Category: বিনোদন

  • বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুভ উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী-UkhiyaVoice24.Com

    বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুভ উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী-UkhiyaVoice24.Com

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    কক্সবাজারের উখিয়াতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৩ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    অদ্য ২৫ মে ২০২৩ খ্রিঃ বৃহস্প্রতিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মহোদয় বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে এ আয়োজন। তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ ধরণের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। খেলোয়াড় তৈরীর লক্ষ্যে এ ধরণের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমুল পর্যায়ে ফুটবল আয়োজনের উদ্যোগের ফলেই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। তৃণমুল পর্যায়ে এ সকল প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা করলে সাফের ন্যায় আগামীতে আরও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।

    রাজাপালং ইউনিয়ন পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট বিভিন্ন স্কুলের ছেলে ও মেয়ে দল অংশ মিলে, আজ তাঁরোই ধারাবাহিকতায় উদ্বোধনী ম্যাচের খেলায় তুতুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম রাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশ গ্রহন করেন।

    উখিয়া উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসাইন আখন্দ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলভী হারুনুর রশীদ, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সালাহউদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আকতার উদ্দিন টুনু, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইব্রাহিম সহ আগত রাজাপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল পর্যায়ের প্রধান শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • লোহাগাড়ায় ঐতিহ্য মিলনমেলা

    লোহাগাড়ায় ঐতিহ্য মিলনমেলা

    মোঃ সেলিম হাসান সরকারি নাজির আখতার কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ

    বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা দিগদাইড় ইউনিয়নে ঐতিহ্য লোহাগাড়া মেলা বসেছে। বাহারি খাবার ও পূর্ণের স্টল।মুড়ি-মলা, ফুসকা- চট্টপটি, দই -মিষ্টির রঙ্গিন নাগরদোলা ও ভিন্ন মাটির তৈরি খেলনা মেলার রুপ ফুটিয়ে তোলে৷
    আয়োজকরা জানান, বছরের পর বছর ধরে এই মেলা চাঁদের ৩ তারিখে বসে।
    মেলার প্রথম দিনে মিষ্টির চাহিদা বেশি পরের ২ দিন কাঠের তৈরি আসবাবপত্র সিলভার, স্টিলের তৈরি আসবাবপত্রের চাহিদা।

    এদিকে এলাকাবাসী উৎসব মেটে উঠেন। স্থানীয় মুকুল মিয়া বলেন- আমরা দাদার আমল থেকে দেখে আসচ্ছি। এ মেলা আসলে বউ বাচ্চা কাচ্চা ও নাতি নাতনিদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দ করি৷ দুবছর করোনার জন্য সে আনন্দ করতে পারি নাই। এখন আগের রুপে ফিরে পেয়ে সত্যি অনেক আনন্দিত।

    প্রথমবার বাবা হয়ে মেলায় নিয়ে আসে আজাদুল তার কন্যা জান্নাতকে । স্মৃতিচার করে বলেন- আগে আমার আব্বা কান্দে কইরা মেলায় আনছিল। মেলা কইরা হেঁটেই বাড়িত আনছে। আইজ আমিও আমার মাইয়ারে কান্দে কইরা আনছি।

    এটা শুধু ঐতিহ্য মেলা না এটা একটি মিলনমেলা। এলাকার বসবাস করা প্রায় প্রতিটা বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতি।
    এটি বাঙালির ঐতিহ্য। ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর আয়োজন করুক মিলনমেলার।

  • ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ভালো থেকো প্রিয় তফু

    ওমর ফারুক,

    প্রিয়,
    খুব অবাক লাগছে না? ইন্টারনেটের যুগে চিঠি লিখতে বসেছি। সত্যি বলতে কি জানো, এমন অনেক কথা থাকে যেগুলো মেসেজে কিংবা ফোনে বলা যায় না। যদিও মানুষটা ফোনের অপরপাশে থাকে, তাকে দেখা যায় না তবুও অনেক সংকোচ লাগে। আবার সেই কথাগুলোই অনাসয়ে বলা যায় চিঠিতে। তার থেকেও বড় কথা চিঠির পাতায় সেই মানুষটার গন্ধ, ছোঁয়া লেগে থাকে। শুনেছি চিঠির গন্ধ আর প্রিয় মানুষটার ছোঁয়া ভালবাসা বাড়িয়ে দেয়।

