Category: বিশেষ সংবাদ

  • উখিয়ার ডেইলপাড়া মাদ্রাসার মাঠে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়

    উখিয়ার ডেইলপাড়া মাদ্রাসার মাঠে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

    কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে পূর্ব ডিগলিয়া পালং ও ডেইলপাড়া বৃহত্তর এলাকার মৌলভীর দোকান রবি টাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন মাদ্রাসার মাঠে  অদ্য ৫ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ শনিবার বিকাল ২ ঘটিকার দিকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মানবপ্রচার রোধে সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং সভা অত্র মাদ্রাসার পরিচালক জনাব মাওলানা সৈয়দ হামজা সাহেবের সভাপতিত্বে এবং উখিয়া থানার এসআই জনাব আবছার এর সঞ্চালনায় জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র হাফেজ মোঃ সৈয়দ হামজার কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

    উক্ত বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স জনাব আহমদ সন্জুর মোর্শেদ।

    বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডের দুই দুইবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার, উখিয়া থানার এসআই জনাব আবছার উদ্দিন, এসআই জনাব মনিরুল, এসআই বিকাশ, মোঃ আরিফ, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দফদার জনাব আব্দুল হক আকাশ, আইডিয়াল সোসাইটির সভাপতি জনাব রহমত উল্লাহ আজাদ, গ্রাম পুলিশ জনাব মোহাম্মদ আলী, জনাব সৈয়দ উল্লাহ প্রমুখসহ রাজনীতিবীদ গণ ওলামায়েকেরাম, ছাত্রজনতা ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠানের শুরুতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স জনাব আহমদ সন্জুর মোর্শেদ মহোদয় কে ফুল দিয়ে বরন করে নিয়েছেন ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জনাব আলহাজ্ব মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী ও ৭নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব আব্দুর রহিম মেম্বার।

    এছাড়া আরো প্রধান অতিথি উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্স ও বিশেষ অতিথি এসআই এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উখিয়ার পূর্ব অঞ্চলের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন আদর্শ সমাজ (আইডিয়াল সোসাইটি’র) সভাপতি ও সদস্য বৃন্দ।

    যথাক্রমে প্রধান অতিথি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মানবপ্রচার রোধে চমৎকার বক্তব্য রাখেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    বিশেষ অতিথির মধ্যে বর্তমান সমাজ নিয়ে মীর সাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী ও আইডিয়াল সোসাইটির সভাপতি রহমত উল্লাহ আজাদ উচ্চ কন্ঠে নির্ভয়ে সুন্দর বক্তব্য রাখেন।

    সর্বশেষ ৪ ও ৭ দুই ওয়ার্ডের জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথি আলোচনা সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • বইমেলায় আসছে সাংবাদিক নুরুল আমিনের কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে

    বইমেলায় আসছে সাংবাদিক নুরুল আমিনের কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে

