Category: নির্বাচন

  • ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি- সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াদ

    ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি- সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াদ



    নিউজ ডেস্ক: উখিয়া ভয়েস ২৪ ডটকম

    ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য এখন সময়ের দাবি!বাংলাদেশের মানুষকে খাই খাই রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে হলে ইসলামপন্থীদের ঐক্যের বিকল্প নাই।সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজী, খুনাখুনি এসব অপরাজনীতির বিকল্পই এখন ইসলাম। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ! গত ১৬ বছরের তান্ডবের শেষ না হতেই পুরাতন এক পার্টি হাজির হয়েছে বাজার, খেয়াঘাট, গরুর হাট দখলের রাজনীতি নিয়ে। আবার নিজেরা নিজেরা কিলাকিলি করে খুনাখুনিতেও শতক ছাড়িয়ে গেছে। এখনই সুযোগ ওদের রাজনীতির বিরুদ্ধে ইসলামী রাজনীতি খাড়া করানো। যেটা আমরা অতীতে কখনো পারিনি!

    আমাদেরকে নিয়ে ওরা খেলেছে। আমাদেরকে রাজনৈতিক পুতুল বানিয়ে ওরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।১/২ আসন নয়, এবার আমরা খেলবো পুরো সংসদ বিজয় করার জন্য। জনগণ প্রস্তুত। ইসলামপন্থীদের বাক্স ভরে দিতে। তবে ইসলামপন্থীরা এবারের নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে যেতে না পারলে কপালে শনি আছে।জনগণ মারবেতো মারবে! গালাগালিও করবে! তবে আশার বাণী হলো ইসলামপন্থীদের নির্বাচনি জোট ঘোষণা এখন অপেক্ষা মাত্র! ইনশাআল্লাহ। এবার ইতিহাস পাল্টে যাবে। আগামী নির্বাচনে নতুন এক ইতিহাস রচনা হবে ইসলামের পক্ষে। কেউ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা ঠিক হবে না। এবার ভোট চোরদের মুকাবিলা করা হবে শক্ত হাতে। এবার জনগণকে সাথে নিয়ে ইসলামকে বিজয় করেই ঘরে ফিরব। ইনশাআল্লাহ- শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

  • গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য” পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ

    ইসলামী রাজনীতি।

    “গোষ্ঠি স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলেরই ধ্বংস অনিবার্য”- পল্টনে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম ও জাতীয় ব্যক্তিবর্গ, রাজধানীর পল্টনস্থ বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য; উলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ আলেম, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন- “গোষ্ঠিগত স্বার্থে পরস্পর বিরোধে জড়ালে সকলের জন্যই ধ্বংস অনিবার্য। বর্তমান সংকটকালে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা জরুরি, না হলে দেশ আবারও ফ্যাসিবাদ ও বৈদেশিক প্রভাবের ভয়াল ছোবলের মুখোমুখি হবে।”

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী। সভায় বক্তারা বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এটি ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ফসল। যেখানে ছাত্র থেকে যুবক, পুরুষ থেকে নারী, আলেম থেকে আওয়াম সকলের রক্ত ঝরেছে। দল-মত নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠি নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থে এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

    বক্তারা আরও বলেন, “এই সরকার যেন বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নাতীতভাবে বাস্তবায়ন করে। একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ ও নারী অধিকার কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশন থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অপসারণ করে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।”

    তাঁরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষসমূহ এবং জাতীয় স্টেইকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যেন জবাবদিহিতা মূলক সরকারব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

    সভা থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবসমূহ:
    ১. গোষ্ঠিগত ও দলীয় স্বার্থ পরিহার করে আন্তরিক ঐক্যই এখন সমাধান।
    ২. ইন্টেরিম সরকারের প্রতি অহেতুক চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে দায়িত্বশীল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা।
    ৩. বিচার, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীতভাবে সম্পন্ন করার দাবি।
    ৪. বিতর্কিত উপদেষ্টা ও কমিশন সদস্যদের অব্যহতির মাধ্যমে আস্থা পুনঃস্থাপন।
    ৫. চট্টগ্রাম বন্দর, রোহিঙ্গা ইস্যু ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বপক্ষীয় সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

    বক্তারা বলেন, “এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যই আমাদের প্রধান শক্তি। বিভক্তি ও হঠকারী রাজনীতি দেশের অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সকল পক্ষকে এখনই দায়িত্বশীল ও বিবেকবান ভূমিকা পালন করতে হবে।”

    মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা জালাল উদ্দীন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসউদ, ড. ফয়জুল হক, অধ্যক্ষ মোশাররফ হোছাইন, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ফেনী, মাওলানা হানযালা, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মীর হুসাইন, মাওলানা ছানা উল্লাহ বিজয়নগর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফি প্রমূখ।

  • সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    www.ukhiyavoice24.com

    সারা দেশের ন্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসেও চলছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষিত”স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মসূচী ও মানববন্ধন।

    কেন এই কর্মসূচী? আপনারা জানেন, ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় একটি নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে ৮ কোটি ১০ লক্ষ নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এক সুবিশাল ভোটার ডেটাবেইজ যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির। সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে এই ডাটাবেজে প্রায় ১২.৫০ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। UNDP-র সমীক্ষা অনুসারে ভোটারদের এই সংগৃহীত ডাটা ৯৯.৭% সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ভোটার তালিকার এই তথ্যভান্ডার থেকেই উপজাত (byproduct) হিসেবে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রদান করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে NID সেবা নির্বাচন কমিশনের আওতা থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে চায়:

    ০১. সাংবিধানিক ম্যান্ডেট: সংবিধান-এর ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। ভোটার তালিকার তথ্যভান্ডার একটি সংবিধানিক দলিল, যা কারও কাছে হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।

    ০২. ভোটার তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া: উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি একটি সংবিধানসম্মত ও সুরক্ষিত প্রক্রিয়া, যা NID কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

    ০৩. জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা: জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকার উপজাত (byproduct)। প্রকৃতপক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আলাদা কোনো তথ্যভান্ডার নেই, এটি শুধুমাত্র ভোটার তালিকা থেকে উদ্ভূত।

    ০৪. ডাটাবেজের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি: NID সেবা অন্য সংস্থার অধীনে গেলে data duplication ও database manipulation এর আশংকা দেখা দিতে পারে। এতে বিদ্যমান check & balance ব্যবস্থা বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।

    ০৫. গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা: নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমানত হিসেবে সংরক্ষিত। সাংবিধানিকভাবে কমিশন এই তথ্য অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে না। এটি নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষার প্রশ্নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    ০৬. জনগণের বিপুল অর্থের সাশ্রয়: জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনে থাকায় এবং কমিশনের একই জনবল দ্বারা এই কার্যক্রম সম্পাদনের ফলে দেশ ও সরকারের জন্য এটি একটি সাশ্রয়ী সেবায় পরিণত হয়েছে। আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ তৈরি করা হলে জনবল, স্থাপনা ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরিতে জনগণের বিপুল অর্থের অপচয় হবে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

    ০৭. ভোটার নিবন্ধনে নেতিবাচক প্রভাব: জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে শুধুমাত্র ভোটার হওয়ার জন্য জনগণের আগ্রহ ও উদ্দীপনায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে যা ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। উপরন্তু নির্বাচন কমিশন নিজস্ব উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হারালে নতুন কোন উদ্ভাবনে (innovation) প্রতিষ্ঠানিকভাবে নিরুৎসাহিত হবে।

    ০৮. ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ: নির্বাচন কমিশন থেকে NID কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হলে ভোটার তালিকার নির্ভুলতা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হতে পারে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়বে।

    ০৯. রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত: অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ২০২৩ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল করে NID কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে। এতে স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে NID কার্যক্রম পরিচালিত হওয়াই সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।

    আমরা মনে করি, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাই সংবিধানসম্মত, নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবস্থা। আমরা সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছি, যাতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।

  • নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

    নিউজ ডেস্ক:➡️ www.ukhiyavoice24.com

    নির্বাচনে সব জায়গায় এক বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার বিকাল তিনটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় বর্তমান দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
    আলোচনায় উভয় দল ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণে এবং দেশপ্রেমিক গণমানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের একটি বাক্স দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

    এ বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে অপরাপর সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কার্যকর আলোচনা চালানোর জন্য উভয় দল আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই,জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ও মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।

  • ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি।
    আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। ৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মা য়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না।

    তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনীদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে যারা নির্বাচনে আহবান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।