    যাই হোক, তোমাকে আজ একটা গল্প শোনাই। পূর্ণিমার রাত সেদিন ছিলনা। কিন্তু ছিল আকাশ ভরা তারা। সেদিন আকাশ যেন আর তারাদের জায়গা দিতে পারছে না। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, একটি তারা আর একটি তারার সাথে লেপ্টে আছে। হ্যাঁ, আকাশ সেদিন সব তারাকে জায়গা দিতে পারেনি। একটি তারা খসে পরেছিল পৃথিবীর বুকে। আর সেই তারাটা থেকেই আমার জন্ম। নিতান্তই অবহেলায় ঈশ্বর আমাকে সৃষ্টি করেছেন। শুধু অবহেলিতদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই আমার জন্ম।

    আমি খুব সুন্দর করে লিখতে পারিনা।মিলিয়ে মিলিয়ে দুরূহ ছন্দও লিখতে পারি না।খুব সাধারণ মেয়ে আমি।আমি বোধ হয় পুকুরপাড়ে ভেসে যাওয়া কলমিশাক কিংবা নদীতে ভেসে যাওয়া কচুরিপানা। সকালে ভোরের শিশির ঘাসের উপর যে সৌন্দর্য রাখে আমার তাও নেই।আমার সম্বল কেবল আমার দুঃখ। আর আমার দুঃখের সবচেয়ে বড় অধ্যায় তুমি।আমার এ সম্বলহীন, শিকড়হীন জীবনে তোমাকে পেয়েছি,আর এই তোমাকে নিয়েই হাজার বছর বাঁচার আকুতি আমার।

    এবার বলি,তোমাকে কেন দুঃখ বললাম……

    যে তারাটি আকাশ থেকে খসে পরেছিল।সেই তারাটি আমাকে জন্ম দিল ঠিকিই কিন্তু ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়।সে পৃথিবী ত্যাগ করল আর আমাকে দিয়ে গেল এক পৃথিবী দুঃখ।তাই আমি জানি,আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত যদি কিছুই না থাকে তবুও শুধু দুঃখই থাকবে।তাই তো আমার দেওয়া তোমার নাম দুঃখ। তোমাকে সুখ হিসাবে না পেলেও দুঃখ হয়েই আজন্ম তোমাকে চাই।

    জানো আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী ছিলাম না।কিন্তু এখন কারণে-অকারণে ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।এই যে,আমার জীবনে এলে,আমার সারাটা দিনের ভাবনা হলে,আমার দু-চোখের স্বপ্ন হলে,আমার ভবিষ্যৎ হলে— এটাকে আমি ভাগ্য হিসাবে নিয়েছি।আমি গত জন্মের বিশ্বাসীও নই।কিন্তু গত জন্মের কোন এক পূর্ণতার ফলে তোমাকে যে পেয়েছি সেটা অস্বীকার করার উপায়ও আমার নাই।

    কিছু দিন আগেও তোমাকে চিনতাম না।তোমার প্রতি অধিকার বোধ ও ছিল না।তখন আমার বদ্ধ জীবন।আর আমার বদ্ধ জীবনে তুমি এলে আলোর ঝিলিক হয়ে।গভীর জলে ডুব দিয়ে থাকতে আমি তখন অনেকটা অভ্যস্থ।আমার বাধ্য জীবনে অবাধ্য হয়ে এলে তুমি।আর আমার নিরুপায় জীবনের মুক্তির অন্বেষণে দীর্ঘশ্বাসের শূন্যস্থান পূরণ করে সর্তক প্রহরীর দায়িত্ব নিলে তুমি।

    এরপর তোমাকে ভালবাসা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।তোমার ভালোবাসার পাগলামী,আমার প্রতি তোমার প্রেম, আমাকে অস্থির করে তুলতো।সেদিন তোমাকে ভালবাসি না বল্লে হয়ত দম আটকে আমি মরেই যেতাম।

