Category: বাংলাদেশ

  • প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    প্রয়োজনীয় সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে- পীর সাহেব চরমোনাই।

    নিউজ ডেস্ক: www.ukhiyavoice24.com

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশংকা থেকে যাবে। তাই এসব ক্ষেত্রে সংস্কার হতেই হবে।

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের নব্বইটিরও বেশি দেশে অনুসৃত সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পিআর (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি দাবী করেছি। আমরা মনে করি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক তা চায় না। বরং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ করতে এবং নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

    রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এর রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, সাংবাদিক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সন্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০২৪ আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবময় ইতিহাস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাইয়ের শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে স্বনামেই এই আন্দোলনের অংশ ছিলো। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। এখন সময় হলো বাংলাদেশ গড়ার।
    আমরা দেশের রাজনৈতিক চরিত্র পরিবর্তন করে সৌহার্দ ও সহযোগীতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নির্মাণ করতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব জনপ্রশাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও দক্ষ করে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ইসলামে প্রতিবেশিকে সন্মান করা এবং প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেশিকে সন্মান করার এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে তাদের কোন ক্ষতি না করতে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সাথে রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল মাজলুমদের ব্যাপারে আমরা সহমর্মীতা জানাচ্ছি এবং তাদের স্বাধীকারের আন্দোলনের সমর্থন ঘোষণা করছি।

    পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফেসিস্ট স্বৈরাচারের আমলে অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের বিচার না হলে মানুষের রক্তের দায় জাতীকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাড়া করবে। তাই যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কোন নিরাপরাধ যেনো কষ্ট নায় আর কোন অপরাধী যেনো ছাড় না পায়।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে যেখানে দারিদ্র, বেকারত্ব ও দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে,পরমত সহিষ্ণুতা ও ধর্মীয় সহ-অবস্থান নিশ্চিত হবে। নাগরিকের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারকে প্রধান্য দিয়ে ব্যবসা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ নির্মাণই আমাদের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র।
    আজ ৭ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা, শফিকুর রহমান, বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আব্দুল মইন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকাতুল্লাহ ভুলু, সালাহদ্দিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, আমার বাংলাদেশ পার্টির মহাসচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক আহমেদ।
    এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, চিন, নেদারল্যান্ডসের হেড অফ মিশন আন্দ্রে কার্টসটেনস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটান ও কসোভ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

    দৈনিক খবরের কাগজের সম্পাদক জনাব মোস্তাফা কামাল, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার শীর্ষ সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমেদ মানসুর, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    ৫৩ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে তারা নতুন কোনো আশা দেখাতে পারবে না- যুব কনভেনশনে পীর সাহেব চরমোনাই।

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি।
    আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। ৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মা য়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না।

    তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনীদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে তাদেরকে যারা নির্বাচনে আহবান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে।

    তিনি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ কে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকী কে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

    ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় যুব কনভেনশন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।সম্মেলন ঘোষণা পত্র পাঠ করেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
    বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম,জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবদুল খায়ের ও কে এম আতিকুর রহমান।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৫৩ বছরের লুটপাটে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়েছে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আলেম ওলামাদের কে বিভক্ত করতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এখন মুসলমানদেরকে নিয়ে আজান দেয়ানো শুরু হয়েছে। তাদের উপর আল্লাহর গজব পতিত হয়েছে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, যুবক জাগ্রত হলে দেশ ও জাতি ভালো হয়। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস। কোন ভাবেই রুহানিয়াতকে ভূলে যাও যাবে না বা বাদ দেয়া যাবে না। সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী যুব আন্দোলন। সাহাবাদের জন্য ত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে ভালোবাসতে হবে। সাহাবাদেরকে যারা সমালোচনা করবে তাদেরকে ঘৃণা করতে হবে। কৌশলের নামে সুন্নতকে বাদ দেয়া যাবে না। ঈমানকে মজবুত করতে পারলে জয় আসবে। জিকির ও ফিকিরে থাকতে হবে। রুহানিয়াতকে বাদ দিয়ে কোন জিহাদ আমরা চাইনা। রুহানিয়াত ছাড়া জেহাদ হয় না এটা হবে সন্ত্রাস। আমাদের ইসলামী হুকুমত কায়েম করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই ধ্বংসস্তূপের উপরে কিছু হতে পারে না। যে কারণে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমরা চাই। কারো ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ থাকতে হবে।

    সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে ৫০৫ টি আসন রাখা হয়েছে। আমি মহিলাদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসন চাই না। এক কক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সকল নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো অথচ অন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিলো না। বিএনপি নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলে ছাত্র জনতার অর্জনকে ধ্বংস করতে চাইছে। বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেখতে চায় না। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাঁদেরকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম এখন চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সিন্ডিকেট ও দখলদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক থাকতে হবে। ইসলাম দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ৫৩ বছরে ফ্যাসিস্টের উত্থান ও পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনমতের কোন প্রতিফলন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা দ্বি-কক্ষ চাইনা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। আগামীদিনে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে চাইলে পিআর পদ্ধতি দিন। অন্যথায় আন্দোলন করে পিআর পদ্ধতি ছাত্র জনতা আদায় করবে।