    সাহিদুর রহমান,ভোলা প্রতিনিধিঃ

    ২০২০ সালের অমর একুশে বইমেলায় আসছে প্রথিতযশা লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি ও প্রাবন্ধিক মো. নুরুল আমিনের লেখা কবিতার বই ‘কোনো এক বিকেলে’। বইটি প্রকাশ করছে বাডস প্রকাশনা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুহাম্মদ ইউছুফ। ‘পঁচিশ বসন্ত পরে’ নামে লেখকের আরেকটি কবিতার বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
    মো. নুরুল আমিন প্রথিতযশা একজন সাহিত্যিক। তিনি একাধারে লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি অসাধারণ প্রতিভার একজন আলোকিত মানুষ ও নিবেদিত প্রাণের একজন কলম সৈনিক। তার রয়েছে বহুমুখী প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার হাত রয়েছে।
    তিনি ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল লালমোহন পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড, বালুরচর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত তোফায়েল আহাম্মদ ও মাতা মৃত আম্বিয়া খাতুন অত্যন্ত ধার্মিক ও ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে মানবিক শাখায় লালমোহন হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে সরকারি শাহবাজপুর কলেজ থেকে এইচএসসিতে এক বিষয়ে লেটার পেয়ে প্রথম বিভাগে পাস করেন।
    ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি করেন। আবৃত্তি ও অভিনয় করতেন। তার প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন অঙ্গীকার নাট্যমীর পরিবেশনায় তার রচিত অনেক নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে। সাহিত্য চর্চায় তার দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পরিপক্বতা প্রশংসনীয়। তিনি জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও প্রতিকূলতার মধ্যেও লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন। তিনি নিবিড় মনে সাহিত্যচর্চা করেন। ‘কোনো এক বিকেলে’ কাব্যগ্রন্থ তার পঞ্চম প্রকাশনা। এর আগে তার লেখা প্রবন্ধ ও গল্পের বই ‘জেগে উঠি জাগিয়ে তুলি’, ‘জীবন জেগে থাকে’ কবিতার বই ‘ভালবাসা মরে না’ ও ‘প্রেয়সী’ প্রকাশিত হয়েছে।
    তিনি সমাজ হিতৈষী ও মানবতাবাদী একজন লেখক। তিনি তার লেখায় প্রাণময় তুলির টানে প্রেম-প্রকৃতি, বিরহ-যন্ত্রনা, জীবন-জীবিকা, সমাজ-সংস্কৃতি, অনিয়ম-অসঙ্গতি, পরিবেশ, দর্শন, শিক্ষা, সভ্যতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সমাজে বিরাজমান নানা রকম সমস্যা, সম্ভাবনা, অনিয়ম ও অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছেন এবং এসবের প্রতিকার কামনা করেছেন।
    সাহিত্য জগতে দিগন্ত জয়ের চিরস্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি নিবেদিত প্রাণে কাজ করছেন। তিনি সকলের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।

  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৬০ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৩বেঙ্গল কর্তৃক ১৮০জন শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৬০ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৩বেঙ্গল কর্তৃক ১৮০জন শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

    আব্দুল জাহির মিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ

    ১০ জানুয়ারী সকালে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ১৮০জন অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

    এসময় উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৬০ব্রিগেডের ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান,এনডিসি,পিএসসি,১৩বেঙ্গলের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবু সাইদ পিএসসি, ক্যাপ্টেন মেহমুদ,এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুনারুঘাট।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতাকে সঠিক ভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে আরো গৌরবান্বিত করার প্রত্যয়ে এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণে সেনাসদর সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় শতভাগ সদস্য অংশগ্রহণ করছেন।

    এরই অংশবিশেষ হিসেবে ৩৬০ ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৩ ই বেঙ্গল চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নে শীতকালীন মহড়া রত অবস্থায়,গরিব অসহায় দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন করেন।

  • ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি সংশোধন করে পুনরায় কমিটি গঠন করা হয়- কারিতাস বাংলাদেশ

    ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি সংশোধন করে পুনরায় কমিটি গঠন করা হয়- কারিতাস বাংলাদেশ

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ, প্রকাশক

    কারিতাস বাংলাদেশ BMZ Project DRR এর উদ্যোগে অদ্য ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত কমিটির ন্যায় ৭নং ওয়ার্ডেও সংশোধন করে কারিতাস বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পুনরায় গঠিত ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি (WDMC) এর পুনরায় কমিটি সংশোধন করে ১০ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলাসহ ১৫ বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

    উক্ত দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির আলোচনা সভা রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য, ৭নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব আব্দুর রহিম মেম্বারের সভাপতিত্বে ও কারিতাস বাংলাদেশ এর ফিল্ড সুপারভাইজার জনাব নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় শুরু হয়।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশ প্রজেক্ট প্রোগ্রাম অফিসার জনাব মোজাম্মেল হক, ডাটা কালেকশন রাজু জুলিয়েফ রাজু প্রমুখ সহ ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি ও ওয়ার্ড দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় দলের সকল সদস্য বৃন্দ এবং প্রোগ্রাম শেষ করে কারিতাস বি এম জেট প্রজেক্ট এর উদ্যোগে পূর্ব ডেইলপাড়া হারুন রশিদ এর বাড়ি হইতে শুরু করে ভেতবনিয়া আমির হামজার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার চলমান কাজ পরিদর্শন করেন প্রজেক্ট অফিসার, ফিল্ড সুপারভাইজার ও ডাটা কালেকশন রাজু জুলিয়াফ রাজু, ফিল্ড ভলান্টিয়ার লায়লা আক্তার, ফাতেমা জান্নাত প্রমুখ সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সার্বিক সহযোগিতায় ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি, উখিয়া কক্সবাজার।

  • বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ উৎপাদন শুরু-ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত লবণ চাষীরা

    বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ উৎপাদন শুরু-ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত লবণ চাষীরা

    আলমগীর ইসলামাবাদীঃ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলে পুরোদমে শুরু হয়েছে লবণ উৎপাদনের কাজ। চিংড়ি ঘের গুঁটিয়ে চাষীরা দিনের বেশিরভাগ সময় পার করছেন লবণ উৎপাদনের কাজে। ইতোমধ্যে অনেক জমিতে লবণ উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। অনেকে গত বছরের মজুদ করা লবণ বিক্রি করেননি কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায়। তবুও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার হতাশা নিয়ে চাষীরা চলতি মৌসুমেও লবণ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছেন।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ছনুয়া, শেখেরখীল, পশ্চিম পুঁইছড়ি, চাম্বল ইউনিয়নের ডেপুটিঘোনা, শীলকূপের মনকিচর, সরল, গণ্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদ ইউনিয়নে লবণ মাঠে লবণ উৎপাদনের কাজ চলছে।

    কিন্তু ন্যায্যমূল্যে লবণ বিক্রি না হওয়ার ফলে এখানকার চাষীরা লবণ উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন। এরপরও বাপ-দাদার পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা লবণ মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষীরা।
    বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীতে মোট ৬৫ হাজার একর জায়গায় লবণ উৎপাদন কাজ শুরু হয়েছে।

    বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে বিসিকের নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে লবণ উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকেন চাষীরা। ইতো মধ্যে বাঁশখালীর উপকূলে উন্নত পদ্ধতিতে সাদা দানাদার ও পরিপক্ব লবণ উৎপাদনে চাষীদেরকে উদ্যােক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে বিসিক।

    চাষীরা জানান, বিগত দিনের মতো উপকূলের অনেক আবাদী জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায়। অপরদিকে লবণের দাম কম হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝলকও দেখা মেলে না। বলতে গেলে চাষীদের নিরব কান্নার সুর বয়ে যাচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা অব্যাহত থাকে তাহলে বাঁশখালীর উপকূলীয় কয়েক সহস্রাধিক লবণ চাষী পরিশ্রমের সুফল না পেয়ে এবারও পথে বসবে। বর্তমানে সরকার লবণ চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানী বন্ধ করে দিলেও চাষীরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে দাম পাচ্ছেন না।

    বাঁশখালীতে এবারও প্রায় লক্ষাধিক লবণ চাষী ন্যায্যমূল্য ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে এই আশায় লবণ মাঠে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলে উৎপাদিত এসব লবণ দেশের সর্বত্র রপ্তানীতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষীরা আরো বেশি উপকৃত হবে এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে আরো বেশি মনোযোগী হবেন এমনটি প্রত্যাশা বাঁশখালীর উপকূলীয় জনপদের চাষীদের।

    ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী এলাকার লবণ চাষী আমিনুল হক বলেন, ‘ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লবণ উৎপাদনের কাজ শুরু করেছি। ৫ কানি জমিতে দৈনিক ৬ জন শ্রমিকের বেতন দিতে হচ্ছে। জানি না লবণ বিক্রির সময় এবছরও গতবছরের মত দূরাবস্থা হবে কিনা। আমরা সরকারের কাছে লবণের ন্যায্যমূল্য চাই।

    বাঁশখালী উপজেলা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছুর আলী বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। যা উৎপাদন মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম।’
    বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বাঁশখালী উপজেলা কেন্দ্র প্রধান আনসারুল হক বলেন, ‘সরকার চলতি মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিদেশ থেকে যাতে লবণ আমদানি করতে না হয় সে লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার একর জমিতে ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন পরিশোধিত লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

