Category: নাইক্ষ্যংছড়ি

  • সোনাইছড়ি_তে পর্যটকের উপচে পড়া বীড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পর্যটক,

    সোনাইছড়ি_তে পর্যটকের উপচে পড়া বীড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পর্যটক,

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত ভর্তি এই উপজেলাটিতে রয়েছে, নানান রকম পর্যটন স্পট, এমনি একটি পর্যটন স্পট হলো, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। অল্প দিনে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই পর্যটন স্পট টি, আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে যেতে হয় সেই পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে।

    পর্যটন স্পটটি পাহাড়ের চূড়ায় হলেও, রাস্তার পাশে হওয়াতে, দুই দিক দিয়ে আসতে পারে পর্যটকরা । রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হয়ে ও আসা যায়, এবং মরিচ্যা, কোট বাজার,এবং উখিয়া থেকে ও, রেজু বরইতলি হয়ে আসা যায়।

    পর্যটন স্পট টি দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় হলেও , সপ্তাহিক ছুটিতে কমতি নেই পর্যটকদের , দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় এমন হাজার হাজার পর্যটক দেখে দেখে, আনন্দে দিন পার করছেন, স্থানীয়রা
    এমন দুর্গম পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে এসে পর্যটক রা অনেক আনন্দিত,

    তবে পর্যটকরা জানান আনন্দের চেয়ে ঝুকির দিক টা একটু বেশি,
    কেন এমন একটি সুন্দর পর্যটন স্পটে ঝুঁকি থাকবে, জানতে হলে যেতে হবে পুরোনো ইতিহাসে, জায়গায়টি দুর্গম পাহাড় আঞ্চলে হওয়াতে বন্য হাতির সমাগম একটু বেশি, গত দুই তিন বছর আগেও এইসব এলাকায় প্রচুর বন্য হাতির সমাগম ছিল, দু এক বছরে কিছুটা কমলেও একে বারে বন্ধ হয়নি বন্য হাতির সমাগম, যার কারণেই বিশাল এক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতে হয় পর্যটকদের।

    পর্যটকরা আরো জানান, এমন দুর্গম পাহাড়ে পর্যটন স্পটটিতে, সপ্তাহিক ছুটির দিনে, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ থেকে ১০ টা পর্যন্ত, পর্যটকদের ভীড় থাকে, এমন দুর্গম পাহাড়ে প্রশাসনিক ভাবে, কোনো নিরাপত্তা, না থাকায়, পড়তে পারে কোনো বড় ধরনের, ডাকাতের সম্মোকে/কম্পরে। নই তোবা পড়তে পারে বন্য হাতির আক্রমণে,

    তাই পর্যটকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য অতি দ্রুত সময়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিলে, এমন দুর্গম পাহাড়ে কোনো ভয় আকাঙ্কা ছাড়ায় আনন্দে দিন কাটবে পর্যটকদের।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি কর্তৃক নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মগঘাটা নামক এলাকার একটি রাবার বাগানে অন্যত্র পাচার করার জন্য গোপনে রাখা অবস্থায় মালিকবিহীন নিম্নোক্ত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে বলে জানাগেছে ।
    উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার সিগারেটের এর মধ্যে রয়েছে
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ তৈরি Mond,
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ SO
    ৩৯০০ প্যাঃ বার্মিজ ORIS সহ মোট ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট।
    উদ্ধারকৃত বার্মিজ সিগারেট গুলো ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
    উল্লেখ্য নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বিহীন অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।

  • রামুর গর্জনিয়ায় থামছে না ইয়াবা বাণিজ্য,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের জালে আটকা পড়লো ২ ব্যবসায়ী

    রামুর গর্জনিয়ায় থামছে না ইয়াবা বাণিজ্য,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের জালে আটকা পড়লো ২ ব্যবসায়ী

    কপিল উদ্দিন জয়,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    রামুর পাহাড়ি এলাকার ঐতিহ্যবাহি কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা,পলথিনসহ অবৈধ পণ্যের বাণিজ্য চলছে স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় লোকজনকে ম‍্যানেজ করে।
    অবৈধ এসব ব‍্যাবসা থামানো যাচ্ছে না কোন ভাবেই,এমন পরিস্থিতিতে শনিবার ( ৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জালে আটকা পড়েন দু’ইয়াবা ব্যবসায়ী।
    আটক হওয়া দু’জনই ব্যবসায়ী একজনের নাম মোঃ হারুন ( ৩১) পিতা নুরুল হক,সেসুপারী ব্যবসায়ী। অপর জন ছৈয়দ আলম ( ৩০) সে পান ব্যবসী, তার পিতা নুর আহমদ তাদের দু’জনের বাড়িই কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়ায়।
    তারা দীর্ঘ দিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িত বলে নিন্চিত করেন ককসবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,তারা এদের কাছ থেকে ১০ হাজার ২ শত ইয়াবা উদ্ধার করে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

