সাস প্যারেন্ট ফার্ম নামে অনুমোদন নিয়েছেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০টি গবাদি পশুর রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন।

    এদিকে নতুন গড়ে উঠা খামারের বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাদেক হোসেন ও আবু তাহের এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, তাদের এলাকায় খামারগুলোতে ৮-১০টির মত গরু রয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, মায়ানমার থেকে আনা চোরাইগরু মজুদের জন্য মূলত খামারগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে খামারগুলোতে বার্মিজ গরু আনা-নেওয়া হয় বলে ব‍্যাপক জন শ্রুতি রয়েছে।
    দিনের বেলায় একরকম গরু দেখা গেলেও পরের দিন তা দেখা যায় না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান।

    নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম দুই উপজেলার সীমান্ত দিয়ে গত তিন মাসের অধিক সময় ধরে মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার বেড়েছে। গরুর আড়ালে একটি সিন্ডিকেট মাদকও নিয়ে আসছে বলেও লোকমুখে ব‍্যাপক বলাবলি চলছে। বিশেষ করে আলীকদম-দোছড়ি-বাইশারী এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী-কম্বনিয়া-ফুলতলী, জারুলিয়াছড়ি সীমান্তে প্রতিদিন বার্মিজ গরুর সঙ্গে পাচার হচ্ছে মাদক। সম্প্রতি আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাদকের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বিজিবির কর্মকর্তারা।

    নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী, আশারতলী, কম্বনিয়া ও আলীকদম সদরে সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, কিছু জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের ব্যাক্তিদের কাছের মানুষগুলো হঠাৎ করেই খামার গড়ে তোলাই এলাকায় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা জানান, চোরাকারবারীরা মায়ানমার থেকে আনা চোরাই গরু পাহাড়ে এবং খামারে মজুদ করে। পরবর্তীতে বাজার ইজারাদার থেকে রশিদ সংগ্রহ করে খামারীর গরু পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে। সচেতন মহলের মতে, আপাতদৃষ্টিতে গরু ব্যবসায় স্থানীয় এক শ্রেণি উপকৃত হলেও বিপরীতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে গরু ব্যবসার আড়ালে মাদকের চালানও ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র।

  • অনশন ভাঙলেন গর্জনিয়ার সেই কলেজ ছাত্রী

    অনশন ভাঙলেন গর্জনিয়ার সেই কলেজ ছাত্রী

    মোঃ ইফসান খান ইমন: নাইক্ষ্যংছড়ি

    রামুর গর্জনিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চলে যাওয়া সেই কলেজ ছাত্রী চার দিন পর নিজের অনশন ভেঙেছেন। এদিকে পালিয়ে বেড়ানো প্রেমিক আরিফকে আটক করেছে রামু থানা পুলিশ। আরিফের বাড়ি গর্জনিয়ার থোয়াংগেরকাটা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম কামাল উদ্দিন।

    রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আনোয়ারুল হোসাইন বলেন- প্রেমিক আরিফকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে সেই কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেছে।

    স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালে আরিফ এবং ওই কলেজ ছাত্রীর মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। পরে সম্পর্ক গভীর হয়। কিন্তু গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীটি আরিফের বাড়িতে অনশন শুরু করে। প্রেমিক আরিফকে পুলিশ আটক করলে সে অনশন ভাঙেন।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল জব্বার পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন- কলেজ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্হ তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ তুমব্রু কোনার পাড়া শূন্য লাইনস্হ রোহিঙ্গ্যা শিবির ও তুমব্রু বিওপি পরিদর্শ করেছেন বিজিবির মহা পরিচালক।

    বৃহস্পতিবার ১টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিজিবির নবনিযুক্ত মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান NDC, PSC, নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ তুমব্রু বিওপি এবং তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মধ্যবর্তী স্থান তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গ্যা শিবির ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

    গত ১৮/০১/২৩ ইং জাতিগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ARSA এবং RSO গ্রুপের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ফলে উক্ত রোহিঙ্গ্যা শিবিরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফ, তুমব্রু বিওপিতে কোনার পাড়া রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্প ও চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ প্রদান করেন।
    পরে মহাপরিচালক তুমব্রু বিওপি’র সৈনিক লাইন,ডিউটি পোস্ট পরিদর্শন করেন এবং তুমব্রু বিওপিতে সঙ্গীয় অফিসার এবং সৈনিকদের সাথে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।
    পরিদর্শনশেষে বিজিবির মহাপরিচালক ঘুমধুম সড়ক হয়ে রামু সেক্টর এর উদ্দেশ্য রওনা করেন বলে সুত্রে জানা যায়।
    উক্ত পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেনঃ কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও ঢাকা থেকে আসা অন্যান্য অফিসার গণ।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির বাইশফাড়ি বিওপি কর্তৃক দায়িত্ব পূর্ণ মক্করটিলা এলাকা হতে মালিক বিহীন জারকিন ভর্তি আনুমানিক ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২৫মিনিটের সময়।
    ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরি উক্ত চুলায় মদ গুলো পাশ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার কোন এক জায়গাই পাচার করার সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয় চোরাকারবারিরা।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়ে মার্মা,মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান আবু জাফর সেলিম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো; ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারমম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঈীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজ,প্রমুখ।
    এছাড়াও সভায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দাসহ সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।
    সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা তাঁর বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেন,এরপর সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং তিনি সকল বক্তার বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়ে মার্মা,মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান আবু জাফর সেলিম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো; ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারমম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঈীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজ,প্রমুখ।
    এছাড়াও সভায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দাসহ সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।
    সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা তাঁর বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেন,এরপর সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং তিনি সকল বক্তার বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • অবৈধ কাঠ পোড়ানোর দাযে নাইক্ষ্যংছড়ি দুই ইটভাটায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

    অবৈধ কাঠ পোড়ানোর দাযে নাইক্ষ্যংছড়ি দুই ইটভাটায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিবিএম ব্রিকস ও এইচকেবি ব্রিকস নামের দুই
    ইট ভাটায় অভিযান পরিচালন
    করে
    ৫০,হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
    রবিবার -২২ জানুযারি
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমেন শর্মা দুপুর ২:৩০টার সময় ইটভাটা দুটিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। দুই
    ইট ভাটায় জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর অপরাধে এই জরিমানা আদায় করা হয়। বিবিএম ব্রিকসের মালিক ফরিদ আহমেদ (৪৭) এবং এইচকেবি ব্রিকসের মালিক হায়দার আলী (৪৫) এর কাছ থেকে এই জরিমানা আদায় করা হয়।

    এই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা অপরিহার্য। ইট ভাটায় জ্বালানী কাঠ পোড়ানো এবং পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করার দণ্ডনীয় অপরাধ। আজকের অভিযান সকলের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়ার প্রয়াস মাত্র, ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।