    তিনি। আরও বলেন, ‘কালো লবণ উৎপাদনে লবণ মাঠ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং লবণের সাথে মিশ্রিত কাদা দ্বারা মিল এলাকার নদ-নদী ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পলিথিন পদ্ধতিতে সাদা দানাদার ও পরিপক্ক লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের লবণের চাহিদা পুরণ করার জন্য উদ্যোক্তা ও চাষীদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ
    দিয়েছিলাম।’

  • শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    শেডের আয়োজনে উখিয়ায় সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    সম্প্রীতির সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি” এই স্লোগানকে ধারণ করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শেড এর আয়োজনে এবং কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় অদ্য ২২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে শুরু হয়ে বিকেল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

    উক্ত সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলা শেডের সিনিয়র অফিসার মোঃ নাজিমুজ্জামান এর সঞ্চালনায় ও শেডের এজিডিআরআর প্রকল্পের আওতায় গঠিত রাজাপালং ইউনিয়ন সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব নুরুল কবির মেম্বারের সভাপতিত্বে শুরু হয়।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা পরিদর্শন ও উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের তিন তিন বারের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শেড এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মুহাম্মদ উমরাহ, শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব আব্দুল মান্নান, এজিডিআরআর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব আব্দুল মান্নান, কেয়ার বাংলাদেশের অফিস ম্যানেজার জনাব আব্দুস সালাম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা মিল্টন কুমার সাহা, উখিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইমদাদুল হক সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৃন্দ।
    উল্লেখ্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মেলার স্টলে সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নিজাম উদ্দিন আহমেদ শেড ও কেয়ার বাংলাদেশকে এ ধরণের আয়োজনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শেডের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ উমরাহ বলেন, “সমাজের সকল স্তরে আমরা যদি সম্প্রীতির বন্ধনকে জোড়ালো করতে পারি তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের দিকে আমরা অনেকাংশেই এগিয়ে যাব।”
    মেলায় প্রদর্শনী স্টলের পাশাপাশি এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সমাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
    রাজাপালং ইউনিয়নের সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়ন কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় এর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

  • ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    ইয়ামেনে দুর্ভিক্ষের কালো থাবা- আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

    কালের সুন্দর, স্নিগ্ধ ও মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি ইয়েমেন এখন ধ্বংসপুরী। বাতাসে বারুদের গন্ধ। জনগণের মাথার ওপরে ছাদ নেই। পেটে আহার নেই। পরনে ছিন্নবসন। রোগবালাই নিরাময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ইতালীয় ভাষায় ‘ইয়েমেন’ শব্দের অর্থ সুখী অথচ বর্তমানে দেশটি অসুখী দেশের তালিকার শীর্ষে। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাধীন আরব দেশ ইয়েমেন। এটি রিপাবলিক অব ইয়েমেন নামে পরিচিত। ক্ষমতার লড়াই, শিয়া-সুন্নি দ্ব›দ্ব, তেল বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নির্মম বলি ইয়েমেনের তিন কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। তাদের প্রয়োজন মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ। দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ২০ লাখ শিশু খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। সেভ দ্য চিলড্রেন প্রদত্ত তথ্য মতে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    বিংশ শতাব্দীর শেষে খনিজ তেল আবিষ্কার হলে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রতি মাসে ইয়েমেন থেকে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল নিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এমন অভিযোগ করেছে ইয়েমেনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্মার আল-আজরায়ি। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেন থেকে তেল ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক বক্তৃতায় জাতিসঙ্ঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেন, ইয়েমেনে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে মানবিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। কয়েক মাস আগে নতুন করে আরো ৩০ লাখ মানুষ মানবিক সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ নেই। ফলে ৪০ লাখ লোককে খাদ্য সহযোগিতা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছর শেষে এ সংখ্যা গিয়ে ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে। চলমান যুদ্ধ, ব্যাপক দরিদ্রতা, কর্মসংস্থানের অভাব ও আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় ২০২২ সালে ইয়েমেনের সঙ্কট বৃদ্ধি পেতে পারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনকে ২০২১ সালে চরম মানবিক বিপর্যয়ের দেশের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে।