    এ দিকে গর্জনিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন,এ বাজারের সুনাম ক্ষূণ্ন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
    তারা ঐতিহ্যবাহী এই বাজারটিকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ব্যস্ত হইয়ে পড়েছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হাতে আটক দুই ব্যবসায়ী আটকের ঘটনা।
    গর্জনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন,তিনি ২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আটকের খবর শুনেছেন।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে এক মাদ্রাসার দপ্তরি কে দুর্বৃত্তরা কোপিয়ে হত্যা করেছে।
    ঘটনাটি ঘটেছে ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে।
    নিহত ব্যক্তি হলেন সদর ইউনিয়নের ফজুর ছড়া গ্রামের হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের পুত্র দিদার আলম( ২৫)। তিনি স্থানীয় মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার খন্ড কালীন দপ্তরি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সে ২ সন্তানের জনক ও হাফেজে কোরআন বলে স্থানীয়রা জানান।
    নিহত দিদার আলম প্রতিদিনের ন্যায় চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে দূর্বৃত্তরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে ও গাড়ের পিছন থেকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাটিতে পড়ে সাথে সাথে প্রান হারায় বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
    তবে কে তাকে হত্যা করছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারে নাই।
    স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামিলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে নিহত দিদারের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী কে খবর দিলে সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশ ও বিজিবি কে তারা জানালে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছান এবং লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তত করেন।
    এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন বলেন বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি পুরো বিষয়টি এখনো জানেনা। তবে বিষয়টি পুলিশ কে অবহিত করেছেন।

  • ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    আগামী ১০ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক দেওয়া হয়েছে প্রচারনার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা।

    সম্মেলনে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে বিগত ৫ তারিখ ফরম সংগ্রহ করেছেন ৪জন সভাপতি , ৫ জন সাধারন সম্পাদক পদে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী।

    গত ৬ নভেম্বর ফরম জমা দেন সকল মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সকলের  মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষনা করেন এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে মাদক ও চোরাকারবারী কাউকে নির্বাচিত না করে স্বচ্ছ এবং সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে যারা ভূমিকা রাখতে পারবে তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় কাউন্সিলররা।

    তবে কাউন্সিলর, প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থীদের মাঝে অনেকে রয়েছে যাদের একের অধিক মাদক ও চোরাকারবার মামলার আসামি।

    সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরোয়ার হারেচের (প্রতীক চেয়ার) দুইটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাতে একটি  মামলা (জি আর নং-১৩৭/১২, তারিখ ২১/০৫/২০১২) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় অপর একটি ইয়াবার মামলা ছিল (জি আর নং-৪৪২/২০,  তারিখ ২০/০৯/২০২০

    অপর সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ (প্রতিক ছাতা) এর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মাদক আইনে একটি ইয়াবার মামলা রয়েছে (জি আর নং-৩২০/১৬, তারিখ ১৬/১১/১৬)।

    এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক  প্রার্থী কবির আহমদের (প্রতীক গোলাপ ফুল) নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এবং কক্সবাজার থানায় দণ্ডবিধি-১৮৬০এ দুইটি মামলা রয়েছে।

    ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে  ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে দোয়া ও ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এদিকে সরজমিনে গিয়ে  প্রার্থীদের সাথে সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী ওসমান সরওয়ার জানান, সম্মেলনে কাউন্সিলররা মাদক ব্যবসার  সাথে জড়িত কাউকে নির্বাচিত করবেন না বলে আশাবাদী।

    অপর সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরওয়ার হারেচ বলেন, তার জানা মতে যারা মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ নাই, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক কারবারে আমাদের এলাকা ব্যবহার হচ্ছে।   জেলা নেতৃবৃন্দ, মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী এবং কাউন্সিলররা যেটা সিদ্ধান্ত দেন তিনি মেনে নেবেন।

    ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি প্রার্থী এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ভৌগোলিকভাবে আমাদের ইউনিয়নটি খুবই স্পর্শকাতর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে    ক্লিন ইমেজের যোগ্য-দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সম্মেলনে কাউন্সিলর এবং জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সেটা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুর হোসেন জানান, যদি কাউন্সিলররা তাকে যোগ্য মনে করেন, তবে তাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাবাদী।

    সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ মাদক মুক্ত নেতৃত্ব গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের আহবান জানান।

    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগে দেখতে চায়, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগের কমিটির নেতৃত্বে আছেন। আসন্ন সম্মেলনে তারা আশাবাদী সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করবে নীতি নির্ধারকেরা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলকে সুসংগঠিত করবে।

    এদিকে প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেচ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজজের মধ্যে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং মাদককারবারে সংশ্লিষ্টতা থাকায় খালেদ সরওয়ার হারেচকে কাউন্সিলর এবং নীতি নির্ধারকেরা নেতৃত্বে না আনার সম্ভাবনা রয়েছে।  এক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর আজিজ এগিয়ে থাকবেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদেও নতুন মুখ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    নাইক্ষ্যংছড়ির বটতলী বাজার থেকে থিমছড়ি পর্যন্ত
    প্রায় তিন কিলোমিটার নতুন রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এত দিন এই এলাকার মানুষ খালের পাড়ের সরু একটি পথ পাহাড় দিয়ে চলাচল করতেন। দীর্ঘ দিন চেষ্টার পর দ্বিতীয় বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল জব্বারের সহযোগিতায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নতুন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি গ্রামের হাজারো মানুষ।

    বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানি ও কাঁদা ভেঙে চলাচল করতে হবে না বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। এখন কাঁচা রাস্তা নির্মাণ হলেও পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    জানা গেছে, ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়া পাড়া, ঘোনা পাড়া, হরিণ পাড়া, ও থিমছড়ি এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। হরিণ খাইয়া খালের পাশ দিয়ে সরু একটি পথ দিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা। এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁদের। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ নিরসনে কক্সবাজার -৩ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল (এমপি) আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    প্রকল্প সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, এই এলাকায় চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা ছিল না। গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা ভ্যানও ঢুকতে পারত না গ্রামে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ধান-চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে হতো। শুকনো মৌসুমে খালে পাড়ের পথ দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে কষ্ট আরও বেড়ে যেত। কাঁদা পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হতো সবাইকে। এখন মাটির রাস্তা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকা রাস্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    হরিণ পাড়া গ্রামের মুহিব উল্লাহ বলেন, গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করে। রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। নতুন রাস্তা হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে।

    গর্জনিয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জুবাইর বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিল রাস্তা নির্মাণ হবে এবং সেটি পাকা করা হবে। তাঁদের প্রত্যাশা পূরণের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী বলেন, গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনপদের দৃশ্যপট চিত্র পাল্টে যাবে

  • কচ্ছপিয়ায় বৈধভাবে পালিত গবাদিপশু বাজারে উঠাতে পারছে না ৪ খামারী, যাতাকলে পড়ে কিস্তি পরিশোধ বন্ধ ২ মাস

    কচ্ছপিয়ায় বৈধভাবে পালিত গবাদিপশু বাজারে উঠাতে পারছে না ৪ খামারী, যাতাকলে পড়ে কিস্তি পরিশোধ বন্ধ ২ মাস

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    ককসবাজার জেলার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নস্থ গর্জনিয়া বাজারে গবাদিপশু বিক্রির জন্যে আনতে পারছে না ৪ বৈধখামারী। তারা নানা জটিলতায় পড়ে
    তাদের পালিত এ সব গরু খামারেই রেখে দিয়ে শুধু ৪ বেলা খাওয়াচ্ছে আর সেবা দিচ্ছে।
    তারা বলেছেন,সীমান্তরক্ষী ও পুলিশের অতিরিক্ত তদারকিতে তারা এসব গরু-মহিষ বাজারে উঠিয়ে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা এক ধরণের যাতাকলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেকে বলছেন,ঋণের টাকায় গড়ে তোলা তাদের খামারের বিপরীতে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তারা দারুণ দূঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে বর্তমানে । এভাবে বাকীদের দাবী ও একই। বর্মী গরুর চাপাচাপিতে দেশীয় গরু-মহিষ এখন বাজারে আকাল।

