Category: বিশেষ সংবাদ

  • আনোয়ারায় সূর্যমূখী ফসল চাষের মাঠ দিবস

    আনোয়ারায় সূর্যমূখী ফসল চাষের মাঠ দিবস

    আনোয়ারা প্রতিনিধি

     

    আনোয়ারায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি উন্নয়ন প্রকলল্পের অধীনে তেল ফসল বৃদ্ধিতে ”সূর্যমূখী ফসল”র চাষের মাঠ দিবস শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী)বিকাল ৩ টায় উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ একেএম মনিরুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ছরোয়ার আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা স্বপন দাশ, সূর্যমূখী চাষী কৃষক এসএম মহি উদ্দিনসহ স্থানীয় কৃষকরা

  • সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন

    সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের মানববন্ধন

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দীন মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সারা দেশের ন্যায় বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সদস্যরা মানববন্ধন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (২৩ শে ফেব্রুয়ারি২১) মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাঁশখালী প্রেসক্লাবের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের আহবায়ক দিলীপ তালুকদার, যুগ্ন আহবায়ক ও দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি অনুপম কুমার অভি, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আজাদী প্রতিনিধি কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা,দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি শফকত হোসাইন চাটগামী,
    দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি আব্দুল মতলব কালু,দৈনিক ইত্তেফাক ও সাঙ্গু প্রতিনিধি শাহ মোঃ শফিউল্লাহ, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আবু বক্কর বাবুল, দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি জোবাইর চৌধুরী, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সৈকত আচার্য্য, দৈনিক মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিজান বিন তাহের দৈনিক দেশ প্রতিনিধি হিমেল বাপ্পা,দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি শিব্বির আহমদ রানা,দৈনিক গণকন্ঠ প্রতিনিধি মোঃ আফনান চৌধুরী,চট্টলা২৪ টিভি প্রতিনিধি মোঃ রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দীন মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তারের পূর্বক বিচারের দাবী জানান।

  • নতুন বছরে কক্সবাজার উপকূলে দেশের বৃহত্তম ইয়াবার বড় চালান ১৪ লাখ উদ্ধার করেছে পুলিশ

    নতুন বছরে কক্সবাজার উপকূলে দেশের বৃহত্তম ইয়াবার বড় চালান ১৪ লাখ উদ্ধার করেছে পুলিশ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে সাত বস্তা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সাত বস্তায় ১৪ লাখ ইয়াবা রয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই চালানটি কক্সবাজারের এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ উদ্ধার হওয়া ইয়াবা চালান।

    আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দেয়া মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামে ফিরতে শুরু করছে। দিন দিন কৌশল পাল্টে সীমান্ত দিয়ে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, হ্নীলা, হোয়াইক্ষং, বালুখালী, ঘুনধুম, নাইক্ষংছড়ি, বঙ্গেপসগর প্রবৃত্তি রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। তবে কৌশল পাল্টে সেসব ইয়াবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।

    টেকনাফে ওসি প্রদীপ কান্ডের পর থেকে কার্যত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে স্থবিরতা হয়েছিলো বলে অনেকে ধারণা করেছিল। সেসব প্রসূত ধারণাকে কবর রচণা করে আজ দুপুরে উদ্ধার হলো দেশের বৃহত্তর ইয়াবার চালান উদ্ধার করে কক্সবাজারের বৃহৎ মাদক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান।
    তবে গত বছরের ২৩ আগস্ট ২০২০ ইং
    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ তের লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছিল, কক্সবাজার পৌরসভার মাঝিরঘাট থেকে।

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে এক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ইয়াবা বহনকারী একটি মাছ শিকারের বোটসহ ২জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
    এ বিশাল ইয়াবার চালানটি গভীর সাগর হয়ে পাচার করার উদ্যেশ্যে বার্মা থেকে আনা হয়েছিল।

    ঘটনাস্থ থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ২৫ থেকে ৩০ কাট ইয়াবা পাওয়া যায়। গণনা করে ৭বস্তায় মোট ১৪০ কাট এতে মোট ১৪ লাখ ইয়াবার মজুত রয়েছে।

    পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে।

  • নতুন বছরে কক্সবাজার উপকূলে দেশের বৃহত্তম ইয়াবার বড় চালান ১৪ লাখ উদ্ধার করেছে পুলিশ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে সাত বস্তা ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সাত বস্তায় ১৪ লাখ ইয়াবা রয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই চালানটি কক্সবাজারের এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ উদ্ধার হওয়া ইয়াবা চালান।

    আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দেয়া মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামে ফিরতে শুরু করছে। দিন দিন কৌশল পাল্টে সীমান্ত দিয়ে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, হ্নীলা, হোয়াইক্ষং, বালুখালী, ঘুনধুম, নাইক্ষংছড়ি, বঙ্গেপসগর প্রবৃত্তি রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। তবে কৌশল পাল্টে সেসব ইয়াবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।

    টেকনাফে ওসি প্রদীপ কান্ডের পর থেকে কার্যত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে স্থবিরতা হয়েছিলো বলে অনেকে ধারণা করেছিল। সেসব প্রসূত ধারণাকে কবর রচণা করে আজ দুপুরে উদ্ধার হলো দেশের বৃহত্তর ইয়াবার চালান উদ্ধার করে কক্সবাজারের বৃহৎ মাদক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান।
    তবে গত বছরের ২৩ আগস্ট ২০২০ ইং
    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ তের লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছিল, কক্সবাজার পৌরসভার মাঝিরঘাট থেকে।

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে এক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ইয়াবা বহনকারী একটি মাছ শিকারের বোটসহ ২জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
    এ বিশাল ইয়াবার চালানটি গভীর সাগর হয়ে পাচার করার উদ্যেশ্যে বার্মা থেকে আনা হয়েছিল।

    ঘটনাস্থ থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছাকাছি একটি ফিশিং বোট থেকে বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ২৫ থেকে ৩০ কাট ইয়াবা পাওয়া যায়। গণনা করে ৭বস্তায় মোট ১৪০ কাট এতে মোট ১৪ লাখ ইয়াবার মজুত রয়েছে।

    পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদক আইনে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে।

  • লালমোহন থানা ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    লালমোহন থানা ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

    জেলা প্রতিনিধি,সাহিদুর রহমান

     

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লালমোহন থানার নারী, শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধি হেলথ ডেস্ক এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধিদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং মানবিক সহায়তা ও আইনী সেবা সমন্বয়ের লক্ষ্যে লালমোহন থানা ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং সোমবার বেলা ১২টায় এ উপলক্ষ্যে ভোলার লালমোহনে দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউনুছ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মোঃ রাসেলুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিস) দেবজীত পাল, লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এসএস নুরনবী, কোস্ট ট্রাষ্ট এর প্রতিনিধি রাশিদা বেগম প্রমূখ।

    আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে সরকারি ভাবে প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে। যা বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৬.৯৮ ভাগ। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় প্রায় ১৬ লক্ষ প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করে। বাকী প্রতিবন্ধিদের নিয়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করছে। প্রতিবন্ধিদের রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রতিবন্ধিদের বিভিন্ন সমস্যাসহ আইনী সহযোগিতা প্রদানে বর্তমান সরকার বন্ধ পরিকর। পুলিশ এখন মানবিকতা নিয়ে মানুষের কাছে যেতে চায়। মানবতার পুলিশ হিসাবে আমরা পুলিশকে দেখতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানে দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ ইউনুছ মিয়া দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটি লালমোহন উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়সহ যে সকল সহযোগিতা প্রদান করে তা হলো- বিবাহযোগ্য প্রতিবন্ধি ছেলে/মেয়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পুজির যোগান দেয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধিদের সহায়ক উপকরন প্রদান। ঠোট কাটা, মুগুর পা ও তালু কাটা প্রতিবন্ধিদের বিনামূল্যে সার্জারী সেবা। স্কুল বয়সী প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা উপকরন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান। প্রতিবন্ধিদের জন্য সরকারের দেয়া ভাতা ও অনান্য সুবিধা পাইয়ে দিতে এডভোকেসি ও লবিং করা। সামাজিক ন্যায় বিচার পেতে আইনী সহায়তা প্রদান।