    মোকামিয়ার পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, ইসলাম এসেছে আওলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে। সকল পীর মাশায়েখদেরকে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের কোথায় কোথায় ফ্যাসিস্টদের সহযোগী আছে তাদের তালিকা হওয়া দরকার। পিআর বাস্তবায়ন হওয়ার পরে নির্বাচন হবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন,
    অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই বিপ্লবের একটি ঘোষণাপত্র ঠিক করতে হবে। জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা ছিলো তাদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে। বিগত দিনে যারা ৩/৪ বার ক্ষমতায় ছিলো তারা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তাদের অতীত চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। তারা উপর থেকে যে কথা বলেন তাদের কথা তৃণমূলে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা অপরিকল্পিত রাষ্ট্র পরিচালনা করে না। আশাকরি আপনারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। ইসলামী দলের নেতারা আগামী দিনে যাতে দুর্নীতিবাজদের সহযোগী না হন সে জন্য অনুরোধ করছি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে শোষণ করেছে। নব্য চাঁদাবাজ ও দখলদাররা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পথে যাবে।

    জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিলো তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, ১৯ জুলাই ২০২৪ ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষণ করেছে। সে থেকে আমরা ফ্যাসিস্টদের উৎখাত করে ঘরে ফিরেছি। তিনি যুব নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্র ভিত্তিক শক্তিবৃদ্ধির আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচনে আমার ভোট কেউ ছিনতাই করতে চায় তবে দেশের যুব সমাজ তাদের চোখ তুলে দিবে।

  • জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা- মাওলানা শায়খ হারুন কুতুবী সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

    জিয়ারতে মদীনা।

    ————————————————————–

    প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে গড়া মদিনার অন্যতম স্থাপনা মসজিদে নববি। এ মসজিদের মর্যাদা ও জিয়ারতে রয়েছে অনেক ফজিলত। তবে যে কোনো জিনিসের মর্যাদা ও ফজিলতের জন্য নিয়তের পরিশুদ্ধতা আবশ্যক। মসজিদে নববির জিয়ারতে ফজিলত লাভের ক্ষেত্রেও নিয়তের আবশ্যকতা অপরিহার্য।

    হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও (সাওয়াবের আশায়) সফর করাই বৈধ নয়। আর তাহলো-
    মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র মক্কা নগরির কাবা শরিফ।
    আমার এ মসজিদ তথা মদিনার মসজিদে নববি এবং
    মসজিদুল আকসা তথা মুসলমানদের প্রথম কেবলা ও অসংখ্য আম্বিয়া কেরামের পদধূলিতে ধন্য বাইতুল মুকাদ্দাস।

    মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
    ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর, প্রথম দিন থেকে তার বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’(সুরা তওবা : আয়াত ১০৮)

    অন্য দিকে মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভের ব্যাপারে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার এ মসজিদে শুধুমাত্র কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা হবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।
    আর যে অন্য কোনো উদ্দেশে আসবে, তার অবস্থা হবে ওই ব্যক্তির মতো, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়। (ইবনে মাজাহ)

    সুতরাং মদিনার মসজিদে নববির জিয়ারাতের নিয়তে থাকতে হবে পরিশুদ্ধতা। উদ্দেশ্য থাকবে শুধু কল্যাণ লাভ করা। যার সুসংবাদ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।

    হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করনে, ‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র কল্যাণ শেখা বা শেখানোর উদ্দেশে মসজিদে (নববিতে) আসবে, তার জন্য পূর্ণ এক হজের সওয়াব লেখা হবে।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘আমার ঘর (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘর) ও তার মিম্বরের মাঝখানের জায়গা টুকুকে (রওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাহ) জান্নাতের অন্যতম উদ্যান বলা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)

    আর এ কারণেই মদিনার মসজিদে নববি মর্যাদা এতবেশি। আর এ মসজিদে ইবাদাত বন্দেগিতে রয়েছে অনেক ফজিলত। যা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এতে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়।’

    সুতরাং হাদিসের তথ্য অনুযায়ী মসজিদে নববিতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে ৬ মাস ২০ দিন নামাজ পড়ার সমতুল্য।

    তবে এ জন্য শর্ত হলো মসজিদে নববির জিয়ারত ও ফজিলত লাভে নিজেদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। লোক দেখানো কিংবা খ্যাতি ছড়ানোর কোনো মানসিকতা না থাকাই শ্রেয়। তবেই সম্ভব হবে সফলতা লাভ করা।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হৃদয়ের সর্বোচ্চ আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে পবিত্র এ স্থান জিয়ারতের তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • লামায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    লামায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবান:

