Category: নীলফামারীর জেলা

  • সৈয়দপুরে তেল পাম্প গুলোতে পেট্রোল অকটেন সংকট।।

    সৈয়দপুরে তেল পাম্প গুলোতে পেট্রোল অকটেন সংকট।।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রায় প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন সঙ্কটের কারণে জ্বালানি না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। ঈদের পর থেকে এ অবস্থা বলে জানায় তেল বিক্রয়কারী পেট্রোলপাম্পগুলো। তবে কবে নাগাদ এ সমস্যা সমাধান তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
    গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের রাজা, খালেদ, সুমনা, আইয়ুব ফিলিং স্টেশনসহ কয়েকটি পাম্পে একই অবস্থা। তেল না পেয়ে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই অবস্থা জেলার বাইরে উপজেলার পাম্পগুলোতেও। জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র মতে, জেলায় ৩৬টি তেল পাম্পে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ২৫ হাজার লিটার অকটেন প্রয়োজন হয়।
    কিন্তু গত তিন মাস থেকে জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেনের সরবরাহ কম ছিল। এক মাস ধরে অকটেনের সরবরাহ নেই।

    কহরের আইয়ুব ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক জানান, ঈদের কয়েকদিন আগেই পেট্রোল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মানুষকে দিতে পারছি না। ঈদের কিছু দিন আগে যা অকটেন এসেছিল, সেগুলো দিয়ে কোনো রকমে চালাতে হচ্ছে। জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান স্বপন জানান, গত তিন মাস থেকে পেট্রোল সঙ্কট চলছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে না পেয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে তেল নিয়ে পাম্পগুলো চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু এখন বাঘাবাড়ী ডিপোতেও পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাম্পগুলোতে ডিজেল সরবরাহ রয়েছে।

  • নীলফামারীর পাগলীমার হাটে প্রতিদিন কোটি টাকার মরিচ বিক্রি

    নীলফামারীর পাগলীমার হাটে প্রতিদিন কোটি টাকার মরিচ বিক্রি

    আব্দুর রাজ্জাকঃ- জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী,

    নীলফামারীর পাগলীমার হাটে প্রতিদিন কোটি টাকার মরিচ বিক্রি ডোমারের পাগলীমার হাটে প্রতিদিন কোটি টাকা মরিচ বিক্রি হয়
    মরিচের জন্য বিখ্যাত নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাগলীমার হাট। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে চলে মরিচ কেনাবেচা। হাটে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মণ মরিচ বিক্রি হয় যার মূল্য প্রায় কোটি টাকার মতো।

    মরিচের মৌসুমে বছরে প্রায় চার মাস এই হাটটি বসে। তখন সপ্তাহের সাতদিনই চলে মরিচের কেনাবেচা। চট্টগ্রাম, ঢাকা, নওগাঁ ও খুলনা থেকে পাইকরা এই হাটে এসে মরিচ কিনে নিয়ে যান।

    উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মুছার মোড় এলাকায় পাগলীমার হাটের অবস্থান। এই মরিচের হাটে ডোমার, ডিমলা, চিলাহাটি ও জলঢাকা উপজেলা ছাড়াও পাশের এলাকা থেকে শতশত চাষি তাদের উৎপাদিত মরিচ নিয়ে এসে বিক্রি করেন। শুধু মরিচ ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা এই পাগলীমার হাটে রয়েছে প্রায় শতাধিক আড়ত। দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকে এসব আড়ত।

    হাটে আসা ডিমলা উপজেলার নাউতারা এলাকার নুর মোহাম্মদ নামে এক মরিচ চাষি বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় মরিচের দাম কিছুটা কম। দুইদিন আগে যে মরিচ ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ বিক্রি করছি এখন তা ১ হাজার ৫০০ টাকা।

    তিনি আরও বলেন, ১১ শতক জমিতে মরিচের চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আষাঢ় মাস পর্যন্ত মরিচ বিক্রি করতে পারবো।

    নয়ন নামে আরেক মরিচ চাষি বলেন, তিনি কার্তিক মাসে জিরা ও সাপ্লাই নামে দুই জাতের মরিচের গাছ লাগিয়েছিলেন। মার্চ মাস থেকে মরিচ তোলা শুরু করেছেন। প্রথম দিকে জিরা মরিচ ১ হাজার ৭০০ ও সাপ্লাই মরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করলেও দিনদিন দাম কমছে।