    তুমি আমাকে উড়তে শিখেছো।বাতাসে যে গন্ধ আছে,মুক্ত গন্ধ…….আমি তাও জানতাম না,তুমি পরিচয় করে দিয়েছিলে।নীল খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দু’হাত উজার করে বুক ভরে শ্বাস নিতে তুমি শিখিয়েছিলে।নদীর তীরে কাশবনের পাশে হাতে হাত ধরে হেঁটে চলা কিংবা মাঝনদীতে পাল তোলা নৌকায় তোমার কোলে মাথা রেখে আকাশকে দেখে আকাশকে ছোঁয়ার স্বপ্ন তুমিই দেখিয়েছিলে।তখন আমার চোখ দু’টোকে পাখির চোখ মনে হয়েছিল।যেন আমি দেখেছি,পাখির চোখে বিশ্ব।

    আমরা একে অপরকে ভালোবেসেছি ঠিকই কিন্তু এই সমাজ আমাদের কতটা মেনে নিবে, আদৌও মেনে নিবে কিনা আমরা সেটা ভুলেই গেছি।আমরা সমাজের মানুষ। আমাদেরকেই নিয়ে নাকি সমাজ।আবার ভালোবাসলেই আমরাই সমাজে বয়কট।

    আচ্ছা ভালোবাসা কি জাত-ধর্ম বিবেচনা করে হয়?ভালোবাসা কি সেজেগুজে, পরিপাটিরূপে আসে?নাকি নোটিশ দিয়ে আসে?আমার ভালোবাসা ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র পিটিয়ে আসেনি তো…আমার ভালোবাসা হয়ে গিয়িছিল।তোমার দৈহিক সৌন্দর্য আমাকে টানেনি এটা যেমন সত্য তেমনি এটাই সত্য তোমার সুন্দর মন-ই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।

    কিন্তু সমাজের নির্মম নিয়ম,আমাদেরকে স্বীকৃতি দেয়নি তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে,ভালোবেসে আমরা কতটা অসহায়।

    গত পরশু,দিনের প্রথম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারলাম সকাল দশটায় আমাকে দূরে পাঠানো হচ্ছে, তোমার থেকে দূরে-বহুদূরে।একদম বিনা নোটিশে এ যাত্রা আমার।তোমাকে শেষবার দেখতে চেয়েছি,তারজন্য আমার হাতে থাকে সময়ের একটা মিনিটও আমি চেষ্টার ত্রুটি করিনি।তোমার সেল নম্বরটি বন্ধ ছিল।চার দেওয়ালে আটকে থেকে যতটুকু চেষ্টা করা যায়,বিশ্বাস কর তার এতটুকু কমতি রাখিনি আমি।

    কিন্তু ঈশ্বর জিতিয়ে দিলেন-এ সমাজ, এ সমাজের ধর্ম,দাম্ভিকতাকে।আজ পথের দূরত্ব অনেকটা কিন্তু আমার অনুভবে আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছে তোমার অবস্থান।

    সব খারাপের মাঝে এটাই ভালো হয়েছে-তোমাকে না পাওয়াটাই হয়ত ভালো হয়েছে।শুনেছি ভালোবাসার পর ভালোবাসাকে পেলে নাকি ভালোবাসা কমে যায়।আর না পেলে কাছের মানুষটা নাকি বহুগুন বেশি ভালোবাসে।সেদিক থেকে খারাপ কি বল…………..

    আমার জীবনের সুখের সীমা-পরিসীমা তুমি জানো।তাই জন্যেই তোমার নাম দিয়েছিলাম দুঃখ। ভালোবাসার সংজ্ঞা না জেনেই, দুইবার না ভেবেই তোমাকে ভালোবাসা, এতটা আপন করে নেওয়া আমার কাছে অহেতুক নয়।বলেছিলাম গতজন্মের অবিশ্বাসী নই।গতজন্মের পূর্ণতায় এজন্মে তোমায় ক্ষণিকের জন্য পেয়ে আমি লোভী হয়ে গেছি।তোমার প্রতি আমার ভীষণ লোভ।তাই পরের জন্মে এ জন্মের দূরত্বের প্রাচীর টপকাতেই ঈশ্বরের কাছে দরখাস্ত লিখতে একটু আগেই চলে যাচ্ছি। পরের জন্মে একই ধর্মে,একই গোত্রে,সু-সমাজ ব্যবস্থায় ঈশ্বর যেন আমাদের পাঠান। দরখাস্ত মঞ্জুর হলে আবার আমরা ফিরে আসবো।