    তিনি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ কে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকী কে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।সম্মেলন ঘোষণা পত্র পাঠ করেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
    বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম,জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবদুল খায়ের ও কে এম আতিকুর রহমান।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৫৩ বছরের লুটপাটে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়েছে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলেম ওলামাদের কে বিভক্ত করতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এখন মুসলমানদেরকে নিয়ে আজান দেয়ানো শুরু হয়েছে। তাদের উপর আল্লাহর গজব পতিত হয়েছে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, যুবক জাগ্রত হলে দেশ ও জাতি ভালো হয়। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস। কোন ভাবেই রুহানিয়াতকে ভূলে যাও যাবে না বা বাদ দেয়া যাবে না। সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী যুব আন্দোলন। সাহাবাদের জন্য ত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসতে হবে। সাহাবাদেরকে যারা সমালোচনা করবে তাদেরকে ঘৃণা করতে হবে। কৌশলের নামে সুন্নতকে বাদ দেয়া যাবে না। ঈমানকে মজবুত করতে পারলে জয় আসবে। জিকির ও ফিকিরে থাকতে হবে। রুহানিয়াতকে বাদ দিয়ে কোন জিহাদ আমরা চাইনা। রুহানিয়াত ছাড়া জেহাদ হয় না এটা হবে সন্ত্রাস। আমাদের ইসলামী হুকুমত কায়েম করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ধ্বংসস্তূপের উপরে কিছু হতে পারে না। যে কারণে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমরা চাই। কারো ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ থাকতে হবে।

    সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে ৫০৫ টি আসন রাখা হয়েছে। আমি মহিলাদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসন চাই না। এক কক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সকল নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো অথচ অন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো না। বিএনপি নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলে ছাত্র জনতার অর্জনকে ধ্বংস করতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাঁদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এখন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ৫৩ বছরে ফ্যাসিস্টের উত্থান ও পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনমতের কোন প্রতিফলন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা দ্বি-কক্ষ চাইনা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। আগামীদিনে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চাইলে পিআর পদ্ধতি দিন। অন্যথায় আন্দোলন করে পিআর পদ্ধতি ছাত্র জনতা আদায় করবে।

    মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, ইসলাম এসেছে আওলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে। সকল পীর মাশায়েখদেরকে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের কোথায় কোথায় ফ্যাসিস্টদের সহযোগী আছে তাদের তালিকা হওয়া দরকার। পিআর বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচন হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,
    অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র ঠিক করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলো তাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে। বিগত দিনে যারা ৩/৪ বার ক্ষমতায় ছিলো তারা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তাদের অতীত চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। তারা উপর থেকে যে কথা বলেন তাদের কথা তৃণমূলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা অপরিকল্পিত রাষ্ট্র পরিচালনা করে না। আশাকরি আপনারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। ইসলামী দলের নেতারা আগামী দিনে যাতে দুর্নীতিবাজদের সহযোগী না হন সে জন্য অনুরোধ করছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে শোষণ করেছে। নব্য চাঁদাবাজ ও দখলদাররা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পথে যাবে।

    জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিলো তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, ১৯ জুলাই ২০২৪ ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছে। সে থেকে আমরা ফ্যাসিস্টদের উৎখাত করে ঘরে ফিরেছি। তিনি যুব নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্র ভিত্তিক শক্তিবৃদ্ধির আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচনে আমার ভোট কেউ ছিনতাই করতে চায় তবে দেশের যুব সমাজ তাদের চোখ তুলে দিবে।

  • চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা।।উখিয়াভয়েস২৪ ডটকম

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা।।উখিয়াভয়েস২৪ ডটকম

    আলমগীর ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভোট গ্রহণ। এতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণায় দোয়াত কলম প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম।

    ৫ জুন (বুধবার) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয় বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের সার্বিক তৎপরতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত যথারীতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে উপজেলা প্রশাসন হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।ঘোষণাকৃত ফলাফলে (দোয়াত কলম) প্রতীকে ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন খোরশেদ আলম।

    তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরানুল হক (আনারস) প্রতীক পেয়েছে ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট, শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছে ১২শ, ৬৯ ভোট, জাহেদুল হক চৌধুরী মার্শাল (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছে ৩৭৬ভোট।অপরদিকে মোহাম্মদ হুসাইন (বই) প্রতীকে ২১ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী

    মোঃ আক্তার হোসেন (তালা প্রতীকে পেয়েছে ১৬ হাজার ২৬৭ ভোট, আরিফুজ্জমান (চশমা) প্রতীকে পেয়েছে ১৬ হাজার ১৮৩ ভোট, এম. এ মালেক মানিক (উড়োজাহাজ) প্রতীকে পেয়েছে ৫,০২৯ ভোট, আরিফুর রহমান সুজন (টিয়া পাখি) প্রতীকে পেয়েছে৮,১৮৮ ভোট, মোঃ ওসমান গণী (মাইক) প্রতীকে পেয়েছে ১০ হাজার ২৭০ ভোট, ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম টিউবওয়েল প্রতীক পেয়েছে ৬০৭৯ ভোট।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে
    নুরীমন (ফুটবল) প্রতীকে ৪৫ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন,
    তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রেহেনা আক্তার কাজেমী (কলস) প্রতীকে পেয়েছে ১৯ হাজার ৫৬০ ভোট, ইয়ামুন নাহার (প্রজাপতি) প্রতীকে পেয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৮ ভোট।বাঁশখালী ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪জন। তন্মধ্যে সর্বমোট রেকর্ড হয়েছে ৮৭ হাজার ২০৬ ভোট।