    ইয়েমেনের তিন হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের পরিসংখ্যান মতে, বিগত ছয় বছরে এক লাখের বেশি মানুষ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি ২০২১ সালে ১০টি মানবিকভাবে বিপর্যস্ত দেশের তালিকা করেছে। তাতে শীর্ষে আছে ইয়েমেন। অপরাপর দেশগুলো হলো যথাক্রমে – আফগানিস্তান, সিরিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও মোজাম্বিক।

    ‘আরব বসন্ত’ দিয়ে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাব্বুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হলো। যেমন – আলকায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সালেহর প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্যসঙ্কট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইদি শিয়া সম্প্রদায় নেতৃত্বের হাছি আন্দোলনের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিও তাদের সমর্থন জোগায়। এরপর ২০১৪ সালে বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। হাউছি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু হাদিকে ইয়েমেনে আবার ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ এক জোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব (বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০১৮)। আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি আরব ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনকে জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ করে দেশটির ওপর ভয়াবহ সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

    ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে, অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হাউছি বিদ্রোহীরা (বাংলা ট্রিবিউন, ২৯ অক্টোবর ২০২১)। ইয়েমেন থেকে হাউছি বিদ্রোহীদের ছুড়ে মারা মর্টার, ড্রোন ও মিসাইল রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে প্রতিনিয়ত। গত মার্চ মাসে সৌদি রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি ‘আরামকো’র বৃহৎ একটি শোধনাগারে ছয়টি ড্রোন দিয়ে আবার ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকায় ইয়েমেনে আলকায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বেশ সক্রিয়। এখানে ঘাঁটি বানিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইয়েমেনের এ সঙ্কটকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কৌশলগতভাবে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এডেন উপসাগর দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে। জাতিসঙ্ঘের তিনটি সংস্থা একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ছয় বছরের যুদ্ধে উভয় পক্ষ ব্যাপক বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক স্পট রয়েছে ইয়েমেনে। এর মধ্যে এর রাজধানী সানা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সানা বিশ্বের অন্যতম প্রচীন শহরগুলোর একটি। ইউনেস্কো এটিকে World Heritage of Mankind বলে ঘোষণা করেছে। এখানে প্রাচীনকালে ইটের তৈরি বহুতল ভবন সর্বত্র দৃষ্টিগোচর হয়। ইয়েমেনিরা শহর, সড়ক, দুর্গ ও বাঁধ নির্মাণে ছিলেন বেশ পারঙ্গম। রাব আল খালি মরুভ‚মির প্রান্তে অবস্থিত মারিব শহর ছিল শেবার রানী বিলকিসের সাম্রাজ্যের রাজধানী। এখানে ৩০০০ বছর আগে নির্মিত বাঁধ অবশিষ্ট আছে। ইয়েমেন আগে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এদের রাজধানীগুলো দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটিতেই সেই আমলের বিশেষ নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে লোহিত সাগরের সৈকত সন্নিহিত আল-মুখা শহর কফির জন্য ছিল বিখ্যাত। বস্ত্রশিল্প, ধুনো ও বৃক্ষগন্ধরস দেশটির জনগণ ও ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মুহাম্মদ সা: ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে হজরত আলী রা:-কে ইয়েমেন প্রেরণ করেন এবং মহানবী সা:-এর জীবদ্দশায় তাইজের নিকটবর্তী জানাদে ও সানাতে মসজিদ নির্মিত হয়। ইসলামী যুগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো অনেক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানে ইয়েমেন পূর্ণ ও ঋদ্ধ। প্রমিত আরবি উচ্চারণের জন্য ইয়েমেনের প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত। ইয়েমেনে ৬৫ শতাংশ মানুষ সুন্নি ও ৩৫ শতাংশ শিয়া। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রা: ও খ্যাতনামা তাবেঈ হজরত ওয়ায়েস করনি রহ: ছিলেন ইয়েমেনের বাসিন্দা। মহানবী সা: ইয়েমেনকে ভালোবাসতেন; কারণ তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ইয়েমেনি। মহানবী সা: বলেন, ঈমান ইয়েমেনিদের মধ্যে আর আমিও ইয়েমেনি। দাওয়াত ও জিহাদে ইয়েমেনবাসীরা মহানবী সা:-কে সব সময় সহায়তা করেন। হজরত মুয়াজ ইবন জাবাল রা:কে মহানবী সা: ইয়েমেনের গর্ভনর নিয়োগ করেছিলেন। তিনি জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাসে অমর কীর্তি রেখে গেছেন। সম্পদের সুষম বণ্টনের কারণে সে সময় ইয়েমেনে জাকাতগ্রহীতা পাওয়া যায়নি। ফলে হজরত উমর রা:-এর শাসনামলে উদ্বৃত্ত রাজস্ব মদিনার কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়। ইয়েমেনে আসওয়াদ আনসি নামে এক ভণ্ডনবীর আবির্ভাব হলে ইয়েমেনিরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং ফাইরোজ নামে এক ব্যক্তির হাতে ভণ্ডনবী নিহত হন।