    মহান ভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন “মঙ্গলবার” নয়াপাড়া থেকে র‍্যালি দিয়ে ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় এসে শেষ’করে। সকাল ৯ টায় শহীদ মিনারে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি স্মরণ করেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ফাইতং ইউনিয়ন আ’লীগ এর অঙ্গসংগঠন সমূহের উদ্যোগে ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, পুলিশ, বিদ্যালয় শিক্ষক সহ শত-শত মানুষ শহীদ মিনার ফুল দেয় এবং হল রুমে বিশাল আলোচনা সভা হয়। ’এদিকে সকাল ৭/৮ টায় ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে মসজিদে কুরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে মোনাজাত করে মাওলানা কাজী জাহেদুল ইসলাম ।

    অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ মিন্টু এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক, বিশেষ অতিথি মাহামুদুর রহমান শুক্কুর, পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শামিম শেখ, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন কোম্পানি সহধর্মিণী শাহিনা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোজা আকবর, কৃষকলীগ সভাপতি মেম্বার মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (জুবাইর), যুবলীগ সভাপতি বাবু থোয়াইং সানু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন জয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রুবেল, ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইলুল করিম, মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি শাহেদা ইয়াসমিন শাহেদা, যুব মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি রেজিয়া বেগম, এবং সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, আ’লীগ এবং অঙ্গসংগঠন এর নেতাকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ নানান শ্রেনী পেশার মানুষ ও দলের বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগ মিজানুর রহমান রুবেল বলেন, রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা। তাদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

    অতিথিরা বক্তব্য বলেন, একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। দুর্জয় সাহস জুগিয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আজও সমহিমায় ভাস্বর। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার। ৫২-র ভাষা আন্দোলনেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিল যেসব ভাষা শহীদ, তাদের ত্যাগই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সব ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান৷

    প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক বলেন, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা, ভেঙে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ইতিহাস গড়েন তারা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে জন্ম নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালে। অমর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার।

  • খাগড়াছড়ি’তে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    খাগড়াছড়ি’তে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক খাগড়াছড়ি,

    বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে গণ অধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনা ও জেলা যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং চাক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক বলেন, বর্তমান সরকারের নৈরাজ্য ও লাগামহীন দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি দ্রুত কমিয়ে না আনলে গণঅধিকার পরিষদ দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে আগামীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। প্রধান বক্তা লোকমান হোসেনের বক্তব্যে বলেন তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বর্তমান সরকার যে হারর বৃদ্ধি করছে তা অনতিবিলম্বে কমাতে হবে। আরো বলেন তিন পার্বত্য জেলায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশে ন্যায়বিচার ও বৈষম্য মূলক বাংলাদেশ গড়ার জন্যে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিন। আগামীর বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের বাংলাদেশ।

    বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল, ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ও ছাত্র অধিকার পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার জাতি-গোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক পাইশিখই মারমাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্হ তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ তুমব্রু কোনার পাড়া শূন্য লাইনস্হ রোহিঙ্গ্যা শিবির ও তুমব্রু বিওপি পরিদর্শ করেছেন বিজিবির মহা পরিচালক।

    বৃহস্পতিবার ১টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিজিবির নবনিযুক্ত মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান NDC, PSC, নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ তুমব্রু বিওপি এবং তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মধ্যবর্তী স্থান তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গ্যা শিবির ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

    গত ১৮/০১/২৩ ইং জাতিগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ARSA এবং RSO গ্রুপের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ফলে উক্ত রোহিঙ্গ্যা শিবিরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফ, তুমব্রু বিওপিতে কোনার পাড়া রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্প ও চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ প্রদান করেন।
    পরে মহাপরিচালক তুমব্রু বিওপি’র সৈনিক লাইন,ডিউটি পোস্ট পরিদর্শন করেন এবং তুমব্রু বিওপিতে সঙ্গীয় অফিসার এবং সৈনিকদের সাথে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।
    পরিদর্শনশেষে বিজিবির মহাপরিচালক ঘুমধুম সড়ক হয়ে রামু সেক্টর এর উদ্দেশ্য রওনা করেন বলে সুত্রে জানা যায়।
    উক্ত পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেনঃ কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও ঢাকা থেকে আসা অন্যান্য অফিসার গণ।

  • বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবীতে সারাদেশে থানা পর্যায়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন কর্মসূচী

    ,,আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামবে ছাত্রজনতা-শরিফুল ইসলাম রিয়াদ
    শিক্ষাক্রম’২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ জানুয়ারি’২৩ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচী পালন করা হয়।

    ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা ও নৈতিকতা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষাক্রম’২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশীয় বোধ বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    তিনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। পাঠ্যবইয়ে বানর থেকে মানুষ হয়েছে এমন ছবি অংকন করে আমাদের পুর্বপুরুষদের বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির নীলনকশা নিয়ে এই পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। বিতর্কিত এই পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান উপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

    ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জানুয়ারি’২৩ রবিবার সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট চিঠি প্রেরণ করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। তারপরও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল না করলে সারাদেশের সচেতন ছাত্রজনতা কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে বলে হুশিয়ারি দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর হস্তে দমনে পুলিশ বদ্ধপরিকর- আইজিপি

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর হস্তে দমনে পুলিশ বদ্ধপরিকর- আইজিপি

    বাংলাদেশ পুলিশ

    ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নজির রয়েছে। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ পরস্পর মিলেমিশে একসাথে বসবাস করেন।

    তিনি বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কোন অঘটন ঘটিয়ে আমাদের সহাবস্থানকে বিনষ্ট করতে চায়, দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। আমরা তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর। আইজিপি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন এবং বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

    দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, কোন দুষ্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ কোন ধরনের অঘটন ঘটানোর দুঃসাহস না দেখাতে পারে।

    তিনি বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা কোন একটা সময়ে যখন মানুষ বিশ্রামে যায় সে নির্জনতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। এজন্য তিনি সকলকে সার্বক্ষণিক সতর্ক ও সজাগ থাকার আহবান জানান।

    আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

  • আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থানকারী তাকরিমকে অভিনন্দন জানান ইসলামী ছাত্র সংস্থা

    আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থানকারী তাকরিমকে অভিনন্দন জানান ইসলামী ছাত্র সংস্থা

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের তাকরিমকে ডেইলপাড়া করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।

    সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা’য় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম

    ২২ সেপ্টেম্বর-২০২২ খ্রিঃ বুধবার রাতে মক্কার পবিত্র হারামাইন শরিফে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে তৃতীয় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়। হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম এর প্রতিষ্ঠিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা’র শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য, তাকরিম গত ২৮ শে মে ২০২২ খ্রিঃ তারিখে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

    কুরআন হিফজের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ অংশ নেয়। হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।

    প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে তাকরিমকে ১ লক্ষ রিয়াল, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রতিনিধি হিসেবে তার উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

    ১১১ দেশের ১৫৩ জন হাফেজে কোরআন এর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমকে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সমাজিক সংগঠন ডেইলপাড়া করইবনিয়া ও পূর্ব ডিগলিয়া পালং ইসলামী ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

  • বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয়- স্পীকার।

    বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয়- স্পীকার।

    জাতীয় ডেস্কঃ-

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসবের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণ উৎসাহহের সাথে অংশগ্রহন করে তাঁদের মতামত প্রদান করেন।

    এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    আজ সংসদ ভবনস্থ শপথ কক্ষে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)-এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় “ফুল ইমপ্লিমেন্টেশন অফ দ্য আইসিডি এজেন্ডা এ্যাজ এ্যান এক্সিলারেটর ফর দ্য এসডিজি’স” কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পীকার এসব কথা বলেন।

    কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ,ফ,ম রুহুল হক এমপি। এছাড়াও ডা. আব্দুল আজিজ এমপি,আনোয়ারুল আবেদীন খান এমপি,মেরিনা জাহান এমপি,অপরাজিতা হক এমপি কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান করেন।

    কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনএফপিএ’র চিফ অফ হেল্থ ড. ভিভাভেন্দ্রা রাঘুভানশি, ইউএনএফপিএ’র পিপিআর প্রধান এম শহীদুল ইসলাম পিএইচডি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড মোঃ মাঈনুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম-সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম। কর্মশালার শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং এ পর্বে সংসদ সদস্যগণ মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

    স্পীকার বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার মাতৃমৃত্যু হ্রাস,শিশু মৃত্যু হ্রাস,কারিগরী শিক্ষা প্রদান,যুব উন্নয়ন,নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ,নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। কিন্তু জাতীয় সংসদ এগুলো নিয়ে কাজ করে এমন উদাহরণ বিশ্বে কম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংসদ অনেক এগিয়ে আছে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকালীন স্পীকারের সাথে ইউএনএফপিএ এবং ইউএনডিপি এর প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে হাবিবুর রহমান এমপি, এস এম জগলুল হায়দার এমপি,উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি,এম এ মতিন এমপি, প্রান গোপাল দত্ত এমপি,আরমা দত্ত এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি,খঃ মমতা হেনা লাভলী এমপি,আদিবা আনজুম মিতা এমপি এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাক্ষরিত
    (মোঃ তারিক মাহমুদ)
    পরিচালক (গণসংযোগ)
    মোবাইল-০১৯৫৭২০৬৫৮৬