    ফলাফল ঘোষণা করেন, উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেসমিন আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক,সমবায় কর্মকর্তা গাজী ওমর ফারুক, প্রকল্প বাস্তবায়ন উপ-সহকারী প্রকৌশল লিফটন সহ বিভিন্ন প্রিন্টস এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই- আবুল মনছুর চৌধুরী।

    প্রিয় উখিয়া উপজেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম।

    আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ছাত্রাবস্থা থেকে আমি রাজনীতিতে জড়িয়েছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে। ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ে বড় দায়িত্বে ছিলাম। এরপর আমার নিজ উপজেলায় আওয়ামীলীগের কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছি সততার সাথে। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ক্যারিয়ারে আমি শপথ করে বলতে পারবো, আমি আমার জনগণের; নাগরিকের; গরীব-দুঃখী মেহনতী মানুষের হক নষ্ট করিনি। জুলুম করিনি। অন্যায় করিনি। আমি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি সারাজীবন শ্রদ্ধা পোষণ করে এসেছি। কিন্তু উখিয়া উপজেলার রাজনীতি একটা নিদিষ্ট পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। তাদের এই প্রভাব বলয়ের ভিতরে অন্য কোন নেতাকর্মীদের জায়গা হয় না। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়েছে ওই একটা পরিবার। ক্ষমতার লোভ মানুষকে কতটা অন্ধ করে দিতে পারে এটা আপনারা সবাই বিগত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছেন। নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি আপনাদের এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি; আমি আপনাদের জন্য কাজ করবো। আপনাদের হয়েই কথা বলবো। যেমনটা আগেও করে আসছি। আমি শপথ করে বলতে পারবো, জীবনে হারাম, অবৈধ কোন আয়-উপার্জন করিনি। আমার ছেলে-মেয়েদেরও এই শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি। আপনাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু করতে চাই না। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে মোটরসাইকেল মার্কায় আপনাদের মুল্যবান ভোট টি প্রদান করে আমাকে জয়যুক্ত করুন। আমাকে জয়যুক্ত করা মানেই আপনারাই জয়ী হওয়া। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।

    বিনীত নিবেদক: আবুল মনসুর চৌধুরীউ, খিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

  • ঢাকা-১৮ আসনে ট্রাক মার্কা জিতলে জনতারই জয় হবে

    ঢাকা-১৮ আসনে ট্রাক মার্কা জিতলে জনতারই জয় হবে

    এস.হোসেন (মোল্লা)

    একজন সুযোগ্য,সুনির্ভর ও ত্যাগী মহান নেতা হিসেবে এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ঢাকা -১৮ আসনের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। ট্রাক মার্কা প্রতীক পেয়ে তিনি প্রচারের কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। দিকে দিকে মুখরিত ভাবে তার প্রচারে চমৎকার ভাবে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

    জনতার উদ্দেশ্যে তোফাজ্জল হোসেন বলেন,
    “ট্রাক আপনাদের মার্কা! আমার জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই। যেহেতু, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।কাজেই ঢাকা-১৮ আসনে ট্রাক জিতলে আপনারাই জিতবেন।আমি আপনাদের সেবক মাত্র।”
    তার পাশে সমর্থন ও সহযোগিতায় রয়েছেন গন্যমান্য আরো ৩০ জন মুক্তি যোদ্ধা! তাদের সম্মিলিত একটাই বক্তব্য – “আগামী ৭ই জানুয়ারি ঢাকা-১৮ আসনে ট্রাক মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। প্রকৃত দেশ প্রেমিকের হাতে জনসেবার দায়িত্ব দিন। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, ট্রাক মার্কায় ভোট দিন। ”