    বালুবাসা গ্রামের খামারী জাফর আলম
    এ প্রতিবেদককে বলেন,তার মোট গরু আছে ৭০ টি। তার ছেলে জমিম উদ্দিনের ছাগল আছে শতাধিক। আবার এ সব পশুর জন্য ধান ক্ষেত আবাদ করেছে প্রায় ৪০ কানি। এভাবে গবাদিপশু পালন ও রোপা আমনের আবাদ করতে অন্তত ৫০ /৬০ লক্ষ টাকা তার খরচ হয়েছে । যার যোগান দিতে তিনি ঋণগ্রস্থ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। তার মূলধন ১৫ লাখ টাকাসহ সব টাকা এখন মালে আর আমনে পড়ে রয়েছে।
    তিনি আরো বলেন,মাল বলতে সেই পালিত গবাদিপশুকেই বুঝিয়েছেন তিনি।
    আর আমনে বলতে রোপা আমন।
    অপর ব্যবসায়ী আলী সওদাগর বলেন,তিনি গরীর ব্যবসায়ী। অনেক কষ্টে এবং ধারে এ গরুর খামার গড়ে তুলেন তিনি। কিন্ত মিয়ানমার থেকে চোরাই পথের গরু আসার অজুহাতে তার গরু গুলো খামারের বাইর করতে পারছেন না তিনি। হয় বিজি্বি নয় তো পুলিশ। তারা এখন মিয়ানমারের গরু ধরছে গর্জনিয়া বাজরের আশপাশে। সে কারণে খামারিরা বিপাকে পড়েছে। যদি ভূল বশতঃ তাদের বাড়িস্থ সে গরু বিজিবি আটক দেখায়।
    তখন তার মূলধন শেষ।
    তিনি আরো বলেন, অনেক ব্যবসায়ী
    বিজিবির জব্দ করা গরু-মহিষ নিলামে ক্রয় করলেও তার মেয়াদ থাকে ৭ দিন। কিন্তু সে পশু গুলো উক্ত সময়ে বিক্রি করতে না পারলে আবারো সে পশু গুলো বিজিবি বা পুলিশ জব্দের চেষ্টা করে। যাতে বিপাকে তারা।
    কেননা বিজিবির সামনে কেউ সুপারিশ করে না। কথাও বলার সাহস পায় না।

    খামারী আবদুর রশিদ ও আমানুল্লাহ বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে গবাদিপশুর খামার করে আসছে। কখনও কোন সমস্যা হয় নি। সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দ্বিগুন উৎসাহে গরু-মহিষ ও ছাগল পালন করে আসছে তারা।

    কিন্ত হঠাৎ করে মিয়ানমারে
    যুদ্ধ শুরু হলে কিছু অসাধু ব্যক্তি কম দামে গরু-মহিষ এনে তাদের বাজার নষ্ট করে দিয়েছে। কিছুদিন এভাবে চলার পর বর্তমানে সীমান্তে চোরাইপশু পাচার বন্ধ হয়ে যায় বিজিবির কঠোর নজরদারীতে।
    তারা দাবী জানান,বিজিবি সীমান্তে যা করে অবশ্যই ভাল কাজ করে। কিন্তু
    গর্জনিয়া বাজারের আশপাশে খামারী এলাকায় বা তাদের পালিত পশুগুলো বাজারে আনা-নেয়ার সময় এতো কঠোরতা তা মোটেও কাম্য নয়। দেশের ক্ষতি। এ জন্যে দেশীয় গরুর খামারীদের গবাদিপশু গুলো বিক্রি করতে পারছে না তারা। কারণ বিজিবির সোর্স গুলো দেশী আর চোরাই পথের গরুর বিষয়ে তথ্য কি দেন তারা খামারীদের বোধে আসছে না। এখন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের খামারীদের কয়েকশ গরু আটকে আছে গোয়ালে আর খামারে। এ সবের খাবার জোগান দিতে তারা সব সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে ধাপে ধাপে।

    তারা অভিযোগ করে আরো বলেন,এখন নানা যাতাকলে পড়ে তাদের গবাদিপশু বিক্রি করতে না পারায় তারা ঋণের কিস্তি দিতে পারছে না ২ মাস । ঋণের বোঝা এখন গলায়গলায় গিয়ে ঠেকছে বর্তমানে।
    গবাদিপশুর খামারীরা এ সব থেকে মুক্তি চায়।

  • রামুর গর্জনিয়া বাজারে আদালতের নির্দেশে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ,

    রামুর গর্জনিয়া বাজারে আদালতের নির্দেশে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ,

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারের প্রধান সড়কের উত্তর পাশে অবৈধভাবে নির্মাণ করা টিনশেডের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও অপর একটি সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় কক্সবাজারের রামু আদালতের সহকারী জজ মোঃ মাজেদ হোসেনের নির্দেশে কক্সবাজারের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়।