    অনুষ্ঠান শেষে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ ও দ্বীপ উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক এর মধ্যে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৪জন প্রতিবন্ধিকে সাফল্য অর্জনের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।

  • রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া টেকনাফ উপজেলার ছাত্রলীগের ৪ বারে সাধারন সম্পাদক

    ওসমান আল হুমাম,,কক্সবাজার প্রতিনিধি

    জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের একটি গরুত্ব পূর্ণ ইউনিট টেকনাফ উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল গত ৫ বছর আগে দায়িত্ব দেয়া হয়, সুলতান এবং সাইফুল কে, এ কমিটি মেয়াদোক্তীর্ণ হওয়াই নবগঠিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সংগঠন কে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাঝে টেকনাফে তৃনমূল ছাত্রলীগ কর্মীরা উচ্ছাসিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের প্রতি শুকরিয়াহ জ্ঞাপন করতে দেখা গেছে।

    তার মাঝে বাহারছড়া ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান এর একটি ফেসবুক পোষ্ট আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো,
    ” তবুও রাজত্ব ধরে রাখতে মরিয়া পার হলো এক যোগ, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ বারের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার সাথে বৈইমানি করেও শাস্তি হয়নি, এখন সভাপতি হবেন নাকি! আপনাদের জন্য তো সংগঠন এর গঠনতন্ত্র আপনাদের নিয়মেই চলে, এক যোগ ধরে করে আসা রাজত্ব সহজে কি কেউ ছাড়ে! ৪ বার সাধারন সম্পাদক সামনে এক যোগ পার হলেও হয়তো এ রাজত্ব থেকে যাবে, বড় কষ্ট নিয়ে বলতে চাই গত উপজেলা নির্বাচনে আমি যখন ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে নৌকার জন্য কাজ করেছি ১৭ দিনের মধ্যে আমার কমিটি ভেঙ্গে দিছেন, এরকম তৃনমূল এর বহু কর্মীকে ছাত্রলীগ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করার অপরাধে শাস্তি ভোগ করতে হয়ছে,এবং হচ্ছে, শত শত ইয়াবা ব্যবসায়ী কে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়ে সংগঠন এর ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন প্রতিনিয়ত অ দয়াল এ ভাবে আর চলবে কত কাল! এবং তিনি আরো জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সম্পাদক এর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,এবার অন্ততো তৃনমূল কর্মীদের রক্ষা করেন, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ কে নৌকা বিরোধী, গঠনতন্ত্র বিরোধীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন, আপনাদের সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় টেকনাফের শত শত তৃনমূল এর ছাত্রলীগ কর্মীরা।

  • বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

    বাঁশখালী প্রধান সড়ক এখন কাঁচাবাজারের দখলে

     

    আলমগীর ইসলামাবাদী
    চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

     

    চট্টগ্রাম শহরের সাথে বাঁশখালীর যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প রোড় দীর্ঘ ৬৫ কিলোমিটারের ব্যস্ততম বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের দুই পার্শ্বের ফুটপাত অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট ও কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় নিত্য যানযটে ভোগছে সাধারন পথচারীরা। সড়কের ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজার বসায় নিত্যদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারন জনগণ কে। বিশেষ করে গুনাগরী ,বৈলছড়ী কেবি বাজার শীলকূপ টাইমবাজার ও চাম্বল সহ পুরো প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজারের দখলে থাকায় বাজার বারে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক পথেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। যথা সময়ে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবিরা পৌঁছাতে পারছেনা তাদের কর্মস্থলে। এমনকি এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকছে জট।

    সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁনপুর বাজার , গুনাগরি,রামদাশ মুন্সিরহাট, বৈলছড়ি কেবি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার ও উপজেলা সদর থেকে শীলকূপ টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজার, পুইঁছড়ি প্রেমবাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের ফুটপাত কাঁচাবাজার ও অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের দখলে। বিশেষ করে এ সব বাজারে নিত্য যানযটের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পথচারিরা। প্রধান সড়ক কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা কাঁচাবাজার গুলো ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে বসেছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান। ফুটপাত এত সরব হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে অনেক দোকান বসছেন স্থায়ীভাবেই। আর যারা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তারা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি, সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।

    বাঁশখালী প্রধান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এস.আলম বাস সার্ভিস, সানলাইন সহ চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা কার্গো সার্ভিস সহ বড় বড় ট্রাক গুলো একটা আরেকটাকে ক্রস করে যেতেও হিমশিম খাচ্ছে। ফুটপাত দখল করার কারণে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে বাঁশখালী-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র বিকল্প সড়ক বাঁশখালী প্রধান সড়কটি। তাছাড়া বে-আইনিভাবে প্রধান সড়কে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। প্রশাসনের নজরে দৃষ্টিগোচর করার পরেও সরছে না খুঁটি গুলো। এতে নিত্য দূর্ঘটার শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। সড়ক দখল করেই সিএনজি-অটোরিকশার পার্কিং যেন দেখার কেউ নাই।

    বাঁশখালী হাসপাতালের এ্যামুলেন্স চালক মোঃ আলমগীর বলেন, বাঁশখালী প্রধান সড়কে র্বতমানে যে হারে যানজট লেগে থাকে তাতে সাধারন রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একেক যানজটে ২-৩ ঘন্টা লেগে যায়। অনেক সময় ডেলিভারী সহ অতি মুমূর্ষ রোগী নিয়ে কঠিন পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে তীব্র যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়ে রোগীরা। যেই হারে বড় বড় গাড়ি বেড়েছে,
    সেই তুলনায় আমাদের বাঁশখালী সড়কটি অতি ছোট,২ টি এস আলম সার্ভিস একসাথে ক্রস করতে পারে না। যার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে।
    রাস্তাটি আরো বড় করা উচিত।

    চাম্বল এলাকার এক বেসরকারী
    চাকুরীজিবী মোঃ বেলাল উদ্দীন বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার বসার কারণে সড়ক জুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের মতো সাধারন জনগন ও চট্টগ্রাাম শহরগামী সাধারণ মানুষ সহ চাকরিজীবীদের।’ এস.আলম, সানলাইন, স্পেশাল, সুপার সার্ভিস ও সিএনজি অটোরিকশার বেশ কয়েকজন চালক বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার এইটা কোন দেশের আইন আমাদের বুঝে আসেনা। কেউ কিছু বলেও না। রাস্তা হয়েছে গাড়ি চলানোর জন্য কিন্তু তারা কাঁচাবাজার ও দোকানপাট বসিয়ে অবৈধভাবে ফুটপাত গিলে খেয়েছে। এরকম যানজটের কারণে আমরা বাঁচি না।’

    চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজিবী এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই বাজার বসে গেছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশখালীতে পৌঁছতে দেড়-দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। দীর্ঘ জ্যামে আটকা পড়ে যায় যানবাহনগুলো। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সওজ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকলে এরকম জনদূভোগের কিছুটা লাগব হতো।’

    ক্যাপশনঃ বাঁশখালী প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে বসেছে শিলকুপ টাইমবাজার।

  • মার্চ-এপ্রিলে খুলে দেয়া হবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু

    মার্চ-এপ্রিলে খুলে দেয়া হবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু

     

    এইচ এম সাইফুল নূর কলাপাড়া, প্রতিনিধিঃ-

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মান সম্পন্ন হওয়ার পথে বালিয়াতলী বাজার সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পরিদর্শন করলেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান।

    শনিবার দুপুরে সেতু পরিদর্শন কালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান মহিব, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দীন, মো. আলী আখতার হোসেন, মো. ওয়হিদুর রহমান, মো. মোখলেসুর রহমান, মন্মথ রঞ্জন হাওলাদারসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা তার সাথে ছিলেন। এসময় সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। আগামি মার্চ-এপ্রিল মাসে সেতুটি জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন তিনি।

    এর আগে শনিবার সকালে কুয়াকাটায় এলজিইডি’র পরিদর্শন বাংলো কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। বহুতল এ পরিদর্শন বাংলোটির আপাতত তিন তলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। সাত কোটি টাকা ব্যায়ে এ ভবনটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  • প্রয়াত অধ্যাপক মু. আলী স্যারের কনিষ্ঠ সন্তান তারেক রনি কে মূল্যায়ন করার জন্য তৃণমূলের দাবী

    প্রয়াত অধ্যাপক মু. আলী স্যারের কনিষ্ঠ সন্তান তারেক রনি কে মূল্যায়ন করার জন্য তৃণমূলের দাবী

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    রাজনীতিকে বিদ্যায়তনিক রুপ লাভ দিতে এ ধরাধামে কিছুকিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটে সবরে অবরে। ইতিহাসের খেরোখাতায় সে মানুষগুলো সমুজ্জ্বল প্রদীপের মতোন থেকে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। আমি দক্ষিণ চট্টলার রাজনীতির শুদ্ধতম পুরুষ সদ্য প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কথা বলছি। তিনি তাঁর ষাট বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ঝাণ্ডা হাতে চষে বেড়িয়েছেন কক্সবাজার তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের অলিগলিতে। তাঁর জন্মজনপদ টেকনাফে আওয়ামী রাজনীতির আজ যে একটি শক্তপোক্ত অবস্থান, তার ভিতটা মূলত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর হাত ধরে গড়া। তাঁর আদর্শের পাঠশালায় লালিত হয়ে বহু উত্তরসূরি আজ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে উঠেছেন বহু জায়গায় বহুভাবে। তদুপরি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া তিন বুকের ধনও আওয়ামী রাজনীতি তথা পিতার দেখানো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পাহারাদার হয়ে টেকনাফ তথা কক্সবাজারের রাজনীতিতে সবসময় প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে। বড় ছেলে মাহাবুব মোর্শেদ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মেঝো ছেলে রাশেদ মাহমুদ আলী হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ছোট ছেলে তারেক মাহমুদ রনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আদর্শিক রাজনীতির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পরিবারের রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে বিএনপি জামাত অধ্যুষিত টেকনাফে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সদা জাগ্রত রাখতে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। কোনো সিন্ডিকেটের কবলে যেনো আওয়ামী আদর্শের রাজনীতি ছিনতাই না হয়ে যায়, তার কারণে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী পরিবারকে টেকনাফের রাজনীতিতে বাঁচিয়ে রাখতে হবে দলের স্বার্থে, দশের স্বার্থে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কনিষ্ঠ সন্তান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনি মূল্যায়িত হবে এটি আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।

  • কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে বদলে যাচ্ছে টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নের মেঠোপথ

    ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

     

    কক্সবাজার টেকনাফ ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নে চলতি ২০২০-২১ইং অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ১ম পর্যায়ে ৩৮০জন শ্রমিক এবং ৩০লাখ ৬০হাজার টাকার বিনিময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ১০টি সড়ক সংস্কার এবং নতুন করে নির্মাণের ফলে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের টাকায় অনিয়ম-দূর্নীতি না হলে দুঃসময়ে দরিদ্র মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হয় তেমনি গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটে। আগামীতে এই ব্যাপারে আরো সর্তক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    জানা যায়, চলতি ২০২০-২১ইং অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্প ১ম পর্যায়ে ৪০দিনের কাজে হ্নীলা ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে মরিচ্যাঘোনা আব্দুল জাব্বার সিকদার রোড হতে পশ্চিমে দপ্তরী কবিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বশির আহমদ ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন।
    এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা দপ্তরী কবির,আব্দু রহিম,আলমূল মোস্তফা,শাহ আলম,হাসিনা বেগম জানান, এই রাস্তাটি নির্মাণ হওয়ার ফলে আমরা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্যাদি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব এবং ছেলে-মেয়েরা বর্ষাকালে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারবে। এইজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
    নাইক্ষ্যংখালী মুসলিম পাড়া ব্রীজ হতে নবনির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে পূর্বদিকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। ফরিদুল আলম মেম্বার ৪০জন শ্রমিক এবং ৩লাখ ২০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় উপকারভোগী হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কালাইয়া, ছৈয়দ আলম, জাহেদা বলেন এই প্রকল্প লুটপাট প্রকল্প নামে পরিচিত থাকলেও আমাদের এলাকায় এইবার চোখে পড়ার মতো কাজ হয়েছে।

    মাষ্টার সাবেকুন নাহারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এবং প্রধান সড়ক হতে ঊলুচামরী কোনার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন ৯৫জন শ্রমিক এবং ৭লাখ ৬০হাজার বিনিময়ে এই প্রকল্প ২টি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন, জাফর, সফিক, ছৈয়দুল আমিন, আতিক, স্কুল কর্মচারী সাইফুল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ২টি একটি গ্রামের মানুষের চলাফেরার ভেঅগান্তি দূর করেছে আরেকটি হ্নীলা ফুলের ডেইল এবং গুহাফার মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে দিয়েছে।

    পশ্চিম পানখালী উত্তর পাড়া বেলালের বাড়ি হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে আবুল বশরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। হোছাইন আহমদ মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল, মোঃ আলম, খলিল আহমদ, মৌঃ শব্বির, জহর আলী বলেন, বর্ষাকালে ভাঙ্গা পুকুরের পাড় দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর ছিল। এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।

    লেচুয়াপ্রাং মত্তিকাটা (ইসলাম মিয়ার বাড়ি হতে লেচুয়াপ্রাং কবর স্থান পর্যন্ত) রাস্তা পূনঃ নির্মাণ। প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় ইসলাম মিয়া, ফরিদ, সলিম, রহিম উল্লাহ বলেন, আমরা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে আমাদের ক্ষেতে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজতর হয়েছে।

    লেদা পুছিঙ্গা পাড়া (এইচকে আনোয়ারের প্রজেক্টের রাস্তা হতে দক্ষিণে লেদা খাল পর্যন্ত) পুনঃ রাস্তা নির্মাণ। নুরুল হুদা মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় আবুল কালাম, তৈয়ম গোলাল, নাগু মিয়া, জসিম বলেন, এই রাস্তাটি নির্মাণের ফলে আমাদের চলাফেরা সহজ হয়েছে।

    খন্ডার কাটা আমির আলীর বাড়ি হতে উত্তর দিকে নুর নবীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। স্থানীয় গৃহবধু মুন্নী, বৃদ্ধা সলেমা, কৃষক ছৈয়দ নুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে কষ্টে ছিলান। গাড়ি চলতে না পারায় কোন রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হত। এখন ইনশল্লাহ আমাদের জন্য ভাল হয়েছে।

    মধ্যম দমদমিয়া সোনা মিয়ার বাড়ি হতে জাফরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। মোহাম্মদ আলী মেম্বার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। সোনা মিয়া, নুর কবির, নুর নাহার বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারের ফলে ক্ষেত-খামার এবং স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে ছেলে-মেয়ে ও লোকজনকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।

    লেদা বিওপি ক্যাম্পের পেছনে নুর মোহাম্মদের বাড়ি হতে উত্তর দিকে নাজির হোছনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ৩৫জন শ্রমিক এবং ২লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নবী হোছন, মোবারক, জাফর, ঈমান হোছন বলেন এই সড়কটি নির্মাণের ফলে দুই গ্রামের মধ্যে যাতায়াত সহজ হল।

    এই ব্যাপারে ২ নং হ্নীলা ইউপি সচিব শেখ ফরিদুল আলম জানান, এসব প্রকল্প সমুহ অনিয়ম-দূর্নীতির উর্ধ্বে উঠে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএওর নির্দেশনায় এবং চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর তত্ত্বাধানে ১ম পর্যায়ে ৪০দিনব্যাপী এই কর্মসংস্থান কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ঘটেছে। আমি মনে করি এই প্রকল্প এই ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
    হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন,আমি জনগণের সেবার জন্য বাবার স্বপ্ন নিয়ে জনসেবায় এসেছি। তাই সরকারী বরাদ্ধ সমুহ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য সচেষ্ট রয়েছি বলে আজ এই প্রকল্প সরেজমিনে তদারকির মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।