    এলাকার জনগণের প্রানপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন(সাবেক চেয়ারম্যান দক্ষিনখান ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক,ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামি লীগ)।তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা-১৮ আসন রাজধানীর একটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ আসন। আজকের ডিজিটাল আগামীতে স্মার্টে পরিনত হবে। আমি দক্ষিণখান ইউনিয়নে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এলাকার জনসাধারণকে নিয়ে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য আনোয়ারা মডেল ডিগ্রী কলেজ,এমারত হোসেন টেকনিক্যাল কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেকারত্ব দুর করার জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান করেছি। সেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যাকে ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ অবিরাম কাজ করে চলেছি।তাই ঢাকা -১৮ আসনের জনগনের কাছে যোগ্যতা ও ভালোবাসার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আমার জনসেবার সুযোগ এখন সময়ের উপযুক্ত অধিকার ও দাবী।

    তিনি আরও বলেন,আমি অবশ্যই জনগণের ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে চলেছি এবং জনতার বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতিদান দেয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।এই ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ আজীবন কাজ করে যাবো। বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন– ” অবরোধ,জ্বালাও-পোড়াও করে কোনো লাভ হয়নি, হবেও না। বরং এতে দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতি এবং আপনাদের জন্য বদনাম। তাই ওসব তান্ডব না করে আপনারাও আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দিন।দেশ ও দশের প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্য প্রকাশের উপযুক্ত দৃষ্টান্ত রাখুন।

  • আপনারা একদিন কষ্ট করে ভোট দিন-আমি পাঁচ বছর কষ্ট করব-জনসভায় বীর বাহাদুর এমপি

    আপনারা একদিন কষ্ট করে ভোট দিন-আমি পাঁচ বছর কষ্ট করব-জনসভায় বীর বাহাদুর এমপি

    বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকার মনোনীত প্রার্থী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি কে ৭ম বারের মতো নির্বাচিত করার লক্ষ্যে লামায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গত ৩১’ই ডিসেম্বর-২০২৩ খ্রিঃ রবিবার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লামা উপজেলার আজিজনগর, ফাইতং, ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়ন এর ইয়াংছা ও কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ জনসভা ও পথসভার আয়োজন করা হয়।

    সকাল ১০ টায় কুমারীতে পথসভা,২টায় ইয়াংছাই জনসভা, ৪টায় ফাইতং এ জনসভা ও ৬টায় আজিজনগর ইউনিয়ন এর জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও ৩০০নং আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

    বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির এ সকল জনসভায় সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন,আজিজনগর রয়েল টেক্সটাইল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান, ফাতেমা পারুল, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম,লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াই সিং মার্মা, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মিন্টু সেন ও রূপসী পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সাচিং প্রুসহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

    এ সকল পথসভা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৩০০নং আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,আপনারা আগামী ৭ তারিখ একদিন কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকাকে জয় করুন,আমি আগামী আরও পাঁচটি বছর আপনাদের জন্য কষ্ট করব। আমি কথায় না কাজে বিশ্বাসী,আমি যা বলি তা করি।মিথ্যা আশ্বাস দেওয়ার মতো লোক আমি নই।যদি কথা দিয়ে কথা না রাখি ভবিষ্যতে আর কোনোদিন ভোটের জন্য আপনাদের সামনে আসবনা।তিনি এসব পথসভায় আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে, নৌকার সরকার আসলে বান্দরবানকে একটি স্মার্ট বান্দরবানে রুপান্তর করব। আর সেই স্মার্ট বান্দরবানের সবচেয়ে ডিজিটাল ও আধুনিক শহর হবে এই লামা।

    সবশেষে লামার নির্বাচনী প্রচারণার সর্বশেষ জনসভা স্থল আজিজনগর ইউনিয়ন এ সমাপনী বক্তব্য রাখেন আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন কোম্পানি। তিনি আগামী ৭ তারিখ লামা উপজেলার আজিজনগর থেকে সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করার আশ্বাস দেন।

  • তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ২৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

    দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ভোট প্রদান করেন মোট ভোটারের ৮৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার। ব্যালট বক্স খোলা হয়েছে ৯৮.২২ শতাংশ। এর মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.১২ %, কামাল কিলিচ-দারোগলু পেয়েছেন

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ২৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

    দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ভোট প্রদান করেন মোট ভোটারের ৮৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোটার। ব্যালট বক্স খোলা হয়েছে ৯৮.২২ শতাংশ। এর মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.১২ %, কামাল কিলিচ-দারোগলু পেয়েছেন ৪৭.৮৮ %।

    এর আগে, গত ১৪ মে নির্বাচনে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পান ক্ষমতাসীন এরদোগান। অপরদিকে, শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল পান ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কেউই ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায়, নির্বাচন গড়ায় রানঅফে। অবশ্য তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিনান ওগান এরদোগানের প্রতি সমর্থন জানান।

    ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

     

    সূত্র যমুনা নিউজ