    আমি সমাজের কাছে হেরে গেলাম তবে ভালোবাসার কাছে নিশ্চয়ই নয়।

    আজ আর নয়, জানিনা চিঠিটা পাবে কিনা। পেলে আকাশে একটা পাখি উড়িয়ে দিও। সেই পাখির চোখেই আমি তোমাকে দেখব।

    ভালো থেকো…এই সমাজে…

    ইতি,

    তোমার আমি

    লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী,
    ওমর ফারুক
    কক্সবাজার (উখিয়া)

  • আইডিয়াল সোসাইটির উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলায় বিজয় হলেন পূর্ব ডিগলিয়া করইবনিয়া ক্রিকেট দল

    আইডিয়াল সোসাইটির উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলায় বিজয় হলেন পূর্ব ডিগলিয়া করইবনিয়া ক্রিকেট দল

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    শনিবার ৮ জানুয়ারি-২০২২ খ্রিঃ বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে আব্দুর রহিম মেম্বার এর বাড়ির পাশ্ববর্তী খেলার মাঠে, উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন, আইডিয়াল সোসাইটি নামক একটি সমাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট।

    উক্ত ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলায় একদিকে অংশগ্রহণ করলেন, পূর্ব ডিগলিয়া ও করইবনিয়া ক্রিকেট দল, অপর দিকে অংশগ্রহণ করলেন ডেইলপাড়া ক্রিকেট দল, দুই ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় বৃন্দদের চমৎকার সিক্স ও পৌর দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ উল্লাসে পরিনত করলেন।

    দুই দলের ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় ৯৬ রানে টার্গেট দিলেন ডেইলপাড়া খেলোয়াড় বৃন্দ অপরদিকে পূর্ব ডিগলিয়া পালং ও করইবনিয়া ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় বৃন্দ ৯৬ রানের টার্গেট ভেঙ্গে বিজয় লাভ করে চ্যাম্পিয়ন কাপ গ্রহণ করেন।

    যুব সমাজকে মাদক থেকে মুক্ত রাখতে হলে খেলাধুলা’র বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন উখিয়া উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি, কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও Ukhiya24 এর সম্পাদক জনাব সাংবাদিক শফিউল ইসলাম আজাদ।

    অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সকল খেলোয়াড় বৃন্দদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান জনাব আব্দুর রহিম মেম্বারসহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    Exif_JPEG_420
  • আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন বঞ্চিত সাঈদ খোকনকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

    রবিবার দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাঈদ খোকনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন।

    ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন। তিনি অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে।

    এবারের নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই মেয়র। তবে দল তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেয়। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, সাঈদ খোকনকে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়া হতে পারে।

  • ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    ফেসবুকে ভুয়া খবরে বাতিল হবে বিজ্ঞাপন

    তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ভুয়া খবর ঠেকানোর বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ফেসবুক। যেসব পেজ ও গ্রুপ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হবে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

    গত ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে সতর্ক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনও পেজ বা গ্রুপের ক্ষেত্রে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার প্রমাণ না পাওয়া যায় এবং ভুয়া খবর ছড়ালে সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরচুন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    ফেসবুকের পক্ষ থেকে পেজের ব্যবস্থাপকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফেসবুক যদি কোনও কনটেন্ট মুছে ফেলে বা সরিয়ে দেয় বা যে পোস্টের কারণে কোনও পেজ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তা আবার নতুন পেজে পোস্ট করা হয়, তবে সে পেজও বন্ধ করে দেয়া হবে।

    সম্প্রতি ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্ল্যাটফরমে কোনও খবর ভুয়া বলে শনাক্ত হলে সে পোস্টের বিষয়ে সতর্ক করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভারতে এএফপি ইন্ডিয়া, ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো, ফ্যাক্টলি, নিউজমোবাইল, ইন্ডিয়া টুডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক।

    ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর পাশাপাশি ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুয়া পোস্টগুলোকে সরাসরি ‘ভুয়া’, ‘মিশ্র’, ‘ভুয়া শিরোনাম’, ‘মতামত’, ‘বিদ্রুপের’ মতো নানা সংজ্ঞা দেয়া হবে। ১২ ভাষায় পোস্টগুলোকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।

    ভারতের আগে সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডসে ভুয়া খবর বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়গুলো পরীক্ষা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কোনও ভুয়া খবর শনাক্ত করার পর কর্তৃপক্ষ সেই খবর পর্যালোচনা করবে। পোস্টটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে তা কারও কাছে পৌঁছাবে না।

    এমনকি, যেসব পেজ থেকে বারবার ভুয়া খবর ছড়ানো হবে, সে পেজের বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ কমিয়ে দেবে।

    ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক নেতাদের পেজ থেকে সরাসরি পোস্ট করা কোনও বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেই জানিয়েছে ফেসবুক।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুকের এ উদ্যোগ ভুয়া খবর ঠেকাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।

  • করোনার মতো আরও বহু ভাইরাস আছে: চীনা ভাইরোলজিস্ট

    করোনার মতো আরও বহু ভাইরাস আছে: চীনা ভাইরোলজিস্ট

    চীনের সুপরিচিত ভাইরোলজিস্ট শি ঝেংলি বলেছেন, যেসব ভাইরাস আবিষ্কার হচ্ছে, সেগুলো ‘বরফের চূড়া মাত্র’ অর্থাৎ এ ধরনের আরও বহু ভাইরাস আছে।চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিজিটিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এসময় তিনি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক ঐক্যের ডাকও দেন। খবর ব্লুমবার্গের।চীনের ব্যাট ওমেন হিসেবে পরিচিত, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর শি বলেন, ভাইরাসের গবেষণায় বিজ্ঞানী ও সরকারদের স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক হতে হবে।আর যখন বিজ্ঞানকে রাজনীতিকরণ করা হয় তখন তা ‘খুবই দুঃখজনক।’সিজিটিএনকে শি বলেন, আমরা যদি পরবর্তী সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষজনকে বাঁচাতে চাই, তাহলে প্রকৃতিতে বন্যপ্রাণী বাহিত এই অজানা ভাইরাসগুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এবং প্রাথমিক সতর্কতা দিতে হবে। আমরা যদি এগুলো সম্পর্কে না জানি তাহলে আরেকটি প্রাদুর্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযোগ উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। তবে শি বলেছেন, মানুষের শরীরে যে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে তার সঙ্গে তিনি যে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন তার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মিল নেই।এদিকে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে নিজের নামে শপথ করে শি বলেন, এই মহামারির সঙ্গে তার ল্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে সপ্তাহে সিজিটিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির পরিচালক ওয়াং ইয়ানই বলেন, এই ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছে এটা ‘পুরোপুরি বানোয়াট।’উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বের ৫৬ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ।

  • করোনায় আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    করোনায় আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল রোববার তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে।

    আজ সোমবার রাতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তিনি জানান। নিজ প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিটেই তার শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল রোববার সন্ধ্যায় যখন আমি ইফতার করে বাসায় ফিরছিলাম তখন আমি জ্বর জ্বর অনুভব করি। সে সময়ই আমাদের নিজেদের উদ্ভাবনী কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার এক ঘণ্টার ভেতরে আমি রিপোর্ট পাই। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।

  • সরকারের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত

    সরকারের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত

    করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এ পর্যন্ত সারাদেশে সোয়া এক কোটি পরিবারের সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সরকার।

    আজ শনিবার এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২২ মে পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ২ হাজার ৯৪৮টি এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ৫ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৯ জন।

    শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮১ কোটি ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৬৯ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা।

    এতে উপকারভোগীর পরিবার সংখ্যা ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৭২ টি এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লাখ ২১ হাজার ৫৪৭ জন।

    শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৩৬ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬ টি এবং লোক সংখ্যা ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৬ জন।