Category: পালংখালী

  • জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন

    জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

    জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা জামায়াত মানববন্ধন। কক্সবাজার, (সংবাদদাতা): ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯ টায় কক্সবাজার শহরের কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা। ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণের একটি বৃহৎ অংশকে প্রতিনিধিত্বহীন করে রেখেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো ‘পিআর’ পদ্ধতি গ্রহণ করা, যা এখন ‘সময়ের দাবি, জনগণের দাবি এবং গণতন্ত্র রক্ষার দাবি’। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হোক। একই সাথে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তির লক্ষ্যে আয়োজিত গণভোটের সাথে পিআর পদ্ধতিকেই অন্তর্ভুক্ত করে আগামী নভেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। অন্যথায়, এই দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই চূড়ান্ত সমাধান করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের মোট ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতে সংসদে আসন পাবে, ফলে কোনো ভোট নষ্ট হবে না এবং ছোট-বড় সব দলই প্রকৃত সমর্থনের অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব পাবে। জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দিতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। তিনি মনে করেন, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রভিশনাল সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজনের অতীত নজির রয়েছে উল্লেখ করে তিনি ‘রাষ্ট্রপতি আস্থা গণভোট’ এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তনের লক্ষ্যে ‘সাংবিধানিক গণভোট’-এর উদাহরণ দেন। জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা মানবাধিকার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার শহর আমীর ও কক্সবাজার ১ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার সদর আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুহসিন, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইবরাহিম খলীল, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট দেলাওয়ার হোসাইন। বক্তারা মানববন্ধন থেকে ঘোষিত পাঁচ দফার আলোকে নিন্মোক্ত সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

    ১. পিআর পদ্ধতি চালু: উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক হারে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যাতে প্রতিটি ভোট ও ছোট-বড় সব দলের মর্যাদা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। তাছাড়া ভোট ডাকাতি, কালো টাকার ছড়াছড়ি, কেন্দ্র দখল, নমিনেশন বাণিজ্যসহ অগণতান্ত্রিক আচরণ বন্ধে পিআর এর কোনো বিকল্প নাই। ২. জুলাই সনদ ও গণভোট: জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি মর্যাদা দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সেইসাথে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে জনমত জরীপের জন্য তা ওই গণভোটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকাসহ সকল প্রার্থীর জন্য নির্বাচনি আচরণবিধি, সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা সমানভাবে নিশ্চিত করে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে হবে। ৪. রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবি: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং নির্বাচনে নমিনেশন বাণিজ্য, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। ৫. বিচার: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২০০০ শহীদ ও ৩০০০০ আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ভাই-বোনদের ন্যায্য দাবী উই ওয়ান্ট জাস্টিসের ভিত্তিতে খুনি ও লুটেরাদের বিচার দৃশ্যমান করার ধারাকে জোরদার করতে হবে। বক্তারা বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এই দাবিগুলো আজ ‘সারা দেশের মানুষের হৃদয়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে’। তাই দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার কে সকল প্রকার চাপমুক্ত হয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

  • পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকার প্রবাসী রবিউল আলমের ঘরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হলেও জন্মের দুই দিন পর চার জনেই মারা গেছে

    পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকার প্রবাসী রবিউল আলমের ঘরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হলেও জন্মের দুই দিন পর চার জনেই মারা গেছে

    #UkhiyaVoice24.Com

    কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকার প্রবাসী রবিউল আলমের ঘরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হলেও জন্মের দুই দিন পর চার জনেই মারা গেছে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পরিবারে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।অস্ত্রোপচারটি পরিচালনা করেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী ও ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তার। সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. নুর মোহাম্মদ ও ডা. কৌশিক দত্ত।

    জন্মের পর মা ও নবজাতকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোররাত ও সকালে একে একে মৃত্যু হয় বাকি তিন নবজাতকেরও।

    পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছমিনের আত্মীয় আবুল ফয়সাল ফাহিম এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “একসঙ্গে চারটি প্রাণের আগমন আমাদের পরিবারের জন্য ছিল এক স্বপ্নের মতো। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ টিকলো না। আমরা শোকাহত।” মা ইয়াছমিন আক্তার বর্তমানে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    এই হৃদয়বিদারক ঘটনা এলাকায় ব্যাপক শোক ও বিষাদের ছায়া ফেলেছে। স্থানীয়রা এই মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নবজাতকেরদের পিতাপ্রবাসী রবিউল আলম জানান, একজন পিতা হিসেবে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল যখন জানতে পারলাম, আমার স্ত্রী ইয়াছমিন চারটি সন্তানের মা হতে যাচ্ছে। সেই খবর আমাকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছিল। আমি দূরে প্রবাসে থাকলেও হৃদয়ে সেই মুহূর্তগুলো বারবার জেগে উঠছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—যে আনন্দ আমাদের পরিবারে এসেছিল একসাথে, তা মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে চিরতরে থেমে গেল।

  • পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    পালংখালী ইউনিয়ন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্ক ফোর্স কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত।

    এম, মোস্তফা কামাল আজিজি

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির এক জরুরী সভা মঙ্গলবার ১১ ঘটিকায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেলাথোয়াইন রাখাইনের সঞ্চালনায় পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,

    উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টোসহ সকল ইউপি সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। স্বাস্থ্য খাতে ইউনিয়ন প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, ইউপি দফাদার এবং গ্রাম পুলিশ ও উদ্দোক্তাসহ এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    এই সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন দিক নিদর্শনা প্রদান করা হয়।

  • উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে মহিলা মাদ্রাসা

    উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে মহিলা মাদ্রাসা

     

    ওমর ফারুক (উখিয়া-কক্সবাজার)

    কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (র.) মহিলা মাদ্রাসা এতিম খানা ও হিফ্জ খানা।

    উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী উত্তর জামতলী এলাকায় প্রতিষ্টিত অত্র মাদ্রাসা।

    মাদ্রাসাটি স্থাপিত ২০২০সাল। মাওলানা সেলিম এর তথ্যব্ধানে মাদ্রাসাটি পরিচালিত ।গত ১০জানুয়ারি ২০২০সালে প্রতিষ্টিত হয়ে দীর্গতিতে চলতেছে মাদ্রাসার পাঠদান।

    মাওলানা সেলিম ও তার সহধর্মিণী হাফেজা সেলিনা আক্তার এর ঘামের বিনিময়ে প্রতিষ্টান গত এক বছর চলিত হয়ে আজ ধন্য ও উখিয়া’র সর্বোচ্চ রেকর্ড করলো মাদ্রাসাটি।

    মাদ্রাসা’র শিক্ষিকা হাফেজা সেলিনা আক্তার রাত দিন পরিশ্রম সৌভাগ্যবিদে কাজ করে গড়ে তুলতেছে বছরের ৫-১০জন হাফেজা।

    শুধু তাই নয়,কক্সবাজার উখিয়ার থাইংখালীর স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশি মা- বোন ও আত্মীয় সজন মহিলাদের তালিম ও হাদিস বর্ণনা ও পাটদান শিখানো হচ্ছে বলে জানান।

    রাসুল (স)বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কোরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষাদে ( আলহাদিস)

    নারী জাতীর অগ্রদুধ কোরআনি শিক্ষাই বাস্তবায়ন করাই ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য।
    সেই বৈশিষ্ট্যকে সামনে নিয়ে আরো বড় করে মহিলা কওমি মাদ্রাসা করার জন্য বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মাদ্রাসাটি।

    কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ ও পূর্বে কোরনি ব্যবস্তা না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ মুখ অন্ধ ছিল। মাওলানা সেলিম বলেন,একটা মাদ্রাসা করতে গেলে অনেক টাকা পয়সা হাতে নিয়ে দাড়াতে হয়, আলহামদুলিল্লাহ নিজের শ্রম ও শক্তিতে মাদ্রাসা করার জন্য আমি এক পায়ে দাড়িয়েছি। আমার সামনের লক্ষ হলো যে, কক্সবাজার জেলায় প্রথম মহিলা কওমি মাদ্রাসা চলিত হবে ইনশাআল্লাহ। সে সাথে মহিলা এতিম শিক্ষার্থীর জন্য মাদ্রাসা ফাউন্ড থেকে যতারত ভাবে সুশিক্ষিত নিশ্চিত করা হয়।

    স্থানীয় উলামা ও মুরুব্বি গণের পরামর্শ নিয়ে এই কাজ করা শুরু করে দিছি আলহামদুলিল্লাহ এই পর্যন্ত নিয়মিতভাবে পাঠদান চলিত আছে, সামনে মাদ্রাসার উন্নতির জন্য দেশিবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

    ইসলাম নারী শিক্ষার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর রয়েছে সমান শিক্ষার অধিকার। মূলত ইসলামে ঘোষিত হয়েছে শিক্ষা দীক্ষা পাওয়া শুধু নারীর অধিকারই নয় বরং তার ওপর ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর নারীর উপর আবশ্যক”।

    সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন তাদের কন্যাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)। যিনি আরবি সাহিত্যে যেমন পারদর্শী ছিলেন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও হয়ে উঠেছিলেন সমান পারদর্শী। হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) গণিত শাস্ত্রে এতখানি পারদর্শী ছিলেন যে, হযরত ওমর (রা) এর মত জালীলুল কদর সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মিরাসের মাসয়ালা ও হিসাব জেনে নিতেন। এছাড়া যুক্তিবিদ্যায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ফিক্হ শাস্ত্রে ও অর্জন করেছিলেন সুগভীর পান্ডিত্য ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, তৎকালীন নারী সমাজ লেখার নিয়মকানুন সম্পর্কে এতখানি ওয়াকিবহাল ছিলেন যে গুরুত্বপূর্ণ পত্রাবলি ও বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল লিখে রাখতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। বর্তমান ফিতনার যোগে মহিলাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলা না হলে আদর্শ সন্তান,আদর্শ সমাজ গঠন কখনো সম্ভব নয়।

    এক পর্যায়ে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার। পরিশেষে মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য এক পায়ে দাড়িয়েছে,এখন মাদ্রাসায় কাজ চলতেছে,আমি শোকরানা কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে যে,আল্লাহ তায়ালা,এমন একটা জাগাতে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এমন একটা ব্যবস্তা করাচ্ছে,সে ২২সালের সমজানের শেষদিকে মহিলা কওমি মাদ্রাসা উদ্ভোদন হবে ইনশাআল্লাহ।

    মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা সেলিম বলেন, এই মাদ্রাসাটি গত ২০সালে প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে এই বছর পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ পর্দা সহকারে ছাত্রীদের পাঠ দান করা হয় ও সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ছাত্রীদের থাকা, খাওয়া, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ইত্যাদি সুযোগ দিয়া হয়।

    গত কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা করি, উখিয়াতে একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য।সাথে স্থানিয় ব্যক্তি ওউলামায়ে আকরামের পরামর্শ মত কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমি আশাকরি যে, উক্ত মাদ্রাসা সঠিক নিয়ম মোতাবেক কাঠামো মেনে ছাত্রীদের লেখা পড়া করানো হয়বে ইনশাআল্লাহ।

    বর্তমানের মাদ্রাসার আবস্তা সম্পর্কে বলেন,গত দেড় বছরে মাদ্রাসায় ৫জন ছাত্রীকে দস্তুর দিয়া হলো ও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিদায় দিয়া হলো বর্তমান ছাত্রী সংখ্যা ৪৫জন, ইনশাআল্লাহ আগামী থেকে ৩-৪হাজার ছাত্রী পড়ার মত সুযোগ হবে এই কামনা করি ইনশাআল্লাহ।

  • উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে বালিকা মাদ্রাসা”

    উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে বালিকা মাদ্রাসা”

    উখিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রগতি হচ্ছে বালিকা মাদ্রাসা

    ওমর ফারুক (উখিয়া উপজেলা স্টাফ রিপোর্টার)

    কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার অন্যতম দ্বীনি প্রতিষ্টান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (র.) বালিকা মাদ্রাসা এতিম খানা ও হিফ্জ খানা।

    উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী উত্তর জামতলী এলাকায় প্রতিষ্টিত অত্র মাদ্রাসা।

    মাদ্রাসাটি স্থাপিত ২০২০সাল। মাওলানা সেলিম এর তথ্যব্ধানে মাদ্রাসাটি পরিচালিত ।গত ১০জানুয়ারি ২০২০সালে প্রতিষ্টিত হয়ে দীর্গতিতে চলতেছে মাদ্রাসার পাঠদান।

    মাওলানা সেলিম ও তার সহধর্মিণী হাফেজা সেলিনা আক্তার এর ঘামের বিনিময়ে প্রতিষ্টান গত এক বছর চলিত হয়ে আজ ধন্য ও উখিয়া’র সর্বোচ্চ রেকর্ড করলো মাদ্রাসাটি।

    মাদ্রাসা’র শিক্ষিকা হাফেজা সেলিনা আক্তার রাত দিন পরিশ্রম সৌভাগ্যবিদে কাজ করে গড়ে তুলতেছে বছরের ৫-১০জন হাফেজা।

    শুধু তাই নয়,কক্সবাজার উখিয়ার থাইংখালীর স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশি মা- বোন ও আত্মীয় সজন মহিলাদের তালিম ও হাদিস বর্ণনা ও পাটদান শিখানো হচ্ছে বলে জানান।

    রাসুল (স)বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কোরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষাদে ( আলহাদিস)

    নারী জাতীর অগ্রদুধ কোরআনি শিক্ষাই বাস্তবায়ন করাই ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য।
    সেই বৈশিষ্ট্যকে সামনে নিয়ে আরো বড় করে মহিলা কওমি মাদ্রাসা করার জন্য বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে মাদ্রাসাটি।

    কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ ও পূর্বে কোরনি ব্যবস্তা না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ মুখ অন্ধ ছিল। মাওলানা সেলিম বলেন,একটা মাদ্রাসা করতে গেলে অনেক টাকা পয়সা হাতে নিয়ে দাড়াতে হয়, আলহামদুলিল্লাহ নিজের শ্রম ও শক্তিতে মাদ্রাসা করার জন্য আমি এক পায়ে দাড়িয়েছি। আমার সামনের লক্ষ হলো যে, কক্সবাজার জেলায় প্রথম মহিলা কওমি মাদ্রাসা চলিত হবে ইনশাআল্লাহ। সে সাথে মহিলা এতিম শিক্ষার্থীর জন্য মাদ্রাসা ফাউন্ড থেকে যতারত ভাবে সুশিক্ষিত নিশ্চিত করা হয়।

    স্থানীয় উলামা ও মুরুব্বি গণের পরামর্শ নিয়ে এই কাজ করা শুরু করে দিছি আলহামদুলিল্লাহ এই পর্যন্ত নিয়মিতভাবে পাঠদান চলিত আছে, সামনে মাদ্রাসার উন্নতির জন্য দেশিবাসীর কাছে দোয়া চাই।

    ইসলাম নারী শিক্ষার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর রয়েছে সমান শিক্ষার অধিকার। মূলত ইসলামে ঘোষিত হয়েছে শিক্ষা দীক্ষা পাওয়া শুধু নারীর অধিকারই নয় বরং তার ওপর ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর নারীর উপর আবশ্যক”।

    সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন তাদের কন্যাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)। যিনি আরবি সাহিত্যে যেমন পারদর্শী ছিলেন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও হয়ে উঠেছিলেন সমান পারদর্শী। হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) গণিত শাস্ত্রে এতখানি পারদর্শী ছিলেন যে, হযরত ওমর (রা) এর মত জালীলুল কদর সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মিরাসের মাসয়ালা ও হিসাব জেনে নিতেন। এছাড়া যুক্তিবিদ্যায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ফিক্হ শাস্ত্রে ও অর্জন করেছিলেন সুগভীর পান্ডিত্য ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, তৎকালীন নারী সমাজ লেখার নিয়মকানুন সম্পর্কে এতখানি ওয়াকিবহাল ছিলেন যে গুরুত্বপূর্ণ পত্রাবলি ও বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল লিখে রাখতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। বর্তমান ফিতনার যোগে মহিলাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলা না হলে আদর্শ সন্তান,আদর্শ সমাজ গঠন কখনো সম্ভব নয়।

    এক পর্যায়ে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার। পরিশেষে মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য এক পায়ে দাড়িয়েছে,এখন মাদ্রাসায় কাজ চলতেছে,আমি শোকরানা কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে যে,আল্লাহ তায়ালা,এমন একটা জাগাতে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার এমন একটা ব্যবস্তা করাচ্ছে।

    মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা সেলিম বলেন, এই মাদ্রাসাটি গত ২০সালে প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে এই বছর পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ পর্দা সহকারে ছাত্রীদের পাঠ দান করা হয় ও সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ছাত্রীদের থাকা, খাওয়া, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ইত্যাদি সুযোগ দিয়া হয়।

    গত কয়েক মাস আগে পরিকল্পনা করি, উখিয়াতে একটা মহিলা কাওমি মাদ্রাসা করার জন্য।সাথে স্থানিয় ব্যক্তি ওউলামায়ে আকরামের পরামর্শ মত কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমি আশাকরি যে, উক্ত মাদ্রাসা সঠিক নিয়ম মোতাবেক কাঠামো মেনে ছাত্রীদের লেখা পড়া করানো হয়বে।

    বর্তমানের মাদ্রাসার আবস্তা সম্পর্কে বলেন,গত দেড় বছরে মাদ্রাসায় ৫জন ছাত্রীকে দস্তুর দিয়া হলো ও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বিদায় দিয়া হলো বর্তমান ছাতী সংখ্যা ৪৫জন, ইনশাআল্লাহ আগামী থেকে ৩-৪হাজার ছাত্রী পড়ার মত সুযোগ হবে এই কামনা করি৷