    দায়িত্ব গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দেন, ছয় বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি আরব যে লড়াই চালাচ্ছে, আমেরিকা সেই লড়াইয়ে সৌদিকে আর সাহায্য করবে না; বরং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে কিভাবে মীমাংসাসূত্র তৈরি করা যায়, আমেরিকা সে চেষ্টাই চালাবে। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই আর সৌদি রাষ্ট্রকে যুদ্ধে মদদ দেয়া হবে না। বরং ইয়েমেনে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে। তবে এর ফলে সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ৯ মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়। বিগত চার নভেম্বর এক চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের কাছে মধ্যপাল্লার এআইএম-১২০সি-৭/সি-৮ মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। বিশেষ এসব ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর বলছে, ‘গত বেশ কয়েক বছরে সৌদি আরবে আন্তঃসীমান্ত হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। ফলে দেশটিতে থাকা মার্কিন বাহিনী ও ৭০ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিক ঝুঁকিতে পড়েছেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র আন্তঃসীমান্ত হামলা থেকে সৌদিকে নিরাপদে রাখতে সহায়তা করবে’ (ডয়েচে ভেলে, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২১; আরটিভি নিউজ, ৫ নভেম্বর, ২০২১)। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিমালা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই অস্ত্র বিক্রি গুরুত্বপূর্ণ। অস্ত্রবাণিজ্য, তেললুণ্ঠন, ভ‚রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে ইয়েমেন-সৌদি সঙ্ঘাত টিকিয়ে রাখতে চায় ক্ষমতাধর দেশগুলো। এসব ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে।

    এ দিকে ইরান তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মুহাম্মদ আল-দাইলামির সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী আসগর খাজি ১৭ অক্টোবর তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উল্লেখ করেন, চলমান সঙ্ঘাত যুদ্ধবিরতি ও সঙ্কটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করবে। যেকোনো রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই বিদেশী হস্তক্ষেপমুক্ত এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। সৌদি আরব ও ইরান দুটি বৈরী দেশ। সিরিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত একাধিক আঞ্চলিক ইস্যুতে প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে আছে দেশ দুটি। ২০১৬ সাল থেকে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সৌদি আরবে এক শিয়া ধর্মগুরুর ফাঁসি কার্যকর করার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর প্রতিবাদে ইরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরই মধ্যে বাদশাহ সালমান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ইঙ্গিতে কয়েক দফা গোপন বৈঠক হয়েছে তৃতীয় দেশে। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘ইরান নিয়ে জটিল পরিস্থিতি আমরা চাই না। আমরা ইরানের উন্নতি চাই, যা এ অঞ্চল ও বিশ্বকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।’ তেহরানের ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সমাধান খুঁজতে রিয়াদ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে কাজ করছে’ (বিবিসি, ২৯ এপ্রিল, ২০২১)। শান্তি ও সমঝোতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ অনেক সময় অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ মানে বিপর্যয়। যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর ক্রন্দনরোল। সৌদি আরব, ইরান ও ইয়েমেনের নীতিনির্ধারকরা উদার মন নিয়ে এগিয়ে এলে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে। যেকোনো প্রস্তাব, আলোচনা ও পদক্ষেপে ইয়েমেনের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। নইলে আগামী দিনে সৌদি আরব ও ইয়েমেন ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতার দাবানল ছড়াবে।

    লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
    drkhalid09@gmail.com

  • মধুপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজকর্মী ড.খান আসাদুজ্জামান

    মধুপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজকর্মী ড.খান আসাদুজ্জামান

    এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদঃ- এডমিন।

    বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক অনুমোদিত মধুপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজ- আমুয়াটা,দড়িহাতিল মধুপুর, টাঙ্গাইল-এর গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গত ২৭ অক্টোবর ২০২১, প্রজ্ঞাপন নম্বর ৪৮১৭ দ্বারা- উক্ত শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছেন ড. খান আসাদুজ্জামান, পিতা- খান আক্তারুজ্জামান, দোহাজারী, আট্টাকা, ফকিরহাট, বাগেরহাট।

    গত ১৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ বুধবার ঢাকা মতিঝিল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে ড. খান আসাদুজ্জামান মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিসিক্ত করেন- উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ জনাব মো. নাসির উদ্দীন।
    উল্লেখ্য যে, ড.খান আসাদুজ্জামান আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের একজন সম্মানিত পরিচালক।

    তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও মানব কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান “সফেন ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন সময়ে সহপাঠী, অগ্রজ ও অনুজদের সাথে নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং ন্যাশন (সফেন) নামক এ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মানুষ ও মানবতার সেবায় সুদীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন, যা তাঁর মানবসেবা ব্রতের উজ্জ্বল উদাহরণ।

    ড.খান আসাদুজ্জামান জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, The Daily Bangladesh Dairy এবং মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ এর সম্পাদক ও প্রকাশক। এ ছাড়াও বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান একাধারে একজন স্বনামধন্য কবি, লেখক, কণ্ঠশিল্পী, গবেষক ও সমাজকর্মী।

  • এনজিও IMO এর পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতির সামগ্রী ও নগদ ৩০০০ অর্থ বিতরণ

    এনজিও IMO এর পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতির সামগ্রী ও নগদ ৩০০০ অর্থ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি।

    অদ্য ১৬ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা হইতে টেকনাফ শাহ্ পরীর দ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের বাজার পাড়া বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এনজিও IMO এর পক্ষ থেকে সাবরং ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটি (WDMC) ভিডিসি’র সদস্যসহ ১৮০ জন কে নগদ ৩০০০ টাকা ও তিন টি ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটিদের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতির সামগ্রী মালামাল বিতরণ করা হয়।

    নগদ অর্থ ও সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ সাবরং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জনাবা ফারিহা ইয়াছমিন, ৭নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জনাব আব্দুল মান্নান, ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজ সেবক জনাব আব্দুস সালাম মেম্বার।

    এছাড়া মহিলা মেম্বার ফারিহা ইয়াছমিন
    এনজিও IMO এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

  • গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার নির্বাচনী মতবিনিময় সভা

    গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার নির্বাচনী মতবিনিময় সভা

    গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি, রাকিব মাহমুদ ডাবলু

    ১৫ নভেম্বর বগুড়া গাবতলীর সুখানপুকুর ইউনিয়নে কাজলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকাল ৩ঘটিকায় নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আলহাজ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা।বক্তব্য রাখেন,প্রবীন আ’লীগ নেতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু শরৎ চন্দ্র রায়,ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর মাষ্টার, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সোহাগ,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক আব্দুল মতিন,৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বিধান ভট্টাচার্য,সমাজ সেবক নিহাজ,২নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী কাজল রায়,মহিলা মেম্বর প্রার্থী মাজেদা বেগম,উপস্থিত ছিলেন,২নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী পটল,৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মানিক মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বিজেন্দ্র মাষ্টার, সোনারায় ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম,আরো উপস্থিত ছিলেন, বিপুল মাষ্টার,নিশিকান্ত,শ্যামল,মিনাল, আলী রায়হান,কুদ্দুস,ছায়েদালী,রুবেল,সীমান্ত,শইকত সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