    হাটের ইজারাদার সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পাঙ্গা পীর সাহেবের হাট ইজারা নিয়েছি। সেখানে জায়গা না হওয়ায় কাঁচাবাজারটি এই হাটে নিয়ে এসেছি। প্রতিদিন এখানে মরিচের হাট বসে। হাটে প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মণ মরিচ বিক্রি হয়।

    তিনি আরও বলেন, আর এই মরিচের হাটের কারণে ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে এখানে।

    হাটে মাছের দোকানি আমিনুর বলেন, এই হাটে মাত্র চার মাস আমরা ব্যবসা করে থাকি। মরিচ শেষ হলে হাটটি জনশূন্য হয়ে পড়ে ফলে বিক্রি কমে যায়। আমরা এই চার মাসের আয় দিয়ে ১২ মাস চলি।

    পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দুলাল হোসেন জানান, প্রতিদিন এখানে মরিচের হাট বসে। এই মরিচকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পাগলীমার হাট। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মরিচ কেনার জন্য এই হাটে এসে অন্যান্য পণ্যও কিনে নিয়ে যান।

    হাটের এক আড়তদার নয়ন বলেন, এখান থেকে মরিচ কিনে চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হয়। পাগলীমার হাটের মরিচ চট্টগ্রামে খুবই জনপ্রিয় বলে তিনি জানান।

    আরেক আড়তদার নেয়ামুল জানান, এখান থেকে মরিচ কিনে ট্রাকে করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমদানির ওপর নির্ভর করে মরিচের চাহিদা। তারপরও প্রতিদিন তিন-চার ট্রাক করে মরিচ খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    এই হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ ট্রাক মরিচ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায় বলে জানিয়েছেন আড়তদার তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোরে হাটে এসে মরিচ কিনে সন্ধ্যায় ট্রাকে করে রাজশাহীতে মরিচ পাঠানো হয়।

    ডোমার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান জানিয়েছেন, উপজেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এবার ফলন ও দাম ভালো থাকায় মরিচ বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন।

  • নীলফামারীর জলঢাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র নাথ রায়ের জীবনাবসান

    নীলফামারীর জলঢাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র নাথ রায়ের জীবনাবসান

    নীলফামারীর জেলার জলঢাকা উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র চন্দ্র রায় (৭৫) পরলোকগমন করেছেন।

    গত মঙ্গলবার সকালে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র নাথের ছেলে ধীরাজ রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট সহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পুর্ব খুটামারা এলাকার মৃত গেংলা বর্মণের ছেলে। বিকালে রাস্ট্রীয় মর্যাদা শেষে তাকে স্থানীয় ভাটারপাড় শ্মশানে দাহ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র নাথ রায় স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ জন মেয়ে সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    রাস্ট্রীয় মর্যাদায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান, থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জলঢাকা উপজেলা আহবায়ক আসাদুজ্জামান স্টালিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীবাস রায় সহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অগণিত মানুষ।

    এই বীর সন্তানের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব) রানা মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল সহ সর্বস্তরের মানুষ।

  • সাফল্যের গল্প স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন,

    সাফল্যের গল্প স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন,

    সাফল্যের গল্প
    স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন
    সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ
    সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

    স্বপ্ন ছুঁয়েছেন ওঁরা ৩৯ জন

    এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার একটি সরকারি কলেজ থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে চমক দেখিয়েছে

    গত মঙ্গলবার ২০২১-২২ সেশনের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ২৩ জনই ছাত্রী। গত বছর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও অসাধারণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা দারুণ খুশি।
    সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিগত ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল। ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করা হয়। ২০১৯ সালে নামকরণ করা হয় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ।

    সূত্র জানায়, চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৪৯ জন। এই ব্যাচেরই ৩৯ জন শিক্ষার্থী এবার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেলেন।

    আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে গত বছর ৪০ জন, ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ শিক্ষার্থী মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
    ৩৯ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির কারণে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছে শিক্ষার্থীরা।