    এসময় দোকান ঘর জবরদখলকারী রোপন দাশ এর ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও সুনিল শর্মার সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা উদ্ধার করে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

    এর আগে তাদের ডেকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট ১৫ মিনিট সময় দেয়, এ সময়ের মধ্যে মালামাল না সরায় প্রশাসনের মাধ্যমে সরানো হয়।

    জানা গেছে মোহাম্মদ জামান উক্ত জমি জবরদখলকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করতে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে আসছিল। ওই মামলায় তিনি রায় পেয়ে ফের আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন।

    সে অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২ টায় আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ বিল্লাহ’র নেতৃত্বে ও রামু থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার জমির পরিমাপ করে জমির প্রকৃত মালিককে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়ে দেন।

    এবিষয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি আদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধভাবে দখলে থাকা দোকানদারকে উচ্ছেদ করে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন।

    দীর্ঘদিন দখলে থাকা রুপন দাশ, সুনিল শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন আমাদের কোন নোটিশ না দিয়ে এভাবে আমাদের দোকান ভাংচুর করতে পারেননা। আমাদের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয় এ দোকানের বিচার করেছিল।

    গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লভা কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, সুনীল শর্মার সেলুন এর দোকানের জমির মালিক গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির। তিনি মন্দিরে নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা, এসআই মোজাম্মেল হক, এসআই শরিফুল ইসলাম,
    এ এসআই নুরুন্নবী টিপুসহ রামু থানা ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যসহ রামু জর্জ আদালতের নাজির ও সার্ভেয়ার গণ।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বৃহস্পতিবার ২৭অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার সময়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর কার্যলয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,মাননীয় মন্ত্রীর প্রতিনিধি খায়রুল বাশার,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ।
    এ সময় ইউএনও সালমা ফেরদৌস বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক,সন্ত্রাসবাদ চোরা চালানসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।

  • যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ মাথা ফাটালেন মাদকাসক্ত স্বামী ৪০ দিনের সন্তান নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ মাথা ফাটালেন মাদকাসক্ত স্বামী ৪০ দিনের সন্তান নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

    কপিল উদ্দিন জয়
    নাইক্ষ্যংছড়ি রিপোর্টার

    যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটালেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল।
    গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৫ টায় সময় কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমেদ প্রকাশ রশিদ মাঝির ছেলে আবছার কামাল( ৩৫)
    যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী ৪০ দিনের সন্তানের মা গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি ৪ নং ওয়ার্ড আবদুল জব্বারের মেয়ে তাসমিম আক্তার (২২) কে মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এবং লোহার রডের আঘাতে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বাহির করে দিলেন পাষণ্ড মাদকাসক্ত স্বামী আবচার কামাল। খবর পেয়ে তাসমিমা আক্তারের মা আবেদা খাতুন মাঝির কাটা রাস্তা হইতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গর্জনিয়া বাজার ডাক্তার রুবেলের চেম্বারে নিয়ে যায়।
    অবস্থা অবনতি হওয়ায় দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় সাতটি সেলাই এবং মুখে ২ টি সেলাই করা হয়েছে বলে জানালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    এলাকাবাসী জানান প্রায় ৪ বছর আগে আবচার কামালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ২ টি সন্তান রয়েছে একটির বয়স ৩ বছর আর একটির বয়স মাত্র ৪০ দিন তার স্বামী মাদকাসক্ত। ঠিকমতো আয় রোজগার করেন না। নেশার জন্য তার কাছ থেকে টাকা নিতেন আবছার। এছাড়া বিয়ের পর থেকে যৌতুক বাবদ টাকা দাবি করেন আচ্ছিল। বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। ওই টাকা খরচ করে ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আবছার। এভাবেই তাদের সংসার চলছিল। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফের মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করেন আবছার। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে ধারালে অস্ত্র দিয়ে মুখমণ্ডলে আঘাত করেন।
    আহত গৃহবধূর মা আবেদা খাতুন দাবি করেন, দীর্ঘ ৪ বছরের সংসার জীবনে প্রায় দিনই যৌতুকের জন্য তার মেয়ে কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তবে মারধরের পর পালিয়েছেন আবছার কামাল।
    তিনি আরও বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়ে কে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেছে। তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে কয়েকটি আঘাত করে। এতে মুখমণ্ডলে জখম ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এবং তার মাথায় সাতটি সেলাই করা হয়েছে আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
    এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবছার কামালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
    এবিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সে ব্যয়পারে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি যদি অভিযোগ করে আইনগতভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে