Category: বান্দরবান

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির তমব্রুতে বিজিবির মহা পরিচালক মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্হ তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ তুমব্রু কোনার পাড়া শূন্য লাইনস্হ রোহিঙ্গ্যা শিবির ও তুমব্রু বিওপি পরিদর্শ করেছেন বিজিবির মহা পরিচালক।

    বৃহস্পতিবার ১টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিজিবির নবনিযুক্ত মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান NDC, PSC, নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের আওতাধীন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ তুমব্রু বিওপি এবং তুমব্রু বিওপির দায়িত্ব পূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মধ্যবর্তী স্থান তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গ্যা শিবির ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

    গত ১৮/০১/২৩ ইং জাতিগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ARSA এবং RSO গ্রুপের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ফলে উক্ত রোহিঙ্গ্যা শিবিরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
    পরিদর্শনকালে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফ, তুমব্রু বিওপিতে কোনার পাড়া রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্প ও চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ প্রদান করেন।
    পরে মহাপরিচালক তুমব্রু বিওপি’র সৈনিক লাইন,ডিউটি পোস্ট পরিদর্শন করেন এবং তুমব্রু বিওপিতে সঙ্গীয় অফিসার এবং সৈনিকদের সাথে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।
    পরিদর্শনশেষে বিজিবির মহাপরিচালক ঘুমধুম সড়ক হয়ে রামু সেক্টর এর উদ্দেশ্য রওনা করেন বলে সুত্রে জানা যায়।
    উক্ত পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেনঃ কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও ঢাকা থেকে আসা অন্যান্য অফিসার গণ।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির বাইশফাড়িতে ১০০লিটার চুলায় মদ উদ্ধার

    মোঃ ইফসান খান ইমন নাইক্ষ‍্যংছড়ি:

    নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির বাইশফাড়ি বিওপি কর্তৃক দায়িত্ব পূর্ণ মক্করটিলা এলাকা হতে মালিক বিহীন জারকিন ভর্তি আনুমানিক ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে শুক্রবার বিকেল ৪টা ২৫মিনিটের সময়।
    ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে তৈরি উক্ত চুলায় মদ গুলো পাশ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার কোন এক জায়গাই পাচার করার সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয় চোরাকারবারিরা।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টার সময় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
    উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়ে মার্মা,মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান আবু জাফর সেলিম,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাঅফিসার ত্রিরতন চাকমা,উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার রাজা মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো; ইমরান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারমম্যান নুরুল আবছার ইমন, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঈীর আজিজ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এন্যানিং মার্মা,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সদস্য জয়নাল আবেদ্দীন টুক্কু, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিরাজ,প্রমুখ।
    এছাড়াও সভায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন বিভাগের গোয়েন্দাসহ সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলার মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপরাধ দমনে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মাদক, সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে হবে।
    সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা তাঁর বক্তব্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেন,এরপর সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং তিনি সকল বক্তার বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন ও উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • সোনাইছড়ি_তে পর্যটকের উপচে পড়া বীড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পর্যটক,

    সোনাইছড়ি_তে পর্যটকের উপচে পড়া বীড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পর্যটক,

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

    নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্ত ভর্তি এই উপজেলাটিতে রয়েছে, নানান রকম পর্যটন স্পট, এমনি একটি পর্যটন স্পট হলো, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। অল্প দিনে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এই পর্যটন স্পট টি, আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে যেতে হয় সেই পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে।

    পর্যটন স্পটটি পাহাড়ের চূড়ায় হলেও, রাস্তার পাশে হওয়াতে, দুই দিক দিয়ে আসতে পারে পর্যটকরা । রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হয়ে ও আসা যায়, এবং মরিচ্যা, কোট বাজার,এবং উখিয়া থেকে ও, রেজু বরইতলি হয়ে আসা যায়।

    পর্যটন স্পট টি দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় হলেও , সপ্তাহিক ছুটিতে কমতি নেই পর্যটকদের , দুর্গম পাহাড়ে চূড়ায় এমন হাজার হাজার পর্যটক দেখে দেখে, আনন্দে দিন পার করছেন, স্থানীয়রা
    এমন দুর্গম পাহাড়ের চূড়ায় পর্যটন স্পটে এসে পর্যটক রা অনেক আনন্দিত,

    তবে পর্যটকরা জানান আনন্দের চেয়ে ঝুকির দিক টা একটু বেশি,
    কেন এমন একটি সুন্দর পর্যটন স্পটে ঝুঁকি থাকবে, জানতে হলে যেতে হবে পুরোনো ইতিহাসে, জায়গায়টি দুর্গম পাহাড় আঞ্চলে হওয়াতে বন্য হাতির সমাগম একটু বেশি, গত দুই তিন বছর আগেও এইসব এলাকায় প্রচুর বন্য হাতির সমাগম ছিল, দু এক বছরে কিছুটা কমলেও একে বারে বন্ধ হয়নি বন্য হাতির সমাগম, যার কারণেই বিশাল এক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতে হয় পর্যটকদের।

    পর্যটকরা আরো জানান, এমন দুর্গম পাহাড়ে পর্যটন স্পটটিতে, সপ্তাহিক ছুটির দিনে, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ থেকে ১০ টা পর্যন্ত, পর্যটকদের ভীড় থাকে, এমন দুর্গম পাহাড়ে প্রশাসনিক ভাবে, কোনো নিরাপত্তা, না থাকায়, পড়তে পারে কোনো বড় ধরনের, ডাকাতের সম্মোকে/কম্পরে। নই তোবা পড়তে পারে বন্য হাতির আক্রমণে,

    তাই পর্যটকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য অতি দ্রুত সময়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিলে, এমন দুর্গম পাহাড়ে কোনো ভয় আকাঙ্কা ছাড়ায় আনন্দে দিন কাটবে পর্যটকদের।

  • নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    নাইক্ষ‍্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে বিদেশি ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট আটক

    কপিল উদ্দিন জয় বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ

    বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার সময় কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি কর্তৃক নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মগঘাটা নামক এলাকার একটি রাবার বাগানে অন্যত্র পাচার করার জন্য গোপনে রাখা অবস্থায় মালিকবিহীন নিম্নোক্ত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে বলে জানাগেছে ।
    উদ্ধারকৃত বিভিন্ন প্রকার সিগারেটের এর মধ্যে রয়েছে
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ তৈরি Mond,
    ৪৫০০ প্যাঃ বার্মিজ SO
    ৩৯০০ প্যাঃ বার্মিজ ORIS সহ মোট ১২৯০০ প‍্যাকেট সিগারেট।
    উদ্ধারকৃত বার্মিজ সিগারেট গুলো ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
    উল্লেখ্য নাইক্ষ‍্যংছড়ি- মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে সময় সুযোগ বুঝে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বিহীন অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।

  • বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ১

    বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ১

    কপিল উদ্দিন জয়- বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি,

    বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিজিএফআইয়ের (বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা) একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র‍্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

    সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব এবং ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্ত কোনার পাড়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

     

    মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআই’র একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র‌্যাবের একজন সদস্য আহত হন।

  • টংকাবতীতে দুই পাহাড়ের মাঝে সড়ক, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজারেও মানুষ

    টংকাবতীতে দুই পাহাড়ের মাঝে সড়ক, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজারেও মানুষ

    বিশেষ প্রতিনিধি,

    বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের টংকাবতী বনবিভাগের (রেঞ্জ) অফিস হতে ডিসি সড়ক পর্যন্ত ৫ কি: মিটার দুর্গম দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে সড়ক (সওজের) সড়কটি একধম ঝুঁকিপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।

    স্থানীয় মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দাম, মোঃ জামাল উদ্দীন সহ আরও অনেকের অভিযোগ, দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ। কখন পাহাড় ধ্বংসের পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে চলাচল করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, রাস্তার কিছু অংশ পাহাড় ধষে পড়ে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। যার কারনে অনেকদিন যাবৎ ভ্যান, ইজিবাইক সহ অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার জনসাধারণ।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বার আউলিয়া, চরম্বা হয়ে টংকাবতী ইউনিয়নের রেঞ্জ অফিস স্টেশন থেকে ডিসি সড়ক পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষের এই সড়ক দিয়ে চলাচল। রাস্তার বেশির ভাগ অংশ এখন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে পরে রয়েছে। আবার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থা পূর্ণ রাস্তার কারনে এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাহাড়ের মাঝে চলাচল করে যাচ্ছে। রাতে চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারন তাদের দীর্ঘ ভাঙ্গা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারনে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মত শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না। এছাড়াও রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের কষ্টের শেষ নেই।

    একজন ভ্যান চালক জানান, এ রাস্তাটি যেন দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন পাহাড় ধষে দুর্ঘটনার কবলে পরেছে। আমি গরীব মানুষ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা পায়ে হেটে চলাই কষ্ট তারপর আবার ভ্যানে কিভাবে মানুষ নিয়ে চলাচল করবো।

    ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম, মৈসং ম্রো, মোঃ পারভেজ, সাহাত মনি, রেদুওয়ান জানান, রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। যার কারনে স্কুলে যেতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে দেয়া হোক।

    এ ব্যাপারে টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাং ইয়ং ম্রো প্রদীপ জানান, টংকাবতী বনবিভাগ হতে দুর্গম পাহাড়ের মাঝ দিয়ে ৫ কি: মিটারের ডিসি (সওজের) সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। এই সড়ক দিয়ে হাজারেও মানুষের চলাচল।
    বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে যানচলাচল একধম বন্ধ রয়েছে। অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে লেখাপড়া করতে পারছে না। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধ্বংসে অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও কিছুদিন আগেও দুইটি গরু পাহাড় ধ্বংসে মারা গেছে।

    এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনা হতে রক্ষা পেতে দ্রুত সড়কটি পাকাকরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

  • নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে এক মাদ্রাসার দপ্তরি নিহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ড চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে এক মাদ্রাসার দপ্তরি কে দুর্বৃত্তরা কোপিয়ে হত্যা করেছে।
    ঘটনাটি ঘটেছে ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার ফজুর ছড়া নামক স্থানে।
    নিহত ব্যক্তি হলেন সদর ইউনিয়নের ফজুর ছড়া গ্রামের হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের পুত্র দিদার আলম( ২৫)। তিনি স্থানীয় মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার খন্ড কালীন দপ্তরি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সে ২ সন্তানের জনক ও হাফেজে কোরআন বলে স্থানীয়রা জানান।
    নিহত দিদার আলম প্রতিদিনের ন্যায় চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে দূর্বৃত্তরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে ও গাড়ের পিছন থেকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাটিতে পড়ে সাথে সাথে প্রান হারায় বলে এলাকাবাসীর অভিমত।
    তবে কে তাকে হত্যা করছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারে নাই।
    স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামিলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে নিহত দিদারের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী কে খবর দিলে সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশ ও বিজিবি কে তারা জানালে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছান এবং লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তত করেন।
    এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আবছার ইমন বলেন বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কোপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি পুরো বিষয়টি এখনো জানেনা। তবে বিষয়টি পুলিশ কে অবহিত করেছেন।

  • ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একাধিক মামলায় জড়িতরা পদ প্রত্যাশী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    আগামী ১০ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মিদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক দেওয়া হয়েছে প্রচারনার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা।

    সম্মেলনে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে বিগত ৫ তারিখ ফরম সংগ্রহ করেছেন ৪জন সভাপতি , ৫ জন সাধারন সম্পাদক পদে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থী।

    গত ৬ নভেম্বর ফরম জমা দেন সকল মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি যাচাই-বাছাই করে সকলের  মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষনা করেন এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে মাদক ও চোরাকারবারী কাউকে নির্বাচিত না করে স্বচ্ছ এবং সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে যারা ভূমিকা রাখতে পারবে তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় কাউন্সিলররা।

    তবে কাউন্সিলর, প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থীদের মাঝে অনেকে রয়েছে যাদের একের অধিক মাদক ও চোরাকারবার মামলার আসামি।

    সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরোয়ার হারেচের (প্রতীক চেয়ার) দুইটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাতে একটি  মামলা (জি আর নং-১৩৭/১২, তারিখ ২১/০৫/২০১২) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় অপর একটি ইয়াবার মামলা ছিল (জি আর নং-৪৪২/২০,  তারিখ ২০/০৯/২০২০

    অপর সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ (প্রতিক ছাতা) এর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মাদক আইনে একটি ইয়াবার মামলা রয়েছে (জি আর নং-৩২০/১৬, তারিখ ১৬/১১/১৬)।

    এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক  প্রার্থী কবির আহমদের (প্রতীক গোলাপ ফুল) নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এবং কক্সবাজার থানায় দণ্ডবিধি-১৮৬০এ দুইটি মামলা রয়েছে।

    ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রার্থীরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে  ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে দোয়া ও ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এদিকে সরজমিনে গিয়ে  প্রার্থীদের সাথে সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী ওসমান সরওয়ার জানান, সম্মেলনে কাউন্সিলররা মাদক ব্যবসার  সাথে জড়িত কাউকে নির্বাচিত করবেন না বলে আশাবাদী।

    অপর সভাপতি প্রার্থী খালেদ সরওয়ার হারেচ বলেন, তার জানা মতে যারা মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ নাই, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক কারবারে আমাদের এলাকা ব্যবহার হচ্ছে।   জেলা নেতৃবৃন্দ, মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী এবং কাউন্সিলররা যেটা সিদ্ধান্ত দেন তিনি মেনে নেবেন।

    ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি প্রার্থী এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ভৌগোলিকভাবে আমাদের ইউনিয়নটি খুবই স্পর্শকাতর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে    ক্লিন ইমেজের যোগ্য-দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সম্মেলনে কাউন্সিলর এবং জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সেটা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুর হোসেন জানান, যদি কাউন্সিলররা তাকে যোগ্য মনে করেন, তবে তাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাবাদী।

    সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ মাদক মুক্ত নেতৃত্ব গঠনের জন্য কাউন্সিলরদের আহবান জানান।

    স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগে দেখতে চায়, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগের কমিটির নেতৃত্বে আছেন। আসন্ন সম্মেলনে তারা আশাবাদী সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করবে নীতি নির্ধারকেরা, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলকে সুসংগঠিত করবে।

    এদিকে প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেচ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজজের মধ্যে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং মাদককারবারে সংশ্লিষ্টতা থাকায় খালেদ সরওয়ার হারেচকে কাউন্সিলর এবং নীতি নির্ধারকেরা নেতৃত্বে না আনার সম্ভাবনা রয়েছে।  এক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর আজিজ এগিয়ে থাকবেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদেও নতুন মুখ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পাল্টে গেছে হরিণ খাইয়া থিমছড়ি সড়কটি হাজারো মানুষের মুখে হাসি

    নিজস্ব প্রতিবেদক বান্দরবানঃ

    নাইক্ষ্যংছড়ির বটতলী বাজার থেকে থিমছড়ি পর্যন্ত
    প্রায় তিন কিলোমিটার নতুন রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এত দিন এই এলাকার মানুষ খালের পাড়ের সরু একটি পথ পাহাড় দিয়ে চলাচল করতেন। দীর্ঘ দিন চেষ্টার পর দ্বিতীয় বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল জব্বারের সহযোগিতায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নতুন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি গ্রামের হাজারো মানুষ।

    বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানি ও কাঁদা ভেঙে চলাচল করতে হবে না বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। এখন কাঁচা রাস্তা নির্মাণ হলেও পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    জানা গেছে, ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়া পাড়া, ঘোনা পাড়া, হরিণ পাড়া, ও থিমছড়ি এলাকার প্রায় ১২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। হরিণ খাইয়া খালের পাশ দিয়ে সরু একটি পথ দিয়ে যাতায়াত করতেন তাঁরা। এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁদের। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ নিরসনে কক্সবাজার -৩ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল (এমপি) আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    প্রকল্প সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, এই এলাকায় চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা ছিল না। গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা ভ্যানও ঢুকতে পারত না গ্রামে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের ধান-চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে হতো। শুকনো মৌসুমে খালে পাড়ের পথ দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে কষ্ট আরও বেড়ে যেত। কাঁদা পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হতো সবাইকে। এখন মাটির রাস্তা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকা রাস্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    হরিণ পাড়া গ্রামের মুহিব উল্লাহ বলেন, গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করে। রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। নতুন রাস্তা হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে।

    গর্জনিয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জুবাইর বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিল রাস্তা নির্মাণ হবে এবং সেটি পাকা করা হবে। তাঁদের প্রত্যাশা পূরণের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    ২নং গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী বলেন, গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য আতি -দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচি আওতায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনপদের দৃশ্যপট চিত্র পাল্টে যাবে